বিষয়বস্তুতে চলুন

পি. কে. ব্যানার্জি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অনুরাগ (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
অনুরাগ (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
 
১৩৫ নং লাইন: ১৩৫ নং লাইন:


== প্রশিক্ষক জীবন ==
== প্রশিক্ষক জীবন ==
পি কে ব্যানার্জির কোচ হিসেবে প্রথম বাটা স্পোর্টস ক্লাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। এরপর ১৯৭২-৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এবং ১৯৮০, ১৯৮৩, ১৯৮৫, ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি [[ইস্টবেঙ্গল ক্লাব|ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের]] প্রশিক্ষণ দেন। তিনি [[মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব|মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবকে]] এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের আনন্দ দিয়েছিলেন। তাঁর প্রশিক্ষণকালে [[মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব|মোহনবাগান]] [[আইএফএ শীল্ড]], [[রোভার কাপ]] এবং [[ডুরান্ড কাপ]] একই মরশুমে জিতেছিল, যা মোহনবাগানের একই মরশুমে তিনটি কাপ জেতার প্রথম অধ্যায়। ক্লাব কোচিংয়ের মাধ্যমে তিনি মোট ৫৩টি ট্রফি এনেছিলেন, যার ২৮টি [[ইস্টবেঙ্গল ক্লাব|ইস্টবেঙ্গল]] এবং ২৫টি [[মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব|মোহনবাগানের]] কোচ থাকাকালীন। [[ভারত জাতীয় ফুটবল দল|জাতীয় দলের]] কোচ থাকাকালীন ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ভারত [[এশিয়ান গেমস|এশিয়ান গেমসে]] ব্রোঞ্জ জিতেছিল। তিনি ১৯৮৬ পর্যন্ত ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের কোচ ছিলেন।<ref name="sportal">[http://sportal.nic.in/legenddetails.asp?sno=618&moduleid=&maincatid=40&subid=0&comid=55 Ministry of Youth Affairs and Sports Website] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070324143657/http://sportal.nic.in/legenddetails.asp?sno=618&moduleid=&maincatid=40&subid=0&comid=55 |তারিখ=২৪ মার্চ ২০০৭ }}. Retrieved 12 November 2006</ref> এরপর তিনি [[জামশেদপুর|জামসেদপুরের]] টাটা ফুটবল একাডেমিতে যুক্ত হন, এবং ১৯৯১-১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সেখানকার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নিযুক্ত হন।<ref>[http://www.tatafootballacademy.com/ex-directors.asp Tata Football Academy Website] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201122133601/http://www.tatafootballacademy.com/ex-directors.asp |তারিখ=২২ নভেম্বর ২০২০ }}. Retrieved 12 November 2006.</ref> ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি আবার [[ভারত জাতীয় ফুটবল দল|ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের]] টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন।<ref>[[The Statesman (India)|The Statesman]]. (29 July 1999). ''PK in the Dark about TD for [[Mauritius]] Trip.''</ref>
পি কে ব্যানার্জির কোচ হিসেবে প্রথম বাটা স্পোর্টস ক্লাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। এরপর ১৯৭২-৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এবং ১৯৮০, ১৯৮৩, ১৯৮৫, ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি [[ইস্টবেঙ্গল ক্লাব|ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের]] প্রশিক্ষণ দেন। তিনি [[মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব|মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবকে]] এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের আনন্দ দিয়েছিলেন। তাঁর প্রশিক্ষণকালে [[মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব|মোহনবাগান]] [[আইএফএ শিল্ড]], [[রোভার্স কাপ]] এবং [[ডুরান্ড কাপ]] একই মৌসুমে জিতেছিল, যা মোহনবাগানের একই মরশুমে তিনটি কাপ জেতার প্রথম অধ্যায়। ক্লাব কোচিংয়ের মাধ্যমে তিনি মোট ৫৩টি ট্রফি এনেছিলেন, যার ২৮টি [[ইস্টবেঙ্গল ক্লাব|ইস্টবেঙ্গল]] এবং ২৫টি [[মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব|মোহনবাগানের]] কোচ থাকাকালীন। [[ভারত জাতীয় ফুটবল দল|জাতীয় দলের]] কোচ থাকাকালীন ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ভারত [[এশিয়ান গেমস|এশিয়ান গেমসে]] ব্রোঞ্জ জিতেছিল। তিনি ১৯৮৬ পর্যন্ত ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের কোচ ছিলেন।<ref name="sportal">[http://sportal.nic.in/legenddetails.asp?sno=618&moduleid=&maincatid=40&subid=0&comid=55 Ministry of Youth Affairs and Sports Website] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070324143657/http://sportal.nic.in/legenddetails.asp?sno=618&moduleid=&maincatid=40&subid=0&comid=55 |তারিখ=২৪ মার্চ ২০০৭ }}. Retrieved 12 November 2006</ref> এরপর তিনি [[জামশেদপুর|জামসেদপুরের]] টাটা ফুটবল একাডেমিতে যুক্ত হন, এবং ১৯৯১-১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সেখানকার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নিযুক্ত হন।<ref>[http://www.tatafootballacademy.com/ex-directors.asp Tata Football Academy Website] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201122133601/http://www.tatafootballacademy.com/ex-directors.asp |তারিখ=২২ নভেম্বর ২০২০ }}. Retrieved 12 November 2006.</ref> ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি আবার [[ভারত জাতীয় ফুটবল দল|ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের]] টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন।<ref>[[The Statesman (India)|The Statesman]]. (29 July 1999). ''PK in the Dark about TD for [[Mauritius]] Trip.''</ref>


==মৃত্যু==
==মৃত্যু==

১০:০৬, ৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পি কে ব্যানার্জি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম প্রদীপ কুমার ব্যানার্জি
জন্ম (১৯৩৬-০৬-২৩)২৩ জুন ১৯৩৬[][]
জন্ম স্থান জলপাইগুড়ি, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু ২০ মার্চ ২০২০(2020-03-20) (বয়স ৮৩)
মৃত্যুর স্থান কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি
মাঠে অবস্থান স্ট্রাইকার
যুব পর্যায়
১৯৫১ বিহার
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৫৪ আরিয়ান এফসি
১৯৫৫-১৯৬৭ পূর্ব রেল ফুটবল ক্লাব
জাতীয় দল
১৯৫৫-১৯৬৬ ভারত ৩৬[] (১৯)
পরিচালিত দল
১৯৭২-১৯৮১ ভারত
১৯৮৫ ভারত
অর্জন ও সম্মাননা

অর্জুন পুরস্কার
১৯৬১
পদ্মশ্রী
১৯৯০
অর্ডার অফ মেরিট – (শতবার্ষিক)
২০০৪ ফিফার সর্বোচ্চ পুরস্কার
মোহনবাগান রত্ন
২০১১
ইস্টবেঙ্গল প্রদত্ত শতাব্দীর সেরা কোচ
২০১৯

আন্তর্জাতিক পদক
ফুটবল
 ভারত-এর প্রতিনিধিত্বকারী
১৯৬২ এশিয়ান গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ১৯৬২ ভারত ফুটবল
১৯৫৯ মারডেকা ফুটবল প্রতিযোগিতা
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ১৯৫৯ ভারত ফুটবল
১৯৬৪ মারডেকা ফুটবল প্রতিযোগিতা
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ১৯৬৪ ভারত ফুটবল
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

প্রদীপ কুমার ব্যানার্জি (২৩ জুন, ১৯৩৬ – ২০ মার্চ, ২০২০), যিনি পি কে ব্যানার্জি নামে অধিক পরিচিত[], একজন ভারতীয় ফুটবলার এবং প্রশিক্ষক। তিনি ৩৬ বার জাতীয় ম্যাচে ভারতের হয়ে খেলেছেন, এবং ৬ বার ভারতীয় ফুটবল দলকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি জাতীয় স্তরে সর্বমোট ১৯ টি গোল করেছেন।[] তিনি প্রথমদিকের অর্জুন পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে একজন। তিনি ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেন, এবং আইএফএফএইচএস দ্বারা বিংশ শতকের একজন ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত হন। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ফিফার সর্বোচ্চ পুরস্কার, অর্ডার অফ মেরিট পুরস্কারে ভূষিত হন।[][][]

বাল্যকাল

[সম্পাদনা]

প্রদীপ কুমার ব্যানার্জি ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ( বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ) অন্তর্গত জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম প্রভাত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা পরিমলবালা দেবী। পি কে ব্যানার্জি জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় এবং জামশেদপুরের কে.এম.পি.এম. বিদ্যালয় থেকে বিদ্যালয় জীবন সম্পূর্ণ করেন।

খেলোয়াড় জীবন

[সম্পাদনা]
অলিম্পিক ১৯৫৬-এর ভারতীয় ফুটবল দল, শেষ সারির বাদিক থেকে চতুর্থস্থানে পি কে ব্যানার্জি

১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে, মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিহারের হয়ে সন্তোষ ট্রফিতে পিকে ব্যানার্জির ফুটবল জীবনের অভিষেক ঘটে। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং আরিয়ান ফুটবল ক্লাবে যোগ দেন। এরপর তিনি পূর্ব রেল ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলেন। তিনি ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে, ১৯ বছর বয়সে পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায় অনুষ্ঠিত চতুর্দেশীয় টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম খেলেন।[]

তিনি ভারতের হয়ে তিনটি এশিয়ান গেমস, যথা- টোকিওতে অনুষ্ঠিত ১৯৫৮ এশিয়ান গেমস, জাকার্তাতে অনুষ্ঠিত ১৯৬২ এশিয়ান গেমস, যেখানে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয় এবং স্বর্ণপদক প্রাপ্ত করে, এবং পরবর্তীতে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ১৯৬৬ এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত ১৯৫৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকসসে জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। রোমে হওয়া ১৯৬০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে তিনি ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেন, যেখানে তিনি ফ্রান্স ফুটবল দলের বিরুদ্ধে ১ গোলের মাধ্যমে ১–১ হিসেবে ম্যাচ ড্র করেন। তিনি মারডেকা ফুটবল প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে তিনবার (১৯৫৯, ১৯৬৪ ও ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দ) খেলেন। সেখানে ভারত ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে রূপো, এবং ১৯৬৪-তে ব্রোঞ্জ জেতে। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি অবসর নেন।[১০]

আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]

শুধুমাত্র ফিফা 'এ' ম্যাচের পরিসংখ্যান[১১]

ভারত জাতীয় ফুটবল দল
বছর ম্যাচ গোল
১৯৫৫
১৯৫৬
১৯৫৮
১৯৫৯
১৯৬০
১৯৬১
১৯৬২
১৯৬৪
১৯৬৫
১৯৬৬
মোট ৪৫ ১৪

আন্তর্জাতিক গোল

[সম্পাদনা]

ফিফা 'এ' আন্তর্জাতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান[১১]:

ডাটা স্থান বিপক্ষ দল ফলাফল প্রতিযোগিতা গোল
১৮ ডিসেম্বর ১৯৫৫ ঢাকা স্টেডিয়াম, ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান  সিলন ৪–৩ ১৯৫৫ কলম্বো কাপ
২২ ডিসেম্বর ১৯৫৫ ঢাকা স্টেডিয়াম, ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান  বার্মা ২–১ ১৯৫৫ কলম্বো কাপ
২৬ ডিসেম্বর ১৯৫৫ ঢাকা স্টেডিয়াম, ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান  পাকিস্তান ২–১ ১৯৫৫ কলম্বো কাপ
১২ ডিসেম্বর ১৯৫৬ সিডনি স্পোর্টস গ্রাউন্ড, সিডনি  অস্ট্রেলিয়া ৭–১ আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বপূর্ণ
২৭ আগস্ট ১৯৫৯ গাজী স্টেডিয়াম, কাবুল  আফগানিস্তান ৫–২ ১৯৬০ অলিম্পিক বাছাইপর্ব
৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯ সিটি স্টেডিয়াম, পেনাঙ্গ  দক্ষিণ কোরিয়া ১–১ আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বপূর্ণ
২৯ আগস্ট ১৯৬০ স্তাদিও অলিম্পিকো কমুনালে, গ্রোসেতো, ইতালি  ফ্রান্স ১–১ ১৯৬০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ফুটবল
৯ আগস্ট ১৯৬১ কুয়ালালামপুর, মালয় ফেডারেশন  মালয় ২–১ ১৯৬১ মারডেকা টুর্নামেন্ট
২৭ আগস্ট ১৯৬২ গেলোরা বুং কার্নো স্টেডিয়াম, জাকার্তা  জাপান ২-০ ১৯৬২ এশিয়ান গেমস
৩০ আগস্ট ১৯৬২ গেলোরা বুং কার্নো স্টেডিয়াম, জাকার্তা  থাইল্যান্ড ৪–১ ১৯৬২ এশিয়ান গেমস
৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬২ গেলোরা বুং কার্নো স্টেডিয়াম, জাকার্তা  দক্ষিণ কোরিয়া ২–১ ১৯৬২ এশিয়ান গেমস
১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪ কুয়ালালামপুর, মালয় ফেডারেশন  দক্ষিণ কোরিয়া ২–১ ১৯৬৪ মারডেকা প্রতিযোগিতা

