বিষয়বস্তুতে চলুন

ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
103.145.165.19 (আলাপ)-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে InternetArchiveBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
Abazizfahad (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১২৮ নং লাইন: ১২৮ নং লাইন:
ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে বাংলাদেশের [[আলেম]] মুক্তিযোদ্ধার মাঝে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সাংগঠনিক কাজকর্মে জড়িত ছিলেন এবং সর্বদাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে আন্দোলন করেছেন।<ref name=":02" /><ref name=":7" /> তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যুদ্ধের সময় আমি কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম। কোনো সশস্ত্রযুদ্ধে অংশ নিইনি। তবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করেছি। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছি। সাংগঠনিক কিছু কাজও করেছি। যুদ্ধের সময় আমি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ছিলাম।’<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/national/news/165735/%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE|শিরোনাম=যেমন আছেন আলেম মুক্তিযোদ্ধারা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=বাংলা ট্রিবিউন|সংগ্রহের-তারিখ=|আর্কাইভের-তারিখ=২৪ নভেম্বর ২০২০|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201124085740/https://www.banglatribune.com/national/news/165735/%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref> মূলত তিনি তার শিক্ষকবৃন্দের কাছ থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন। তার শিক্ষক [[কাজী মুতাসিম বিল্লাহ]] ছিলেন একজন আলেম মুক্তিযোদ্ধা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/todays-paper/features/islam-and-life/28050/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8|শিরোনাম=বেশিরভাগ আলেম মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ছিলেন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=যুগান্তর|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>
ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে বাংলাদেশের [[আলেম]] মুক্তিযোদ্ধার মাঝে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সাংগঠনিক কাজকর্মে জড়িত ছিলেন এবং সর্বদাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে আন্দোলন করেছেন।<ref name=":02" /><ref name=":7" /> তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যুদ্ধের সময় আমি কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম। কোনো সশস্ত্রযুদ্ধে অংশ নিইনি। তবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করেছি। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছি। সাংগঠনিক কিছু কাজও করেছি। যুদ্ধের সময় আমি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ছিলাম।’<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/national/news/165735/%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE|শিরোনাম=যেমন আছেন আলেম মুক্তিযোদ্ধারা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=বাংলা ট্রিবিউন|সংগ্রহের-তারিখ=|আর্কাইভের-তারিখ=২৪ নভেম্বর ২০২০|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201124085740/https://www.banglatribune.com/national/news/165735/%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref> মূলত তিনি তার শিক্ষকবৃন্দের কাছ থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন। তার শিক্ষক [[কাজী মুতাসিম বিল্লাহ]] ছিলেন একজন আলেম মুক্তিযোদ্ধা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/todays-paper/features/islam-and-life/28050/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AE-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8|শিরোনাম=বেশিরভাগ আলেম মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ছিলেন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=যুগান্তর|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>


== শাহবাগ আন্দোলন ==
==যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সংগ্রাম==
২০০১ সালে [[চার দলীয় জোট]] সরকার গঠন করলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর [[মতিউর রহমান নিজামী]] ও [[আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ|আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে]] [[মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ|মন্ত্রী]] নিযুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে তিনি [[ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ|ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের]] পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ পত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান উল্লেখ করত স্বেচ্ছা-অবসর গ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যে এক আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে যাত্রাকালে মাসঊদকে [[শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর]] থেকে ১৭ আগস্ট ২০০৫ সালের দেশব্যাপী চালানো বোমা হামলার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আদালতকে তিনি বলেন, “জামায়াতের মতিউর রহমান নিজামী বোমা হামলার সাথে জড়িত। তাকে বন্দি করুন তাহলে সব তথ্য পাওয়া যাবে”। অতঃপর দুইদিনের রিমান্ডের পর তার বিরুদ্ধে বোমা হামলার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে তাকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে “মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো” বলে উল্লেখ করেন। পরে উক্ত জেএমবি মামলা প্রত্যাহার করা হলেও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে তাকে ছয়মাস কারাবন্দী থাকতে হয়।<ref name=":21">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/2006/09/25/d6092501107.htm|শিরোনাম=৫ জেএমবি সদস্যের ৭৮ বছরের জেল হয়েছে|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=দ্য ডেইলি স্টার|সংগ্রহের-তারিখ=|আর্কাইভের-তারিখ=২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210227100305/http://archive.thedailystar.net/2006/09/25/d6092501107.htm|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/2005/08/24/d5082401011.htm|শিরোনাম=সিরিয়াল বোমা হামলা: গ্রেপ্তার মাওলানা নিজামির দিকে আঙুল তুলেছিলেন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=দ্য ডেইলি স্টার|সংগ্রহের-তারিখ=|আর্কাইভের-তারিখ=১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210211044520/http://archive.thedailystar.net/2005/08/24/d5082401011.htm|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref>
২০০১ সালে [[চার দলীয় জোট]] সরকার গঠন করলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর [[মতিউর রহমান নিজামী]] ও [[আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ|আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে]] [[মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ|মন্ত্রী]] নিযুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে তিনি [[ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ|ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের]] পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ পত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান উল্লেখ করত স্বেচ্ছা-অবসর গ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যে এক আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে যাত্রাকালে মাসঊদকে [[শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর]] থেকে ১৭ আগস্ট ২০০৫ সালের দেশব্যাপী চালানো বোমা হামলার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আদালতকে তিনি বলেন, “জামায়াতের মতিউর রহমান নিজামী বোমা হামলার সাথে জড়িত। তাকে বন্দি করুন তাহলে সব তথ্য পাওয়া যাবে”। অতঃপর দুইদিনের রিমান্ডের পর তার বিরুদ্ধে বোমা হামলার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে তাকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে “মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো” বলে উল্লেখ করেন। পরে উক্ত জেএমবি মামলা প্রত্যাহার করা হলেও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে তাকে ছয়মাস কারাবন্দী থাকতে হয়।<ref name=":21">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/2006/09/25/d6092501107.htm|শিরোনাম=৫ জেএমবি সদস্যের ৭৮ বছরের জেল হয়েছে|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=দ্য ডেইলি স্টার|সংগ্রহের-তারিখ=|আর্কাইভের-তারিখ=২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210227100305/http://archive.thedailystar.net/2006/09/25/d6092501107.htm|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/2005/08/24/d5082401011.htm|শিরোনাম=সিরিয়াল বোমা হামলা: গ্রেপ্তার মাওলানা নিজামির দিকে আঙুল তুলেছিলেন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=দ্য ডেইলি স্টার|সংগ্রহের-তারিখ=|আর্কাইভের-তারিখ=১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210211044520/http://archive.thedailystar.net/2005/08/24/d5082401011.htm|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref>



০৫:৩৯, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কুতবে বাঙ্গাল, আল্লামা
ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ
২০১৯ সালে মাসঊদ
প্রধান ইমাম, শোলাকিয়া ঈদগাহ
সভাপতি, জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৫ অক্টোবর ২০১৬
সভাপতি, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০১৪
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1950-03-07) ৭ মার্চ ১৯৫০ (বয়স ৭৪)
হিজলিয়া, পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
সন্তান
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
ধর্মইসলাম
ব্যক্তিগত তথ্য
পিতামাতা
  • আব্দুর রশীদ (পিতা)
  • সৈয়দা জেবুন্নেসা (মাতা)
জাতিসত্তাবাঙালি
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
প্রধান আগ্রহ
উল্লেখযোগ্য ধারণামানবকল্যাণে শান্তির ফতওয়া
উল্লেখযোগ্য কাজ
আত্মীয়আব্দুন নূর ইন্দেশ্বরী (নানা শ্বশুর)
আহমদুল হক হবিগঞ্জী (ভায়রা)
তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী (ভায়রার ভাই)[]
ঊর্ধ্বতন পদ
সাহিত্যকর্মরাওয়ায়ে মিন আশআরিস সাহাবা

ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ (জন্ম: ৭ মার্চ ১৯৫০) বাংলাদেশের একজন আলোচিত ও সমালোচিত ইসলামি ব্যক্তিত্ব। বর্তমানে তিনি শোলাকিয়া জাতীয় ঈদগাহের ইমাম, জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশবাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার সভাপতি, ইকরা বাংলাদেশের পরিচালক। এক লক্ষাধিক আলেম কর্তৃক স্বাক্ষরিত মানবকল্যাণে শান্তির ফতওয়া শীর্ষক জঙ্গিবাদবিরোধী ফতোয়ার জন্য তার পরিচিতি রয়েছে। তিনি জামায়াতে ইসলামীকাদিয়ানিদের কঠোর সমালোচক এবং তিনিই গণজাগরণ মঞ্চে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি জানানো প্রথম আলেম।

আলেম সমাজে বাংলা ভাষার বিস্তারে লাজনাতুত তলাবা নামক একটি সংগঠনের কর্ণধার, কওমি মাদ্রাসার সরকারি স্বীকৃতি আদায়, মসজিদে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সরকারি ভাতা বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পরিচালক ছিলেন। মাসিক পাথেয় পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সহ তার স্বরচিত ও অনুবাদকৃত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে তার রচিত বই পাঠ্যসূচিতে অর্ন্তভুক্ত।[] এছাড়াও তিনি এশিয়া ফাউন্ডেশনের বিশেষ পরামর্শক, ফাউন্ডেশন ফর গ্লোবাল পলিসি স্টাডিজ, ইসলামিক রিসার্চ কাউন্সিল অব বাংলাদেশ, ইকরা মাল্টিমিডিয়া ওয়ার্ল্ডওয়াইড লিমিটেডের সভাপতি এবং ইসলামী গবেষণা পরিষদ এবং বেসরকারি দাতব্য সংস্থা ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। তার কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা সময় বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে এবং তার উপর হত্যাচেষ্টাও হয়েছে।

