বিষয়বস্তুতে চলুন

পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কা)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কিউ) থেকে পুনর্নির্দেশিত)
পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কিউ)
پاکستان مسلم لیگ(ق)
সংক্ষেপেপিএমএল (কিউ)
সভাপতিসুজাত হুসাইন
মহাসচিবতারিক বশির চিমা
মুখপাত্রকামিল আলী আঘা
প্রতিষ্ঠাতামিয়া মুহাম্মাদ আজহার
সুজাত হুসাইন
প্রতিষ্ঠা২০ জুলাই ২০০২ (২২ বছর আগে) (2002-07-20)
বিভক্তিপাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) (পিএমএল-এন)
সদর দপ্তরসংসদ লজ, সংসদ ভবন, ইসলামাবাদ
যুব শাখাপিএমএল যুব শাখা
পিএমএল সংখ্যালঘু শাখাকল্পনা দেবী
ভাবাদর্শপাকিস্তানি জাতীয়তাবাদ
রক্ষণশীল[]
রাজনৈতিক অবস্থানকেন্দ্রপন্থী to কেন্দ্র-ডানপন্থী[]
স্লোগানবেঁচে থাকুক, বাঁচুক ... আশাহীন আশা দিচ্ছি
সেনেট
০ / ১০৪
জাতীয় পরিষদ
৫ / ৩৪২
পাঞ্জাব পরিষদ
১০ / ৩৭১
সিন্ধু পরিষদ
০ / ১৬৮
কেপিকে পরিষদ
১ / ১৪৫
বেলুচিস্তান পরিষদ
০ / ৬৫
আজাদ কাশ্মীর পরিষদ
০ / ৪৯
গিলগিত-বালতিস্তান পরিষদ
০ / ৩৩
নির্বাচনী প্রতীক
ট্র্যাক্টর (সাধারণ নির্বাচন ২০১৮)
ওয়েবসাইট
www.pmlq.com.pk
পাকিস্তানের রাজনীতি

পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কায়েদ ই আজম গ্রুপ) উর্দু: پاکستان مسلم لیگ (ق); সংক্ষিপ্ত বিবরণ: পিএমএল (কিউ), পিএমএল-কিউ, পিএমএলকিউ) পাকিস্তানের কেন্দ্রীয়-ডানপন্থী-জাতীয়তাবাদী একটি রাজনৈতিক দল। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে দলটি ৫টি আসন লাভ করে। এটি পূর্বে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফের তৎকালীন সরকারের মিত্র হিসাবে কাজ করেছে এবং ২০১৩ সালে পাঞ্জাববেলুচিস্তান প্রদেশে তার প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) এর বিরুদ্ধে  পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সাথে একটি রাজস্ব রক্ষণশীল এবং কেন্দ্রীয়-ডানপন্থী গ্রুপ হিসেবে যৌথ নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়।

এর নেতৃত্ব ও সদস্যরা একসময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সভাপতিত্বে পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) অংশ ছিল। ১৯৯৭ সালের সাধারণ নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক মতপার্থক্য দেখা দেয় যা শেষ পর্যন্ত দলের অভ্যন্তরে আরেকটি দল গঠনের দিকে পরিচালিত করে। সুজাত হুসাইনের নেতৃত্বে ভিন্নমতাবলম্বীরা ১৯৯৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পক্ষে এবং তৎকালীন সেনাপ্রধান ও জয়েন্ট-চিফ অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল পারভেজ মুশারফের নেতৃত্বের পক্ষে দৃঢ় ও সোচ্চার সমর্থনের আহ্বান জানান। ২০০২ সালে ভিন্নমতাবলম্বী নেতারা রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফের সরকারকে কেন্দ্র করে দলটি চালু করে। পরে এটি মোশাররফ সরকারের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয় এবং তাদের নিজস্ব প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শওকত আজিজকে নিয়োগ করে।

বিসংবাদী নেতা সুজাত হুসাইনকে দলীয় সভাপতি মনোনীত করা হয়, দলটি পিএমএল (এন) এর কাঠামো ধ্বংস করার কাজ শুরু করে। মোশাররফ পুরোপুরি সুযোগ গ্রহণ করেন, তিনি সরকারের একচেটিয়া সমর্থন ও শরীফের জনসমর্থন হ্রাস করার লক্ষ্যে দলটিকে সুযোগ করে দেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আজিজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তিনি ২০০২ সালের নির্বাচনের আগে এই ধারণাটির ব্যবস্থা করেন যে পিএমএল (এন) এর কেন্দ্র-ডানপন্থী দলকে কেন্দ্রপন্থী পিএমএল (কিউ) দলে পরিণত করেন, কিউ মানে "কায়েদ-ই-আজম '।[] তবে ধারণাটি ভেঙে গেলে পিএমএল (এন) বৃহত্তম রক্ষণশীল ফ্রন্ট এবং বৃহত্তম বিরোধী দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল।[] এরপরে সম-মনা এবং আওমি লীগ ব্লক এবং দ্বিতীয়ত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ব্লক সহ পিএমএল-এন-এর সাথে ঘনিষ্ঠতর একটি পৃথক ব্লক গঠন করে তখন দলের সংসদ সদস্যের সংখ্যা কমতে শুরু করে ফলে দলটি প্রচুর বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। সিনিয়র সদস্যরা পিএমএল-এন-তে যোগ দেয়, এবং জুনিয়র নেতৃত্ব পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এ যোগদান করে।

২০১০ এর সেপ্টেম্বরে পিএমএল (কিউ) একই মতাদর্শী দল পিএমএল-এফ এর সাথে যুক্ত হয়ে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পীর পাগারা) গঠন করে, কিন্তু এটি স্বল্পস্থায়ী ছিল কারণ মে ২০১১ সালে দলটি ইউসুফ রাজা গিলানির নেতৃত্বাধীন সরকারে যোগদান করে।[][] তবে, জ্বালানি সঙ্কট সমাধানে পাকিস্তান পিপলস পার্টির ব্যর্থতার কারণ উল্লেখ করে দলটি সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়, যা ফেডারেল সরকারের উপর প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলে। ১৫ জুন ২০১২-তে জ্বালানির দামে ভর্তুকি দিলে পরিস্থিতি উন্নত হয়।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

পিএমএল (কিউ) এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন মিয়া মুহাম্মাদ আজহার। দলটি গুজরাতের চৌধারী পরিবারের চৌধুরী সুজাত হুসাইন এবং চৌধুরী পারভেজ এলাহির মতো প্রভাবশালী সদস্যদের আকর্ষণ করে। এর ৭৫% নির্বাচিত সদস্য জিয়া উল হক এবং নওয়াজ শরীফ সরকারের প্রাক্তন "বিগ ম্যান"। ২০০১ সালে পিএএমএল (কিউ) গঠনের জন্য এনএবি’র চাপে পিএমএল-এন দল ভেঙে যায়। তারা মোশাররফের কট্টর সমর্থক ছিল এবং তাকে তাদের উপদেষ্টা হিসাবে মনোনিত করে। যদিও, কখনও কখনও তাকে ভুলে সদস্য হিসাবে উদ্ধৃত করা হতো, তবে তিনি কখনই দলের অংশ ছিলেন না। [ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ]

পিএমএল-এন থেকে বিভক্তি

[সম্পাদনা]

নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বাধীন পিএমএল (এন) এ দলাদলির কারণে আজহার, খুরশিদ কাসুরি, সৈয়দা আবিদা হুসাইন এবং তার স্বামী সৈয়দ ফখর ইমামসহ অর্ধ ডজন সমমনা ব্যক্তি মিলে একটি ছোট দল হিসাবে পিএমএল (কিউ) এর যাত্রা শুরু করেন। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফে যোগদানের আগে আজহার প্রাথমিকভাবে দলের সভাপতি ছিলেন। মোশাররফ চৌধুরী সুজাত হুসাইন এবং চৌধুরী পারভেজ এলাহিকে "মুসলিম লীগকে পুনর্বহাল করতে এবং নতুনরূপে সাজাতে" বলেন।[] পরে চৌধুরী সুজাত হুসাইন যখন সভাপতি ছিলেন তখন বেশ কয়েকজন সুপরিচিত নেতা পিএমএল-এ (কিউ) যোগ দিয়েছিলেন। পিএমএল (কিউ) ২০ আগস্ট ২০০২ এ যাত্রা শুরু করে।

২০০২ সাধারণ নির্বাচন

[সম্পাদনা]

২০ শে অক্টোবর ২০০২ এর আইনসভা নির্বাচনে দলটি ২৫.৭% ভোট লাভ করে এবং ৩৪২ আসনের মধ্যে ১২৬ টি আসন লাভ করে।

পিএমএল (কিউ) সরকারের সময়ে উন্নয়ন (২০০২-২০০৭)

[সম্পাদনা]

কিছু অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন:

  • মোট দেশীয় পণ্য (জিডিপি), ১৯৯৯ সালের ৬৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৬২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়, যার গড় ৭%।
  • মাথাপিছু আয় ৪৩৫ ডলার থেকে ৯২৫ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
  • রাজস্ব সংগ্রহ ১৯৯৯ সালে ছিল ৩০০ বিলিয়ন রুপি কাছাকাছি যা বৃদ্ধি পেয়ে রেকর্ড এক ট্রিলিয়ন রুপি অতিক্রম করে ।
  • পাবলিক সেক্টর ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (পিএসডিপি) যা ১৯৮৮-৯৯ সময়কালে ৮০ বিলিয়ন ডলার ছিল তা প্রায় ৫২০ বিলিয়ন ডলারে পৌছে।
  • প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) যা ১৯৯৯ সালে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছিল তা ৬.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌছে।
  • রেমিট্যান্স দাড়ায় রেকর্ড ৫.৫ বিলিয়ন ডলার।
  • রফতানি আয় ৯ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।
  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাড়ায় ১৬ বিলিয়ন ডলার।
  • করাচি স্টক এক্সচেঞ্জের (কেএসই) সূচক ১৯৯৯ সালের ১০০০ থেকে বেড়ে ১৪,০০০ তে দাঁড়ায়।

তবে বিরোধীরা বলে যে সমস্ত অর্জন যেখানে ১০ বছর ধরে অর্জিত যখন শক্তিশালী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল, তেলের দাম কম ছিল এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় সাফল্যগুলি ছিল গড়পড়তা, বিশেষকরে ২০০৮ সালে পেমেন্ট সঙ্কটের বিশাল ভারসাম্য শুরু হওয়ার পরে।

সংযুক্ত পিএমএল

[সম্পাদনা]

২০০৪ সালের মে মাসে পিএমএল-এর বিভিন্ন দল এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল পিএমএল-কিউতে একীভূত হয়ে সংযুক্ত পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল) গঠন করে, ফলে কেবলমাত্র নওয়াজ শরফের নেতৃত্বাধীন দলটিই এর বাইরে থাকে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফারুক লেগারির মিল্লাত পার্টি, জাহান জায়েব আওয়ান, জাতীয় পিপলস পার্টি, আরবব গোলাম রহিমের সিন্ধু গণতান্ত্রিক জোট, হামিদ নাসির চাতার পিএমএল (জুনেজো), পীর পাগরার পিএমএল (এফ), মনজুর ওয়াতুর পিএমএল (জিন্নাহ), এবং ইজাজ-উল-হকের পিএমএল (জিয়া)।[] পরবর্তীতে, পীর পাগারার নেতৃত্বাধীন দল পিএমএল-ফাংশনাল নামে সংযুক্ত পিএমএল থেকে বিভক্ত হয়ে যায়, যার ফলে পাকিস্তান মুসলিম লীগ নামক দলের সংখ্যা কমে তিনটি হয়: পিএমএল-কিউ, পিএমএল-এন এবং পিএমএল-এফ।

পিএমএলকিউ এর অঙ্গসংগঠন

[সম্পাদনা]

