আজারবাইজান-রোমানিয়া সম্পর্ক
আজারবাইজান |
রোমানিয়া |
---|
আজারবাইজান-রোমানিয়া সম্পর্ক, আজারবাইজান এবং রোমানিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে রোমানিয়ার এবং রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট-এ আজারবাইজানের দূতাবাস রয়েছে। ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি রোমানিয়া সফরে যান এবং সে সময় দুই দেশের মধ্যে ৫০টির অধিক পৃথক চুক্তি সাক্ষরিত হয়।[১]
ইতিহাস
সোভিয়েত ইউনিয়ন হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন আজারবাইজান রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার পর, ১৯৯১ সালের ১১ ডিসেম্বর রোমানিয়া আজারবাইজানের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়। এর পর ১৯৯২ সালের ১৯ জুন দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সম্পর্ক থাকলেও, তাদের মূল লক্ষ্য হল বাণিজ্য এবং শক্তি উৎপাদন খাত।[২] এছাড়াও উভয় দেশের বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে (যেমনঃ নিয়মিত আলোচনা, বাণিজ্য প্রতিনিধি নির্বাচন ইত্যাদি) দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এবং রোমানিয়ার ক্ষেত্রে তা প্রায় ৫ গুন বেশি। আজারবাইজান থেকে প্রায় ১৬১ মিলিয়ন (১৬.১ কোটি) মার্কিন ডলার-এর বাণিজ্য পণ্য রপ্তানি হলেও, রোমানিয়া এর ক্ষেত্রে তা মাত্র ৩১.৮৩ মিলিয়ন (৩.১৮ কোটি) মার্কিন ডলার। [৩][৪]
ন্যাটো তে, আজারবাইজানের সদস্যপদ প্রদানের লক্ষ্যে, একই সংস্থার সদস্য রোমানিয়া শক্ত অবস্থান নেয়। দেশটি বাণিজ্য এবং নৌপথ এর ক্ষেত্রে আজারবাইজানের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরে।[৫]
চুক্তি
২০০০ সালে, প্রতিরক্ষা সমন্বয়ের বিষয়ে আজারবাইজান ও রোমানিয়া চুক্তি সাক্ষর করে।[৬] ২০০৪ সালে এই দুই দেশ, একইরকমভাবে তথ্য আদান প্রদানের উপর আরেকটি চুক্তি সাক্ষর করে।[৭] ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে, রোমানিয়ার শক্তি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল আজারবাইজান সফর করে। সফরে আজারবাইজানের প্রতিনিধি দল এবং রোমানীয় প্রতিনিধি দল, গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করে এবং পাশাপাশি, ইউরোপে শক্তি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় বৃদ্ধির উপর জোর দেন।[৮][৯]
রাষ্ট্রীয় সফর
২০০৪ সালে আজারবাইজানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভ রোমানিয়ায় ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যান। এই সফরে আজারবাইজান এর রাষ্ট্রপতি ও রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল জঙ্গিবাদ দমন-এর বিষয়ে দুই দেশের সমন্বয় করা। এছাড়াও আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতির এ সফরে ১১ টি পৃথক চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এই সফরেই আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি, আজারবাইজানের নবগঠিত দূতাবাস ভবনের উদ্ভোদন করেন।[১০][১১]
তথ্যসূত্র
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৫ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Archived copy" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৪।
- ↑ "Archived copy" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-০৫-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৪।
- ↑ http://nl.newsbank.com/nl-search/we/Archives?p_product=NewsLibrary&p_multi=BBAB&d_place=BBAB&p_theme=newslibrary2&p_action=search&p_maxdocs=200&p_topdoc=1&p_text_direct-0=0F97D8752D7D7733&p_field_direct-0=document_id&p_perpage=10&p_sort=YMD_date:D&s_trackval=GooglePM%7C
- ↑ http://www.accessmylibrary.com/coms2/summary_0286-19820215_ITM%7C
- ↑ "Archived copy" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-১০-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৪।
- ↑ http://www.hurriyet.com.tr/english/domestic/11628479.asp?gid=244
- ↑ http://www.accessmylibrary.com/coms2/summary_0286-14074455_ITM%7C
- ↑ http://www.accessmylibrary.com/coms2/summary_0286-13656609_ITM