জন্ম ও বংশ

মাসঊদ ১৯৫০ সালের ৭ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার হিজলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস একই জেলার তাড়াইল থানাধীন বেলংকা গ্রামে। পিতা আব্দুর রশীদ পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন এবং মা সৈয়দা জেবুন্নেসা। ব্যক্তিজীবনে তিনি এক কন্যা ও তিনপুত্রের জনক যথা ক্রমে সদরুদ্দীন মাকনুন,জুনুদ উদ্দীন মাকতুব,যার‌ওয়াত উদ্দিন সামনুন,।[]

শিক্ষাজীবন

পিতার নিকট তার শিক্ষার হাতেখড়ি। তারপর ভর্তি হন কিশোরগঞ্জ জেলার জামিয়া ইমদাদিয়ায়।[] পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে তিনি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ গমন করেন। ১৯৭৬ সালে প্রথম স্থান অধিকার করে তিনি দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন।[] দেওবন্দে তার শিক্ষকদের মধ্যে শরিফ হাসান দেওবন্দি, মুহাম্মদ আলী, মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

কর্মজীবন

কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়া থেকে তাকমিল ফিল হাদিস সমাপ্তির পর ১৯৬৯ সালে তিনি সেখানেই শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে শিক্ষকতা ছেড়ে যুদ্ধে মনযোগী হন। স্বাধীনতার পর তিনি ঢাকার জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ায় শিক্ষকতা শুরু করেন। অতঃপর দারুল উলুম দেওবন্দ চলে যান এবং দেওবন্দ থেকে ফিরে তৎকালীন জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে যোগদান করেন। জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করে বর্তমানে জামিয়া ইকরা বাংলাদেশের শায়খুল হাদিস হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।[]

১৯৭৭ সালে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে যোগদান করে পরিচালক সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।[][] এরপর তিনি সেবামূলক বেসরকারি সংস্থা ইসলাহুল মুসলিমীনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে নিযুক্ত হন এবং ইসলামি গবেষণা পরিষদের বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হিসেবে গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।[]

বর্তমানে তিনি শোলাকিয়া জাতীয় ঈদগাহের ইমাম, জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার সভাপতি, ইকরা বাংলাদেশের পরিচালক, এশিয়া ফাউন্ডেশনের বিশেষ পরামর্শক, ফাউন্ডেশন ফর গ্লোবাল পলিসি স্টাডিজ, ইসলামিক রিসার্চ কাউন্সিল অব বাংলাদেশ, ইকরা মাল্টিমিডিয়া ওয়ার্ল্ডওয়াইড লিমিটেডের সভাপতি এবং মাসিক পাথেয় পত্রিকার সম্পাদক।[]

তাসাউফ

তিনি আসআদ মাদানি থেকে তিনি ইজাজতে বায়আত লাভ করেছেন।[]

অবদান

বাংলা ভাষাকেন্দ্রিক অবদান

ছাত্রজীবন থেকেই তিনি লেখালেখি শুরু করেন। ‘ইসলামে শ্রমিকের অধিকার’ তার উল্লেখযোগ্য মৌলিক গ্রন্থের একটি। তাছাড়া দৈনিক আজাদ, দৈনিক ইত্তেফাক সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে লেখালেখি করেছেন। দৈনিক ইত্তেফাকে কিছুদিন ‘ফারান রাশেদী’ ছদ্মনামে উপসম্পাদকীয়ও লিখেছেন। বাংলাদেশের আলেমসমাজে বাংলা ভাষার বিস্তারে লাজনাতুত তলাবা নামক একটি সংগঠনের কর্ণধার হিসেবে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।[] লাজনাতুত তলাবা থেকে অনেক আলেম লেখকের সৃষ্টি হয়েছে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ইসহাক ফরীদী, ড. মুশতাক আহমদ, যাইনুল আবেদীন, আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া প্রমুখ। বাংলা ভাষাকেন্দ্রিক সংগ্রামে তার প্রধান অনুপ্রেরণা ছিলেন কাজী মুতাসিম বিল্লাহ। লেখালেখির জগতে ১২টি অনুবাদকৃত সহ তার স্বরচিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩১টি।[][] তাছাড়া তিনি মাসিক পাথেয়’ নামে একটি বাংলা ইসলামি পত্রিকাও চালু করেছেন।

হাদিস কেন্দ্রিক অবদান

বাংলাদেশে হাদিসে মুসালসালাতের[] পাঠদান করে আসছেন তিনি। মসজিদে নববীতেও তিনি হাদিসে মুসালসালাতের শিক্ষা প্রদান করেছেন। এতে মাগওয়ুর বানুন, আবু উবাইদা আব্দুল্লাহ বিন হোসাইন, আহমদ বিন আব্দুর, মুহাম্মদ আল আমিন বিন ইলিয়াস সহ প্রমুখ আরব আলেম ও ছাত্র অংশ নেন।[] এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক হাদিস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয় তার প্রতিষ্ঠিত ইকরা বাংলাদেশ মাদ্রাসার মিলনায়তনে। এতে মক্কা, সিরিয়া ও ইরাক থেকে কয়েকজন মুহাদ্দিস অংশ নেন।[] সর্বশেষ তিনি দুই হাজার পৃষ্ঠার পাণ্ডুলিপিতে সীরাত রচনা সমাপ্ত করেছেন।[১০]

দেওবন্দি ধারার আন্দোলন

জামিয়াতুল ইসলাহ আল মাদানিয়া ও বেলংকার ইসলাহি ইজতেমা

দেওবন্দি চিন্তাধারার সমর্থক হিসেবে তিনি বাংলাদেশে দেওবন্দি চিন্তাধারার প্রচার ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন। যেজন্য তিনি তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের (বেলংকা) ইছাপশর গ্রামে জামিয়াতুল ইসলাহ আল মাদানিয়া নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত মাদ্রাসার মাঠে প্রতি বছর চার দিনব্যাপী ইসলাহি ইজতেমার আয়োজন করে থাকেন। দূরদূরান্তের আলেম ওলামা ও জনসাধারণ এতে অংশগ্রহণ করেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণকে তিনি আত্মশুদ্ধির প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন।[][১১][১২]

জামিয়া ইকরা বাংলাদেশ মাদ্রাসা ও স্কুল

উক্ত মাদ্রাসা ছাড়াও তিনি ঢাকার রামপুরায় জামিয়া ইকরা বাংলাদেশ নামক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন; বর্তমানে যার অধ্যক্ষ তার কনিষ্ঠভ্রাতা আরীফ উদ্দীন মারুফ। তিনি ইকরা বাংলাদেশ নামে আরো কয়েকটি ব্যতিক্রমী ধর্মীয় স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন যা তার জ্যেষ্ঠপুত্র সদরুদ্দীন মাকনূন পরিচালনা করেন। 'আলেম মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম ফোরাম' নামক সংগঠনটিও তার পুত্র সদরুদ্দীন মাকনূন পরিচালনা করেন।[১৩]

লাজনাতুত তলাবা

লাজনাতুত তলাবা নামক সংগঠনটিকেও তিনি দেওবন্দি আন্দোলনের অঙ্গ-সংগঠনরূপে গড়ে তুলেছিলেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “লাজনাতুত তালাবা শুধু বাংলাচর্চার কেন্দ্র ছিল না, এটি দারুল উলুম দেওবন্দের চেতনা প্রসারের সংগঠনও ছিল।”

বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা

জমিয়তুল উলামার বাংলাদেশ শাখার চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।[১৪] এ সংগঠনটির মাধ্যমে বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১৫][১৬][১৭] উপরন্তু বাংলাদেশের ইমামদের সরকারি ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে আবেদনও করেন স্বীকৃতি প্রদানের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আয়োজিত শুকরানা মাহফিলে। তিনি বলেন, “দেশের গ্রামে গঞ্জে প্রচুর মসজিদ আছে। সেখানে ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা কাজ করেন। তারা ৫০০-৭০০ টাকা ভাতা পান। কিন্তু অনেক দেশে ইমাম, মুয়াজ্জিনদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ভাতার ব্যবস্থা করা হয়। আমাদের পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও সেই ব্যবস্থা আছে। আমি মসজিদ ইমামদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা আর মুয়াজ্জিনদের জন্য তিন হাজার টাকা ভাতার ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি। এতে ৫০০-৭০০ কোটি টাকার মতো লাগবে।"[১৮]

উক্ত শুকরানা মাহফিলে তৎকালীন বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ও আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাহ আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদক প্রদানের জোর আহ্বানও জানান তিনি।[১৯][২০]

কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি

কওমি মাদ্রাসার সরকারি স্বীকৃতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। কওমি শিক্ষার স্বীকৃতি নিয়ে ২০০৬ সালেও আলেমরা দাবি জানিয়েছিল। ২০০৬ সালে ওলামা-মাশায়েখদের এক সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কওমি শিক্ষাসনদের স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। কিন্তু তা আর কার্যকর হয়নি।[২১] পরবর্তীকালে শেখ হাসিনা সরকারের কাছে আহ্বান জানানো হয় এবং আলেমগণকে একজোট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শাহ আহমদ শফীকে কেন্দ্র করে একটি কমিটি গঠন করে উক্ত স্বীকৃতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম চালানো হয়। উক্ত কমিটিতে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে কো-চেয়ারম্যান করা হয়।[১৫][১৭][২২]

২০১৬ সালে গণভবনে কওমি মাদ্রাসার আলেমদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কয়েকদিনের মধ্যে স্বীকৃতির প্রজ্ঞাপনও জারি করে সরকার।

মাদ্রাসা ও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে দূরত্ব ঘোঁচানো নিয়েও কাজ করেছেন ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। এ উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ে, তারা জানে না মাদ্রাসা শিক্ষা কী? আবার যারা মাদ্রাসায় পড়ে, তারাও আধুনিক শিক্ষা সম্পর্কে জানে না। দুই শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে হবে। মাদ্রাসা ও জেনারেল শিক্ষার একজন আরেকজনকে জানার সুযোগ তৈরি করতে হবে।”[২৩]

জামায়াতে ইসলামী, কাদিয়ানী (আহমদিয়া) মতবাদ ও জঙ্গিবাদ-বিরোধী কর্মকাণ্ড

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে তিনি আজীবন আন্দোলন ও প্রতিবাদসভা পরিচালনা করেছেন।[২৪][২৫] জামায়াতের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় চার দলীয় জোট সরকারের আমলে জেএমবির মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলে থাকাকালীন তিনি তার বিখ্যাত বই মাওলানা ফরিদ এখন কারাগারে লেখেন এবং পরে সেটি পাথেয় প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পায়।

কাদিয়ানী মতবাদের বিরুদ্ধেও তিনি আলোচনায় সরব আছেন। যদিও সংখ্যালঘু কাদিয়ানীদের ওপর হামলার সরাসরি সমালোচনা তিনি করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘আহমদিয়াদের সাথে আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের পার্থক্য আছে৷ সেটা নিয়ে আমরা কথা বলছি৷ আমরা যৌক্তিকভাবে আমাদের কথা তুলে ধরব৷ কিন্তু হামলা চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ এটা কোনো প্রকৃত মুসলমান করতে পারে না৷'' [২৬]

তাছাড়া আইএস, আল-কায়দা প্রভৃতি সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বক্তৃতা ও ফতোয়া প্রদান করে তিনি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচিতও হয়েছেন। তার উক্ত ফতোয়ায় ধর্মের নামে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা, ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলাসহ সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে নিষিদ্ধ বলা হয় এবং এ ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।[২৭]

জনসেবা

ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ বাংলাদেশ নামে একটি সেবাসংস্থা প্রতিষ্ঠা করে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সহায়তা প্রদান করছেন। বিভিন্ন স্থানে বন্যাদুর্গতদের খাদ্যসহায়তা, দুস্থ মানুষদের চিকিৎসা ও চিকিৎসাসামগ্রী প্রদান, দরিদ্রদের কর্মসংস্থান সহ বিভিন্ন জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।[২৮][২৯][৩০]

এছাড়াও 'যৌতুক দেব না, যৌতুক নেব না' স্লোগানকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের ইটনা, তাড়াইল, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, টাঙ্গাইলের মধুপুর, সিলেটের কানাইঘাটে যৌতুকবিহীন গণবিবাহের আয়োজনও করেন। এসব আয়োজনে এতিম ও অসহায় বর-কনেদের বিবাহপরবর্তী প্রয়োজনীয় সামগ্রী সহ যেমন: বর ও কনের বিয়ের কাপড়-চোপড়; কর্মসংস্থানের জন্য ভ্যান, সেলাই মেশিন, ছাগল প্রভৃতি দিয়ে যৌতুকবিহীন বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।[৩১][৩২][৩৩][৩৪] এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও নারী অধিকার উন্নয়নেও এশিয়া ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।[৩৫]

তাছাড়া রোহিঙ্গাক্যাম্পে ত্রাণ সরবরাহ, দেশব্যাপী করোনা দুর্গত পরিবারকে সহায়তা সহ বিবিধ কর্মকাণ্ড ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ বাংলাদেশের মাধ্যমেই পরিচালনা করেছেন।[৩৬]

দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান

ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে বাংলাদেশের আলেম মুক্তিযোদ্ধার মাঝে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সাংগঠনিক কাজকর্মে জড়িত ছিলেন এবং সর্বদাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে আন্দোলন করেছেন।[][] তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যুদ্ধের সময় আমি কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম। কোনো সশস্ত্রযুদ্ধে অংশ নিইনি। তবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করেছি। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছি। সাংগঠনিক কিছু কাজও করেছি। যুদ্ধের সময় আমি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ছিলাম।’[৩৭] মূলত তিনি তার শিক্ষকবৃন্দের কাছ থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন। তার শিক্ষক কাজী মুতাসিম বিল্লাহ ছিলেন একজন আলেম মুক্তিযোদ্ধা।[৩৮]

