পারিবারিক সহিংসতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
অ (GR) Duplicate: File:Live Fear Free - Domestic Abuse - Welsh Government video.webm → File:Live Fear Free - Domestic Abuse.webm Exact or scaled-down duplicate: c::File:Live Fear Free - Domestic Abuse.webm |
||
(১৭ জন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৪৩টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{Infobox medical condition (new) |
|||
| name = পারিবারিক সহিংসতা |
|||
| synonyms = গৃহ নির্যাতন |
|||
| image = Purple ribbon.svg |
|||
| image_size = 200px |
|||
| caption = পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরীতে ব্যবহৃত বেগুনি রঙের ফিতা |
|||
| pronounce = |
|||
| specialty = |
|||
| symptoms = |
|||
| complications = |
|||
| onset = |
|||
| duration = |
|||
| types = |
|||
| causes = |
|||
| risks = |
|||
| diagnosis = |
|||
| differential = |
|||
| prevention = |
|||
| treatment = |
|||
| medication = |
|||
| prognosis = |
|||
| frequency = |
|||
| deaths = |
|||
}} |
|||
{{নারীর প্রতি সহিংসতা}} |
{{নারীর প্রতি সহিংসতা}} |
||
'''পারিবারিক সহিংসতা''' (গৃহ নির্যাতন বা পরিবারে সংঘটিত সহিংসতা নামেও পরিচিত) বলতে বিবাহ বা |
'''পারিবারিক সহিংসতা''' ( যা গৃহ নির্যাতন বা [[পরিবার|পরিবারে]] সংঘটিত সহিংসতা নামেও পরিচিত) বলতে [[বিবাহ]] বা একত্রে বসবাসের মত পারিবারিক পরিবেশে সংঘটিত সহিংসতা বা অন্যান্য [[নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩|নির্যাতন]] বোঝানো হয়। সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে সহিংসতার প্রতিশব্দ হিসাবে বর্তমান পারিবারিক সহিংসতা প্রায়শই ব্যবহৃত হয়, যা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে থাকা একজন ব্যক্তি অপর ব্যক্তির প্রতি করে থাকে এবং বিপরীত [[লিঙ্গ উত্থান ত্রুটি|লিঙ্গের]] সম্পর্কগুলোতে বা একই লিঙ্গভিত্তিক সম্পর্ক বা প্রাক্তন [[স্বামী]]-[[স্ত্রী]] বা সঙ্গীদের মধ্যে হতে পারে। বিস্তৃত অর্থে, [[শিশু]], [[কিশোর অপরাধ|কিশোর]], বাবা-মা বা বয়োজ্যোষ্ঠদর প্রতি সহিংসতাও পারিবারিক সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত। এটি শারীরিক, মৌখিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, প্রজননমূলক এবং যৌন নির্যাতনসহ একাধিক রূপ পরিগ্রহ করে, যেখানে সূক্ষ্ম, জবরদস্তিপূর্ণ রূপ থেকে শুরু করে ধর্ষণ, দমবন্ধ, মারধর, নারী জননাঙ্গের বিকৃতি ও [[অম্ল|এসিড]] নিক্ষেপের মতো সহিংস শারীরিক নির্যাতন পর্যন্ত হতে পারে, যা অবশেষে পঙ্গুত্ব বা মৃত্যু ডেকে আনে। |
||
পারিবারিক হত্যাকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে পাথর মেরে হত্যা করা, গৃহবধূকে অগ্নিদগ্ধ করা, অনার কিলিং বা সম্মান রক্ষার্থে হত্যা এবং যৌতুকের কারণে মৃত্যু (যা কখনও কখনও পরিবারের সদস্যদের যোগসাজসে হয়ে থাকে)। |
|||
বিশ্বব্যাপী |
বিশ্বব্যাপী পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা অধিকাংশই নারী এবং নারীরাই সহিংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ ধরনের মুখোমুখি হন।<ref name=":26">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9780203819289|শিরোনাম=International Human Rights Law and Domestic Violence|শেষাংশ=McQuigg|প্রথমাংশ=Ronagh J.A.|তারিখ=2011-04-06|প্রকাশক=Routledge|পাতাসমূহ=rom the original on May 15, 2016, This is an issue that affects vast numbers of women throughout all nations of the world. [...] Although there are cases in which men are the victims of domestic violence, nevertheless 'the available research suggests that domestic violence is overwhelmingly directed by men against women [...] In addition, violence used by men against female partners tends to be much more severe than that used by women against men. Mullender and Morley state that 'Domestic violence against women is the most common form of family violence worldwide.'|আইএসবিএন=978-1-136-74208-8}}</ref><ref name=":27">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/j.ijgo.2009.03.053|শিরোনাম=Protection of sexual and reproductive health rights: Addressing violence against women|শেষাংশ=García-Moreno|প্রথমাংশ=Claudia|শেষাংশ২=Stöckl|প্রথমাংশ২=Heidi|তারিখ=2009-06-27|সাময়িকী=International Journal of Gynecology & Obstetrics|খণ্ড=106|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=144–147 from the original on May 6, 2016, Intimate male partners are most often the main perpetrators of violence against women, a form of violence known as intimate partner violence, 'domestic' violence or 'spousal (or wife) abuse.' Intimate partner violence and sexual violence, whether by partners, acquaintances or strangers, are common worldwide and disproportionately affect women, although are not exclusive to them|ডিওআই=10.1016/j.ijgo.2009.03.053|issn=0020-7292}}</ref> আবার তারা পুরুষের তুলনায় ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতাকে আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবেও বেশি ব্যবহার করেন।<ref name=":21">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/0886-6708.23.3.301|শিরোনাম=A Review of Research on Women’s Use of Violence With Male Intimate Partners|শেষাংশ=Swan|প্রথমাংশ=Suzanne C.|শেষাংশ২=Gambone|প্রথমাংশ২=Laura J.|শেষাংশ৩=Caldwell|প্রথমাংশ৩=Jennifer E.|শেষাংশ৪=Sullivan|প্রথমাংশ৪=Tami P.|শেষাংশ৫=Snow|প্রথমাংশ৫=David L.|তারিখ=2008-06|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=23|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=301–314|ডিওআই=10.1891/0886-6708.23.3.301|issn=0886-6708}}</ref> কিছু কিছু দেশে পারিবারিক সহিংসতাকে ন্যায়সঙ্গত বা আইনত অনুমোদিত হিসেবেও দেখা যায়, বিশেষত যদি নারী প্রকৃতই বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করেন বা সন্দেহভাজন হন। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি দেশের লিঙ্গ সমতার স্তর এবং পারিবারিক সহিংসতার হারের মধ্যে একটি প্রত্যক্ষ এবং তাৎপর্যপূর্ণ পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে, লিঙ্গ সমতা কম থাকা দেশগুলিতে পারিবারিক সহিংসতার অনেক হার বেশি।<ref name="dx.doi.org">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/1946-6560.4.1.6|শিরোনাম=Partner Abuse Worldwide|শেষাংশ=Esquivel-Santoveña|প্রথমাংশ=Esteban Eugenio|শেষাংশ২=Lambert|প্রথমাংশ২=Teri L.|শেষাংশ৩=Hamel|প্রথমাংশ৩=John|তারিখ=2013|সাময়িকী=Partner Abuse|খণ্ড=4|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=6–75|ডিওআই=10.1891/1946-6560.4.1.6|issn=1946-6560}}</ref> নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই বিশ্বব্যাপী পারিবারিক সহিংসতা সর্বাধিক অবহেলিত অপরাধগুলির মধ্যে একটি ।<ref name=":44">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/854848032|শিরোনাম=The marriage and family experience : intimate relationships in a changing society|শেষাংশ=Strong|প্রথমাংশ=Bryan|তারিখ=2014|অবস্থান=Belmont, CA, USA|অন্যান্য=Theodore F. Cohen|আইএসবিএন=978-1-133-59746-9|oclc=854848032|সংস্করণ=Twelfth edition, Student edition}}</ref><ref name=":45">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/272389525|শিরোনাম=Kidnapping : an investigator's guide to profiling|তারিখ=2008|প্রকাশক=Elsevier/Academic Press|অবস্থান=Amsterdam|অন্যান্য=Diana M. Concannon|আইএসবিএন=978-0-12-374031-1|oclc=272389525}}</ref> পুরুষ নির্যাতনের বিষয়টি সামাজিকভাবে লজ্জার বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয় বলে পারিবারিক সহিংসতার শিকার পুরুষরা স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীদের দ্বারা অবহেলিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।<ref name=":46">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/245507378|শিরোনাম=Manual of forensic emergency medicine : a guide for clinicians|তারিখ=2010|প্রকাশক=Jones and Bartlett Publishers|অবস্থান=Sudbury, Mass.|অন্যান্য=Ralph J. Riviello|আইএসবিএন=978-0-7637-4462-5|oclc=245507378}}</ref><ref name=":47">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/816512991|শিরোনাম=Encyclopedia of domestic violence and abuse|তারিখ=2013|অবস্থান=Santa Barbara, California|অন্যান্য=Laura L. Finley|আইএসবিএন=978-1-61069-001-0|oclc=816512991}}</ref><ref name=":48">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/319637731|শিরোনাম=Criminal investigation|শেষাংশ=Hess|প্রথমাংশ=Kären M.|তারিখ=2010|প্রকাশক=Delmar, Cengage Learning|অবস্থান=Clifton Park, NY|অন্যান্য=Christine M. H. Orthmann|আইএসবিএন=978-1-4354-6993-8|oclc=319637731|সংস্করণ=9th ed}}</ref><ref name=":49">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/237110800|শিরোনাম=Intimate partner abuse against men.|শেষাংশ=Lupri|প্রথমাংশ=Eugen|তারিখ=2004|প্রকাশক=National Clearinghouse on Family Violence|অবস্থান=[Ottawa]|অন্যান্য=National Clearinghouse on Family Violence|আইএসবিএন=0-662-37975-6|oclc=237110800}}</ref> |
||
পারিবারিক সহিংসতা প্রায়শই ঘটে |
পারিবারিক সহিংসতা প্রায়শই ঘটে যখন নির্যাতক ব্যক্তি মনে করেন যে, নির্যাতন করা এক প্রকার অধিকার, গ্রহণযোগ্য, ন্যায়সঙ্গত বিষয় বা এ বিষয়ে রিপোর্ট বা প্রতিবেদন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এটি আন্তঃপ্রজন্মভিত্তিক সহিংসতার একটি চক্র তৈরি করতে পারে যেখানে এ ধরনের সহিংসতাকে গ্রহণযোগ্য বা ক্ষমাযোগ্য মনে করা হয়। অনেক লোক নিজেকে নির্যাতনকারী বা ভুক্তভোগী হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না কারণ তারা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো অনিয়ন্ত্রিত পারিবারিক দ্বন্দ্বের প্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://link.springer.com/10.1007/s10896-013-9555-4|শিরোনাম=Stay With or Leave the Abuser? The Effects of Domestic Violence Victim’s Decision on Attributions Made by Young Adults|শেষাংশ=Halket|প্রথমাংশ=Megan McPherson|শেষাংশ২=Gormley|প্রথমাংশ২=Katelyn|শেষাংশ৩=Mello|প্রথমাংশ৩=Nicole|শেষাংশ৪=Rosenthal|প্রথমাংশ৪=Lori|শেষাংশ৫=Mirkin|প্রথমাংশ৫=Marsha Pravder|তারিখ=2014-01-XX|সাময়িকী=Journal of Family Violence|খণ্ড=29|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=35–49|ভাষা=en|ডিওআই=10.1007/s10896-013-9555-4|issn=0885-7482}}</ref> পারিবারিক সহিংসতা বিষয়ে সচেতনতা, এর উপলব্ধি, সংজ্ঞা এবং দলিলিকরণের বিষয়টি দেশ দেশে ব্যাপকভাবে ভিন্ন। পারিবারিক সহিংসতা প্রায়শই জোরপূর্বক বিয়ে বা বাল্যবিবাহের প্রেক্ষাপটে ঘটে থাকে।<ref name=":50">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/law:epil/9780199231690/e575|শিরোনাম=World Health Organization (WHO)|শেষাংশ=Yves|প্রথমাংশ=Beigbeder|তারিখ=2013-07|সাময়িকী=Max Planck Encyclopedia of Public International Law|প্রকাশক=Oxford University Press|আইএসবিএন=978-0-19-923169-0}}</ref> |
||
নির্যাতনকেন্দ্রিক সম্পর্কগুলোতে, নির্যাতনের একটি চক্র থাকতে পারে |
নির্যাতনকেন্দ্রিক সম্পর্কগুলোতে, নির্যাতনের একটি চক্র থাকতে পারে যেখানে প্রথমে উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং তারপর সহিংসতার ঘটনা ঘটে থাকে; অতঃপর মিলন এবং শান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা বিচ্ছিন্নতা, শক্তি ও নিয়ন্ত্রণ, নির্যাতকের সঙ্গে যন্ত্রণাদায়ক বন্ধন,<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/0886-6708.8.2.105|শিরোনাম=Emotional Attachments in Abusive Relationships: A Test of Traumatic Bonding Theory|শেষাংশ=Dutton|প্রথমাংশ=Donald G.|শেষাংশ২=Painter|প্রথমাংশ২=Susan|তারিখ=1993-01-XX|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=8|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=105–120|ডিওআই=10.1891/0886-6708.8.2.105|issn=0886-6708}}</ref> সাংস্কৃতিক গ্রহণযোগ্যতা, আর্থিক সংস্থান, ভয়, লজ্জা এবং বাচ্চাদের সুরক্ষার জন্য পারিবারিক সহিংস পরিস্থিতিতে আবদ্ধ হতে পারেন। নির্যাতনের ফলস্বরূপ ভুক্তভোগীগণ শারীরিক অক্ষমতা, অনিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন, দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা, মানসিক অসুস্থতা, সীমাবদ্ধ অর্থসংস্থান এবং সুস্থ সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে দুর্বলতার পরিচয় ইত্যাদি নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। তারা মারাত্মক মানসিক ব্যাধি যেমন পোস্টট্রোম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (আঘাত পরবর্তী মানসিক চাপ) সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। যে শিশুরা সহিংসতাপূর্ণ পরিবারে বসবাস করে তারা প্রায়শই ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভোগে, যেমন এড়িয়ে চলা, অযাচিত অতিরিক্ত ভীতি এবং অনিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন, যা পরিণতিতে পরোক্ষ মানসিক আঘাত তৈরিতে অবদান রাখতে পারে।<ref name="ReferenceB">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1080/14616730701453762|শিরোনাম=Caregiver traumatization adversely impacts young children's mental representations on the MacArthur Story Stem Battery|শেষাংশ=Schechter|প্রথমাংশ=Daniel S.|শেষাংশ২=Zygmunt|প্রথমাংশ২=Annette|শেষাংশ৩=Coates|প্রথমাংশ৩=Susan W.|শেষাংশ৪=Davies|প্রথমাংশ৪=Mark|শেষাংশ৫=Trabka|প্রথমাংশ৫=Kimberly A.|শেষাংশ৬=McCaw|প্রথমাংশ৬=Jaime|শেষাংশ৭=Kolodji|প্রথমাংশ৭=Ann|শেষাংশ৮=Robinson|প্রথমাংশ৮=Joann L.|তারিখ=2007-09|সাময়িকী=Attachment & Human Development|খণ্ড=9|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=187–205|ডিওআই=10.1080/14616730701453762|issn=1461-6734}}</ref> |
||
== ব্যুৎপত্তি এবং সংজ্ঞা == |
== ব্যুৎপত্তি এবং সংজ্ঞা == |
||
আধুনিক প্রেক্ষাপটে গৃহের ভেতরে সহিংসতা অর্থে পারিবারিক সহিংসতা শব্দটির প্রথম জ্ঞাত ব্যবহার হয়েছিল, ১৯৭৩ সালে জ্যাক অ্যাশলের যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/16443919|শিরোনাম=Battered women, refugees & women's aid : a report from the National Women's Aid Federation.|শেষাংশ=Federation.|প্রথমাংশ=National Women's Aid|তারিখ=1978|প্রকাশক=[The Federation]|oclc=16443919}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/hepl/9780198788430.003.0022|শিরোনাম=Exploring Parliament|শেষাংশ=Campbell|প্রথমাংশ=Rosie|শেষাংশ২=Childs|প্রথমাংশ২=Sarah|শেষাংশ৩=Hunt|প্রথমাংশ৩=Elizabeth|তারিখ=2018-02-08|প্রকাশক=Oxford University Press|আইএসবিএন=978-0-19-878843-0}}</ref> এই শব্দটি দিয়ে সাধারণত বিদেশি কোন দেশ কর্তৃক সহিংসতার স্থলে কোন দেশের অভ্যন্তরে তৈরি হওয়া অস্থিরতা ও সহিংসতাকে বোঝানো হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.3886/icpsr03919|শিরোনাম=New York Times New York City Poll, September 2003|তারিখ=2004-04-21|ওয়েবসাইট=ICPSR Data Holdings|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-10}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1108/09504120510613094|শিরোনাম=The Avalon Project at Yale Law School: Documents in Law, History and Diplomacy2005291The Avalon Project at Yale Law School: Documents in Law, History and Diplomacy. Yale University Law School, 1996‐. Gratis Last visited February 2005 URL: http://www.yale.edu/lawweb/avalon/avalon.htm|শেষাংশ=Hua Chua|প্রথমাংশ=Hui|তারিখ=2005-09|সাময়িকী=Reference Reviews|খণ্ড=19|সংখ্যা নং=6|পাতাসমূহ=18–19| |
আধুনিক প্রেক্ষাপটে গৃহের ভেতরে সহিংসতা অর্থে পারিবারিক সহিংসতা শব্দটির প্রথম জ্ঞাত ব্যবহার হয়েছিল, ১৯৭৩ সালে জ্যাক অ্যাশলের যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/16443919|শিরোনাম=Battered women, refugees & women's aid : a report from the National Women's Aid Federation.|শেষাংশ=Federation.|প্রথমাংশ=National Women's Aid|তারিখ=1978|প্রকাশক=[The Federation]|oclc=16443919}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/hepl/9780198788430.003.0022|শিরোনাম=Exploring Parliament|শেষাংশ=Campbell|প্রথমাংশ=Rosie|শেষাংশ২=Childs|প্রথমাংশ২=Sarah|শেষাংশ৩=Hunt|প্রথমাংশ৩=Elizabeth|তারিখ=2018-02-08|প্রকাশক=Oxford University Press|আইএসবিএন=978-0-19-878843-0}}</ref> এই শব্দটি দিয়ে সাধারণত বিদেশি কোন দেশ কর্তৃক সহিংসতার স্থলে কোন দেশের অভ্যন্তরে তৈরি হওয়া অস্থিরতা ও সহিংসতাকে বোঝানো হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.3886/icpsr03919|শিরোনাম=New York Times New York City Poll, September 2003|তারিখ=2004-04-21|ওয়েবসাইট=ICPSR Data Holdings|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-10}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1108/09504120510613094|শিরোনাম=The Avalon Project at Yale Law School: Documents in Law, History and Diplomacy2005291The Avalon Project at Yale Law School: Documents in Law, History and Diplomacy. Yale University Law School, 1996‐. Gratis Last visited February 2005 URL: http://www.yale.edu/lawweb/avalon/avalon.htm|শেষাংশ=Hua Chua|প্রথমাংশ=Hui|তারিখ=2005-09|সাময়িকী=Reference Reviews|খণ্ড=19|সংখ্যা নং=6|পাতাসমূহ=18–19|ডিওআই=10.1108/09504120510613094|issn=0950-4125}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/8624172|শিরোনাম=The history of the great riots : the strikes and riots on the various railroads of the United States and in the mining regions, together with a full history of the Mollie Maguires|শেষাংশ=1842-1883.|প্রথমাংশ=McCabe, James D.,|তারিখ=1971|প্রকাশক=A.M. Kelley|পাতাসমূহ=১৫|oclc=8624172}}</ref> |
||
পারিবারিক সহিংসতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শারীরিক সহিংসতার সাথে জড়িত। স্ত্রীকে অত্যাচার, স্ত্রীকে মারধর, স্ত্রীকে আঘাত এবং মার খাওয়া নারী ইত্যাদি শব্দ সাধারণত ব্যবহার করা হলেও অবিবাহিত সঙ্গী, শারীরিক ছাড়াও অন্যন্য ধরনের নির্যাতন, নারী অপরাধী এবং সমকামী সম্পর্কের<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9780203487099|শিরোনাম=Domestic Violence|শেষাংশ=Shipway|প্রথমাংশ=Lyn|তারিখ=2004-03-01|সাময়িকী=p. 3|ডিওআই=10.4324/9780203487099}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e450482008-001|শিরোনাম=The 1992 British Crime Survey: Home Office research study 132|শেষাংশ=Mayhew|প্রথমাংশ=Pat|শেষাংশ২=Maung|প্রথমাংশ২=Natalie Aye|তারিখ=1993|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-10|শেষাংশ৩=Mirrlees-Black|প্রথমাংশ৩=Catriona}}</ref> অন্তর্ভুক্তির কারণে এদের উপযোগীতা হ্রাস পেয়েছে। "শারীরিক, যৌন, মানসিক বা অর্থনৈতিক সহিংসতার<ref name=":8">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-9953-2014005|শিরোনাম=COUNCIL OF EUROPE CONVENTION ON PREVENTING AND COMBATING VIOLENCE AGAINST WOMEN AND DOMESTIC VIOLENCE|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-10}}</ref> সমস্ত ক্রিয়াকলাপ" অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সহিংসতাকে এখন বিস্তৃতভাবে সংজ্ঞায়িত হয় যা পরিবারের কোন সদস্য অথবা ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সংঘটিত হতে পারে।<ref name=":8" /><ref name=":28">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-5555-3018|শিরোনাম=explanatory-working-paper-related-to-the-implementation-of-directive-201229eu-establishing-minimum-standards-on-the-rights-support-and-protection-of-victims-of-crime;hr|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-10}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4016/33101.01|শিরোনাম=Criminal attorney San Diego|তারিখ=2011-08-24|ওয়েবসাইট=SciVee|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-10}}</ref> |
|||
''ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতা'' শব্দটি প্রায়শই পারিবারিক নির্যাতন<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/894792076|শিরোনাম=Preventing violence against women and girls : educational work with children and young people|শেষাংশ=editor.|প্রথমাংশ=Ellis, Jane (Social scientist), editor. Thiara, Ravi K.,|আইএসবিএন=978-1-4473-0732-7|oclc=894792076}}</ref> বা পারিবারিক সহিংসতার<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/54029242|শিরোনাম=Family violence : legal, medical, and social perspectives|শেষাংশ=Wallace|প্রথমাংশ=Harvey|তারিখ=2005|প্রকাশক=Pearson/A and B|অবস্থান=Boston, MA|আইএসবিএন=0-205-41822-8|oclc=54029242|সংস্করণ=4th ed}}</ref> সমার্থক শব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি বিশেষত দাম্পত্য সম্পর্কের (যেমন, বিবাহিত দম্পতি, একই সাথে বসবাসরত কিংবা আলাদা বসবাসরত অন্তরঙ্গ সঙ্গী) মধ্যে সংঘটিত সহিংসতাকে বোঝায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/53032850|শিরোনাম=World report on violence and health|তারিখ=2002|প্রকাশক=World Health Organization|অবস্থান=Geneva|অন্যান্য=Etienne G. Krug, World Health Organization|আইএসবিএন=0-585-46807-9|oclc=53032850}}</ref> এগুলোর সাথে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিও এইচ ও) নির্যাতনের ধরন বোঝাতে নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণও সংযুক্ত করেছে।<ref name=":14">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e400972004-001|শিরোনাম=Child mental health and psychosocial development.|তারিখ=1977|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-10}}</ref> ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতা বিপরীত ও সমলিঙ্গের সম্পর্কের<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/33947252|শিরোনাম=Violence in gay and lesbian domestic partnerships|তারিখ=1996|অবস্থান=New York|অন্যান্য=Claire M. Renzetti, Charles Harvey Miley|আইএসবিএন=1-56024-753-3|oclc=33947252}}</ref> মধ্যেও দেখা গিয়েছে এবং নারীর বিরুদ্ধে পুরুষ ও পুরুষের বিরুদ্ধে নারী<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1111/j.1741-3737.2000.00948.x|শিরোনাম=Research on Domestic Violence in the 1990s: Making Distinctions|শেষাংশ=Johnson|প্রথমাংশ=Michael P.|শেষাংশ২=Ferraro|প্রথমাংশ২=Kathleen J.|তারিখ=2000-11|সাময়িকী=Journal of Marriage and Family|খণ্ড=62|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=948–963| |
''ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতা'' শব্দটি প্রায়শই পারিবারিক নির্যাতন<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/894792076|শিরোনাম=Preventing violence against women and girls : educational work with children and young people|শেষাংশ=editor.|প্রথমাংশ=Ellis, Jane (Social scientist), editor. Thiara, Ravi K.,|আইএসবিএন=978-1-4473-0732-7|oclc=894792076}}</ref> বা পারিবারিক সহিংসতার<ref name="worldcat.org">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/54029242|শিরোনাম=Family violence : legal, medical, and social perspectives|শেষাংশ=Wallace|প্রথমাংশ=Harvey|তারিখ=2005|প্রকাশক=Pearson/A and B|অবস্থান=Boston, MA|আইএসবিএন=0-205-41822-8|oclc=54029242|সংস্করণ=4th ed}}</ref> সমার্থক শব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি বিশেষত দাম্পত্য সম্পর্কের (যেমন, বিবাহিত দম্পতি, একই সাথে বসবাসরত কিংবা আলাদা বসবাসরত অন্তরঙ্গ সঙ্গী) মধ্যে সংঘটিত সহিংসতাকে বোঝায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/53032850|শিরোনাম=World report on violence and health|তারিখ=2002|প্রকাশক=World Health Organization|অবস্থান=Geneva|অন্যান্য=Etienne G. Krug, World Health Organization|আইএসবিএন=0-585-46807-9|oclc=53032850}}</ref> এগুলোর সাথে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিও এইচ ও) নির্যাতনের ধরন বোঝাতে নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণও সংযুক্ত করেছে।<ref name=":14">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e400972004-001|শিরোনাম=Child mental health and psychosocial development.|তারিখ=1977|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-10}}</ref> ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতা বিপরীত ও সমলিঙ্গের সম্পর্কের<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/33947252|শিরোনাম=Violence in gay and lesbian domestic partnerships|তারিখ=1996|অবস্থান=New York|অন্যান্য=Claire M. Renzetti, Charles Harvey Miley|আইএসবিএন=1-56024-753-3|oclc=33947252}}</ref> মধ্যেও দেখা গিয়েছে এবং নারীর বিরুদ্ধে পুরুষ ও পুরুষের বিরুদ্ধে নারী<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1111/j.1741-3737.2000.00948.x|শিরোনাম=Research on Domestic Violence in the 1990s: Making Distinctions|শেষাংশ=Johnson|প্রথমাংশ=Michael P.|শেষাংশ২=Ferraro|প্রথমাংশ২=Kathleen J.|তারিখ=2000-11|সাময়িকী=Journal of Marriage and Family|খণ্ড=62|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=948–963|ডিওআই=10.1111/j.1741-3737.2000.00948.x|issn=0022-2445}}</ref> উভয় ধরনের সহিংসতার উদাহরণ দেখা গিয়েছে। আর ফ্যামিলি ভায়োলেন্সও পারিবারিক সহিংসতা যা একটি বিস্তৃত শব্দ এবং প্রায়শই শিশু নির্যাতন, বয়স্ক নির্যাতন ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অন্যান্য হিংসাত্মক আচরণগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে।<ref name=":14"/><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315664187|শিরোনাম=Family Violence|শেষাংশ=Wallace|প্রথমাংশ=Harvey|শেষাংশ২=Roberson|প্রথমাংশ২=Cliff|শেষাংশ৩=Globokar|প্রথমাংশ৩=Julie|শেষাংশ৪=Wallace|প্রথমাংশ৪=Paul Harvey|শেষাংশ৫=Roberson|প্রথমাংশ৫=Cliff|তারিখ=2015-08-27|ডিওআই=10.4324/9781315664187}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/1059179028|শিরোনাম=Government action plan to counter elder abuse : 2010-2015|শেষাংশ=aînés.|প্রথমাংশ=Québec (Province). Ministère de la famille et des|তারিখ=2011)|প্রকাশক=Ministère de la Famille et des Aînés|আইএসবিএন=978-2-550-59124-5|oclc=1059179028}}</ref> |
||
১৯৯৩ সালে, জাতিসংঘের নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা দূরীকরণের ঘোষণাপত্রে পারিবারিক সহিংসতাকে সংজ্ঞায়িত করেছিল এভাবে:<blockquote>পরিবারে মেয়ে শিশুদের যৌন নির্যাতন, যৌতুক-সম্পর্কিত সহিংসতা, বৈবাহিক ধর্ষণ, নারী যৌনাঙ্গের বিচ্ছেদ এবং নারীদের জন্য ক্ষতিকারক অন্যান্য চিরাচরিত অনুশীলন, বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া সহিংসতা এবং শোষণমূলক সহিংসতার প্রকাশ দেখা যায়, যখন পরিবারে শারীরিক, যৌন ও মানসিক সহিংসতা সংঘটিত হয়।<ref name=":29">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/ilwo-iiic13|শিরোনাম=International Law & World Order|প্রকাশক=Martinus Nijhoff Publishers|পাতাসমূহ=1–4|আইএসবিএন=978-90-04-20870-4}}</ref> </blockquote> |
১৯৯৩ সালে, জাতিসংঘের নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা দূরীকরণের ঘোষণাপত্রে পারিবারিক সহিংসতাকে সংজ্ঞায়িত করেছিল এভাবে:<blockquote>পরিবারে মেয়ে শিশুদের যৌন নির্যাতন, যৌতুক-সম্পর্কিত সহিংসতা, বৈবাহিক ধর্ষণ, নারী যৌনাঙ্গের বিচ্ছেদ এবং নারীদের জন্য ক্ষতিকারক অন্যান্য চিরাচরিত অনুশীলন, বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া সহিংসতা এবং শোষণমূলক সহিংসতার প্রকাশ দেখা যায়, যখন পরিবারে শারীরিক, যৌন ও মানসিক সহিংসতা সংঘটিত হয়।<ref name=":29">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/ilwo-iiic13|শিরোনাম=International Law & World Order|প্রকাশক=Martinus Nijhoff Publishers|পাতাসমূহ=1–4|আইএসবিএন=978-90-04-20870-4}}</ref> </blockquote> |
||
== ইতিহাস == |
== ইতিহাস == |
||
[[চিত্র:A_Husband_Beating_his_Wife_with_a_Stick_-_Google_Art_Project.png|থাম্ব|পুরুষ তার স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে |
[[চিত্র:A_Husband_Beating_his_Wife_with_a_Stick_-_Google_Art_Project.png|থাম্ব|জনৈক পুরুষ তার স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে প্রহাররত। আনুমানিক ১৩৬০ খ্রিষ্টাব্দ]] |
||
এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা থেকে জানা যায়, ১৮০০র গোড়ার দিকে, বেশিরভাগ আইনী ব্যবস্থাগুলো স্পষ্টতই স্ত্রীকে মারধর করাকে স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার হিসেবে গ্রহণ করেছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/1328947|শিরোনাম=Husband and Wife. Rights of Wife against Husband and His Property. Wife's Right to Sue Her Husband for Torts. Assault|তারিখ=1921-04|সাময়িকী=Harvard Law Review|খণ্ড=34|সংখ্যা নং=6|পাতাসমূহ=676| |
এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা থেকে জানা যায়, ১৮০০র গোড়ার দিকে, বেশিরভাগ আইনী ব্যবস্থাগুলো স্পষ্টতই স্ত্রীকে মারধর করাকে স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার হিসেবে গ্রহণ করেছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/1328947|শিরোনাম=Husband and Wife. Rights of Wife against Husband and His Property. Wife's Right to Sue Her Husband for Torts. Assault|তারিখ=1921-04|সাময়িকী=Harvard Law Review|খণ্ড=34|সংখ্যা নং=6|পাতাসমূহ=676|ডিওআই=10.2307/1328947|issn=0017-811X}}</ref><ref name=":10">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/37368711|শিরোনাম=Feminists negotiate the state : the politics of domestic violence|তারিখ=1997|প্রকাশক=University Press of America|অবস্থান=Lanham|অন্যান্য=Cynthia R. Daniels, Rachelle Brooks|আইএসবিএন=0-7618-0883-3|oclc=37368711}}</ref> ষোড়শ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের প্রচলিত আইনে পারিবারিক সহিংসতাকে কোন নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের বদলে সামাজিক অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হতো যা দ্বারা শান্তি ভঙ্গ হয়। স্ত্রীদের স্থানীয় শান্তি বিধায়কের কাছে পুনরায় শান্তি প্রতিষ্ঠার আবেদন করবার অধিকার ছিল। |
||
পদ্ধতিগুলো অনানুষ্ঠানিক এবং অসংরক্ষিত ছিল, এবং কোনও আইনি নির্দেশিকায় সহিংসতার কতটুকু প্রমাণ বা |
পদ্ধতিগুলো অনানুষ্ঠানিক এবং অসংরক্ষিত ছিল, এবং কোনও আইনি নির্দেশিকায় সহিংসতার কতটুকু প্রমাণ থাকলে বা মাত্রা কতটুকু হলে তা বিচারের আওতায় আনা যাবে সে উল্লেখ ছিল না । দুটি সাধারণ শাস্তি স্বামীকে শান্তি স্থাপনে বাধ্য করত, বা ভবিষ্যতে ভাল আচরণের গ্যারান্টি দিয়ে সহযোগীদের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করত। মারধরের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে শারীরিক আক্রমণের অভিযোগ আনা যেত, যদিও এই জাতীয় মামলাগুলি বিরল ছিল এবং গুরুতর আঘাত বা মৃত্যুর ক্ষেত্র ছাড়া সাধারণত ছোটখাটো জরিমানা দিয়েই শাস্তি সম্পন্ন করা হতো।<ref name=":9">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1353/eam.2007.0008|শিরোনাম=The American Revolution, Wife Beating, and the Emergent Value of Privacy|শেষাংশ=Bloch|প্রথমাংশ=Ruth H.|তারিখ=2007|সাময়িকী=Early American Studies: An Interdisciplinary Journal|খণ্ড=5|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=223–251|ডিওআই=10.1353/eam.2007.0008|issn=1559-0895}}</ref> |
||
একই ভাবে, এই কাঠামোটি আমেরিকান উপনিবেশগুলিতে গৃহীত হয়েছিল। ১৬৪১ সালে ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশীকদের বডি অফ লিবার্টিজ ঘোষণা করেছিল যে, একজন বিবাহিত নারীর "তার স্বামীর দ্বারা শারীরিক সংশোধন বা আচড় থেকে মুক্ত থাকা উচিত।"<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/5922118|শিরোনাম=The body of liberties : the liberties of the Massachusetts colonie in New England, 1641.|শেষাংশ=1578-1652.|প্রথমাংশ=Ward, Nathaniel,|oclc=5922118}}</ref> নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং রোড আইল্যান্ডও তাদের ফৌজদারী বিধিমালায় স্ত্রীকে মারধর করার বিষয়টি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছিল।<ref name=":9" /> |
একই ভাবে, এই কাঠামোটি আমেরিকান উপনিবেশগুলিতে গৃহীত হয়েছিল। ১৬৪১ সালে ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশীকদের বডি অফ লিবার্টিজ ঘোষণা করেছিল যে, একজন বিবাহিত নারীর "তার স্বামীর দ্বারা শারীরিক সংশোধন বা আচড় থেকে মুক্ত থাকা উচিত।"<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/5922118|শিরোনাম=The body of liberties : the liberties of the Massachusetts colonie in New England, 1641.|শেষাংশ=1578-1652.|প্রথমাংশ=Ward, Nathaniel,|oclc=5922118}}</ref> নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং রোড আইল্যান্ডও তাদের ফৌজদারী বিধিমালায় স্ত্রীকে মারধর করার বিষয়টি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছিল।<ref name=":9" /> |
||
আমেরিকান বিপ্লবের পর, আইনী ব্যবস্থায় পরিবর্তন স্থানীয় বিচারপতিদের চেয়ে রাজ্য আদালতের হাতে বেশি ক্ষমতা অর্পণ করেছিল। অনেক রাজ্যই তাদের আইনসভা থেকে বিবাহবিচ্ছেদের মামলার এখতিয়ারকে তাদের বিচার বিভাগে স্থানান্তরিত করে, এবং তাতে নিষ্ঠুরতা ও প্রহারের শিকার নারীদের আইনসম্মতভাবে বিবাহবিচ্ছেদ বা আইনী সহায়তা নেয়ার হার বাড়তে থাকে। |
আমেরিকান বিপ্লবের পর, আইনী ব্যবস্থায় পরিবর্তন স্থানীয় বিচারপতিদের চেয়ে রাজ্য আদালতের হাতে বেশি ক্ষমতা অর্পণ করেছিল। অনেক রাজ্যই তাদের আইনসভা থেকে বিবাহবিচ্ছেদের মামলার এখতিয়ারকে তাদের বিচার বিভাগে স্থানান্তরিত করে, এবং তাতে নিষ্ঠুরতা ও প্রহারের শিকার নারীদের আইনসম্মতভাবে বিবাহবিচ্ছেদ বা আইনী সহায়তা নেয়ার হার বাড়তে থাকে। |
||
এতে প্রমাণ উপস্থাপন করার একটি বড় দায়ও নারীদের উপর তৈরি হয়েছিল, কারণ আদালতে তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে ছিল সেটি প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণ করতে হতো। ১৮২৪ সালে, মিসিসিপি সুপ্রিম কোর্ট, অঙ্গুলির নিয়মের বরাত দিয়ে স্টেট বনাম ব্র্যাডলি মামলাটি স্ত্রী মারধরের প্রতি ইতিবাচক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল, যে নজির পরবর্তী কয়েক দশক ধরে সাধারণ আইনকে প্রভাবিত করেছিল।<ref name=":9" /> |
এতে প্রমাণ উপস্থাপন করার একটি বড় দায়ও নারীদের উপর তৈরি হয়েছিল, কারণ আদালতে তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে ছিল সেটি প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণ করতে হতো। ১৮২৪ সালে, মিসিসিপি সুপ্রিম কোর্ট, অঙ্গুলির নিয়মের বরাত দিয়ে স্টেট বনাম ব্র্যাডলি মামলাটি স্ত্রী মারধরের প্রতি ইতিবাচক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল, যে নজির পরবর্তী কয়েক দশক ধরে সাধারণ আইনকে প্রভাবিত করেছিল।<ref name=":9" /> |
||
উনিশ শতকে রাজনৈতিক আন্দোলন এবং প্রথম-তরঙ্গের নারীবাদী আন্দোলনের ফলে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের পারিবারিক সহিংসতা সম্পর্কিত জনপ্রিয় মতামত এবং আইন উভয়ই পরিবর্তিত হয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/9789004337862__com_050367|শিরোনাম=Encyclopaedia Britannica|তারিখ=from the original on June 27, 2015. Retrieved October 31, 2011. Feminist agitation in the 1800s produced a sea change in public opinion..|ওয়েবসাইট=Lexikon des gesamten Buchwesens Online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/48857609|শিরোনাম=Heroes of their own lives : the politics and history of family violence : Boston, 1880-1960|শেষাংশ=Gordon|প্রথমাংশ=Linda|তারিখ=2002|প্রকাশক=University of Illinois Press|অবস্থান=Urbana|আইএসবিএন=0-252-07079-8|oclc=48857609}}</ref> ১৮৫০ সালে, টেনেসি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্য ছিল যারা স্পষ্টভাবে স্ত্রীকে প্রহার করা নিষিদ্ধ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-1-349-27698-1_7|শিরোনাম=Women in the United States, 1830–1945|শেষাংশ=Kleinberg|প্রথমাংশ=S. J.|তারিখ=1999|প্রকাশক=Macmillan Education UK|অবস্থান=London|পাতাসমূহ=128–151|আইএসবিএন=978-0-333-61098-5}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1086/449151|শিরোনাম=Criminal Approaches to Family Violence, 1640-1980|শেষাংশ=Pleck|প্রথমাংশ=Elizabeth|তারিখ=1989-01-XX|সাময়িকী=Crime and Justice|খণ্ড=11|পাতাসমূহ=19–57| |
উনিশ শতকে রাজনৈতিক আন্দোলন এবং প্রথম-তরঙ্গের [[নারীবাদী আন্দোলন|নারীবাদী আন্দোলনের]] ফলে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের পারিবারিক সহিংসতা সম্পর্কিত জনপ্রিয় মতামত এবং আইন উভয়ই পরিবর্তিত হয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/9789004337862__com_050367|শিরোনাম=Encyclopaedia Britannica|তারিখ=from the original on June 27, 2015. Retrieved October 31, 2011. Feminist agitation in the 1800s produced a sea change in public opinion..|ওয়েবসাইট=Lexikon des gesamten Buchwesens Online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/48857609|শিরোনাম=Heroes of their own lives : the politics and history of family violence : Boston, 1880-1960|শেষাংশ=Gordon|প্রথমাংশ=Linda|তারিখ=2002|প্রকাশক=University of Illinois Press|অবস্থান=Urbana|আইএসবিএন=0-252-07079-8|oclc=48857609}}</ref> ১৮৫০ সালে, টেনেসি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্য ছিল যারা স্পষ্টভাবে স্ত্রীকে প্রহার করা নিষিদ্ধ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-1-349-27698-1_7|শিরোনাম=Women in the United States, 1830–1945|শেষাংশ=Kleinberg|প্রথমাংশ=S. J.|তারিখ=1999|প্রকাশক=Macmillan Education UK|অবস্থান=London|পাতাসমূহ=128–151|আইএসবিএন=978-0-333-61098-5}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1086/449151|শিরোনাম=Criminal Approaches to Family Violence, 1640-1980|শেষাংশ=Pleck|প্রথমাংশ=Elizabeth|তারিখ=1989-01-XX|সাময়িকী=Crime and Justice|খণ্ড=11|পাতাসমূহ=19–57|ডিওআই=10.1086/449151|issn=0192-3234}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781473961548|শিরোনাম=Domestic Violence: Coercive Control|তারিখ=2017|ডিওআই=10.4135/9781473961548}}</ref> শীঘ্রই অন্যান্য রাজ্যগুলি এর অনুসরণ করেছিল।<ref name=":10" /><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1515/9783110970197.189|শিরোনাম=Household Constitution and Family Relationships|শেষাংশ=PLECK|প্রথমাংশ=ELIZABETH|তারিখ=1992-12-31|প্রকাশক=DE GRUYTER SAUR|পাতাসমূহ=189–203|আইএসবিএন=978-3-598-41456-5}}</ref> ১৮৭১ সালে ম্যাসাচুসেটস এবং আলাবামার আদালত ব্র্যাডলি মামলার রুল বাতিল করে দিলে আইনী মতামতের জোয়ার স্ত্রী-প্রহারের অধিকারের ধারণার বিরুদ্ধে যেতে শুরু করে।<ref name=":9" /> ১৮৭৮ সালে, যুক্তরাজ্যে বৈবাহিক কারণ সংক্রান্ত আইনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের নারীদের অত্যাচারী স্বামীর কাছ থেকে আইনী বিচ্ছেদ দাবি চাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9780203016992-9|শিরোনাম=Gender And Crime In Modern Europe|তারিখ=2002-01-04|প্রকাশক=Routledge|পাতাসমূহ=134–152|আইএসবিএন=978-0-203-01699-2}}</ref> ১৮৭০ এর দশকের শেষ দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ আদালত স্ত্রীদের শারীরিকভাবে শাসন করার স্বামীদের চিরায়ত অধিকারকে প্রত্যাখ্যান করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/1101323|শিরোনাম=Intoxicating Liquors. "Retailing" Intoxicating Liquors Criminal Law Reports: Being Reports of Cases Determined in the Federal and State Courts of the United States, and in the Courts of England, Ireland, Canada, Etc. with Notes, Volume 2, New York: Hurd and Houghton, 1874–1875, OCLC 22125148, The cases in the American courts are uniform against the right of the husband to use any [physical] chastisement, moderate or otherwise, toward the wife, for any purpose.|তারিখ=1905-06|সাময়িকী=The Virginia Law Register|খণ্ড=11|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=148|ডিওআই=10.2307/1101323|issn=1547-1357|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> বিশ শতকের গোড়ার দিক থেকে পুলিশের পারিবারিক সহিংতার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায় যদিও তখনও গ্রেফতারের ঘটনা বিরলই ছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1300/j012v10n02_02|শিরোনাম=Revisiting the Rule of Thumb|শেষাংশ=Lentz|প্রথমাংশ=Susan A.|তারিখ=1999-03-05|সাময়িকী=Women & Criminal Justice|খণ্ড=10|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=9–27|ডিওআই=10.1300/j012v10n02_02|issn=0897-4454}}</ref> |
||
বিশ্বজুড়ে বেশিরভাগ আইনী ব্যবস্থায়, ১৯৯০ এর দশক থেকেই কেবল পারিবারিক সহিংসতার বিষয়টি সম্বোধন করা শুরু হয়েছে; প্রকৃতপক্ষে, বিংশ শতাব্দীর শেষের দিক ছাড়া, বেশিরভাগ দেশগুলিতে এ ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে আইন বা আইনী অনুশীলনে সুরক্ষা ছিল না বললেই চলে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781351022989-5|শিরোনাম=Women’s studies|শেষাংশ=Smith|প্রথমাংশ=Bonnie G.|তারিখ=2019-03-06|প্রকাশক=Routledge|অবস্থান=2 Edition. {{!}} New York : Routledge, 2019. {{!}} Revised edition of the author’s Women’s studies, 2013.|পাতাসমূহ=83–100|আইএসবিএন=978-1-351-02298-9}}</ref> ১৯৯৩ সালে, জাতিসংঘ পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল প্রকাশ করেছে।<ref name=":11">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1097/00002800-199703000-00023|শিরোনাম=Domestic Violence Resource Manual|তারিখ=1997-03-XX|সাময়িকী=Clinical Nurse Specialist|খণ্ড=11|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=1| |
বিশ্বজুড়ে বেশিরভাগ আইনী ব্যবস্থায়, ১৯৯০ এর দশক থেকেই কেবল পারিবারিক সহিংসতার বিষয়টি সম্বোধন করা শুরু হয়েছে; প্রকৃতপক্ষে, বিংশ শতাব্দীর শেষের দিক ছাড়া, বেশিরভাগ দেশগুলিতে এ ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে আইন বা আইনী অনুশীলনে সুরক্ষা ছিল না বললেই চলে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781351022989-5|শিরোনাম=Women’s studies|শেষাংশ=Smith|প্রথমাংশ=Bonnie G.|তারিখ=2019-03-06|প্রকাশক=Routledge|অবস্থান=2 Edition. {{!}} New York : Routledge, 2019. {{!}} Revised edition of the author’s Women’s studies, 2013.|পাতাসমূহ=83–100|আইএসবিএন=978-1-351-02298-9}}</ref> ১৯৯৩ সালে, জাতিসংঘ পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল প্রকাশ করেছে।<ref name=":11">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1097/00002800-199703000-00023|শিরোনাম=Domestic Violence Resource Manual|তারিখ=1997-03-XX|সাময়িকী=Clinical Nurse Specialist|খণ্ড=11|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=1|ডিওআই=10.1097/00002800-199703000-00023|issn=0887-6274}}</ref> এই প্রকাশনায় বিশ্বজুড়ে দেশগুলোতে পারিবারিক সহিংসতাকে কে অপরাধমূলক আচরণ হিসাবে গণ্য করার আহ্বান জানানো হয় এবং বলা হয় যে একটি ব্যক্তিগত পারিবারিক জীবনের অধিকার মানে পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনের অধিকার নয়। পাশাপাশি এও স্বীকার করে নেয়া হয় যে, প্রকাশনাটি লেখার সময় বেশিরভাগ আইনী ব্যবস্থা পারিবারিক সহিংসতাকে আইনের আওতার বাইরে হিসেবে বিবেচনা করে। তাদের যুক্তিগুলো এভাবে ব্যাখ্যা করা যায়: "বাচ্চাদের শারীরিক আঘাতের মধ্য দিয়ে শৃঙ্খলা শেখানোর চেষ্টা অনুমোদিত এবং অনেক আইনী ব্যবস্থায় উত্সাহিত করা হয়েছে এবং প্রচুর সংখ্যক দেশ স্ত্রীকে হালকা শারীরিক শাস্তি দেওয়ার অনুমতি দেয় বা, যদি তারা এখন তা নাও করে থাকে তবে গত ১০০ বছরের মধ্যে তারা এমনটি করেছে। আবার বেশিরভাগ আইনী ব্যবস্থা অপরাধমূলক পরিস্থিতিও চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয় যেখানে কোনও স্ত্রী তার স্বামীর সাথে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য হয়। প্রকৃতপক্ষে স্ত্রীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ক্ষেত্রে, একটি ব্যাপক বিশ্বাস রয়েছে যে নারীরা তাদের স্বামীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট স্তরের সহিংসতা সহ্য করতে বা এমনকি উপভোগও করতে পারে "।<ref name=":11" /> |
||
[[চিত্র:Grandville_Cent_Proverbes_page69.png|থাম্ব|কেন্ট প্রবাদের শিরোনাম দিয়ে জেজে গ্র্যান্ডভিলের অলঙ্করণ (১৮৪৫) "শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে"।]] |
[[চিত্র:Grandville_Cent_Proverbes_page69.png|থাম্ব|কেন্ট প্রবাদের শিরোনাম দিয়ে জেজে গ্র্যান্ডভিলের অলঙ্করণ (১৮৪৫) "শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে"।]] |
||
সাম্প্রতিক দশকগুলিতে, পারিবারিক সহিংসতার জন্য আইনী দায়মুক্তি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে, প্রায়শই এই জাতীয় কার্যকলাপকে ব্যক্তিগত মনে করে এই ধারণার ভিত্তিতে দায়মুক্তি দেয়া হয়।<ref name=":51">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315458458-11|শিরোনাম=Women of Asia|শেষাংশ=Mahmood|প্রথমাংশ=Shahirah|তারিখ=2018-07-11|প্রকাশক=Routledge|অবস্থান=New York, NY: Routledge, 2018.|পাতাসমূহ=154–169|আইএসবিএন=978-1-315-45845-8}}</ref><ref name=":52">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/1570-6664_iyb_sim_org_2052|শিরোনাম=Office of the United Nations High Commissioner for Human Rights (OHCHR)|ওয়েবসাইট=International Year Book and Statesmen's Who's Who|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref> ইস্তাম্বুল কনভেনশন হল পারিবারিক সহিংসতা ও নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলা করার জন্য ইউরোপের প্রথম আইনত বাধ্যবাধকতাভিত্তিক বিধি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315185002-6|শিরোনাম=The Legal Protection of Women from Violence|শেষাংশ=Jones|প্রথমাংশ=Jackie|তারিখ=2018-03-22|প্রকাশক=Routledge|অবস্থান=Title: The legal protection of women and girls from violence : normative gaps in international law / Jackie Jones and Rashida Manjoo. Description: Abingdon, Oxon [UK] ; New York : Routledge, 2018. {{!}}|পাতাসমূহ=139–165|আইএসবিএন=978-1-315-18500-2}}</ref> কনভেনশনটি আইন ও আইন প্রয়োগের জায়গায় নারীর প্রতি সহিংসতাকে এবং পারিবারিক সহিংসতা মেনে নেয়ার প্রবণতার অবসান ঘটাতে চায়। কনভেনশনটির ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদনে ইউরোপীয় দেশগুলোতে সহিংসতার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধরনগুলোকে অবহেলায় দেখার দীর্ঘ রীতি স্বীকার করে নেয়া হয়।<ref name=": |
সাম্প্রতিক দশকগুলিতে, পারিবারিক সহিংসতার জন্য আইনী দায়মুক্তি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে, প্রায়শই এই জাতীয় কার্যকলাপকে ব্যক্তিগত মনে করে এই ধারণার ভিত্তিতে দায়মুক্তি দেয়া হয়।<ref name=":51">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315458458-11|শিরোনাম=Women of Asia|শেষাংশ=Mahmood|প্রথমাংশ=Shahirah|তারিখ=2018-07-11|প্রকাশক=Routledge|অবস্থান=New York, NY: Routledge, 2018.|পাতাসমূহ=154–169|আইএসবিএন=978-1-315-45845-8}}</ref><ref name=":52">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/1570-6664_iyb_sim_org_2052|শিরোনাম=Office of the United Nations High Commissioner for Human Rights (OHCHR)|ওয়েবসাইট=International Year Book and Statesmen's Who's Who|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref> ইস্তাম্বুল কনভেনশন হল পারিবারিক সহিংসতা ও নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলা করার জন্য ইউরোপের প্রথম আইনত বাধ্যবাধকতাভিত্তিক বিধি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315185002-6|শিরোনাম=The Legal Protection of Women from Violence|শেষাংশ=Jones|প্রথমাংশ=Jackie|তারিখ=2018-03-22|প্রকাশক=Routledge|অবস্থান=Title: The legal protection of women and girls from violence : normative gaps in international law / Jackie Jones and Rashida Manjoo. Description: Abingdon, Oxon [UK] ; New York : Routledge, 2018. {{!}}|পাতাসমূহ=139–165|আইএসবিএন=978-1-315-18500-2}}</ref> কনভেনশনটি আইন ও আইন প্রয়োগের জায়গায় নারীর প্রতি সহিংসতাকে এবং পারিবারিক সহিংসতা মেনে নেয়ার প্রবণতার অবসান ঘটাতে চায়। কনভেনশনটির ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদনে ইউরোপীয় দেশগুলোতে সহিংসতার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধরনগুলোকে অবহেলায় দেখার দীর্ঘ রীতি স্বীকার করে নেয়া হয়।<ref name=":31">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-9953-2014005|শিরোনাম=COUNCIL OF EUROPE CONVENTION ON PREVENTING AND COMBATING VIOLENCE AGAINST WOMEN AND DOMESTIC VIOLENCE|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref> এর ২১৯ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: "কাউন্সিল অফ ইউরোপের সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে অতীত অনুশীলনের অনেক উদাহরণ রয়েছে যা দেখায় যে, যদি ভুক্তভোগী এবং অপরাধী পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকেন বা এ ধরনের সম্পর্কের মধ্যে থেকে থাকেন তাহলে ঐ সম্পর্কের কারণেই বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলে তাকে স্বীকৃতি দেয়া হতো না। আর এটি দীর্ঘদিন ধরেই এ অবস্থায় ছিল।<ref name=":31"/> |
||
সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকাণ্ড, যৌতুকের মৃত্যু এবং জোরপূর্বক বিবাহের মতো নির্দিষ্ট |
সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকাণ্ড, যৌতুকের মৃত্যু এবং জোরপূর্বক বিবাহের মতো নির্দিষ্ট ধরনের পারিবারিক সহিংসতার দিকে মনোযোগ বাড়ানো হয়েছে। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ভারত যৌতুকের সহিংসতা রোধে উদ্যোগ নিয়েছে: মহিলা সংস্থাগুলোর বহু বছরের প্রচার ও সক্রিয়তার পরে, ২০০৫ সালে পারিবারিক সহিংসতা থেকে নারী সুরক্ষা আইন (পিডাব্লিউডিভিএ) আইন প্রণীত হয়েছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/10778010022183532|শিরোনাম=“Dowry Deaths” in Andhra Pradesh, India|শেষাংশ=VINDHYA|প্রথমাংশ=U.|তারিখ=2000-10|সাময়িকী=Violence Against Women|খণ্ড=6|সংখ্যা নং=10|পাতাসমূহ=1085–1108|ডিওআই=10.1177/10778010022183532|issn=1077-8012}}</ref> লাতিন আমেরিকাতে আবেগের বশে অপরাধের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে এতটাই প্রশ্রয়ের সাথে হয়ে আসছে যে সেটিও এখন আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকষর্ণ করেছে। ২০০২ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর আইনজীবী পরিচালক উইডনি ব্রাউন যুক্তি দেন যে, আবেগের বশে অপরাধ আর সম্মান রক্ষার্থে হত্যার অপরাধের মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে। তাঁর মতে: "আবেগের বশে অপরাধের ক্ষেত্রেও একই রকম চালিকাশক্তি কাজ করে [সম্মান রক্ষার্থে হত্যার জন্য যেমন] যেখানে নারী পরিবারে পুরুষ সদস্যদের দ্বারা হত্যার শিকার হন আর এই ধরনের অপরাধকেও যুক্তিযুক্ত ও ক্ষমাযোগ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয় "।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Staff writer (October 28, 2010). "Thousands of women killed for family "honor"". National Geographic News.|শেষাংশ=|প্রথমাংশ="Thousands of women killed for family "honor"|বছর=Archived from the original on October 19, 2015. Retrieved August 22, 201|প্রকাশক=National Geographic Society.}}</ref> |
||
ঐতিহাসিকভাবেই, শিশুরা তাদের পিতামাতার দ্বারা সহিংসতা থেকে খুব কম সুরক্ষিত, এবং বিশ্বের অনেক জায়গায় এখনও এটি বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন রোমে একজন বাবা আইনত তার সন্তানদের হত্যা করতে পারতেন। অনেক সংস্কৃতি পিতাদের তাদের সন্তানকে দাসত্বের জন্য বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছে। শিশু ত্যাগ করাও একটি সাধারণ অনুশীলন ছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/38016521|শিরোনাম=Cruel compassion : psychiatric control of society's unwanted|শেষাংশ=Szasz|প্রথমাংশ=Thomas|তারিখ=1998|প্রকাশক=Syracuse University Press|অবস্থান=Syracuse, N.Y.|আইএসবিএন=0-8156-0510-2|oclc=38016521|সংস্করণ=1st Syracuse University Press ed}}</ref> পেডিয়াট্রিক সাইকিয়াট্রিস্ট সি হেনরি কেম্প কর্তৃক "দ্য ব্যাটার্ড চাইল্ড সিন্ড্রোম" প্রকাশনার মাধ্যমে শিশু নির্যাতনের বিষয়টি মূলধারার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করে। এর আগে, শিশুদের আঘাত - এমনকি বারবার হাড় ভেঙে দেয়া — ইচ্ছাকৃত আঘাত হিসেবে সাধারণত স্বীকৃত ছিল না। পরিবর্তে, চিকিৎসকরা প্রায়শই হাড়ের অসুস্থতা নিয়ে পিতামাতার বর্ণনাকে গ্রহণ করতেন; যেমন ভুলবশত পড়ে যাওয়া বা দুষ্ট প্রতিবেশির আঘাত ইত্যাদি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/774395316|শিরোনাম=Childism : Confronting Prejudice Against Children|শেষাংশ=Young-Bruehl|প্রথমাংশ=Elisabeth|তারিখ=2012|প্রকাশক=Yale University Press|অবস্থান=New Haven|আইএসবিএন=978-0-300-17850-0|oclc=774395316}}</ref> |