একটি প্রধান রাজনৈতিক দল হিসাবে, পিএমএলকিউয়ের বেশ কয়েকটি সক্রিয় শাখা রয়েছে:

  • ফেডারাল ক্যাপিটাল শাখা
  • উলমা ই মাশাইখ শাখা
  • হুসাইন লাভারস শাখা
  • মহিলা শাখা
  • সংখ্যালঘু শাখা
  • মানবাধিকার শাখা
  • আইনজীবী শাখা
  • যুব শাখা
  • শ্রম শাখা
  • সংস্কৃতি শাখা
  • ক্রীড়া শাখা

২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচন

[সম্পাদনা]

পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কিউ) ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলন, পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এফ), এবং জাতীয় পিপলস পার্টিসহ অন্যান্য মিত্র দলগুলির সাথে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করে।[] মনে করা হয় যে দলটি চাইছিল পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহী প্রধানমন্ত্রী হোক। ২০০৮ সালের নির্বাচনে পিএমএল (কিউ) বেশিরভাগ সংসদ সদস্য জয়লাভ করতে পারেনি, তারা মাত্র মাত্র ৪৯ টি নির্বাচিত আসন লাভ করে, তারা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পিএমএল (এন) এর কাছে হেরে যায়।

পিএমএল (কিউ) এর সাধারণ সম্পাদক মুশাহিদ হুসাইন সৈয়দ বলেন, যদিও দলটি "প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম" জয়লাভ করেছে, তবে তারা "স্বেচ্ছায়" নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করছে এবং একটি বিরোধী দলের হয়ে উঠবে। এই নির্বাচনে পিএমএল-কিউ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট লাভ করে।

২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচন

[সম্পাদনা]

পিএমএল (কিউ) ২০১৩ সালের নির্বাচনে পিপিপির সাথে জোটবদ্ধ হয়ে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। দলটি পাঞ্জাব পরিষদের ৮ টি আসন এবং বেলুচিস্তান পরিষদের ৪ টি আসন সহ জাতীয় সংসদে মাত্র ২ টি আসনে জয় লাভ করে। সিন্ধু ও কেপিকে পরিষদে তাদের প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায় এবং জনপ্রিয় ভোটের মাত্র ৩.১১% ভোট পেয়ে তারা প্রাপ্ত ভোটের দিক দিয়ে দ্বিতীয় থেকে ছয় নম্বরে নেমে যায়।

২০১৮ সাধারণ নির্বাচন

[সম্পাদনা]

পিএমএল (কিউ) ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। দলটি পাঞ্জাব পরিষদের ১০ টি এবং কেপিকে পরিষদের ১ টি আসন সহ জাতীয় সংসদে ৩ টি আসন লাভ করে।

দলীয় নেতৃত্ব এবং দর্শন

[সম্পাদনা]

২০১৭ সাল পর্যন্ত চৌধুরী সুজাত হুসাইন পিএমএল-কিউয়ের সভাপতি ছিলেন। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। সিনেটর মুশাহিদ হুসাইন সৈয়দও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহাসচিব হন। [ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ]

'সমমনা গোষ্ঠী'তে ভাঙ্গন

[সম্পাদনা]

দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে বিভেদ দেখা দেয় এবং একটি গ্রুপ নিজেদের 'সমমনা' ব্লক বলে পরিচয় দেয়, তারা গুজরাতের চৌধুরীর বিরোধিতা করে তার বিদায়ের ডাক দেয়।

নতুন বিরোধী গ্রুপটি হামিদ নাসির চথাকে চেয়ারম্যান, সেলিম সাইফুল্লাহকে সভাপতি এবং হুমায়ুন আক্তার খানকে মহাসচিব ঘোষণা করে। এই সমান্তরাল কমিটিতে যোগ দেওয়া অন্য বিশিষ্ট নেতাদের মধ্যে রয়েছে (প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী) খুরশিদ মাহমুদ কাসুরি (স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন), পিএমএল-কিউ এর সাবেক তথ্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিম চৌধুরী, প্রাক্তন সদস্য সংসদ আসিয়া আজিম, গোহর আইয়ুব খান ও কাশমালা তারিক।[১০][১১]

২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুহাম্মদ ইজাজ-উল-হক এর পদত্যাগ এবং তার পাকিস্তান মুসলিম লীগ (জেড) দলের পুনরূজ্জীবনের ফলে মূলধারার পিএমএল-কিউ আরও প্রভাবিত হয়।

পার্টির সভাপতি চৌধুরী সুজাত হুসাইন এবং চৌধুরী পারভেজ এলাহী ধারাবাহিকভাবে মোশাররফকে সমর্থন করেন। এমনকি সবচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তারা জনারেলের প্রতি বিশ্বস্ত ছিল।[১২]

সুজাত হুসাইনের পিতা চৌধুরী জহুর এলাহী প্রথমদিকে রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের সমর্থক ছিলেন, কিন্তু আমির মোহাম্মদ খান যখন তাঁর স্থানীয় কিছু বিরোধীদের সমর্থন করেন, তখন তিনি আইয়ুবের কনভেনশন মুসলিম লীগ থেকে আলাদা হয়ে যান। তিনি জুলফিকার আলী ভুট্টোর বিরোধিতা করেন এবং পরে জিয়ার সরকারে যোগ দেন। জেনারেল জিয়ার সমর্থনের জন্য আল-জুলফিকার সংস্থা তাকে হত্যা করে বলে অভিযোগ করা হয়। জহুরের মৃত্যুর পর চৌধুরী সুজাত হুসাইন জিয়া এবং তার ইসলামীকরণ নীতিকে সমর্থন করতে থাকেন। ১৯৯৯ সালে নওয়াজ শরীফের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেলে, হুসাইন এবং জহুর স্থিতিশীলতা উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসেন এবং তাদের নতুন দল পিএমএল (কিউ) ২০০২ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে। উভয় চৌধুরীই সমবায় কেলেঙ্কারী, চিনি কেলেঙ্কারী এবং ব্যাংক ‍ঋণ খেলাপি সহ আর্থিক কেলেঙ্কারীর জন্য অভিযুক্ত ছিলেন, কিন্তু তাদের কেউই প্রমাণিত হননি বা এমনকি সরকার কর্তৃক তদন্ত করা হয়নি। বর্তমানে পাকিস্তান পিপলস পার্টি এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলদুটি তাদের ভোট ব্যাংক গ্রাস করে নেয় ফলে কিউ-লীগ একটি সংখ্যালঘু দলে পরিণত হয়েছে।[১৩]

অন্যান্য নেতা

[সম্পাদনা]

পিএমএলকিউ-র বিশিষ্ট নেতাদের নাম নীচে দেওয়া হয়েছে [ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ]

  • চৌধুরী পারভেজ এলাহী, সভাপতি পিএমএল পাঞ্জাব
  • তারিক বশির চিমা, সিনিয়র সহ-সভাপতি
  • মুহাম্মদ বাশারত রাজা, সিনিয়র সহ-সভাপতি পাঞ্জাব
  • চৌধুরী জহির উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক পিএমএল পাঞ্জাব
  • ড. খালিদ রাজা, সিনিয়র সহ-সভাপতি
  • এস এম জাফর, সিনিয়র সহ-সভাপতি
  • সিমাল কামরান, তথ্য সম্পাদক পিএমএল পাঞ্জাব
  • নাসির মেহমুদ গিল, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পিএমএল পাঞ্জাব
  • মিয়া ইমরান মুসুদ, সহ-সভাপতি পিএমএল পাঞ্জাব
  • শেখ উমর হায়াত, সভাপতি ব্যবসায়ী শাখা পিএমএল পাঞ্জাব
  • চৌধুরী জুলফিকার পাপন, যুব শাখা পিএমএল পাঞ্জাব
  • অ্যাডভোকেট আলমগীর , সভাপতি আইনজীবী শাখা পিএমএল পাঞ্জাব
  • প্রকৌশলী শাহজাদ এলাহী , সভাপতি সংখ্যালঘু শাখা পিএমএল পাঞ্জাব
  • খাদিজা উমর ফারুকী, সভাপতি মহিলা শাখা পিএমএল পাঞ্জাব
  • আজিম লক্ষী, সভাপতি চিকৎসক শাখা পিএমএল পাঞ্জাব
  • চৌধুরী ওয়াজাত হুসাইন
  • সাজিদ মেহমুদ ভাট্টি
  • ইউসুফ আহাদ, সভাপতি পিএমএল লাহোর
  • চৌধুরী মুহাম্মাদ আনোয়ার বিন্দার প্রাক্তন স্পিকার ও সিনিয়র সহ-সভাপতি
  • সৈয়দ মুমতাজ হুসাইন শাহ, সভাপতি পিএমএল নানকানা সাহিব
  • রাজা আহমেদ খান, সহ-সভাপতি পিএমএল গুজরাত
  • ফরহাদ আলী খান, সহ-সভাপতি কেপিকে
  • জুলফিকার আলী চৌধুরী, সদস্য কায়দাবাদ।
  • মুহাম্মদ সাকলাইন আনোয়ার সিপ্রা
  • লিয়াকত আব্বাস ভাট্টি
  • সৈয়দ শাহজাইব হায়দার, যুব শাখার সভাপতি (ইসলামাবাদ)
  • তানভীর আসলাম চাধার
  • কামিল আলী আঘা, সিনেটর
  • ইমরান খোকর, তথ্য সম্পাদক (রাওয়ালপিন্ডি)

নির্বাচনী ইতিহাস

[সম্পাদনা]

জাতীয় সংসদ নির্বাচন

[সম্পাদনা]
জাতীয় সমাবেশ [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] [ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ][ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ]
নির্বাচন দলীয় নেতা ভোট % আসন +/-
২০০২ জাফরুল্লাহ খান জামালি ৭,৫০০,৭৯৭ ২৫.৭%
১৪২ / ৩৪২
বৃদ্ধি ১৪২
২০০৮ সুজাত হুসাইন ৮,০০৭,২১৮ ২৩.১২%
৬০ / ৩৪১
হ্রাস ৭৮
২০১৩ সুজাত হুসাইন ১,৪০৯,৯০৫ ৩.১১%
২ / ৩৪২
হ্রাস ৫৮
২০১৮ সুজাত হুসাইন ৫১৭,৪০৮ ০.৯৭%
৫ / ৩৪২
বৃদ্ধি

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Pakistan's political parties explained"CNN। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। 
  2. "Explainer: Pakistan's main political parties"Al-Jazeera। ৬ মে ২০১৩। 
  3. "IN THE LINE OF FIRE A Memoir According to Time magazine, Pakistan's President Pervez Musharraf"scribd। ২৬ মার্চ ২০০৯। ৭ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. Bukhari, Irfan (২৫ মার্চ ২০১১)। "PML-Q: Musharraf's brainchild fractured, failing"Pakistan Today। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১২ 
  5. "PML-Q announces merger with PML-F"Dawn Newspaper। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. "Chaudhrys in new League with Pir Pagara"The Express Tribune। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০। 
  7. "New life for govt; MQM & PML-Q announce return to coalition"PakTribune। ৬ অক্টোবর ২০১১। ২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০২০ 
  8. Mumtaz, Ashraf (২০ মে ২০০৪)। "Parties to inform EC about merger with PML"Dawn Newspaper 
  9. "MQM, PML-Q, PML-F, NPP finalise 'friendly election adjustments'"The News International। ৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০২০ 
  10. "Split in PML-Q ranks over party leadership"Dawn Newspaper। ৫ জুলাই ২০০৯। ৯ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  11. "PML-Q (like-minded) chooses Salim as president"GEO.tv। ২০ আগস্ট ২০০৯। ৮ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  12. Amir, Ayaz (২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৩)। "The problem of spine in Pakistani politics"Dawn Newspaper 
  13. Adil, Adnan (জুলাই ২০০৪)। "In His Prime"Newsline। ২৬ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]