শাহবাগ আন্দোলন

২০০১ সালে চার দলীয় জোট সরকার গঠন করলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মতিউর রহমান নিজামীআলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে মন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ পত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান উল্লেখ করত স্বেচ্ছা-অবসর গ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যে এক আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে যাত্রাকালে মাসঊদকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৭ আগস্ট ২০০৫ সালের দেশব্যাপী চালানো বোমা হামলার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আদালতকে তিনি বলেন, “জামায়াতের মতিউর রহমান নিজামী বোমা হামলার সাথে জড়িত। তাকে বন্দি করুন তাহলে সব তথ্য পাওয়া যাবে”। অতঃপর দুইদিনের রিমান্ডের পর তার বিরুদ্ধে বোমা হামলার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে তাকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে “মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো” বলে উল্লেখ করেন। পরে উক্ত জেএমবি মামলা প্রত্যাহার করা হলেও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে তাকে ছয়মাস কারাবন্দী থাকতে হয়।[৩৯][৪০]

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণে যুদ্ধাপরাধে জড়িত বলে উল্লিখিত দল জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিহত করতে তিনি ২০০৬ সাল থেকে আন্দোলন শুরু করেন। পরবর্তীতে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাথে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেন। তিনি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের এক মতবিনিময় সভায় নিজামী সহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি জানান।[৪১][৪২] সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে তিনি সভাসমাবেশ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জনমত তৈরী করেন।[৪৩]

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান

আন্তঃধর্মীয় শান্তি

বাংলাদেশ ইন্টার-রিলিজিয়াস ফোরাম ফর পিস অ্যান্ড হারমনি বিষয়ক বিভিন্ন সেমিনারে ভিন্ন মতের প্রতি সহমর্মিতা ও বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার জন্য তিনি আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।[৪৪] তাছাড়া দেশব্যাপী গীর্জা, প্যাগোডা, মন্দির প্রভৃতি ধর্মীয় উপাসনালয় সমূহে হামলাকে তিনি ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম বলে ঘোষণাও দিয়েছেন।[২৭]

জঙ্গীবাদ বিরোধী ফতোয়া

ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বর্তমান বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ফতোয়া প্রদানের মধ্য দিয়ে বাঙালি উলামাসমাজে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করছেন। বিভিন্ন সভা সেমিনারে আগ থেকে জঙ্গিবাদের তীব্র বিরোধিতা করে এসেছেন। তৎকালীন স্পিকার আবদুল হামিদ, সৌদি আরবের মক্কার মাদ্রাসায়ে সাওলাতিয়ার অধ্যক্ষ মালিক আবদুল হাফিজ মাক্কীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক সভায় তিনি বলেছিলেন, "ইসলাম সন্ত্রাসবাদকে কখনোই প্রশ্রয় দেয় না। এর পরও সারা বিশ্বে ইসলামের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলেম সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে।"[৪৫] সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বৈশ্বিক উত্থান ও বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলোর পুনরুত্থানল জনমনে অশান্তি ও আতঙ্ক তৈরি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশের এক সভায় তিনি জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে এক লাখ আলেম-উলামা ও ইমামদের স্বাক্ষর সংবলিত ফতোয়া প্রকাশের প্রস্তাব রাখেন।[৪৬][৪৭] ২০১৬ সালের জুনে তিনি এই ফতোয়া প্রকাশ করেন। এই ফতোয়ায় ইসলামের নামে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে ‘হারাম’, "জঙ্গিদের জানাজা পড়াও হারাম" এবং যারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মারা যাবেন তারা শহীদের মর্যাদা পাবেন মর্মে ঘোষণা ছিল; সন্ত্রাসবাদবিরোধী ফতোয়াটিতে লক্ষ্যাধিক আলেমের সম্মতি ছিল।[৪৮][৪৯]

এই ফতোয়া প্রকাশের পর তা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে।[৫০][৫১][৫২] ‘মানব কল্যাণে শান্তির ফতোয়া’ শীর্ষক ফতোয়ায় প্রায় ১লাখ ১ হাজার ৫২৪ জন আলেম, মুফতি, ইমাম স্বাক্ষর করেন। জমিয়তুল উলামার উদ্যোগে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। দেশের ৯ হাজার ৩২০ জন নারী আলেমা স্বাক্ষর করেছেন জঙ্গিবাদবিরোধী এই ফতোয়ায়। ফতোয়া সংগ্রহ কমিটি এই বিষয়ে প্রদত্ত দারুল উলুম দেওবন্দ, আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার সহ কতিপয় ইসলামি প্রতিষ্ঠানের ফতোয়াও সংগ্রহ করে সেগুলো পত্রস্থ করেছে। ৩০ খণ্ডে ফতোয়া ও দস্তখতসমূহ গ্রন্থবদ্ধ করা হয়েছে। যার চার খণ্ড নারী আলেমাদের ফতোয়া। এ ফতোয়ার কপি জাতিসংঘ, ওআইসির মহাসচিব, সিঙ্গাপুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। তাছাড়া সর্বসাধারণের কাছে সহজলভ্য করার জন্য সরকারি উদ্যোগে এটুআইয়ের পরিচালনায় বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ফতোয়ার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপও নির্মাণ করা হয়।[৫৩][৫৪][৫৫]