ঐতিহাসিকভাবেই, শিশুরা তাদের পিতামাতার দ্বারা সহিংসতা থেকে খুব কম সুরক্ষিত, এবং বিশ্বের অনেক জায়গায় এখনও এটি বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন রোমে একজন বাবা আইনত তার সন্তানদের হত্যা করতে পারতেন। অনেক সংস্কৃতি পিতাদের তাদের সন্তানকে দাসত্বের জন্য বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছে। শিশু ত্যাগ করাও একটি সাধারণ অনুশীলন ছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/38016521|শিরোনাম=Cruel compassion : psychiatric control of society's unwanted|শেষাংশ=Szasz|প্রথমাংশ=Thomas|তারিখ=1998|প্রকাশক=Syracuse University Press|অবস্থান=Syracuse, N.Y.|আইএসবিএন=0-8156-0510-2|oclc=38016521|সংস্করণ=1st Syracuse University Press ed}}</ref> পেডিয়াট্রিক সাইকিয়াট্রিস্ট সি হেনরি কেম্প কর্তৃক "দ্য ব্যাটার্ড চাইল্ড সিন্ড্রোম" প্রকাশনার মাধ্যমে শিশু নির্যাতনের বিষয়টি মূলধারার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করে। এর আগে, শিশুদের আঘাত - এমনকি বারবার হাড় ভেঙে দেয়া — ইচ্ছাকৃত আঘাত হিসেবে সাধারণত স্বীকৃত ছিল না। পরিবর্তে, চিকিৎসকরা প্রায়শই হাড়ের অসুস্থতা নিয়ে পিতামাতার বর্ণনাকে গ্রহণ করতেন; যেমন ভুলবশত পড়ে যাওয়া বা দুষ্ট প্রতিবেশির আঘাত ইত্যাদি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/774395316|শিরোনাম=Childism : Confronting Prejudice Against Children|শেষাংশ=Young-Bruehl|প্রথমাংশ=Elisabeth|তারিখ=2012|প্রকাশক=Yale University Press|অবস্থান=New Haven|আইএসবিএন=978-0-300-17850-0|oclc=774395316}}</ref> |
||
= ধরন = |
== ধরন == |
||
সব পারিবারিক সহিংসতা একই রকম নয়। মাত্রার ভিন্নতা, তীব্রতা, উদ্দেশ্য এবং ফলাফলের পার্থক্য সবকিছুই উল্লেখযোগ্য। পারিবারিক সহিংসতা শারীরিক আগ্রাসন বা আক্রমণ (আঘাত করা, লাথি মারা, কামড় দেওয়া, চেঁচামেচি করা, বাধা দেয়া, চড় মারা, কোন কিছু ছুঁড়ে মারা, মারধর করা ইত্যাদি) বিভিন্ন হুমকি; যৌন নির্যাতন; নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্ব; ভয় দেখানো; লাঞ্ছিত করা; প্যাসিভ / পরোক্ষ নির্যাতন (উদাঃ, অবহেলা); এবং অর্থনৈতিক বঞ্চনা সহ অনেকগুলো রূপ নিতে পারে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/55137277|শিরোনাম=Domestic violence : a handbook for health professionals|শেষাংশ=Shipway|প্রথমাংশ=Lyn|তারিখ=2004|প্রকাশক=Routledge|অবস্থান=London|আইএসবিএন=0-203-48709-5|oclc=55137277}}</ref><ref name=":39">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1089/apc.2010.0235|শিরোনাম=Domestic Violence Screening: Prevalence and Outcomes in a Canadian HIV Population|শেষাংশ=Siemieniuk|প্রথমাংশ=Reed A.C.|শেষাংশ২=Krentz|প্রথমাংশ২=Hartmut B.|শেষাংশ৩=Gish|প্রথমাংশ৩=Jessica A.|শেষাংশ৪=Gill|প্রথমাংশ৪=M. John|তারিখ=2010-12|সাময়িকী=AIDS Patient Care and STDs|খণ্ড=24|সংখ্যা নং=12|পাতাসমূহ=763–770| |
সব পারিবারিক সহিংসতা একই রকম নয়। মাত্রার ভিন্নতা, তীব্রতা, উদ্দেশ্য এবং ফলাফলের পার্থক্য সবকিছুই উল্লেখযোগ্য। পারিবারিক সহিংসতা শারীরিক আগ্রাসন বা আক্রমণ (আঘাত করা, লাথি মারা, কামড় দেওয়া, চেঁচামেচি করা, বাধা দেয়া, চড় মারা, কোন কিছু ছুঁড়ে মারা, মারধর করা ইত্যাদি) বিভিন্ন হুমকি; যৌন নির্যাতন; নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্ব; ভয় দেখানো; লাঞ্ছিত করা; প্যাসিভ / পরোক্ষ নির্যাতন (উদাঃ, অবহেলা); এবং অর্থনৈতিক বঞ্চনা সহ অনেকগুলো রূপ নিতে পারে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/55137277|শিরোনাম=Domestic violence : a handbook for health professionals|শেষাংশ=Shipway|প্রথমাংশ=Lyn|তারিখ=2004|প্রকাশক=Routledge|অবস্থান=London|আইএসবিএন=0-203-48709-5|oclc=55137277}}</ref><ref name=":39">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1089/apc.2010.0235|শিরোনাম=Domestic Violence Screening: Prevalence and Outcomes in a Canadian HIV Population|শেষাংশ=Siemieniuk|প্রথমাংশ=Reed A.C.|শেষাংশ২=Krentz|প্রথমাংশ২=Hartmut B.|শেষাংশ৩=Gish|প্রথমাংশ৩=Jessica A.|শেষাংশ৪=Gill|প্রথমাংশ৪=M. John|তারিখ=2010-12|সাময়িকী=AIDS Patient Care and STDs|খণ্ড=24|সংখ্যা নং=12|পাতাসমূহ=763–770|ডিওআই=10.1089/apc.2010.0235|issn=1087-2914}}</ref> আবার বিপদ, অপরাধমূলক জবরদস্তি, অপহরণ, বেআইনী কারাদণ্ড, অপরাধহীনতা এবং হয়রানিও এর আওতায় পড়তে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781412963923.n317|শিরোনাম=National Network to End Domestic Violence|শেষাংশ=Else|প্রথমাংশ=Sue|শেষাংশ২=Randall|প্রথমাংশ২=Allison|সাময়িকী=Encyclopedia of Interpersonal Violence|প্রকাশক=SAGE Publications, Inc.|অবস্থান=2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States|আইএসবিএন=978-1-4129-1800-8}}</ref> |
||
==== শারীরিক ==== |
==== শারীরিক ==== |
||
শারীরিক নির্যাতন ভয়, বেদনা, আঘাত, অন্যান্য শারীরিক যন্ত্রণা বা শারীরিক ক্ষতি হওয়ার উদ্দেশ্যে সংঘটিত বিভিন্ন ক্রিয়া।<ref name=": |
শারীরিক নির্যাতন ভয়, বেদনা, আঘাত, অন্যান্য শারীরিক যন্ত্রণা বা শারীরিক ক্ষতি হওয়ার উদ্দেশ্যে সংঘটিত বিভিন্ন ক্রিয়া।<ref name=":15">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e478702006-001|শিরোনাম=Justice Department to spearhead President's Family Justice Center Initiative to better serve domestic violence victims|তারিখ=2003|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref><ref name=":15"/> দমনমূলক নিয়ন্ত্রণের প্রেক্ষাপটে বলা যায়, শারীরিক নির্যাতন করা হয় ভুক্তভোগীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/s11199-007-9378-y|শিরোনাম=Evan Stark, Coercive Control—Revitalizing a Movement|শেষাংশ=Cattaneo|প্রথমাংশ=Lauren Bennett|তারিখ=2008-01-15|সাময়িকী=Sex Roles|খণ্ড=58|সংখ্যা নং=7-8|পাতাসমূহ=592–594|ডিওআই=10.1007/s11199-007-9378-y|issn=0360-0025}}</ref> সম্পর্কের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের গতিপ্রকৃতি প্রায়শই জটিল। শারীরিক সহিংসতা হুমকি, ভয় দেখানো এবং বিচ্ছিন্নতার মাধ্যমে ভুক্তভোগীর আত্মপ্রত্যয়ের ওপর বাধা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অন্যান্য সীমাবদ্ধতা আরোপের সমন্বয়েও হতে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4095/295413|শিরোনাম=Council of Europe (CoE)|তারিখ=2007}}</ref> চিকিৎসা করাতে অনিচ্ছা, ঘুম থেকে বঞ্চিত করা এবং জোর করে মাদক বা অ্যালকোহল ব্যবহার করানোও শারীরিক নির্যাতনেরও নানারূপ।<ref name=":15"/> এমনকি ভুক্তভোগীর মানসিক ক্ষতি করার জন্য অন্যান্য লক্ষ্যবস্তু যেমন শিশু বা পোষা প্রাণীকে শারীরিক আঘাত করাও এর অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।<ref name=":16">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e508202011-001|শিরোনাম=Criminal justice response to domestic violence in later life|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref> |
||
পারিবারিক সহিংসতার প্রসঙ্গে শ্বাসরোধের বিষয়টি উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব পেয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2105/ajph.2014.302191|শিরোনাম=A Systematic Review of the Epidemiology of Nonfatal Strangulation, a Human Rights and Health Concern|শেষাংশ=Sorenson|প্রথমাংশ=Susan B.|শেষাংশ২=Joshi|প্রথমাংশ২=Manisha|শেষাংশ৩=Sivitz|প্রথমাংশ৩=Elizabeth|তারিখ=2014-11|সাময়িকী=American Journal of Public Health|খণ্ড=104|সংখ্যা নং=11|পাতাসমূহ=e54–e61| |
পারিবারিক সহিংসতার প্রসঙ্গে শ্বাসরোধের বিষয়টি উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব পেয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2105/ajph.2014.302191|শিরোনাম=A Systematic Review of the Epidemiology of Nonfatal Strangulation, a Human Rights and Health Concern|শেষাংশ=Sorenson|প্রথমাংশ=Susan B.|শেষাংশ২=Joshi|প্রথমাংশ২=Manisha|শেষাংশ৩=Sivitz|প্রথমাংশ৩=Elizabeth|তারিখ=2014-11|সাময়িকী=American Journal of Public Health|খণ্ড=104|সংখ্যা নং=11|পাতাসমূহ=e54–e61|ডিওআই=10.2105/ajph.2014.302191|issn=0090-0036}}</ref> এটি এখন পারিবারিক সহিংসতার অন্যতম মারাত্মক রূপ হিসাবে স্বীকৃত; তবুও, বাহ্যিক আঘাতের অভাব, এবং এটি সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা সেই সাথে চিকিৎসা প্রশিক্ষণের অভাব থাকায় শ্বাসরোধ করা প্রায়শই একটি গোপন সমস্যায় রূপ নেয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.32388/jsiz5t|শিরোনাম=Strangulation|তারিখ=2020-02-07|সাময়িকী=Definitions|প্রকাশক=Qeios}}</ref> ফলস্বরূপ, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলি রাজ্য শ্বাসরোধের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আইন কার্যকর করেছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.26616/nioshheta890692036|শিরোনাম=Health hazard evaluation report: HETA-89-069-2036, USA Today/Gannett Co., Inc., Rosslyn, Virginia.|তারিখ=1990-04-01}}</ref> |
||
পারিবারিক সহিংসতার ফলে পুরুষ হত্যাকাণ্ডের তুলনায় নারী হত্যাকাণ্ডের আনুপাতিক হার |
পারিবারিক সহিংসতার ফলে পুরুষ হত্যাকাণ্ডের তুলনায় নারী হত্যাকাণ্ডের আনুপাতিক হার বেশি লক্ষ্যণীয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ ভাগের এর বেশি নারী হত্যাকাণ্ড প্রাক্তন বা বর্তমান ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে।<ref name=":30">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.15585/mmwr.mm6628a1|শিরোনাম=Racial and Ethnic Differences in Homicides of Adult Women and the Role of Intimate Partner Violence — United States, 2003–2014|শেষাংশ=Petrosky|প্রথমাংশ=Emiko|শেষাংশ২=Blair|প্রথমাংশ২=Janet M.|শেষাংশ৩=Betz|প্রথমাংশ৩=Carter J.|শেষাংশ৪=Fowler|প্রথমাংশ৪=Katherine A.|শেষাংশ৫=Jack|প্রথমাংশ৫=Shane P.D.|শেষাংশ৬=Lyons|প্রথমাংশ৬=Bridget H.|তারিখ=2017-07-21|সাময়িকী=MMWR. Morbidity and Mortality Weekly Report|খণ্ড=66|সংখ্যা নং=28|পাতাসমূহ=741–746|ডিওআই=10.15585/mmwr.mm6628a1|issn=0149-2195}}</ref> যুক্তরাজ্যে, খুন হওয়া নারীদের ৩৮ শতাংশ নারী ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক নিহত হয়েছে, পুরুষদের ক্ষেত্রে এ হার ৬ শতাংশ। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইস্রায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিহত নারীদের ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ নিহত হয়েছেন তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর দ্বারা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/233543972|শিরোনাম=Death by domestic violence : preventing the murders and murder-suicides|শেষাংশ=Van Wormer|প্রথমাংশ=Katherine S.|তারিখ=2009|প্রকাশক=Praeger|অবস্থান=Westport, Conn.|অন্যান্য=Albert R. Roberts|আইএসবিএন=978-0-313-35489-2|oclc=233543972}}</ref> বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পৃথিবীর প্রায় ৩৮% নারী হত্যাকাণ্ড ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর দ্বারা সংঘটিত হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/ww/9780199540884.013.u44226|শিরোনাম=Lee, Jong-Wook, (12 April 1945–22 May 2006), Director-General, World Health Organization, since 2003|তারিখ=2007-12-01|সাময়িকী=Who Was Who|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> |
||
গর্ভাবস্থায়, একজন নারীর নির্যাতিত হওয়ার বা দীর্ঘস্থায়ী নির্যাতন তীব্রতর রূপ নেয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে যা মা এবং ভ্রূণের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1046/j.1471-0528.2003.02216.x|শিরোনাম=The prevalence of domestic violence in pregnant women|শেষাংশ=Johnson|প্রথমাংশ=J.K.|শেষাংশ২=Haider|প্রথমাংশ২=F.|শেষাংশ৩=Ellis|প্রথমাংশ৩=K.|শেষাংশ৪=Hay|প্রথমাংশ৪=D.M.|শেষাংশ৫=Lindow|প্রথমাংশ৫=S.W.|তারিখ=2003-03|সাময়িকী=BJOG: An International Journal of Obstetrics and Gynaecology|খণ্ড=110|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=272–275| |
গর্ভাবস্থায়, একজন নারীর নির্যাতিত হওয়ার বা দীর্ঘস্থায়ী নির্যাতন তীব্রতর রূপ নেয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে যা মা এবং ভ্রূণের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1046/j.1471-0528.2003.02216.x|শিরোনাম=The prevalence of domestic violence in pregnant women|শেষাংশ=Johnson|প্রথমাংশ=J.K.|শেষাংশ২=Haider|প্রথমাংশ২=F.|শেষাংশ৩=Ellis|প্রথমাংশ৩=K.|শেষাংশ৪=Hay|প্রথমাংশ৪=D.M.|শেষাংশ৫=Lindow|প্রথমাংশ৫=S.W.|তারিখ=2003-03|সাময়িকী=BJOG: An International Journal of Obstetrics and Gynaecology|খণ্ড=110|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=272–275|ডিওআই=10.1046/j.1471-0528.2003.02216.x|issn=1470-0328}}</ref>। গর্ভাবস্থা পারিবারিক সহিংসতার একটি বিরাম ব্যবস্থা বলা যেতে পারে যখন নির্যাতনকারী অনাগত সন্তানের ক্ষতি করতে চায় না। আর প্রসবের পর নারীদের প্রতি পারিবারিক সহিংসতার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1136/bmj.314.7090.1295|শিরোনাম=Domestic violence and pregnancy|শেষাংশ=Mezey|প্রথমাংশ=G. C|শেষাংশ২=Bewley|প্রথমাংশ২=S.|তারিখ=1997-05-03|সাময়িকী=BMJ|খণ্ড=314|সংখ্যা নং=7090|পাতাসমূহ=1295–1295|ডিওআই=10.1136/bmj.314.7090.1295|issn=0959-8138}}</ref> |
||
[[File:Acid attack victim.jpg|কম্বোডিয়ার একজন এসিডদগ্ধ নারী |
[[File:Acid attack victim.jpg|কম্বোডিয়ার একজন এসিডদগ্ধ নারী|thumb]] |
||
অ্যাসিড আক্রমণ সহিংসতার একটি চরম রূপ, যেখানে সাধারণত ভুক্তভোগীদের মুখের দিকে এসিড নিক্ষেপ করা হয়, ফলে দীর্ঘমেয়াদী অন্ধত্ব এবং স্থায়ী দাগ পড়া সহ ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/actrade/9780199668526.003.0002|শিরোনাম=Family Law|শেষাংশ=Herring|প্রথমাংশ=Jonathan|তারিখ=2014-02-27|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=2–26|আইএসবিএন=978-0-19-966852-6}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-3601-0138|শিরোনাম=stop-violence-against-women-cambodia-drafts-new-law-to-curb-acid-attacks-apr-30-2010|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315029634|শিরোনাম=Violence Against Women in Asian Societies|তারিখ=2013-09-13|সম্পাদক-শেষাংশ=Bennett|সম্পাদক-প্রথমাংশ=Linda Rae|সম্পাদক-শেষাংশ২=Manderson|সম্পাদক-প্রথমাংশ২=Lenore|ডিওআই=10.4324/9781315029634}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/1077801207302046|শিরোনাম=Negotiating State and NGO Politics in Bangladesh|শেষাংশ=Halim Chowdhury|প্রথমাংশ=Elora|তারিখ=2007-08|সাময়িকী=Violence Against Women|খণ্ড=13|সংখ্যা নং=8|পাতাসমূহ=857–873|ডিওআই=10.1177/1077801207302046|issn=1077-8012}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/55492660|শিরোনাম=Encyclopaedia of Muslim world|শেষাংশ=H.|প্রথমাংশ=Bahl, Taru. Syed, M.|তারিখ=2003|প্রকাশক=Anmol Publications|আইএসবিএন=81-261-1419-3|oclc=55492660}}</ref> এগুলো সাধারণত কোনও বিয়ের প্রস্তাব বা যৌন সম্পর্ক স্থাপন প্রত্যাখ্যান করার জন্য কোনও নারীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের একটি ধরন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/j.burns.2005.08.027|শিরোনাম=Psychosocial outcomes derived from an acid burned population in Bangladesh, and comparison with Western norms|শেষাংশ=Mannan|প্রথমাংশ=A.|শেষাংশ২=Ghani|প্রথমাংশ২=S.|শেষাংশ৩=Clarke|প্রথমাংশ৩=A.|শেষাংশ৪=White|প্রথমাংশ৪=P.|শেষাংশ৫=Salmanta|প্রথমাংশ৫=S.|শেষাংশ৬=Butler|প্রথমাংশ৬=P.E.M.|তারিখ=2006-03|সাময়িকী=Burns|খণ্ড=32|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=235–241|ডিওআই=10.1016/j.burns.2005.08.027|issn=0305-4179}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2139/ssrn.1861218|শিরোনাম=Combating Acid Violence in Bangladesh, India and Cambodia|শেষাংশ=Kalantry|প্রথমাংশ=Sital|শেষাংশ২=Getgen|প্রথমাংশ২=Jocelyn E.|তারিখ=2011|সাময়িকী=SSRN Electronic Journal|ডিওআই=10.2139/ssrn.1861218|issn=1556-5068}}</ref> |
|||
মধ্য প্রাচ্য এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে, ভুক্তভোগী ব্যক্তি পরিবার বা সম্প্রদায়ের জন্য অসম্মান বয়ে এনেছে বলে অভিযোগকারীদের বিশ্বাসের কারণে পরিকল্পিত পারিবারিক হত্যাকাণ্ড বা সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e319232004-001|শিরোনাম=PAHO treats violence as a public health hazard|তারিখ=2003|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/h0090139|শিরোনাম=Research reports: Domestic violence in primary care.|শেষাংশ=Campbell|প্রথমাংশ=Thomas L.|তারিখ=1997|সাময়িকী=Families, Systems, & Health|খণ্ড=15|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=345–350|ডিওআই=10.1037/h0090139|issn=1939-0602}}</ref> [[হিউম্যান রাইটস ওয়াচ|হিউম্যান রাইটস ওয়াচের]] মতে, নারীদের বিরুদ্ধে "পারিবারিকভাবে আয়োজিত বিয়েতে অস্বীকৃতি, যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া, বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়া বা ব্যাভিচারের অভিযোগে অভিযুক্ত নারীদের সাধারণত সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকান্ডের বা অনার কিলিং এর শিকার হতে হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-2156-0249|শিরোনাম=news-from-human-rights-watch-no5-g-september-11-attacks-crimes-against-humanity-the-aftermath-volume-1-october-15-2001-october-2001|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref> বিশ্বের কিছু কিছু অংশে বিয়ের আগে একজন নারীর কুমারিত্ব থাকাটা সামাজিকভাবে খুবই প্রত্যাশিত এবং সেখানে কোনও বধূ বিয়ের রাতে কুমারিত্ব প্রমাণ করতে না পারলে তাকে অনার কিলিং এর শিকার হতে হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/778698434|শিরোনাম=Honor killings in the twenty-first century|শেষাংশ=Pope|প্রথমাংশ=Nicole|তারিখ=2012|প্রকাশক=Palgrave Macmillan|অবস্থান=New York|আইএসবিএন=978-1-137-01266-1|oclc=778698434|সংস্করণ=1st ed}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.7748/ns.12.41.28.s35|শিরোনাম=NHS now|তারিখ=1998-07-XX|সাময়িকী=Nursing Standard|খণ্ড=12|সংখ্যা নং=41|পাতাসমূহ=28–29 Note that it is possible for a woman to not bleed the first time she has sex.[85] Sex outside marriage is illegal in many countries, including Saudi Arabia, Pakistan,[86] Afghanistan,[87][88][89] Iran,[89] Kuwait,[90] Maldives,[91] Morocco,[92] Oman,[93] Mauritania,[94] United Arab Emirates,[95][96] Qatar,[97] Sudan,[98] Yemen.[99]|ডিওআই=10.7748/ns.12.41.28.s35|issn=0029-6570}}</ref> |
|||
অ্যাসিড আক্রমণ সহিংসতার একটি চরম রূপ, যেখানে সাধারণত ভুক্তভোগীদের মুখের দিকে এসিড নিক্ষেপ করা হয়, ফলে দীর্ঘমেয়াদী অন্ধত্ব এবং স্থায়ী দাগ পড়া সহ ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/actrade/9780199668526.003.0002|শিরোনাম=Family Law|শেষাংশ=Herring|প্রথমাংশ=Jonathan|তারিখ=2014-02-27|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=2–26|আইএসবিএন=978-0-19-966852-6}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-3601-0138|শিরোনাম=stop-violence-against-women-cambodia-drafts-new-law-to-curb-acid-attacks-apr-30-2010|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315029634|শিরোনাম=Violence Against Women in Asian Societies|তারিখ=2013-09-13|সম্পাদক-শেষাংশ=Bennett|সম্পাদক-প্রথমাংশ=Linda Rae|সম্পাদক-শেষাংশ২=Manderson|সম্পাদক-প্রথমাংশ২=Lenore|doi=10.4324/9781315029634}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/1077801207302046|শিরোনাম=Negotiating State and NGO Politics in Bangladesh|শেষাংশ=Halim Chowdhury|প্রথমাংশ=Elora|তারিখ=2007-08|সাময়িকী=Violence Against Women|খণ্ড=13|সংখ্যা নং=8|পাতাসমূহ=857–873|doi=10.1177/1077801207302046|issn=1077-8012}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/55492660|শিরোনাম=Encyclopaedia of Muslim world|শেষাংশ=H.|প্রথমাংশ=Bahl, Taru. Syed, M.|তারিখ=2003|প্রকাশক=Anmol Publications|আইএসবিএন=81-261-1419-3|oclc=55492660}}</ref> এগুলো সাধারণত কোনও বিয়ের প্রস্তাব বা যৌন সম্পর্ক স্থাপন প্রত্যাখ্যান করার জন্য কোনও নারীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের একটি ধরন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/j.burns.2005.08.027|শিরোনাম=Psychosocial outcomes derived from an acid burned population in Bangladesh, and comparison with Western norms|শেষাংশ=Mannan|প্রথমাংশ=A.|শেষাংশ২=Ghani|প্রথমাংশ২=S.|শেষাংশ৩=Clarke|প্রথমাংশ৩=A.|শেষাংশ৪=White|প্রথমাংশ৪=P.|শেষাংশ৫=Salmanta|প্রথমাংশ৫=S.|শেষাংশ৬=Butler|প্রথমাংশ৬=P.E.M.|তারিখ=2006-03|সাময়িকী=Burns|খণ্ড=32|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=235–241|doi=10.1016/j.burns.2005.08.027|issn=0305-4179}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2139/ssrn.1861218|শিরোনাম=Combating Acid Violence in Bangladesh, India and Cambodia|শেষাংশ=Kalantry|প্রথমাংশ=Sital|শেষাংশ২=Getgen|প্রথমাংশ২=Jocelyn E.|তারিখ=2011|সাময়িকী=SSRN Electronic Journal|doi=10.2139/ssrn.1861218|issn=1556-5068}}</ref> |
|||
নববধূকে পুড়িয়ে মারা বা যৌতুকজনিত হত্যা বলতে পারিবারিক সহিংসতার এমন একটি ধারাকে বোঝায় যেখানে সদ্য বিবাহিত নারীকে তার পরিবার কর্তৃক প্রদত্ত যৌতুকের প্রতি অসন্তুষ্টির কারণে স্বামী বা স্বামীর পরিবার বাড়িতে হত্যা করে। এ ঘটনা প্রায়শই বিয়ের পরে বেশি হয় বা দীর্ঘমেয়াদী যৌতুকের দাবির প্রেক্ষিতে হয়ে থাকে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1080/02646811.2014.11435358|শিরোনাম=Book Review|শেষাংশ=Lakhani|প্রথমাংশ=Avnita|তারিখ=2014-05|সাময়িকী=Journal of Energy & Natural Resources Law|খণ্ড=32|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=203–224|ডিওআই=10.1080/02646811.2014.11435358|issn=0264-6811}}</ref> যৌতুক সহিংসতা দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষত ভারতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ২০১১ সালে, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো ভারতে ৮৬১৮টি যৌতুকজনিত মৃত্যুর খবর দিয়েছে, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিসংখ্যানগুলো এই পরিমাণের কমপক্ষে তিনগুণ হবে বলে অনুমান করা হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.18356/e9cb9eae-en|শিরোনাম=Confronting violence against women|শেষাংশ=Manuh|প্রথমাংশ=Takyiwaa|শেষাংশ২=Bekoe|প্রথমাংশ২=Adolf Awuku|তারিখ=2012-04-17|সাময়িকী=UN Chronicle|খণ্ড=47|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=12–15|ডিওআই=10.18356/e9cb9eae-en|issn=1564-3913}}</ref> |
|||
মধ্য প্রাচ্য এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে, ভুক্তভোগী ব্যক্তি পরিবার বা সম্প্রদায়ের জন্য অসম্মান বয়ে এনেছে বলে অভিযোগকারীদের বিশ্বাসের কারণে পরিকল্পিত পারিবারিক হত্যাকাণ্ড বা সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e319232004-001|শিরোনাম=PAHO treats violence as a public health hazard|তারিখ=2003|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/h0090139|শিরোনাম=Research reports: Domestic violence in primary care.|শেষাংশ=Campbell|প্রথমাংশ=Thomas L.|তারিখ=1997|সাময়িকী=Families, Systems, & Health|খণ্ড=15|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=345–350|doi=10.1037/h0090139|issn=1939-0602}}</ref> হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, নারীদের বিরুদ্ধে "পারিবারিকভাবে আয়োজিত বিয়েতে অস্বীকৃতি, যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া, বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়া বা ব্যাভিচারের অভিযোগে অভিযুক্ত নারীদের সাধারণত সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকান্ডের বা অনার কিলিং এর শিকার হতে হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-2156-0249|শিরোনাম=news-from-human-rights-watch-no5-g-september-11-attacks-crimes-against-humanity-the-aftermath-volume-1-october-15-2001-october-2001|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref> বিশ্বের কিছু কিছু অংশে বিয়ের আগে একজন নারীর কুমারিত্ব থাকাটা সামাজিকভাবে খুবই প্রত্যাশিত এবং সেখানে কোনও বধূ বিয়ের রাতে কুমারিত্ব প্রমাণ করতে না পারলে তাকে অনার কিলিং এর শিকার হতে হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/778698434|শিরোনাম=Honor killings in the twenty-first century|শেষাংশ=Pope|প্রথমাংশ=Nicole|তারিখ=2012|প্রকাশক=Palgrave Macmillan|অবস্থান=New York|আইএসবিএন=978-1-137-01266-1|oclc=778698434|সংস্করণ=1st ed}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.7748/ns.12.41.28.s35|শিরোনাম=NHS now|তারিখ=1998-07-XX|সাময়িকী=Nursing Standard|খণ্ড=12|সংখ্যা নং=41|পাতাসমূহ=28–29 Note that it is possible for a woman to not bleed the first time she has sex.[85] Sex outside marriage is illegal in many countries, including Saudi Arabia, Pakistan,[86] Afghanistan,[87][88][89] Iran,[89] Kuwait,[90] Maldives,[91] Morocco,[92] Oman,[93] Mauritania,[94] United Arab Emirates,[95][96] Qatar,[97] Sudan,[98] Yemen.[99]|doi=10.7748/ns.12.41.28.s35|issn=0029-6570}}</ref> |
|||
নববধূকে পুড়িয়ে মারা বা যৌতুকজনিত হত্যা বলতে পারিবারিক সহিংসতার এমন একটি ধারাকে বোঝায় যেখানে সদ্য বিবাহিত নারীকে তার পরিবার কর্তৃক প্রদত্ত যৌতুকের প্রতি অসন্তুষ্টির কারণে স্বামী বা স্বামীর পরিবার বাড়িতে হত্যা করে। এ ঘটনা প্রায়শই বিয়ের পরে বেশি হয় বা দীর্ঘমেয়াদী যৌতুকের দাবির প্রেক্ষিতে হয়ে থাকে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1080/02646811.2014.11435358|শিরোনাম=Book Review|শেষাংশ=Lakhani|প্রথমাংশ=Avnita|তারিখ=2014-05|সাময়িকী=Journal of Energy & Natural Resources Law|খণ্ড=32|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=203–224|doi=10.1080/02646811.2014.11435358|issn=0264-6811}}</ref> যৌতুক সহিংসতা দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষত ভারতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ২০১১ সালে, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো ভারতে ৮৬১৮টি যৌতুকজনিত মৃত্যুর খবর দিয়েছে, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিসংখ্যানগুলো এই পরিমাণের কমপক্ষে তিনগুণ হবে বলে অনুমান করা হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.18356/e9cb9eae-en|শিরোনাম=Confronting violence against women|শেষাংশ=Manuh|প্রথমাংশ=Takyiwaa|শেষাংশ২=Bekoe|প্রথমাংশ২=Adolf Awuku|তারিখ=2012-04-17|সাময়িকী=UN Chronicle|খণ্ড=47|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=12–15|doi=10.18356/e9cb9eae-en|issn=1564-3913}}</ref> |
|||
==== যৌন ==== |
==== যৌন ==== |
||
{| class="wikitable sortable" style="float:right;" |
{| class="wikitable sortable" style="float:right;" |
||
|+নব্বই দশকের |
|+নব্বই দশকের শেষদিকে ঘনিষ্ঠ পুরুষ সঙ্গী কর্তৃক যৌন সহিংসতার প্রচেষ্টা ও প্রকৃত সহিংসতার শিকার প্রতিবেদন দাখিলকৃত নারীদের হার।<ref name="Seager">{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = Seager | প্রথমাংশ = Joni | শিরোনাম = The Penguin atlas of women in the world | প্রকাশক = Penguin Books | অবস্থান = New York | বছর = 2009 | সংস্করণ = 4th | আইএসবিএন = 9780143114512 | ইউআরএল = https://archive.org/details/isbn_9780143114512 }}</ref> |
||
|- |
|- |
||
! দেশ !! শতাংশ |
! দেশ !! শতাংশ |
||
৮৪ নং লাইন: | ১০৮ নং লাইন: | ||
|} |
|} |
||
[[File:FGM prevalence UNICEF 2013.svg|right|thumb|[[Female genital mutilation]] (FGM) বা নারী জননাঙ্গ বিচ্ছেদ এই ২৯টি দেশেই ব্যাপক হারে লক্ষ্যণীয়।<ref name=childinfo>{{ |
[[File:FGM prevalence UNICEF 2013.svg|right|thumb|[[Female genital mutilation]] (FGM) বা নারী জননাঙ্গ বিচ্ছেদ এই ২৯টি দেশেই ব্যাপক হারে লক্ষ্যণীয়।<ref name=childinfo>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | শেষাংশ= UNICEF | লেখক-সংযোগ = UNICEF |শিরোনাম=Prevalence of FGM/C | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20150715233215/http://data.unicef.org/child-protection/fgmc | আর্কাইভের-তারিখ = 15 July 2015 | ইউআরএল = http://data.unicef.org/child-protection/fgmc | প্রকাশক = [[UNICEF]] |সংগ্রহের-তারিখ=18 August 2014| তারিখ = 2014-07-22 }}</ref> ডব্লিওএইচও এর যৌন সহিংসতার সংজ্ঞায় এফজিএম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। <ref name="World Health Organization 2002. pp. 17">{{citation | last1 = WHO | author-link1 = World Health Organization | contribution = The forms and contexts of violence | editor-last1 = WHO | editor-link1 = World Health Organization | title = World report on violence and health: summary | url =https://www.who.int/violence_injury_prevention/violence/world_report/en/ | pages = 17–18 | publisher = World Health Organization | location = Geneva, Switzerland | date = 2002 | url-status = live | archive-url = https://web.archive.org/web/20150822172354/http://www.who.int/violence_injury_prevention/violence/world_report/en/ | archive-date = 2015-08-22 }}</ref><ref name="ReferenceA">{{citation | last1 = WHO | author-link1 = World Health Organization | contribution = Sexual violence: prevalence, dynamics and consequences | editor-last1 = WHO | editor-link1 = World Health Organization | title = Guidelines for medico-legal care for victims of sexual violence | url =https://www.who.int/violence_injury_prevention/resources/publications/med_leg_guidelines/en/print.html | pages = 6–16 | publisher = World Health Organization | location = Geneva, Switzerland | isbn = 9789241546287 | url-status = dead | archive-url = https://web.archive.org/web/20151128012802/http://www.who.int/violence_injury_prevention/resources/publications/med_leg_guidelines/en/print.html | archive-date = 2015-11-28 | year = 2003 }}</ref>]] |
||
পাচার |
পাচার বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক যেকোন যৌন ক্রিয়া, যৌন ক্রিয়া লাভের প্রচেষ্টা, অযাচিত যৌন মন্তব্য বা আচরণ করা হলে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞায়ন অনুসারে তাকে যৌন নির্যাতন বলা হয়। এর মধ্যে বাধ্যতামূলক কুমারীত্ব প্রদর্শন এবং নারী জননাঙ্গ বিচ্ছেদ করাও অন্তর্ভুক্ত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e459952004-001|শিরোনাম=WHO Expert Committee on Drug Dependence: Twenty-first report.|তারিখ=1978|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref> শারীরিক জোর প্রয়োগে যৌন ক্রিয়াকলাপের সূচনা ছাড়াও যদি কোনও ব্যক্তিকে মৌখিকভাবে এ বিষয়ে সম্মতি প্রদানের জন্য চাপ দেয়া হয় সেটিও যৌন নির্যাতন হিসেবে বিবেচিত<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e721372007-001|শিরোনাম=Sexual Violence Prevention: Beginning the Dialogue|তারিখ=2004|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref> যেখানে ব্যক্তি ক্রিয়ার প্রকৃতি বুঝতে অক্ষম, অংশগ্রহণে 'না' বলতে অক্ষম বা যৌনক্রিয়ায় অনিচ্ছা বা অনাগ্রহ প্রকাশেও অক্ষম। অপ্রাপ্তবয়স্কতা, অপরিপক্কতা, অসুস্থতা, অক্ষমতা বা অ্যালকোহল বা অন্যান্য মাদকের প্রভাব কিংবা ভয় দেখানো বা চাপের কারণে এ ধরনের বিষয়গুলো হতে পারে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/757941537|শিরোনাম=Living with paradoxes : victims of sexual violence and their conduct of everyday life|শেষাংশ=Kappler|প্রথমাংশ=Karolin Eva|তারিখ=2012|প্রকাশক=VS Verlag für Sozialwissenschaften / Springer Fachmedien Wiesbaden GmbH|অবস্থান=Wiesbaden|আইএসবিএন=978-3-531-94003-8|oclc=757941537|সংস্করণ=1. ed}}</ref> |
||
অনেক সংস্কৃতিতে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিরা তাদের পরিবারে অসম্মান বা লাঞ্ছনা নিয়ে এসেছে বলে বিবেচনা করা হয় এবং তারা সম্মান রক্ষার্থে হত্যাসহ কঠোর পারিবারিক সহিংসতার মুখোমুখি হন<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/ww/9780199540884.013.u245839|শিরোনাম=Morgan, Christine Lesley, (born 4 May 1958), Head of Radio, BBC Religion and Ethics, since 2009|তারিখ=2007-12-01|সাময়িকী=Who's Who|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref>। এ ধরনের ঘটনা সাধারণত ভুক্তভোগী গর্ভবতী হওয়া সাপেক্ষে ঘটে থাকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-9211-0444|শিরোনাম=libya-urged-to-thoroughly-investigate-1996-mass-prison-killings-june-29-2010|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref> |
অনেক সংস্কৃতিতে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিরা তাদের পরিবারে অসম্মান বা লাঞ্ছনা নিয়ে এসেছে বলে বিবেচনা করা হয় এবং তারা সম্মান রক্ষার্থে হত্যাসহ কঠোর পারিবারিক সহিংসতার মুখোমুখি হন<ref name="Morgan, Christine Lesley 1958">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/ww/9780199540884.013.u245839|শিরোনাম=Morgan, Christine Lesley, (born 4 May 1958), Head of Radio, BBC Religion and Ethics, since 2009|তারিখ=2007-12-01|সাময়িকী=Who's Who|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref>। এ ধরনের ঘটনা সাধারণত ভুক্তভোগী গর্ভবতী হওয়া সাপেক্ষে ঘটে থাকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-9211-0444|শিরোনাম=libya-urged-to-thoroughly-investigate-1996-mass-prison-killings-june-29-2010|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref> |
||
নারী জননাঙ্গ বিচ্ছেদকে ডব্লিউএইচও দ্বারা সংজ্ঞায় বলা হয়েছে "নারীর বাহ্যিক জননাঙ্গের আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ বা চিকিৎসাজনিত কারণ ছাড়া নারী জননাঙ্গের অন্যান্য আঘাতের সাথে জড়িত সমস্ত প্রক্রিয়া"। এই প্রক্রিয়া আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্যের ২৯ টি দেশে বর্তমানে জীবিত ১২৫ মিলিয়নেরও বেশি নারীর উপর সংঘটিত হয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2471/blt.14.020114|শিরোনাম=Slow progress in ending female genital mutilation|তারিখ=2014-01-01|সাময়িকী=Bulletin of the World Health Organization|খণ্ড=92|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=6–7| |
নারী জননাঙ্গ বিচ্ছেদকে ডব্লিউএইচও দ্বারা সংজ্ঞায় বলা হয়েছে "নারীর বাহ্যিক জননাঙ্গের আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ বা চিকিৎসাজনিত কারণ ছাড়া নারী জননাঙ্গের অন্যান্য আঘাতের সাথে জড়িত সমস্ত প্রক্রিয়া"। এই প্রক্রিয়া আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্যের ২৯ টি দেশে বর্তমানে জীবিত ১২৫ মিলিয়নেরও বেশি নারীর উপর সংঘটিত হয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2471/blt.14.020114|শিরোনাম=Slow progress in ending female genital mutilation|তারিখ=2014-01-01|সাময়িকী=Bulletin of the World Health Organization|খণ্ড=92|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=6–7|ডিওআই=10.2471/blt.14.020114|issn=0042-9686}}</ref> |
||
পারিবারিক যৌন সহিংসতার অন্যতম রূপ অজাচার, বা একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও একটি শিশুর মধ্যে যৌন যোগাযোগ। কিছু সংস্কৃতিতে, পরিবারের জ্ঞান এবং সম্মতিতে শিশু যৌন নিপীড়নের রীতিনীতিগুলো রয়েছে, যেখানে হয়ত অর্থ বা মালামালের বিনিময়ে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের সাথে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মালাউইতে কিছু বাবা-মা তাদের কন্যাদের যৌন দীক্ষা দেয়ার জন্য একজন বয়স্ক ব্যক্তির সাথে যৌনক্রিয়া করানোর ব্যবস্থা করে থাকেন। বয়স্ক ব্যক্তিটি সাধারণত "হায়না" বলা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5040/9781350118447.0008|শিরোনাম=The Churchill Documents|তারিখ=2015|প্রকাশক=C & T Publications Limited|আইএসবিএন=978-1-350-11844-7}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/s12117-998-1055-1|শিরোনাম=End child prostitution, child pornography and the trafficking of children for sexual purposes|তারিখ=1998-06-XX|সাময়িকী=Trends in Organized Crime|খণ্ড=3|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=47–52| |
পারিবারিক যৌন সহিংসতার অন্যতম রূপ অজাচার, বা একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও একটি শিশুর মধ্যে যৌন যোগাযোগ। কিছু সংস্কৃতিতে, পরিবারের জ্ঞান এবং সম্মতিতে শিশু যৌন নিপীড়নের রীতিনীতিগুলো রয়েছে, যেখানে হয়ত অর্থ বা মালামালের বিনিময়ে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের সাথে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মালাউইতে কিছু বাবা-মা তাদের কন্যাদের যৌন দীক্ষা দেয়ার জন্য একজন বয়স্ক ব্যক্তির সাথে যৌনক্রিয়া করানোর ব্যবস্থা করে থাকেন। বয়স্ক ব্যক্তিটি সাধারণত "হায়না" বলা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5040/9781350118447.0008|শিরোনাম=The Churchill Documents|তারিখ=2015|প্রকাশক=C & T Publications Limited|আইএসবিএন=978-1-350-11844-7}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/s12117-998-1055-1|শিরোনাম=End child prostitution, child pornography and the trafficking of children for sexual purposes|তারিখ=1998-06-XX|সাময়িকী=Trends in Organized Crime|খণ্ড=3|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=47–52|ডিওআই=10.1007/s12117-998-1055-1|issn=1084-4791}}</ref> যৌন শোষণ এবং যৌন নিগ্রহের বিরুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষা সম্পর্কিত কাউন্সিল অফ ইউরোপ কনভেনশনটি<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/698919558|শিরোনাম=Council of Europe Convention on the protection of children against sexual exploitation and sexual abuse : CETS No. 201 opened for signature in Lanzarote (Spain) on 25 October 2007 and explanatory report.|শেষাংশ=Europe.|প্রথমাংশ=Council of|তারিখ=2008|প্রকাশক=Council of Europe Publ|আইএসবিএন=978-92-871-6350-9|oclc=698919558}}</ref> বাসা বা পরিবারের মধ্যে ঘটে যাওয়া শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতনের সমাধানের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি ছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1002/pa.1505|শিরোনাম=Public affairs in the Czech Republic: an exploratory study of the current situation|শেষাংশ=Kollmannová|প্রথমাংশ=Denisa Kasl|শেষাংশ২=Matušková|প্রথমাংশ২=Anna|তারিখ=2014-01-16|সাময়িকী=Journal of Public Affairs|খণ্ড=14|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=54–66|ডিওআই=10.1002/pa.1505|issn=1472-3891}}</ref> |
||
জবরদস্তিমূলক প্রজনন বা জোরপূর্বক প্রজনন এক ধরনের হুমকি বা সঙ্গীর প্রজনন অধিকার, স্বাস্থ্য এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিরুদ্ধে সহিংসতা; এবং তাকে গর্ভবতী বা গর্ভাবস্থার অবসান ঘটাতে চাপ বা চাপিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা বিভিন্ন আচরণের সমন্বয়কে বোঝায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e604872012-001|শিরোনাম=1 in 4 Callers to the National Domestic Violence Hotline Report Birth Control Sabotage and Pregnancy Coercion|তারিখ=2011|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref> জবরদস্তিমূলক প্রজননের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌনক্রিয়া, গর্ভনিরোধক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভয় বা অক্ষমতা, যৌনতা প্রত্যাখ্যান করার পরে সহিংসতার ভয় এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেয়ার ক্ষেত্রে নির্যাতনকারী সঙ্গীর হস্তক্ষেপের বিষয়গুলোও জড়িত।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1089/blr.1999.18.360c|শিরোনাম={BLR 2966} Financial Planning–Medscape–WWW|তারিখ=1999-08-XX|সাময়িকী=Biotechnology Law Report|খণ্ড=18|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=360–360| |
জবরদস্তিমূলক প্রজনন বা জোরপূর্বক প্রজনন এক ধরনের হুমকি বা সঙ্গীর প্রজনন অধিকার, স্বাস্থ্য এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিরুদ্ধে সহিংসতা; এবং তাকে গর্ভবতী বা গর্ভাবস্থার অবসান ঘটাতে চাপ বা চাপিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা বিভিন্ন আচরণের সমন্বয়কে বোঝায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e604872012-001|শিরোনাম=1 in 4 Callers to the National Domestic Violence Hotline Report Birth Control Sabotage and Pregnancy Coercion|তারিখ=2011|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref> জবরদস্তিমূলক প্রজননের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌনক্রিয়া, গর্ভনিরোধক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভয় বা অক্ষমতা, যৌনতা প্রত্যাখ্যান করার পরে সহিংসতার ভয় এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেয়ার ক্ষেত্রে নির্যাতনকারী সঙ্গীর হস্তক্ষেপের বিষয়গুলোও জড়িত।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1089/blr.1999.18.360c|শিরোনাম={BLR 2966} Financial Planning–Medscape–WWW|তারিখ=1999-08-XX|সাময়িকী=Biotechnology Law Report|খণ্ড=18|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=360–360|ডিওআই=10.1089/blr.1999.18.360c|issn=0730-031X}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/j.contraception.2010.02.023|শিরোনাম=Reproductive coercion: connecting the dots between partner violence and unintended pregnancy|শেষাংশ=Miller|প্রথমাংশ=Elizabeth|শেষাংশ২=Jordan|প্রথমাংশ২=Beth|শেষাংশ৩=Levenson|প্রথমাংশ৩=Rebecca|শেষাংশ৪=Silverman|প্রথমাংশ৪=Jay G.|তারিখ=2010-06|সাময়িকী=Contraception|খণ্ড=81|সংখ্যা নং=6|পাতাসমূহ=457–459|ডিওআই=10.1016/j.contraception.2010.02.023|issn=0010-7824}}</ref> |
||
কিছু সংস্কৃতিতে বিয়ের মাধ্যমে নারীকে প্রজননে বাধ্য করার সামাজিক বাধ্যবাধকতা দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, উত্তরের ঘানাতে নববধূকে যে অর্থ দেয়া হয় তা মূলত সন্তান জন্মদানের জন্য সে নারীর প্রয়োজনীতাকে তাৎপর্যবহ করে তোলে এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করা নারীরা সহিংসতা ও প্রতিশোধের হুমকির মুখোমুখি হন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1111/j.1728-4465.1999.00054.x|শিরোনাম=Women's Fears and Men's Anxieties: The Impact of Family Planning on Gender Relations in Northern Ghana|শেষাংশ=Bawah|প্রথমাংশ=Ayaga Agula|শেষাংশ২=Akweongo|প্রথমাংশ২=Patricia|শেষাংশ৩=Simmons|প্রথমাংশ৩=Ruth|শেষাংশ৪=Phillips|প্রথমাংশ৪=James F.|তারিখ=1999-03-XX|সাময়িকী=Studies in Family Planning|খণ্ড=30|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=54–66| |
কিছু সংস্কৃতিতে বিয়ের মাধ্যমে নারীকে প্রজননে বাধ্য করার সামাজিক বাধ্যবাধকতা দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, উত্তরের ঘানাতে নববধূকে যে অর্থ দেয়া হয় তা মূলত সন্তান জন্মদানের জন্য সে নারীর প্রয়োজনীতাকে তাৎপর্যবহ করে তোলে এবং [[জন্ম নিয়ন্ত্রণ]] ব্যবহার করা নারীরা সহিংসতা ও প্রতিশোধের হুমকির মুখোমুখি হন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1111/j.1728-4465.1999.00054.x|শিরোনাম=Women's Fears and Men's Anxieties: The Impact of Family Planning on Gender Relations in Northern Ghana|শেষাংশ=Bawah|প্রথমাংশ=Ayaga Agula|শেষাংশ২=Akweongo|প্রথমাংশ২=Patricia|শেষাংশ৩=Simmons|প্রথমাংশ৩=Ruth|শেষাংশ৪=Phillips|প্রথমাংশ৪=James F.|তারিখ=1999-03-XX|সাময়িকী=Studies in Family Planning|খণ্ড=30|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=54–66|ডিওআই=10.1111/j.1728-4465.1999.00054.x|issn=0039-3665}}</ref> ডব্লিউএইচও জোরপূর্বক বিবাহ, সহবাস এবং গর্ভাবস্থা, উত্তরাধিকার সূত্রে স্ত্রী গ্রহণকে যৌন সহিংসতার সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করেছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/57625516|শিরোনাম=Guidelines for medico-legal care for victims of sexual violence.|তারিখ=2003|প্রকাশক=World Health Organization|অবস্থান=Geneva|অন্যান্য=Women and Health World Health Organization. Department of Gender, World Health Organization. Injuries and Violence Prevention Department|আইএসবিএন=978-92-4-154628-7|oclc=57625516}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1057/palgrave.development.1110280|শিরোনাম=The World Health Organization Addressing Violence Against Women|শেষাংশ=Garcia-Moreno|প্রথমাংশ=Claudia|তারিখ=2001-09|সাময়িকী=Development|খণ্ড=44|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=129–132|ডিওআই=10.1057/palgrave.development.1110280|issn=1011-6370}}</ref> উত্তরাধিকার সূত্রে স্ত্রী গ্রহণ, বা লেভিরেট বিবাহ এমন এক ধরনের বিবাহ যেখানে মৃত ব্যক্তির ভাই তার বিধবার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং বিধবা তার মৃত স্বামীর ভাইকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। |
||
স্ত্রীর অসম্মতিতে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে অনুপ্রবেশ করাকে বৈবাহিক ধর্ষণ বলা হয়। এ বিষটি বহু দেশে প্রতিবেদনবিহীন, তদন্ত-বিহীন এবং আইনসম্মত, কেননা মনে করা হয়, বিয়ের মাধ্যমে কোনও নারী তার স্বামীকে যখন ইচ্ছে তার সঙ্গে যৌনমিলনের জন্য অবিচ্ছেদ্য সম্মতি দেয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/3583398|শিরোনাম=An Empirical Investigation of Attitudes towards Wife-Beating among Men and Women in Seven Sub-Saharan African Countries|শেষাংশ=Rani|প্রথমাংশ=Manju|শেষাংশ২=Bonu|প্রথমাংশ২=Sekhar|শেষাংশ৩=Diop-Sidibe|প্রথমাংশ৩=Nafissatou|তারিখ=2004-12|সাময়িকী=African Journal of Reproductive Health|খণ্ড=8|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=116| |
স্ত্রীর অসম্মতিতে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে অনুপ্রবেশ করাকে বৈবাহিক ধর্ষণ বলা হয়। এ বিষটি বহু দেশে প্রতিবেদনবিহীন, তদন্ত-বিহীন এবং আইনসম্মত, কেননা মনে করা হয়, বিয়ের মাধ্যমে কোনও নারী তার স্বামীকে যখন ইচ্ছে তার সঙ্গে যৌনমিলনের জন্য অবিচ্ছেদ্য সম্মতি দেয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/3583398|শিরোনাম=An Empirical Investigation of Attitudes towards Wife-Beating among Men and Women in Seven Sub-Saharan African Countries|শেষাংশ=Rani|প্রথমাংশ=Manju|শেষাংশ২=Bonu|প্রথমাংশ২=Sekhar|শেষাংশ৩=Diop-Sidibe|প্রথমাংশ৩=Nafissatou|তারিখ=2004-12|সাময়িকী=African Journal of Reproductive Health|খণ্ড=8|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=116|ডিওআই=10.2307/3583398|issn=1118-4841}}</ref> উদাহরণস্বরূপ, লেবাননে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করার প্রস্তাবিত আইন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সুন্নি ধর্মীয় আদালতের বিচারক শাইখ আহমদ আল-কুরদী বলেন, আইনটি "আসলে এমন একজন ব্যক্তিকে কারাবাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে যেখানে তিনি বাস্তবে তার বৈবাহিক নূন্যতম অধিকারটুকুই ব্যবহার করছেন।"<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5040/9781782258636.ch-005|শিরোনাম=The Right to Say No : Marital Rape and Law Reform in Canada, Ghana, Kenya and Malawi|প্রকাশক=Hart Publishing|আইএসবিএন=978-1-78225-860-5}}</ref> নারীবাদীরা ১৯৬০ এর দশক থেকে আন্তর্জাতিকভাবে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ গণ্য করার জন্য পদ্ধতিগতভাবে কাজ করেছেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/3481263|শিরোনাম=Contest and Consent: A Legal History of Marital Rape|শেষাংশ=Hasday|প্রথমাংশ=Jill Elaine|তারিখ=2000-10|সাময়িকী=California Law Review|খণ্ড=88|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=1373|ডিওআই=10.2307/3481263|issn=0008-1221}}</ref> ২০০৬ সালে, জাতিসংঘের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কমপক্ষে ১০৪ টি দেশে বৈবাহিক ধর্ষণ একটি মামলাযোগ্য অপরাধ ছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.18356/26f29c20-en|শিরোনাম=Ending Violence Against Women|তারিখ=2009-01-29|প্রকাশক=UN|পাতাসমূহ=101–130|আইএসবিএন=978-92-1-156245-3}}</ref> একসময় আইন ও সমাজ কর্তৃক ব্যাপকভাবে অবহেলা ও উপেক্ষার শিকার হয়ে থাকা বৈবাহিক ধর্ষণ এখন আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলো দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। যে দেশগুলি নারী ও গৃহস্থালি সহিংসতা প্রতিরোধ ও লড়াইয়ের বিরুদ্ধে ইউরোপের প্রথম আইনী বাধ্যতা স্থাপনমূলক বিধি<ref name=":31"/> কাউন্সিল অফ ইউরোপ কনভেনশন অন প্রিভেন্টিং এন্ড কমব্যাটিং ভায়োলেন্স এগেইনস্ট ওম্যান এন্ড ডমেস্টিক ভায়োলেন্স কে অনুমোদন দিয়েছে, তারা সম্মতিহীন যৌনতা স্থাপনের অবৈধতা নিশ্চিত করতে আইনত বাধ্য।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/he/9780198848783.003.0008|শিরোনাম=Criminal Law Directions|শেষাংশ=Monaghan|প্রথমাংশ=Nicola|তারিখ=2020-02-20|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=192–230|আইএসবিএন=978-0-19-884878-3}}</ref> সম্মেলনটি আগস্ট ২০১৪ থেকে কার্যকর হয়েছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/s0090599200004931|শিরোনাম=Council of Europe: Chart of Signatures and Ratifications1|তারিখ=1999-03-XX|সাময়িকী=Nationalities Papers|খণ্ড=27|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=155–155|ডিওআই=10.1017/s0090599200004931|issn=0090-5992}}</ref> |
||
==== মানসিক ==== |
==== মানসিক ==== |
||
আবেগপ্রসূত নির্যাতন বা মানসিক নির্যাতন আচরণের এমন একটি ধারা যা হুমকী দেয়, ভয় দেখায়, অমানবিক করে দেয় বা ধীরে ধীরে নিজের মূল্য হ্রাস করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/088626000015009001|শিরোনাম=Defining Psychological Abuse of Husbands Toward Wives|শেষাংশ=FOLLINGSTAD|প্রথমাংশ=DIANE R.|শেষাংশ২=DeHART|প্রথমাংশ২=DANA D.|তারিখ=2000-09|সাময়িকী=Journal of Interpersonal Violence|খণ্ড=15|সংখ্যা নং=9|পাতাসমূহ=891–920| |
আবেগপ্রসূত নির্যাতন বা মানসিক নির্যাতন আচরণের এমন একটি ধারা যা হুমকী দেয়, ভয় দেখায়, অমানবিক করে দেয় বা ধীরে ধীরে নিজের মূল্য হ্রাস করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/088626000015009001|শিরোনাম=Defining Psychological Abuse of Husbands Toward Wives|শেষাংশ=FOLLINGSTAD|প্রথমাংশ=DIANE R.|শেষাংশ২=DeHART|প্রথমাংশ২=DANA D.|তারিখ=2000-09|সাময়িকী=Journal of Interpersonal Violence|খণ্ড=15|সংখ্যা নং=9|পাতাসমূহ=891–920|ডিওআই=10.1177/088626000015009001|issn=0886-2605}}</ref> ইস্তাম্বুল কনভেনশন অনুযায়ী মানসিক সহিংসতা হল "জবরদস্তি বা হুমকির মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মানসিক স্বাতন্ত্র্যকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ইচ্ছাকৃত আচরণ"।<ref name=":31"/> |
||
মানসিক নির্যাতনের মধ্যে হ্রাস, হুমকি, বিচ্ছিন্নতা, জনসমক্ষে লাঞ্ছনা, নিরলস সমালোচনা, অনবরত ব্যক্তিগত অবমূল্যায়ন, জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ বা সহযোগীতা করতে অস্বীকার এবং ব্যক্তির নিজের সম্পর্কে সন্দেহ প্রবেশ করানো অন্তর্ভুক্ত।<ref name=":14" /><ref name=":16" /><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5840/socphiltoday201971660|শিরোনাম=Gaslighting by Crowd|শেষাংশ=Adkins|প্রথমাংশ=Karen C.|তারিখ=2019|সাময়িকী=Social Philosophy Today|খণ্ড=35|পাতাসমূহ=75–87| |
মানসিক নির্যাতনের মধ্যে হ্রাস, হুমকি, বিচ্ছিন্নতা, জনসমক্ষে লাঞ্ছনা, নিরলস সমালোচনা, অনবরত ব্যক্তিগত অবমূল্যায়ন, জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ বা সহযোগীতা করতে অস্বীকার এবং ব্যক্তির নিজের সম্পর্কে সন্দেহ প্রবেশ করানো অন্তর্ভুক্ত।<ref name=":14" /><ref name=":16" /><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5840/socphiltoday201971660|শিরোনাম=Gaslighting by Crowd|শেষাংশ=Adkins|প্রথমাংশ=Karen C.|তারিখ=2019|সাময়িকী=Social Philosophy Today|খণ্ড=35|পাতাসমূহ=75–87|ডিওআই=10.5840/socphiltoday201971660|issn=1543-4044}}</ref><ref name="ReferenceC">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/oso/9780190071783.003.0003|শিরোনাম=Women, Intimate Partner Violence, and the Law|শেষাংশ=Douglas|প্রথমাংশ=Heather|তারিখ=2021-03-12|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=31–61|আইএসবিএন=978-0-19-007178-3}}</ref><ref name="ReferenceC"/> নজরদারি বা স্টকিং মানসিক ভয় দেখানোর একটি সাধারণ রূপ এবং প্রায়শই প্রাক্তন বা বর্তমান ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর দ্বারা এটি হয়ে থাকে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-3-319-58981-7_5|শিরোনাম=Local Leadership in a Global Era|শেষাংশ=Hochadel|প্রথমাংশ=Amy M.|তারিখ=2017-07-09|প্রকাশক=Springer International Publishing|অবস্থান=Cham|পাতাসমূহ=125–179|আইএসবিএন=978-3-319-58980-0}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1176/appi.ps.52.7.979-a|শিরোনাম=Stalking the Soul: Emotional Abuse and the Erosion of Identity|শেষাংশ=Harris|প্রথমাংশ=Maxine|তারিখ=2001-07|সাময়িকী=Psychiatric Services|খণ্ড=52|সংখ্যা নং=7|পাতাসমূহ=979–a-980|ডিওআই=10.1176/appi.ps.52.7.979-a|issn=1075-2730}}</ref> এ সময় ভুক্তভোগী মনে করে, যে তাদের অংশীদাররা তাদের উপরে প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখেছে, এটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি গতিশীলকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে, অপরাধীকে ক্ষমতায়িত করে এবং ক্ষতিগ্রস্তকে অক্ষমতায়িত করে।<ref name=":17">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e682902007-001|শিরোনাম=Domestic Violence and Psychological Effects Among Battered Colombian Women|শেষাংশ=Jimenez|প্রথমাংশ=Sandra P.|তারিখ=2007|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref> ভুক্তভোগী প্রায়শই হতাশায় ভোগেন ফলে খাদ্যভ্যাস প্রভাবিত হওয়ায় সে সংক্রান্ত নানা সমস্যা<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e357742004-001|শিরোনাম=Domestic Violence: A Primary Care Issue for Rural Women|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11}}</ref>, আত্মহত্যা এবং মাদক ও অ্যালকোহল গ্রহণের বাড়ন্ত ঝুঁকির সম্মুখীন হন।<ref name=":17" /><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5860/choice.31-5166|শিরোনাম=Next time, she'll be dead: battering & how to stop it|তারিখ=1994-05-01|সাময়িকী=Choice Reviews Online|খণ্ড=31|সংখ্যা নং=09|পাতাসমূহ=31–5166-31-5166|ডিওআই=10.5860/choice.31-5166|issn=0009-4978}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1176/ajp.137.11.1336|শিরোনাম=Overview: the "wife-beater's wife" reconsidered|তারিখ=1980-11-XX|সাময়িকী=American Journal of Psychiatry|খণ্ড=137|সংখ্যা নং=11|পাতাসমূহ=1336–1347|ডিওআই=10.1176/ajp.137.11.1336|issn=0002-953X}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-1-4684-4754-5_15|শিরোনাম=The Gender Gap in Psychotherapy|শেষাংশ=Hilberman|প্রথমাংশ=Elaine|তারিখ=1980|প্রকাশক=Springer US|অবস্থান=Boston, MA|পাতাসমূহ=213–236|আইএসবিএন=978-1-4684-4756-9}}</ref> |