প্রশিক্ষক জীবন

[সম্পাদনা]

পি কে ব্যানার্জির কোচ হিসেবে প্রথম বাটা স্পোর্টস ক্লাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। এরপর ১৯৭২-৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এবং ১৯৮০, ১৯৮৩, ১৯৮৫, ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের প্রশিক্ষণ দেন। তিনি মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবকে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের আনন্দ দিয়েছিলেন। তাঁর প্রশিক্ষণকালে মোহনবাগান আইএফএ শিল্ড, রোভার্স কাপ এবং ডুরান্ড কাপ একই মৌসুমে জিতেছিল, যা মোহনবাগানের একই মরশুমে তিনটি কাপ জেতার প্রথম অধ্যায়। ক্লাব কোচিংয়ের মাধ্যমে তিনি মোট ৫৩টি ট্রফি এনেছিলেন, যার ২৮টি ইস্টবেঙ্গল এবং ২৫টি মোহনবাগানের কোচ থাকাকালীন। জাতীয় দলের কোচ থাকাকালীন ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ভারত এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জিতেছিল। তিনি ১৯৮৬ পর্যন্ত ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের কোচ ছিলেন।[১২] এরপর তিনি জামসেদপুরের টাটা ফুটবল একাডেমিতে যুক্ত হন, এবং ১৯৯১-১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সেখানকার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নিযুক্ত হন।[১৩] ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি আবার ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন।[১৪]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

২০২০ খ্রিস্টাব্দের ২০ মার্চ ব্যানার্জি কলকাতায় একটি হাসপাতালে মারা যান। তিনি কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন। [১৫][১৬]

সম্মান ও পদক

[সম্পাদনা]
  • এশিয়ান গেমস স্বর্ণপদক — ১৯৬২ এশিয়ান গেমস
  • মারডেকা টুর্নামেন্ট রূপোপদক — ১৯৫৯, ১৯৬৪
  • ভারত নির্মাণ পুরস্কার — লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট, ২০১১

স্বতন্ত্র

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "P. K. Banerjee Profile - Indian Football Player Pradip Kumar Banerjee Biography - Information on PK Banerjee Indian Footballer"www.iloveindia.com 
  2. "P.K. BANERJEE"www.indianfootball.de। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২০ 
  3. AIFF condoles Pradip Kumar Banerjee’s death AIFF
  4. P. K. Banerjee's Achievements
  5. RIP P.K. Banerjee: From Chhetri to AIFF, tributes flow in for legend Sportstar
  6. "PK Banerjee gets FIFA centennial order of merit"Outlook India Magazine 
  7. "Legends of Indian football: P.K. Banerjee"www.sportskeeda.com। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। 
  8. "Celebrating P.K.Banerjee's Birthday: 15 facts you must know about the legend | Goal.com"www.goal.com। ২২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২০ 
  9. Rahim, Amal Dutta, P.K. and Nayeem: The Coaches Who Shaped Indian Football ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ জুন ২০১২ তারিখে. Retrieved 12 November 2006.
  10. "ফাঁকা গ্যালারির সামনে খেলেও তিনি মহানায়ক"bartamanpatrika.com। ২০২০-০৩-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২১ 
  11. Subrata Dey, Roberto Murmud। "Pradip Kumar Banerjee - Goals in International Matches"rsssf.com। RSSSF। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  12. Ministry of Youth Affairs and Sports Website ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ মার্চ ২০০৭ তারিখে. Retrieved 12 November 2006
  13. Tata Football Academy Website ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে. Retrieved 12 November 2006.
  14. The Statesman. (29 July 1999). PK in the Dark about TD for Mauritius Trip.
  15. "Indian football legend PK Banerjee dies aged 83"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০২০ 
  16. সংস্থা, সংবাদ। "পিকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ক্রীড়া থেকে রাজনৈতিক, সব মহলই"anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২১ 
  17. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫ 
  18. "Padma Shri PK Banerjee"Mohun Bagan Athletic Club (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৪-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২১ 
  19. The Hindu Article[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] dated 23 June 2004. Retrieved 12 November 2006.