এই কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তুতেও পরিণত হন। ফতওয়া প্রকাশের এক মাসের মাথায় শোলাকিয়ায় ঈদের নামাযে জঙ্গি হামলা হয়। তদন্তসূত্রে জানা যায়, নব্য জেএমবির সংগঠক হামলার মূল হোতা রাজীব গান্ধী স্বীকার করেন যে, উক্ত হামলা মূলত শোলাকিয়ার ইমামকে টার্গেট করেই পরিচালনা করা হয়। হলি আর্টিজান হামলার পরিকল্পনার সময়ই শোলাকিয়ায় হামলার পরিকল্পনা করা হয় বলেও তদন্তে জানা যায়। যদিও দেরিতে যাত্রা করায় অল্পের জন্য হামলা থেকে বেঁচে যান।[৫৬][৫৭] তাছাড়া পরবর্তী বছর কিশোরগঞ্জের আদালত ও কারাগারে বোমা হামলার এক হুমকিতে তাকেও টার্গেট বলে উল্লেখ করা হয়।

বিশ্বশান্তির আহবানে তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তর, রাশিয়ান ফেডারেশনের কাজাকিস্তান, জাপানের রাজধানী টোকিও, ভারত, সৌদি আরবের জেদ্দাসহ প্রভৃতি অঞ্চল সফর করেন।[৫০][৫৮]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

পাদটীকা

  1. যে হাদিসের সনদ বা মতন এক স্তরের সকল রাবি অভিন্ন শব্দ বা অভিন্ন অবস্থায় বর্ণনা করে তাই মুসালসাল।

উদ্ধৃতি

  1. "শায়েখ ইন্দেশ্বরী (রহ.)-এর কন্যার ইন্তেকাল"। পাথেয়। ২৬ মার্চ ২০২০। 
  2. Patheo24 (২০১৭-১২-২৫)। "শিক্ষাসনদ আন্দোলনের অগ্রদূত আল্লামা মাসঊদ"Patheo24 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-০৫ 
  3. শিবলি, শাকের হোসাইন (জুন ২০০৮)। আলেম মুক্তিযোদ্ধার খুঁজে। বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০: আল এছহাক প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৫০৮। আইএসবিএন 984-70094-005-6 
  4. "আল্লামা শফীর ১৩ দফায় আরও ১ দফা যোগ করতে চেয়েছিলাম"যুগান্তর। ১৪ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২০ 
  5. "বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত"কালের কণ্ঠ 
  6. "প্রতিটা নেক কাজের সুগন্ধি আছে : ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ"যুগান্তর। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২০ 
  7. "বাংলাভাষা ও আলেম সমাজ"যুগান্তর। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  8. "রওযায়েপাকের সামনে আল্লামা মাসঊদের হাদীসে মুসালসালাতের দরস"পাথেয়২৪ 
  9. "বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক হাদিস কনফারেন্স"যুগান্তর। ১২ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২০ 
  10. "অখণ্ড অবসর পেয়ে মহানবীর জীবনী লেখা শেষ করেছি"কালেরকণ্ঠ। জুলাই ২৫, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৫, ২০২০ 
  11. "ইজতেমা সম্পন্ন"প্রথম আলো 
  12. "বিশ্বশান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো তাড়াইল ইসলাহী ইজতেমা"আওয়ারইসলাম২৪। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২০ 
  13. "আলেম মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ফোরামের প্রেসিডেন্ট মাকনুন, সেক্রেটারি আনোয়ার"যুগান্তর 
  14. "জমিয়তুল উলামার নতুন কমিটির চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন মাসউদ"কালের কণ্ঠ 
  15. "হেফাজতপন্থীদের প্রাধান্য দিয়েই কওমির স্বীকৃতি দিচ্ছে সরকার!"কালেরকণ্ঠ 
  16. "কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তরকে মাস্টার্সের স্বীকৃতি"কালেরকণ্ঠ 
  17. "কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সুপারিশ প্রণয়নে কমিশন গঠন"প্রথম আলো। ২০২০-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  18. "শোকরানা মাহফিলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতার দাবি"যুগান্তর 
  19. "শোকরানা মাহফিলে নির্বাচনের জন্য কওমিদের দোয়া চাইলেন প্রধানমন্ত্রী"নয়াদিগন্ত 
  20. "আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি"সময় সংবাদ 
  21. "কওমির সনদের স্বীকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে"প্রথম আলো 
  22. "কওমির ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর স্বার্থেই সনদের স্বীকৃতি: প্রধানমন্ত্রী"বিডি নিউজ ২৪। ৩০ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  23. "শিক্ষা ব্যবস্থায় দূরত্ব ঘোচাতে হবে"বিডি নিউজ ২৪। ৩০ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  24. "জামায়াত-শিবিরকে প্রতিরোধের এখনই সময়"প্রথম আলো। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  25. "জামায়াতের বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলার দাবি শোলাকিয়ার ইমামের"প্রথম আলো 
  26. "আহমদিয়াদের ওপর হামলার উদ্দেশ্য কী?"ডয়চে ভেলে 
  27. "'ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা চালানো হারাম'"ডয়চে ভেলে 
  28. "সংবাদ সংক্ষেপ"সমকাল। ২৯ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  29. "নাটোর ও তাড়াইলে খাদ্য সহায়তা"সমকাল। ১৭ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  30. "সংবাদ সংক্ষেপ"সমকাল [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  31. "সিলেটে ২০ দম্পতির যৌতুকবিহীন গণবিয়ে"বাংলা ট্রিবিউন। ৩০ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  32. "ইটনায় ২০টি যৌতুকবিহীন বিয়ে"প্রথম আলো 
  33. "দিনাজপুরে ৪০ দরিদ্র তরুণ-তরুণীর যৌতুকবিহীন বিয়ে"কালেরকণ্ঠ 
  34. "মধুপুরে যৌতুকবিহীন গণবিয়ে"বাংলা নিউজ ২৪ 
  35. "এশিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নারী অধিকার উন্নয়ন কর্মশালা"বাংলা নিউজ ২৪ 
  36. "করোনা দুর্যোগে ৫ হাজার পরিবারের পাশে ইসলাহুল মুসলিমীন"যুগান্তর 
  37. "যেমন আছেন আলেম মুক্তিযোদ্ধারা"বাংলা ট্রিবিউন। ২৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  38. "বেশিরভাগ আলেম মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ছিলেন"যুগান্তর 
  39. "৫ জেএমবি সদস্যের ৭৮ বছরের জেল হয়েছে"দ্য ডেইলি স্টার। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  40. "সিরিয়াল বোমা হামলা: গ্রেপ্তার মাওলানা নিজামির দিকে আঙুল তুলেছিলেন"দ্য ডেইলি স্টার। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  41. "ইসলামি নেতারা যুদ্ধাপরাধের জন্য নিজামীর সাজা চেয়েছেন"দ্য ডেইলি স্টার 
  42. "সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভায় জঙ্গিদের অর্থের উৎস বন্ধেরদাবি"প্রথম আলো 
  43. "বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ একজন আলেম মুক্তিযোদ্ধা"যুগান্তর 
  44. "'বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার বিকল্প নেই'"ইত্তেফাক। অক্টোবর ২৭, ২০১৯। ১৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  45. "বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত"কালের কণ্ঠ। সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১১। 
  46. "জঙ্গিবাদ ঠেকাতে আলেমদের সাহায্য নেবে পুলিশ"প্রথম আলো। ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫। 
  47. "হলি আর্টিজান মামলার রায় ও জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের অঙ্গীকার"ইত্তেফাক। ডিসেম্বর ৩, ২০১৯। ১৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  48. "লাখো আলেমের ফতোয়া : জঙ্গিবাদ ও আত্মঘাতী হামলা হারাম"বাংলা ট্রিবিউন। ২০২১-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭ 
  49. "'জঙ্গিবাদ হারাম'- লাখো আলেমের 'ফতোয়া'"বিডিনিউজ২৪.কম। ২০২১-০৮-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭ 
  50. "ফতোয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন মাসঊদ"প্রথম আলো 
  51. "টোকিওতে জঙ্গিবাদ দমন বিষয়ক কর্মশালায় যাচ্ছেন মাওলানা ফরিদ"বিডিনিউজ২৪। ১৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  52. "ওলামাদের জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের প্রশংসা ওআইসি মহাসচিবের"বিডিনিউজ২৪। ১৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  53. "জঙ্গিবাদ হারাম, লক্ষ আলেম-ওলামার ফতোয়া"বিডিনিউজ২৪। ১৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  54. "আসুন শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশুদের জন্য সুন্দর পৃথিবী গড়ি : সিঙ্গাপুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী"কালের কণ্ঠ। অক্টোবর ২৬, ২০১৬। 
  55. "জেদ্দায় ওআইসি মহাসচিবকে জঙ্গিবাদবিরোধী ফাতোয়া হস্তান্তর"বিডিনিউজ২৪। ১৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  56. "জঙ্গিবাদবিরোধী ইসলামী নেতা বলেছেন যে তিনি হামলাকারীদের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন"দ্য ডেইলি স্টার 
  57. "নামাজের মিনিট ১৫ আগে আঁচ পান ইমাম"প্রথম আলো। জুলাই ৯, ২০১৬। 
  58. "উগ্রবাদীদের কোনো ধর্ম নেই: জাপানে মাওলানা মাসঊদ"বিডিনিউজ২৪। ১৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 

গ্রন্থপঞ্জি

বহিঃসংযোগ