||
জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ এক ধরনের নিয়ন্ত্রণশীল আচরণ যা কোনও ব্যক্তির সাথে অসহযোগীতা করে, তার স্বাধীনতার হরণ করে, তার দৈনন্দিন আচরণের ওপর হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে তাকে পরনির্ভরশীল করে তোলে। এতে মৌখিক আক্রমণ, শাস্তি, অপমান, হুমকি বা ভয় দেখানোর বিষয়গুলো জড়িত।<ref |
জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ এক ধরনের নিয়ন্ত্রণশীল আচরণ যা কোনও ব্যক্তির সাথে অসহযোগীতা করে, তার স্বাধীনতার হরণ করে, তার দৈনন্দিন আচরণের ওপর হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে তাকে পরনির্ভরশীল করে তোলে। এতে মৌখিক আক্রমণ, শাস্তি, অপমান, হুমকি বা ভয় দেখানোর বিষয়গুলো জড়িত।<ref name="ReferenceC"/> তবে, জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ শারীরিকভাবেও প্রয়োগ করা যেতে পারে; শারীরিক নির্যাতন, ক্ষতিসাধন বা ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5040/9781580813761|শিরোনাম=You Never Can Tell|তারিখ=2015-08-15|সাময়িকী=You Never Can Tell|ডিওআই=10.5040/9781580813761}}</ref> পারিবারিক সহিংসতার প্রসঙ্গে বলা যায়, জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণের ফলে ভুক্তভোগীদের মানবাধিকার প্রতিদিনই সীমিত হতে পারে যা তাদের স্বাধীনতা অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং তাদের কর্মের ক্ষমতা হ্রাস করে দেয়। নির্যাতক ব্যক্তি গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে ভুক্তভোগীর দৈনিক সময়সূচী পর্যবেক্ষণ করে, তার সাথে অমানবিক ব্যবহার করে, হুমকি দেয়, মৌলিক চাহিদা এবং ব্যক্তিগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে এবং একা করে দেয়ার চেষ্টা করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.31235/osf.io/d428k|শিরোনাম=Policing a new domestic abuse crime: Effects of force-wide training on arrests for coercive control|শেষাংশ=Brennan|প্রথমাংশ=Iain|শেষাংশ২=Myhill|প্রথমাংশ২=Andy|তারিখ=2020-07-14|ওয়েবসাইট=dx.doi.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-11|শেষাংশ৩=Tagliaferri|প্রথমাংশ৩=Giulia|শেষাংশ৪=Tapley|প্রথমাংশ৪=Jacki}}</ref> ভুক্তভোগীরা সাধারণত উদ্বেগ এবং আশঙ্কা অনুভব করেন যা তাদের ব্যক্তিগত জীবনকে আর্থিক, শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। |
||
==== অর্থনৈতিক ==== |
==== অর্থনৈতিক ==== |
||
অর্থনৈতিক নির্যাতন এমন এক ধরনের নির্যাতন যখন কোনও ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর তার অন্য সঙ্গীর অর্থনৈতিক সংস্থানগুলোতে প্রবেশের অধিকার নিয়ন্ত্রণ করে।<ref name=":18">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/1077801208315529|শিরোনাম=Development of the Scale of Economic Abuse|শেষাংশ=Adams|প্রথমাংশ=Adrienne E.|শেষাংশ২=Sullivan|প্রথমাংশ২=Cris M.|শেষাংশ৩=Bybee|প্রথমাংশ৩=Deborah|শেষাংশ৪=Greeson|প্রথমাংশ৪=Megan R.|তারিখ=2008-05|সাময়িকী=Violence Against Women|খণ্ড=14|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=563–588| |
অর্থনৈতিক নির্যাতন এমন এক ধরনের নির্যাতন যখন কোনও ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর তার অন্য সঙ্গীর অর্থনৈতিক সংস্থানগুলোতে প্রবেশের অধিকার নিয়ন্ত্রণ করে।<ref name=":18">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/1077801208315529|শিরোনাম=Development of the Scale of Economic Abuse|শেষাংশ=Adams|প্রথমাংশ=Adrienne E.|শেষাংশ২=Sullivan|প্রথমাংশ২=Cris M.|শেষাংশ৩=Bybee|প্রথমাংশ৩=Deborah|শেষাংশ৪=Greeson|প্রথমাংশ৪=Megan R.|তারিখ=2008-05|সাময়িকী=Violence Against Women|খণ্ড=14|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=563–588|ডিওআই=10.1177/1077801208315529|issn=1077-8012}}</ref> এক্ষেত্রে বৈবাহিক সম্পদগুলি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অর্থনৈতিক নির্যাতনে একজন স্ত্রীকে সম্পদ অধিগ্রহণ থেকে বিরত রাখা, ভুক্তভোগী কী ব্যবহার করতে পারে তা সীমাবদ্ধ করা বা অন্যভাবে ভুক্তভোগীর অর্থনৈতিক সম্পদ শোষণের বিষয়টি জড়িত থাকতে পারে।<ref name=":18" /><ref name=":19">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1023/a:1024064214054|শেষাংশ=Brewster|প্রথমাংশ=Mary P.|তারিখ=2003|সাময়িকী=Journal of Family Violence|খণ্ড=18|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=207–217|ডিওআই=10.1023/a:1024064214054|issn=0885-7482}}</ref> অর্থনৈতিক নির্যাতন ভুক্তভোগীর নিজের অর্থনৈতিক ক্ষমতা হ্রাস করে, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, ক্যারিয়ারের অগ্রগতি এবং সম্পদ অধিগ্রহণের সুযোগ কমিয়ে দিয়ে অপরাধীর উপর নির্ভরতা বাড়িয়ে তোলে।<ref name=":18" /><ref name=":19" /><ref name=":20">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1300/j125v14n03_04|শিরোনাম=Organizing for Economic Empowerment of Battered Women|শেষাংশ=Sanders|প্রথমাংশ=Cynthia K.|শেষাংশ২=Schnabel|প্রথমাংশ২=Meg|তারিখ=2006-06|সাময়িকী=Journal of Community Practice|খণ্ড=14|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=47–68|ডিওআই=10.1300/j125v14n03_04|issn=1070-5422}}</ref> পরিবারের কোন সদস্যকে নথিপত্র স্বাক্ষর করতে, জিনিস বিক্রি করতে বা উইল পরিবর্তন করতে বাধ্য করা বা চাপ দেওয়াও অর্থনৈতিক নির্যাতনের অন্তর্ভুক্ত।<ref name=":15" /> |
||
একজন ভুক্তভোগীকে ভাতা দেওয়া হতে পারে, সে অর্থ কতটা কোথায় ব্যয় করা হয় তার নিবিড় পর্যবেক্ষণের সুযোগ নেয়ার মাধ্যমে। অপরাধীর সম্মতি ব্যতীত ব্যয় রোধ করা, ঋণ জমা হওয়া বা ভুক্তভোগীর সঞ্চয় হ্রাস করার দিকে পরিচালিত করে।<ref name=":18" /><ref name=":19" /><ref name=":20" /> অর্থ ব্যয় সম্পর্কে মতবিরোধ অতিরিক্ত শারীরিক, যৌন বা মানসিক নির্যাতনের সাথে প্রতিশোধ গ্রহণের পর্যায়ে উন্নীত হতে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781412963923.n307|শিরোনাম=National Coalition Against Domestic Violence|শেষাংশ=Smith|প্রথমাংশ=Rita|সাময়িকী=Encyclopedia of Interpersonal Violence|প্রকাশক=SAGE Publications, Inc.|অবস্থান=2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States|আইএসবিএন=978-1-4129-1800-8}}</ref> বিশ্বের বিভিন্ন অংশে যেখানে নারীরা বেঁচে থাকার জন্য স্বামীর আয়ের উপর নির্ভরশীল (নারী কর্মসংস্থানের অভাব এবং রাষ্ট্রকল্যাণের অভাবের কারণে) তাদের জন্য অর্থনৈতিক নির্যাতন খুব মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। নির্যাতনকেন্দ্রিক সম্পর্কগুলোতে মা এবং শিশু উভয়েই অপুষ্টিতে ভোগে। যেমন ভারতে, খাদ্য গ্রহণে বাধা প্রদান করা পারিবারিক নির্যাতনের একটি প্রতিষ্ঠিত ধরন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/aje/kwn049|শিরোনাম=Domestic Violence and Chronic Malnutrition among Women and Children in India|শেষাংশ=Ackerson|প্রথমাংশ=L. K.|শেষাংশ২=Subramanian|প্রথমাংশ২=S. V.|তারিখ=2008-03-14|সাময়িকী=American Journal of Epidemiology|খণ্ড=167|সংখ্যা নং=10|পাতাসমূহ=1188–1196| |
একজন ভুক্তভোগীকে ভাতা দেওয়া হতে পারে, সে অর্থ কতটা কোথায় ব্যয় করা হয় তার নিবিড় পর্যবেক্ষণের সুযোগ নেয়ার মাধ্যমে। অপরাধীর সম্মতি ব্যতীত ব্যয় রোধ করা, ঋণ জমা হওয়া বা ভুক্তভোগীর সঞ্চয় হ্রাস করার দিকে পরিচালিত করে।<ref name=":18" /><ref name=":19" /><ref name=":20" /> অর্থ ব্যয় সম্পর্কে মতবিরোধ অতিরিক্ত শারীরিক, যৌন বা মানসিক নির্যাতনের সাথে প্রতিশোধ গ্রহণের পর্যায়ে উন্নীত হতে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781412963923.n307|শিরোনাম=National Coalition Against Domestic Violence|শেষাংশ=Smith|প্রথমাংশ=Rita|সাময়িকী=Encyclopedia of Interpersonal Violence|প্রকাশক=SAGE Publications, Inc.|অবস্থান=2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States|আইএসবিএন=978-1-4129-1800-8}}</ref> বিশ্বের বিভিন্ন অংশে যেখানে নারীরা বেঁচে থাকার জন্য স্বামীর আয়ের উপর নির্ভরশীল (নারী কর্মসংস্থানের অভাব এবং রাষ্ট্রকল্যাণের অভাবের কারণে) তাদের জন্য অর্থনৈতিক নির্যাতন খুব মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। নির্যাতনকেন্দ্রিক সম্পর্কগুলোতে মা এবং শিশু উভয়েই অপুষ্টিতে ভোগে। যেমন ভারতে, খাদ্য গ্রহণে বাধা প্রদান করা পারিবারিক নির্যাতনের একটি প্রতিষ্ঠিত ধরন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/aje/kwn049|শিরোনাম=Domestic Violence and Chronic Malnutrition among Women and Children in India|শেষাংশ=Ackerson|প্রথমাংশ=L. K.|শেষাংশ২=Subramanian|প্রথমাংশ২=S. V.|তারিখ=2008-03-14|সাময়িকী=American Journal of Epidemiology|খণ্ড=167|সংখ্যা নং=10|পাতাসমূহ=1188–1196|ডিওআই=10.1093/aje/kwn049|issn=0002-9262}}</ref>[[File:DV-SCALE-5-2017.jpg|thumb|পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে আইনের অস্তিত্ব ও এ সমস্যা মোকাবেলায় তাদের কার্যকারিতা সংক্রান্ত বৈশ্বিক ম্যাপ।(সময়কার: ২০১৭)]] |
||
= জনমিতি = |
== জনমিতি == |
||
পারিবারিক সহিংসতা বিশ্বজুড়ে, বিভিন্ন সংস্কৃতিতে<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/s0140-6736(02)08221-1|শিরোনাম=Violence against women: global scope and magnitude|শেষাংশ=Watts|প্রথমাংশ=Charlotte|শেষাংশ২=Zimmerman|প্রথমাংশ২=Cathy|তারিখ=2002-04|সাময়িকী=The Lancet|খণ্ড=359|সংখ্যা নং=9313|পাতাসমূহ=1232–1237| |
পারিবারিক সহিংসতা বিশ্বজুড়ে, বিভিন্ন সংস্কৃতিতে<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/s0140-6736(02)08221-1|শিরোনাম=Violence against women: global scope and magnitude|শেষাংশ=Watts|প্রথমাংশ=Charlotte|শেষাংশ২=Zimmerman|প্রথমাংশ২=Cathy|তারিখ=2002-04|সাময়িকী=The Lancet|খণ্ড=359|সংখ্যা নং=9313|পাতাসমূহ=1232–1237|ডিওআই=10.1016/s0140-6736(02)08221-1|issn=0140-6736}}</ref> দেখা যায় এবং সব ধরনের অর্থনৈতিক মর্যাদার<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781452232041.n3|শিরোনাম=Rural Woman Battering and the Justice System: An Ethnography|প্রকাশক=SAGE Publications, Inc.|অবস্থান=2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States|পাতাসমূহ=66–90|আইএসবিএন=978-0-7619-0851-7}}</ref> মানুষকে প্রভাবিত করে; তবে বেশ কয়েকটি গবেষণায়<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/1946-6560.3.2.231|শিরোনাম=A Systematic Review of Risk Factors for Intimate Partner Violence|শেষাংশ=Capaldi|প্রথমাংশ=Deborah M.|শেষাংশ২=Knoble|প্রথমাংশ২=Naomi B.|শেষাংশ৩=Shortt|প্রথমাংশ৩=Joann Wu|শেষাংশ৪=Kim|প্রথমাংশ৪=Hyoun K.|তারিখ=2012|সাময়িকী=Partner Abuse|খণ্ড=3|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=231–280|ডিওআই=10.1891/1946-6560.3.2.231|issn=1946-6560}}</ref> নিম্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থানের সূচকগুলোকে (যেমন বেকারত্ব এবং স্বল্প আয়ের) পারিবারিক সহিংসতার উচ্চ স্তরের ঝুঁকির কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে। বিশ্বব্যাপী, কেন্দ্রীয় সাব-সাহারান আফ্রিকা, পশ্চিমের সাব-সাহারান আফ্রিকা, অ্যান্ডিয়ান লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব সাব-সাহারান আফ্রিকা, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্যে নারীদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। [[পশ্চিম ইউরোপ]], পূর্ব এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকাতে নারীদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার সবচেয়ে কম প্রবণতা দেখা যায়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1126/science.1240937|শিরোনাম=The Global Prevalence of Intimate Partner Violence Against Women|শেষাংশ=Devries|প্রথমাংশ=K. M.|শেষাংশ২=Mak|প্রথমাংশ২=J. Y. T.|শেষাংশ৩=García-Moreno|প্রথমাংশ৩=C.|শেষাংশ৪=Petzold|প্রথমাংশ৪=M.|শেষাংশ৫=Child|প্রথমাংশ৫=J. C.|শেষাংশ৬=Falder|প্রথমাংশ৬=G.|শেষাংশ৭=Lim|প্রথমাংশ৭=S.|শেষাংশ৮=Bacchus|প্রথমাংশ৮=L. J.|শেষাংশ৯=Engell|প্রথমাংশ৯=R. E.|তারিখ=2013-06-20|সাময়িকী=Science|খণ্ড=340|সংখ্যা নং=6140|পাতাসমূহ=1527–1528|ডিওআই=10.1126/science.1240937|issn=0036-8075}}</ref> |
||
==== লৈঙ্গিক পার্থক্য ==== |
==== লৈঙ্গিক পার্থক্য ==== |
||
পারিবারিক সহিংসতার সাথে লিঙ্গভেদ এর সম্পর্ক নিয়ে কিছু বিতর্ক এখনও চলছে। পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা যেমন সংঘাতের কৌশল সংক্রান্ত স্কেল, যা আঘাত, হত্যা এবং যৌন সহিংসতার হার ধারন করতে ব্যর্থ হয়,<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/a0038207|শিরোনাম=Self-report measures that do not produce gender parity in intimate partner violence: A multi-study investigation.|শেষাংশ=Hamby|প্রথমাংশ=Sherry|তারিখ=2016|সাময়িকী=Psychology of Violence|খণ্ড=6|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=323–335| |
পারিবারিক সহিংসতার সাথে লিঙ্গভেদ এর সম্পর্ক নিয়ে কিছু বিতর্ক এখনও চলছে। পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা যেমন সংঘাতের কৌশল সংক্রান্ত স্কেল, যা আঘাত, হত্যা এবং যৌন সহিংসতার হার ধারন করতে ব্যর্থ হয়,<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/a0038207|শিরোনাম=Self-report measures that do not produce gender parity in intimate partner violence: A multi-study investigation.|শেষাংশ=Hamby|প্রথমাংশ=Sherry|তারিখ=2016|সাময়িকী=Psychology of Violence|খণ্ড=6|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=323–335|ডিওআই=10.1037/a0038207|issn=2152-081X}}</ref> প্রসঙ্গ (যেমন, অনুপ্রেরণা, ভয়),<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1332/239868018x15366982109807|শিরোনাম=Measuring violence, mainstreaming gender: does adding harm make a difference?|শেষাংশ=Bjørnholt|প্রথমাংশ=Margunn|শেষাংশ২=Hjemdal|প্রথমাংশ২=Ole Kristian|তারিখ=2018-10-31|সাময়িকী=Journal of Gender-Based Violence|খণ্ড=2|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=465–479|ডিওআই=10.1332/239868018x15366982109807|issn=2398-6808}}</ref> বিভিন্ন ধরনের নমুনা পদ্ধতি, স্বেচ্ছায় প্রতিবেদন দাখিলে অনিচ্ছা, এবং পরিচালন ব্যবস্থায় পার্থক্য সমস্ত বিদ্যমান গবেষণার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/vio0000117|শিরোনাম=On defining violence, and why it matters.|শেষাংশ=Hamby|প্রথমাংশ=Sherry|তারিখ=2017|সাময়িকী=Psychology of Violence|খণ্ড=7|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=167–180|ডিওআই=10.1037/vio0000117|issn=2152-081X}}</ref><ref name=":22">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/j.avb.2011.02.008|শিরোনাম=Gender differences in self-reports of intimate partner violence: A review|শেষাংশ=Chan|প্রথমাংশ=Ko Ling|তারিখ=2011-03|সাময়িকী=Aggression and Violent Behavior|খণ্ড=16|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=167–175|ডিওআই=10.1016/j.avb.2011.02.008|issn=1359-1789}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/0886260511416463|শিরোনাম=Gender Symmetry in the Self-Reporting of Intimate Partner Violence|শেষাংশ=Chan|প্রথমাংশ=Ko Ling|তারিখ=2011-09-13|সাময়িকী=Journal of Interpersonal Violence|খণ্ড=27|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=263–286|ডিওআই=10.1177/0886260511416463|issn=0886-2605}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1057/9781137388483_1|শিরোনাম=Challenging Global Gender Violence|শেষাংশ=Rose|প্রথমাংশ=Susan D.|তারিখ=2014|প্রকাশক=Palgrave Macmillan US|অবস্থান=New York|পাতাসমূহ=2–13|আইএসবিএন=978-1-349-48244-3}}</ref> দীর্ঘমেয়াদে যাদের গোপনে নির্যাতিত হওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে বা একাধিক সঙ্গীদের দ্বারা নির্যাতিত হয় তাদের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতাকে স্বীকার করার নেয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়, একে সাধারণীকরণ করতে দেখা যায় ফলে পারিবারিক সহিংসতার প্রতিবেদন করাও আর হয় না।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/j.ctt1xp3w8t.15|শিরোনাম=Boundless Dominion|প্রকাশক=MQUP|পাতাসমূহ=261–272|আইএসবিএন=978-0-7735-5240-1}}</ref> অনেক সংগঠন নির্যাতনের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে লিঙ্গ-নিরপেক্ষ পদ ব্যবহার করার চেষ্টা করে থাকে। যেমন, নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার চেয়ে পারিবারিক সহিংসতার মতো বিহৎ পরিসরের শব্দ ব্যবহার করা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-1-4419-1467-5_26|শিরোনাম=Handbook of Gender Research in Psychology|শেষাংশ=Wasco|প্রথমাংশ=Sharon M.|শেষাংশ২=Bond|প্রথমাংশ২=Meg A.|তারিখ=2009-12-04|প্রকাশক=Springer New York|অবস্থান=New York, NY|পাতাসমূহ=613–641|আইএসবিএন=978-1-4419-1466-8}}</ref> |
||
বিভিন্ন অনুসন্ধান প্রায়শই নির্দেশ করে যে পুরুষ ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর প্রতি নারীর সহিংসতার (আইপিভি বা ইন্টিমেট পার্টনার ভায়োলেন্স) প্রধান বা প্রাথমিক উদ্দেশ্য আত্মরক্ষা বা আত্ম সুরক্ষা (যেমন মানসিক স্বাস্থ্য)।<ref name=":21" /><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/1524838010379003|শিরোনাম=Why Do Women Use Intimate Partner Violence? A Systematic Review of Women’s Motivations|শেষাংশ=Bair-Merritt|প্রথমাংশ=Megan H.|শেষাংশ২=Shea Crowne|প্রথমাংশ২=Sarah|শেষাংশ৩=Thompson|প্রথমাংশ৩=Darcy A.|শেষাংশ৪=Sibinga|প্রথমাংশ৪=Erica|শেষাংশ৫=Trent|প্রথমাংশ৫=Maria|শেষাংশ৬=Campbell|প্রথমাংশ৬=Jacquelyn|তারিখ=2010-09-07|সাময়িকী=Trauma, Violence, & Abuse|খণ্ড=11|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=178–189| |
বিভিন্ন অনুসন্ধান প্রায়শই নির্দেশ করে যে পুরুষ ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর প্রতি নারীর সহিংসতার (আইপিভি বা ইন্টিমেট পার্টনার ভায়োলেন্স) প্রধান বা প্রাথমিক উদ্দেশ্য আত্মরক্ষা বা আত্ম সুরক্ষা (যেমন মানসিক স্বাস্থ্য)।<ref name=":21" /><ref name="ReferenceD">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/1524838010379003|শিরোনাম=Why Do Women Use Intimate Partner Violence? A Systematic Review of Women’s Motivations|শেষাংশ=Bair-Merritt|প্রথমাংশ=Megan H.|শেষাংশ২=Shea Crowne|প্রথমাংশ২=Sarah|শেষাংশ৩=Thompson|প্রথমাংশ৩=Darcy A.|শেষাংশ৪=Sibinga|প্রথমাংশ৪=Erica|শেষাংশ৫=Trent|প্রথমাংশ৫=Maria|শেষাংশ৬=Campbell|প্রথমাংশ৬=Jacquelyn|তারিখ=2010-09-07|সাময়িকী=Trauma, Violence, & Abuse|খণ্ড=11|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=178–189|ডিওআই=10.1177/1524838010379003|issn=1524-8380}}</ref><ref name=":23">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781483328584|শিরোনাম=Current Controversies on Family Violence|শেষাংশ=Loseke|প্রথমাংশ=Donileen|শেষাংশ২=Gelles|প্রথমাংশ২=Richard|শেষাংশ৩=Cavanaugh|প্রথমাংশ৩=Mary|তারিখ=2005|ডিওআই=10.4135/9781483328584}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/107780102237408|শিরোনাম=A Framework for Understanding Women's Use of Nonlethal Violence in Intimate Heterosexual Relationships|শেষাংশ=Dasgupta|প্রথমাংশ=Shamita Das|তারিখ=2002-11|সাময়িকী=Violence Against Women|খণ্ড=8|সংখ্যা নং=11|পাতাসমূহ=1364–1389|ডিওআই=10.1177/107780102237408|issn=1077-8012}}</ref> ২০১০ সালের পদ্ধতিগত পর্যালোচনায় আইপিভি তে নারী কর্তৃক অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পেছনে সাধারণ উদ্দেশ্যগুলি ছিল ক্রোধ, মনোযোগের আকাঙ্খা বা তাদের সঙ্গীর সহিংসতার প্রতিক্রিয়া। এতে আরও বলা হয়েছে যে, আত্ম-প্রতিরক্ষা এবং প্রতিশোধ নেওয়া সাধারণ উদ্দেশ্য হলেও, আত্ম-প্রতিরক্ষা এবং প্রতিশোধের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন ছিল।<ref name="ReferenceD"/> ম্যুরে এ স্ট্রসের পারিবারিক সহিংসতা গবেষণায় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, পুরুষদের বিরুদ্ধে মহিলাদের দ্বারা সংঘটিত বেশিরভাগ আইপিভি আত্মরক্ষার দ্বারা পরিচালিত হয় না।<ref name=":23" /><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/j.avb.2011.04.010|শিরোনাম=Gender symmetry and mutuality in perpetration of clinical-level partner violence: Empirical evidence and implications for prevention and treatment|শেষাংশ=Straus|প্রথমাংশ=Murray A.|তারিখ=2011-07|সাময়িকী=Aggression and Violent Behavior|খণ্ড=16|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=279–288|ডিওআই=10.1016/j.avb.2011.04.010|issn=1359-1789}}</ref> অন্যান্য গবেষণাগুলো নারী অপরাধকেন্দ্রিক আইপিভি সম্পর্কে স্ট্রসের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে তবে এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন, পুরুষদের আঘাত পাওয়ার পর প্রতিশোধ নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।<ref name=":24"/><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-1-4614-5871-5_10|শিরোনাম=Perceptions of Female Offenders|শেষাংশ=Hamel|প্রথমাংশ=John|শেষাংশ২=Russell|প্রথমাংশ২=Brenda L.|তারিখ=2012-10-30|প্রকাশক=Springer New York|অবস্থান=New York, NY|পাতাসমূহ=151–179|আইএসবিএন=978-1-4614-5870-8}}</ref> তবে আত্ম প্রতিরক্ষার সংকীর্ণ সংজ্ঞা ব্যবহার করার জন্য স্ট্রসের গবেষণা সমালোচনা করেছিলেন লোসেকেসহ বেশ কিছু গবেষক।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/803691898|শিরোনাম=Current controversies on family violence|শেষাংশ=M.|প্রথমাংশ=Loseke, Donileen R., 1947- Gelles, Richard J. Cavanaugh, Mary|তারিখ=2005|প্রকাশক=Sage|আইএসবিএন=0-7619-2106-0|oclc=803691898}}</ref> |
||
শেরি হামবি বলেছেন, যৌন সহিংসতা প্রায়শই আইপিভির মাপদন্ডের বাইরে থেকে যায়। যৌন সহিংসতার ক্ষেত্রে নারীদর অপরাধ ১০ শতাংশেরও কম।<ref name=":53">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2139/ssrn.3699388|শিরোনাম=The Surge of Domestic Violence during the COVID-19 Pandemic|শেষাংশ=Shree Pant|প্রথমাংশ=Shiwanee|তারিখ=2020|সাময়িকী=SSRN Electronic Journal| |
শেরি হামবি বলেছেন, যৌন সহিংসতা প্রায়শই আইপিভির মাপদন্ডের বাইরে থেকে যায়। যৌন সহিংসতার ক্ষেত্রে নারীদর অপরাধ ১০ শতাংশেরও কম।<ref name=":53">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2139/ssrn.3699388|শিরোনাম=The Surge of Domestic Violence during the COVID-19 Pandemic|শেষাংশ=Shree Pant|প্রথমাংশ=Shiwanee|তারিখ=2020|সাময়িকী=SSRN Electronic Journal|ডিওআই=10.2139/ssrn.3699388|issn=1556-5068}}</ref> তিনি এও বলেন, নির্যাতনের বিষয়ে পুরুষদের স্ব-প্রতিবেদনগুলি বিশ্বাস উপযোগী নয় কারণ তারা ধারাবাহিকভাবে তাদের নিজেদের সহিংসতার চেষ্টাগুলো প্রতিবেদনে প্রকাশ করেনা<ref name=":23" /><ref name=":24">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/a0015066|শিরোনাম=The gender debate about intimate partner violence: Solutions and dead ends.|শেষাংশ=Hamby|প্রথমাংশ=Sherry|তারিখ=2009-03|সাময়িকী=Psychological Trauma: Theory, Research, Practice, and Policy|খণ্ড=1|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=24–34|ডিওআই=10.1037/a0015066|issn=1942-969X}}</ref> এবং এছাড়াও পুরুষ এবং নারী উভয়েরই জোর করে নিয়ন্ত্রণ খাটানোর জন্য আইপিভি ব্যবহার করেন অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হিসেবে জোর খাটানোর চেষ্টা করেন এটিও নির্ভরযোগ্য নয়।<ref name=":24" /> জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ হল যখন একজন ব্যক্তি অন্যকে নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বজায় রাখতে বিভিন্ন আইপিভি কৌশল ব্যবহার করে; ভুক্তভোগীরা প্রায়শই শারীরিক সহিংসতা প্রতিরোধ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/131022584|শিরোনাম=Coercive control : the entrapment of women in personal life|শেষাংশ=Stark|প্রথমাংশ=Evan|তারিখ=2007|প্রকাশক=Oxford University Press|অবস্থান=Oxford|আইএসবিএন=978-0-19-534833-0|oclc=131022584}}</ref> এটি সাধারণত পুরুষদের দ্বারা নারীদের বিরুদ্ধেই সংঘটিত হয় এবং আঘাতভিত্তিক বা ট্রমার বন্ধন সৃষ্টি করার পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/855019780|শিরোনাম=Psychology of trauma|শেষাংশ=Marieke.|প্রথমাংশ=Leeuwen, Thijs van. Brouwer,|তারিখ=2013|প্রকাশক=Nova Science Publisher's|আইএসবিএন=978-1-62257-783-5|oclc=855019780}}</ref> এবং এ ধরনের সম্পর্কে চিকিৎসা পরিষেবা প্রয়োজন হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/1058196939|শিরোনাম=Rosen's Emergency Medicine - Concepts and Clinical Practice|শেষাংশ=John.|প্রথমাংশ=Marx,|তারিখ=2013|প্রকাশক=Elsevier Health Sciences|আইএসবিএন=978-1-4557-4987-4|oclc=1058196939}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781452274447|শিরোনাম=Cultural Sociology of Divorce: An Encyclopedia|শেষাংশ=Emery|প্রথমাংশ=Robert|তারিখ=2013|প্রকাশক=SAGE Publications, Inc.|অবস্থান=2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States|আইএসবিএন=978-1-4129-9958-8}}</ref> হংকং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষক চ্যান কো লিংয়ের ২০১১ সালের পর্যালোচনাতে দেখা গেছে যে অপ্রাপ্তবয়স্ক সঙ্গীর সাথে সহিংসতার ঘটনায় পুরুষ ও নারী উভয়ের দায় সমান ছিল তবে পুরুষদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা অনেক বেশি গুরুতর ছিল।<ref name=":22" /> তাঁর বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, পুরুষরা তাদের সঙ্গীদের মারধর, শ্বাসরোধ বা গলা টিপে মারার চেষ্টা করেছে যেখানে নারীর সহিংসতা কোনও বস্তু নিক্ষেপ, লাথি, চপেটাঘাত, কামড়, ঘুষি মারা বা কোনও জিনিস দিয়ে আঘাত করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।<ref name=":22" /> |
||
ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সহিংসতার প্রতিক্রিয়া হিসাবে গবেষকরা পুরুষ ও নারী উভয় ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্যভাবে পৃথক ফলাফল পেয়েছেন। সাইকোলজি অফ ভায়োলেন্স জার্নাল থেকে ২০১২ সালের পর্যালোচনাতে দেখা গেছে যে, ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সহিংসতার ফলে নারীরা বিশেষত আহত, ভয় এবং আঘাত পরবর্তী মানসিক সমস্যায় পড়ে নানাভাবে |
ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সহিংসতার প্রতিক্রিয়া হিসাবে গবেষকরা পুরুষ ও নারী উভয় ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্যভাবে পৃথক ফলাফল পেয়েছেন। সাইকোলজি অফ ভায়োলেন্স জার্নাল থেকে ২০১২ সালের পর্যালোচনাতে দেখা গেছে যে, ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সহিংসতার ফলে নারীরা বিশেষত আহত, ভয় এবং আঘাত পরবর্তী মানসিক সমস্যায় পড়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।<ref name=":25">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/a0026296|শিরোনাম=Gender differences in intimate partner violence outcomes.|শেষাংশ=Caldwell|প্রথমাংশ=Jennifer E.|শেষাংশ২=Swan|প্রথমাংশ২=Suzanne C.|শেষাংশ৩=Woodbrown|প্রথমাংশ৩=V. Diane|তারিখ=2012|সাময়িকী=Psychology of Violence|খণ্ড=2|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=42–57|ডিওআই=10.1037/a0026296|issn=2152-081X}}</ref> পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, নারী নির্যাতনকারীরা তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতার প্রতিক্রিয়াতে "খুব ভীতু" ছিলেন, কিন্তু ৮৫% পুরুষ ভুক্তভোগী "কোনও ভয় নেই" বলে প্রতিবেদন করেছেন এবং ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি কর্তৃক সহিংসতা বা আইপিভি নারীর জন্য সম্পর্কের তৃপ্তিবোধ তৈরি করেছে তবে পুরুষের জন্য করে নি।<ref name=":25" /> হামবার্গারের (২০০৫) পর্যালোচনাতে দেখা গেছে যে, পুরুষরা নারী ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতার প্রেক্ষিতে হাসি এবং চিত্তবিনোদনমূলক প্রতিক্রিয়া দেখান।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/vivi.2005.20.2.131|শিরোনাম=Men's and Women's Use of Intimate Partner Violence in Clinical Samples: Toward a Gender-Sensitive Analysis|শেষাংশ=Hamberger|প্রথমাংশ=L. Kevin|তারিখ=2005-04-01|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=20|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=131–151|ডিওআই=10.1891/vivi.2005.20.2.131|issn=0886-6708}}</ref> গবেষকরা প্রতিবেদন দেন, পুরুষের সহিংসতা দুর্দান্ত ভয় সৃষ্টি করে, "ভয় সেই অনুঘটক যা মারধরের শক্তি সরবরাহ করে" এবং "আঘাতগুলো ভয়কে বজায় রাখতে সহায়তা করে।"<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/925009729|শিরোনাম=When men batter women : new insights into ending abusive relationships|শেষাংশ=S.|প্রথমাংশ=Jacobson, Neil|তারিখ=1998|প্রকাশক=Simon & Schuster|আইএসবিএন=0-684-81447-1|oclc=925009729}}</ref> একটি দেশের লিঙ্গ সমতা এবং পারিবারিক সহিংসতার হার এ দুয়ের সম্পর্ক খুঁজে বের করতে পাঁচটি মহাদেশের গবেষণা পরীক্ষা করে ২০১৩ সালের একটি পর্যালোচনা হয়েছিল। যেখানে দেখা গেছে যে, সঙ্গী নির্যাতন যখন মানসিক নির্যাতন বা যেকোন ধরনের আঘাতকে অন্তর্ভুক্ত করে বিস্তৃত পরিসরে সংজ্ঞায়ন করা হয় তখন যেই আগে আঘাত করুক না কেন, সঙ্গী নির্যাতন মূলত একই থাকে। তারা আরও বলেন, শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্তরা অনেক বেশি ভয় প্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে মানসিক সমস্যা অনুভব করে। পারিবারিক সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে নারীদের প্রতি সহিংসতাকেই নির্দেশ করে।<ref name="dx.doi.org"/> |
||
পারিবারিক সহিংসতা সম্পর্কিত আইন দেশ অনুযায়ী পৃথক হয়। যদিও এটি পশ্চিমা বিশ্বে সাধারণত নিষিদ্ধ, অনেক উন্নয়নশীল দেশে এটি হয় নি। উদাহরণস্বরূপ, ২০১০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, কোনও ব্যক্তির তার স্ত্রী এবং সন্তানদের শারীরিকভাবে শাসন করার অধিকার রয়েছে যদি তাতে শারীরিক কোন দাগ তৈরি না হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1057/9780230604223_1|শিরোনাম=The CNN Effect in Action|শেষাংশ=Bahador|প্রথমাংশ=Babak|তারিখ=2007|প্রকাশক=Palgrave Macmillan US|অবস্থান=New York|পাতাসমূহ=3–19|আইএসবিএন=978-1-349-53580-4}}</ref> পারিবারিক সহিংসতার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতাও দেশ অনুযায়ী পৃথক হয়। যদিও বেশিরভাগ উন্নত দেশগুলিতে পারিবারিক সহিংসতা বেশিরভাগ লোকের কাছে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়, তবে বিশ্বের অনেক অঞ্চলে ভিন্ন মতও দেখা যায়। ইউনিসেফের সমীক্ষায় ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারী যারা মনে করেন যে বিশেষ পরিস্থিতিতে একজন স্বামীর আঘাত করা বা মারধর করা ন্যায়সঙ্গত সে ধরনের নারীদের হার নিম্নরূপ- |
পারিবারিক সহিংসতা সম্পর্কিত আইন দেশ অনুযায়ী পৃথক হয়। যদিও এটি পশ্চিমা বিশ্বে সাধারণত নিষিদ্ধ, অনেক উন্নয়নশীল দেশে এটি হয় নি। উদাহরণস্বরূপ, ২০১০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, কোনও ব্যক্তির তার স্ত্রী এবং সন্তানদের শারীরিকভাবে শাসন করার অধিকার রয়েছে যদি তাতে শারীরিক কোন দাগ তৈরি না হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1057/9780230604223_1|শিরোনাম=The CNN Effect in Action|শেষাংশ=Bahador|প্রথমাংশ=Babak|তারিখ=2007|প্রকাশক=Palgrave Macmillan US|অবস্থান=New York|পাতাসমূহ=3–19|আইএসবিএন=978-1-349-53580-4}}</ref> পারিবারিক সহিংসতার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতাও দেশ অনুযায়ী পৃথক হয়। যদিও বেশিরভাগ উন্নত দেশগুলিতে পারিবারিক সহিংসতা বেশিরভাগ লোকের কাছে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়, তবে বিশ্বের অনেক অঞ্চলে ভিন্ন মতও দেখা যায়। ইউনিসেফের সমীক্ষায় ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারী যারা মনে করেন যে বিশেষ পরিস্থিতিতে একজন স্বামীর আঘাত করা বা মারধর করা ন্যায়সঙ্গত সে ধরনের নারীদের হার নিম্নরূপ- |
||
আফগানিস্তান ও জর্ডানে ৯০%, মালিতে ৮৭%, গিনি এবং তিমুর-লেস্টে ৮৬%, লাওসে ৮১%, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে ৮০%।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1787/10cf6ddd-en|শিরোনাম=Some women condone men’s violence against women|তারিখ=2019-03-27|ওয়েবসাইট=dx.doi.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-12}}</ref> উন্নয়নশীল দেশগুলিতে স্বামীর ইচ্ছার প্রতি সম্মতি জানাতে অস্বীকার করা সহিংসতার বৈধতা প্রদানের একটি সাধারণ কারণ:<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-3-319-69892-2_969-1|শিরোনাম=Encyclopedia of Gerontology and Population Aging|শেষাংশ=Wang|প্রথমাংশ=Wenjuan|শেষাংশ২=Pullum|প্রথমাংশ২=Tom|শেষাংশ৩=Kishor|প্রথমাংশ৩=Sunita|তারিখ=2019|প্রকাশক=Springer International Publishing|অবস্থান=Cham|পাতাসমূহ=1–5|আইএসবিএন=978-3-319-69892-2}}</ref> উদাহরণস্বরূপ, তাজিকিস্তানের ৬২.৪% নারী স্বামীকে না বলে বাইরে গেলে স্ত্রী প্রহারের ন্যায্যতা দেয়; ৬৮% দেয় যদি স্ত্রী স্বামীর সাথে তর্ক করে; যদি সে তার সাথে সহবাস করতে অস্বীকার করে তবে ৪৭.৯% স্ত্রী প্রহার করাকে ন্যয্য বলে মনে করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e617022007-001|শিরোনাম=2005 Utah Higher Education Health Behavior Survey Final Report|তারিখ=2005|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-12}}</ref> |
আফগানিস্তান ও জর্ডানে ৯০%, মালিতে ৮৭%, গিনি এবং তিমুর-লেস্টে ৮৬%, লাওসে ৮১%, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে ৮০%।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1787/10cf6ddd-en|শিরোনাম=Some women condone men’s violence against women|তারিখ=2019-03-27|ওয়েবসাইট=dx.doi.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-12}}</ref> উন্নয়নশীল দেশগুলিতে স্বামীর ইচ্ছার প্রতি সম্মতি জানাতে অস্বীকার করা সহিংসতার বৈধতা প্রদানের একটি সাধারণ কারণ:<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-3-319-69892-2_969-1|শিরোনাম=Encyclopedia of Gerontology and Population Aging|শেষাংশ=Wang|প্রথমাংশ=Wenjuan|শেষাংশ২=Pullum|প্রথমাংশ২=Tom|শেষাংশ৩=Kishor|প্রথমাংশ৩=Sunita|তারিখ=2019|প্রকাশক=Springer International Publishing|অবস্থান=Cham|পাতাসমূহ=1–5|আইএসবিএন=978-3-319-69892-2}}</ref> উদাহরণস্বরূপ, তাজিকিস্তানের ৬২.৪% নারী স্বামীকে না বলে বাইরে গেলে স্ত্রী প্রহারের ন্যায্যতা দেয়; ৬৮% দেয় যদি স্ত্রী স্বামীর সাথে তর্ক করে; যদি সে তার সাথে সহবাস করতে অস্বীকার করে তবে ৪৭.৯% স্ত্রী প্রহার করাকে ন্যয্য বলে মনে করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e617022007-001|শিরোনাম=2005 Utah Higher Education Health Behavior Survey Final Report|তারিখ=2005|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-12}}</ref> |
||
১৩০ নং লাইন: | ১৫৪ নং লাইন: | ||
==== নারী এবং মেয়ে ==== |
==== নারী এবং মেয়ে ==== |
||
[[File:True Manhood - Anti-Domestic Violence Sign - Outside Entebbe - Uganda.jpg|thumb|[[উগান্ডা]]<nowiki/>য় পারিবারিক সহিংসতা বিরোধী প্রচার]] |
[[File:True Manhood - Anti-Domestic Violence Sign - Outside Entebbe - Uganda.jpg|thumb|[[উগান্ডা]]<nowiki/>য় পারিবারিক সহিংসতা বিরোধী প্রচার]] |
||
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বিশ্বব্যাপী নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পেয়েছে। তারা বলছে, "প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজন তার জীবদ্দশায় শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।"<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5622/illinois/9780252043093.003.0002|শিরোনাম=Ending Gender-Based Violence|শেষাংশ=Britton|প্রথমাংশ=Hannah E.|তারিখ=2020-04-01|প্রকাশক=University of Illinois Press|পাতাসমূহ=29–46|আইএসবিএন=978-0-252-04309-3}}</ref> নারীর প্রতি সহিংসতা পশ্চিমের উন্নত দেশগুলিতে কম লক্ষ্যণীয় এবং উন্নয়নশীল বিশ্বে এটি খুবই সাধারণ ব্যাপার।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/48966633|শিরোনাম=Violence & gender reexamined|শেষাংশ=Felson|প্রথমাংশ=Richard B.|তারিখ=2002|অবস্থান=Washington, DC|অন্যান্য=American Psychological Association|আইএসবিএন=1-55798-895-1|oclc=48966633|সংস্করণ=First edition}}</ref> |
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বিশ্বব্যাপী নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পেয়েছে। তারা বলছে, "প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজন তার জীবদ্দশায় শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।"<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5622/illinois/9780252043093.003.0002|শিরোনাম=Ending Gender-Based Violence|শেষাংশ=Britton|প্রথমাংশ=Hannah E.|তারিখ=2020-04-01|প্রকাশক=University of Illinois Press|পাতাসমূহ=29–46|আইএসবিএন=978-0-252-04309-3}}</ref> নারীর প্রতি সহিংসতা পশ্চিমের উন্নত দেশগুলিতে কম লক্ষ্যণীয় এবং উন্নয়নশীল বিশ্বে এটি খুবই সাধারণ ব্যাপার।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/48966633|শিরোনাম=Violence & gender reexamined|শেষাংশ=Felson|প্রথমাংশ=Richard B.|তারিখ=2002|অবস্থান=Washington, DC|অন্যান্য=American Psychological Association|আইএসবিএন=1-55798-895-1|oclc=48966633|সংস্করণ=First edition}}</ref> |
||
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯২০ সালে স্ত্রীকে মারধর করা জাতীয়ভাবে অবৈধভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/1229461|শিরোনাম=No-Drop Prosecution of Domestic Violence: Just Good Policy, or Equal Protection Mandate?|শেষাংশ=Robbins|প্রথমাংশ=Kalyani|তারিখ=1999-11-XX|সাময়িকী=Stanford Law Review|খণ্ড=52|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=205| |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯২০ সালে স্ত্রীকে মারধর করা জাতীয়ভাবে অবৈধভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/1229461|শিরোনাম=No-Drop Prosecution of Domestic Violence: Just Good Policy, or Equal Protection Mandate?|শেষাংশ=Robbins|প্রথমাংশ=Kalyani|তারিখ=1999-11-XX|সাময়িকী=Stanford Law Review|খণ্ড=52|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=205|ডিওআই=10.2307/1229461|issn=0038-9765}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781412950664|শিরোনাম=Encyclopedia of Crime and Punishment Encyclopedia of crime and punishment|তারিখ=2002|প্রকাশক=SAGE Publications, Inc.|অবস্থান=2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States|আইএসবিএন=978-0-7619-2258-2}}</ref> যদিও যথাযথ হার নিয়ে বিতর্কিত হয়েছে, তবু প্রচুর আন্তঃ-সাংস্কৃতিক প্রমাণ রয়েছে যেখানে পুরুষদের তুলনায় নারীরা পারিবারিক সহিংসতার বেশি শিকার হন।<ref name=":27" /><ref name=":32">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Rogers, Kenneth; Baumgardner, Barbara; Connors, Kathleen; Martens, Patricia; Kiser, Laurel "Prevention of family violence", in Compton, Michael T. (ed.), Clinical manual of prevention in mental health (1st ed.)|বছর=2010|প্রকাশক=Psychiatric Publishing|অবস্থান=Washington, DC: American|পাতাসমূহ=p. 245 Women are more often the victims of domestic violence than men and are more likely to suffer injuries and health consequences.|আইএসবিএন=9781585623471}}</ref><ref name=":33">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Brinkerhoff, David; Weitz, Rose; Ortega, Suzanne T. (, "The study of society", in Brinkerhoff, David; Weitz, Rose; Ortega, Suzanne T. (eds.), Essentials of sociology (9th ed.)|বছর=2013|প্রকাশক=Wadsworth Cengage Learning|অবস্থান=Belmont, California|পাতাসমূহ=p. 11, A conflict analysis of domestic violence, for example, would begin by noting that women are battered far more often and far more severely than are men...|আইএসবিএন=9781285545899}}</ref> তদুপরি, এ বিষয়ে বিস্তৃত ঐকমত্য রয়েছে যে নারীরা প্রায়শই মারাত্মক ধরনের নির্যাতনের শিকার হন এবং নির্যাতক সঙ্গীটি দ্বারা তাদের আহত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং এটি অর্থনৈতিক বা সামাজিক নির্ভরতা কারণে আরও বেড়ে যায়।<ref name=":26" /><ref name=":28" /><ref name=":32" /><ref name=":33" /> |
||
নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা দূরীকরণ সম্পর্কিত জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রে (১৯৯৩) বলা হয়েছে যে "নারীর প্রতি সহিংসতা" ঐতিহাসিকভাবে নারী-পুরুষের মধ্যে অসম শক্তির সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ, নারীদের পূর্ণ অগ্রগতিকে রুখে দিতে যা পুরুষদের দ্বারা নারীর প্রতি আধিপত্য ও বৈষম্য সৃষ্টি করেছে এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রক্রিয়া যার দ্বারা নারী পুরুষদের তুলনায় অধীনস্থ অবস্থানে থাকতে বাধ্য হয় "।<ref name=":29" /><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/1050039321|শিরোনাম=UNFPA strategy and framework for action to addressing gender-based violence 2008-2011.|শেষাংশ=Gender|প্রথমাংশ=Human Rights and Culture Branch|তারিখ=2008|প্রকাশক=United Nations Population Fund|অবস্থান=New York|অন্যান্য=UNFPA Technical Division|আইএসবিএন=9780897149518|oclc=1050039321}}</ref> নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দূরীকরণের ঘোষণাপত্রে নারীর প্রতি সহিংসতাকে তিনটি ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে: পরিবারে ঘটা সহিংসতা (ডিভি), সাধারণ সম্প্রদায়ের মধ্যে তৈরি সহিংসতা এবং রাষ্ট্রের দ্বারা উপেক্ষিত বা সংঘটিত হওয়া সহিংসতা।<ref name=":29" /> |
নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা দূরীকরণ সম্পর্কিত জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রে (১৯৯৩) বলা হয়েছে যে "নারীর প্রতি সহিংসতা" ঐতিহাসিকভাবে নারী-পুরুষের মধ্যে অসম শক্তির সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ, নারীদের পূর্ণ অগ্রগতিকে রুখে দিতে যা পুরুষদের দ্বারা নারীর প্রতি আধিপত্য ও বৈষম্য সৃষ্টি করেছে এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রক্রিয়া যার দ্বারা নারী পুরুষদের তুলনায় অধীনস্থ অবস্থানে থাকতে বাধ্য হয় "।<ref name=":29" /><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/1050039321|শিরোনাম=UNFPA strategy and framework for action to addressing gender-based violence 2008-2011.|শেষাংশ=Gender|প্রথমাংশ=Human Rights and Culture Branch|তারিখ=2008|প্রকাশক=United Nations Population Fund|অবস্থান=New York|অন্যান্য=UNFPA Technical Division|আইএসবিএন=9780897149518|oclc=1050039321}}</ref> নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দূরীকরণের ঘোষণাপত্রে নারীর প্রতি সহিংসতাকে তিনটি ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে: পরিবারে ঘটা সহিংসতা (ডিভি), সাধারণ সম্প্রদায়ের মধ্যে তৈরি সহিংসতা এবং রাষ্ট্রের দ্বারা উপেক্ষিত বা সংঘটিত হওয়া সহিংসতা।<ref name=":29" /> |
||
নারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, শাস্তি, এবং সহিংসতা নিরসন সম্পর্কিত আন্ত-আমেরিকান কনভেনশন নারীর প্রতি সহিংসতার সংজ্ঞায় বলেছে "লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে যে কোনও কাজ বা আচরণ, যা নারীমৃত্যুর বা তার শারীরিক, যৌন বা মানসিক ক্ষতি করতে পারে, হোক সামাজিক পরিমন্ডলে কিংবা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে "।<ref name=":34">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/s0020782900036524|শিরোনাম=Organization of American States: Inter-American Convention on the Prevention, Punishment and Eradication of Violence Against Women (“Convention of Belem Do Para”|তারিখ=1994-11-XX|সাময়িকী=International Legal Materials|খণ্ড=33|সংখ্যা নং=6|পাতাসমূহ=1534–1539| |
নারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, শাস্তি, এবং সহিংসতা নিরসন সম্পর্কিত আন্ত-আমেরিকান কনভেনশন নারীর প্রতি সহিংসতার সংজ্ঞায় বলেছে "লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে যে কোনও কাজ বা আচরণ, যা নারীমৃত্যুর বা তার শারীরিক, যৌন বা মানসিক ক্ষতি করতে পারে, হোক সামাজিক পরিমন্ডলে কিংবা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে "।<ref name=":34">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/s0020782900036524|শিরোনাম=Organization of American States: Inter-American Convention on the Prevention, Punishment and Eradication of Violence Against Women (“Convention of Belem Do Para”|তারিখ=1994-11-XX|সাময়িকী=International Legal Materials|খণ্ড=33|সংখ্যা নং=6|পাতাসমূহ=1534–1539|ডিওআই=10.1017/s0020782900036524|issn=0020-7829}}</ref> একইভাবে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দূরীকরণের ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে, এই কনভেনশন নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে তিনটি ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করেছে; যার মধ্যে একটি হল পরিবারে ভেতরে সংঘটিত সহিংসতা বা ডমেস্টিক ভায়োলেন্স (ডিভি) যা ঘরোয়া ইউনিটে বা অন্য কোনও আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কের মধ্যেও হতে পারে এবং এক্ষেত্রে ভুক্তভোগী অপরাধী ব্যক্তির সঙ্গে একই বাসগৃহে থাকতেও পারে নাও পারে"।<ref name=":34" /> |
||
ম্যাপুটো প্রোটোকল নারীর প্রতি সহিংসতার সংজ্ঞায়ন করতে গিয়ে একটি ব্যাপকতর সংজ্ঞা গ্রহণ করেছে: "নারীর বিরুদ্ধে সংঘটিত যেকোন কাজ যা তাদের শারীরিক, যৌন, মানসিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে বা এ জাতীয় ক্ষতির যাবতীয় হুমকি; বা শান্তিকালীন বা সশস্ত্র সংঘাত কিংবা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নারীর ব্যক্তিগত বা সামাজিক জীবনে মৌলিক স্বাধীনতার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বা তা থেকে বঞ্চিতকরণ "।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/904714339|শিরোনাম=Guidelines for state reporting under the protocol to the African Charter on Human and Peoples' Rights on the Rights of Women in Africa|শেষাংশ=body.|প্রথমাংশ=African Commission on Human and Peoples' Rights, issuing|oclc=904714339}}</ref> |
ম্যাপুটো প্রোটোকল নারীর প্রতি সহিংসতার সংজ্ঞায়ন করতে গিয়ে একটি ব্যাপকতর সংজ্ঞা গ্রহণ করেছে: "নারীর বিরুদ্ধে সংঘটিত যেকোন কাজ যা তাদের শারীরিক, যৌন, মানসিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে বা এ জাতীয় ক্ষতির যাবতীয় হুমকি; বা শান্তিকালীন বা সশস্ত্র সংঘাত কিংবা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নারীর ব্যক্তিগত বা সামাজিক জীবনে মৌলিক স্বাধীনতার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বা তা থেকে বঞ্চিতকরণ "।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/904714339|শিরোনাম=Guidelines for state reporting under the protocol to the African Charter on Human and Peoples' Rights on the Rights of Women in Africa|শেষাংশ=body.|প্রথমাংশ=African Commission on Human and Peoples' Rights, issuing|oclc=904714339}}</ref> |
||
ইস্তাম্বুল কনভেনশনের ৩ অনুচ্ছেদে<ref name=":31" /> বলা হয়েছে: "নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নারীদের বিরুদ্ধে |
ইস্তাম্বুল কনভেনশনের ৩ অনুচ্ছেদে<ref name=":31" /> বলা হয়েছে: "নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নারীদের বিরুদ্ধে একধরনের বৈষম্যরূপে "মানবাধিকার লঙ্ঘন" হিসেবে বিবেচিত। ওপাজ বনাম তুর্কির যুগান্তকারী মামলায়, প্রথমবারের মতো মানবাধিকারের ইউরোপীয় আদালত লিঙ্গ-ভিত্তিক পারিবারিক সহিংসতাকে ইউরোপীয় কনভেনশনের আওতায় বৈষম্য হিসেবে বিবেচনা করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2139/ssrn.2177522|শিরোনাম=Legal Recourse to Domestic Violence: European Perspective through ECHR Decision (Opuz V. Turkey)|শেষাংশ=Choudhary|প্রথমাংশ=Saroj Kant|তারিখ=2012|সাময়িকী=SSRN Electronic Journal|ডিওআই=10.2139/ssrn.2177522|issn=1556-5068}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5040/9781509914449.ch-010|শিরোনাম=Feminist Judgments in International Law|শেষাংশ=Choudhry|প্রথমাংশ=Shazia|শেষাংশ২=Herring|প্রথমাংশ২=Jonathan|তারিখ=2019|প্রকাশক=Hart Publishing|আইএসবিএন=978-1-5099-1445-6}}</ref> |
||
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এমন নারীদের শতকরা হার দেশ অনুযায়ী ৬৯% থেকে ১০% হয়ে থাকে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/4065432|শিরোনাম=Responding to Violence against Women: WHO's Multicountry Study on Women's Health and Domestic Violence|শেষাংশ=Garcia-Moreno|প্রথমাংশ=Claudia|শেষাংশ২=Watts|প্রথমাংশ২=Charlotte|শেষাংশ৩=Jansen|প্রথমাংশ৩=Henriette|শেষাংশ৪=Ellsberg|প্রথমাংশ৪=Mary|শেষাংশ৫=Heise|প্রথমাংশ৫=Lori|তারিখ=2003|সাময়িকী=Health and Human Rights|খণ্ড=6|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=112| |
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এমন নারীদের শতকরা হার দেশ অনুযায়ী ৬৯% থেকে ১০% হয়ে থাকে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/4065432|শিরোনাম=Responding to Violence against Women: WHO's Multicountry Study on Women's Health and Domestic Violence|শেষাংশ=Garcia-Moreno|প্রথমাংশ=Claudia|শেষাংশ২=Watts|প্রথমাংশ২=Charlotte|শেষাংশ৩=Jansen|প্রথমাংশ৩=Henriette|শেষাংশ৪=Ellsberg|প্রথমাংশ৪=Mary|শেষাংশ৫=Heise|প্রথমাংশ৫=Lori|তারিখ=2003|সাময়িকী=Health and Human Rights|খণ্ড=6|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=112|ডিওআই=10.2307/4065432|issn=1079-0969}}</ref> মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত সহিংসতার মধ্যে ১৫ শতাংশই ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সংঘটিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4016/33101.01|শিরোনাম=Criminal attorney San Diego|তারিখ=2011-08-24|ওয়েবসাইট=SciVee|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-12}}</ref> সিডিসি (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন)র সর্বশেষ গবেষণা (২০১৭) থেকে দেখা গেছে, সব ধরনের নারী হত্যাকাণ্ডের অর্ধেকেরও বেশি সংঘটিত হয়েছে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা, যাদের মধ্যে ৯৮ শতাংশই পুরুষ।<ref name=":30" /> |
||
ফেমিসাইড বা নারী হত্যা সাধারণত পুরুষদের দ্বারা নারী বা মেয়েদের লিঙ্গ-ভিত্তিক হত্যা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, যদিও সঠিক সংজ্ঞাটি ভিন্ন। ফেমিসাইডগুলো প্রায়শই ডিভি বা পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে দেখা যায়, যেমন অনার কিলিং বা যৌতুক হত্যার মতো ঘটনা। পরিসংখ্যানগত উদ্দেশ্যে, ফেমিসাইড দিয়ে প্রায়শই কোনও নারীকে হত্যা করা বোঝায়। ফেমাইসাইডের হার অনুসারে শীর্ষ দেশগুলি হল এল সালভাদর, জামাইকা, গুয়াতেমালা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাশিয়া (২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের তথ্য অনুযায়ী)।<ref name=":35">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/cbo9781139013925.002|শিরোনাম=Small arms survey 2012|শেষাংশ=Small Arms Survey|প্রথমাংশ=Geneva|প্রকাশক=Cambridge University Press|অবস্থান=Cambridge|পাতাসমূহ=vi–vi|আইএসবিএন=978-1-139-01392-5}}</ref> তবে এল সালভাদর এবং কলম্বিয়াতে, যেখানে ফেমিসাইডের হার খুব বেশি, সেখানে সব নারীহত্যার মধ্যে কেবলমাত্র তিন শতাংশই বর্তমান বা প্রাক্তন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সংঘটিত হয়, যেখানে সাইপ্রাস, ফ্রান্স এবং পর্তুগালে প্রাক্তন এবং বর্তমান ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা ফেমিসাইডের ঘটনা ৮০ শতাংশেরও বেশি।<ref name=":35" /> |
ফেমিসাইড বা নারী হত্যা সাধারণত পুরুষদের দ্বারা নারী বা মেয়েদের লিঙ্গ-ভিত্তিক হত্যা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, যদিও সঠিক সংজ্ঞাটি ভিন্ন। ফেমিসাইডগুলো প্রায়শই ডিভি বা পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে দেখা যায়, যেমন অনার কিলিং বা যৌতুক হত্যার মতো ঘটনা। পরিসংখ্যানগত উদ্দেশ্যে, ফেমিসাইড দিয়ে প্রায়শই কোনও নারীকে হত্যা করা বোঝায়। ফেমাইসাইডের হার অনুসারে শীর্ষ দেশগুলি হল এল সালভাদর, জামাইকা, গুয়াতেমালা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাশিয়া (২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের তথ্য অনুযায়ী)।<ref name=":35">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/cbo9781139013925.002|শিরোনাম=Small arms survey 2012|শেষাংশ=Small Arms Survey|প্রথমাংশ=Geneva|প্রকাশক=Cambridge University Press|অবস্থান=Cambridge|পাতাসমূহ=vi–vi|আইএসবিএন=978-1-139-01392-5}}</ref> তবে এল সালভাদর এবং কলম্বিয়াতে, যেখানে ফেমিসাইডের হার খুব বেশি, সেখানে সব নারীহত্যার মধ্যে কেবলমাত্র তিন শতাংশই বর্তমান বা প্রাক্তন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সংঘটিত হয়, যেখানে সাইপ্রাস, ফ্রান্স এবং পর্তুগালে প্রাক্তন এবং বর্তমান ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা ফেমিসাইডের ঘটনা ৮০ শতাংশেরও বেশি।<ref name=":35" /> |
||
১৪৯ নং লাইন: | ১৭৩ নং লাইন: | ||
[[File:Kalighat Painting Calcutta 19th Century - Woman Striking Man With Broom.jpg|thumb|একটি [[কালীঘাট পটচিত্র|কালিঘাট]] চিত্র: নারী ঝাড়ু দিয়ে পুরুষকে পেটাচ্ছেন, [[Calcutta|কলকাতা, ভারত]] ১৮৭৫]] |
[[File:Kalighat Painting Calcutta 19th Century - Woman Striking Man With Broom.jpg|thumb|একটি [[কালীঘাট পটচিত্র|কালিঘাট]] চিত্র: নারী ঝাড়ু দিয়ে পুরুষকে পেটাচ্ছেন, [[Calcutta|কলকাতা, ভারত]] ১৮৭৫]] |
||
পুরুষ ও পারিবারিক সহিংসতার গবেষণা সহিংসতার জন্য দায়ী এবং শিকার উভয় ক্ষেত্রেই পুরুষের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এবং পাশাপাশি সহিংসতা বিরোধী কাজে পুরুষ ও ছেলেদের কীভাবে যুক্ত করা যায় সে সম্পর্কেও আলোকপাত করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/1161996876|শিরোনাম=Men, masculinities and intimate partner violence|তারিখ=2021|অবস্থান=Abingdon, Oxon|অন্যান্য=Lucas Gottzén, Margunn Bjørnholt, Floretta Boonzaier|আইএসবিএন=978-0-429-28005-4|oclc=1161996876}}</ref> পুরুষদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার মধ্যে পারস্পরিক সহিংসতা সহ শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নির্যাতন অন্তর্ভুক্ত।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4065/73.3.271|শিরোনাম=Domestic Violence|শেষাংশ=Barrier|প্রথমাংশ=Patricia A.|তারিখ=1998-03-XX|সাময়িকী=Mayo Clinic Proceedings|খণ্ড=73|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=271–274| |
পুরুষ ও পারিবারিক সহিংসতার গবেষণা সহিংসতার জন্য দায়ী এবং শিকার উভয় ক্ষেত্রেই পুরুষের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এবং পাশাপাশি সহিংসতা বিরোধী কাজে পুরুষ ও ছেলেদের কীভাবে যুক্ত করা যায় সে সম্পর্কেও আলোকপাত করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/1161996876|শিরোনাম=Men, masculinities and intimate partner violence|তারিখ=2021|অবস্থান=Abingdon, Oxon|অন্যান্য=Lucas Gottzén, Margunn Bjørnholt, Floretta Boonzaier|আইএসবিএন=978-0-429-28005-4|oclc=1161996876}}</ref> পুরুষদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার মধ্যে পারস্পরিক সহিংসতা সহ শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নির্যাতন অন্তর্ভুক্ত।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4065/73.3.271|শিরোনাম=Domestic Violence|শেষাংশ=Barrier|প্রথমাংশ=Patricia A.|তারিখ=1998-03-XX|সাময়িকী=Mayo Clinic Proceedings|খণ্ড=73|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=271–274|ডিওআই=10.4065/73.3.271|issn=0025-6196}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781071801161.n14|শিরোনাম=Counseling Ethics for the 21st Century: A Case-Based Guide to Virtuous Practice|তারিখ=2019|প্রকাশক=SAGE Publications, Inc.|অবস্থান=2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320|পাতাসমূহ=115–124|আইএসবিএন=978-1-5063-4547-5}}</ref> সহিংসতার শিকার পুরুষ বিভিন্ন কারণে সহায়তা পেতে অনিচ্ছুক হতে পারেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1080/10911359.2012.655988|শিরোনাম=Domestic Violence against Men in India: A Perspective|শেষাংশ=Kumar|প্রথমাংশ=Anant|তারিখ=2012-03-28|সাময়িকী=Journal of Human Behavior in the Social Environment|খণ্ড=22|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=290–296|ডিওআই=10.1080/10911359.2012.655988|issn=1091-1359}}</ref> একটি গবেষণা তদন্তে এসেছে, যেসব নারী পুরুষদের শারীরিক আক্রমণ করে তারা পুলিশের গ্রেফ্তার এড়ানোর চেষ্টা করে, এমনকি পুরুষরা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করার পরও পুলিশরা ঐ সমস্ত নারীদের সাধারণত গ্রেফতার করে না যারা তাদের পুরুষ সঙ্গীদের অত্যাচার করে। এবং এমনটি করার কারণ হচ্ছে এটা মনে করা যে, যে পুরুষ তার নারী সঙ্গী থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে এবং নিজের পুরুষ সঙ্গী ব্যতীত অন্য কাউকে আক্রমণ না করলে নারীর সহিংসতা তেমন বিপজ্জনক কিছু নয়"।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1080/07418820701485601|শিরোনাম=Does the Criminal Justice System Treat Domestic Violence and Sexual Assault Offenders Leniently?|শেষাংশ=Felson|প্রথমাংশ=Richard B.|শেষাংশ২=Pare|প্রথমাংশ২=Paul‐Philippe|তারিখ=2007-07-13|সাময়িকী=Justice Quarterly|খণ্ড=24|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=435–459|ডিওআই=10.1080/07418820701485601|issn=0741-8825}}</ref> অন্য একটি সমীক্ষা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে "গুণগত গবেষণার জন্য কিছু সমর্থন রয়েছে যা দেখায় যে, আদালত ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সহিংসতার ক্ষেত্রে লিঙ্গ অসমতার প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল এবং অপরাধী নারী ঘনিষ্ঠ সঙ্গীকে আক্রমণকারী হিসেবে নয় ভুক্তভোগী হিসেবেই বেশি বিবেচনা করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1080/07418820701485395|শিরোনাম=Intimate Partner Violence: The Role of Suspect Gender in Prosecutorial Decision‐Making|শেষাংশ=Kingsnorth|প্রথমাংশ=Rodney F.|শেষাংশ২=MacIntosh|প্রথমাংশ২=Randall C.|তারিখ=2007-07-13|সাময়িকী=Justice Quarterly|খণ্ড=24|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=460–495|ডিওআই=10.1080/07418820701485395|issn=0741-8825}}</ref> |
||
= |
== বয়স গোষ্ঠী == |
||
==== কৈশোর ও তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক ==== |
==== কৈশোর ও তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক ==== |
||
কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে গবেষকরা মূলত ভিন্ন ভিন্ন লিঙ্গের ককেশীয় জনগোষ্ঠীর দিকে মনোনিবেশ করেছেন।<ref name=":36">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/842363080|শিরোনাম=Handbook of adolescent health psychology|তারিখ=2013|প্রকাশক=Springer|অবস্থান=New York, NY|অন্যান্য=William T. O'Donohue, Lorraine T. Benuto, Lauren Woodward Tolle|আইএসবিএন=978-1-4614-6633-8|oclc=842363080}}</ref> লিখিত সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিপরীত লিঙ্গভিত্তিক সম্পর্কে থাকা ছেলে এবং মেয়ে উভয় দিক থেকেই ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার হার একই দেখা যায় বা এ ধরনের সম্পর্কে থাকা মেয়েদের ছেলেদের তুলনায় সহিংসতার শিকার প্রতিবেদন দাখিলের প্রবণতা বেশি।<ref name=":36" /><ref name=":37">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/429921023|শিরোনাম=Intimate partner violence : a health-based perspective|তারিখ=2009|প্রকাশক=Oxford University Press|অবস্থান=Oxford|অন্যান্য=Connie Mitchell, Deirdre Anglin|আইএসবিএন=978-0-19-972072-9|oclc=429921023}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/1524838008324418|শিরোনাম=Female Perpetration of Violence in Heterosexual Intimate Relationships|শেষাংশ=Williams|প্রথমাংশ=Jessica R.|শেষাংশ২=Ghandour|প্রথমাংশ২=Reem M.|শেষাংশ৩=Kub|প্রথমাংশ৩=Joan E.|তারিখ=2008-10|সাময়িকী=Trauma, Violence, & Abuse|খণ্ড=9|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=227–249| |
কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে গবেষকরা মূলত ভিন্ন ভিন্ন লিঙ্গের ককেশীয় জনগোষ্ঠীর দিকে মনোনিবেশ করেছেন।<ref name=":36">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/842363080|শিরোনাম=Handbook of adolescent health psychology|তারিখ=2013|প্রকাশক=Springer|অবস্থান=New York, NY|অন্যান্য=William T. O'Donohue, Lorraine T. Benuto, Lauren Woodward Tolle|আইএসবিএন=978-1-4614-6633-8|oclc=842363080}}</ref> লিখিত সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিপরীত লিঙ্গভিত্তিক সম্পর্কে থাকা ছেলে এবং মেয়ে উভয় দিক থেকেই ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার হার একই দেখা যায় বা এ ধরনের সম্পর্কে থাকা মেয়েদের ছেলেদের তুলনায় সহিংসতার শিকার প্রতিবেদন দাখিলের প্রবণতা বেশি।<ref name=":36" /><ref name=":37">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/429921023|শিরোনাম=Intimate partner violence : a health-based perspective|তারিখ=2009|প্রকাশক=Oxford University Press|অবস্থান=Oxford|অন্যান্য=Connie Mitchell, Deirdre Anglin|আইএসবিএন=978-0-19-972072-9|oclc=429921023}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/1524838008324418|শিরোনাম=Female Perpetration of Violence in Heterosexual Intimate Relationships|শেষাংশ=Williams|প্রথমাংশ=Jessica R.|শেষাংশ২=Ghandour|প্রথমাংশ২=Reem M.|শেষাংশ৩=Kub|প্রথমাংশ৩=Joan E.|তারিখ=2008-10|সাময়িকী=Trauma, Violence, & Abuse|খণ্ড=9|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=227–249|ডিওআই=10.1177/1524838008324418|issn=1524-8380}}</ref> এলি সহ আরো কিছু গবেষক বলছেন, সাধারণভাবে কৈশোর অবস্থায় ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা ঘটা সহিংসতাগুলোতে একই হার দেখার বিষয়টি পারিবারিক সহিংসতায় দেখা যায় না, আর এটি সম্ভবত হয়ে থাকে, যেহেতু কৈশোরকাল একটি বিশেষ উন্নয়নশীল অবস্থা এবং এর যৌন বৈশিষ্ট্যগুলো প্রাপ্তবয়স্কদের বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে সম্পূর্ণ পৃথক।"<ref name=":38">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/654358245|শিরোনাম=Handbook of violence|তারিখ=2002|প্রকাশক=Wiley|অবস্থান=New York|অন্যান্য=Lisa A. Rapp-Paglicci, Albert R. Roberts, John S. Wodarski|আইএসবিএন=0-471-21444-2|oclc=654358245}}</ref> ওয়েকারলে এবং ওল্ফ তত্ত্ব দেন যে "কৈশোরে কালে পারস্পরিক জবরদস্তি এবং হিংসাত্মক গতিশীলতা তৈরি হতে পারে, এটি এমন একটি সময় যখন পুরুষ এবং নারী শারীরিক স্তরে প্রায় সমান হয় এবং এই "শারীরিক সাম্যতা মেয়েদেরকে শারীরিক সহিংসতার সময় অধিক শক্তি প্রদর্শনের মঞ্জুরি দেয় যা পুরোপুরি শারীরিকভাবে পরিপক্ক একজন ব্যক্তির সঙ্গে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার পক্ষে সম্ভব হয় না"।<ref name=":38" /> শেরি হ্যাম্বি বলেন যে, কিশোর-কিশোরী এবং অল্প বয়স্কদের মধ্যে হৈ চৈ ও মজা করা সাধারণ বিষয় এবং" একটি উঠতি গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে পুরুষদের তুলনায় নারী তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সাথে এ ধরনের হাস্যরস বেশি করে থাকে"।<ref>Hamby, Sherry (2014). [1] "Self-Report Measures That Do Not Produce Gender Parity in Intimate Partner Violence A Multi-Study Investigation", ''Psychology of Violence''6(2), January 2014. Retrieved on 31 July 2018.</ref> |
||
যদিও সাধারণ সাহিত্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে কৈশোর বয়সী ছেলে-মেয়েরা প্রায় সমান হারে আইপিভিতে জড়িত, নারীরা শারীরিক সহিংসতায় কম বিপজ্জনক রূপ ব্যবহার করে (যেমন ধাক্কা দেয়া, চিমটি কাটা, চড় মারা, আচড় দেয়া, লাথি মারা), অন্যদিকে পুরুষদের মধ্যে ঘুষি মারা, শ্বাসরোধ, মারধর, পোড়ানো বা অস্ত্র দিয়ে হুমকি প্রদর্শনের প্রবণতা থাকে। পুরুষদের যৌন আগ্রাসনের প্রবণতাও বেশি, যদিও উভয় লিঙ্গই সমানভাবে তাদের সঙ্গীকে যৌন ক্রিয়াকলাপে চাপ দিতে পারে। তদুপরি, নারীদের মধ্যে ধর্ষণের অভিজ্ঞতার শিকার হওয়ার আশঙ্কা চারগুণ বেশি এবং তাদের সঙ্গীর দ্বারা মারাত্মক আঘাতের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, বা নির্যাতনের ফলে মানসিক সাহায্যের প্রয়োজন হয়। পুরুষ সহযোগীদের তুলনায় নারীরা আইপিভিকে মারাত্মক সমস্যা বলে মনে করেন অন্যদিকে পুরুষরা নারী-নির্যাতক আইপিভিকে গণ্যই করেনা।<ref name=":36" /><ref name=":37" /><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/759972151|শিরোনাম=The psychology of teen violence and victimization. Volume 1, From bullying to cyberstalking to assault and sexual violation|তারিখ=2011|প্রকাশক=Praeger|অবস্থান=Santa Barbara, Calif.|পাতাসমূহ=২২১-৪১|অন্যান্য=Michele Antoinette Paludi|আইএসবিএন=978-0-313-39376-1|oclc=759972151}}</ref> ধরনের পাশাপাশি সহিংসতার প্রেরণাও লিঙ্গ অনুসারে পরিবর্তিত হয়: নারী সাধারণত আত্মরক্ষা করতে গিয়ে সহিংসতা ঘটায়, অন্যদিকে পুরুষরা শক্তি বা নিয়ন্ত্রণের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সহিংসতা করে।<ref name=":36" /><ref name=":37" /> গবেষণায় সমর্থিত যে, পুরুষদের তুলনায় আত্মরক্ষার বিষয়ে নারীদের মধ্যে পূর্বে ভুক্তভোগী হওয়ার বিষয়টি তাদের অপরাধ প্রবণতার পেছনে বেশি কাজ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/759972151|শিরোনাম=The psychology of teen violence and victimization. Volume 1, From bullying to cyberstalking to assault and sexual violation|তারিখ=2011|প্রকাশক=Praeger|অবস্থান=Santa Barbara, Calif.|পাতাসমূহ=৭১-৮২|অন্যান্য=Michele Antoinette Paludi|আইএসবিএন=978-0-313-39376-1|oclc=759972151}}</ref> অন্যান্য গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, যেসব ছেলে পরিবারের সদস্য দ্বারা শৈশবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তাদের দ্বারা আইপিভি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। অন্যদিকে পরিবারের সদস্যদের দ্বারা শৈশবকালে যেসব মেয়ে নির্যাতিত হয়েছে তাদের মধ্যে মানবিকতা ও সক্রিয়তার অভাব লক্ষ্যণীয়। তবে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আইপিভি সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা এবং শিকার হওয়ার সম্ভাবনা আলাদা হয় এবং এটি ভালভাবে বোঝাও যায় না।<ref |
যদিও সাধারণ সাহিত্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে কৈশোর বয়সী ছেলে-মেয়েরা প্রায় সমান হারে আইপিভিতে জড়িত, নারীরা শারীরিক সহিংসতায় কম বিপজ্জনক রূপ ব্যবহার করে (যেমন ধাক্কা দেয়া, চিমটি কাটা, চড় মারা, আচড় দেয়া, লাথি মারা), অন্যদিকে পুরুষদের মধ্যে ঘুষি মারা, শ্বাসরোধ, মারধর, পোড়ানো বা অস্ত্র দিয়ে হুমকি প্রদর্শনের প্রবণতা থাকে। পুরুষদের যৌন আগ্রাসনের প্রবণতাও বেশি, যদিও উভয় লিঙ্গই সমানভাবে তাদের সঙ্গীকে যৌন ক্রিয়াকলাপে চাপ দিতে পারে। তদুপরি, নারীদের মধ্যে ধর্ষণের অভিজ্ঞতার শিকার হওয়ার আশঙ্কা চারগুণ বেশি এবং তাদের সঙ্গীর দ্বারা মারাত্মক আঘাতের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, বা নির্যাতনের ফলে মানসিক সাহায্যের প্রয়োজন হয়। পুরুষ সহযোগীদের তুলনায় নারীরা আইপিভিকে মারাত্মক সমস্যা বলে মনে করেন অন্যদিকে পুরুষরা নারী-নির্যাতক আইপিভিকে গণ্যই করেনা।<ref name=":36" /><ref name=":37" /><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/759972151|শিরোনাম=The psychology of teen violence and victimization. Volume 1, From bullying to cyberstalking to assault and sexual violation|তারিখ=2011|প্রকাশক=Praeger|অবস্থান=Santa Barbara, Calif.|পাতাসমূহ=২২১-৪১|অন্যান্য=Michele Antoinette Paludi|আইএসবিএন=978-0-313-39376-1|oclc=759972151}}</ref> ধরনের পাশাপাশি সহিংসতার প্রেরণাও লিঙ্গ অনুসারে পরিবর্তিত হয়: নারী সাধারণত আত্মরক্ষা করতে গিয়ে সহিংসতা ঘটায়, অন্যদিকে পুরুষরা শক্তি বা নিয়ন্ত্রণের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সহিংসতা করে।<ref name=":36" /><ref name=":37" /> গবেষণায় সমর্থিত যে, পুরুষদের তুলনায় আত্মরক্ষার বিষয়ে নারীদের মধ্যে পূর্বে ভুক্তভোগী হওয়ার বিষয়টি তাদের অপরাধ প্রবণতার পেছনে বেশি কাজ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/759972151|শিরোনাম=The psychology of teen violence and victimization. Volume 1, From bullying to cyberstalking to assault and sexual violation|তারিখ=2011|প্রকাশক=Praeger|অবস্থান=Santa Barbara, Calif.|পাতাসমূহ=৭১-৮২|অন্যান্য=Michele Antoinette Paludi|আইএসবিএন=978-0-313-39376-1|oclc=759972151}}</ref> অন্যান্য গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, যেসব ছেলে পরিবারের সদস্য দ্বারা শৈশবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তাদের দ্বারা আইপিভি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। অন্যদিকে পরিবারের সদস্যদের দ্বারা শৈশবকালে যেসব মেয়ে নির্যাতিত হয়েছে তাদের মধ্যে মানবিকতা ও সক্রিয়তার অভাব লক্ষ্যণীয়। তবে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আইপিভি সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা এবং শিকার হওয়ার সম্ভাবনা আলাদা হয় এবং এটি ভালভাবে বোঝাও যায় না।<ref name=":37"/> ২০১৮ সালে হ্যাম্বীর ৩৩টি সমীক্ষার পর্যালোচনায় এমন একটি মানদন্ড ব্যবহার করা হয় যেখানে হৈ চৈ এবং রসিকতার বিষয়টিকে বাতিল করা হয় এবং বলা হয় যে পুরুষরা নারীর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://rgdoi.net/10.13140/RG.2.2.34326.86086|শিরোনাম=Gender Patterns in Intimate Partner Violence: Results from 33 Campus Climate Surveys Based on the Partner Victimization Scale|শেষাংশ=Anne-Stuart Bell|শেষাংশ২=Dinwiddie|প্রথমাংশ২=Martha|শেষাংশ৩=Hamby|প্রথমাংশ৩=Sherry|তারিখ=2018|ভাষা=en|ডিওআই=10.13140/RG.2.2.34326.86086}}</ref> |
||
==== শিশু ==== |
==== শিশু ==== |
||
১৬২ নং লাইন: | ১৮৬ নং লাইন: | ||
[[File:Map of domestic corporal punishment abolition.svg|thumb|যে দেশগুলোতে অভিভাবক কর্তৃক শিশুদের শারীরিক শাস্তি প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিশুদের শারীরিক শাস্তি দেয়া নিয়ে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন। বেশিরভাগ দেশেই এই ধরনের শাস্তি খুব বেশি না হলে পারিবারিক সহিংসতার আওতায় পড়ে না। তবে ইওরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশে শিশুদের প্রতি যেকোন ধরনের শারীরিক শাস্তি বেআইনি করা হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e643862013-001|শিরোনাম=Prohibiting All Corporal Punishment of Children in Africa: Progress and Delay|তারিখ=2013|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-26}}</ref>]] |
[[File:Map of domestic corporal punishment abolition.svg|thumb|যে দেশগুলোতে অভিভাবক কর্তৃক শিশুদের শারীরিক শাস্তি প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিশুদের শারীরিক শাস্তি দেয়া নিয়ে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন। বেশিরভাগ দেশেই এই ধরনের শাস্তি খুব বেশি না হলে পারিবারিক সহিংসতার আওতায় পড়ে না। তবে ইওরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশে শিশুদের প্রতি যেকোন ধরনের শারীরিক শাস্তি বেআইনি করা হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e643862013-001|শিরোনাম=Prohibiting All Corporal Punishment of Children in Africa: Progress and Delay|তারিখ=2013|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-26}}</ref>]] |
||
পারিবারিক সহিংসতা এবং শিশু নির্যাতনের মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগসূত্র রয়েছে। যেহেতু পারিবারিক সহিংসতা এমন ধরনের আচরণ, যেখানে ঘটনার তীব্রতা এবং মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে, সেখানে শিশুদের শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও স্বভাবতই বেশি থাকতে পারে। পারিবারিক সহিংসতা এবং শিশু নির্যাতনের মধ্যে পরিসংখ্যান চাপা পড়ে যাওয়ার আনুমানিক হার ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/j.chiabu.2015.10.018|শিরোনাম=The relationship between parental presence and child sexual violence: Evidence from thirteen countries in sub-Saharan Africa|শেষাংশ=Kidman|প্রথমাংশ=Rachel|শেষাংশ২=Palermo|প্রথমাংশ২=Tia|তারিখ=2016-01|সাময়িকী=Child Abuse & Neglect|খণ্ড=51|পাতাসমূহ=172–180| |
পারিবারিক সহিংসতা এবং শিশু নির্যাতনের মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগসূত্র রয়েছে। যেহেতু পারিবারিক সহিংসতা এমন ধরনের আচরণ, যেখানে ঘটনার তীব্রতা এবং মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে, সেখানে শিশুদের শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও স্বভাবতই বেশি থাকতে পারে। পারিবারিক সহিংসতা এবং শিশু নির্যাতনের মধ্যে পরিসংখ্যান চাপা পড়ে যাওয়ার আনুমানিক হার ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/j.chiabu.2015.10.018|শিরোনাম=The relationship between parental presence and child sexual violence: Evidence from thirteen countries in sub-Saharan Africa|শেষাংশ=Kidman|প্রথমাংশ=Rachel|শেষাংশ২=Palermo|প্রথমাংশ২=Tia|তারিখ=2016-01|সাময়িকী=Child Abuse & Neglect|খণ্ড=51|পাতাসমূহ=172–180|ডিওআই=10.1016/j.chiabu.2015.10.018|issn=0145-2134}}</ref> |
||
আজও, বেশিরভাগ দেশে তাদের পিতামাতাদের দ্বারা শিশুদের শারীরিক শাস্তি বৈধ বলে বিবেচিত, তবে পশ্চিমা দেশগুলিতে এখনও এটি অনুমোদিত তবে কতটুকু অনুমোদিত হবে সে বিষয়ে কঠোর সীমারেখা রয়েছে। পিতামাতাদের শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করার প্রথম দেশটি ছিল সুইডেন (১৯৬৬ সালে সন্তানের পশ্চাতদেশে পিতামাতার আঘাত করার অধিকার প্রথম বাতিল করা হয়)<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/841170935|শিরোনাম=Family violence against children : a challenge for society|তারিখ=1996|প্রকাশক=Walter de Gruyter|অবস্থান=Berlin|অন্যান্য=Detlev Frehsee, Wiebke Horn, Kai-D. Bussmann, SonderforschungsbereichPrävention und Intervention im Kindes- und Jugendalter|আইএসবিএন=978-3-11-082803-0|oclc=841170935}}</ref> এবং এটি জুলাই ১৯৭৯ থেকে আইন দ্বারা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ হয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত পিতামাতার শারীরিক শাস্তি ৫১ টি দেশে নিষিদ্ধ করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e516072015-001|শিরোনাম=Prohibiting all Corporal Punishment of Children: Learning from States which have Achieved Law Reform|তারিখ=2014|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-12}}</ref> |
আজও, বেশিরভাগ দেশে তাদের পিতামাতাদের দ্বারা শিশুদের শারীরিক শাস্তি বৈধ বলে বিবেচিত, তবে পশ্চিমা দেশগুলিতে এখনও এটি অনুমোদিত তবে কতটুকু অনুমোদিত হবে সে বিষয়ে কঠোর সীমারেখা রয়েছে। পিতামাতাদের শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করার প্রথম দেশটি ছিল সুইডেন (১৯৬৬ সালে সন্তানের পশ্চাতদেশে পিতামাতার আঘাত করার অধিকার প্রথম বাতিল করা হয়)<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/841170935|শিরোনাম=Family violence against children : a challenge for society|তারিখ=1996|প্রকাশক=Walter de Gruyter|অবস্থান=Berlin|অন্যান্য=Detlev Frehsee, Wiebke Horn, Kai-D. Bussmann, SonderforschungsbereichPrävention und Intervention im Kindes- und Jugendalter|আইএসবিএন=978-3-11-082803-0|oclc=841170935}}</ref> এবং এটি জুলাই ১৯৭৯ থেকে আইন দ্বারা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ হয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত পিতামাতার শারীরিক শাস্তি ৫১ টি দেশে নিষিদ্ধ করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e516072015-001|শিরোনাম=Prohibiting all Corporal Punishment of Children: Learning from States which have Achieved Law Reform|তারিখ=2014|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-12}}</ref> |
||
==== সমলিঙ্গের সম্পর্ক ==== |
==== সমলিঙ্গের সম্পর্ক ==== |
||
চিরায়তভাবে, পারিবারিক সহিংসতাকে বিপরীত লিঙ্গ ভিত্তিক পারিবারিক সমস্যা হিসাবে দেখা হয়েছে এবং সমলিঙ্গের সম্পর্কের সহিংসতার দিকে খুব কম আগ্রহ দেখানো হয়েছে, তবে সমকামী সম্পর্কের<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/612527807|শিরোনাম=Partner abuse in gay male relationships : challenging "we are family."|শেষাংশ=Aguinaldo|প্রথমাংশ=Jeffrey|তারিখ=2000|প্রকাশক=Wilfrid Laurier University|অবস্থান=Waterloo, Ontario|অন্যান্য=National Library of Canada. Canadian Theses Service, Wilfrid Laurier University. Faculty of Graduate Studies. Department of Psychology|আইএসবিএন=0-612-53261-5|oclc=612527807}}</ref> ক্ষেত্রেও পারিবারিক সহিংসতা দেখা দিতে পারে।এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ভিক্টিমোলজি এন্ড ক্রাইম প্রিভেনশন স্টেটস বলছে, "বেশ কয়েকটি পদ্ধতিগত কারণে - যেমন প্রথাগত নমুনাকরণ পদ্ধতি, স্ব-নির্বাচনের অনুঘটক ইত্যাদি কারণে - সমকামী সম্পর্কের সহিংসতার মাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না।<ref name=":40">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/809772665|শিরোনাম=Encyclopedia of Victimology and Crime Prevention.|শেষাংশ=Fisher|প্রথমাংশ=Bonnie|তারিখ=2010|প্রকাশক=SAGE Publications|অবস্থান=Thousand Oaks|অন্যান্য=Steven P. Lab|আইএসবিএন=978-1-4522-6637-4|oclc=809772665}}</ref> |
চিরায়তভাবে, পারিবারিক সহিংসতাকে বিপরীত লিঙ্গ ভিত্তিক পারিবারিক সমস্যা হিসাবে দেখা হয়েছে এবং সমলিঙ্গের সম্পর্কের সহিংসতার দিকে খুব কম আগ্রহ দেখানো হয়েছে, তবে সমকামী সম্পর্কের<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/612527807|শিরোনাম=Partner abuse in gay male relationships : challenging "we are family."|শেষাংশ=Aguinaldo|প্রথমাংশ=Jeffrey|তারিখ=2000|প্রকাশক=Wilfrid Laurier University|অবস্থান=Waterloo, Ontario|অন্যান্য=National Library of Canada. Canadian Theses Service, Wilfrid Laurier University. Faculty of Graduate Studies. Department of Psychology|আইএসবিএন=0-612-53261-5|oclc=612527807}}</ref> ক্ষেত্রেও পারিবারিক সহিংসতা দেখা দিতে পারে।এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ভিক্টিমোলজি এন্ড ক্রাইম প্রিভেনশন স্টেটস বলছে, "বেশ কয়েকটি পদ্ধতিগত কারণে - যেমন প্রথাগত নমুনাকরণ পদ্ধতি, স্ব-নির্বাচনের অনুঘটক ইত্যাদি কারণে - সমকামী সম্পর্কের সহিংসতার মাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না।<ref name=":40">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/809772665|শিরোনাম=Encyclopedia of Victimology and Crime Prevention.|শেষাংশ=Fisher|প্রথমাংশ=Bonnie|তারিখ=2010|প্রকাশক=SAGE Publications|অবস্থান=Thousand Oaks|অন্যান্য=Steven P. Lab|আইএসবিএন=978-1-4522-6637-4|oclc=809772665}}</ref> |
||
উনিশটি গবেষণা নিয়ে ১৯৯৯ সালের একটি বিশ্লেষণ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে "গবেষণা অনুযায়ী লেসবিয়ানরা এবং সমকামী পুরুষরা ঠিক তাদের সঙ্গীর প্রতি সেভাবেই নির্যাতনমূলক আচরণ করে থাকে যেভাবে বিপরীত লিঙ্গভিত্তিক সম্পর্কে হয়ে থাকে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/s0272-7358(98)00054-3|শিরোনাম=Violence in lesbian and gay relationships Theory, prevalence, and correlational factors|শেষাংশ=Burke|প্রথমাংশ=L|তারিখ=1999-08-XX|সাময়িকী=Clinical Psychology Review|খণ্ড=19|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=487–512| |
উনিশটি গবেষণা নিয়ে ১৯৯৯ সালের একটি বিশ্লেষণ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে "গবেষণা অনুযায়ী লেসবিয়ানরা এবং সমকামী পুরুষরা ঠিক তাদের সঙ্গীর প্রতি সেভাবেই নির্যাতনমূলক আচরণ করে থাকে যেভাবে বিপরীত লিঙ্গভিত্তিক সম্পর্কে হয়ে থাকে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/s0272-7358(98)00054-3|শিরোনাম=Violence in lesbian and gay relationships Theory, prevalence, and correlational factors|শেষাংশ=Burke|প্রথমাংশ=L|তারিখ=1999-08-XX|সাময়িকী=Clinical Psychology Review|খণ্ড=19|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=487–512|ডিওআই=10.1016/s0272-7358(98)00054-3|issn=0272-7358}}</ref> ২০১১ সালে আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলি তাদের ২০১০ সালের জাতীয় ঘনিষ্ঠ সঙ্গী এবং যৌন সহিংসতা বিষয়ক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে যাতে দেখা যায়, ৪৪% লেসবিয়ান মহিলা, ৬১% উভকামী মহিলা, এবং ৩৫% বিপরীতলিঙ্গকামী নারী তাদের জীবদ্দশায় পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন।<ref name=":41">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e541272013-001|শিরোনাম=The National Intimate Partner and Sexual Violence Survey: 2010 Findings on Victimization by Sexual Orientation|শেষাংশ=Walters|প্রথমাংশ=Mikel L.|শেষাংশ২=Chen|প্রথমাংশ২=Jieru|তারিখ=2013|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-12|শেষাংশ৩=Breiding|প্রথমাংশ৩=Matthew J.}}</ref> একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমকামী পুরুষদের ২৬%, উভকামী পুরুষের ৩৭%, এবং ২৯% বিপরীতলিঙ্গকামী পুরুষরা তাদের জীবদ্দশায় ঘরোয়া সহিংসতার শিকার হয়েছেন।<ref name=":41" /> ২০১৩ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ৪০.৪% স্ব-স্বীকৃত লেসবিয়ান এবং ৫৬.৯% উভকামী নিজের সঙ্গী দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।<ref name=":42">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-3-030-44762-5_15|শিরোনাম=Intimate Partner Violence and the LGBT+ Community|শেষাংশ=Miles-Johnson|প্রথমাংশ=Toby|তারিখ=2020|প্রকাশক=Springer International Publishing|অবস্থান=Cham|পাতাসমূহ=281–304|আইএসবিএন=978-3-030-44761-8}}</ref> ২০১৪ সালে, জাতীয় সমীক্ষা ইঙ্গিত দিয়েছে, সমকামী এবং উভকামী পুরুষদের মধ্যে ২৫ থেকে ৫০% পর্যন্ত কোথাও কোনও সঙ্গীর কাছ থেকে শারীরিক সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছে।<ref name="connect.springerpub.com">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://connect.springerpub.com/lookup/doi/10.1891/0886-6708.VV-D-12-00140|শিরোনাম=Antecedents of Intimate Partner Violence Among Gay and Bisexual Men|শেষাংশ=Finneran|প্রথমাংশ=Catherine|শেষাংশ২=Stephenson|প্রথমাংশ২=Rob|তারিখ=2014|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=29|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=422–435|ভাষা=en|ডিওআই=10.1891/0886-6708.VV-D-12-00140|issn=0886-6708}}</ref> কিছু উৎস বলছে যে সমকামী এবং লেসবিয়ান দম্পতিরা বিপরীতলিঙ্গভিত্তিক দম্পতিদের<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/324995705|শিরোনাম=Crime victims : an introduction to victimology|শেষাংশ=Karmen|প্রথমাংশ=Andrew|তারিখ=2010|প্রকাশক=Wadsworth/Cengage Learning|অবস্থান=Belmont, CA|আইএসবিএন=978-0-495-59929-6|oclc=324995705|সংস্করণ=7th ed}}</ref> মতো একই মাত্রায় পারিবারিক সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছে। অন্যান্য উৎসমতে, সমকামী পুরুষ, সমকামী স্ত্রীলোক এবং উভকামী ব্যক্তির মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার হার বিপরীতলিঙ্গভিত্তিক সম্পর্কের তুলনায় বেশি কিন্তু বিপরীতলিঙ্গভিত্তিক সম্পর্কের তুলনায় তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের দ্বারা সহিংসতায় শিকার হয়ে প্রতিবেদন দাখিলের প্রবণতা কম।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/609715322|শিরোনাম=Interpersonal violence in the African American community : evidence-based prevention and treatment practices|তারিখ=2006|প্রকাশক=Springer|অবস্থান=New York|অন্যান্য=Robert L. Hampton, Thomas P. Gullotta, Jessica M. Ramos|আইএসবিএন=978-0-387-29598-5|oclc=609715322}}</ref> হিস্পানিক পুরুষদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এক সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে সেখানে সমকামী পুরুষদের বিপরীতলিঙ্গকামী পুরুষদের তুলনায় অপরাধ করা বা পারিবারিক সহিংসতার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে তবে উভকামী পুরুষদের ক্ষেত্রে উভয়ই ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.3109/01612840.2012.728280|শিরোনাম=Sexual Orientation and Demographic, Cultural, and Psychological Factors Associated with the Perpetration and Victimization of Intimate Partner Violence among Hispanic Men|শেষাংশ=Gonzalez-Guarda|প্রথমাংশ=Rosa M.|শেষাংশ২=De Santis|প্রথমাংশ২=Joseph P.|শেষাংশ৩=Vasquez|প্রথমাংশ৩=Elias P.|তারিখ=2013-01-31|সাময়িকী=Issues in Mental Health Nursing|খণ্ড=34|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=103–109|ডিওআই=10.3109/01612840.2012.728280|issn=0161-2840}}</ref> বিপরীতভাবে, কিছু গবেষক সাধারণত ধরে নিয়েছেন যে, সমকামী দম্পতিরা বিপরীতলিঙ্গভিত্তিক দম্পতির মতোই সমান হারে পারিবারিক সহিংসতা অনুভব করে এবং সমকামী পুরুষ দম্পতিরা পারিবারিক সহিংসতার রিপোর্ট করার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকে।<ref name=":40" /> |
||
সমকামী পুরুষ এবং সমকামী নারীর সম্পর্কগুলোকে কিছু জনগোষ্ঠীতে নির্যাতনের ঝুঁকি তৈরির কারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।<ref name=":39" /> বিশ্বের কিছু অংশের এলজিবিটি ব্যক্তিদের জন্য ডিভি (ডমেস্টিক ভায়লেন্স) বা পারিবারিক সহিংসতা থেকে খুব সামান্যই আইনী সুরক্ষা আছে, কারণ সমকামী আচরণে লিপ্ত হওয়াই "সোডমির আইন" দ্বারা নিষিদ্ধ (২০১৪ পর্যন্ত, সমকামী যৌন ক্রিয়াকলাপ ৭০ টি দেশে কারাদন্ডে দন্ডনীয় এবং আরও ৫ টি দেশে মৃত্যুর মাধ্যমে দন্ডনীয় আপরাধ)<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/benz/9780199773787.article.b00081658|শিরোনাম=Gutiérrez, Martín|তারিখ=2011-10-31|ধারাবাহিক=Benezit Dictionary of Artists|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> এবং এই আইনী নিষেধাজ্ঞাগুলো ডিভি দ্বারা |
সমকামী পুরুষ এবং সমকামী নারীর সম্পর্কগুলোকে কিছু জনগোষ্ঠীতে নির্যাতনের ঝুঁকি তৈরির কারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।<ref name=":39" /> বিশ্বের কিছু অংশের এলজিবিটি ব্যক্তিদের জন্য ডিভি (ডমেস্টিক ভায়লেন্স) বা পারিবারিক সহিংসতা থেকে খুব সামান্যই আইনী সুরক্ষা আছে, কারণ সমকামী আচরণে লিপ্ত হওয়াই "সোডমির আইন" দ্বারা নিষিদ্ধ (২০১৪ পর্যন্ত, সমকামী যৌন ক্রিয়াকলাপ ৭০ টি দেশে কারাদন্ডে দন্ডনীয় এবং আরও ৫ টি দেশে মৃত্যুর মাধ্যমে দন্ডনীয় আপরাধ)<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/benz/9780199773787.article.b00081658|শিরোনাম=Gutiérrez, Martín|তারিখ=2011-10-31|ধারাবাহিক=Benezit Dictionary of Artists|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> এবং এই আইনী নিষেধাজ্ঞাগুলো ডিভি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এলজিবিটি ভুক্তভোগীদের কর্তৃপক্ষের কাছে নির্যাতনের প্রতিবেদন করা থেকে বিরত রাখে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5040/9781472565044.ch-001|শিরোনাম=Domestic Violence And International Law|প্রকাশক=Hart Publishing|আইএসবিএন=978-1-4725-6504-4}}</ref> ২০০৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ টি রাষ্ট্র ২০১৩ সালের সোডমি আইনকে আইনী ব্যবস্থা থেকে অপসারণ করতে অস্বীকার করেছে।<ref name=":42" /> |
||
কিছু গবেষক সমকামী সম্পর্কের ব্যক্তিদের "ডাবল ক্লজেট" হিসেবে চিহ্নিত করায় বিষয়গুলি মোকাবেলায় তারা বিশেষ প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন। মার্ক |
কিছু গবেষক সমকামী সম্পর্কের ব্যক্তিদের "ডাবল ক্লজেট" হিসেবে চিহ্নিত করায় বিষয়গুলি মোকাবেলায় তারা বিশেষ প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন। মার্ক ডাব্লিউ লেহম্যানের ১৯৯৯ সালের কানাডার গবেষণায় বোঝা যায়, প্রতি চার দম্পতির মধ্যে প্রায় একটি দম্পতির মধ্যে মাত্রাগত সাদৃশ্য লক্ষ্যণীয়); প্রকাশ (সংবেদনশীল, শারীরিক, আর্থিক, ইত্যাদি); সহ-বিদ্যমান পরিস্থিতি (বেকারত্ব, পদার্থের অপব্যবহার, স্ব-সম্মান কম); ভুক্তভোগীদের প্রতিক্রিয়া (ভয়, অসহায়ত্বের অনুভূতি, অতি সতর্কতা); এবং একসাথে থাকার কারণগুলি (প্রেম, সামলে নেয়া, সবকিছু পরিবর্তিত হবে, অস্বীকার)।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/1077801203255846|শিরোনাম=Welfare Policies and Domestic Abuse among Single Mothers|শেষাংশ=Gennetian|প্রথমাংশ=Lisa A.|তারিখ=2003-10|সাময়িকী=Violence Against Women|খণ্ড=9|সংখ্যা নং=10|পাতাসমূহ=1171–1190|ডিওআই=10.1177/1077801203255846|issn=1077-8012}}</ref> ২০১৪ সালে ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবভিত্তিক জনমত জরিপের মাধ্যমে ওষুধ এবং অ্যালকোহল থেকে শুরু করে নিরাপদ-যৌনতা বিষয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে সঙ্গী কর্তৃক সহিংসতার ২৪ টি অনুঘটক শনাক্ত করেছে।<ref name="connect.springerpub.com"/> শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণকে একটি সাধারণ বিষয় মনে হয় যা বিপরীতলিঙ্গধর্মী এবং সমকামী সম্পর্ক উভয় ক্ষেত্রেই নির্যাতনের ক্ষেত্রে কাজ করে।<ref name=":42" /> |
||
একই সময়ে, উল্লেখযোগ্য পার্থক্য, স্বতন্ত্র বিষয়াদি এবং প্রতারণামূলক মিথগুলি সাধারণত উপস্থিত থাকে।<ref name=":43">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1057/978-1-137-52452-2_9|শিরোনাম=Domestic Violence|শেষাংশ=Martin|প্রথমাংশ=Luke|তারিখ=2016|প্রকাশক=Palgrave Macmillan UK|অবস্থান=London|পাতাসমূহ=181–201|আইএসবিএন=978-1-137-52451-5}}</ref> লেহম্যান তার ১৯৯৭ সালের জরিপে সমকামী পুরুষ ও সমকামী নারীদের যে বৈষম্য ও আতঙ্কের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেদিকে ইঙ্গিত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশী সেবা এবং কিছু সামাজিক পরিষেবাদি থেকে বঞ্চিত হওয়া, সমবয়সীদের সহযোগিতার অভাব, সমকামী সম্প্রদায়ের প্রতি কলঙ্ক আকর্ষণ করার ভয়, সঙ্গীদের একসাথে রাখার ক্ষেত্রে এইচআইভি / এইডস স্ট্যাটাসের প্রভাব (স্বাস্থ্যসেবা বীমা / অ্যাক্সেস বা অপরাধবোধের কারণে) ), বের করে দেয়ার হুমকি, এবং বিপরীতলিঙ্গকামী নারীদের প্রয়োজনের জন্য উপযুক্ত বা তৈরি পরিষেবাগুলির মুখোমুখি হওয়া যা সমকামী পুরুষ বা সমকামী নারীদের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। এই পরিষেবা কাঠামোটি এলজিবিটিকিউয়ের ভুক্তভোগীরা আরো বেশি একঘরে এবং ভুল বোঝাবুঝির শিকার হবে যতটা না তারা তাদের সংখ্যালঘু মর্যাদার কারণে হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9780429331053-21|শিরোনাম=The Routledge International Handbook of Domestic Violence and Abuse|শেষাংশ=Badenes-Ribera|প্রথমাংশ=Laura|শেষাংশ২=Bonilla-Campos|প্রথমাংশ২=Amparo|তারিখ=2021-03-17|প্রকাশক=Routledge|অবস্থান=Abingdon, Oxon; New York, NY: Routledge, 2021.|পাতাসমূহ=267–282|আইএসবিএন=978-0-429-33105-3}}</ref> লেহম্যান অবশ্য বলেছিলেন যে "সীমিত সংখ্যক প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া এবং প্রথাগত নমুনাকরণ পদ্ধতির কারণে ৩০ জন প্রাথমিক উত্তরদাতা এবং চূড়ান্ত ১০ জনের গভীর জরিপে পাওয়া নমুনার বাইরে তার এই কাজের সাধারণীকরণ করা সম্ভব নয়। <ref name=":43" />বিশেষত, যৌন-চাপ এবং এইচআইভি / এইডস-এর অবস্থান সম-লিঙ্গের সহিংসতায় উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/0886-6708.vv-d-12-00140|শিরোনাম=Antecedents of Intimate Partner Violence Among Gay and Bisexual Men|শেষাংশ=Finneran|প্রথমাংশ=Catherine|শেষাংশ২=Stephenson|প্রথমাংশ২=Rob|তারিখ=2014|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=29|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=422–435| |
একই সময়ে, উল্লেখযোগ্য পার্থক্য, স্বতন্ত্র বিষয়াদি এবং প্রতারণামূলক মিথগুলি সাধারণত উপস্থিত থাকে।<ref name=":43">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1057/978-1-137-52452-2_9|শিরোনাম=Domestic Violence|শেষাংশ=Martin|প্রথমাংশ=Luke|তারিখ=2016|প্রকাশক=Palgrave Macmillan UK|অবস্থান=London|পাতাসমূহ=181–201|আইএসবিএন=978-1-137-52451-5}}</ref> লেহম্যান তার ১৯৯৭ সালের জরিপে সমকামী পুরুষ ও সমকামী নারীদের যে বৈষম্য ও আতঙ্কের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেদিকে ইঙ্গিত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশী সেবা এবং কিছু সামাজিক পরিষেবাদি থেকে বঞ্চিত হওয়া, সমবয়সীদের সহযোগিতার অভাব, সমকামী সম্প্রদায়ের প্রতি কলঙ্ক আকর্ষণ করার ভয়, সঙ্গীদের একসাথে রাখার ক্ষেত্রে এইচআইভি / এইডস স্ট্যাটাসের প্রভাব (স্বাস্থ্যসেবা বীমা / অ্যাক্সেস বা অপরাধবোধের কারণে) ), বের করে দেয়ার হুমকি, এবং বিপরীতলিঙ্গকামী নারীদের প্রয়োজনের জন্য উপযুক্ত বা তৈরি পরিষেবাগুলির মুখোমুখি হওয়া যা সমকামী পুরুষ বা সমকামী নারীদের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। এই পরিষেবা কাঠামোটি এলজিবিটিকিউয়ের ভুক্তভোগীরা আরো বেশি একঘরে এবং ভুল বোঝাবুঝির শিকার হবে যতটা না তারা তাদের সংখ্যালঘু মর্যাদার কারণে হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9780429331053-21|শিরোনাম=The Routledge International Handbook of Domestic Violence and Abuse|শেষাংশ=Badenes-Ribera|প্রথমাংশ=Laura|শেষাংশ২=Bonilla-Campos|প্রথমাংশ২=Amparo|তারিখ=2021-03-17|প্রকাশক=Routledge|অবস্থান=Abingdon, Oxon; New York, NY: Routledge, 2021.|পাতাসমূহ=267–282|আইএসবিএন=978-0-429-33105-3}}</ref> লেহম্যান অবশ্য বলেছিলেন যে "সীমিত সংখ্যক প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া এবং প্রথাগত নমুনাকরণ পদ্ধতির কারণে ৩০ জন প্রাথমিক উত্তরদাতা এবং চূড়ান্ত ১০ জনের গভীর জরিপে পাওয়া নমুনার বাইরে তার এই কাজের সাধারণীকরণ করা সম্ভব নয়। <ref name=":43" /> বিশেষত, যৌন-চাপ এবং এইচআইভি / এইডস-এর অবস্থান সম-লিঙ্গের সহিংসতায় উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/0886-6708.vv-d-12-00140|শিরোনাম=Antecedents of Intimate Partner Violence Among Gay and Bisexual Men|শেষাংশ=Finneran|প্রথমাংশ=Catherine|শেষাংশ২=Stephenson|প্রথমাংশ২=Rob|তারিখ=2014|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=29|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=422–435|ডিওআই=10.1891/0886-6708.vv-d-12-00140|issn=0886-6708}}</ref> |
||
==== আন্ডারপোর্টিং বা প্রতিবেদন না করার প্রবণতা ==== |
==== আন্ডারপোর্টিং বা প্রতিবেদন না করার প্রবণতা ==== |
||
পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য ডিভি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে কম প্রতিবেদনকৃত একটি অপরাধ।<ref name=":44" /><ref name=":45" /> ২০১১ সালে ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতা বিষয়ক গবেষক কো লিং চ্যানের একটি পর্যালোচনা থেকে দেখা গেছে, পুরুষরা পারিবারিক সহিংসতায় তাদের অপরাধ কম দেখানোর চেষ্টা করেন, আর নারীরা তাদের ভুক্তভোগী হওয়ার বিষয়টি কম উপস্থাপন করতে চান এবং সহিংসতায় নিজের অপরাধকে বাড়িয়ে বলেন।<ref name=":22" /> আর্থিক বা পারিবারিক নির্ভরতা, সহিংসতার স্বাভাবিকীকরণ এবং আত্ম-দোষারোপ করার প্রবণতা ভুক্তভোগী নারীদের স্বতপ্রণোদিত হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে আসার সম্ভাবনাকে হ্রাস করে দেয়। বিপরীতে, পুরুষদের মধ্যে আইনি পরিণতির ভয় এবং এড়িয়ে যাবার মানসিকতা, সঙ্গীকে দোষ দেওয়ার প্রবণতা এবং তাদের নিজস্ব চাহিদা ও আবেগের উপর অধিক গুরুত্ব দেখানোর ফলে তাদেরও স্বতপ্রণোদিত হয়ে নিজের অপরাধ স্বীকারের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।<ref name=":22" /> |
পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য ডিভি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে কম প্রতিবেদনকৃত একটি অপরাধ।<ref name=":44" /><ref name=":45" /> ২০১১ সালে ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতা বিষয়ক গবেষক কো লিং চ্যানের একটি পর্যালোচনা থেকে দেখা গেছে, পুরুষরা পারিবারিক সহিংসতায় তাদের অপরাধ কম দেখানোর চেষ্টা করেন, আর নারীরা তাদের ভুক্তভোগী হওয়ার বিষয়টি কম উপস্থাপন করতে চান এবং সহিংসতায় নিজের অপরাধকে বাড়িয়ে বলেন।<ref name=":22" /> আর্থিক বা পারিবারিক নির্ভরতা, সহিংসতার স্বাভাবিকীকরণ এবং আত্ম-দোষারোপ করার প্রবণতা ভুক্তভোগী নারীদের স্বতপ্রণোদিত হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে আসার সম্ভাবনাকে হ্রাস করে দেয়। বিপরীতে, পুরুষদের মধ্যে আইনি পরিণতির ভয় এবং এড়িয়ে যাবার মানসিকতা, সঙ্গীকে দোষ দেওয়ার প্রবণতা এবং তাদের নিজস্ব চাহিদা ও আবেগের উপর অধিক গুরুত্ব দেখানোর ফলে তাদেরও স্বতপ্রণোদিত হয়ে নিজের অপরাধ স্বীকারের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।<ref name=":22" /> |
||
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮ টি সদস্য দেশ জুড়ে পরিচালিত একটি ২০১৪ সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কেবল ১৪% মহিলা তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সহিংসতার গুরুতর ঘটনার খবর পুলিশকে জানিয়েছেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.18356/2fd3ecfb-en|শিরোনাম=COVID-19 and Ending Violence Against Women and Girls|তারিখ=2020-06-23|সাময়িকী=UN Women Ending Violence Against Women (EVAW) COVID-19 Briefs| |
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮ টি সদস্য দেশ জুড়ে পরিচালিত একটি ২০১৪ সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কেবল ১৪% মহিলা তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সহিংসতার গুরুতর ঘটনার খবর পুলিশকে জানিয়েছেন।<ref name="ReferenceE">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.18356/2fd3ecfb-en|শিরোনাম=COVID-19 and Ending Violence Against Women and Girls|তারিখ=2020-06-23|সাময়িকী=UN Women Ending Violence Against Women (EVAW) COVID-19 Briefs|ডিওআই=10.18356/2fd3ecfb-en|issn=2708-4191}}</ref> ২০০৯ সালের উত্তর আয়ারল্যান্ডে ডিভি-র এক প্রতিবেদনে দেখা যায় "প্রতিবেদন না করার প্রবণতা একটি উদ্বেগজনক বিষয় এবং সব ধরনের সহিংস অপরাধের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতা সম্পর্কেই সবচেয়ে কম প্রতিবেদন করা হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/ww/9780199540884.013.42540|শিরোনাম=Carragher, Anna, (born 9 July 1948), Controller, BBC Northern Ireland, 2000–06; Commissioner, Equality Commission, Northern Ireland, since 2009; Electoral Commissioner for Northern Ireland, since 2012|তারিখ=2007-12-01|সাময়িকী=Who's Who|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> |
||
পুরুষ নির্যাতনের বিষয়ে সামাজিক লজ্জা থাকার কারণে, এবং স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীদের দ্বারা উপেক্ষা করার সম্ভাবনার কারণে পুরুষরা প্রতিবেদনের সময় লিঙ্গ সম্পর্কিত অতিরিক্ত বাধার মুখোমুখি হন।<ref name=":46" /><ref name=":47" /><ref name=":48" /><ref name=":49" /> কোভিড ১৯-এ লকডাউনের সময়, কিছু মহিলা তাদের নির্যাতকদের সাথে তাদের বাড়ির ভিতরে ছিলেন। এসময় তাদের যাবারও কোন সুযোগ ছিল না ফলে প্রতিবেদনও কম হয়েছে।<ref name=":53" /> চীনে লকডাওনের সময় ৯০% পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের পরিস্থিতিও একই রকম।<ref name=":53" /> |
পুরুষ নির্যাতনের বিষয়ে সামাজিক লজ্জা থাকার কারণে, এবং স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীদের দ্বারা উপেক্ষা করার সম্ভাবনার কারণে পুরুষরা প্রতিবেদনের সময় লিঙ্গ সম্পর্কিত অতিরিক্ত বাধার মুখোমুখি হন।<ref name=":46" /><ref name=":47" /><ref name=":48" /><ref name=":49" /> কোভিড ১৯-এ লকডাউনের সময়, কিছু মহিলা তাদের নির্যাতকদের সাথে তাদের বাড়ির ভিতরে ছিলেন। এসময় তাদের যাবারও কোন সুযোগ ছিল না ফলে প্রতিবেদনও কম হয়েছে।<ref name=":53" /> চীনে লকডাওনের সময় ৯০% পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের পরিস্থিতিও একই রকম।<ref name=":53" /> |
||
= |
== সামাজিক প্রভাব == |
||
==== সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি ==== |
==== সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি ==== |
||
[[File:Advertisement for Littleton Butter (31 December 1903).jpg|thumb| |
[[File:Advertisement for Littleton Butter (31 December 1903).jpg|thumb|১৯০৩ সালের লিটলটন মাখনের এই বিজ্ঞাপনটিতে পারিবারিক সহিংসতাকে বিব্রতকর হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও বিষয়টিকে স্বাভাবিক দেখানো হয়েছে।]] |
||
[[File:Share of women who believe a husband is justified in beating his wife, OWID.svg|thumb| |
[[File:Share of women who believe a husband is justified in beating his wife, OWID.svg|thumb|বিশ্বব্যাপী স্বামী কর্তৃক স্ত্রী প্রহারকে যথাযথ বিবেচনা করা নারীদের মোট অংশ।]] |
||
পারিবারিক সহিংসতা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভিন্ন এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রকম, তবে পশ্চিমের বাইরে অনেক জায়গায় ধারণাটি নিয়ে যথেষ্ট ভুল বোঝাবুঝি আছে। কারণ এই দেশগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রীর সম্পর্ককে সমান হিসাবে বিবেচনা করা হয় না, বরং এমন একটি সম্পর্ক হিসেবে বিবেচিত হয় যেখানে স্ত্রীকে স্বামীর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে হবে। এটি কয়েকটি দেশের আইনে অনুমোদিত হয়েছে - উদাহরণস্বরূপ, ইয়েমেনে বিবাহ বিধি অনুসারে একজন স্ত্রীকে অবশ্যই তার স্বামীর আনুগত্য করতে হবে এবং তার অনুমতি ব্যতীত বাড়ি ছেড়ে যেতে পারবে না।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/540108629|শিরোনাম=Yemen's dark side : discrimination and violence against women and girls.|শেষাংশ=Secretariat.|প্রথমাংশ=Amnesty International. International|তারিখ=2009|প্রকাশক=Amnesty International|oclc=540108629}}</ref> |
পারিবারিক সহিংসতা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভিন্ন এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রকম, তবে পশ্চিমের বাইরে অনেক জায়গায় ধারণাটি নিয়ে যথেষ্ট ভুল বোঝাবুঝি আছে। কারণ এই দেশগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রীর সম্পর্ককে সমান হিসাবে বিবেচনা করা হয় না, বরং এমন একটি সম্পর্ক হিসেবে বিবেচিত হয় যেখানে স্ত্রীকে স্বামীর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে হবে। এটি কয়েকটি দেশের আইনে অনুমোদিত হয়েছে - উদাহরণস্বরূপ, ইয়েমেনে বিবাহ বিধি অনুসারে একজন স্ত্রীকে অবশ্যই তার স্বামীর আনুগত্য করতে হবে এবং তার অনুমতি ব্যতীত বাড়ি ছেড়ে যেতে পারবে না।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/540108629|শিরোনাম=Yemen's dark side : discrimination and violence against women and girls.|শেষাংশ=Secretariat.|প্রথমাংশ=Amnesty International. International|তারিখ=2009|প্রকাশক=Amnesty International|oclc=540108629}}</ref> |
||
''ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন ইন ফ্যামিলিস এন্ড রিলেশনশিপস'' অনুসারে, "বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে বেশিরভাগ জনগণের মধ্যে স্ত্রীর প্রহারকে ন্যায্য হিসাবে দেখা হয়, সাধারণত স্ত্রীদের যদি প্রকৃত বা সন্দেহভাজন বিশ্বাস ভঙ্গকারী হয়ে থাকে বা স্বামীর প্রতি অবাধ্য হয়ে থাকে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/309836050|শিরোনাম=Violence against women in families and relationships|তারিখ=2009|প্রকাশক=Praeger/ABC-CLIO|অবস্থান=Santa Barbara, Calif.|অন্যান্য=Evan Stark, Eva Schlesinger Buzawa|আইএসবিএন=978-0-275-99846-2|oclc=309836050}}</ref> স্ত্রীর বিরুদ্ধে এই হিংসাত্মক কাজগুলি প্রায়শই সমাজে (পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের কাছে) নির্যাতন হিসেবে বিবেচিত হয় না বরং স্ত্রীর উস্কানিমূলক আচরণে এমনটি ঘটে বলে মনে করা হয় এবং তাকেই দোষী হিসেবে দেখা হয়। যেখানে স্ত্রীকে মারধর করা প্রায়শই "অনুচিত" আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সমর্থিত, সেখানে অনেক স্থানে সম্মান রক্ষার্থে হত্যার মতো চরম আচরণও সমাজের উচ্চতর শ্রেণী দ্বারা অনুমোদিত হয়। এক সমীক্ষায় জর্দানের রাজধানী আম্মানের ৩৩.৪% কিশোর সম্মান রক্ষার্থে হত্যার অনুমোদন দিয়েছে। এই জরিপটি জর্ডানের রাজধানীতে পরিচালিত হয়েছিল, যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি উদার; গবেষকরা এ প্রসঙ্গে বলেন "আমরা মনে করতেই পারি যে জর্ডানের আরও গ্রামীণ ও রক্ষণশীল অংশগুলিতে সম্মান রক্ষার্থে হত্যার পক্ষে সমর্থন আরও বেশি হবে"।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/ww/9780199540884.013.258675|শিরোনাম=Hill, Jane, (born 10 June 1969), presenter, BBC TV News, since 1997|তারিখ=2013-12-01|সাময়িকী=Who's Who|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> |
''ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন ইন ফ্যামিলিস এন্ড রিলেশনশিপস'' অনুসারে, "বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে বেশিরভাগ জনগণের মধ্যে স্ত্রীর প্রহারকে ন্যায্য হিসাবে দেখা হয়, সাধারণত স্ত্রীদের যদি প্রকৃত বা সন্দেহভাজন বিশ্বাস ভঙ্গকারী হয়ে থাকে বা স্বামীর প্রতি অবাধ্য হয়ে থাকে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/309836050|শিরোনাম=Violence against women in families and relationships|তারিখ=2009|প্রকাশক=Praeger/ABC-CLIO|অবস্থান=Santa Barbara, Calif.|অন্যান্য=Evan Stark, Eva Schlesinger Buzawa|আইএসবিএন=978-0-275-99846-2|oclc=309836050}}</ref> স্ত্রীর বিরুদ্ধে এই হিংসাত্মক কাজগুলি প্রায়শই সমাজে (পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের কাছে) নির্যাতন হিসেবে বিবেচিত হয় না বরং স্ত্রীর উস্কানিমূলক আচরণে এমনটি ঘটে বলে মনে করা হয় এবং তাকেই দোষী হিসেবে দেখা হয়। যেখানে স্ত্রীকে মারধর করা প্রায়শই "অনুচিত" আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সমর্থিত, সেখানে অনেক স্থানে সম্মান রক্ষার্থে হত্যার মতো চরম আচরণও সমাজের উচ্চতর শ্রেণী দ্বারা অনুমোদিত হয়। এক সমীক্ষায় জর্দানের রাজধানী আম্মানের ৩৩.৪% কিশোর সম্মান রক্ষার্থে হত্যার অনুমোদন দিয়েছে। এই জরিপটি জর্ডানের রাজধানীতে পরিচালিত হয়েছিল, যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি উদার; গবেষকরা এ প্রসঙ্গে বলেন "আমরা মনে করতেই পারি যে জর্ডানের আরও গ্রামীণ ও রক্ষণশীল অংশগুলিতে সম্মান রক্ষার্থে হত্যার পক্ষে সমর্থন আরও বেশি হবে"।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/ww/9780199540884.013.258675|শিরোনাম=Hill, Jane, (born 10 June 1969), presenter, BBC TV News, since 1997|তারিখ=2013-12-01|সাময়িকী=Who's Who|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> |
||
২০১২ সালের একটি সংবাদ প্রতিবেদনে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, "রয়টার্স ট্রাস্ট ল গ্রুপটি ভারতকে এই বছর নারীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম খারাপ দেশ হিসেবে অভিহিত করেছে, অংশত যেহেতু পারিবারিক সহিংসতা সেখানে প্রায়শই লক্ষ্যণীয়। ইউনিসেফের একটি ২০১২ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ১৫ এবং ১৯ বছর বয়সী ৫৭ শতাংশ থেকে ভারতীয় ছেলে এবং ৫৩ শতাংশ মেয়েরা মধ্যে স্ত্রী-মারধরকে ন্যায্য বলে মনে করে"।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.3886/icpsr03554|শিরোনাম=Washington Post Washington, DC, Poll, May 2002|তারিখ=2003-05-23|ওয়েবসাইট=ICPSR Data Holdings|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref> |
২০১২ সালের একটি সংবাদ প্রতিবেদনে [[দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট]] জানিয়েছে, "রয়টার্স ট্রাস্ট ল গ্রুপটি ভারতকে এই বছর নারীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম খারাপ দেশ হিসেবে অভিহিত করেছে, অংশত যেহেতু পারিবারিক সহিংসতা সেখানে প্রায়শই লক্ষ্যণীয়। ইউনিসেফের একটি ২০১২ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ১৫ এবং ১৯ বছর বয়সী ৫৭ শতাংশ থেকে ভারতীয় ছেলে এবং ৫৩ শতাংশ মেয়েরা মধ্যে স্ত্রী-মারধরকে ন্যায্য বলে মনে করে"।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.3886/icpsr03554|শিরোনাম=Washington Post Washington, DC, Poll, May 2002|তারিখ=2003-05-23|ওয়েবসাইট=ICPSR Data Holdings|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref> |
||
রক্ষণশীল সংস্কৃতিতে, অপর্যাপ্ত পোশাক পরা একজন স্ত্রী তার স্বামী বা আত্মীয়দের হাতে মারাত্মক সহিংসতার শিকার হতে পারেন, সমাজের বেশিরভাগ মানুষ এই হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়াকে যথাযথ মনে করে: এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আফগানিস্তানের ৬২.৮% মহিলা বলেছেন, একজন স্বামী তার স্ত্রীকে ন্যায়সঙ্গতভাবে প্রহার করতে পারেন যদি সে স্ত্রী অনুপযুক্ত পোশাক পরিধান করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2458/azu_acku_pamphlet_ra407_5_a34_t96_2001|শিরোনাম=2000 Afghanistan multiple indicator cluster survey : MICS2 : volume 1 : situation analysis of children and women in the east of Afghanistan / by Afghanistan MICS2 Steering Committee, ICONS (Institution Consultancy Services), SHAIP Islamabad, Deutsche Gesellschaft fanduuml;r Technische Zusammenarbeit (GTZ).|তারিখ=2001|প্রকাশক=University of Arizona Libraries}}</ref> |
রক্ষণশীল সংস্কৃতিতে, অপর্যাপ্ত পোশাক পরা একজন স্ত্রী তার স্বামী বা আত্মীয়দের হাতে মারাত্মক সহিংসতার শিকার হতে পারেন, সমাজের বেশিরভাগ মানুষ এই হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়াকে যথাযথ মনে করে: এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আফগানিস্তানের ৬২.৮% মহিলা বলেছেন, একজন স্বামী তার স্ত্রীকে ন্যায়সঙ্গতভাবে প্রহার করতে পারেন যদি সে স্ত্রী অনুপযুক্ত পোশাক পরিধান করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2458/azu_acku_pamphlet_ra407_5_a34_t96_2001|শিরোনাম=2000 Afghanistan multiple indicator cluster survey : MICS2 : volume 1 : situation analysis of children and women in the east of Afghanistan / by Afghanistan MICS2 Steering Committee, ICONS (Institution Consultancy Services), SHAIP Islamabad, Deutsche Gesellschaft fanduuml;r Technische Zusammenarbeit (GTZ).|তারিখ=2001|প্রকাশক=University of Arizona Libraries}}</ref> |
||
[[File:A comparison of acceptance of domestic violence in select Arab and Muslim majority countries, UNICEF 2013.png|thumb|আরব ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে পুরুষ সঙ্গী কর্তৃক নারী সঙ্গীকে আঘাত বা প্রহার করার অধিকারের গ্রহণযোগ্যতা, ইউনিসেফ, ২০১৩।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ = UNICEF | লেখক-সংযোগ = UNICEF | শিরোনাম = Monitoring the situation of women & children: Afghanistan multiple indicator cluster survey 2010–2011 | ইউআরএল = https://libraries.ucsd.edu/info/resources/unicef-monitoring-situation-children-and-women | প্রকাশক = Central Statistics Organisation, [[UNICEF]] | তারিখ = January 2013 | সংগ্রহের-তারিখ = 11 April 2014 | ইউআরএল-অবস্থা = dead | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20150102115825/https://libraries.ucsd.edu/info/resources/unicef-monitoring-situation-children-and-women | আর্কাইভের-তারিখ = 2 January 2015 }} [http://cso.gov.af/Content/files/AMICS.pdf Pdf.] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140111204848/http://cso.gov.af/Content/files/AMICS.pdf |তারিখ=2014-01-11 }}</ref>]] |
|||
অ্যান্টোনিয়া পারভানোভার মতে, ডিভির ইস্যুকে আইনত মোকাবেলা করার অন্যতম অসুবিধা হল বহু পুরুষশাসিত সমাজের পুরুষরা বুঝতে পারে না যে তাদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানো আইন বিরোধী। বুলগেরিয়ায় ঘটে যাওয়া একটি মামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "একজন স্বামী তার স্ত্রীকে মারাত্মকভাবে মারধর করেছিলেন এবং বিচারক যখন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি কি করেছেন তা তিনি বুঝতে পেরেছেন কিনা এবং তিনি দুঃখিত কিনা তখন সেই স্বামী জবাবে বলেছিলেন "কিন্তু সে তো আমার স্ত্রী"। ঐ ব্যক্তি এটুকুও বুঝতেও পারেন নি যে স্ত্রীকে মারধরের কোনও অধিকার তার নেই।"<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/ej.9789004162938.i-300.63|শিরোনাম=Due Diligence and Its Application to Protect Women from Violence|তারিখ=2009-01-01|প্রকাশক=Brill {{!}} Nijhoff|পাতাসমূহ=157–171|আইএসবিএন=978-90-04-18088-8}}</ref> ইউএনএফপিএ বলছে: " যে সমস্ত নিয়ম কিছু উন্নয়নশীল দেশে নারীদের অবদমিত করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত করে - যেমন স্ত্রীকে মারধর, সম্মানের নামে হত্যা করা, নারীর জননাঙ্গ বিয়োগ / কাটা এবং যৌতুকের মৃত্যু - ইত্যাদিকে সেখানে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবেই উপেক্ষা করা হয়। |
অ্যান্টোনিয়া পারভানোভার মতে, ডিভির ইস্যুকে আইনত মোকাবেলা করার অন্যতম অসুবিধা হল বহু পুরুষশাসিত সমাজের পুরুষরা বুঝতে পারে না যে তাদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানো আইন বিরোধী। বুলগেরিয়ায় ঘটে যাওয়া একটি মামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "একজন স্বামী তার স্ত্রীকে মারাত্মকভাবে মারধর করেছিলেন এবং বিচারক যখন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি কি করেছেন তা তিনি বুঝতে পেরেছেন কিনা এবং তিনি দুঃখিত কিনা তখন সেই স্বামী জবাবে বলেছিলেন "কিন্তু সে তো আমার স্ত্রী"। ঐ ব্যক্তি এটুকুও বুঝতেও পারেন নি যে স্ত্রীকে মারধরের কোনও অধিকার তার নেই।"<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/ej.9789004162938.i-300.63|শিরোনাম=Due Diligence and Its Application to Protect Women from Violence|তারিখ=2009-01-01|প্রকাশক=Brill {{!}} Nijhoff|পাতাসমূহ=157–171|আইএসবিএন=978-90-04-18088-8}}</ref> ইউএনএফপিএ বলছে: " যে সমস্ত নিয়ম কিছু উন্নয়নশীল দেশে নারীদের অবদমিত করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত করে - যেমন স্ত্রীকে মারধর, সম্মানের নামে হত্যা করা, নারীর জননাঙ্গ বিয়োগ / কাটা এবং যৌতুকের মৃত্যু - ইত্যাদিকে সেখানে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবেই উপেক্ষা করা হয়। |
||
কিছু সমাজের জনগণের মধ্যে দৃঢ় মত আছে যে পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে শাস্তির চেয়ে পুনর্মিলন আরো বেশি উপযুক্ত এবং আইনী দায়মুক্তিরও মাধ্যম; একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কলম্বিয়ার ৬৪% সরকারী কর্মকর্তা বলেছেন যে, ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি দ্বারা সহিংসতার একটি মামলা সমাধান করা যদি তাদের হাতে থাকত তবে তারা যে পদক্ষেপ নেবে তা হবে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে পুনর্মিলিত হতে উত্সাহিত করা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/j.ctvpwhfmq.8|শিরোনাম=Violencia contra la mujer y maltrato familiar|তারিখ=2019-08-01|প্রকাশক=J.M Bosch|পাতাসমূহ=57–104|আইএসবিএন=978-84-120770-1-8}}</ref> |
কিছু সমাজের জনগণের মধ্যে দৃঢ় মত আছে যে পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে শাস্তির চেয়ে পুনর্মিলন আরো বেশি উপযুক্ত এবং আইনী দায়মুক্তিরও মাধ্যম; একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কলম্বিয়ার ৬৪% সরকারী কর্মকর্তা বলেছেন যে, ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি দ্বারা সহিংসতার একটি মামলা সমাধান করা যদি তাদের হাতে থাকত তবে তারা যে পদক্ষেপ নেবে তা হবে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে পুনর্মিলিত হতে উত্সাহিত করা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/j.ctvpwhfmq.8|শিরোনাম=Violencia contra la mujer y maltrato familiar|তারিখ=2019-08-01|প্রকাশক=J.M Bosch|পাতাসমূহ=57–104|আইএসবিএন=978-84-120770-1-8}}</ref> |
||
পশ্চিমা দেশগুলো সহ অনেক সমাজে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করা প্রচলিত: ২০১০ সালের ইউরোব্যারোমিটার জরিপে দেখা গেছে যে ৫২% উত্তরদাতা "নারীদের উস্কানিমূলক আচরণ" কে নারীর প্রতি সহিংসতার কারণ হিসাবে দায়ী বলে একমত হয়েছেন; সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়ার উত্তরদাতারাই এই দাবির সাথে বেশি একমত। (এই দেশগুলির প্রত্যেকটিতে ৭০ ভাগ এর বেশি মানুষ এমনটি মনে করে)।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2986/tren.035-0100|শিরোনাম=Ministry And Domestic Violence Against Women: Perspectives On Domestic Violence Against Women In Russia And The USA|শেষাংশ=VOLFA|প্রথমাংশ=Julija}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/0003-066x.55.11.1332|শিরোনাম=Blame, shame, and community: Justice responses to violence against women.|শেষাংশ=Koss|প্রথমাংশ=Mary P.|তারিখ=2000-11|সাময়িকী=American Psychologist|খণ্ড=55|সংখ্যা নং=11|পাতাসমূহ=1332–1343| |
পশ্চিমা দেশগুলো সহ অনেক সমাজে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করা প্রচলিত: ২০১০ সালের ইউরোব্যারোমিটার জরিপে দেখা গেছে যে ৫২% উত্তরদাতা "নারীদের উস্কানিমূলক আচরণ" কে নারীর প্রতি সহিংসতার কারণ হিসাবে দায়ী বলে একমত হয়েছেন; সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়ার উত্তরদাতারাই এই দাবির সাথে বেশি একমত। (এই দেশগুলির প্রত্যেকটিতে ৭০ ভাগ এর বেশি মানুষ এমনটি মনে করে)।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2986/tren.035-0100|শিরোনাম=Ministry And Domestic Violence Against Women: Perspectives On Domestic Violence Against Women In Russia And The USA|শেষাংশ=VOLFA|প্রথমাংশ=Julija}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/0003-066x.55.11.1332|শিরোনাম=Blame, shame, and community: Justice responses to violence against women.|শেষাংশ=Koss|প্রথমাংশ=Mary P.|তারিখ=2000-11|সাময়িকী=American Psychologist|খণ্ড=55|সংখ্যা নং=11|পাতাসমূহ=1332–1343|ডিওআই=10.1037/0003-066x.55.11.1332|issn=1935-990X}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1080/07491409.2007.10162504|শিরোনাম=Framing Domestic Violence Fatalities: Coverage by Utah Newspapers|শেষাংশ=Bullock|প্রথমাংশ=Cathy Ferrand|তারিখ=2007-04|সাময়িকী=Women's Studies in Communication|খণ্ড=30|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=34–63|ডিওআই=10.1080/07491409.2007.10162504|issn=0749-1409}}</ref> |
||
==== ধর্ম ==== |
==== ধর্ম ==== |
||
২১০ নং লাইন: | ২৩৬ নং লাইন: | ||
ক্যাথলিক চার্চ বিবাহ বিচ্ছেদের বিরোধিতা করার জন্য সমালোচিত হয়েছিল কেননা তা অবমাননাকর বিবাহে সহিংসতার শিকারদের ব্যক্তিকে আটকে ফেলে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315865003-3|শিরোনাম=Divorce, Annulments, and the Catholic Church|শেষাংশ=Jenks|প্রথমাংশ=Richard J.|তারিখ=2018-10-24|প্রকাশক=Routledge|পাতাসমূহ=27–43|আইএসবিএন=978-1-315-86500-3}}</ref> |
ক্যাথলিক চার্চ বিবাহ বিচ্ছেদের বিরোধিতা করার জন্য সমালোচিত হয়েছিল কেননা তা অবমাননাকর বিবাহে সহিংসতার শিকারদের ব্যক্তিকে আটকে ফেলে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315865003-3|শিরোনাম=Divorce, Annulments, and the Catholic Church|শেষাংশ=Jenks|প্রথমাংশ=Richard J.|তারিখ=2018-10-24|প্রকাশক=Routledge|পাতাসমূহ=27–43|আইএসবিএন=978-1-315-86500-3}}</ref> |
||
পারিবারিক সহিংসতার উপর ধর্মের প্রভাব সম্পর্কিত মতামতে ভিন্নতা লক্ষ্যণীয়। ফিলিস চেসলারের মতো কিছু লেখক যুক্তি দেখিয়েছেন যে ইসলাম নারীর প্রতি সহিংসতার সাথে যুক্ত, বিশেষত সম্মান রক্ষার্থে হত্যার প্রক্রিয়ায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e575412014-001|শিরোনাম=Domestic violence and honor killings|শেষাংশ=Sigal|প্রথমাংশ=Janet I.|তারিখ=2014|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-07}}</ref> অন্যান্যরা, যেমন- পাকিস্তানের আগা খান বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তাহিরা শহিদ খান যুক্তি দেন যে, ধর্মের কারণে নয়, বরং মূলত পুরুষের আধিপত্যবাদ এবং সমাজে নারীর হীন অবস্থান এ ধরনের সহিংসতাকে পরিচালিত করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.14296/resaw.0009|শিরোনাম=Methodological reflections about establishing a corpus of the archived web: the case of the Danish web from 2005 to 2015|শেষাংশ=Brügger|প্রথমাংশ=Niels|শেষাংশ২=Laursen|প্রথমাংশ২=Ditte|শেষাংশ৩=Nielsen|প্রথমাংশ৩=Janne|তারিখ=2016-06-13|সাময়িকী=Researchers, practitioners and their use of the archived web|প্রকাশক=School of Advanced Study, University of London| |
পারিবারিক সহিংসতার উপর ধর্মের প্রভাব সম্পর্কিত মতামতে ভিন্নতা লক্ষ্যণীয়। ফিলিস চেসলারের মতো কিছু লেখক যুক্তি দেখিয়েছেন যে ইসলাম নারীর প্রতি সহিংসতার সাথে যুক্ত, বিশেষত সম্মান রক্ষার্থে হত্যার প্রক্রিয়ায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e575412014-001|শিরোনাম=Domestic violence and honor killings|শেষাংশ=Sigal|প্রথমাংশ=Janet I.|তারিখ=2014|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-07}}</ref> অন্যান্যরা, যেমন- পাকিস্তানের আগা খান বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তাহিরা শহিদ খান যুক্তি দেন যে, ধর্মের কারণে নয়, বরং মূলত পুরুষের আধিপত্যবাদ এবং সমাজে নারীর হীন অবস্থান এ ধরনের সহিংসতাকে পরিচালিত করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.14296/resaw.0009|শিরোনাম=Methodological reflections about establishing a corpus of the archived web: the case of the Danish web from 2005 to 2015|শেষাংশ=Brügger|প্রথমাংশ=Niels|শেষাংশ২=Laursen|প্রথমাংশ২=Ditte|শেষাংশ৩=Nielsen|প্রথমাংশ৩=Janne|তারিখ=2016-06-13|সাময়িকী=Researchers, practitioners and their use of the archived web|প্রকাশক=School of Advanced Study, University of London|ডিওআই=10.14296/resaw.0009}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e510892006-007|শিরোনাম=Sanctuary in a Time of Need: Patients, families find comfort and support at VA Fisher Houses|শেষাংশ=Bristol|প্রথমাংশ=Matt|তারিখ=2003|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-07}}</ref> অনেক পশ্চিমা দেশেই এবং ইসলাম, অভিবাসন এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে উন্মুক্ত (যেমন মিডিয়ার মাধ্যমে) এবং রাজনৈতিক বক্তৃতা অত্যন্ত বিতর্কিতভাবে দেখা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1515/9780804791168|শিরোনাম=The Headscarf Debates|শেষাংশ=Korteweg|প্রথমাংশ=Anna C.|শেষাংশ২=Yurdakul|প্রথমাংশ২=Gökçe|তারিখ=2014-01-01|প্রকাশক=Stanford University Press|আইএসবিএন=978-0-8047-9116-8}}</ref> |
||
==== প্রথা ও ঐতিহ্য ==== |
==== প্রথা ও ঐতিহ্য ==== |
||
[[চিত্র:Say_no_to_dowry.jpg|থাম্ব|[[Bangalore, India|ব্যাঙালুরু,ভারত]] এর যৌতুক বিরোধী পোস্টার। |
|||
]] |
|||
স্থানীয় রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যগুলো প্রায়শই ডিভির বা পরিবারিক সহিংসতার নির্দিষ্ট ধরনগুলো বজায় রাখার জন্য দায়ী। এ জাতীয় রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত - ছেলেকে অগ্রাধিকার দেয়া (এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবারগুলোতে মেয়ে সন্তানের চাইতে ছেলে সন্তানের অগ্রধিকার ব্যাপকভাবে লক্ষ্যণীয়) যা হতাশাগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের দ্বারা মেয়েদের নির্যাতন ও অবহেলার সুযোগ তৈরি করতে পারে; বাল্য ও জোরপূর্বক বিবাহ; যৌতুক; "নিম্ন বর্ণ" এবং "অস্পৃশ্য" কলঙ্কের জন্ম দেয়া সামাজিক শ্রেণীবিভাজনমূলক বর্ণপ্রথা যা নারীর প্রতি বৈষম্য এবং সীমিত সুযোগের দিকে পরিচালিত করে এবং এভাবে তাদের নির্যাতনের ঝুঁকির সম্মুখীন করে তোলা; নারীদের জন্য কঠোর পোশাক বিধি পরিবারের সদস্যরা সহিংসতার মাধ্যমে প্রয়োগ করা; বিবাহের আগে নারী কুমারিত্ব থাকার বাধ্যবাধকতা এবং নারী ও মেয়েদের অবাধ্যতার সাথে সম্পর্কিত সহিংসতা; ঋতুস্রাব সম্পর্কে ট্যাবু থাকার কারণে নারীরা এ সময় বিচ্ছিন্ন এবং একঘরে থাকতে বাধ্য হওয়া; নারী প্রজননতন্ত্র বিকৃতি (এফজিএম); যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৈবাহিক যৌন অধিকারের মতাদর্শ যা বৈবাহিক ধর্ষণকে ন্যায়সঙ্গত করে; এবং 'পারিবারিক সম্মানে'র প্রতি গুরুত্ব দেয়া।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.18356/d2321327-en|শিরোনাম=Outlook for sustainable development in South Asia|তারিখ=2017-05-30|ওয়েবসাইট=dx.doi.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-07}}</ref> |
স্থানীয় রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যগুলো প্রায়শই ডিভির বা পরিবারিক সহিংসতার নির্দিষ্ট ধরনগুলো বজায় রাখার জন্য দায়ী। এ জাতীয় রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত - ছেলেকে অগ্রাধিকার দেয়া (এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবারগুলোতে মেয়ে সন্তানের চাইতে ছেলে সন্তানের অগ্রধিকার ব্যাপকভাবে লক্ষ্যণীয়) যা হতাশাগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের দ্বারা মেয়েদের নির্যাতন ও অবহেলার সুযোগ তৈরি করতে পারে; বাল্য ও জোরপূর্বক বিবাহ; যৌতুক; "নিম্ন বর্ণ" এবং "অস্পৃশ্য" কলঙ্কের জন্ম দেয়া সামাজিক শ্রেণীবিভাজনমূলক বর্ণপ্রথা যা নারীর প্রতি বৈষম্য এবং সীমিত সুযোগের দিকে পরিচালিত করে এবং এভাবে তাদের নির্যাতনের ঝুঁকির সম্মুখীন করে তোলা; নারীদের জন্য কঠোর পোশাক বিধি পরিবারের সদস্যরা সহিংসতার মাধ্যমে প্রয়োগ করা; বিবাহের আগে নারী কুমারিত্ব থাকার বাধ্যবাধকতা এবং নারী ও মেয়েদের অবাধ্যতার সাথে সম্পর্কিত সহিংসতা; ঋতুস্রাব সম্পর্কে ট্যাবু থাকার কারণে নারীরা এ সময় বিচ্ছিন্ন এবং একঘরে থাকতে বাধ্য হওয়া; নারী প্রজননতন্ত্র বিকৃতি (এফজিএম); যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৈবাহিক যৌন অধিকারের মতাদর্শ যা বৈবাহিক ধর্ষণকে ন্যায়সঙ্গত করে; এবং 'পারিবারিক সম্মানে'র প্রতি গুরুত্ব দেয়া।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.18356/d2321327-en|শিরোনাম=Outlook for sustainable development in South Asia|তারিখ=2017-05-30|ওয়েবসাইট=dx.doi.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-07}}</ref> |
||
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ২০০৩-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'নবনধূ মূল্য' দিয়ে কেনার মতো রীতিগুলোর (যেমন কোনও পুরুষ পছন্দের নারীকে নিয়ে করার জন্য তার পরিবারকে যে অর্থ প্রদান করে), মাধ্যমে একজন পুরুষ মূলত তার স্ত্রীর যৌন অনুগ্রহ এবং প্রজনন ক্ষমতা ক্রয় করেন যা যৌনতার শর্তাদি আদেশ করার জন্য পুরুষের সামাজিকভাবে অনুমোদিত আধিপত্যকে বলীয়ান করে এবং এটি করার জন্য শক্তি প্রয়োগ করে "।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-2156-0644|শিরোনাম=human-rights-watch-crossfire-continued-human-rights-abuses-by-bangladeshsrapid-action-battalion|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-07}}</ref> |
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ২০০৩-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'নবনধূ মূল্য' দিয়ে কেনার মতো রীতিগুলোর (যেমন কোনও পুরুষ পছন্দের নারীকে নিয়ে করার জন্য তার পরিবারকে যে অর্থ প্রদান করে), মাধ্যমে একজন পুরুষ মূলত তার স্ত্রীর যৌন অনুগ্রহ এবং প্রজনন ক্ষমতা ক্রয় করেন যা যৌনতার শর্তাদি আদেশ করার জন্য পুরুষের সামাজিকভাবে অনুমোদিত আধিপত্যকে বলীয়ান করে এবং এটি করার জন্য শক্তি প্রয়োগ করে "।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-2156-0644|শিরোনাম=human-rights-watch-crossfire-continued-human-rights-abuses-by-bangladeshsrapid-action-battalion|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-07}}</ref> |
||
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বেশ কয়েকটি দেশে আইন প্রণীত হওয়ার সাথে সাথে নারীদের বিপন্ন করার প্রচলিত রীতিগুলি মোকাবিলার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাবিত চিরায়ত অনুশীলন সম্পর্কিত আন্ত-আফ্রিকান কমিটি নামে একটি এনজিও সামাজিক মূল্যবোধ পরিবর্তনে, সচেতনতা বাড়াতে এবং আফ্রিকার নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এমন ক্ষতিকারক প্রথার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের জন্য কাজ করছে। কিছু দেশে আইনও প্রণীত হয়েছিল; উদাহরণস্বরূপ, ২০০৪ সালের ইথিওপিয়ার ফৌজদারী কোডে তৃতীয় অধ্যায়ে ক্ষতিকারক রীতিনীতি অনুশীলনের উল্লেখ রয়েছে ''ক্রাইমস কমিটেড এগেইনস্ট লাইফ, পার্সন এন্ড হেল্থ থ্রু ট্র্যাডিশনাল প্র্যাকটিসেস'' - নামে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/gmo/9781561592630.article.42063|শিরোনাম=Ethiopia, Federal Democratic Republic of|শেষাংশ=Shelemay|প্রথমাংশ=Kay Kaufman|শেষাংশ২=Kimberlin|প্রথমাংশ২=Cynthia Tse|তারিখ=2001|ধারাবাহিক=Oxford Music Online|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> এছাড়াও, কাউন্সিল অফ ইউরোপ পারিবারিক সহিংসতা ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়টি সম্বোধন করে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং সম্মান ও অগ্রহণযোগ্য আচরণ সংশোধনের নামে সকল সহিংসতার জন্য দায়ী সনাতন সংস্কৃতি, রীতিনীতির বিরুদ্ধে আইন গঠনের এবং তা সম্পূর্ণ প্রয়োগের জন্য রাষ্ট্রগুলোকে এ প্রস্তাব অনুমোদনের আহ্বান জানায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-9953-2014005|শিরোনাম=COUNCIL OF EUROPE CONVENTION ON PREVENTING AND COMBATING VIOLENCE AGAINST WOMEN AND DOMESTIC VIOLENCE|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-07}}</ref> |
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বেশ কয়েকটি দেশে আইন প্রণীত হওয়ার সাথে সাথে নারীদের বিপন্ন করার প্রচলিত রীতিগুলি মোকাবিলার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাবিত চিরায়ত অনুশীলন সম্পর্কিত আন্ত-আফ্রিকান কমিটি নামে একটি এনজিও সামাজিক মূল্যবোধ পরিবর্তনে, সচেতনতা বাড়াতে এবং আফ্রিকার নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এমন ক্ষতিকারক প্রথার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের জন্য কাজ করছে। কিছু দেশে আইনও প্রণীত হয়েছিল; উদাহরণস্বরূপ, ২০০৪ সালের ইথিওপিয়ার ফৌজদারী কোডে তৃতীয় অধ্যায়ে ক্ষতিকারক রীতিনীতি অনুশীলনের উল্লেখ রয়েছে ''ক্রাইমস কমিটেড এগেইনস্ট লাইফ, পার্সন এন্ড হেল্থ থ্রু ট্র্যাডিশনাল প্র্যাকটিসেস'' - নামে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/gmo/9781561592630.article.42063|শিরোনাম=Ethiopia, Federal Democratic Republic of|শেষাংশ=Shelemay|প্রথমাংশ=Kay Kaufman|শেষাংশ২=Kimberlin|প্রথমাংশ২=Cynthia Tse|তারিখ=2001|ধারাবাহিক=Oxford Music Online|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> এছাড়াও, কাউন্সিল অফ ইউরোপ পারিবারিক সহিংসতা ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়টি সম্বোধন করে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং সম্মান ও অগ্রহণযোগ্য আচরণ সংশোধনের নামে সকল সহিংসতার জন্য দায়ী সনাতন সংস্কৃতি, রীতিনীতির বিরুদ্ধে আইন গঠনের এবং তা সম্পূর্ণ প্রয়োগের জন্য রাষ্ট্রগুলোকে এ প্রস্তাব অনুমোদনের আহ্বান জানায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-9953-2014005|শিরোনাম=COUNCIL OF EUROPE CONVENTION ON PREVENTING AND COMBATING VIOLENCE AGAINST WOMEN AND DOMESTIC VIOLENCE|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-07}}</ref> জাতিসংঘ সহিংসতাকে উপেক্ষা করা সামাজিক রীতিনীতিগুলোকে বিলুপ্ত করার জন্য, অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য এবং সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের সহযোগীতা প্রদানকারী ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব তৈরির জন্য আইন, আইন প্রয়োগকারী নীতি ও চর্চা এবং সম্প্রদায়গত কর্মকাণ্ড তৈরির মাধ্যমে সহিংসতা মোকাবেলা ও দমনের দিকনির্দেশনা সরবরাহ করতে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতি কার্যকর পুলিশ প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটি হ্যান্ডবুক তৈরি করেছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/794270423|শিরোনাম=Handbook on effective police responses to violence against women|তারিখ=2010|প্রকাশক=United Nations|অবস্থান=New York|অন্যান্য=United Nations Office on Drugs and Crime|আইএসবিএন=978-92-1-055581-4|oclc=794270423}}</ref> |
||
যে সংস্কৃতিগুলোতে পুলিশ এবং আইনী কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি এবং অবমাননাকর আচরণ করার দুর্নাম রয়েছে, সেখানে ডিভির |
যে সংস্কৃতিগুলোতে পুলিশ এবং আইনী কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি এবং অবমাননাকর আচরণ করার দুর্নাম রয়েছে, সেখানে ডিভির ক্ষতিগ্রস্তরা প্রায়শই সাধারণ সাহায্য চাইতে অনাগ্রহী হয়। |
||
==== জোরপূর্ব ও বাল্যবিবাহের সাথে সম্পর্ক ==== |
==== জোরপূর্ব ও বাল্যবিবাহের সাথে সম্পর্ক ==== |
||
জোরপূর্বক বিবাহ এমন একটি বিবাহ যেখানে এক বা উভয় অংশগ্রহীতা তাদের নিজস্ব সম্মতি ছাড়াই বিবাহিত হয়।<ref |
জোরপূর্বক বিবাহ এমন একটি বিবাহ যেখানে এক বা উভয় অংশগ্রহীতা তাদের নিজস্ব সম্মতি ছাড়াই বিবাহিত হয়।<ref name="Morgan, Christine Lesley 1958"/> বিশ্বের অনেক জায়গায়, 'বাধ্য' এবং 'সম্মতিযুক্ত' বিবাহের মধ্যে একটি পাথক্য দাঁড় করানো প্রায়শই কঠিন: অনেক সংস্কৃতিতে (বিশেষত দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য এবং আফ্রিকার কিছু অংশে), বিবাহগুলি পূর্বনির্ধারিত হয়, প্রায়শই কন্য সন্তান জন্মের পরপরই এমনটা ঘটে; কোনও মেয়ে তার পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের ভবিষ্যত স্বামী বেছে নেবে-এ ধারণাটি সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য হয় আর ধরনের বিবাহে বাধ্য করার জন্য হুমকি বা সহিংসতার প্রয়োজন হয় না, হবু বধূ স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু মেনে নেন কারণ তার এছাড়া তার অন্য কোন গত্যন্তর থাকে না । বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রে, যৌতুক এবং কনের মূল্য প্রদানের রীতিনীতিও এ ধরনের ঘটনায় অবদান রাখে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-0302-20180004|শিরোনাম=Oral Statement on Interactive Dialogue with the Special Rapporteur on contemporary forms of slavery, including its causes and consequences|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents Online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-08}}</ref> বাল্য বিবাহ এমন একটি বিবাহ যেখানে একটি বা উভয় পক্ষের বয়স ১৮ বছরের কম বছরের কম হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-2156-0683|শিরোনাম=human-rights-watch-how-come-you-allow-little-girls-to-get-married-child-marriage-in-yemen|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref> |
||
জোরপূর্বক এবং বাল্য বিবাহ উচ্চ হারে পারিবারিক সহিংসতার সাথে জড়িত।<ref name=":50" /><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-2156-0683|শিরোনাম=human-rights-watch-how-come-you-allow-little-girls-to-get-married-child-marriage-in-yemen|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-08}}</ref> এই |
জোরপূর্বক এবং বাল্য বিবাহ উচ্চ হারে পারিবারিক সহিংসতার সাথে জড়িত।<ref name=":50" /><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-2156-0683|শিরোনাম=human-rights-watch-how-come-you-allow-little-girls-to-get-married-child-marriage-in-yemen|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-08}}</ref> এই ধরনের বিবাহ বিবাহিত অবস্থায় সংঘবদ্ধ দাম্পত্য-সহিংসতা এবং এই বিয়ের রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত সহিংসতা তথা যৌতুক ও কনে মূল্য পরিশোধ সংক্রান্ত সহিংসতা ও পাচার, বিবাহ প্রত্যাখ্যান করার জন্য সম্মান রক্ষার্থে হত্যা ইত্যাদি উভয় ধরনের সহিংসতার সাথে সম্পর্কিত।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/ww/9780199540884.013.u246948|শিরোনাম=Wyatt, Caroline Jane, (born 21 April 1967), Religious Affairs Correspondent, BBC, 2014–16|তারিখ=2008-12-01|সাময়িকী=Who's Who|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.18356/b7ee317a-en-fr|শিরোনাম=United Nations Treaty Series|তারিখ=2016-04-22|প্রকাশক=UN|পাতাসমূহ=415–415|আইএসবিএন=978-92-1-057782-3}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/j.wsif.2011.06.008|শিরোনাম=Bride-price and its links to domestic violence and poverty in Uganda: A participatory action research study|শেষাংশ=Hague|প্রথমাংশ=Gill|শেষাংশ২=Thiara|প্রথমাংশ২=Ravi K.|শেষাংশ৩=Turner|প্রথমাংশ৩=Atuki|তারিখ=2011-11|সাময়িকী=Women's Studies International Forum|খণ্ড=34|সংখ্যা নং=6|পাতাসমূহ=550–561|ডিওআই=10.1016/j.wsif.2011.06.008|issn=0277-5395}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://linkinghub.elsevier.com/retrieve/pii/S0277539511001282|শিরোনাম=Bride-price and its links to domestic violence and poverty in Uganda: A participatory action research study|শেষাংশ=Hague|প্রথমাংশ=Gill|শেষাংশ২=Thiara|প্রথমাংশ২=Ravi K.|শেষাংশ৩=Turner|প্রথমাংশ৩=Atuki|তারিখ=2011-11-XX|সাময়িকী=Women's Studies International Forum|খণ্ড=34|সংখ্যা নং=6|পাতাসমূহ=550–561|ভাষা=en|ডিওআই=10.1016/j.wsif.2011.06.008}}</ref> |
||
ইউএনএফপিএ জানিয়েছে, "বাল্য বিবাহ বন্ধের প্রতি সর্বজনীন প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে (চীন বাদে) তিনজনের মধ্যে একজনের সম্ভবত ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই তাদের বিয়ে হয়ে যায়। নয়জনের মধ্যে একজন মেয়ে তাদের ১৫ তম জন্মদিনের আগেই বিবাহিত হয়।" <ref name=":54">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-9823-0072|শিরোনাম=marrying-too-young-end-child-marriage|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref> ইউএনএফপিএর অনুমান, "২০১০ সালে ২০-২৪ বছর বয়সী ৬৭ মিলিয়নেরও বেশি মেয়ে বিবাহিত হয়েছিল, যার অর্ধেক ছিল এশিয়ায়, এবং এক-পঞ্চমাংশ আফ্রিকায়।"<ref name=":54" /> ইউএনএফপিএ আরো জানায়, "পরবর্তী দশকে ১৪.২ মিলিয়ন ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের প্রতি বছর বিয়ে হয়েছে; এতে প্রতিদিন ৩৯,০০০ মেয়ে বিবাহিত হয় এবং এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে এটি ২০২১ সাল থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বছরে গড়ে ১৫,১ মিলিয়ন মেয়ের বিয়ে হবে"।<ref name=":54" /> |
ইউএনএফপিএ জানিয়েছে, "বাল্য বিবাহ বন্ধের প্রতি সর্বজনীন প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে (চীন বাদে) তিনজনের মধ্যে একজনের সম্ভবত ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই তাদের বিয়ে হয়ে যায়। নয়জনের মধ্যে একজন মেয়ে তাদের ১৫ তম জন্মদিনের আগেই বিবাহিত হয়।" <ref name=":54">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-9823-0072|শিরোনাম=marrying-too-young-end-child-marriage|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref> ইউএনএফপিএর অনুমান, "২০১০ সালে ২০-২৪ বছর বয়সী ৬৭ মিলিয়নেরও বেশি মেয়ে বিবাহিত হয়েছিল, যার অর্ধেক ছিল এশিয়ায়, এবং এক-পঞ্চমাংশ আফ্রিকায়।"<ref name=":54" /> ইউএনএফপিএ আরো জানায়, "পরবর্তী দশকে ১৪.২ মিলিয়ন ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের প্রতি বছর বিয়ে হয়েছে; এতে প্রতিদিন ৩৯,০০০ মেয়ে বিবাহিত হয় এবং এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে এটি ২০২১ সাল থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বছরে গড়ে ১৫,১ মিলিয়ন মেয়ের বিয়ে হবে"।<ref name=":54" /> |
||
==== আইন ==== |
==== আইন ==== |
||
পারিবারিক সহিংসতাকে অপরাধ বিবেচনা করে এমন পর্যাপ্ত আইন অভাব, বা বিকল্প আইন, যা সম্মতিজনক আচরণ নিষিদ্ধ করে, ডিভির ঘটনা হ্রাস করার ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন: "এটি অবিশ্বাস্য যে একবিংশ শতাব্দীতে এসেও কয়েকটি দেশ বাল্য বিবাহ ও বৈবাহিক ধর্ষণকে উপেক্ষা জানাচ্ছে এবং অন্যরা গর্ভপাতকে অবৈধ করেছে, বিবাহের বাইরে যৌনতা এবং সমকামী যৌন ক্রিয়াকলাপকে - এমনকি মৃত্যুদণ্ডনীয় অপরাধ বলে ঘোষণা করছে।"<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-9211-2016237|শিরোনাম=Amnesty International responds to launch of National Inquiry into Missing and Murdered Indigenous Women and Girls|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents Online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref> |
পারিবারিক সহিংসতাকে অপরাধ বিবেচনা করে এমন পর্যাপ্ত আইন অভাব, বা বিকল্প আইন, যা সম্মতিজনক আচরণ নিষিদ্ধ করে, ডিভির ঘটনা হ্রাস করার ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন: "এটি অবিশ্বাস্য যে একবিংশ শতাব্দীতে এসেও কয়েকটি দেশ বাল্য বিবাহ ও বৈবাহিক ধর্ষণকে উপেক্ষা জানাচ্ছে এবং অন্যরা গর্ভপাতকে অবৈধ করেছে, বিবাহের বাইরে যৌনতা এবং সমকামী যৌন ক্রিয়াকলাপকে - এমনকি মৃত্যুদণ্ডনীয় অপরাধ বলে ঘোষণা করছে।"<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-9211-2016237|শিরোনাম=Amnesty International responds to launch of National Inquiry into Missing and Murdered Indigenous Women and Girls|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents Online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref> ডাব্লিউএইচএও-র মতে, "নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অন্যতম সাধারণ ধরনটি স্বামী বা পুরুষ সঙ্গী দ্বারা সম্পাদিত"। ডব্লিওএইচও উল্লেখ করে যে এই ধরনের সহিংসতা প্রায়শই উপেক্ষা করা হয় কারণ প্রায়ই "আইনী ব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক নিয়মে এটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হয় না, বরং একটি 'ব্যক্তিগত' পারিবারিক বিষয় বা জীবনের একটি সাধারণ অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়।"<ref name=":51" /> ব্যভিচারের অপরাধকে নারীদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক সহিংসতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ এই নিষেধাজ্ঞাগুলি প্রায়শই আইন হিসেবে বা বাস্তবে, পুরুষদের আচরণ নয় বরং নারীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য করা হয় এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কর্মকাণ্ডকে যুক্তিযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-3601-0203|শিরোনাম=stop-violence-against-women-united-nations-human-rights-council-creates-working-group-to-eliminate-discrimination-against-women-in-law-and-practice-oct-5-2010|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.18356/b3f5cc80-en|শিরোনাম=Online and ICT Facilitated Violence Against Women and Girls during COVID-19|তারিখ=2020-06-20|সাময়িকী=UN Women Ending Violence Against Women (EVAW) COVID-19 Briefs|ডিওআই=10.18356/b3f5cc80-en|issn=2708-4191}}</ref> হিউম্যান রাইটস হাই কমিশনার নাভি পিল্রলাইয়ের মতে: "কেউ কেউ যুক্তি দেখিয়েছেন এবং তর্ক করে চলেছেন যে, পারিবারিক সহিংসতাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের ধারণাগত কাঠামোর বাইরে রাখা হয়েছে। তবে [[আন্তর্জাতিক আইন]] ও মানদণ্ডের অধীনে, নারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং বৈষম্য থেকে মুক্তি নিশ্চিত করতে লিঙ্গ নির্বিশেষে এবং পরিবারে কোনও ব্যক্তির অবস্থান নির্বিশেষে প্রতিরোধ, সুরক্ষা এবং প্রতিকার প্রদানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রেরও সুস্পষ্ট দায়িত্ব রয়েছে।<ref name=":52" /> |
||
==== পরিত্যাগের সক্ষমতা ==== |
==== পরিত্যাগের সক্ষমতা ==== |
||
পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের সম্পর্ক ছেড়ে চলে যাওয়ার ক্ষমতা আরো |
পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের সম্পর্ক ছেড়ে চলে যাওয়ার ক্ষমতা আরো বেশি নির্যাতন রোধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্ষণশীল সম্প্রদায়গুলোতে তালাকপ্রাপ্ত নারী প্রায়শই প্রত্যাখ্যাত এবং একঘরে বোধ করেন। এই কলঙ্ক এড়াতে, অনেক নারী বিবাহবন্ধনে থাকতে এবং নির্যাতন সহ্য করাকে মেনে নেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1057/9781137447692_3|শিরোনাম=Against Violence against Women|শেষাংশ=Fields|প্রথমাংশ=Rona M.|তারিখ=2013|প্রকাশক=Palgrave Macmillan US|অবস্থান=New York|পাতাসমূহ=43–75|আইএসবিএন=978-1-137-43917-8}}</ref> |
||
বৈষম্যমূলক বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদের আইনও এ ধরনের অনুশীলনের প্রসারে ভূমিকা নিতে পারে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-2156-0429|শিরোনাম=news-from-human-rights-watch-vol16-no8e-egypt-divorced-from-justice-womens-unequal-access-to-divorce-in-egypt-december-2004-68-pp|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.18356/6c50a2a9-en|শিরোনাম=Violence Against Women and Girls Data Collection during COVID-19|তারিখ=2020-06-29|সাময়িকী=UN Women Ending Violence Against Women (EVAW) COVID-19 Briefs| |
বৈষম্যমূলক বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদের আইনও এ ধরনের অনুশীলনের প্রসারে ভূমিকা নিতে পারে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-2156-0429|শিরোনাম=news-from-human-rights-watch-vol16-no8e-egypt-divorced-from-justice-womens-unequal-access-to-divorce-in-egypt-december-2004-68-pp|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.18356/6c50a2a9-en|শিরোনাম=Violence Against Women and Girls Data Collection during COVID-19|তারিখ=2020-06-29|সাময়িকী=UN Women Ending Violence Against Women (EVAW) COVID-19 Briefs|ডিওআই=10.18356/6c50a2a9-en|issn=2708-4191}}</ref> জাতিসংঘের বিশেষ দূত রাশিদা মঞ্জুর মতে,<blockquote>অনেক দেশে সম্পত্তিতে একজন নারীর প্রবেশাধিকার পুরুষের সাথে তার সম্পর্কের উপর জড়িত। যখন সে তার স্বামীর কাছ থেকে পৃথক হয় বা স্বামী মারা যায়, তখন সে তার বাড়ি, জমি, বাড়ির জিনিসপত্র এবং অন্যান্য সম্পত্তি হারাতে পারে। বিচ্ছেদ বা বিবাহবিচ্ছেদের পর সম্পত্তির সমানাধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থতা নারীদের সহিংস বিবাহ ত্যাগে নিরুৎসাহিত করে, যেহেতু নারীর সামনে তখন দুটোই পথ থাকে; হয় ঘরে বসে সহিংসতা সহ্য করা নয়তো রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তি করা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-3-319-56721-1_2|শিরোনাম=Global Responses to Domestic Violence|শেষাংশ=Manjoo|প্রথমাংশ=Rashida|শেষাংশ২=Nadj|প্রথমাংশ২=Daniela|তারিখ=2017|প্রকাশক=Springer International Publishing|অবস্থান=Cham|পাতাসমূহ=21–39|আইএসবিএন=978-3-319-56719-8}}</ref></blockquote>বিবাহবিচ্ছেদ পেতে আইনি অক্ষমতাও পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধির একটি কারণ। কিছু সংস্কৃতিতে যেখানে পারিবারিকভাবে বিবাহের ব্যবস্থা করা হয় সেখানে একজন নারী তার স্বামীর বা পরিবার বা আত্মীয়স্বজনের সম্মতি ছাড়াই বিচ্ছিন্নতা বা বিবাহ বিচ্ছেদের চেষ্টা করলে "সম্মান" ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হতে পারে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.36019/9780813576244-004|শিরোনাম=Blood on Their Hands|তারিখ=2019-12-31|প্রকাশক=Rutgers University Press|পাতাসমূহ=12–21|আইএসবিএন=978-0-8135-7624-4}}</ref><ref name=":55">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315768830-9|শিরোনাম=Violence Against Women|তারিখ=2015-05-05|প্রকাশক=Routledge|পাতাসমূহ=72–80|আইএসবিএন=978-1-315-76883-0}}</ref> |
||
কনে মূল্যের রীতিনীতি বিবাহকে আরও কঠিন করে তোলে: সেখানে যদি স্ত্রী চলে যেতে চায় তাহলে হয়ত স্বামী তার পরিবারকে দেয়া কনে মূল্য ফেরত চাইতে পারে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/1050047013|শিরোনাম=Protecting the Girl Child Legal Annex: Using the Law to End Child, Early and Forced Marriage and Related Human Rights Violations|শেষাংশ=Foundation|প্রথমাংশ=Thomson Reuters|তারিখ=2014|প্রকাশক=Thomson Reuters Foundation|oclc=1050047013}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.3362/9781788531511|শিরোনাম=Minimum Standards for Child Protection in Humanitarian Action|তারিখ=2020-11-15|প্রকাশক=Practical Action Publishing|আইএসবিএন=978-1-78853-151-1}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781452270388|শিরোনাম=The Multimedia Encyclopedia of Women in Today's World Encyclopedia of Women in Today's World|শেষাংশ=Stange|প্রথমাংশ=Mary|শেষাংশ২=Oyster|প্রথমাংশ২=Carol|শেষাংশ৩=Sloan|প্রথমাংশ৩=Jane|তারিখ=2013|প্রকাশক=SAGE Publications, Inc.|অবস্থান=2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States|আইএসবিএন=978-1-4522-7038-8}}</ref> |
কনে মূল্যের রীতিনীতি বিবাহকে আরও কঠিন করে তোলে: সেখানে যদি স্ত্রী চলে যেতে চায় তাহলে হয়ত স্বামী তার পরিবারকে দেয়া কনে মূল্য ফেরত চাইতে পারে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/1050047013|শিরোনাম=Protecting the Girl Child Legal Annex: Using the Law to End Child, Early and Forced Marriage and Related Human Rights Violations|শেষাংশ=Foundation|প্রথমাংশ=Thomson Reuters|তারিখ=2014|প্রকাশক=Thomson Reuters Foundation|oclc=1050047013}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.3362/9781788531511|শিরোনাম=Minimum Standards for Child Protection in Humanitarian Action|তারিখ=2020-11-15|প্রকাশক=Practical Action Publishing|আইএসবিএন=978-1-78853-151-1}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781452270388|শিরোনাম=The Multimedia Encyclopedia of Women in Today's World Encyclopedia of Women in Today's World|শেষাংশ=Stange|প্রথমাংশ=Mary|শেষাংশ২=Oyster|প্রথমাংশ২=Carol|শেষাংশ৩=Sloan|প্রথমাংশ৩=Jane|তারিখ=2013|প্রকাশক=SAGE Publications, Inc.|অবস্থান=2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States|আইএসবিএন=978-1-4522-7038-8}}</ref> |
||
২৪০ নং লাইন: | ২৬৯ নং লাইন: | ||
যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশগুলিতে পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের বিকল্প আবাসন পেতে অসুবিধা হতে পারে যা তাদের অবমাননাকর সম্পর্কের মধ্যে থাকতে বাধ্য করতে পারে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1332/policypress/9781447338765.003.0010|শিরোনাম=Revisiting the “Ideal Victim”|শেষাংশ=Duggan|প্রথমাংশ=Marian|তারিখ=2018-07-04|প্রকাশক=Policy Press|পাতাসমূহ=159–175|আইএসবিএন=978-1-4473-3876-5}}</ref> |
যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশগুলিতে পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের বিকল্প আবাসন পেতে অসুবিধা হতে পারে যা তাদের অবমাননাকর সম্পর্কের মধ্যে থাকতে বাধ্য করতে পারে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1332/policypress/9781447338765.003.0010|শিরোনাম=Revisiting the “Ideal Victim”|শেষাংশ=Duggan|প্রথমাংশ=Marian|তারিখ=2018-07-04|প্রকাশক=Policy Press|পাতাসমূহ=159–175|আইএসবিএন=978-1-4473-3876-5}}</ref> |
||
অনেক পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তি নির্যাতক ব্যক্তিকে ছেড়ে চলে যেতে বিলম্ব করে কারণ তাদের পোষা প্রাণী রয়েছে এবং চলে গেলে পোষা প্রাণীদের কী হবে তা নিয়ে তারা চিন্তিত থাকেন। সেফ হাউসগুলিতে পোষা প্রাণীকে আরও গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া দরকার কেননা অনেকেই পোষা প্রাণী গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1300/j135v07n01_04|শিরোনাম=Fear, Guilt, and Grief: Harm to Pets and the Emotional Abuse of Women|শেষাংশ=Faver|প্রথমাংশ=Catherine A.|শেষাংশ২=Strand|প্রথমাংশ২=Elizabeth B.|তারিখ=2007-04-02|সাময়িকী=Journal of Emotional Abuse|খণ্ড=7|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=51–70| |
অনেক পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তি নির্যাতক ব্যক্তিকে ছেড়ে চলে যেতে বিলম্ব করে কারণ তাদের পোষা প্রাণী রয়েছে এবং চলে গেলে পোষা প্রাণীদের কী হবে তা নিয়ে তারা চিন্তিত থাকেন। সেফ হাউসগুলিতে পোষা প্রাণীকে আরও গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া দরকার কেননা অনেকেই পোষা প্রাণী গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1300/j135v07n01_04|শিরোনাম=Fear, Guilt, and Grief: Harm to Pets and the Emotional Abuse of Women|শেষাংশ=Faver|প্রথমাংশ=Catherine A.|শেষাংশ২=Strand|প্রথমাংশ২=Elizabeth B.|তারিখ=2007-04-02|সাময়িকী=Journal of Emotional Abuse|খণ্ড=7|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=51–70|ডিওআই=10.1300/j135v07n01_04|issn=1092-6798}}</ref> |
||
==== ব্যক্তি বনাম পারিবারিক এককের অধিকার ==== |
==== ব্যক্তি বনাম পারিবারিক এককের অধিকার ==== |
||
২৪৯ নং লাইন: | ২৭৮ নং লাইন: | ||
==== অভিবাসী সম্প্রদায় ==== |
==== অভিবাসী সম্প্রদায় ==== |
||
অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘটিত সহিংসতার ক্ষেত্রে প্রায়শই এই সম্প্রদায়গুলিতে নিয়ন্ত্রক দেশের আইন ও নীতি সম্পর্কে খুব কম সচেতনতা থাকে। যুক্তরাজ্যের প্রথম প্রজন্মের দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ইংরেজ আইনের অধীনে অপরাধমূলক আচরণ বলতে কী বোঝায় তা সম্পর্কে তাদের খুব কম জ্ঞান ছিল। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন, "কোনও বিবাহের মধ্যেই যে ধর্ষণ হতে পারে এমন কোনও রকমের সচেতনতা তাদের ছিল না"।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e628612012-203|শিরোনাম=South Asian Women and Abuse: Advocate Perspectives on Domestic Violence Within South Asian Communities|শেষাংশ=Maharaj|প্রথমাংশ=Artie|শেষাংশ২=Wasco|প্রথমাংশ২=Sharon M.|তারিখ=2007|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1080/13552600.2014.929188|শিরোনাম=Speaking about sexual abuse in British South Asian communities: offenders, victims and the challenges of shame and reintegration|শেষাংশ=Cowburn|প্রথমাংশ=Malcolm|শেষাংশ২=Gill|প্রথমাংশ২=Aisha K|শেষাংশ৩=Harrison|প্রথমাংশ৩=Karen|তারিখ=2014-07|সাময়িকী=Journal of Sexual Aggression|খণ্ড=21|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=4–15| |
অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘটিত সহিংসতার ক্ষেত্রে প্রায়শই এই সম্প্রদায়গুলিতে নিয়ন্ত্রক দেশের আইন ও নীতি সম্পর্কে খুব কম সচেতনতা থাকে। যুক্তরাজ্যের প্রথম প্রজন্মের দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ইংরেজ আইনের অধীনে অপরাধমূলক আচরণ বলতে কী বোঝায় তা সম্পর্কে তাদের খুব কম জ্ঞান ছিল। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন, "কোনও বিবাহের মধ্যেই যে ধর্ষণ হতে পারে এমন কোনও রকমের সচেতনতা তাদের ছিল না"।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e628612012-203|শিরোনাম=South Asian Women and Abuse: Advocate Perspectives on Domestic Violence Within South Asian Communities|শেষাংশ=Maharaj|প্রথমাংশ=Artie|শেষাংশ২=Wasco|প্রথমাংশ২=Sharon M.|তারিখ=2007|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1080/13552600.2014.929188|শিরোনাম=Speaking about sexual abuse in British South Asian communities: offenders, victims and the challenges of shame and reintegration|শেষাংশ=Cowburn|প্রথমাংশ=Malcolm|শেষাংশ২=Gill|প্রথমাংশ২=Aisha K|শেষাংশ৩=Harrison|প্রথমাংশ৩=Karen|তারিখ=2014-07|সাময়িকী=Journal of Sexual Aggression|খণ্ড=21|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=4–15|ডিওআই=10.1080/13552600.2014.929188|issn=1355-2600}}</ref> অস্ট্রেলিয়ায় করা একটি গবেষণায় অভিবাসী নারীদের মধ্যে যারা ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিল এবং কোন প্রতিবেদন করেনি এমন কিছু নারীদের নমুনা নেয়া হয়েছিল; সেখানে দেখা গেছে , ১৬.৭% জানেন না ডিভি অবৈধ, এবং ১৮.৮% জানেন না যে তারা সুরক্ষা পেতে পারেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/s10896-018-9980-5|শিরোনাম=Intimate Partner Violence and Help-Seeking Behavior among Migrant Women in Australia|শেষাংশ=Satyen|প্রথমাংশ=Lata|শেষাংশ২=Piedra|প্রথমাংশ২=Steve|শেষাংশ৩=Ranganathan|প্রথমাংশ৩=Archna|শেষাংশ৪=Golluccio|প্রথমাংশ৪=Naomee|তারিখ=2018-07-24|সাময়িকী=Journal of Family Violence|খণ্ড=33|সংখ্যা নং=7|পাতাসমূহ=447–456|ডিওআই=10.1007/s10896-018-9980-5|issn=0885-7482}}</ref> |
||
= কারণসমূহ = |
== কারণসমূহ == |
||
পারিবারিক সহিংসতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলির মধ্যে একটি হল শারীরিক বা মৌখিক নির্যাতনকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিশ্বাস করা। অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে মাদকের অপব্যবহার, বেকারত্ব, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, মোকাবিলার দক্ষতার অভাব, বিচ্ছিন্নতা এবং নির্যাতক উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা অন্তর্ভুক্ত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e512072004-001|শিরোনাম=Violencia domestica|শেষাংশ=Cuadra, MD|প্রথমাংশ=Teresa|শেষাংশ২=Newman|প্রথমাংশ২=Suzanne|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref> |
পারিবারিক সহিংসতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলির মধ্যে একটি হল শারীরিক বা মৌখিক নির্যাতনকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিশ্বাস করা। অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে মাদকের অপব্যবহার, বেকারত্ব, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, মোকাবিলার দক্ষতার অভাব, বিচ্ছিন্নতা এবং নির্যাতক উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা অন্তর্ভুক্ত।<ref name="ReferenceF">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e512072004-001|শিরোনাম=Violencia domestica|শেষাংশ=Cuadra, MD|প্রথমাংশ=Teresa|শেষাংশ২=Newman|প্রথমাংশ২=Suzanne|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref> |
||
একটি সম্পর্কে পারিবারিক এবং আন্তঃব্যক্তিক সহিংসতার ঘটনা ঘটানোর একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য হ'ল |
একটি সম্পর্কে পারিবারিক এবং আন্তঃব্যক্তিক সহিংসতার ঘটনা ঘটানোর একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য হ'ল ক্ষতিগ্রস্তদের উপর ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপন এবং বজায় রাখা।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781412950619.n169|শিরোনাম=Forensic Science: Psychology|শেষাংশ=Bartol|প্রথমাংশ=Curt R.|সাময়িকী=Encyclopedia of Murder and Violent Crime|প্রকাশক=SAGE Publications, Inc.|অবস্থান=2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States|আইএসবিএন=978-0-7619-2437-1}}</ref><ref name="ReferenceG">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9780429423017|শিরোনাম=Working with Trauma-Exposed Children and Adolescents|তারিখ=2018-12-07|সম্পাদক-শেষাংশ=Pozzulo|সম্পাদক-প্রথমাংশ=Joanna|সম্পাদক-শেষাংশ২=Bennell|সম্পাদক-প্রথমাংশ২=Craig|ডিওআই=10.4324/9780429423017}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5040/9781580815444|শিরোনাম=Twelve Angry Men|তারিখ=2006-06-20|সাময়িকী=Twelve Angry Men|ডিওআই=10.5040/9781580815444}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781473914605|শিরোনাম=Violence & Society|শেষাংশ=Ray|প্রথমাংশ=Larry|তারিখ=2011|প্রকাশক=SAGE Publications Ltd|অবস্থান=1 Oliver's Yard, 55 City Road, London EC1Y 1SP United Kingdom|আইএসবিএন=978-1-84787-035-3}}</ref> |
||
মারধরকারী ব্যক্তির নৈতিকতা আইন এবং সমাজের মানদন্ডের |
মারধরকারী ব্যক্তির নৈতিকতা আইন এবং সমাজের মানদন্ডের ঊর্ধ্বে থাকে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/1141064633|শিরোনাম=Violence and society|শেষাংশ=Larry.|প্রথমাংশ=Ray,|তারিখ=2012|প্রকাশক=SAGE Publications Ltd|আইএসবিএন=978-1-4462-4670-2|oclc=1141064633}}</ref> গবেষণা দেখায় যে নির্যাতনকারীর জন্য মূল বিষয় হল তাদের আত্ম-সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সচেতন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ।<ref>Andrew Day and Erica Bowen (2015), Offending Competency and coercive control in intimate partner violence, Aggression and Violent behaviour 20 (2015)62</ref> |
||
যে সকল পুরুষ সহিংসতা চালায় তাদের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে: তারা আত্মপ্রিয়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সহানুভূতিশীল হয় না এবং তারা তাদের প্রয়োজনকে অন্যের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/j.avb.2014.12.004|শিরোনাম=Offending competency and coercive control in intimate partner violence|শেষাংশ=Day|প্রথমাংশ=Andrew|শেষাংশ২=Bowen|প্রথমাংশ২=Erica|তারিখ=2015-01|সাময়িকী=Aggression and Violent Behavior|খণ্ড=20|পাতাসমূহ=62–71| |
যে সকল পুরুষ সহিংসতা চালায় তাদের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে: তারা আত্মপ্রিয়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সহানুভূতিশীল হয় না এবং তারা তাদের প্রয়োজনকে অন্যের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/j.avb.2014.12.004|শিরোনাম=Offending competency and coercive control in intimate partner violence|শেষাংশ=Day|প্রথমাংশ=Andrew|শেষাংশ২=Bowen|প্রথমাংশ২=Erica|তারিখ=2015-01|সাময়িকী=Aggression and Violent Behavior|খণ্ড=20|পাতাসমূহ=62–71|ডিওআই=10.1016/j.avb.2014.12.004|issn=1359-1789}}</ref> অপরাধী ব্যক্তি তাদের নির্যাতনকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন ও নিয়ন্ত্রণের স্বার্থপর বাসনার পরিবর্তে ভুক্তভোগীকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে নির্যাতন করে এই বলে যে, (স্ত্রী, প্রেমিকা বা একটি মানুষ হিসাবে) তাদের ঘাটতির কারণেই সহিংসতা হচ্ছে।<ref name="ReferenceG"/> |
||
=== সহিংসতার চক্র === |
|||
====নির্যাতন চক্র==== |
|||
লেনোর ই. ওয়াকার চার ধাপের সমন্বয়ে একটি নির্যাতন চক্রের মডেল উপস্থাপন করেছিলেন। প্রথমত, কোনও সহিংসতার ঘটনা সংঘটিত না হওয়া অবধি উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে নির্যাতনমূলক পরিস্থিতি তৈরি হতে থাকে। পুনর্মিলনের পর্যায়ে, নির্যাতক দয়াশীল এবং প্রেমময় হতে পারে এবং তারপরে শান্তি বিরাজ করে। পরিস্থিতি যখন শান্ত থাকে তখন নির্যাতিত ব্যক্তি এই ভেবে আশাবাদী হয় যে, পরিস্থিতি বদলে যাবে। তারপর আবারও উত্তেজনা তৈরি হতে থাকে এবং চক্রটি পুনরায় শুরু হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/1175685741|শিরোনাম=Are you listening? Life is talking to you!|শেষাংশ=Hutchinson|প্রথমাংশ=Phoebe|আইএসবিএন=978-1-4525-1311-9|oclc=1175685741}}</ref> |
লেনোর ই. ওয়াকার চার ধাপের সমন্বয়ে একটি নির্যাতন চক্রের মডেল উপস্থাপন করেছিলেন। প্রথমত, কোনও সহিংসতার ঘটনা সংঘটিত না হওয়া অবধি উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে নির্যাতনমূলক পরিস্থিতি তৈরি হতে থাকে। পুনর্মিলনের পর্যায়ে, নির্যাতক দয়াশীল এবং প্রেমময় হতে পারে এবং তারপরে শান্তি বিরাজ করে। পরিস্থিতি যখন শান্ত থাকে তখন নির্যাতিত ব্যক্তি এই ভেবে আশাবাদী হয় যে, পরিস্থিতি বদলে যাবে। তারপর আবারও উত্তেজনা তৈরি হতে থাকে এবং চক্রটি পুনরায় শুরু হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/1175685741|শিরোনাম=Are you listening? Life is talking to you!|শেষাংশ=Hutchinson|প্রথমাংশ=Phoebe|আইএসবিএন=978-1-4525-1311-9|oclc=1175685741}}</ref> |
||
==== আন্তঃপ্রজন্মভিত্তিক সহিংসতা ==== |
|||
নির্যাতনকারীদের মধ্যে একটি সাধারণ দিক হল শৈশবকালে তারাও নির্যাতন প্রত্যক্ষ করেছিল, অন্য কথায়, তারা পারিবারিক সহিংসতার আন্তঃপ্রজন্ম চক্রের অংশ ছিল।<ref name=":56">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/39384629|শিরোনাম=International handbook of multigenerational legacies of trauma|তারিখ=1998|প্রকাশক=Plenum Press|অবস্থান=New York|অন্যান্য=Yael Danieli|আইএসবিএন=0-306-45738-5|oclc=39384629}}</ref> বিপরীতভাবে এর অর্থ এই নয় যে কোনও শিশু সহিংসতা দেখলে বা সহিংসতার শিকার হলে তারাও নির্যাতক হয়ে উঠবে।<ref name="ReferenceF"/> নির্যাতন থামানোর জন্য আন্তঃপ্রজন্মমূলক নির্যাতনের ধারাগুলো বোঝা এবং অন্যান্য প্রতিকারের তুলনায় এগুলোকে ভাঙার মধ্য দিয়ে কার্যকরীভাবে পারিবারিক সহিংসতা হ্রাস করা সম্ভব।<ref name=":56" /> |
|||
শিশুদের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা প্রতিবেদনগুলো বলছে, জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা পারিবারিক সহিংসতায় জড়িত হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তির প্রবণতাকে প্রভাবিত করে (হয় শিকার হিসাবে নয়তো অপরাধী হিসেবে)। এই তত্ত্বকে সমর্থনকারী গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, পারিবারিক সহিংসতার তিনটি উৎস সম্পর্কে চিন্তা করা প্রয়োজন: শৈশবের সামাজিকীকরণ, কৈশোরে যুগল সম্পর্ক সংক্রান্ত পূর্ব অভিজ্ঞতা, এবং একজন ব্যক্তির বর্তমান জীবনে চাপের মাত্রা। যে ব্যক্তিরা তাদের পিতা-মাতাকে একে অপরকে নির্যাতন করতে দেখে বা নিজেরা নির্যাতিত হয়, তারা প্রাপ্তবয়স্ককালে তাদের প্রতিষ্ঠিত সম্পর্কের মধ্যে নির্যাতনমূলক আচরণ অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/019251389010003003|শিরোনাম=A Framework for Studying Family Socialization Over the Life Cycle|শেষাংশ=KALMUSS|প্রথমাংশ=DEBRA|শেষাংশ২=SELTZER|প্রথমাংশ২=JUDITH A.|তারিখ=1989-09-XX|সাময়িকী=Journal of Family Issues|খণ্ড=10|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=339–358|ডিওআই=10.1177/019251389010003003|issn=0192-513X}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/351858|শিরোনাম=The Intergenerational Transmission of Marital Aggression|শেষাংশ=Kalmuss|প্রথমাংশ=Debra|তারিখ=1984-02-XX|সাময়িকী=Journal of Marriage and the Family|খণ্ড=46|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=11|ডিওআই=10.2307/351858|issn=0022-2445}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/352234|শিরোনাম=Continuity of Marital Behavior in Remarriage: The Case of Spouse Abuse|শেষাংশ=Kalmuss|প্রথমাংশ=Debra|শেষাংশ২=Seltzer|প্রথমাংশ২=Judith A.|তারিখ=1986-02-XX|সাময়িকী=Journal of Marriage and the Family|খণ্ড=48|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=113|ডিওআই=10.2307/352234|issn=0022-2445}}</ref> |
|||
'''আন্তঃপ্রজন্মভিত্তিক সহিংসতা''' |
|||
গবেষণায় দেখা যায়, যত বেশি শিশু শারীরিক শাস্তির শিকার হয়, ততই তাদের প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গীসহ পরিবারের সদস্যদের প্রতি হিংসাত্মক আচরণ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315743561-48|শিরোনাম=Routledge Handbook of Physical Education Pedagogies|তারিখ=2016-08-05|প্রকাশক=Routledge|পাতাসমূহ=465–478|আইএসবিএন=978-1-315-74356-1}}</ref> যে সমস্ত ব্যক্তি শিশু হিসেবে শারীরিক আঘাতের শিকার হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় সঙ্গীকে প্রহার করা তাদের কাছে স্বাভাবিক এবং তাদের রাগ বেশি থাকে সেই সাথে বৈবাহিক দ্বন্দ্বের মুখোমুখিও বেশি হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1542/peds.101.4.723|শিরোনাম=Guidance for Effective Discipline|তারিখ=1998-04-01|সাময়িকী=Pediatrics|খণ্ড=101|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=723–728|ডিওআই=10.1542/peds.101.4.723|issn=0031-4005}}</ref> অনেকগুলো গবেষণায় শারীরিক শাস্তিকে "বাবা-মা, ভাইবোন, সহকর্মী এবং স্বামী / স্ত্রীদের বিরুদ্ধে উচ্চ স্তরের আগ্রাসনের সাথে" সংশ্লিষ্ট পাওয়া গেছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1503/cmaj.101314|শিরোনাম=Physical punishment of children: lessons from 20 years of research|শেষাংশ=Durrant|প্রথমাংশ=J.|শেষাংশ২=Ensom|প্রথমাংশ২=R.|তারিখ=2012-02-06|সাময়িকী=Canadian Medical Association Journal|খণ্ড=184|সংখ্যা নং=12|পাতাসমূহ=1373–1377|ডিওআই=10.1503/cmaj.101314|issn=0820-3946}}</ref> যদিও এই সংশ্লিষ্টতা একটি কার্যকারণভিত্তিক সম্পর্ক প্রমাণ করে না, বেশ কয়েকটি অনুদৈর্ঘ্য অধ্যয়ন থেকে বোঝা যায় যে শারীরিক শাস্তির অভিজ্ঞতা পরবর্তী আক্রমণাত্মক আচরণের উপর সরাসরি কার্যকারণগত প্রভাব ফেলে। এই জাতীয় গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, শিশুদের শারীরিক শাস্তি (যেমন: সশব্দে আঘাত করা, চড় মারা বা পশ্চাতদেশে আঘাত করা) সহানুভূতি, পরার্থপরতা এবং সংযমের মতো মূল্যবোধগুলির দুর্বল অভ্যন্তরীণকরণের সাথে ডেটিং সহিংসতা সহ আরও অসামাজিক আচরণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1097/dbp.0b013e318135448a|শিরোনাম=Physical Punishment, Culture, and Rights: Current Issues for Professionals|শেষাংশ=Durrant|প্রথমাংশ=Joan E.|তারিখ=2008-02|সাময়িকী=Journal of Developmental & Behavioral Pediatrics|খণ্ড=29|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=55–66|ডিওআই=10.1097/dbp.0b013e318135448a|issn=0196-206X}}</ref> |
|||
নির্যাতনকারীদের মধ্যে একটি সাধারণ দিক হল শৈশবকালে তারাও নির্যাতন প্রত্যক্ষ করেছিল, অন্য কথায়, তারা পারিবারিক সহিংসতার আন্তঃপ্রজন্ম চক্রের অংশ ছিল।<ref name=":56">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/39384629|শিরোনাম=International handbook of multigenerational legacies of trauma|তারিখ=1998|প্রকাশক=Plenum Press|অবস্থান=New York|অন্যান্য=Yael Danieli|আইএসবিএন=0-306-45738-5|oclc=39384629}}</ref> বিপরীতভাবে এর অর্থ এই নয় যে কোনও শিশু সহিংসতা দেখলে বা সহিংসতার শিকার হলে তারাও নির্যাতক হয়ে উঠবে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e512072004-001|শিরোনাম=Violencia domestica|শেষাংশ=Cuadra, MD|প্রথমাংশ=Teresa|শেষাংশ২=Newman|প্রথমাংশ২=Suzanne|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref> নির্যাতন থামানোর জন্য আন্তঃপ্রজন্মমূলক নির্যাতনের ধারাগুলো বোঝা এবং অন্যান্য প্রতিকারের তুলনায় এগুলোকে ভাঙার মধ্য দিয়ে কার্যকরীভাবে পারিবারিক সহিংসতা হ্রাস করা সম্ভব।<ref name=":56" /> |
|||
বিশ্বব্যাপী কয়েকটি পিতৃতান্ত্রিক সমাজে, একজন নববধূ তার স্বামীর পরিবার নিয়ে থাকেন। বাড়ীতে নতুন মেয়ে হিসাবে, তিনি পরিবারে সবচেয়ে হীন (বা সবচেয়ে নীচে অবস্থিত) অবস্থানে থাকেন, প্রায়শই সহিংসতা এবং নির্যাতনের শিকার হন এবং বিশেষত শ্বশুর-শ্বাশুড়ি দ্বারা দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হন: পরিবারে পুত্রবধূদের আগমনে, শাশুড়ির মর্যাদা উন্নীত হয় এবং এখন তিনি (নিজের জীবনে প্রথমবারের মতো) অন্য কারও উপরে যথেষ্ট ক্ষমতা অর্জন করেন এবং "এই পরিবারব্যবস্থা নিজেই সহিংসতার একটি চক্র তৈরির দিকে ঝুঁকে পড়ে যেখানে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিইত গৃহবধূ তার নতুন পুত্রবধূর নির্যাতক শ্বাশুড়িতে পরিণত হন "।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/56085573|শিরোনাম=Integrating ecofeminism, globalization, and world religions|শেষাংশ=Ruether|প্রথমাংশ=Rosemary Radford|তারিখ=2005|প্রকাশক=Rowman & Littlefield Publishers|অবস্থান=Lanham|আইএসবিএন=0-7425-3529-0|oclc=56085573}}</ref> [[অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল]] জানাচ্ছে, তাজিকিস্তানে "একজন শ্বাশুড়ি তরুণী স্ত্রী হিসেবে যে নির্যাতন সহ্য করেছেন নিজের পুত্রবধূর প্রতি সেই একই রকম নির্যাতন করাটা একটি প্রারম্ভিক রীতি"।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-9211-0326|শিরোনাম=women-face-abuse-in-tajikistan-nov-24-2009-3pp|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref> |
|||
শিশুদের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা প্রতিবেদনগুলো বলছে, জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা পারিবারিক সহিংসতায় জড়িত হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তির প্রবণতাকে প্রভাবিত করে (হয় শিকার হিসাবে নয়তো অপরাধী হিসেবে)। এই তত্ত্বকে সমর্থনকারী গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, পারিবারিক সহিংসতার তিনটি উৎস সম্পর্কে চিন্তা করা প্রয়োজন: শৈশবের সামাজিকীকরণ, কৈশোরে যুগল সম্পর্ক সংক্রান্ত পূর্ব অভিজ্ঞতা, এবং একজন ব্যক্তির বর্তমান জীবনে চাপের মাত্রা। যে ব্যক্তিরা তাদের পিতা-মাতাকে একে অপরকে নির্যাতন করতে দেখে বা নিজেরা নির্যাতিত হয়, তারা প্রাপ্তবয়স্ককালে তাদের প্রতিষ্ঠিত সম্পর্কের মধ্যে নির্যাতনমূলক আচরণ অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/019251389010003003|শিরোনাম=A Framework for Studying Family Socialization Over the Life Cycle|শেষাংশ=KALMUSS|প্রথমাংশ=DEBRA|শেষাংশ২=SELTZER|প্রথমাংশ২=JUDITH A.|তারিখ=1989-09-XX|সাময়িকী=Journal of Family Issues|খণ্ড=10|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=339–358|doi=10.1177/019251389010003003|issn=0192-513X}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/351858|শিরোনাম=The Intergenerational Transmission of Marital Aggression|শেষাংশ=Kalmuss|প্রথমাংশ=Debra|তারিখ=1984-02-XX|সাময়িকী=Journal of Marriage and the Family|খণ্ড=46|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=11|doi=10.2307/351858|issn=0022-2445}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/352234|শিরোনাম=Continuity of Marital Behavior in Remarriage: The Case of Spouse Abuse|শেষাংশ=Kalmuss|প্রথমাংশ=Debra|শেষাংশ২=Seltzer|প্রথমাংশ২=Judith A.|তারিখ=1986-02-XX|সাময়িকী=Journal of Marriage and the Family|খণ্ড=48|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=113|doi=10.2307/352234|issn=0022-2445}}</ref> |
|||
গবেষণায় দেখা যায়, যত বেশি শিশু শারীরিক শাস্তির শিকার হয়, ততই তাদের প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গীসহ পরিবারের সদস্যদের প্রতি হিংসাত্মক আচরণ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315743561-48|শিরোনাম=Routledge Handbook of Physical Education Pedagogies|তারিখ=2016-08-05|প্রকাশক=Routledge|পাতাসমূহ=465–478|আইএসবিএন=978-1-315-74356-1}}</ref> যে সমস্ত ব্যক্তি শিশু হিসেবে শারীরিক আঘাতের শিকার হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় সঙ্গীকে প্রহার করা তাদের কাছে স্বাভাবিক এবং তাদের রাগ বেশি থাকে সেই সাথে বৈবাহিক দ্বন্দ্বের মুখোমুখিও বেশি হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1542/peds.101.4.723|শিরোনাম=Guidance for Effective Discipline|তারিখ=1998-04-01|সাময়িকী=Pediatrics|খণ্ড=101|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=723–728|doi=10.1542/peds.101.4.723|issn=0031-4005}}</ref> অনেকগুলো গবেষণায় শারীরিক শাস্তিকে "বাবা-মা, ভাইবোন, সহকর্মী এবং স্বামী / স্ত্রীদের বিরুদ্ধে উচ্চ স্তরের আগ্রাসনের সাথে" সংশ্লিষ্ট পাওয়া গেছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1503/cmaj.101314|শিরোনাম=Physical punishment of children: lessons from 20 years of research|শেষাংশ=Durrant|প্রথমাংশ=J.|শেষাংশ২=Ensom|প্রথমাংশ২=R.|তারিখ=2012-02-06|সাময়িকী=Canadian Medical Association Journal|খণ্ড=184|সংখ্যা নং=12|পাতাসমূহ=1373–1377|doi=10.1503/cmaj.101314|issn=0820-3946}}</ref> যদিও এই সংশ্লিষ্টতা একটি কার্যকারণভিত্তিক সম্পর্ক প্রমাণ করে না, বেশ কয়েকটি অনুদৈর্ঘ্য অধ্যয়ন থেকে বোঝা যায় যে শারীরিক শাস্তির অভিজ্ঞতা পরবর্তী আক্রমণাত্মক আচরণের উপর সরাসরি কার্যকারণগত প্রভাব ফেলে। এই জাতীয় গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, শিশুদের শারীরিক শাস্তি (যেমন: সশব্দে আঘাত করা, চড় মারা বা পশ্চাতদেশে আঘাত করা) সহানুভূতি, পরার্থপরতা এবং সংযমের মতো মূল্যবোধগুলির দুর্বল অভ্যন্তরীণকরণের সাথে ডেটিং সহিংসতা সহ আরও অসামাজিক আচরণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1097/dbp.0b013e318135448a|শিরোনাম=Physical Punishment, Culture, and Rights: Current Issues for Professionals|শেষাংশ=Durrant|প্রথমাংশ=Joan E.|তারিখ=2008-02|সাময়িকী=Journal of Developmental & Behavioral Pediatrics|খণ্ড=29|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=55–66|doi=10.1097/dbp.0b013e318135448a|issn=0196-206X}}</ref> |
|||
বিশ্বব্যাপী কয়েকটি পিতৃতান্ত্রিক সমাজে, একজন নববধূ তার স্বামীর পরিবার নিয়ে থাকেন। বাড়ীতে নতুন মেয়ে হিসাবে, তিনি পরিবারে সবচেয়ে হীন (বা সবচেয়ে নীচে অবস্থিত) অবস্থানে থাকেন, প্রায়শই সহিংসতা এবং নির্যাতনের শিকার হন এবং বিশেষত শ্বশুর-শ্বাশুড়ি দ্বারা দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হন: পরিবারে পুত্রবধূদের আগমনে, শাশুড়ির মর্যাদা উন্নীত হয় এবং এখন তিনি (নিজের জীবনে প্রথমবারের মতো) অন্য কারও উপরে যথেষ্ট ক্ষমতা অর্জন করেন এবং "এই পরিবারব্যবস্থা নিজেই সহিংসতার একটি চক্র তৈরির দিকে ঝুঁকে পড়ে যেখানে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিইত গৃহবধূ তার নতুন পুত্রবধূর নির্যাতক শ্বাশুড়িতে পরিণত হন "।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/56085573|শিরোনাম=Integrating ecofeminism, globalization, and world religions|শেষাংশ=Ruether|প্রথমাংশ=Rosemary Radford|তারিখ=2005|প্রকাশক=Rowman & Littlefield Publishers|অবস্থান=Lanham|আইএসবিএন=0-7425-3529-0|oclc=56085573}}</ref> অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানাচ্ছে, তাজিকিস্তানে "একজন শ্বাশুড়ি তরুণী স্ত্রী হিসেবে যে নির্যাতন সহ্য করেছেন নিজের পুত্রবধূর প্রতি সেই একই রকম নির্যাতন করাটা একটি প্রারম্ভিক রীতি"।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-9211-0326|শিরোনাম=women-face-abuse-in-tajikistan-nov-24-2009-3pp|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-13}}</ref> |
|||
==== মাদকের অপব্যবহার ==== |
==== মাদকের অপব্যবহার ==== |
||
পারিবারিক সহিংসতা সাধারণত মদের অপব্যবহারের সাথে পুনরাবির্ভুত হয়। নির্যাতিতদের দুই-তৃতীয়াংশ মদের ব্যবহারকে সহিংসতার অনুঘটক হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। মাঝারি মদ্যপায়ী ব্যক্তি হালকা মদ্যপায়ী এবং অমদ্যপায়ীদের চেয়ে ঘন ঘন সহিংসতায় জড়িত হয়; তবে, সাধারণত অতিরিক্ত বা অত্যধিক মদ্যপায়ী ব্যক্তি সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী এবং গুরুতর আগ্রাসনের সাথে জড়িত থাকে। শারীরিক আক্রমণগুলোর আকস্মিকতা, মাত্রা এবং তীব্রতা সবই মদ ব্যবহারের সাথে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কিত। ফলে, আচরণগত বৈবাহিক মদ্যাসক্তি |
পারিবারিক সহিংসতা সাধারণত মদের অপব্যবহারের সাথে পুনরাবির্ভুত হয়। নির্যাতিতদের দুই-তৃতীয়াংশ মদের ব্যবহারকে সহিংসতার অনুঘটক হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। মাঝারি মদ্যপায়ী ব্যক্তি হালকা মদ্যপায়ী এবং অমদ্যপায়ীদের চেয়ে ঘন ঘন সহিংসতায় জড়িত হয়; তবে, সাধারণত অতিরিক্ত বা অত্যধিক মদ্যপায়ী ব্যক্তি সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী এবং গুরুতর আগ্রাসনের সাথে জড়িত থাকে। শারীরিক আক্রমণগুলোর আকস্মিকতা, মাত্রা এবং তীব্রতা সবই মদ ব্যবহারের সাথে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কিত। ফলে, আচরণগত বৈবাহিক মদ্যাসক্তি চিকিৎসার পরে সহিংসতা হ্রাস পায়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1002/9781405165518.wbeosa039.pub2|শিরোনাম=Alcohol and Crime|শেষাংশ=Sung|প্রথমাংশ=Hung-En|তারিখ=2016-08-01|সাময়িকী=The Blackwell Encyclopedia of Sociology|প্রকাশক=John Wiley & Sons, Ltd|অবস্থান=Oxford, UK|পাতাসমূহ=1–2|আইএসবিএন=978-1-4051-2433-1}}</ref> |
||
==== জৈবিক এবং মনস্তাত্ত্বিক ==== |
==== জৈবিক এবং মনস্তাত্ত্বিক ==== |
||
এই কারণগুলির মধ্যে জেনেটিক্স এবং মস্তিষ্কের কর্মহীনতা অন্তর্ভুক্ত এবং এদের নিউরোসায়েন্স দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1098/rstb.2008.0028|শিরোনাম=Psychophysiological correlates of aggression and violence: an integrative review|শেষাংশ=Patrick|প্রথমাংশ=Christopher J|তারিখ=2008-04-23|সাময়িকী=Philosophical Transactions of the Royal Society B: Biological Sciences|খণ্ড=363|সংখ্যা নং=1503|পাতাসমূহ=2543–2555| |
এই কারণগুলির মধ্যে জেনেটিক্স এবং মস্তিষ্কের কর্মহীনতা অন্তর্ভুক্ত এবং এদের নিউরোসায়েন্স দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1098/rstb.2008.0028|শিরোনাম=Psychophysiological correlates of aggression and violence: an integrative review|শেষাংশ=Patrick|প্রথমাংশ=Christopher J|তারিখ=2008-04-23|সাময়িকী=Philosophical Transactions of the Royal Society B: Biological Sciences|খণ্ড=363|সংখ্যা নং=1503|পাতাসমূহ=2543–2555|ডিওআই=10.1098/rstb.2008.0028|issn=0962-8436}}</ref> মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বগুলি ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য এবং অপরাধীর মানসিক বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করে। ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে হঠাৎ রাগে ফেটে পড়া, আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা এবং নিচু আত্ম-সম্মানবোধ অন্তর্ভুক্ত থাকে। বিভিন্ন তত্ত্বে জানা যায় যে, সাইকোপ্যাথোলজি একটি উপাদান যা শিশু হিসাবে নির্যাতনের শিকার কিছু লোককে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে আরও বেশি সহিংস করে তোলে। কিশোর অপরাধ এবং প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় পারিবারিক সহিংসতার মধ্যে সংযোগ পাওয়া গেছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/acprof:oso/9780199828166.001.0001|শিরোনাম=From Juvenile Delinquency to Adult Crime|তারিখ=2012-06-01|সম্পাদক-শেষাংশ=Loeber|সম্পাদক-প্রথমাংশ=Rolf|সম্পাদক-শেষাংশ২=Farrington|সম্পাদক-প্রথমাংশ২=David P.|ডিওআই=10.1093/acprof:oso/9780199828166.001.0001}}</ref> |
||
গবেষণাগুলো পারিবারিক নির্যাতনকারীদের মধ্যে সাইকোপ্যাথোলজির স্পষ্ট উদাহরণ খুঁজে পেয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/bf00978276|শিরোনাম=Personality correlates of men who abuse their partners: A cross-validation study|শেষাংশ=Hamberger|প্রথমাংশ=L. Kevin|শেষাংশ২=Hastings|প্রথমাংশ২=James E.|তারিখ=1986-12-XX|সাময়িকী=Journal of Family Violence|খণ্ড=1|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=323–341| |
গবেষণাগুলো পারিবারিক নির্যাতনকারীদের মধ্যে সাইকোপ্যাথোলজির স্পষ্ট উদাহরণ খুঁজে পেয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/bf00978276|শিরোনাম=Personality correlates of men who abuse their partners: A cross-validation study|শেষাংশ=Hamberger|প্রথমাংশ=L. Kevin|শেষাংশ২=Hastings|প্রথমাংশ২=James E.|তারিখ=1986-12-XX|সাময়িকী=Journal of Family Violence|খণ্ড=1|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=323–341|ডিওআই=10.1007/bf00978276|issn=0885-7482}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/bf00978715|শিরোনাম=Personality correlates of men who batter and nonviolent men: Some continuities and discontinuities|শেষাংশ=Hamberger|প্রথমাংশ=L. Kevin|শেষাংশ২=Hastings|প্রথমাংশ২=James E.|তারিখ=1991-06-XX|সাময়িকী=Journal of Family Violence|খণ্ড=6|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=131–147|ডিওআই=10.1007/bf00978715|issn=0885-7482}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1521/pedi.1993.7.4.329|শিরোনাম=The Prevalence of Personality Disorder Among Wife Assaulters|শেষাংশ=Hart|প্রথমাংশ=Stephen D.|শেষাংশ২=Dutton|প্রথমাংশ২=Donald G.|শেষাংশ৩=Newlove|প্রথমাংশ৩=Theresa|তারিখ=1993-12-XX|সাময়িকী=Journal of Personality Disorders|খণ্ড=7|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=329–341|ডিওআই=10.1521/pedi.1993.7.4.329|issn=0885-579X}}</ref> যেমন; কিছু গবেষণা বলছে যে, এই পারিবারিক সহিংসতা অধ্যায়নে অংশ নেয়া প্রায় ৮০% আদালত উল্লেখিত এবং স্ব-উল্লেখিত পুরুষ নিরাময়যোগ্য সাইকোপ্যাথোলজি তথা সাধারণ ব্যক্তিত্বের ব্যাধি প্রদর্শন করেছেন। "সাধারণ জনগণের ব্যক্তিত্বজনিত অসুস্থতার অনুমান ১৫-২০% এর মধ্যেই বেশি হবে[...] সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহিংসতা আরও মারাত্মক ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সাথে সাথে এই পুরুষদের মধ্যে সাইকোপ্যাথোলজির সম্ভাবনা ১০০% এর কাছাকাছি পৌঁছেছে।"<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/0886-6708.9.2.167|শিরোনাম=Patriarchy and Wife Assault: The Ecological Fallacy|শেষাংশ=Dutton|প্রথমাংশ=Donald G.|তারিখ=1994-01-XX|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=9|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=167–182|ডিওআই=10.1891/0886-6708.9.2.167|issn=0886-6708}}</ref> |
||
ডাটন স্ত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহারকারী পুরুষদের একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রোফাইল দিয়েছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন যে, এই সমস্ত পুরুষদের বর্ডারলাইন পারর্সনালিটি রয়েছে যা জীবনের প্রথম দিকে বিকশিত হয়েছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/32626430|শিরোনাম=The batterer : a psychological profile|শেষাংশ=Dutton|প্রথমাংশ=Donald G.|তারিখ=1995|প্রকাশক=Basic Books|অবস্থান=New York|অন্যান্য=Susan K. Golant|আইএসবিএন=0-465-03387-3|oclc=32626430}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/0886-6708.8.4.327|শিরোনাম=Borderline Personality in Perpetrators of Psychological and Physical Abuse|শেষাংশ=Dutton|প্রথমাংশ=Donald G.|শেষাংশ২=Starzomski|প্রথমাংশ২=Andrew J.|তারিখ=1993-01-01|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=8|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=327–337| |
ডাটন স্ত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহারকারী পুরুষদের একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রোফাইল দিয়েছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন যে, এই সমস্ত পুরুষদের বর্ডারলাইন পারর্সনালিটি রয়েছে যা জীবনের প্রথম দিকে বিকশিত হয়েছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/32626430|শিরোনাম=The batterer : a psychological profile|শেষাংশ=Dutton|প্রথমাংশ=Donald G.|তারিখ=1995|প্রকাশক=Basic Books|অবস্থান=New York|অন্যান্য=Susan K. Golant|আইএসবিএন=0-465-03387-3|oclc=32626430}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/0886-6708.8.4.327|শিরোনাম=Borderline Personality in Perpetrators of Psychological and Physical Abuse|শেষাংশ=Dutton|প্রথমাংশ=Donald G.|শেষাংশ২=Starzomski|প্রথমাংশ২=Andrew J.|তারিখ=1993-01-01|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=8|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=327–337|ডিওআই=10.1891/0886-6708.8.4.327|issn=0886-6708}}</ref> যদিও, এই মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বগুলি বিতর্কিত: গেলেস বলছেন যে, মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বগুলি সীমিত, এবং অন্য গবেষকরা প্রমাণ করেছেন যে কেবলমাত্র ১০% (বা তারও কম) এই মনস্তাত্ত্বিক প্রোফাইলের সাথে খাপ খায়। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য, মানসিক অসুস্থতা বা সাইকোপ্যাথির চেয়ে সামাজিক কারণগুলি গুরুত্বপূর্ণ।<ref name="ReferenceH">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/35317909|শিরোনাম=Intimate violence in families|শেষাংশ=Gelles|প্রথমাংশ=Richard J.|তারিখ=1997|প্রকাশক=Sage Publications|অবস্থান=Thousand Oaks, Calif.|আইএসবিএন=0-7619-0122-1|oclc=35317909|সংস্করণ=3rd ed}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/989130|শিরোনাম=The battered child|শেষাংশ=Helfer|প্রথমাংশ=Ray E.|তারিখ=1974|অবস্থান=Chicago|অন্যান্য=C. Henry Kempe|আইএসবিএন=0-226-32629-2|oclc=989130|সংস্করণ=2d ed}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/5725780|শিরোনাম=Behind closed doors : violence in the American family|শেষাংশ=Straus|প্রথমাংশ=Murray A.|তারিখ=1980|প্রকাশক=Anchor Press/Doubleday|অবস্থান=Garden City, N.Y.|অন্যান্য=Richard J. Gelles, Suzanne K. Steinmetz|আইএসবিএন=0-385-14259-5|oclc=5725780|সংস্করণ=1st ed}}</ref> |
||
পারিবারিক সহিংসতার একটি বিবর্তনমূলক মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা হল, এটি নারীর প্রজনন নিয়ন্ত্রণ এবং যৌনসীমা নিশ্চিত করার জন্য পুরুষের উদ্যোগকে উপস্থাপন করে।<ref name=":57">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/acprof:oso/9780195325188.003.0004|শিরোনাম=Evolutionary Forensic Psychology|শেষাংশ=Goetz|প্রথমাংশ=Aaron T|শেষাংশ২=Shackelford|প্রথমাংশ২=Todd K.|শেষাংশ৩=Starratt|প্রথমাংশ৩=Valerie G.|শেষাংশ৪=Mckibbin|প্রথমাংশ৪=William F|তারিখ=2008-10-16|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=65–78|আইএসবিএন=978-0-19-532518-8}}</ref> বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সাথে সম্পর্কিত সহিংসতা বিশ্বের কয়েকটি অংশে ন্যায়সঙ্গত হিসাবে দেখা হয়। উদাহরণস্বরূপ, তুরস্কের দিয়ারবাকিরের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ব্যভিচার করেছে এমন মহিলার জন্য উপযুক্ত শাস্তি জিজ্ঞাসা করলে, ৩৭% উত্তরদাতা বলেছিল, তাকে হত্যা করা উচিত এবং ২১% বলেছে যে, তার নাক বা কান কেটে ফেলা উচিত।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/ww/9780199540884.013.246653|শিরোনাম=Raworth, Sophie, (born 15 May 1968), Presenter, BBC News|তারিখ=2008-12-01|সাময়িকী=Who's Who|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> একজন সঙ্গী আর্থিকভাবে |
পারিবারিক সহিংসতার একটি বিবর্তনমূলক মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা হল, এটি নারীর প্রজনন নিয়ন্ত্রণ এবং যৌনসীমা নিশ্চিত করার জন্য পুরুষের উদ্যোগকে উপস্থাপন করে।<ref name=":57">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/acprof:oso/9780195325188.003.0004|শিরোনাম=Evolutionary Forensic Psychology|শেষাংশ=Goetz|প্রথমাংশ=Aaron T|শেষাংশ২=Shackelford|প্রথমাংশ২=Todd K.|শেষাংশ৩=Starratt|প্রথমাংশ৩=Valerie G.|শেষাংশ৪=Mckibbin|প্রথমাংশ৪=William F|তারিখ=2008-10-16|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=65–78|আইএসবিএন=978-0-19-532518-8}}</ref> বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সাথে সম্পর্কিত সহিংসতা বিশ্বের কয়েকটি অংশে ন্যায়সঙ্গত হিসাবে দেখা হয়। উদাহরণস্বরূপ, তুরস্কের দিয়ারবাকিরের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ব্যভিচার করেছে এমন মহিলার জন্য উপযুক্ত শাস্তি জিজ্ঞাসা করলে, ৩৭% উত্তরদাতা বলেছিল, তাকে হত্যা করা উচিত এবং ২১% বলেছে যে, তার নাক বা কান কেটে ফেলা উচিত।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/ww/9780199540884.013.246653|শিরোনাম=Raworth, Sophie, (born 15 May 1968), Presenter, BBC News|তারিখ=2008-12-01|সাময়িকী=Who's Who|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> একজন সঙ্গী আর্থিকভাবে বেশি সফল হলেও এ ধরনের অনুভূতি তৈরি হতে পারে।<ref name=":57" /> |
||
=== সামাজিক তত্ত্ব === |
|||
==== সাধারণ ==== |
|||
সামাজিক তত্ত্বগুলো অপরাধীর পরিবেশের বাহ্যিক বিষয়গুলি যেমন পারিবারিক কাঠামো, চাপ, সামাজিক শিক্ষার দিকে নজর দেয় এবং যুক্তিযুক্ত পছন্দের তত্ত্বগুলো অন্তর্ভুক্ত করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.3109/08039488.2012.665080|শিরোনাম=Cognitive–behaviour group therapy for men voluntary seeking help for intimate partner violence|শেষাংশ=Palmstierna|প্রথমাংশ=Tom|শেষাংশ২=Haugan|প্রথমাংশ২=Grethemor|শেষাংশ৩=Jarwson|প্রথমাংশ৩=Stig|শেষাংশ৪=Rasmussen|প্রথমাংশ৪=Kirsten|শেষাংশ৫=Nøttestad|প্রথমাংশ৫=Jim Aage|তারিখ=2012-03-19|সাময়িকী=Nordic Journal of Psychiatry|খণ্ড=66|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=360–365| |
সামাজিক তত্ত্বগুলো অপরাধীর পরিবেশের বাহ্যিক বিষয়গুলি যেমন পারিবারিক কাঠামো, চাপ, সামাজিক শিক্ষার দিকে নজর দেয় এবং যুক্তিযুক্ত পছন্দের তত্ত্বগুলো অন্তর্ভুক্ত করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.3109/08039488.2012.665080|শিরোনাম=Cognitive–behaviour group therapy for men voluntary seeking help for intimate partner violence|শেষাংশ=Palmstierna|প্রথমাংশ=Tom|শেষাংশ২=Haugan|প্রথমাংশ২=Grethemor|শেষাংশ৩=Jarwson|প্রথমাংশ৩=Stig|শেষাংশ৪=Rasmussen|প্রথমাংশ৪=Kirsten|শেষাংশ৫=Nøttestad|প্রথমাংশ৫=Jim Aage|তারিখ=2012-03-19|সাময়িকী=Nordic Journal of Psychiatry|খণ্ড=66|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=360–365|ডিওআই=10.3109/08039488.2012.665080|issn=0803-9488}}</ref> |
||
সামাজিক শিক্ষণ তত্ত্ব বলে যে, মানুষ অন্যের আচরণ পর্যবেক্ষণ এবং অনুকরণ থেকে শিখতে পারে। ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আচরণ অব্যাহত থাকে। যদি কেউ হিংসাত্মক আচরণ পর্যবেক্ষণ করে তবে তাই অনুসৃত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যদি কোনও নেতিবাচক পরিণতি না হয় (উদাঃ ভুক্তভোগীর আত্মসমর্পণ বা সহিংসতা স্বীকার করে নেয়া), তবে ইতিবাচক আচরণটি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা থাকবে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/0886-6708.1.2.101|শিরোনাম=An Analysis of Risk Markers in Husband to Wife Violence: The Current State of Knowledge|শেষাংশ=Hotaling|প্রথমাংশ=Gerald T.|শেষাংশ২=Sugarman|প্রথমাংশ২=David B.|তারিখ=1986-01-XX|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=1|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=101–124| |
সামাজিক শিক্ষণ তত্ত্ব বলে যে, মানুষ অন্যের আচরণ পর্যবেক্ষণ এবং অনুকরণ থেকে শিখতে পারে। ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আচরণ অব্যাহত থাকে। যদি কেউ হিংসাত্মক আচরণ পর্যবেক্ষণ করে তবে তাই অনুসৃত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যদি কোনও নেতিবাচক পরিণতি না হয় (উদাঃ ভুক্তভোগীর আত্মসমর্পণ বা সহিংসতা স্বীকার করে নেয়া), তবে ইতিবাচক আচরণটি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা থাকবে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/0886-6708.1.2.101|শিরোনাম=An Analysis of Risk Markers in Husband to Wife Violence: The Current State of Knowledge|শেষাংশ=Hotaling|প্রথমাংশ=Gerald T.|শেষাংশ২=Sugarman|প্রথমাংশ২=David B.|তারিখ=1986-01-XX|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=1|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=101–124|ডিওআই=10.1891/0886-6708.1.2.101|issn=0886-6708}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/0886-6708.8.2.165|শিরোনাম=Family of Origin Violence and MCMI-II Psychopathology, Among Partner Assaultive Men|শেষাংশ=Murphy|প্রথমাংশ=Christopher M.|শেষাংশ২=Meyer|প্রথমাংশ২=Shannon-Lee|শেষাংশ৩=O’Leary|প্রথমাংশ৩=K. Daniel|তারিখ=1993-01-XX|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=8|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=165–176|ডিওআই=10.1891/0886-6708.8.2.165|issn=0886-6708}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/bf01531961|শিরোনাম=The intergenerational transmission of aggression across three generations|শেষাংশ=Doumas|প্রথমাংশ=Diana|শেষাংশ২=Margolin|প্রথমাংশ২=Gayla|শেষাংশ৩=John|প্রথমাংশ৩=Richard S.|তারিখ=1994-06-XX|সাময়িকী=Journal of Family Violence|খণ্ড=9|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=157–175|ডিওআই=10.1007/bf01531961|issn=0885-7482}}</ref> |
||
রিসোর্স তত্ত্বটি উইলিয়াম গুড (১৯৭১) উপস্থাপন করেছন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/349435|শিরোনাম=Force and Violence in the Family|শেষাংশ=Goode|প্রথমাংশ=William J.|তারিখ=1971-11-XX|সাময়িকী=Journal of Marriage and the Family|খণ্ড=33|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=624| |
রিসোর্স তত্ত্বটি উইলিয়াম গুড (১৯৭১) উপস্থাপন করেছন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/349435|শিরোনাম=Force and Violence in the Family|শেষাংশ=Goode|প্রথমাংশ=William J.|তারিখ=1971-11-XX|সাময়িকী=Journal of Marriage and the Family|খণ্ড=33|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=624|ডিওআই=10.2307/349435|issn=0022-2445}}</ref> যে নারীরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য স্বামীর উপর সবচেয়ে নির্ভরশীল (যেমন- গৃহিণী, প্রতিবন্ধী মহিলা, বেকার) এবং তাদের বাচ্চাদের যত্ন নেবার দায়িত্বে আছেন, তারা বিবাহ ছেড়ে দিলে বাড়তি আর্থিক বোঝার ভয় পান। নির্ভরতার অর্থ হল, তাদের স্বামীর আচরণকে সামলাতে বা তার সাথে মানিয়ে নিতে তাদের খুব কম বিকল্প বা সংস্থান রয়েছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/18442656|শিরোনাম=Physical violence in American families : risk factors and adaptations to violence in 8,145 families|শেষাংশ=Straus|প্রথমাংশ=Murray A.|তারিখ=1990|প্রকাশক=Transaction Publishers|অবস্থান=New Brunswick [N.J.], U.S.A.|অন্যান্য=Richard J. Gelles, Christine Smith|আইএসবিএন=0-88738-263-0|oclc=18442656}}</ref> |
||
যে দম্পতির মধ্যে শক্তির সমান অংশীদারিত্ব থাকে সেখানে সংঘাতের ঘটনা কম হয় এবং যখন বিরোধ দেখা দেয় তখন সহিংসতার সম্ভাবনাও কম থাকে। দাম্পত্য সম্পর্কে কেন একজন যদি নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতা আরোপ করতে চায় তখন তিনি নির্যাতনমূলক আচরণ করতে পারেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/24377721|শিরোনাম=Domestic violence : the changing criminal justice response|তারিখ=1992|প্রকাশক=Auburn House|অবস্থান=Westport, Conn.|অন্যান্য=Eva Schlesinger Buzawa, Carl G. Buzawa|আইএসবিএন=0-86569-001-4|oclc=24377721}}</ref> এর মধ্যে জবরদস্তি ও হুমকি, ভয় দেখানো, মানসিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক নির্যাতন, বিচ্ছিন্নতা, পরিস্থিতি হালকা করা এবং স্বামী / স্ত্রীকে দোষ দেওয়া, বাচ্চাদের ব্যবহার করা (তাদের হরণ করার হুমকি) এবং "অধিকর্তা" হিসাবে আচরণ করা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।<ref |
যে দম্পতির মধ্যে শক্তির সমান অংশীদারিত্ব থাকে সেখানে সংঘাতের ঘটনা কম হয় এবং যখন বিরোধ দেখা দেয় তখন সহিংসতার সম্ভাবনাও কম থাকে। দাম্পত্য সম্পর্কে কেন একজন যদি নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতা আরোপ করতে চায় তখন তিনি নির্যাতনমূলক আচরণ করতে পারেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/24377721|শিরোনাম=Domestic violence : the changing criminal justice response|তারিখ=1992|প্রকাশক=Auburn House|অবস্থান=Westport, Conn.|অন্যান্য=Eva Schlesinger Buzawa, Carl G. Buzawa|আইএসবিএন=0-86569-001-4|oclc=24377721}}</ref> এর মধ্যে জবরদস্তি ও হুমকি, ভয় দেখানো, মানসিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক নির্যাতন, বিচ্ছিন্নতা, পরিস্থিতি হালকা করা এবং স্বামী / স্ত্রীকে দোষ দেওয়া, বাচ্চাদের ব্যবহার করা (তাদের হরণ করার হুমকি) এবং "অধিকর্তা" হিসাবে আচরণ করা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।<ref name="worldcat.org"/><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781529705959|শিরোনাম=Understanding Domestic Abuse: The Duluth Power and Control Wheel|তারিখ=2019|ডিওআই=10.4135/9781529705959}}</ref> |
||
==== সামাজিক চাপ ==== |
|||
কোনও ব্যক্তির পারিবারিক পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত চাপ থাকে তখন তাতে মানসিক চাপ বাড়তে পারে। সামাজিক চাপ, অপর্যাপ্ত অর্থায়নের কারণে বা কোনও পরিবারে এই জাতীয় সমস্যার কারণে আরও উত্তেজনা বাড়তে পারে।<ref name="ReferenceH"/> সহিংসতা সবসময় মানসিক চাপের কারণে হয় না, তবে কিছু লোকের মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এমন হতে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/2579191|শিরোনাম=Socialization and Stress Explanations for Spouse Abuse|শেষাংশ=Seltzer|প্রথমাংশ=Judith A.|শেষাংশ২=Kalmuss|প্রথমাংশ২=Debra|তারিখ=1988-12-XX|সাময়িকী=Social Forces|খণ্ড=67|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=473|ডিওআই=10.2307/2579191|issn=0037-7732}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.annualreviews.org/doi/10.1146/annurev.so.18.080192.000311|শিরোনাম=Social Stress: Theory and Research|শেষাংশ=Aneshensel|প্রথমাংশ=Carol S.|তারিখ=1992-08-XX|সাময়িকী=Annual Review of Sociology|খণ্ড=18|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=15–38|ভাষা=en|ডিওআই=10.1146/annurev.so.18.080192.000311|issn=0360-0572|সংগ্রহের-তারিখ=১৪ এপ্রিল ২০২১|আর্কাইভের-তারিখ=১৫ এপ্রিল ২০২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210415094413/https://www.annualreviews.org/doi/10.1146/annurev.so.18.080192.000311|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref> আর্থিক ও অন্যান্য দিকগুলো সম্পর্কে বাড়তি চাপ এবং দ্বন্দ্বের কারণে দরিদ্র্য পরিবার এবং দম্পতিরা পারিবারিক সহিংসতার মুখোমুখি হতে পারে।<ref name=":60">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/s0140-6736(02)08357-5|শিরোনাম=Intimate partner violence: causes and prevention|শেষাংশ=Jewkes|প্রথমাংশ=Rachel|তারিখ=2002-04|সাময়িকী=The Lancet|খণ্ড=359|সংখ্যা নং=9315|পাতাসমূহ=1423–1429|ডিওআই=10.1016/s0140-6736(02)08357-5|issn=0140-6736}}</ref> কেউ কেউ অনুমান করেন যে দারিদ্র্য একজন পুরুষের "সফল পুরুষত্ব" সম্পর্কে ধারণা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে ফলে তিনি সম্মান ও মর্যাদা হারাতে ভয় পান। একটি তত্ত্ব বলছে যে, যখন তিনি তার স্ত্রীকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করতে এবং নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে অক্ষম হন, তখন তিনি পৌরুষকে প্রকাশ করার উপায় হিসাবে নারীর প্রতি ঘৃণার প্রকাশ, মাদকের অপব্যবহার এবং অপরাধের দিকে ঝুঁকতে পারেন।<ref name=":60" /> |
|||
সমকামী সম্পর্কগুলো একই ধরনের সামাজিক চাপ অনুভব করতে পারে। অধিকন্তু, সমকামী সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহিংসতা অভ্যন্তরীণ হোমোফোবিয়ার (সমকামীতার প্রতি ভয়) সাথে যুক্ত হয়েছে, যা অপরাধী এবং ভুক্তভোগী উভয়েরই হীন আত্মসম্মানবোধ ও ক্রোধ সৃষ্টিতে অবদান রাখে।<ref name=":61">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1300/j462v01n04_03|শিরোনাম=Same-Sex Intimate Partner Violence|শেষাংশ=Murray|প্রথমাংশ=Christine|শেষাংশ২=Mobley|প্রথমাংশ২=A. Keith|শেষাংশ৩=Buford|প্রথমাংশ৩=Anne|শেষাংশ৪=Seaman-DeJohn|প্রথমাংশ৪=Megan|তারিখ=2008-01-28|সাময়িকী=Journal of LGBT Issues in Counseling|খণ্ড=1|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=7–30|ডিওআই=10.1300/j462v01n04_03|issn=1553-8605}}</ref> অভ্যন্তরীণ হোমোফোবিয়া ভুক্তভোগীদের সহায়তা চাইতে বাধা হিসাবে দেখা দেয়। একইভাবে, এলজিবিটি সম্প্রদায়ের পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে বিপরীতলৈঙ্গিক বিষয় মূল ভূমিকা নিতে পারে। কেননা একটি সামাজিক মতাদর্শ হিসেবে এটি বলছে," বিপরীতলৈঙ্গিকতা আদর্শগত, নৈতিকভাবে উচ্চতর এবং [সমকামিতা] থেকে উত্তম"।<ref name=":61" /> বিপরীতলৈঙ্গিকতা সংখ্যালঘুদের সেবা বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং যৌন সংখ্যালঘুদের মাঝে অস্বাস্থ্যকর প্রতিচিত্র তৈরি করতে পারে। আইনী ও চিকিৎসা সংস্থাগুলিতে বিপরীতলৈঙ্গিকতা বৈষম্য, পক্ষপাতিত্ব এবং যৌন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সংবেদনশীলতার উদাহরণগুলোতে লক্ষ্যণীয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৬ সাল পর্যন্ত, ইউএসের সাতটি রাজ্য এলজিবিটি ব্যক্তিকে সুরক্ষামূলক আদেশের জন্য আবেদন করার ক্ষমতাটিকে স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছিল, যা এলজিবিটি পরাধীনতার ধারণাকে সম্প্রসারিত করে<ref name=":61" /> এবং এটি ক্রোধ ও ক্ষমতাহীনতার অনুভূতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। |
|||
'''সামাজিক চাপ''' |
|||
==== শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ ==== |
|||
কোনও ব্যক্তির পারিবারিক পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত চাপ থাকে তখন তাতে মানসিক চাপ বাড়তে পারে। সামাজিক চাপ, অপর্যাপ্ত অর্থায়নের কারণে বা কোনও পরিবারে এই জাতীয় সমস্যার কারণে আরও উত্তেজনা বাড়তে পারে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/35317909|শিরোনাম=Intimate violence in families|শেষাংশ=Gelles|প্রথমাংশ=Richard J.|তারিখ=1997|প্রকাশক=Sage Publications|অবস্থান=Thousand Oaks, Calif.|আইএসবিএন=0-7619-0122-1|oclc=35317909|সংস্করণ=3rd ed}}</ref> সহিংসতা সবসময় মানসিক চাপের কারণে হয় না, তবে কিছু লোকের মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এমন হতে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/2579191|শিরোনাম=Socialization and Stress Explanations for Spouse Abuse|শেষাংশ=Seltzer|প্রথমাংশ=Judith A.|শেষাংশ২=Kalmuss|প্রথমাংশ২=Debra|তারিখ=1988-12-XX|সাময়িকী=Social Forces|খণ্ড=67|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=473|doi=10.2307/2579191|issn=0037-7732}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.annualreviews.org/doi/10.1146/annurev.so.18.080192.000311|শিরোনাম=Social Stress: Theory and Research|শেষাংশ=Aneshensel|প্রথমাংশ=Carol S.|তারিখ=1992-08-XX|সাময়িকী=Annual Review of Sociology|খণ্ড=18|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=15–38|ভাষা=en|doi=10.1146/annurev.so.18.080192.000311|issn=0360-0572}}</ref> আর্থিক ও অন্যান্য দিকগুলো সম্পর্কে বাড়তি চাপ এবং দ্বন্দ্বের কারণে দরিদ্র্য পরিবার এবং দম্পতিরা পারিবারিক সহিংসতার মুখোমুখি হতে পারে।<ref name=":60">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/s0140-6736(02)08357-5|শিরোনাম=Intimate partner violence: causes and prevention|শেষাংশ=Jewkes|প্রথমাংশ=Rachel|তারিখ=2002-04|সাময়িকী=The Lancet|খণ্ড=359|সংখ্যা নং=9315|পাতাসমূহ=1423–1429|doi=10.1016/s0140-6736(02)08357-5|issn=0140-6736}}</ref> কেউ কেউ অনুমান করেন যে দারিদ্র্য একজন পুরুষের "সফল পুরুষত্ব" সম্পর্কে ধারণা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে ফলে তিনি সম্মান ও মর্যাদা হারাতে ভয় পান। একটি তত্ত্ব বলছে যে, যখন তিনি তার স্ত্রীকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করতে এবং নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে অক্ষম হন, তখন তিনি পৌরুষকে প্রকাশ করার উপায় হিসাবে নারীর প্রতি ঘৃণার প্রকাশ, মাদকের অপব্যবহার এবং অপরাধের দিকে ঝুঁকতে পারেন।<ref name=":60" /> |
|||
[[চিত্র:(2)_Cycle_of_abuse,_power_&_control_issues_in_domestic_abuse_situations.gif|থাম্ব|পারিবারিক সহিংসতায় নির্যাতন চক্র, শক্তি ও নিয়ন্ত্রণের নানা ইস্যু]] |
|||
নির্যাতনমূলক সম্পর্কগুলোতে ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণ হল নির্যাতকের জন্য শারীরিক, যৌন এবং অন্যান্য ধরনের নির্যাতন ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে সম্পর্কের ওপর নিয়ন্ত্রণ অর্জনের মাধ্যম।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.26226/morressier.5a7070e3d462b80290b56a91|শিরোনাম=The Southend Domestic Violence Perpetrator Pilot: A Multiagency Project to Tackle Domestic Abuse Risk|শেষাংশ=Romano|প্রথমাংশ=Graziella|তারিখ=2018-03-05|ওয়েবসাইট=dx.doi.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-14}}</ref> |
|||
সমকামী সম্পর্কগুলো একই ধরণের সামাজিক চাপ অনুভব করতে পারে। অধিকন্তু, সমকামী সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহিংসতা অভ্যন্তরীণ হোমোফোবিয়ার (সমকামীতার প্রতি ভয়) সাথে যুক্ত হয়েছে, যা অপরাধী এবং ভুক্তভোগী উভয়েরই হীন আত্মসম্মানবোধ ও ক্রোধ সৃষ্টিতে অবদান রাখে।<ref name=":61">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1300/j462v01n04_03|শিরোনাম=Same-Sex Intimate Partner Violence|শেষাংশ=Murray|প্রথমাংশ=Christine|শেষাংশ২=Mobley|প্রথমাংশ২=A. Keith|শেষাংশ৩=Buford|প্রথমাংশ৩=Anne|শেষাংশ৪=Seaman-DeJohn|প্রথমাংশ৪=Megan|তারিখ=2008-01-28|সাময়িকী=Journal of LGBT Issues in Counseling|খণ্ড=1|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=7–30|doi=10.1300/j462v01n04_03|issn=1553-8605}}</ref>অভ্যন্তরীণ হোমোফোবিয়া ভুক্তভোগীদের সহায়তা চাইতে বাধা হিসাবে দেখা দেয়। একইভাবে, এলজিবিটি সম্প্রদায়ের পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে বিপরীতলৈঙ্গিক বিষয় মূল ভূমিকা নিতে পারে। কেননা একটি সামাজিক মতাদর্শ হিসেবে এটি বলছে," বিপরীতলৈঙ্গিকতা আদর্শগত, নৈতিকভাবে উচ্চতর এবং [সমকামিতা] থেকে উত্তম"।<ref name=":61" /> বিপরীতলৈঙ্গিকতা সংখ্যালঘুদের সেবা বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং যৌন সংখ্যালঘুদের মাঝে অস্বাস্থ্যকর প্রতিচিত্র তৈরি করতে পারে। আইনী ও চিকিত্সা সংস্থাগুলিতে বিপরীতলৈঙ্গিকতা বৈষম্য, পক্ষপাতিত্ব এবং যৌন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সংবেদনশীলতার উদাহরণগুলোতে লক্ষ্যণীয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৬ সাল পর্যন্ত, ইউএসের সাতটি রাজ্য এলজিবিটি ব্যক্তিকে সুরক্ষামূলক আদেশের জন্য আবেদন করার ক্ষমতাটিকে স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছিল, যা এলজিবিটি পরাধীনতার ধারণাকে সম্প্রসারিত করে<ref name=":61" /> এবং এটি ক্রোধ ও ক্ষমতাহীনতার অনুভূতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। |
|||
'''শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ''' |
|||
নির্যাতনমূলক সম্পর্কগুলোতে ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণ হল নির্যাতকের জন্য শারীরিক, যৌন এবং অন্যান্য ধরণের নির্যাতন ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে সম্পর্কের ওপর নিয়ন্ত্রণ অর্জনের মাধ্যম।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.26226/morressier.5a7070e3d462b80290b56a91|শিরোনাম=The Southend Domestic Violence Perpetrator Pilot: A Multiagency Project to Tackle Domestic Abuse Risk|শেষাংশ=Romano|প্রথমাংশ=Graziella|তারিখ=2018-03-05|ওয়েবসাইট=dx.doi.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-14}}</ref> |
|||
পারিবারিক সহিংসতার একটি কার্যকারণগত দৃষ্টিভঙ্গি হ'ল এটি আক্রান্তের উপর ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ অর্জন বা বজায় রাখার একটি কৌশল। এই দৃষ্টিভঙ্গি ব্যানক্রফ্টের "কস্ট-বেনিফিট" তত্ত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যেখানে নির্যাতন অপরাধীকে শুধুমাত্র তার লক্ষ্যের উপর ক্ষমতা প্রয়োগের পাশাপাশি অন্যান্য উপায়েও পুরষ্কৃত করে। তিনি তার এই যুক্তির সমর্থনে প্রমাণ দিয়েছিলেন যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্যাতক নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে যথেষ্ট সক্ষম, কিন্তু বিভিন্ন কারণে তারা সেটি করা থেকে বিরত থাকেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/48249403|শিরোনাম=Why does he do that? : inside the minds of angry and controlling men|শেষাংশ=Bancroft|প্রথমাংশ=Lundy|তারিখ=2002|প্রকাশক=Putnam's Sons|অবস্থান=New York|আইএসবিএন=0-399-14844-2|oclc=48249403}}</ref> |
পারিবারিক সহিংসতার একটি কার্যকারণগত দৃষ্টিভঙ্গি হ'ল এটি আক্রান্তের উপর ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ অর্জন বা বজায় রাখার একটি কৌশল। এই দৃষ্টিভঙ্গি ব্যানক্রফ্টের "কস্ট-বেনিফিট" তত্ত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যেখানে নির্যাতন অপরাধীকে শুধুমাত্র তার লক্ষ্যের উপর ক্ষমতা প্রয়োগের পাশাপাশি অন্যান্য উপায়েও পুরষ্কৃত করে। তিনি তার এই যুক্তির সমর্থনে প্রমাণ দিয়েছিলেন যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্যাতক নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে যথেষ্ট সক্ষম, কিন্তু বিভিন্ন কারণে তারা সেটি করা থেকে বিরত থাকেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/48249403|শিরোনাম=Why does he do that? : inside the minds of angry and controlling men|শেষাংশ=Bancroft|প্রথমাংশ=Lundy|তারিখ=2002|প্রকাশক=Putnam's Sons|অবস্থান=New York|আইএসবিএন=0-399-14844-2|oclc=48249403}}</ref> |
||
৩১৯ নং লাইন: | ৩৪৪ নং লাইন: | ||
শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নগুলি বহুল ব্যবহৃত ডুলুথ পারিবারিক নির্যাতন হস্তক্ষেপ প্রকল্পের সাথে অবিচ্ছেদ্য। এটি চিত্রিত করার জন্য তারা একটি "শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ চক্র" তৈরি করেছে: যার কেন্দ্রে রয়েছে শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ , এর চারপাশে চাকার অর (ব্যবহৃত কৌশলগুলি) রয়েছে যার শিরোনামগুলোর মধ্যে রয়েছে: জবরদস্তি এবং হুমকি, ভয় দেখানো, মানসিক নির্যাতন, বিচ্ছিন্নতা, হ্রাস করা, অস্বীকার করা এবং দোষারোপ করা, শিশুদের ব্যবহার করা, অর্থনৈতিক নির্যাতন এবং সুযোগ সুবিধা হ্রাস।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.15438/rr.5.1.7|শিরোনাম=Original PDF|ওয়েবসাইট=dx.doi.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-14}}</ref> |
শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নগুলি বহুল ব্যবহৃত ডুলুথ পারিবারিক নির্যাতন হস্তক্ষেপ প্রকল্পের সাথে অবিচ্ছেদ্য। এটি চিত্রিত করার জন্য তারা একটি "শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ চক্র" তৈরি করেছে: যার কেন্দ্রে রয়েছে শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ , এর চারপাশে চাকার অর (ব্যবহৃত কৌশলগুলি) রয়েছে যার শিরোনামগুলোর মধ্যে রয়েছে: জবরদস্তি এবং হুমকি, ভয় দেখানো, মানসিক নির্যাতন, বিচ্ছিন্নতা, হ্রাস করা, অস্বীকার করা এবং দোষারোপ করা, শিশুদের ব্যবহার করা, অর্থনৈতিক নির্যাতন এবং সুযোগ সুবিধা হ্রাস।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.15438/rr.5.1.7|শিরোনাম=Original PDF|ওয়েবসাইট=dx.doi.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-14}}</ref> |
||
এই মডেলটির সমালোচকদের যুক্তি হচ্ছে যে, এটি পারিবারিক সহিংসতার সাথে মাদকের অপব্যবহার এবং মানসিক সমস্যার সাথে যুক্ত গবেষণাটিকে উপেক্ষা করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/gao/9781884446054.article.t2094123|শিরোনাম=Chicago Tribune Competition|শেষাংশ=Tatman|প্রথমাংশ=Sandra L.|তারিখ=2011-06-02|ধারাবাহিক=Oxford Art Online|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> ডিভির ধারাগুলো সম্পর্কে কিছু আধুনিক গবেষণার ফলে দেখা যায়, নারীরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গীর প্রতি শারীরিকভাবে নির্যাতকে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যেখানে কেবলমাত্র একজন সঙ্গী হিংসাত্মক, যা পারিবারিক সহিংসতায় পুরুষের সুবিধাজনক অবস্থানমূলক ধারণার কার্যকারীতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।<ref name=":62">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2105/ajph.2005.079020|শিরোনাম=Differences in Frequency of Violence and Reported Injury Between Relationships With Reciprocal and Nonreciprocal Intimate Partner Violence|শেষাংশ=Whitaker|প্রথমাংশ=Daniel J.|শেষাংশ২=Haileyesus|প্রথমাংশ২=Tadesse|শেষাংশ৩=Swahn|প্রথমাংশ৩=Monica|শেষাংশ৪=Saltzman|প্রথমাংশ৪=Linda S.|তারিখ=2007-05|সাময়িকী=American Journal of Public Health|খণ্ড=97|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=941–947| |
এই মডেলটির সমালোচকদের যুক্তি হচ্ছে যে, এটি পারিবারিক সহিংসতার সাথে মাদকের অপব্যবহার এবং মানসিক সমস্যার সাথে যুক্ত গবেষণাটিকে উপেক্ষা করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/gao/9781884446054.article.t2094123|শিরোনাম=Chicago Tribune Competition|শেষাংশ=Tatman|প্রথমাংশ=Sandra L.|তারিখ=2011-06-02|ধারাবাহিক=Oxford Art Online|প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> ডিভির ধারাগুলো সম্পর্কে কিছু আধুনিক গবেষণার ফলে দেখা যায়, নারীরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গীর প্রতি শারীরিকভাবে নির্যাতকে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যেখানে কেবলমাত্র একজন সঙ্গী হিংসাত্মক, যা পারিবারিক সহিংসতায় পুরুষের সুবিধাজনক অবস্থানমূলক ধারণার কার্যকারীতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।<ref name=":62">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2105/ajph.2005.079020|শিরোনাম=Differences in Frequency of Violence and Reported Injury Between Relationships With Reciprocal and Nonreciprocal Intimate Partner Violence|শেষাংশ=Whitaker|প্রথমাংশ=Daniel J.|শেষাংশ২=Haileyesus|প্রথমাংশ২=Tadesse|শেষাংশ৩=Swahn|প্রথমাংশ৩=Monica|শেষাংশ৪=Saltzman|প্রথমাংশ৪=Linda S.|তারিখ=2007-05|সাময়িকী=American Journal of Public Health|খণ্ড=97|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=941–947|ডিওআই=10.2105/ajph.2005.079020|issn=0090-0036}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/j.childyouth.2007.10.004|শিরোনাম=Dominance and symmetry in partner violence by male and female university students in 32 nations|শেষাংশ=Straus|প্রথমাংশ=Murray A.|তারিখ=2008-03|সাময়িকী=Children and Youth Services Review|খণ্ড=30|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=252–275|ডিওআই=10.1016/j.childyouth.2007.10.004|issn=0190-7409}}</ref> পারিবারিক সহিংসতা থেকে আঘাতের পূর্বাভাসকারীদের সম্পর্কে কিছু আধুনিক গবেষণা সূচিত করে যে, পারিবারিক সহিংসতায় আঘাতপ্রাপ্তির সবচেয়ে শক্তিশালী পূবাভাস হচ্ছে, পারস্পরিকভাবে পারিবারিক সহিংসতায় অংশ নেওয়া।<ref name=":62" /> |
||
==== ননসবার্ডিনেশন বা অঅধীনস্ততা তত্ত্ব ==== |
==== ননসবার্ডিনেশন বা অঅধীনস্ততা তত্ত্ব ==== |
||
ননসবার্ডিনেশন তত্ত্ব, যাকে কখনও কখনও আধিপত্য তত্ত্ব বলা হয়, এটি নারীবাদী আইন তত্ত্বের একটি ক্ষেত্র যা নারী ও পুরুষের মধ্যে ক্ষমতার পার্থক্যের ওপর গুরুত্ব দেয়।<ref name=":58">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1103/physrev.37.327|শিরোনাম=Nuclear Spin|শেষাংশ=Bartlett|প্রথমাংশ=James H.|তারিখ=1931-02-01|সাময়িকী=Physical Review|খণ্ড=37|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=327–327| |
ননসবার্ডিনেশন তত্ত্ব, যাকে কখনও কখনও আধিপত্য তত্ত্ব বলা হয়, এটি নারীবাদী আইন তত্ত্বের একটি ক্ষেত্র যা নারী ও পুরুষের মধ্যে ক্ষমতার পার্থক্যের ওপর গুরুত্ব দেয়।<ref name=":58">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1103/physrev.37.327|শিরোনাম=Nuclear Spin|শেষাংশ=Bartlett|প্রথমাংশ=James H.|তারিখ=1931-02-01|সাময়িকী=Physical Review|খণ্ড=37|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=327–327|ডিওআই=10.1103/physrev.37.327|issn=0031-899X}}</ref> ননসবর্ডিনেশন তত্ত্ব এই অবস্থান গ্রহণ করে যে সমাজ এবং বিশেষt পুরুষরা এই শক্তির ভারসাম্যহীনতা ধরে রাখতে পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে যৌন পার্থক্যকে ব্যবহার করে।<ref name=":58" /> ননসবর্ডিনেশন তত্ত্বটি নারীবাদী আইন তত্ত্বের অন্যান্য বিষয়ের মত নয় বরং নির্দিষ্টভাবে যৌন আচরণের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যার মধ্যে রয়েছে নারীর যৌনতা নিয়ন্ত্রণ, যৌন হয়রানি, পর্নোগ্রাফি এবং সাধারণত নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5194/amt-2018-328-rc2|শিরোনাম=Referee report Malinina et al.|শেষাংশ=Anonymous|তারিখ=2018-12-10|ওয়েবসাইট=dx.doi.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-14}}</ref> ক্যাথরিন ম্যাককিনন যুক্তি দিয়েছেন যে ননসবর্ডিনেশন তত্ত্ব এই বিশেষ সমস্যাগুলিকে সর্বোত্তমভাবে সম্বোধন করে কারণ এগুলো "প্রায় একচেটিয়াভাবে" নারীদের প্রভাবিত করে।<ref name=":59">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/14359729|শিরোনাম=Feminism unmodified : discourses on life and law|শেষাংশ=MacKinnon|প্রথমাংশ=Catharine A.|তারিখ=1987|প্রকাশক=Harvard University Press|অবস্থান=Cambridge, Mass.|আইএসবিএন=0-674-29873-X|oclc=14359729}}</ref> ম্যাককিনন অন্যান্য তত্ত্বগুলো আনুষ্ঠানিক সাম্যতা, সার্বিক সাম্যতা এবং পার্থক্য তত্ত্বের চাইতে ননসবর্ডিনেশন তত্ত্ব সমর্থন করেন, কারণ যৌন সহিংসতা এবং নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অন্যান্য রূপগুলি "সমতা এবং পার্থক্যের" প্রশ্ন নয়, বরং "নারীদের জন্য আরও কেন্দ্রীয় অসাম্য হিসেবে বিবেচিত হয়"।<ref name=":59" /> যদিও নারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের যৌন সহিংসতার মূল্যায়ন করার জন্য ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্বটি ব্যাপক দৈর্ঘ্যে আলোচনা করা হয়েছে, তবে এটি পারিবারিক সহিংসতা বোঝার এবং এটি কেন ঘটে তা বোঝার একটি ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্ব পারিবারিক সহিংসতাকে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা হিসেবে বিস্তৃত সমস্যার উপসেট হিসাবে মোকাবেলা করেছে কারণ পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা অতিমাত্রায় নারী।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e378132004-001|শিরোনাম=Intimate Partner Violence|শেষাংশ=Rennison|প্রথমাংশ=Callie Marie|শেষাংশ২=Welchans|প্রথমাংশ২=Sarah|তারিখ=2000|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-14}}</ref> |
||
ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্বের সমর্থকরা পারিবারিক সহিংসতার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এই তত্ত্বই সর্বোত্তম কাজ কীভাবে করে সে সংক্রান্ত একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে। প্রথমত, পারিবারিক সহিংসতার কয়েকটি পুনরাবৃত্তি হওয়া ধারা রয়েছে যা ইঙ্গিত করে যে এটি তীব্র ক্রোধ বা যুক্তিগুলোর ফল নয়, বরং এটি পরাধীনতার একটি রূপ। এর একটি অংশে প্রমাণিত হয় যে পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের সাধারণত বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এবং বিভিন্ন উপায়ে নির্যাতন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভুক্তভোগীরা মাঝে মাঝেই ঘুমানোর পর বা প্রহারকারী থেকে আলাদা হওয়ার পরে মারধরের শিকার হয় এবং প্রায়শই নির্যাতন শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি আর্থিক বা মানসিক রূপ নেয়। ননসবার্ডিনেশন তত্ত্বের সমর্থকরা এই উদাহরণগুলি এই ধারণাটি দূর করতে ব্যবহার করেন যে ক্রোধ বা তীব্র তর্কের সূত্রপাতের পরিণতিতে প্রহারের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও, প্রহারকারীরা প্রায়শই তাদের ভুক্তভোগীদের ক্ষেত্রে আপত্তিজনক এবং ইচ্ছাকৃত কৌশল ব্যবহার করে, যা "তার তার শরীরের এমন কোনও স্থানে ক্ষত করতে বা ধ্বংস করতে পারে যা তার শরীরের এমন জায়গায় আঘাত করতে পারে যা (উদাহরণস্বরূপ তার মাথার ত্বক) সে দেখায় না বা অন্যকে তার আঘাত দেখাতে বিব্রত বোধ করবে। প্রহারকারী এবং ভুক্তভোগী যখন শিশুদের ভাগ করে নেয় তখন এই আচরণগুলি তার পক্ষে আরও বেশি কার্যকর হতে পারে কারণ প্রহারক প্রায়শই পরিবারের আর্থিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করে যা ভুক্তভোগীর চলে যাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে কেননা এটি তার সন্তানদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে । |
ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্বের সমর্থকরা পারিবারিক সহিংসতার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এই তত্ত্বই সর্বোত্তম কাজ কীভাবে করে সে সংক্রান্ত একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে। প্রথমত, পারিবারিক সহিংসতার কয়েকটি পুনরাবৃত্তি হওয়া ধারা রয়েছে যা ইঙ্গিত করে যে এটি তীব্র ক্রোধ বা যুক্তিগুলোর ফল নয়, বরং এটি পরাধীনতার একটি রূপ। এর একটি অংশে প্রমাণিত হয় যে পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের সাধারণত বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এবং বিভিন্ন উপায়ে নির্যাতন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভুক্তভোগীরা মাঝে মাঝেই ঘুমানোর পর বা প্রহারকারী থেকে আলাদা হওয়ার পরে মারধরের শিকার হয় এবং প্রায়শই নির্যাতন শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি আর্থিক বা মানসিক রূপ নেয়। ননসবার্ডিনেশন তত্ত্বের সমর্থকরা এই উদাহরণগুলি এই ধারণাটি দূর করতে ব্যবহার করেন যে ক্রোধ বা তীব্র তর্কের সূত্রপাতের পরিণতিতে প্রহারের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও, প্রহারকারীরা প্রায়শই তাদের ভুক্তভোগীদের ক্ষেত্রে আপত্তিজনক এবং ইচ্ছাকৃত কৌশল ব্যবহার করে, যা "তার তার শরীরের এমন কোনও স্থানে ক্ষত করতে বা ধ্বংস করতে পারে যা তার শরীরের এমন জায়গায় আঘাত করতে পারে যা (উদাহরণস্বরূপ তার মাথার ত্বক) সে দেখায় না বা অন্যকে তার আঘাত দেখাতে বিব্রত বোধ করবে। প্রহারকারী এবং ভুক্তভোগী যখন শিশুদের ভাগ করে নেয় তখন এই আচরণগুলি তার পক্ষে আরও বেশি কার্যকর হতে পারে কারণ প্রহারক প্রায়শই পরিবারের আর্থিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করে যা ভুক্তভোগীর চলে যাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে কেননা এটি তার সন্তানদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে । |
||
ইউনিভার্সিটি অফ মিয়ামি স্কুল অফ ল এর অধ্যাপক মার্থা ম্যাহনি "বিচ্ছেদ অভিযান" - এ এমন একটি ঘটনাকেও ইঙ্গিত করেছেন যেখানে একজন প্রহারক ভুক্তভোগীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন সে নির্যাতনমূলক সম্পর্ক থেকে বেরোনোর চেষ্টা করার কারণে - এটি একটি অতিরিক্ত প্রমাণ যে, পারিবারিক সহিংসতাকে প্রহারক ব্যক্তির কাছে ভুক্তভোগীকে |
ইউনিভার্সিটি অফ মিয়ামি স্কুল অফ ল এর অধ্যাপক মার্থা ম্যাহনি "বিচ্ছেদ অভিযান" - এ এমন একটি ঘটনাকেও ইঙ্গিত করেছেন যেখানে একজন প্রহারক ভুক্তভোগীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন সে নির্যাতনমূলক সম্পর্ক থেকে বেরোনোর চেষ্টা করার কারণে - এটি একটি অতিরিক্ত প্রমাণ যে, পারিবারিক সহিংসতাকে প্রহারক ব্যক্তির কাছে ভুক্তভোগীকে অধীনস্থ করে তুলতে ব্যবহার করা হয়।<ref name=":0"/> একজন প্রহারকের ভুক্তভোগীকে সেই সম্পর্ক ছেড়ে যেতে দেয়ার অনিচ্ছা এই ধারণাটি প্রমাণ করে যে, এখানে সহিংসতার মধ্য দিয়ে প্রহারক ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছে অনুসারে চলা অব্যাহত রাখতে বাধ্য করতে চাচ্ছে।<ref name=":0"/> ননসাবর্ডিনেশন তাত্ত্বিকরা যুক্তি দেখান যে এই সমস্ত ক্রিয়াকলাপগুলো- বিভিন্ন ধরনের অবমাননাকর আচরণ এবং ব্যবস্থা, ভুক্তভোগী শিশুদের শোষণ করা এবং বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কেন্দ্র করে আক্রমণ ইত্যাদি শুধুমাত্র ক্রোধকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণের অক্ষমতাই প্রকাশ করে না বরং আরও বড় সমস্যাকে বোঝায়, যদিও রাগ এই আচরণগুলোর এক প্রকার উপজাত হতে পারে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315202358-10|শিরোনাম=Migration, Culture Conflict and Crime|শেষাংশ=Erez|প্রথমাংশ=Edna|তারিখ=2017-10-05|প্রকাশক=Routledge|পাতাসমূহ=145–157|আইএসবিএন=978-1-315-20235-8}}</ref> ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্ব অনুসারে এই পদক্ষেপগুলোর উদ্দেশ্য হ'ল ক্ষতিগ্রস্তকে এবং কখনও কখনও পুরো পরিবারকে প্রহারক ব্যক্তির কাছে অধীনস্থ করে রাখা।<ref name=":0"/> |
||
নির্যাতকদের দ্বারা বিভিন্ন ধরণের কৌশল অবলম্বন করে পারিবারিক সহিংসতার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ননসবর্ডিনেশন তত্ত্ব ব্যবহারের দ্বিতীয় যুক্তিটি হল, যে মাত্রায় পারিবারিক সহিংসতা সংঘটিত হয় তা এই ধারণাটিকে বাতিল করে যে, এটি শুধুমাত্র একজন প্রহারকের ক্রোধের ফলাফল। অধ্যাপক মাহুনি ব্যাখ্যা করেছেন যে "বড়" বা বিশেষত ভয়াবহ পারিবারিক সহিংসতা মিডিয়ায় প্রচারের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতার কারণে, সমাজে ঘন ঘন পারিবারিক সহিংসতা কীভাবে ঘটে তা মানুষের ধারণা করা কঠিন।<ref name=":0">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/1289533|শিরোনাম=Legal Images of Battered Women: Redefining the Issue of Separation|শেষাংশ=Mahoney|প্রথমাংশ=Martha R.|তারিখ=1991-10-XX|সাময়িকী=Michigan Law Review|খণ্ড=90|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=1|doi=10.2307/1289533|issn=0026-2234}}</ref> তবে, পারিবারিক সহিংসতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক মানুষের জন্য নিয়মিত ঘটনা এবং বিস্ময়করভাবে অধিকাংশ ভুক্তভোগীই নারী।<ref name=":0" /> |
|||
নির্যাতকদের দ্বারা বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করে পারিবারিক সহিংসতার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ননসবর্ডিনেশন তত্ত্ব ব্যবহারের দ্বিতীয় যুক্তিটি হল, যে মাত্রায় পারিবারিক সহিংসতা সংঘটিত হয় তা এই ধারণাটিকে বাতিল করে যে, এটি শুধুমাত্র একজন প্রহারকের ক্রোধের ফলাফল। অধ্যাপক মাহুনি ব্যাখ্যা করেছেন যে "বড়" বা বিশেষত ভয়াবহ পারিবারিক সহিংসতা মিডিয়ায় প্রচারের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতার কারণে, সমাজে ঘন ঘন পারিবারিক সহিংসতা কীভাবে ঘটে তা মানুষের ধারণা করা কঠিন।<ref name=":0">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/1289533|শিরোনাম=Legal Images of Battered Women: Redefining the Issue of Separation|শেষাংশ=Mahoney|প্রথমাংশ=Martha R.|তারিখ=1991-10-XX|সাময়িকী=Michigan Law Review|খণ্ড=90|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=1|ডিওআই=10.2307/1289533|issn=0026-2234}}</ref> তবে, পারিবারিক সহিংসতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক মানুষের জন্য নিয়মিত ঘটনা এবং বিস্ময়করভাবে অধিকাংশ ভুক্তভোগীই নারী।<ref name=":0" /> |
|||
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের সংখ্যা বলছে যে, পারিবারিক সহিংসতা কেবল ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধের পরিণতি নয়। ননসবার্ডিনেশন তত্ত্বটি দাবি করছে, এটি অনিয়ন্ত্রিত রাগ নয় বরং প্রহারক দ্বারা ভুক্তভোগীকে পরাধীন করার ইচ্ছা, যা পারিবারিক সহিংসতার মাত্রা ব্যাখ্যা করে।<ref name=":0"/> ননসাবর্ডিনেশন তাত্ত্বিকরা যুক্তি দেখান যে, নারীবাদী আইন তত্ত্বের অন্যান্য রূপগুলো পারিবারিক সহিংসতার সাধারণ বা যে মাত্রায় এটি সংঘটিত হয় তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেয় না। |
|||
ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্বের সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, এ তত্ত্ব যে সমস্যাগুলি দেখিয়েছে তার কোনও সমাধান দেয় নি। উদাহরণস্বরূপ, ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্বের সমর্থকরা আইনী ব্যবস্থায় পারিবারিক সহিংসতা সমাধানের জন্য নেওয়া এমন কিছু পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন যেমন বাধ্যতামূলক গ্রেপ্তার বা মামলা নীতিমালা।<ref>Bartlett et al., p. 405</ref> এই নীতিগুলো পুলিশ কর্মকর্তাদের এই মামলাগুলির বিচারের জন্য সন্দেহভাজন পারিবারিক সহিংসতা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য করে এবং বিচারকদের মামলাগুলো বিচারে বাধ্য করে ফলে আইন প্রয়োগের মূূল বিবেচনাটি সেখানে বিচ্যুত হয়।<ref>Bartlett et al., p. 405 |
|||
</ref> বাধ্যতামূলক গ্রেপ্তারকে ঘিরে প্রচুর বক্তব্য রয়েছে। বিরোধীরা যুক্তি দেখায় যে এটি একজন ভুক্তভোগীর স্বাধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে, অন্যান্য সংস্থানগুলোকে বাদ দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নকে নিরুৎসাহিত করে এবং ভুক্তভোগীকে পারিবারিক নির্যাতনের আরও ঝুঁকির মুখে ফেলে। বাধ্যতামূলক গ্রেপ্তারের আইন কার্যকর করেছে এমন রাষ্ট্রগুলিতে ৬০% বেশি হত্যাকাণ্ড হয়েছে যা প্রতিবেদন দাখিলের হার হ্রাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে।<ref>Pavlidakis, Alexandra (January 1, 2009). "Mandatory Arrest: Past Its Prime". ''Santa Clara Law Review''. Archived from the original on June 4, 2016. |
ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্বের সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, এ তত্ত্ব যে সমস্যাগুলি দেখিয়েছে তার কোনও সমাধান দেয় নি। উদাহরণস্বরূপ, ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্বের সমর্থকরা আইনী ব্যবস্থায় পারিবারিক সহিংসতা সমাধানের জন্য নেওয়া এমন কিছু পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন যেমন বাধ্যতামূলক গ্রেপ্তার বা মামলা নীতিমালা।<ref name="Bartlett et al., p. 405">Bartlett et al., p. 405</ref> এই নীতিগুলো পুলিশ কর্মকর্তাদের এই মামলাগুলির বিচারের জন্য সন্দেহভাজন পারিবারিক সহিংসতা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য করে এবং বিচারকদের মামলাগুলো বিচারে বাধ্য করে ফলে আইন প্রয়োগের মূূল বিবেচনাটি সেখানে বিচ্যুত হয়।<ref name="Bartlett et al., p. 405"/> বাধ্যতামূলক গ্রেপ্তারকে ঘিরে প্রচুর বক্তব্য রয়েছে। বিরোধীরা যুক্তি দেখায় যে এটি একজন ভুক্তভোগীর স্বাধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে, অন্যান্য সংস্থানগুলোকে বাদ দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নকে নিরুৎসাহিত করে এবং ভুক্তভোগীকে পারিবারিক নির্যাতনের আরও ঝুঁকির মুখে ফেলে। বাধ্যতামূলক গ্রেপ্তারের আইন কার্যকর করেছে এমন রাষ্ট্রগুলিতে ৬০% বেশি হত্যাকাণ্ড হয়েছে যা প্রতিবেদন দাখিলের হার হ্রাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে।<ref>Pavlidakis, Alexandra (January 1, 2009). "Mandatory Arrest: Past Its Prime". ''Santa Clara Law Review''. Archived from the original on June 4, 2016. |
||
</ref> এই নীতির প্রবক্তারা তর্ক করেন যে, কখনও কখনও অপরাধ বিচার ব্যবস্থা পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের কাছে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় এবং যদি কোনও অপরাধী জেনে যায় যে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে, তবে এটি ভবিষ্যতে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ করবে।<ref |
</ref> এই নীতির প্রবক্তারা তর্ক করেন যে, কখনও কখনও অপরাধ বিচার ব্যবস্থা পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের কাছে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় এবং যদি কোনও অপরাধী জেনে যায় যে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে, তবে এটি ভবিষ্যতে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ করবে।<ref name="Bartlett et al., p. 405"/> যে ব্যক্তিরা ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্বকে সমর্থন করেন তাদের যুক্তি হল, এই নীতিগুলো কেবলমাত্র নারীদের একটি নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে তাদের অধীনস্থ করার কাজ করে, এইভাবে তারা নির্যাতনের সময় যে আঘাত পেয়েছিল তাকে আরও জটিল করে তোলে।<ref name="Bartlett et al., p. 405"/> যাইহোক, ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্ব নিজে এর চেয়ে ভাল বা আরও উপযুক্ত সমাধানের প্রস্তাব দেয় না, এজন্যই কিছু পণ্ডিতদের ধারণা ছিল যে নারীবাদী আইন তত্ত্বের অন্যান্য রূপগুলো পারিবারিক এবং যৌন সহিংসতার সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য আরও বেশি উপযুক্ত। |
||
= প্রভাব = |
== প্রভাব == |
||
==== শিশুদের উপর ==== |
==== শিশুদের উপর ==== |
||
[[চিত্র:Young_kids_watch_a_play_about_gender_based_violence_at_the_Young_Women’s_Christian_Association._(10660719084).jpg|থাম্ব|[[সলোমন দ্বীপপুঞ্জ|সলোমন দ্বীপপুুুুঞ্জ]]<nowiki/>র শিশুরা লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার ওপর তৈরি নাটক দেখছে।]] |
|||
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৩.৩ মিলিয়ন শিশু পারিবারিক সহিংসতা প্রত্যক্ষ করে। এই বিষয়টি ক্রমশই স্বীকৃত হচ্ছে যে, একটি শিশু বড় হওয়ার সময় পারিবারিক নির্যাতনের মুখোমুখি হলে তার বিকাশ ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতি হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1080/02667360802697571|শিরোনাম=Therapeutic groupwork with young children and mothers who have experienced domestic abuse|শেষাংশ=Dodd|প্রথমাংশ=Lynda Warren|তারিখ=2009-03|সাময়িকী=Educational Psychology in Practice|খণ্ড=25|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=21–36|doi=10.1080/02667360802697571|issn=0266-7363}}</ref> ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, ক্ষতিকারক শৈশব অভিজ্ঞতা অধ্যয়ন (এসিই) প্রমাণ করেছে, যেসব শিশুরা পারিবারিক সহিংসতা এবং অন্য ধরণের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি ছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/11385-009|শিরোনাম=Preventing violence: Research and evidence-based intervention strategies.|শেষাংশ=Bell|প্রথমাংশ=Carl C.|শেষাংশ২=Richardson|প্রথমাংশ২=Jerome|শেষাংশ৩=Blount|প্রথমাংশ৩=Morris A.|তারিখ=2006|প্রকাশক=American Psychological Association|অবস্থান=Washington|পাতাসমূহ=217–237|আইএসবিএন=1-59147-342-X}}</ref> আবার শিশুদের যে পারিবারিক সহিংসতার মুখোমুখি হতে হয় সে সম্পর্কে সচেতনতার কারণে শিশুর আবেগগত, সামাজিক, আচরণগত এবং বুদ্ধিগত বিকাশও প্রভাবিত হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jstor.org/stable/1602779?origin=crossref|শিরোনাম=Prevalence and Effects of Child Exposure to Domestic Violence|শেষাংশ=Fantuzzo|প্রথমাংশ=John W.|শেষাংশ২=Mohr|প্রথমাংশ২=Wanda K.|তারিখ=24/1999|সাময়িকী=The Future of Children|খণ্ড=9|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=21|doi=10.2307/1602779}}</ref> |
|||
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৩.৩ মিলিয়ন শিশু পারিবারিক সহিংসতা প্রত্যক্ষ করে। এই বিষয়টি ক্রমশই স্বীকৃত হচ্ছে যে, একটি শিশু বড় হওয়ার সময় পারিবারিক নির্যাতনের মুখোমুখি হলে তার বিকাশ ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতি হয়।<ref name="ReferenceI">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1080/02667360802697571|শিরোনাম=Therapeutic groupwork with young children and mothers who have experienced domestic abuse|শেষাংশ=Dodd|প্রথমাংশ=Lynda Warren|তারিখ=2009-03|সাময়িকী=Educational Psychology in Practice|খণ্ড=25|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=21–36|ডিওআই=10.1080/02667360802697571|issn=0266-7363}}</ref> ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, ক্ষতিকারক শৈশব অভিজ্ঞতা অধ্যয়ন (এসিই) প্রমাণ করেছে, যেসব শিশুরা পারিবারিক সহিংসতা এবং অন্য ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি ছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/11385-009|শিরোনাম=Preventing violence: Research and evidence-based intervention strategies.|শেষাংশ=Bell|প্রথমাংশ=Carl C.|শেষাংশ২=Richardson|প্রথমাংশ২=Jerome|শেষাংশ৩=Blount|প্রথমাংশ৩=Morris A.|তারিখ=2006|প্রকাশক=American Psychological Association|অবস্থান=Washington|পাতাসমূহ=217–237|আইএসবিএন=1-59147-342-X}}</ref> আবার শিশুদের যে পারিবারিক সহিংসতার মুখোমুখি হতে হয় সে সম্পর্কে সচেতনতার কারণে শিশুর আবেগগত, সামাজিক, আচরণগত এবং বুদ্ধিগত বিকাশও প্রভাবিত হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jstor.org/stable/1602779?origin=crossref|শিরোনাম=Prevalence and Effects of Child Exposure to Domestic Violence|শেষাংশ=Fantuzzo|প্রথমাংশ=John W.|শেষাংশ২=Mohr|প্রথমাংশ২=Wanda K.|তারিখ=24/1999|সাময়িকী=The Future of Children|খণ্ড=9|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=21|ডিওআই=10.2307/1602779}}</ref> |
|||
পারিবারিক সহিংসতা যেসব আবেগজনিত এবং আচরণগত সমস্যার কারণ হতে পারে তার মধ্যে বর্ধিত আগ্রাসন, উদ্বেগ এবং একটি শিশু কীভাবে বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং কর্তৃপক্ষের সাথে সামাজিক হচ্ছে তার পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত।<ref |
পারিবারিক সহিংসতা যেসব আবেগজনিত এবং আচরণগত সমস্যার কারণ হতে পারে তার মধ্যে বর্ধিত আগ্রাসন, উদ্বেগ এবং একটি শিশু কীভাবে বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং কর্তৃপক্ষের সাথে সামাজিক হচ্ছে তার পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত।<ref name="ReferenceI"/> মানসিক চাপ, মানসিক নিরাপত্তাহীনতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাধিগুলো ট্রমাজনিত অভিজ্ঞতার কারণে দেখা দিতে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/j.amjmed.2012.11.030|শিরোনাম=The Comparative Short-term Effectiveness of Iron Dosing and Formulations in US Hemodialysis Patients|শেষাংশ=Kshirsagar|প্রথমাংশ=Abhijit V.|শেষাংশ২=Freburger|প্রথমাংশ২=Janet K.|শেষাংশ৩=Ellis|প্রথমাংশ৩=Alan R.|শেষাংশ৪=Wang|প্রথমাংশ৪=Lily|শেষাংশ৫=Winkelmayer|প্রথমাংশ৫=Wolfgang C.|শেষাংশ৬=Brookhart|প্রথমাংশ৬=M. Alan|তারিখ=2013-06|সাময়িকী=The American Journal of Medicine|খণ্ড=126|সংখ্যা নং=6|পাতাসমূহ=541.e1–541.e14|ডিওআই=10.1016/j.amjmed.2012.11.030|issn=0002-9343}}</ref> সমস্যা সমাধানের মতো দক্ষতার অভাবের সাথে সাথে স্কুলে আচরণগত এবং বুদ্ধিগত সমস্যা তৈরি হতে পারে।<ref name="ReferenceI"/> শৈশবকালে অপব্যবহার এবং অবহেলার অভিজ্ঞতার সাথে প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলোর সম্পর্ক পাওয়া গেছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/612949807|শিরোনাম=Ounce of prevention : the life stories and perceptions of men who sexually offended against children.|শেষাংশ=Psychology.|প্রথমাংশ=Wilfrid Laurier University. Faculty of Graduate Studies. Dept. of|তারিখ=1994|oclc=612949807}}</ref> |
||
অধিকন্তু, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নির্যাতক মা বা বাবাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিশুর সামনে নির্যাতন বা দুর্ব্যবহার করে<ref name=":1">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1111/j.1365-2206.2009.00632.x|শিরোনাম=Women's abuse of their children in the context on domestic violence: reflection from women's accounts|শেষাংশ=Damant|প্রথমাংশ=Dominique|শেষাংশ২=Lapierre|প্রথমাংশ২=Simon|শেষাংশ৩=Lebossé|প্রথমাংশ৩=Catherine|শেষাংশ৪=Thibault|প্রথমাংশ৪=Sylvie|শেষাংশ৫=Lessard|প্রথমাংশ৫=Geneviève|শেষাংশ৬=Hamelin-Brabant|প্রথমাংশ৬=Louise|শেষাংশ৭=Lavergne|প্রথমাংশ৭=Chantal|শেষাংশ৮=Fortin|প্রথমাংশ৮=Andrée|তারিখ=2009-09-16|সাময়িকী=Child & Family Social Work|খণ্ড=15|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=12–21| |
অধিকন্তু, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নির্যাতক মা বা বাবাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিশুর সামনে নির্যাতন বা দুর্ব্যবহার করে<ref name=":1">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1111/j.1365-2206.2009.00632.x|শিরোনাম=Women's abuse of their children in the context on domestic violence: reflection from women's accounts|শেষাংশ=Damant|প্রথমাংশ=Dominique|শেষাংশ২=Lapierre|প্রথমাংশ২=Simon|শেষাংশ৩=Lebossé|প্রথমাংশ৩=Catherine|শেষাংশ৪=Thibault|প্রথমাংশ৪=Sylvie|শেষাংশ৫=Lessard|প্রথমাংশ৫=Geneviève|শেষাংশ৬=Hamelin-Brabant|প্রথমাংশ৬=Louise|শেষাংশ৭=Lavergne|প্রথমাংশ৭=Chantal|শেষাংশ৮=Fortin|প্রথমাংশ৮=Andrée|তারিখ=2009-09-16|সাময়িকী=Child & Family Social Work|খণ্ড=15|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=12–21|ডিওআই=10.1111/j.1365-2206.2009.00632.x|issn=1356-7500}}</ref> যা এক সাথে দু'জন ভুক্তভোগীকে ধারাবাহিকভাবে আহত করে।<ref name=":1" /> শিশুরা অনেক সময় তার পিতা বা মাতার বিরুদ্ধে তীব্র সহিংসতার দেখতে পেয়ে সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে, যা কোনও শিশুকে আঘাত বা মৃত্যুর মতো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e514472010-005|শিরোনাম=Safe Horizon Launches National Child Abuse and Domestic Violence Awareness Initiative|তারিখ=2008|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-09}}</ref> এটা দেখা গিয়েছে যে, যেসব শিশুরা তাদের মাকে নির্যাতিত হতে দেখে তাদের পোস্টট্রোম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) এর লক্ষণগুলোতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই শিশুদের পরিণতি আরও মারাত্মক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যদি তাদের নির্যাতিত মায়ের মধ্যে পোস্টট্রোম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) দেখা দেয় এবং সন্তানের সচক্ষে সহিংসতা দেখার অভিজ্ঞতা পরবর্তী মানসিক অবস্থায় সহযোগীতা করার জটিলতার জন্য তিনি কোন ধরনের চিকিৎসাও গ্রহণ করেন না ।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/0886260511403747|শিরোনাম=The Relationship of Violent Fathers, Posttraumatically Stressed Mothers and Symptomatic Children in a Preschool-Age Inner-City Pediatrics Clinic Sample|শেষাংশ=Schechter|প্রথমাংশ=Daniel S.|শেষাংশ২=Willheim|প্রথমাংশ২=Erica|শেষাংশ৩=McCaw|প্রথমাংশ৩=Jaime|শেষাংশ৪=Turner|প্রথমাংশ৪=J. Blake|শেষাংশ৫=Myers|প্রথমাংশ৫=Michael M.|শেষাংশ৬=Zeanah|প্রথমাংশ৬=Charles H.|তারিখ=2011-12|সাময়িকী=Journal of Interpersonal Violence|খণ্ড=26|সংখ্যা নং=18|পাতাসমূহ=3699–3719|ডিওআই=10.1177/0886260511403747|issn=0886-2605}}</ref> |
||
==== শারীরিক ==== |
==== শারীরিক ==== |
||
[[চিত্র:MintoParkMemorial.JPG|থাম্ব|কানাডার ওন্টারিওতে ওটোয়ার কেন্দ্রস্থল মিন্টো পার্কে ১৯৯২ সালে পারিবারিক সহিংসতায় নিহত নারীদের নিবেদন করে নির্মিত ওটোয়া নারী স্তম্ভ।]] |
|||
আঁচড়, ভাঙ্গা হাড়, মাথায় আঘাত, ক্ষত এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হল পারিবারিক সহিংসতাজনিত ঘটনার তীব্র প্রভাব যেগুলোর জন্য চিকিৎসকের যত্ন এবং হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/s0020-7292(97)02863-4|শিরোনাম=The American College of Obstetricians and Gynecologists: a decade of responding to violence against women|শেষাংশ=Jones|প্রথমাংশ=R.F.|শেষাংশ২=Horan|প্রথমাংশ২=D.L.|তারিখ=1997-07-XX|সাময়িকী=International Journal of Gynecology & Obstetrics|খণ্ড=58|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=43–50|doi=10.1016/s0020-7292(97)02863-4|issn=0020-7292}}</ref> কিছু দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য অবস্থার সাথে পারিবারিকসহিংসতার ভুক্তভোগীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে যেমন- বাত, তীব্র তলপেট বেদনা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, শ্রোণী ব্যথা, আলসার এবং মাইগ্রেন সমস্যা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-1-349-21241-5_8|শিরোনাম=Gender, Power and Sexuality|শেষাংশ=Edwards|প্রথমাংশ=Susan|তারিখ=1991|প্রকাশক=Palgrave Macmillan UK|অবস্থান=London|পাতাসমূহ=133–156|আইএসবিএন=978-0-333-54278-1}}</ref> পারিবারিক সহিংসতার সম্পর্কের সময় যারা গর্ভবতী থাকে তাদের গর্ভপাত, সময়ের আগে প্রসব বেদনা, ভ্রূণের আঘাত বা মৃত্যু ইত্যাদি ঝুঁকির সম্ভাবনা বেশী থাকে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/s0020-7292(97)02863-4|শিরোনাম=The American College of Obstetricians and Gynecologists: a decade of responding to violence against women|শেষাংশ=Jones|প্রথমাংশ=R.F.|শেষাংশ২=Horan|প্রথমাংশ২=D.L.|তারিখ=1997-07-XX|সাময়িকী=International Journal of Gynecology & Obstetrics|খণ্ড=58|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=43–50|doi=10.1016/s0020-7292(97)02863-4|issn=0020-7292}}</ref> |
|||
আঁচড়, ভাঙ্গা হাড়, মাথায় আঘাত, ক্ষত এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হল পারিবারিক সহিংসতাজনিত ঘটনার তীব্র প্রভাব যেগুলোর জন্য চিকিৎসকের যত্ন এবং হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন।<ref name="ReferenceJ">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1016/s0020-7292(97)02863-4|শিরোনাম=The American College of Obstetricians and Gynecologists: a decade of responding to violence against women|শেষাংশ=Jones|প্রথমাংশ=R.F.|শেষাংশ২=Horan|প্রথমাংশ২=D.L.|তারিখ=1997-07-XX|সাময়িকী=International Journal of Gynecology & Obstetrics|খণ্ড=58|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=43–50|ডিওআই=10.1016/s0020-7292(97)02863-4|issn=0020-7292}}</ref> কিছু দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য অবস্থার সাথে পারিবারিকসহিংসতার ভুক্তভোগীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে যেমন- বাত, তীব্র তলপেট বেদনা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, শ্রোণী ব্যথা, আলসার এবং মাইগ্রেন সমস্যা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-1-349-21241-5_8|শিরোনাম=Gender, Power and Sexuality|শেষাংশ=Edwards|প্রথমাংশ=Susan|তারিখ=1991|প্রকাশক=Palgrave Macmillan UK|অবস্থান=London|পাতাসমূহ=133–156|আইএসবিএন=978-0-333-54278-1}}</ref> পারিবারিক সহিংসতার সম্পর্কের সময় যারা গর্ভবতী থাকে তাদের গর্ভপাত, সময়ের আগে প্রসব বেদনা, ভ্রূণের আঘাত বা মৃত্যু ইত্যাদি ঝুঁকির সম্ভাবনা বেশি থাকে।<ref name="ReferenceJ"/> |
|||
নতুন গবেষণায় বলা হয়, পারিবারিক সহিংসতা ও সব ধরনের নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়ার সাথে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার শক্তিশালী যোগাযোগ রয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e308842004-001|শিরোনাম=Intimate Partner Violence|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-09}}</ref> এ সংক্রান্ত সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া যায় অ্যাডভার্স চাইল্ডহুড এক্সপেরিয়েন্স স্টাডি থেকে যা বলছে, নির্যাতন ও অবহেলার মাঝে থাকার সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উচ্চ হারে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, বেশি ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য আচরণ এবং সংক্ষিপ্ত জীবনকালের পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e721332007-001|শিরোনাম=The Effects of Childhood Stress on Health Across the Lifespan|শেষাংশ=Middlebrooks|প্রথমাংশ=Jennifer S.|শেষাংশ২=Audage|প্রথমাংশ২=Natalie C.|তারিখ=2007|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-09}}</ref> ১৯৯০ এর দশকের প্রথম থেকেই শারীরিক স্বাস্থ্য এবং নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার মধ্যকার যোগসূত্রের প্রমাণ জমে আসছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1001/archfami.1.1.53|শিরোনাম=Somatic consequences of violence against women|শেষাংশ=Koss|প্রথমাংশ=M. P.|তারিখ=1992-09-01|সাময়িকী=Archives of Family Medicine|খণ্ড=1|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=53–59| |
নতুন গবেষণায় বলা হয়, পারিবারিক সহিংসতা ও সব ধরনের নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়ার সাথে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার শক্তিশালী যোগাযোগ রয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e308842004-001|শিরোনাম=Intimate Partner Violence|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-09}}</ref> এ সংক্রান্ত সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া যায় অ্যাডভার্স চাইল্ডহুড এক্সপেরিয়েন্স স্টাডি থেকে যা বলছে, নির্যাতন ও অবহেলার মাঝে থাকার সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উচ্চ হারে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, বেশি ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য আচরণ এবং সংক্ষিপ্ত জীবনকালের পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1037/e721332007-001|শিরোনাম=The Effects of Childhood Stress on Health Across the Lifespan|শেষাংশ=Middlebrooks|প্রথমাংশ=Jennifer S.|শেষাংশ২=Audage|প্রথমাংশ২=Natalie C.|তারিখ=2007|ওয়েবসাইট=PsycEXTRA Dataset|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-09}}</ref> ১৯৯০ এর দশকের প্রথম থেকেই শারীরিক স্বাস্থ্য এবং নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার মধ্যকার যোগসূত্রের প্রমাণ জমে আসছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1001/archfami.1.1.53|শিরোনাম=Somatic consequences of violence against women|শেষাংশ=Koss|প্রথমাংশ=M. P.|তারিখ=1992-09-01|সাময়িকী=Archives of Family Medicine|খণ্ড=1|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=53–59|ডিওআই=10.1001/archfami.1.1.53|issn=1063-3987}}</ref> |
||
==== এইচআইভি / এইডস ==== |
==== এইচআইভি / এইডস ==== |
||
{{Further|এইচআইভি/এইডস}} |
|||
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, অবমাননাকর সম্পর্কে থাকা নারীদের মধ্যে এইচআইভি / এইডস-এর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। ডাব্লিওএইচও বলছে, সহিংস সম্পর্কে থাকা নারীদের জন্য তাদের সঙ্গীর সাথে নিরাপদ যৌন ব্যবস্থা তৈরিতে সমস্যা হয়, প্রায়শই যৌনতা করতে তারা বাধ্য হয় এবং যখন তারা এইচআইভি সংক্রামিত হতে পারে বলে মনে করে তখন উপযুক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা চাইতেও সমস্যা হয়।<ref name=":2">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2471/blt.13.131391|শিরোনাম=Intimate partner violence against women and victim-blaming attitudes among Europeans|শেষাংশ=Gracia|প্রথমাংশ=Enrique|তারিখ=2014-02-05|সাময়িকী=Bulletin of the World Health Organization|খণ্ড=92|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=380–381|doi=10.2471/blt.13.131391|issn=0042-9686}}</ref> রুয়ান্ডা, তানজানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত থেকে এক দশকের ক্রস-সেকশনাল গবেষণায় ধারাবাহিকভাবে সঙ্গী কর্তৃক সহিংসতার শিকার হওয়া নারীদের এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি পাওয়া গেছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.18356/2fd3ecfb-en|শিরোনাম=COVID-19 and Ending Violence Against Women and Girls|তারিখ=2020-06-23|সাময়িকী=UN Women Ending Violence Against Women (EVAW) COVID-19 Briefs|doi=10.18356/2fd3ecfb-en|issn=2708-4191}}</ref> ডব্লিওএইচও বলছে:<ref name=":2" /> |
|||
[[চিত্র:AIDS_and_HIV_prevalence_2008.svg|alt= A map of the world where most of the land is colored green or yellow except for sub Saharan Africa which is colored red|থাম্ব|২০০৮ সালের হিসেব অনুযায়ী প্রত্যেক দেশে ১৫-৪৯ বছর বয়সী তরুণ প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে শতাংশ(%)হিসেবে এইচআইভির ব্যাপকতা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.unaids.org/en/dataanalysis/datatools/aidsinfo/|শিরোনাম=Data: AIDSinfo|লেখক-সংযোগ=Joint United Nations Programme on HIV/AIDS|শেষাংশ=UNAIDS|তারিখ=2011|ওয়েবসাইট=unaids.org|প্রকাশক=[[Joint United Nations Programme on HIV/AIDS|UNAIDS]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130305203900/http://www.unaids.org/en/dataanalysis/datatools/aidsinfo/|আর্কাইভের-তারিখ=5 March 2013|ইউআরএল-অবস্থা=live|সংগ্রহের-তারিখ=4 March 2013}}</ref>{{Col-begin}} |
|||
{{Col-break}} |
|||
{{legend|#787878|<small>No data</small>}} |
|||
{{legend|#94bf8b|<small><0.10</small>}} |
|||
{{legend|#f4e2ba|<small>0.10–0.5</small>}} |
|||
{{legend|#eaca83|<small>0.5–1</small>}} |
|||
{{Col-break}} |
|||
{{legend|#f07568|<small>1–5</small>}} |
|||
{{legend|#ff4800|<small>5–15</small>}} |
|||
{{legend|#b00000|<small>15–50</small>}} |
|||
{{col-end}}]] |
|||
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, অবমাননাকর সম্পর্কে থাকা নারীদের মধ্যে এইচআইভি / এইডস-এর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। ডাব্লিওএইচও বলছে, সহিংস সম্পর্কে থাকা নারীদের জন্য তাদের সঙ্গীর সাথে নিরাপদ যৌন ব্যবস্থা তৈরিতে সমস্যা হয়, প্রায়শই যৌনতা করতে তারা বাধ্য হয় এবং যখন তারা এইচআইভি সংক্রামিত হতে পারে বলে মনে করে তখন উপযুক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা চাইতেও সমস্যা হয়।<ref name=":2">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2471/blt.13.131391|শিরোনাম=Intimate partner violence against women and victim-blaming attitudes among Europeans|শেষাংশ=Gracia|প্রথমাংশ=Enrique|তারিখ=2014-02-05|সাময়িকী=Bulletin of the World Health Organization|খণ্ড=92|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=380–381|ডিওআই=10.2471/blt.13.131391|issn=0042-9686}}</ref> রুয়ান্ডা, তানজানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত থেকে এক দশকের ক্রস-সেকশনাল গবেষণায় ধারাবাহিকভাবে সঙ্গী কর্তৃক সহিংসতার শিকার হওয়া নারীদের এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি পাওয়া গেছে।<ref name="ReferenceE"/> ডব্লিওএইচও বলছে:<ref name=":2" /> |
|||
ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক সহিংসতা বন্ধ এবং নারী ও মেয়েদের মধ্যে এইচআইভি / এইডসের ঝুঁকি কমানো উভয়েরই বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং এইচআইভি / এইডস-এর মধ্যে সংযোগের প্রমাণগুলো থেকে এটাই সুস্পষ্ট যে এখানে দুটো বিষয়েরই প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে। |
ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক সহিংসতা বন্ধ এবং নারী ও মেয়েদের মধ্যে এইচআইভি / এইডসের ঝুঁকি কমানো উভয়েরই বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং এইচআইভি / এইডস-এর মধ্যে সংযোগের প্রমাণগুলো থেকে এটাই সুস্পষ্ট যে এখানে দুটো বিষয়েরই প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে। |
||
পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে এইচআইভি / এইডস দ্বারা সমকামী সম্পর্কগুলি একইভাবে প্রভাবিত হয়। হেইন্টজ এবং মেলান্দেজের গবেষণায় দেখা গেছে যে "লিঙ্গের উপর নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি হ্রাস, সহিংসতার ভয়, এবং অসম শক্তি বিতরণ ..." এই কারণগুলোর জন্য সমকামী ব্যক্তিদের নিরাপদ যৌনতার বিষয়টি লঙ্ঘন করতে অসুবিধা হতে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/0886260505282104|শিরোনাম=Intimate Partner Violence and HIV/STD Risk Among Lesbian, Gay, Bisexual, and Transgender Individuals|শেষাংশ=Heintz|প্রথমাংশ=Adam Jackson|শেষাংশ২=Melendez|প্রথমাংশ২=Rita M.|তারিখ=2006-02|সাময়িকী=Journal of Interpersonal Violence|খণ্ড=21|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=193–208| |
পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে এইচআইভি / এইডস দ্বারা সমকামী সম্পর্কগুলি একইভাবে প্রভাবিত হয়। হেইন্টজ এবং মেলান্দেজের গবেষণায় দেখা গেছে যে "লিঙ্গের উপর নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি হ্রাস, সহিংসতার ভয়, এবং অসম শক্তি বিতরণ ..." এই কারণগুলোর জন্য সমকামী ব্যক্তিদের নিরাপদ যৌনতার বিষয়টি লঙ্ঘন করতে অসুবিধা হতে পারে।<ref name="ReferenceK">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/0886260505282104|শিরোনাম=Intimate Partner Violence and HIV/STD Risk Among Lesbian, Gay, Bisexual, and Transgender Individuals|শেষাংশ=Heintz|প্রথমাংশ=Adam Jackson|শেষাংশ২=Melendez|প্রথমাংশ২=Rita M.|তারিখ=2006-02|সাময়িকী=Journal of Interpersonal Violence|খণ্ড=21|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=193–208|ডিওআই=10.1177/0886260505282104|issn=0886-2605}}</ref> যারা এই গবেষণায় সহিংসতার কথা জানিয়েছেন তাদের প্রায় ৫০% জোরপূর্বক যৌন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন, যার মধ্যে কেবল অর্ধেকই নিরাপদ যৌন ব্যবস্থা ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন। সুরক্ষিত যৌনতার প্রতিবন্ধকতাগুলির মধ্যে নির্যাতনের ভয় এবং নিরাপদ-যৌন অনুশীলনের ক্ষেত্রে প্রতারণা অন্তর্ভুক্ত। হেইন্টজ এবং মেলান্দেজের গবেষণা শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যে, সম-লিঙ্গের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যৌন-নির্যাতন এইচআইভি / এইডস সংক্রমণের জন্য একটি বড় উদ্বেগ কারণ হয়ে দাঁড়ায় কেননা তা নিরাপদ যৌনতার সম্ভাবনা হ্রাস করে। তদুপরি, এই ঘটনাগুলি নিরাপদ-যৌন আলোচনা ঘিরে এবং কারো [[যৌনবাহিত রোগ]] আছে বা এসটিডি স্ট্যাটাস জানতে পারলে এ সংক্রান্ত অতিরিক্ত ভয় ও কলঙ্ক সৃষ্টি করে।<ref name="ReferenceK"/> |
||
==== মানসিক ==== |
==== মানসিক ==== |
||
ভুক্তভোগীদের মধ্যে যারা এখনও তাদের নির্যাতক ব্যক্তির সাথে আছেন তারা সাধারণত উচ্চ পরিমাণে চাপ, ভয় এবং উদ্বেগের সাথে বেঁচে থাকেন। তাদের হতাশাগুলোও একই রকম, সব ভুক্তভোগীকে 'উস্কানিমূলক' আচরণের জন্য দোষী মনে করা হয় এবং প্রায়শই তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয়। জানা গেছে যে, ভুক্তভোগীদের ৬০ ভাগ সম্পর্কের অবসানের সময় বা পরে চিকিৎসা |
ভুক্তভোগীদের মধ্যে যারা এখনও তাদের নির্যাতক ব্যক্তির সাথে আছেন তারা সাধারণত উচ্চ পরিমাণে চাপ, ভয় এবং উদ্বেগের সাথে বেঁচে থাকেন। তাদের হতাশাগুলোও একই রকম, সব ভুক্তভোগীকে 'উস্কানিমূলক' আচরণের জন্য দোষী মনে করা হয় এবং প্রায়শই তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয়। জানা গেছে যে, ভুক্তভোগীদের ৬০ ভাগ সম্পর্কের অবসানের সময় বা পরে চিকিৎসা শনাক্তযোগ্য হতাশায় ভোগেন এবং তাদের মধ্যে আত্মহত্যার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। যারা মানসিকভাবে বা শারীরিকভাবে প্রায় আঘাতপ্রাপ্ত হন তারাও অযোগ্যতার বোধের কারণে হতাশাগ্রস্ত হন। এই অনুভূতিগুলি প্রায়শই দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত থাকে এবং আত্মহত্যা এবং অন্যান্য আঘাতজনিত লক্ষণগুলির উচ্চ ঝুঁকির কারণে অনেকেই থেরাপি গ্রহণ করেন বলে জানা যায়। |
||
হতাশা ছাড়াও, ঘরোয়া সহিংসতার শিকাররা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী উদ্বেগ এবং আতঙ্কেরও সম্মুখীন হন এবং অত্যধিক উদ্বেগজনিত ব্যাধি এবং আতঙ্কজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পারিবারিক সহিংসতার সর্বাধিক উল্লেখিত মানসিক প্রভাবটি হ'ল পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি)। পিটিএসডি (ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা অনুসারে) ফ্ল্যাশব্যাক, অনধিকারের চিত্র, অতিরঞ্জিত আকস্মিক প্রতিক্রিয়া, দুঃস্বপ্ন এবং নির্যাতনের সাথে সম্পর্কিত কারণগুলো এড়ানোর চেষ্টা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/0886-6708.10.1.23|শিরোনাম=Distress and Symptoms of Posttraumatic Stress Disorder in Abused Women|শেষাংশ=Vitanza|প্রথমাংশ=Stephanie|শেষাংশ২=Vogel|প্রথমাংশ২=Laura C. M.|শেষাংশ৩=Marshall|প্রথমাংশ৩=Linda L.|তারিখ=1995-01-XX|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=10|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=23–34| |
হতাশা ছাড়াও, ঘরোয়া সহিংসতার শিকাররা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী উদ্বেগ এবং আতঙ্কেরও সম্মুখীন হন এবং অত্যধিক উদ্বেগজনিত ব্যাধি এবং আতঙ্কজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পারিবারিক সহিংসতার সর্বাধিক উল্লেখিত মানসিক প্রভাবটি হ'ল পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি)। পিটিএসডি (ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা অনুসারে) ফ্ল্যাশব্যাক, অনধিকারের চিত্র, অতিরঞ্জিত আকস্মিক প্রতিক্রিয়া, দুঃস্বপ্ন এবং নির্যাতনের সাথে সম্পর্কিত কারণগুলো এড়ানোর চেষ্টা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/0886-6708.10.1.23|শিরোনাম=Distress and Symptoms of Posttraumatic Stress Disorder in Abused Women|শেষাংশ=Vitanza|প্রথমাংশ=Stephanie|শেষাংশ২=Vogel|প্রথমাংশ২=Laura C. M.|শেষাংশ৩=Marshall|প্রথমাংশ৩=Linda L.|তারিখ=1995-01-XX|সাময়িকী=Violence and Victims|খণ্ড=10|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=23–34|ডিওআই=10.1891/0886-6708.10.1.23|issn=0886-6708}}</ref> গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, শিশু এবং অল্প বয়স্ক শিশুদের মা'দের উপর পারিবারিক সহিংসতার প্রভাব এবং এ সংক্রান্ত মনঃশারীরিক অসুস্থতাকে বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মাতৃকেন্দ্রিক আন্তঃব্যক্তিক সহিংসতা সম্পর্কিত পোস্টট্রোম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি), একজন মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত মায়ের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, পারিবারিক সহিংসতা এবং অন্যান্য ট্রমাজনিত ঘটনাগুলির প্রতি তাদের সন্তানের প্রতিক্রিয়াতে হস্তক্ষেপ করতে পারে। <ref name="ReferenceB"/><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1080/15299730802045666|শিরোনাম=Distorted Maternal Mental Representations and Atypical Behavior in a Clinical Sample of Violence-Exposed Mothers and Their Toddlers|শেষাংশ=Schechter|প্রথমাংশ=Daniel S.|শেষাংশ২=Coates|প্রথমাংশ২=Susan W.|শেষাংশ৩=Kaminer|প্রথমাংশ৩=Tammy|শেষাংশ৪=Coots|প্রথমাংশ৪=Tammy|শেষাংশ৫=Zeanah|প্রথমাংশ৫=Charles H.|শেষাংশ৬=Davies|প্রথমাংশ৬=Mark|শেষাংশ৭=Schonfeld|প্রথমাংশ৭=Irvin S.|শেষাংশ৮=Marshall|প্রথমাংশ৮=Randall D.|শেষাংশ৯=Liebowitz|প্রথমাংশ৯=Michael R.|তারিখ=2008-06-02|সাময়িকী=Journal of Trauma & Dissociation|খণ্ড=9|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=123–147|ডিওআই=10.1080/15299730802045666|issn=1529-9732}}</ref> |
||
==== অর্থনৈতিক ==== |
==== অর্থনৈতিক ==== |
||
ভুক্তভোগীরা তাদের নির্যাতক সঙ্গীকে ছেড়ে চলে যাবার পর, তারা নির্যাতনের শিকার হতে হতে কতটা স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে এই বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে হতবাক হয়ে যেতে পারে। অর্থনৈতিক নির্যাতন এবং বিচ্ছিন্নতার কারণে, ভুক্তভোগীর কাছে সাধারণত খুব কম অর্থ থাকে আবার সাহায্যের জন্য নির্ভরযোগ্য মানুষও খুব কম থাকে। এটি ডিভি'র শিকারদের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসাবে দেখা গেছে এবং সবচেয়ে শক্তিশালী কারণ যা তাদের নির্যাতক সঙ্গীকে ছেড়ে যাওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করতে পারে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-3601-0143|শিরোনাম=stop-violence-against-women-effects-of-domestic-violence-on-children-apr-2010|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-09}}</ref> |
ভুক্তভোগীরা তাদের নির্যাতক সঙ্গীকে ছেড়ে চলে যাবার পর, তারা নির্যাতনের শিকার হতে হতে কতটা স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে এই বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে হতবাক হয়ে যেতে পারে। অর্থনৈতিক নির্যাতন এবং বিচ্ছিন্নতার কারণে, ভুক্তভোগীর কাছে সাধারণত খুব কম অর্থ থাকে আবার সাহায্যের জন্য নির্ভরযোগ্য মানুষও খুব কম থাকে। এটি ডিভি'র শিকারদের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসাবে দেখা গেছে এবং সবচেয়ে শক্তিশালী কারণ যা তাদের নির্যাতক সঙ্গীকে ছেড়ে যাওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করতে পারে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/2210-7975_hrd-3601-0143|শিরোনাম=stop-violence-against-women-effects-of-domestic-violence-on-children-apr-2010|ওয়েবসাইট=Human Rights Documents online|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-09}}</ref> |
||
আর্থিক সংস্থানগুলির অভাব ছাড়াও, ডিভির |
আর্থিক সংস্থানগুলির অভাব ছাড়াও, ডিভির ক্ষতিগ্রস্তদের প্রায়শই বিশেষ দক্ষতা, শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের অভাব হয় যা লাভজনক চাকুরি খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজনীয় এবং হয়ত প্রতিপালনের জন্য তার একাধিক শিশুও থাকতে পারে। ২০০৩ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬টি বড় বড় শহরে ডিভিকে তাদের অঞ্চলে গৃহহীনতার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।<ref name=":3">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4135/9781412994170.n12|শিরোনাম=American Civil Liberties Union (ACLU)|শেষাংশ=Cooley|প্রথমাংশ=Amanda Harmon|সাময়িকী=Encyclopedia of Social Networks|প্রকাশক=SAGE Publications, Inc.|অবস্থান=2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States|আইএসবিএন=978-1-4129-7911-5}}</ref> আরও জানা গেছে যে নির্যাতনকেন্দ্রিক সম্পর্ক ত্যাগের কারণে প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজন গৃহহীন। যদি কোনও ভুক্তভোগী ভাড়া দিয়ে আবাসন সুরক্ষিত করতে সক্ষমও হন তবে সম্ভবত তার অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে অপরাধের জন্য "শূন্য সহনশীলতা" নীতি থাকবে আর এই নীতিগুলো তাদের ভুক্তভোগী (অপরাধী নয়) হওয়া সত্ত্বেও সহিংসতার শিকার হয়ে ওঠার কারণ হতে পারে।<ref name=":3" /> যদিও ডিভি ভুক্তভোগীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র এবং সম্প্রদায়গত ব্যবস্থার সংখ্যা অনেক বেড়েছে কিন্তু এই সংস্থাগুলিতে প্রায়শই গুটি কয়েক কর্মচারী থাকে আর সাহায্যের সন্ধানে ভুক্তভোগী থাকে শত শত ফলে অনেক ক্ষতিগ্রস্তই প্রয়োজনীয় সহায়তা পান না। |
||
পারিবারিক সহিংসতায় ভোগা নারী ও শিশুরা পেশাগত বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়; তারা সাধারণত কাঙ্ক্ষিত পেশায় প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।<ref name=":4">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/030802260707000503|শিরোনাম=Occupational Therapy with Women and Children Survivors of Domestic Violence: Are We Fulfilling Our Activist Heritage? A Review of the Literature|শেষাংশ=Cage|প্রথমাংশ=Anthea|তারিখ=2007-05|সাময়িকী=British Journal of Occupational Therapy|খণ্ড=70|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=192–198| |
পারিবারিক সহিংসতায় ভোগা নারী ও শিশুরা পেশাগত বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়; তারা সাধারণত কাঙ্ক্ষিত পেশায় প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।<ref name=":4">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/030802260707000503|শিরোনাম=Occupational Therapy with Women and Children Survivors of Domestic Violence: Are We Fulfilling Our Activist Heritage? A Review of the Literature|শেষাংশ=Cage|প্রথমাংশ=Anthea|তারিখ=2007-05|সাময়িকী=British Journal of Occupational Therapy|খণ্ড=70|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=192–198|ডিওআই=10.1177/030802260707000503|issn=0308-0226}}</ref> নির্যাতক সঙ্গী পেশার সুযোগ সীমাবদ্ধ করে দিতে পারে এবং একটি পেশাগত অকার্যকর পরিবেশ তৈরি করতে পারে যা সন্তোষজনকভাবে প্রতিদিনের কার্য সম্পাদন করার ক্ষেত্রে কম আত্ম-মূল্য এবং দুর্বল আত্মক্ষমতার অনুভূতিগুলিকে শক্তিশালী করে তোলে।<ref name=":4" /> তাছাড়া, কার্যকরী লোকসান, প্রয়োজনীয় কর্ম দক্ষতা বজায় রাখতে অক্ষমতা এবং কাজের জায়গার কাজ করতে অক্ষমতা দ্বারা কাজে প্রভাব পড়ে। প্রায়শই ভুক্তভোগীরা অন্যান্য সম্পর্কগুলি থেকে খুব দূরে বিচ্ছিন্ন থাকে যেমন খুব কম বা একেবারে বন্ধু না থাকা। এটিও নির্যাতক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ আরোপের অন্যতম একটি পদ্ধতি।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1300/j004v22n01_03|শিরোনাম=Employment Skills and Domestic Violence Survivors|শেষাংশ=Helfrich|প্রথমাংশ=Christine A.|শেষাংশ২=Rivera|প্রথমাংশ২=Yesenia|তারিখ=2006-04-13|সাময়িকী=Occupational Therapy in Mental Health|খণ্ড=22|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=33–48|ডিওআই=10.1300/j004v22n01_03|issn=0164-212X}}</ref> |
||
==== সাড়াপ্রদানকারীদের উপর প্রভাব ==== |
==== সাড়াপ্রদানকারীদের উপর প্রভাব ==== |
||
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ৭৭১ জন অফিসার হত্যার মধ্যে ১০৬ টি হত্যাকান্ড পারিবারিক সহিংসতায় হস্তক্ষেপের সময় ঘটেছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9780203836965-6|শিরোনাম=Domestic Violence Treatment for Abusive Women|তারিখ=2011-02-14|প্রকাশক=Routledge|পাতাসমূহ=14–24|আইএসবিএন=978-0-203-83696-5}}</ref> এর মধ্যে, ৫১% ঘটনা, অপ্ররোচিতভাবে বা হঠাৎ সংঘটিত হয়েছিল অর্থাৎ সন্দেহভাজনদের সাথে অফিসারের যোগাযোগ হওয়ার আগে ঘটেছিল। যোগাযোগের পরে আরও ৪০% ঘটেছিল এবং অন্যান্যগুলো কৌশলগত পরিস্থিতিতে ঘটেছিল (কাউকে জিম্মি করে এবং বাধা পার হওয়ার চেষ্টা করার সময় ঘটেছিল)।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.21428/88de04a1.040c2096|শিরোনাম="Everybody Loses": Understanding Police Roles and Perceptions of Domestic Violence Calls|শেষাংশ=Fulambarker|প্রথমাংশ=Anjali|তারিখ=2020-04-01|সাময়িকী=Journal of Qualitative Criminal Justice & Criminology| |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ৭৭১ জন অফিসার হত্যার মধ্যে ১০৬ টি হত্যাকান্ড পারিবারিক সহিংসতায় হস্তক্ষেপের সময় ঘটেছিল।<ref name="ReferenceL">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9780203836965-6|শিরোনাম=Domestic Violence Treatment for Abusive Women|তারিখ=2011-02-14|প্রকাশক=Routledge|পাতাসমূহ=14–24|আইএসবিএন=978-0-203-83696-5}}</ref> এর মধ্যে, ৫১% ঘটনা, অপ্ররোচিতভাবে বা হঠাৎ সংঘটিত হয়েছিল অর্থাৎ সন্দেহভাজনদের সাথে অফিসারের যোগাযোগ হওয়ার আগে ঘটেছিল। যোগাযোগের পরে আরও ৪০% ঘটেছিল এবং অন্যান্যগুলো কৌশলগত পরিস্থিতিতে ঘটেছিল (কাউকে জিম্মি করে এবং বাধা পার হওয়ার চেষ্টা করার সময় ঘটেছিল)।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.21428/88de04a1.040c2096|শিরোনাম="Everybody Loses": Understanding Police Roles and Perceptions of Domestic Violence Calls|শেষাংশ=Fulambarker|প্রথমাংশ=Anjali|তারিখ=2020-04-01|সাময়িকী=Journal of Qualitative Criminal Justice & Criminology|ডিওআই=10.21428/88de04a1.040c2096}}</ref> এফবিআইয়ের লাইওকা সিস্টেম পারিবারিক সহিংসতার প্রতিক্রিয়াজনিত অফিসারদের মৃত্যুকে বিভিন্ন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি অনুসারে শ্রেণীবদ্ধ করেছে যার মধ্যে "সরাইখানায় মারামারি, গ্যাং বা দলগত বিশৃঙ্খলা এবং ব্যক্তির অস্ত্রের আস্ফালন", ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত যা এতে সম্পৃক্ত ঝুঁকি সম্মন্ধে ভুল ধারণা জাগিয়ে তুলতে পারে।<ref name="ReferenceL"/><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/50243358|শিরোনাম=Domestic violence : the criminal justice response|শেষাংশ=Buzawa|প্রথমাংশ=Eva Schlesinger|তারিখ=2003|প্রকাশক=Sage Publications|অবস্থান=Thousand Oaks, Calif.|অন্যান্য=Carl G. Buzawa|আইএসবিএন=0-7619-2447-7|oclc=50243358|সংস্করণ=3rd ed}}</ref> |
||
নির্যাতনের শিকারদের গল্প শোনার গুরুতরতা ও তীব্রতার কারণে, পেশাদার ব্যক্তিগণ (সমাজকর্মী, পুলিশ, পরামর্শদাতা, |
নির্যাতনের শিকারদের গল্প শোনার গুরুতরতা ও তীব্রতার কারণে, পেশাদার ব্যক্তিগণ (সমাজকর্মী, পুলিশ, পরামর্শদাতা, চিকিৎসক, অ্যাডভোকেটস, চিকিৎসক পেশাজীবীগণ) গৌন বা ভিকারিয়াস ট্রমার ঝুঁকির সম্মুখীন হন, যার ফলে সাড়া প্রদানকারী ব্যক্তি নির্যাতিত ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতা শোনার পর একই রকম মানসিক আঘাতজনিত লক্ষণের মুখোমুখি হন। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, পেশাজীবীদের মধ্যে যারা ভিকারিয়াস ট্রমার শিকার হন তারাও অতিরঞ্জিত আকস্মিক প্রতিক্রিয়া, অতিরিক্ত উদ্বিগ্নতা, দুঃস্বপ্ন এবং বিভ্রান্তিকর চিন্তার লক্ষণ দেখান যদিও তারা ব্যক্তিগতভাবে কোনও ট্রমা অনুভব করেনি এবং পিটিএসডি'র চিকিৎসাযোগ্য অবস্থায়ও তারা পৌঁছান না। |
||
= ব্যবস্থাপনা = |
== ব্যবস্থাপনা == |
||
পারিবারিক সহিংসতা নিরসনের প্রক্রিয়াটি চিকিৎসা পরিষেবা, আইন প্রয়োগ<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/3053482|শিরোনাম=Police Arrests in Domestic Disturbances: A Further Look|শেষাংশ=Worden|প্রথমাংশ=Robert E.|শেষাংশ২=Pollitz|প্রথমাংশ২=Alissa A.|তারিখ=1984|সাময়িকী=Law & Society Review|খণ্ড=18|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=105| |
পারিবারিক সহিংসতা নিরসনের প্রক্রিয়াটি চিকিৎসা পরিষেবা, আইন প্রয়োগ<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/3053482|শিরোনাম=Police Arrests in Domestic Disturbances: A Further Look|শেষাংশ=Worden|প্রথমাংশ=Robert E.|শেষাংশ২=Pollitz|প্রথমাংশ২=Alissa A.|তারিখ=1984|সাময়িকী=Law & Society Review|খণ্ড=18|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=105|ডিওআই=10.2307/3053482|issn=0023-9216}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1126/science.249.4966.244-a|শিরোনাম=Comings & Goings|তারিখ=1990-07-20|সাময়িকী=Science|খণ্ড=249|সংখ্যা নং=4966|পাতাসমূহ=244–244|ডিওআই=10.1126/science.249.4966.244-a|issn=0036-8075}}</ref>, পরামর্শ প্রদান, এবং অন্যান্য প্রতিরোধ ও হস্তক্ষেপের মাধ্যমে হতে পারে। পারিবারিক সহিংসতায় অংশগ্রহণকারীদের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে; যেমন-পারিবারিক চিকিৎসক বা অন্যান্য প্রাথমিক যত্ন প্রদানকারী<ref name="ReferenceM">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.7326/0003-4819-131-8-199910190-00005|শিরোনাম=A Qualitative Analysis of How Physicians with Expertise in Domestic Violence Approach the Identification of Victims|শেষাংশ=Gerbert|প্রথমাংশ=Barbara|শেষাংশ২=Caspers|প্রথমাংশ২=Nona|শেষাংশ৩=Bronstone|প্রথমাংশ৩=Amy|শেষাংশ৪=Moe|প্রথমাংশ৪=James|শেষাংশ৫=Abercrombie|প্রথমাংশ৫=Priscilla|তারিখ=1999-10-19|সাময়িকী=Annals of Internal Medicine|খণ্ড=131|সংখ্যা নং=8|পাতাসমূহ=578|ডিওআই=10.7326/0003-4819-131-8-199910190-00005|issn=0003-4819}}</ref> বা জরুরী কক্ষের চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করা।<ref name="ReferenceM"/> |
||
কাউন্সেলিং পারিবারিক সহিংসতার প্রভাব নিরসনের আরেকটি উপায়। নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির জন্য, কাউন্সেলিংয়ে উপস্থিতির মূল্যায়ন,<ref name=":5">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1002/j.1556-6678.2003.tb00221.x|শিরোনাম=Incidence, Explanations, and Treatment of Partner Violence|শেষাংশ=Lawson|প্রথমাংশ=David M.|তারিখ=2003-01|সাময়িকী=Journal of Counseling & Development|খণ্ড=81|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=19–32| |
কাউন্সেলিং পারিবারিক সহিংসতার প্রভাব নিরসনের আরেকটি উপায়। নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির জন্য, কাউন্সেলিংয়ে উপস্থিতির মূল্যায়ন,<ref name=":5">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1002/j.1556-6678.2003.tb00221.x|শিরোনাম=Incidence, Explanations, and Treatment of Partner Violence|শেষাংশ=Lawson|প্রথমাংশ=David M.|তারিখ=2003-01|সাময়িকী=Journal of Counseling & Development|খণ্ড=81|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=19–32|ডিওআই=10.1002/j.1556-6678.2003.tb00221.x|issn=0748-9633}}</ref> নির্যাতনের মাত্রা ও ধরণগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।<ref name=":5" /> প্রাণঘাতী মূল্যায়ন এমন একটি সরঞ্জাম যা কোনও ক্লায়েন্টের চিকিৎসার সর্বোত্তম কোর্স নির্ধারণে সহায়তা করার পাশাপাশি ক্লায়েন্টকে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক আচরণ এবং আরও সূক্ষ্ম নির্যাতন শনাক্ত করতে সহায়তা করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/1077801205278860|শিরোনাম=Commentary on Websdale|শেষাংশ=Campbell|প্রথমাংশ=Jacquelyn C.|তারিখ=2005-09|সাময়িকী=Violence Against Women|খণ্ড=11|সংখ্যা নং=9|পাতাসমূহ=1206–1213|ডিওআই=10.1177/1077801205278860|issn=1077-8012}}</ref> পারিবারিক সহিংসতায় হত্যাচেষ্টা শিকার ভুক্তভোগীদের উপর একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র দেড় ভাগ তাদের নির্যাতক সঙ্গী তাদের হত্যা করতে সক্ষম বুঝতে পেরেছিল, কারণ পারিবারিক সহিংসতার শিকাররা অনেকেই পরিস্থিতির প্রকৃত গুরুত্বকে হ্রাস করে দেখেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1300/j146v05n02_08|শিরোনাম=Safety Planning Based on Lethality Assessment for Partners of Batterers in Intervention Programs|শেষাংশ=Campbell|প্রথমাংশ=Jacquelyn C.|তারিখ=2001-09|সাময়িকী=Journal of Aggression, Maltreatment & Trauma|খণ্ড=5|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=129–143|ডিওআই=10.1300/j146v05n02_08|issn=1092-6771}}</ref> আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল সুরক্ষা পরিকল্পনা, যা ক্ষতিগ্রস্তদের আসন্ন বিপজ্জনক পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনা করার সুযোগ দেয় এবং তারা অপরাধীর সাথে থাকুন বা না থাকুন, তা কার্যকরী হয়। |
||
অপরাধী ব্যক্তিও ভবিষ্যতের পারিবারিক সহিংসতার ঝুঁকি হ্রাস করতে,<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/29561317|শিরোনাম=The psychology of criminal conduct|শেষাংশ=Andrews|প্রথমাংশ=D. A.|তারিখ=1994|প্রকাশক=Anderson Pub|অবস্থান=Cincinnati, OH|অন্যান্য=James Bonta|আইএসবিএন=0-87084-711-2|oclc=29561317}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/0361684312461138|শিরোনাম=Relative Importance of Emotional Dysregulation, Hostility, and Impulsiveness in Predicting Intimate Partner Violence Perpetrated by Men in Alcohol Treatment|শেষাংশ=Tharp|প্রথমাংশ=Andra Teten|শেষাংশ২=Schumacher|প্রথমাংশ২=Julie A.|শেষাংশ৩=Samper|প্রথমাংশ৩=Rita E.|শেষাংশ৪=McLeish|প্রথমাংশ৪=Alison C.|শেষাংশ৫=Coffey|প্রথমাংশ৫=Scott F.|তারিখ=2012-10|সাময়িকী=Psychology of Women Quarterly|খণ্ড=37|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=51–60| |
অপরাধী ব্যক্তিও ভবিষ্যতের পারিবারিক সহিংসতার ঝুঁকি হ্রাস করতে,<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/29561317|শিরোনাম=The psychology of criminal conduct|শেষাংশ=Andrews|প্রথমাংশ=D. A.|তারিখ=1994|প্রকাশক=Anderson Pub|অবস্থান=Cincinnati, OH|অন্যান্য=James Bonta|আইএসবিএন=0-87084-711-2|oclc=29561317}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/0361684312461138|শিরোনাম=Relative Importance of Emotional Dysregulation, Hostility, and Impulsiveness in Predicting Intimate Partner Violence Perpetrated by Men in Alcohol Treatment|শেষাংশ=Tharp|প্রথমাংশ=Andra Teten|শেষাংশ২=Schumacher|প্রথমাংশ২=Julie A.|শেষাংশ৩=Samper|প্রথমাংশ৩=Rita E.|শেষাংশ৪=McLeish|প্রথমাংশ৪=Alison C.|শেষাংশ৫=Coffey|প্রথমাংশ৫=Scott F.|তারিখ=2012-10|সাময়িকী=Psychology of Women Quarterly|খণ্ড=37|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=51–60|ডিওআই=10.1177/0361684312461138|issn=0361-6843}}</ref> অথবা সহিংসতা বন্ধ করতে বা এর ফলে হওয়া ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধার করতে কাউন্সিলিং এর ব্যবহার করতে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9781315532776|শিরোনাম=Innovations in Interventions to Address Intimate Partner Violence|তারিখ=2017-04-21|সম্পাদক-শেষাংশ=Augusta-Scott|সম্পাদক-প্রথমাংশ=Tod|সম্পাদক-শেষাংশ২=Scott|সম্পাদক-প্রথমাংশ২=Katreena|ডিওআই=10.4324/9781315532776|সম্পাদক-শেষাংশ৩=Tutty|সম্পাদক-প্রথমাংশ৩=Leslie M.}}</ref> সাধারণত, দণ্ডিত বা স্ব-উল্লেখকারী অপরাধীরা ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর প্রতি সহিংসতায় নিজেদের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করে। এগুলি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে এক বা দুটি ঘন্টা একটি গ্রুপ বিন্যাসে বিতরণ করা হয়। প্রোগ্রামের প্রচারকরা প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষা-প্রক্রিয়ার মডিউলগুলির একটি পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের গাইড করে, যা বিভিন্ন থেরাপিউটিক পদ্ধতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তবে মূলত জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি এবং মানসিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। এই প্রোগ্রামগুলির কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক আছে। যদিও অপরাধীদের কিছু (প্রাক্তন) অংশীদাররা তাদের অবস্থার উন্নতি দেখতে পেয়েছে আবার, অন্যরা তা পায়নি এবং সেখানেও কিন্তু ক্ষতি করার ঝুঁকি তৈরি হয়।<ref name="ReferenceN">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1177/1524838015584358|শিরোনাম=Survivor Perspectives on IPV Perpetrator Interventions|শেষাংশ=McGinn|প্রথমাংশ=Tony|শেষাংশ২=Taylor|প্রথমাংশ২=Brian|শেষাংশ৩=McColgan|প্রথমাংশ৩=Mary|শেষাংশ৪=Lagdon|প্রথমাংশ৪=Susan|তারিখ=2015-05-11|সাময়িকী=Trauma, Violence, & Abuse|খণ্ড=17|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=239–255|ডিওআই=10.1177/1524838015584358|issn=1524-8380}}</ref> |
||
যূথবদ্ধ কর্ম প্রক্রিয়া ব্যবহারের পাশাপাশি, এমন অন্যান্য পন্থাও রয়েছে যা সহিংসতা বন্ধ করতে এবং |
যূথবদ্ধ কর্ম প্রক্রিয়া ব্যবহারের পাশাপাশি, এমন অন্যান্য পন্থাও রয়েছে যা সহিংসতা বন্ধ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা এবং সম্মান ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করার জন্য স্বতন্ত্র এবং সম্মিলিত কথোপকথনকে সমন্বিত করে।<ref name="ReferenceN"/> |
||
পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধের উপায় হিসেবে প্রতিরোধ এবং হস্তক্ষেপের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়, সঙ্কট হস্তক্ষেপ, উকিল এবং শিক্ষা এবং প্রতিরোধ কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে সম্প্রদায়গত স্ক্রিনিং বা আশ্রয়ের ব্যবস্থা পশু নির্যাতন, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, জরুরী বিভাগ, আচরণগত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং আদালত ব্যবস্থার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আরও নিয়মতান্ত্রিক হতে পারে। পারিবারিক সহিংসতার স্ক্রিনিংয়ের সুবিধার্থে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশানের মতো সরঞ্জামের বিকাশ করা হচ্ছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1176/appi.pn.2016.10a6|শিরোনাম=Surgeon General Calls on Physicians to Help End Opioid Abuse|শেষাংশ=Levin|প্রথমাংশ=Aaron|তারিখ=2016-10-07|সাময়িকী=Psychiatric News|খণ্ড=51|সংখ্যা নং=19|পাতাসমূহ=1–1| |
পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধের উপায় হিসেবে প্রতিরোধ এবং হস্তক্ষেপের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়, সঙ্কট হস্তক্ষেপ, উকিল এবং শিক্ষা এবং প্রতিরোধ কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে সম্প্রদায়গত স্ক্রিনিং বা আশ্রয়ের ব্যবস্থা পশু নির্যাতন, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, জরুরী বিভাগ, আচরণগত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং আদালত ব্যবস্থার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আরও নিয়মতান্ত্রিক হতে পারে। পারিবারিক সহিংসতার স্ক্রিনিংয়ের সুবিধার্থে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশানের মতো সরঞ্জামের বিকাশ করা হচ্ছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1176/appi.pn.2016.10a6|শিরোনাম=Surgeon General Calls on Physicians to Help End Opioid Abuse|শেষাংশ=Levin|প্রথমাংশ=Aaron|তারিখ=2016-10-07|সাময়িকী=Psychiatric News|খণ্ড=51|সংখ্যা নং=19|পাতাসমূহ=1–1|ডিওআই=10.1176/appi.pn.2016.10a6|issn=0033-2704}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-3-658-09548-2_5|শিরোনাম=Das Apple-Imperium 2.0|শেষাংশ=Jacobsen|প্রথমাংশ=N.|তারিখ=2016-09-01|প্রকাশক=Springer Fachmedien Wiesbaden|অবস্থান=Wiesbaden|পাতাসমূহ=21–23|আইএসবিএন=978-3-658-09547-5}}</ref> ডুলুথ মডেল বা পারিবারিক নির্যাতনে হস্তক্ষেপ প্রকল্পটি নারীদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা হ্রাস করার জন্য তৈরি একটি কর্মসূচি,<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/springerreference_63085|শিরোনাম=University of Minnesota (UMN) Map Server|সাময়িকী=SpringerReference|প্রকাশক=Springer-Verlag|অবস্থান=Berlin/Heidelberg}}</ref> যা পারিবারিক সহিংসতার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন সংস্থার ক্রিয়াকলাপকে সমন্বয় করে নকশা করা প্রথম বহুমুখী একটি কর্মসূচি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1891/9780826179913.0006|শিরোনাম=Education Groups for Men Who Batter|শেষাংশ=Shepard|প্রথমাংশ=Melanie|প্রকাশক=Springer Publishing Company|অবস্থান=New York, NY|আইএসবিএন=978-0-8261-7990-6}}</ref> |
||
পারিবারিক সহিংসতার হটলাইনগুলো অবমাননাকর সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরামর্শ, সহায়তা এবং তথ্য পরিষেবা সরবরাহ করে। |
পারিবারিক সহিংসতার হটলাইনগুলো অবমাননাকর সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরামর্শ, সহায়তা এবং তথ্য পরিষেবা সরবরাহ করে। |
||
= প্রতিরোধ = |
== প্রতিরোধ == |
||
[[চিত্র:(4)_Ghana_Domestic_Violence_is_a_Human_Right_Abuse_Poster.jpg|থাম্ব|[[ঘানা]]<nowiki/>র বলগাটাঙ্গা শহরে পারিবারিক সহিংসতা বিরোোধী পোস্টার।]] |
|||
ডিভি প্রতিরোধ বা হ্রাস করার চেষ্টা করতে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। যে কৌশলটি কার্যকর করা হচ্ছে তার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1136/ip.2010.029629|শিরোনাম=Preventing intimate partner and sexual violence against women: taking action and generating evidence|শেষাংশ=Mikton|প্রথমাংশ=C.|তারিখ=2010-10-01|সাময়িকী=Injury Prevention|খণ্ড=16|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=359–360|doi=10.1136/ip.2010.029629|issn=1353-8047}}</ref> |
|||
ডিভি প্রতিরোধ বা হ্রাস করার চেষ্টা করতে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। যে কৌশলটি কার্যকর করা হচ্ছে তার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ।<ref name=":6"/> |
|||
পারিবারিক সহিংসতা যাতে আইনের আওতায় আসে তা নিশ্চিত করার জন্য আইনের সংস্কার করা জরুরি। এটি বিদ্যমান আইন যা নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে তাকে বাতিল করে দিতে পারে: ডাব্লিওএইচও-র মতে, "যখন আইন স্বামীদের তাদের স্ত্রীদের শারীরিকভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার অনুমতি দেয়, তখন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক সহিংসতা রোধে একটি কর্মসূচী প্রয়োগ করা খুব কম প্রভাব ফেলতে পারে"।<ref name=":6">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1136/ip.2010.029629|শিরোনাম=Preventing intimate partner and sexual violence against women: taking action and generating evidence|শেষাংশ=Mikton|প্রথমাংশ=C.|তারিখ=2010-10-01|সাময়িকী=Injury Prevention|খণ্ড=16|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=359–360| |
পারিবারিক সহিংসতা যাতে আইনের আওতায় আসে তা নিশ্চিত করার জন্য আইনের সংস্কার করা জরুরি। এটি বিদ্যমান আইন যা নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে তাকে বাতিল করে দিতে পারে: ডাব্লিওএইচও-র মতে, "যখন আইন স্বামীদের তাদের স্ত্রীদের শারীরিকভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার অনুমতি দেয়, তখন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক সহিংসতা রোধে একটি কর্মসূচী প্রয়োগ করা খুব কম প্রভাব ফেলতে পারে"।<ref name=":6">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1136/ip.2010.029629|শিরোনাম=Preventing intimate partner and sexual violence against women: taking action and generating evidence|শেষাংশ=Mikton|প্রথমাংশ=C.|তারিখ=2010-10-01|সাময়িকী=Injury Prevention|খণ্ড=16|সংখ্যা নং=5|পাতাসমূহ=359–360|ডিওআই=10.1136/ip.2010.029629|issn=1353-8047}}</ref> বিবাহের আইনগুলোও গুরুত্বপূর্ণ, "তাদের [নারীদের] স্বাধীনভাবে একটি বিবাহের ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে বা এটি ত্যাগ করতে, আর্থিকভাবে লাভবান হতে এবং সম্পত্তি মালিকানাধীন ও পরিচালনা করতে সক্ষম হওয়া উচিত"।<ref name=":6" /> যৌতুক ও কনে মূল্যের আদান-প্রদান বাতিলকরণ বা সীমাবদ্ধকরণ এবং ডিভি সম্পর্কিত আইনী সিদ্ধান্তের উপর এই লেনদেনগুলির প্রভাবের তদন্ত করাও গুরুত্বপূর্ণ। ইউএন উইমেন বলেছে, আইনে এটি নিশ্চিত করা উচিত যে "বৈবাহিক ধর্ষণ সহ পারিবারিক সহিংসতার একজন অপরাধী পারিবারিক সহিংসতার পক্ষে নিজের আত্মরক্ষার জন্য কখনো এ কথা বলতে পারবেন না যে তিনি কনে মূল্য দিয়েছিলেন"।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5422/fso/9780199565061.003.0019|শিরোনাম=Violence Against Women|শেষাংশ=Marsha A|প্রথমাংশ=Freeman|শেষাংশ২=Christine|প্রথমাংশ২=Chinkin|শেষাংশ৩=Beate|প্রথমাংশ৩=Rudolf|তারিখ=2012-01-01|সাময়িকী=The UN Convention on the Elimination of All Forms of Discrimination Against Women|ডিওআই=10.5422/fso/9780199565061.003.0019}}</ref> |
||
লৈঙ্গিক আদর্শ যেভাবে নারীকে হীন হিসেবে প্রকাশ করে তাও ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক নির্যাতনের দিকে পরিচালিত করতে পারে। ডাব্লিওএইচও বলছে, " পুরুষতন্ত্র এবং নারীত্বের মধ্যে নির্মিত ভেদরেখাকে বাতিল করা এবং বৈষম্যকে সমর্থন করে এমন কাঠামোগত কারণগুলোকে নির্মূল করা ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক এবং যৌন সহিংসতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।"<ref |
লৈঙ্গিক আদর্শ যেভাবে নারীকে হীন হিসেবে প্রকাশ করে তাও ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক নির্যাতনের দিকে পরিচালিত করতে পারে। ডাব্লিওএইচও বলছে, " পুরুষতন্ত্র এবং নারীত্বের মধ্যে নির্মিত ভেদরেখাকে বাতিল করা এবং বৈষম্যকে সমর্থন করে এমন কাঠামোগত কারণগুলোকে নির্মূল করা ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক এবং যৌন সহিংসতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।"<ref name=":6"/> |
||
[[চিত্র:Live Fear Free - Domestic Abuse.webm|বাম|থাম্ব|একটি সংক্ষিপ্ত টিভি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পারিবারিক নির্যাতনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ওয়েলশ সরকারের প্রচারাভিযান।]] |
|||
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলির মতে, "পারিবারিক সহিংসতা রোধে একটি মূল কৌশল হল ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং সামাজিক স্তরে পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্মানজনক, অহিংস সম্পর্কের প্রসার ঘটানো।"<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/ofid/ofv131.60|শিরোনাম=Automated Outbreak Detection of Hospital-Associated Infections|শেষাংশ=Baker|প্রথমাংশ=Meghan|শেষাংশ২=Yokoe|প্রথমাংশ২=Deborah S.|শেষাংশ৩=Stelling|প্রথমাংশ৩=John|শেষাংশ৪=Kaganov|প্রথমাংশ৪=Rebecca E.|শেষাংশ৫=Letourneau|প্রথমাংশ৫=Alyssa R.|শেষাংশ৬=O'Brien|প্রথমাংশ৬=Thomas|শেষাংশ৭=Kulldorff|প্রথমাংশ৭=Martin|শেষাংশ৮=Babalola|প্রথমাংশ৮=Damilola|শেষাংশ৯=Barrett|প্রথমাংশ৯=Craig|তারিখ=2015|সাময়িকী=Open Forum Infectious Diseases|খণ্ড=2|সংখ্যা নং=suppl_1|ডিওআই=10.1093/ofid/ofv131.60|issn=2328-8957}}</ref> স্কুল-ভিত্তিক প্রোগ্রামগুলোর মতো প্রাথমিক হস্তক্ষেপ কর্মসূচি ডেটিং সহিংসতা প্রতিরোধ করার জন্য কার্যকর।<ref name=":6" /> হিংসাত্মক বাড়িতে বেড়ে ওঠা শিশুদের মনে হতে পারে যে, এই ধরনের আচরণ জীবনের একটি সাধারণ অঙ্গ, তাই এই শিশুদের কাছাকাছি থাকার সময় এই ধরনের মনোভাবগুলিকে চ্যালেঞ্জ করা গুরুত্বপূর্ণ।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.7748/ns2006.02.20.22.37.b427|শিরোনাম=Intimate Partner Abuse and Health Professionals - New Approaches to Domestic ViolenceIntimate Partner Abuse and Health Professionals - New Approaches to Domestic Violence|শেষাংশ=Hadwin|প্রথমাংশ=Peter|তারিখ=2006-02-08|সাময়িকী=Nursing Standard|খণ্ড=20|সংখ্যা নং=22|পাতাসমূহ=37–37|ডিওআই=10.7748/ns2006.02.20.22.37.b427|issn=0029-6570}}</ref> |
|||
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১৬ বিশ্বব্যাপী প্রচার এবং কার্যকর প্রতিষ্ঠানের দাবির মাধ্যমে পারিবারিক সহিংসতাসহ সকল প্রকার সহিংসতার অবসান ঘটানোর লক্ষ্য গ্রহণ করেছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/9789004366619_005|শিরোনাম=The Marine Environment and United Nations Sustainable Development Goal 14|তারিখ=2018-10-08|প্রকাশক=Brill {{!}} Nijhoff|পাতাসমূহ=16–22|আইএসবিএন=978-90-04-36661-9}}</ref> [[উন্নয়নশীল দেশ]] ও অঞ্চলগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বব্যাপী এই এসডিজি লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে ২০১৬ সালে ইউএন-ইইউ স্পটলাইটের যৌথ উদ্যোগ চালু করা হয়েছিল।<ref name=":7">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/1872-5309_ewic_ewiccom_0206b|শিরোনাম=Spirit Possession: Caucasus, Central Asia, Iran, and Afghanistan|ওয়েবসাইট=Encyclopedia of Women & Islamic Cultures|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-09}}</ref> স্পটলাইট উদ্যোগটি বাস্তবায়নকারী এবং লক্ষ্যযুক্ত উভয় সমাজ যেখানে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির পক্ষে বিষয়টি জটিল সে সকল বাস্তবায়নকারি অংশীদারদের দ্বারা গৃহীত হয়েছে - জাতিসংঘ, ইইউ এবং কাজাখস্তান এবং আফগানিস্তান এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পেরেছে।<ref name=":7" /> |
|||
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলির মতে, "পারিবারিক সহিংসতা রোধে একটি মূল কৌশল হল ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং সামাজিক স্তরে পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্মানজনক, অহিংস সম্পর্কের প্রসার ঘটানো।"<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/ofid/ofv131.60|শিরোনাম=Automated Outbreak Detection of Hospital-Associated Infections|শেষাংশ=Baker|প্রথমাংশ=Meghan|শেষাংশ২=Yokoe|প্রথমাংশ২=Deborah S.|শেষাংশ৩=Stelling|প্রথমাংশ৩=John|শেষাংশ৪=Kaganov|প্রথমাংশ৪=Rebecca E.|শেষাংশ৫=Letourneau|প্রথমাংশ৫=Alyssa R.|শেষাংশ৬=O'Brien|প্রথমাংশ৬=Thomas|শেষাংশ৭=Kulldorff|প্রথমাংশ৭=Martin|শেষাংশ৮=Babalola|প্রথমাংশ৮=Damilola|শেষাংশ৯=Barrett|প্রথমাংশ৯=Craig|তারিখ=2015|সাময়িকী=Open Forum Infectious Diseases|খণ্ড=2|সংখ্যা নং=suppl_1|doi=10.1093/ofid/ofv131.60|issn=2328-8957}}</ref>স্কুল-ভিত্তিক প্রোগ্রামগুলোর মতো প্রাথমিক হস্তক্ষেপ কর্মসূচি ডেটিং সহিংসতা প্রতিরোধ করার জন্য কার্যকর।<ref name=":6" /> হিংসাত্মক বাড়িতে বেড়ে ওঠা শিশুদের মনে হতে পারে যে, এই ধরনের আচরণ জীবনের একটি সাধারণ অঙ্গ, তাই এই শিশুদের কাছাকাছি থাকার সময় এই ধরনের মনোভাবগুলিকে চ্যালেঞ্জ করা গুরুত্বপূর্ণ।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.7748/ns2006.02.20.22.37.b427|শিরোনাম=Intimate Partner Abuse and Health Professionals - New Approaches to Domestic ViolenceIntimate Partner Abuse and Health Professionals - New Approaches to Domestic Violence|শেষাংশ=Hadwin|প্রথমাংশ=Peter|তারিখ=2006-02-08|সাময়িকী=Nursing Standard|খণ্ড=20|সংখ্যা নং=22|পাতাসমূহ=37–37|doi=10.7748/ns2006.02.20.22.37.b427|issn=0029-6570}}</ref> |
|||
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১৬ বিশ্বব্যাপী প্রচার এবং কার্যকর প্রতিষ্ঠানের দাবির মাধ্যমে পারিবারিক সহিংসতাসহ সকল প্রকার সহিংসতার অবসান ঘটানোর লক্ষ্য গ্রহণ করেছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/9789004366619_005|শিরোনাম=The Marine Environment and United Nations Sustainable Development Goal 14|তারিখ=2018-10-08|প্রকাশক=Brill {{!}} Nijhoff|পাতাসমূহ=16–22|আইএসবিএন=978-90-04-36661-9}}</ref> উন্নয়নশীল দেশ ও অঞ্চলগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বব্যাপী এই এসডিজি লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে ২০১৬ সালে ইউএন-ইইউ স্পটলাইটের যৌথ উদ্যোগ চালু করা হয়েছিল।<ref name=":7">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/1872-5309_ewic_ewiccom_0206b|শিরোনাম=Spirit Possession: Caucasus, Central Asia, Iran, and Afghanistan|ওয়েবসাইট=Encyclopedia of Women & Islamic Cultures|সংগ্রহের-তারিখ=2021-04-09}}</ref> স্পটলাইট উদ্যোগটি বাস্তবায়নকারী এবং লক্ষ্যযুক্ত উভয় সমাজ যেখানে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির পক্ষে বিষয়টি জটিল সে সকল বাস্তবায়নকারি অংশীদারদের দ্বারা গৃহীত হয়েছে - জাতিসংঘ, ইইউ এবং কাজাখস্তান এবং আফগানিস্তান এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পেরেছে।<ref name=":7" /> |
|||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
||
{{সূত্র তালিকা|30em}} |
{{সূত্র তালিকা|30em}} |
||
== বহিঃসংযোগ == |
|||
= বহি:সংযোগ = |
|||
* [http://www.dw.de/popups/mediaplayer/contentId_3968567_mediaId_3968584 বাংলাদেশে গৃহ নির্যাতন প্রসঙ্গে মহিলা |
* [http://www.dw.de/popups/mediaplayer/contentId_3968567_mediaId_3968584 বাংলাদেশে গৃহ নির্যাতন প্রসঙ্গে মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সালমা আলীর বক্তব্য]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }} |
||
{{নারীর প্রতি সহিংসতা পরিভ্রমণ বাক্স}} |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:নারীর প্রতি সহিংসতা]] |
[[বিষয়শ্রেণী:নারীর প্রতি সহিংসতা]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:পারিবারিক সহিংসতা]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:দুর্ব্যবহার]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:শিশুদের প্রতি সহিংসতা]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:পুরুষের প্রতি সহিংসতা]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:মৃত্যুর কারণ]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:অপরাধ]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:পরিবার]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:নারীর প্রতি অপরাধ]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:শিশু অধিকার]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:নারী অধিকার]] |
০৯:৩৬, ২৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
পারিবারিক সহিংসতা | |
---|---|
প্রতিশব্দ | গৃহ নির্যাতন |
পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরীতে ব্যবহৃত বেগুনি রঙের ফিতা |
নারীর প্রতি সহিংসতা |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
হত্যা |
যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ |
বিকৃতি |
অন্যান্য বিষয় |
আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো |
সম্পর্কিত বিষয় |
পারিবারিক সহিংসতা ( যা গৃহ নির্যাতন বা পরিবারে সংঘটিত সহিংসতা নামেও পরিচিত) বলতে বিবাহ বা একত্রে বসবাসের মত পারিবারিক পরিবেশে সংঘটিত সহিংসতা বা অন্যান্য নির্যাতন বোঝানো হয়। সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে সহিংসতার প্রতিশব্দ হিসাবে বর্তমান পারিবারিক সহিংসতা প্রায়শই ব্যবহৃত হয়, যা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে থাকা একজন ব্যক্তি অপর ব্যক্তির প্রতি করে থাকে এবং বিপরীত লিঙ্গের সম্পর্কগুলোতে বা একই লিঙ্গভিত্তিক সম্পর্ক বা প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী বা সঙ্গীদের মধ্যে হতে পারে। বিস্তৃত অর্থে, শিশু, কিশোর, বাবা-মা বা বয়োজ্যোষ্ঠদর প্রতি সহিংসতাও পারিবারিক সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত। এটি শারীরিক, মৌখিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, প্রজননমূলক এবং যৌন নির্যাতনসহ একাধিক রূপ পরিগ্রহ করে, যেখানে সূক্ষ্ম, জবরদস্তিপূর্ণ রূপ থেকে শুরু করে ধর্ষণ, দমবন্ধ, মারধর, নারী জননাঙ্গের বিকৃতি ও এসিড নিক্ষেপের মতো সহিংস শারীরিক নির্যাতন পর্যন্ত হতে পারে, যা অবশেষে পঙ্গুত্ব বা মৃত্যু ডেকে আনে।
পারিবারিক হত্যাকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে পাথর মেরে হত্যা করা, গৃহবধূকে অগ্নিদগ্ধ করা, অনার কিলিং বা সম্মান রক্ষার্থে হত্যা এবং যৌতুকের কারণে মৃত্যু (যা কখনও কখনও পরিবারের সদস্যদের যোগসাজসে হয়ে থাকে)।
বিশ্বব্যাপী পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা অধিকাংশই নারী এবং নারীরাই সহিংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ ধরনের মুখোমুখি হন।[১][২] আবার তারা পুরুষের তুলনায় ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতাকে আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবেও বেশি ব্যবহার করেন।[৩] কিছু কিছু দেশে পারিবারিক সহিংসতাকে ন্যায়সঙ্গত বা আইনত অনুমোদিত হিসেবেও দেখা যায়, বিশেষত যদি নারী প্রকৃতই বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করেন বা সন্দেহভাজন হন। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি দেশের লিঙ্গ সমতার স্তর এবং পারিবারিক সহিংসতার হারের মধ্যে একটি প্রত্যক্ষ এবং তাৎপর্যপূর্ণ পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে, লিঙ্গ সমতা কম থাকা দেশগুলিতে পারিবারিক সহিংসতার অনেক হার বেশি।[৪] নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই বিশ্বব্যাপী পারিবারিক সহিংসতা সর্বাধিক অবহেলিত অপরাধগুলির মধ্যে একটি ।[৫][৬] পুরুষ নির্যাতনের বিষয়টি সামাজিকভাবে লজ্জার বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয় বলে পারিবারিক সহিংসতার শিকার পুরুষরা স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীদের দ্বারা অবহেলিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।[৭][৮][৯][১০]
পারিবারিক সহিংসতা প্রায়শই ঘটে যখন নির্যাতক ব্যক্তি মনে করেন যে, নির্যাতন করা এক প্রকার অধিকার, গ্রহণযোগ্য, ন্যায়সঙ্গত বিষয় বা এ বিষয়ে রিপোর্ট বা প্রতিবেদন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এটি আন্তঃপ্রজন্মভিত্তিক সহিংসতার একটি চক্র তৈরি করতে পারে যেখানে এ ধরনের সহিংসতাকে গ্রহণযোগ্য বা ক্ষমাযোগ্য মনে করা হয়। অনেক লোক নিজেকে নির্যাতনকারী বা ভুক্তভোগী হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না কারণ তারা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো অনিয়ন্ত্রিত পারিবারিক দ্বন্দ্বের প্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করেন।[১১] পারিবারিক সহিংসতা বিষয়ে সচেতনতা, এর উপলব্ধি, সংজ্ঞা এবং দলিলিকরণের বিষয়টি দেশ দেশে ব্যাপকভাবে ভিন্ন। পারিবারিক সহিংসতা প্রায়শই জোরপূর্বক বিয়ে বা বাল্যবিবাহের প্রেক্ষাপটে ঘটে থাকে।[১২]
নির্যাতনকেন্দ্রিক সম্পর্কগুলোতে, নির্যাতনের একটি চক্র থাকতে পারে যেখানে প্রথমে উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং তারপর সহিংসতার ঘটনা ঘটে থাকে; অতঃপর মিলন এবং শান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা বিচ্ছিন্নতা, শক্তি ও নিয়ন্ত্রণ, নির্যাতকের সঙ্গে যন্ত্রণাদায়ক বন্ধন,[১৩] সাংস্কৃতিক গ্রহণযোগ্যতা, আর্থিক সংস্থান, ভয়, লজ্জা এবং বাচ্চাদের সুরক্ষার জন্য পারিবারিক সহিংস পরিস্থিতিতে আবদ্ধ হতে পারেন। নির্যাতনের ফলস্বরূপ ভুক্তভোগীগণ শারীরিক অক্ষমতা, অনিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন, দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা, মানসিক অসুস্থতা, সীমাবদ্ধ অর্থসংস্থান এবং সুস্থ সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে দুর্বলতার পরিচয় ইত্যাদি নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। তারা মারাত্মক মানসিক ব্যাধি যেমন পোস্টট্রোম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (আঘাত পরবর্তী মানসিক চাপ) সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। যে শিশুরা সহিংসতাপূর্ণ পরিবারে বসবাস করে তারা প্রায়শই ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভোগে, যেমন এড়িয়ে চলা, অযাচিত অতিরিক্ত ভীতি এবং অনিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন, যা পরিণতিতে পরোক্ষ মানসিক আঘাত তৈরিতে অবদান রাখতে পারে।[১৪]
ব্যুৎপত্তি এবং সংজ্ঞা
[সম্পাদনা]আধুনিক প্রেক্ষাপটে গৃহের ভেতরে সহিংসতা অর্থে পারিবারিক সহিংসতা শব্দটির প্রথম জ্ঞাত ব্যবহার হয়েছিল, ১৯৭৩ সালে জ্যাক অ্যাশলের যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে।[১৫][১৬] এই শব্দটি দিয়ে সাধারণত বিদেশি কোন দেশ কর্তৃক সহিংসতার স্থলে কোন দেশের অভ্যন্তরে তৈরি হওয়া অস্থিরতা ও সহিংসতাকে বোঝানো হয়।[১৭][১৮][১৯]
পারিবারিক সহিংসতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শারীরিক সহিংসতার সাথে জড়িত। স্ত্রীকে অত্যাচার, স্ত্রীকে মারধর, স্ত্রীকে আঘাত এবং মার খাওয়া নারী ইত্যাদি শব্দ সাধারণত ব্যবহার করা হলেও অবিবাহিত সঙ্গী, শারীরিক ছাড়াও অন্যন্য ধরনের নির্যাতন, নারী অপরাধী এবং সমকামী সম্পর্কের[২০][২১] অন্তর্ভুক্তির কারণে এদের উপযোগীতা হ্রাস পেয়েছে। "শারীরিক, যৌন, মানসিক বা অর্থনৈতিক সহিংসতার[২২] সমস্ত ক্রিয়াকলাপ" অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সহিংসতাকে এখন বিস্তৃতভাবে সংজ্ঞায়িত হয় যা পরিবারের কোন সদস্য অথবা ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সংঘটিত হতে পারে।[২২][২৩][২৪]
ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতা শব্দটি প্রায়শই পারিবারিক নির্যাতন[২৫] বা পারিবারিক সহিংসতার[২৬] সমার্থক শব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি বিশেষত দাম্পত্য সম্পর্কের (যেমন, বিবাহিত দম্পতি, একই সাথে বসবাসরত কিংবা আলাদা বসবাসরত অন্তরঙ্গ সঙ্গী) মধ্যে সংঘটিত সহিংসতাকে বোঝায়।[২৭] এগুলোর সাথে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিও এইচ ও) নির্যাতনের ধরন বোঝাতে নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণও সংযুক্ত করেছে।[২৮] ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতা বিপরীত ও সমলিঙ্গের সম্পর্কের[২৯] মধ্যেও দেখা গিয়েছে এবং নারীর বিরুদ্ধে পুরুষ ও পুরুষের বিরুদ্ধে নারী[৩০] উভয় ধরনের সহিংসতার উদাহরণ দেখা গিয়েছে। আর ফ্যামিলি ভায়োলেন্সও পারিবারিক সহিংসতা যা একটি বিস্তৃত শব্দ এবং প্রায়শই শিশু নির্যাতন, বয়স্ক নির্যাতন ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অন্যান্য হিংসাত্মক আচরণগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে।[২৮][৩১][৩২]
১৯৯৩ সালে, জাতিসংঘের নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা দূরীকরণের ঘোষণাপত্রে পারিবারিক সহিংসতাকে সংজ্ঞায়িত করেছিল এভাবে:
পরিবারে মেয়ে শিশুদের যৌন নির্যাতন, যৌতুক-সম্পর্কিত সহিংসতা, বৈবাহিক ধর্ষণ, নারী যৌনাঙ্গের বিচ্ছেদ এবং নারীদের জন্য ক্ষতিকারক অন্যান্য চিরাচরিত অনুশীলন, বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া সহিংসতা এবং শোষণমূলক সহিংসতার প্রকাশ দেখা যায়, যখন পরিবারে শারীরিক, যৌন ও মানসিক সহিংসতা সংঘটিত হয়।[৩৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা থেকে জানা যায়, ১৮০০র গোড়ার দিকে, বেশিরভাগ আইনী ব্যবস্থাগুলো স্পষ্টতই স্ত্রীকে মারধর করাকে স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার হিসেবে গ্রহণ করেছিল।[৩৪][৩৫] ষোড়শ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের প্রচলিত আইনে পারিবারিক সহিংসতাকে কোন নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের বদলে সামাজিক অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হতো যা দ্বারা শান্তি ভঙ্গ হয়। স্ত্রীদের স্থানীয় শান্তি বিধায়কের কাছে পুনরায় শান্তি প্রতিষ্ঠার আবেদন করবার অধিকার ছিল।
পদ্ধতিগুলো অনানুষ্ঠানিক এবং অসংরক্ষিত ছিল, এবং কোনও আইনি নির্দেশিকায় সহিংসতার কতটুকু প্রমাণ থাকলে বা মাত্রা কতটুকু হলে তা বিচারের আওতায় আনা যাবে সে উল্লেখ ছিল না । দুটি সাধারণ শাস্তি স্বামীকে শান্তি স্থাপনে বাধ্য করত, বা ভবিষ্যতে ভাল আচরণের গ্যারান্টি দিয়ে সহযোগীদের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করত। মারধরের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে শারীরিক আক্রমণের অভিযোগ আনা যেত, যদিও এই জাতীয় মামলাগুলি বিরল ছিল এবং গুরুতর আঘাত বা মৃত্যুর ক্ষেত্র ছাড়া সাধারণত ছোটখাটো জরিমানা দিয়েই শাস্তি সম্পন্ন করা হতো।[৩৬]
একই ভাবে, এই কাঠামোটি আমেরিকান উপনিবেশগুলিতে গৃহীত হয়েছিল। ১৬৪১ সালে ম্যাসাচুসেটস বে উপনিবেশীকদের বডি অফ লিবার্টিজ ঘোষণা করেছিল যে, একজন বিবাহিত নারীর "তার স্বামীর দ্বারা শারীরিক সংশোধন বা আচড় থেকে মুক্ত থাকা উচিত।"[৩৭] নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং রোড আইল্যান্ডও তাদের ফৌজদারী বিধিমালায় স্ত্রীকে মারধর করার বিষয়টি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছিল।[৩৬]
আমেরিকান বিপ্লবের পর, আইনী ব্যবস্থায় পরিবর্তন স্থানীয় বিচারপতিদের চেয়ে রাজ্য আদালতের হাতে বেশি ক্ষমতা অর্পণ করেছিল। অনেক রাজ্যই তাদের আইনসভা থেকে বিবাহবিচ্ছেদের মামলার এখতিয়ারকে তাদের বিচার বিভাগে স্থানান্তরিত করে, এবং তাতে নিষ্ঠুরতা ও প্রহারের শিকার নারীদের আইনসম্মতভাবে বিবাহবিচ্ছেদ বা আইনী সহায়তা নেয়ার হার বাড়তে থাকে।
এতে প্রমাণ উপস্থাপন করার একটি বড় দায়ও নারীদের উপর তৈরি হয়েছিল, কারণ আদালতে তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে ছিল সেটি প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণ করতে হতো। ১৮২৪ সালে, মিসিসিপি সুপ্রিম কোর্ট, অঙ্গুলির নিয়মের বরাত দিয়ে স্টেট বনাম ব্র্যাডলি মামলাটি স্ত্রী মারধরের প্রতি ইতিবাচক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল, যে নজির পরবর্তী কয়েক দশক ধরে সাধারণ আইনকে প্রভাবিত করেছিল।[৩৬]
উনিশ শতকে রাজনৈতিক আন্দোলন এবং প্রথম-তরঙ্গের নারীবাদী আন্দোলনের ফলে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের পারিবারিক সহিংসতা সম্পর্কিত জনপ্রিয় মতামত এবং আইন উভয়ই পরিবর্তিত হয়েছিল।[৩৮][৩৯] ১৮৫০ সালে, টেনেসি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্য ছিল যারা স্পষ্টভাবে স্ত্রীকে প্রহার করা নিষিদ্ধ করে।[৪০][৪১][৪২] শীঘ্রই অন্যান্য রাজ্যগুলি এর অনুসরণ করেছিল।[৩৫][৪৩] ১৮৭১ সালে ম্যাসাচুসেটস এবং আলাবামার আদালত ব্র্যাডলি মামলার রুল বাতিল করে দিলে আইনী মতামতের জোয়ার স্ত্রী-প্রহারের অধিকারের ধারণার বিরুদ্ধে যেতে শুরু করে।[৩৬] ১৮৭৮ সালে, যুক্তরাজ্যে বৈবাহিক কারণ সংক্রান্ত আইনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের নারীদের অত্যাচারী স্বামীর কাছ থেকে আইনী বিচ্ছেদ দাবি চাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়।[৪৪] ১৮৭০ এর দশকের শেষ দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ আদালত স্ত্রীদের শারীরিকভাবে শাসন করার স্বামীদের চিরায়ত অধিকারকে প্রত্যাখ্যান করে।[৪৫] বিশ শতকের গোড়ার দিক থেকে পুলিশের পারিবারিক সহিংতার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায় যদিও তখনও গ্রেফতারের ঘটনা বিরলই ছিল।[৪৬]
বিশ্বজুড়ে বেশিরভাগ আইনী ব্যবস্থায়, ১৯৯০ এর দশক থেকেই কেবল পারিবারিক সহিংসতার বিষয়টি সম্বোধন করা শুরু হয়েছে; প্রকৃতপক্ষে, বিংশ শতাব্দীর শেষের দিক ছাড়া, বেশিরভাগ দেশগুলিতে এ ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে আইন বা আইনী অনুশীলনে সুরক্ষা ছিল না বললেই চলে।[৪৭] ১৯৯৩ সালে, জাতিসংঘ পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল প্রকাশ করেছে।[৪৮] এই প্রকাশনায় বিশ্বজুড়ে দেশগুলোতে পারিবারিক সহিংসতাকে কে অপরাধমূলক আচরণ হিসাবে গণ্য করার আহ্বান জানানো হয় এবং বলা হয় যে একটি ব্যক্তিগত পারিবারিক জীবনের অধিকার মানে পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনের অধিকার নয়। পাশাপাশি এও স্বীকার করে নেয়া হয় যে, প্রকাশনাটি লেখার সময় বেশিরভাগ আইনী ব্যবস্থা পারিবারিক সহিংসতাকে আইনের আওতার বাইরে হিসেবে বিবেচনা করে। তাদের যুক্তিগুলো এভাবে ব্যাখ্যা করা যায়: "বাচ্চাদের শারীরিক আঘাতের মধ্য দিয়ে শৃঙ্খলা শেখানোর চেষ্টা অনুমোদিত এবং অনেক আইনী ব্যবস্থায় উত্সাহিত করা হয়েছে এবং প্রচুর সংখ্যক দেশ স্ত্রীকে হালকা শারীরিক শাস্তি দেওয়ার অনুমতি দেয় বা, যদি তারা এখন তা নাও করে থাকে তবে গত ১০০ বছরের মধ্যে তারা এমনটি করেছে। আবার বেশিরভাগ আইনী ব্যবস্থা অপরাধমূলক পরিস্থিতিও চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয় যেখানে কোনও স্ত্রী তার স্বামীর সাথে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য হয়। প্রকৃতপক্ষে স্ত্রীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ক্ষেত্রে, একটি ব্যাপক বিশ্বাস রয়েছে যে নারীরা তাদের স্বামীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট স্তরের সহিংসতা সহ্য করতে বা এমনকি উপভোগও করতে পারে "।[৪৮]
সাম্প্রতিক দশকগুলিতে, পারিবারিক সহিংসতার জন্য আইনী দায়মুক্তি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে, প্রায়শই এই জাতীয় কার্যকলাপকে ব্যক্তিগত মনে করে এই ধারণার ভিত্তিতে দায়মুক্তি দেয়া হয়।[৪৯][৫০] ইস্তাম্বুল কনভেনশন হল পারিবারিক সহিংসতা ও নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলা করার জন্য ইউরোপের প্রথম আইনত বাধ্যবাধকতাভিত্তিক বিধি।[৫১] কনভেনশনটি আইন ও আইন প্রয়োগের জায়গায় নারীর প্রতি সহিংসতাকে এবং পারিবারিক সহিংসতা মেনে নেয়ার প্রবণতার অবসান ঘটাতে চায়। কনভেনশনটির ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদনে ইউরোপীয় দেশগুলোতে সহিংসতার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধরনগুলোকে অবহেলায় দেখার দীর্ঘ রীতি স্বীকার করে নেয়া হয়।[৫২] এর ২১৯ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: "কাউন্সিল অফ ইউরোপের সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে অতীত অনুশীলনের অনেক উদাহরণ রয়েছে যা দেখায় যে, যদি ভুক্তভোগী এবং অপরাধী পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকেন বা এ ধরনের সম্পর্কের মধ্যে থেকে থাকেন তাহলে ঐ সম্পর্কের কারণেই বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলে তাকে স্বীকৃতি দেয়া হতো না। আর এটি দীর্ঘদিন ধরেই এ অবস্থায় ছিল।[৫২]
সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকাণ্ড, যৌতুকের মৃত্যু এবং জোরপূর্বক বিবাহের মতো নির্দিষ্ট ধরনের পারিবারিক সহিংসতার দিকে মনোযোগ বাড়ানো হয়েছে। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ভারত যৌতুকের সহিংসতা রোধে উদ্যোগ নিয়েছে: মহিলা সংস্থাগুলোর বহু বছরের প্রচার ও সক্রিয়তার পরে, ২০০৫ সালে পারিবারিক সহিংসতা থেকে নারী সুরক্ষা আইন (পিডাব্লিউডিভিএ) আইন প্রণীত হয়েছিল।[৫৩] লাতিন আমেরিকাতে আবেগের বশে অপরাধের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে এতটাই প্রশ্রয়ের সাথে হয়ে আসছে যে সেটিও এখন আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকষর্ণ করেছে। ২০০২ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর আইনজীবী পরিচালক উইডনি ব্রাউন যুক্তি দেন যে, আবেগের বশে অপরাধ আর সম্মান রক্ষার্থে হত্যার অপরাধের মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে। তাঁর মতে: "আবেগের বশে অপরাধের ক্ষেত্রেও একই রকম চালিকাশক্তি কাজ করে [সম্মান রক্ষার্থে হত্যার জন্য যেমন] যেখানে নারী পরিবারে পুরুষ সদস্যদের দ্বারা হত্যার শিকার হন আর এই ধরনের অপরাধকেও যুক্তিযুক্ত ও ক্ষমাযোগ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয় "।[৫৪]
ঐতিহাসিকভাবেই, শিশুরা তাদের পিতামাতার দ্বারা সহিংসতা থেকে খুব কম সুরক্ষিত, এবং বিশ্বের অনেক জায়গায় এখনও এটি বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন রোমে একজন বাবা আইনত তার সন্তানদের হত্যা করতে পারতেন। অনেক সংস্কৃতি পিতাদের তাদের সন্তানকে দাসত্বের জন্য বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছে। শিশু ত্যাগ করাও একটি সাধারণ অনুশীলন ছিল।[৫৫] পেডিয়াট্রিক সাইকিয়াট্রিস্ট সি হেনরি কেম্প কর্তৃক "দ্য ব্যাটার্ড চাইল্ড সিন্ড্রোম" প্রকাশনার মাধ্যমে শিশু নির্যাতনের বিষয়টি মূলধারার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করে। এর আগে, শিশুদের আঘাত - এমনকি বারবার হাড় ভেঙে দেয়া — ইচ্ছাকৃত আঘাত হিসেবে সাধারণত স্বীকৃত ছিল না। পরিবর্তে, চিকিৎসকরা প্রায়শই হাড়ের অসুস্থতা নিয়ে পিতামাতার বর্ণনাকে গ্রহণ করতেন; যেমন ভুলবশত পড়ে যাওয়া বা দুষ্ট প্রতিবেশির আঘাত ইত্যাদি।[৫৬]
ধরন
[সম্পাদনা]সব পারিবারিক সহিংসতা একই রকম নয়। মাত্রার ভিন্নতা, তীব্রতা, উদ্দেশ্য এবং ফলাফলের পার্থক্য সবকিছুই উল্লেখযোগ্য। পারিবারিক সহিংসতা শারীরিক আগ্রাসন বা আক্রমণ (আঘাত করা, লাথি মারা, কামড় দেওয়া, চেঁচামেচি করা, বাধা দেয়া, চড় মারা, কোন কিছু ছুঁড়ে মারা, মারধর করা ইত্যাদি) বিভিন্ন হুমকি; যৌন নির্যাতন; নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্ব; ভয় দেখানো; লাঞ্ছিত করা; প্যাসিভ / পরোক্ষ নির্যাতন (উদাঃ, অবহেলা); এবং অর্থনৈতিক বঞ্চনা সহ অনেকগুলো রূপ নিতে পারে।[৫৭][৫৮] আবার বিপদ, অপরাধমূলক জবরদস্তি, অপহরণ, বেআইনী কারাদণ্ড, অপরাধহীনতা এবং হয়রানিও এর আওতায় পড়তে পারে।[৫৯]
শারীরিক
[সম্পাদনা]শারীরিক নির্যাতন ভয়, বেদনা, আঘাত, অন্যান্য শারীরিক যন্ত্রণা বা শারীরিক ক্ষতি হওয়ার উদ্দেশ্যে সংঘটিত বিভিন্ন ক্রিয়া।[৬০][৬০] দমনমূলক নিয়ন্ত্রণের প্রেক্ষাপটে বলা যায়, শারীরিক নির্যাতন করা হয় ভুক্তভোগীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।[৬১] সম্পর্কের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের গতিপ্রকৃতি প্রায়শই জটিল। শারীরিক সহিংসতা হুমকি, ভয় দেখানো এবং বিচ্ছিন্নতার মাধ্যমে ভুক্তভোগীর আত্মপ্রত্যয়ের ওপর বাধা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অন্যান্য সীমাবদ্ধতা আরোপের সমন্বয়েও হতে পারে।[৬২] চিকিৎসা করাতে অনিচ্ছা, ঘুম থেকে বঞ্চিত করা এবং জোর করে মাদক বা অ্যালকোহল ব্যবহার করানোও শারীরিক নির্যাতনেরও নানারূপ।[৬০] এমনকি ভুক্তভোগীর মানসিক ক্ষতি করার জন্য অন্যান্য লক্ষ্যবস্তু যেমন শিশু বা পোষা প্রাণীকে শারীরিক আঘাত করাও এর অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।[৬৩]
পারিবারিক সহিংসতার প্রসঙ্গে শ্বাসরোধের বিষয়টি উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব পেয়েছে।[৬৪] এটি এখন পারিবারিক সহিংসতার অন্যতম মারাত্মক রূপ হিসাবে স্বীকৃত; তবুও, বাহ্যিক আঘাতের অভাব, এবং এটি সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা সেই সাথে চিকিