বিষয়বস্তুতে চলুন

রেজাউল করিম (সাংবাদিক): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিষয়শ্রেণী
১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৯৩-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৯৩-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি শিক্ষাবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি শিক্ষাবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষার লেখক]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি সম্পাদক]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি লেখক]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি প্রাবন্ধিক]]

১৪:৪৮, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রেজাউল করিম ( ১৯০২ - ৫ নভম্বর, ১৯৯৩) ছিলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেন, কুসংস্কারবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে তার অবদান আছে।

প্রারম্ভিক জীবন

রেজাউল করিম বীরভূম জেলার মারগ্রামে জন্মগ্রহন করেন। মুসলিম ধর্মীয় পরিবেশের মধ্যে মানুষ হলেও তার পরিবার রক্ষণশীল ছিলনা। তিনি উচ্চশিক্ষার প্রেরনা পান লেখক ও সাংবাদিক, অগ্রজ মইনুদ্দিন হোসায়েনের কাছে। প্রথমে কলকাতার তালতলা হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন ও সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ, কলকাতা থেকে আই এ পাশ করেন। ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে কলেজ ছড়েন। আন্দোলন শেষে মুর্শিদাবাদ জেলার সালারে মাদ্রাসার অবৈতনিক শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে থাকেন। এর কিছুদিন পরে তিনি বহরমপুরে চলে আসেন ও জাতীয়তাবাদী নেতা, মাতুল আব্দুস সামাদের চেষ্টায় আবার কলেজে ভর্তি হন।[] কাশিম বাজার মহারাজা মনীন্দ্রচন্দ্র নন্দী তার বক্তৃতা শুনে তার পড়ার ব্যয়ভার বহন করার সিদ্ধান্ত নেন। কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে ১৯২৮ সালে আই এ ও ১৯৩০ সালে ইংরেজিতে অনার্স পাশ করেন রেজাউল করিম।[]

সাংবাদিকতা

কলেজে পড়াকালীন সৌরভ নামক মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। মুক্তচিন্তা ও ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন বহরমপুর তথা মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম ব্যক্তিত্ব। বিভিন্ন সাময়িকপত্রে তার লেখা এসময় প্রকাশ হয়। অর্থাভাবে খিদিরপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম এ পাশ করেন ও আইন পরীক্ষা দেন। কংগ্রেস সাহিত্য সংঘের তিনি ছিলেন অন্যতম উদ্যোক্তা। কলকাতার বাইরে সর্বপ্রথম বহরমপুরে এই সংঘের শাখা তৈরি হয়। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি নবযুগ পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন, মোহাম্মদী পত্রিকাতে ধারাবাহিকভাবে ফরাসী বিপ্লব নামক লেখা লিখেছেন তিনি। মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর চোদ্দ দফা শর্তের বিরুদ্ধে প্রবাসী পত্রিকায় তার লেখা প্রবন্ধ প্রকাশিত হলে রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলে। মুসলিম মানসে জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটানোর জন্যে দূরবীন পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯৫১-৫২ তিনি 'মুর্শিদাবাদ পত্রিকা' সম্পাদনা করতেন।

সামাজিক অবদান

সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি সমন্বয়ের অন্যতম পথিকৃত ছিলেন রেজাউল করিম। বহরমপুর গার্লস কলেজের হস্টেলের আবাসিক ছাত্রীরা প্রথা মেনে পরদিন এক জন ব্রাহ্মণকে শ্রদ্ধা সহ খাইয়ে নিজেদের ব্রত পালন করতেন। রেজাউল করিমকে ব্রাহ্মণ রূপে তারা বরণ করতেন এই উদাহরণ আছে।[] ১৯৩০ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নানা কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। ১৯৬০ এর পর থেকে বিধান পরিষদের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ ও শরনার্থীদের সহযোগীতা কাজে এগিয়ে এসেছিলেন।[] শেষ বয়েস সামাজিক ও উন্নয়নমূলক নানা কাজে ব্যপ্ত থাকতেন। অবসরের পরেও শিক্ষাদান করেছেন বহরমপুর গার্লস কলেজে।

সাহিত্য

সম্মান

তথ্যসূত্র

  1. "আড়ালেই দুই 'মণীষী'"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. দ্বিতীয় খন্ড, অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০৪)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩০৮। 
  3. অনল আবেদিন। "পুলিশের হম্বিতম্বি সত্ত্বেও ছাত্রের পাশেই অধ্যক্ষ"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  4. "মুক্তিযুদ্ধে সহোদর পশ্চিমবঙ্গ"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)