ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
ক্রীড়া | ক্রিকেট |
---|---|
কার্যক্ষেত্র | জাতীয় |
সংক্ষেপে | সিএ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯০৫ |
অধিভুক্ত | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) |
সদর দফতর | জলিমন্ট, মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া |
চেয়ারম্যান | ডেভিড পিভার |
অন্যান্য প্রধান কর্মকর্তা | জেমস সাদারল্যান্ড (সিইও) |
পরিচালনাগত আয় | $৯৯ মিলিয়ন (২০১৫ সালের আয়)[১] |
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | |
www | |
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (ইংরেজি: Cricket Australia) অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত পেশাদার ও শৌখিন - উভয় পর্যায়ের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পূর্বে এ সংস্থাটি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড নামে পরিচিত ছিল। তবে, ১৯০৫ সালে অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়।[২] ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সীমিত পর্যায়ের অংশীদারত্ব নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান পাবলিক কোম্পানী হিসেবে নিবন্ধিত।[৩]
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বকারী অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল, অস্ট্রেলিয়া মহিলা ক্রিকেট দল ও যুবদের দলসহ সর্বস্তরের ক্রিকেট দলকে পরিচালনা করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এছাড়াও স্বাগতিক দলের টেস্ট ম্যাচ ও একদিনের আন্তর্জাতিক খেলা পরিচালনা, অন্য দেশের সাথে খেলা আয়োজন এবং নিজ দেশে আন্তর্জাতিক সময়সূচী মোতাবেক আয়োজন করা এ সংস্থার কাজ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের উন্নয়ন পরিকল্পনার অধীনে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ক্রিকেটের মানোন্নয়নেও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কাজ করে যাচ্ছে।
উদ্দেশ্যাবলী
[সম্পাদনা]প্রশাসনিক সংস্থা হিসেবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেটের উত্তরণ, উন্নয়ন এবং সাংগঠনিক দায়িত্বাবলী পালন করে। অস্ট্রেলিয়ার রাজ্যগুলো প্রত্যেকটি থেকে ৬টি সদস্য সংগঠন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ায় অংশগ্রহণ করছে। সংস্থাগুলো হলো:
- ক্রিকেট নিউ সাউথ ওয়েলস
- কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেট
- সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
- তাসমানিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
- ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া
- ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
ক্রিকেট এসিটি ও নর্দার্ন টেরিটরি ক্রিকেট সদস্যবিহীন সংস্থা হিসেবে রয়েছে। কিন্তু এসিটি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পরিচালিত মহিলাদের জাতীয় ক্রিকেট লীগ এবং ফিউচার লীগে অংশগ্রহণ করছে। এরপূর্বে তারা অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া সীমিত-ওভারের ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় করেছিল।
সদস্যভূক্ত প্রতিটি সংগঠন থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ ১৪-সদস্যবিশিষ্ট ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পরিচালকমণ্ডলীর সভায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও, ৬০-সদস্যবিশিষ্ট সিনিয়র ম্যানেজম্যান্ট টিমে যোগ দেন। ঐতিহাসিকভাবেই রাজ্যগুলো থেকে সমানসংখ্যক প্রতিনিধি বোর্ডে প্রেরণ করতে পারেন না। পরিচালনা পরিষদে নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে ৩, কুইন্সল্যান্ড থেকে ২, সাউথ অস্ট্রেলিয়া থেকে ৩, তাসমানিয়া থেকে ১, ভিক্টোরিয়া থেকে ৩ এবং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া থেকে ২জনসহ মোট ১৪জন সদস্য মনোনীত হন। পরিচালনা পরিষদ থেকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত পরিকল্পনার স্থির করে। কিন্তু সিনিয়র ম্যানেজম্যান্ট টিম এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঐ পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়ন করে থাকেন।
এছাড়াও, প্রতিটি রাজ্য ক্রিকেট সংগঠনের সদস্যরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধান ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধি দল প্রেরণ করে থাকেন।
জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ঘরোয়া দল
[সম্পাদনা]নাম পরিবর্তন
[সম্পাদনা]প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত তিনবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ভিন্ন নামে পরিচিতি পেয়েছে। সেগুলো হলো:
- অস্ট্রেলিয়ান বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট (১৯০৫-১৯৭৩)
- অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড (১৯৭৩-২০০৩)
- ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (২০০৩ - বর্তমান)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Big Bash League prizemoney tripled but players miss out smh.com.au. Retrieved 15 Dec, 2015
- ↑ Pollard, p. 57.
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৯ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Wisden Cricketers Almanack
- Pollard, Jack (১৯৮৮)। Australian Cricket: The game and the players। Sydney: Angus & Robertson। আইএসবিএন 0-207-15269-1।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Cricket Australia official website
- Official CA Facebook page
- Cricket Feature – Daily Telegraph আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ৩০ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে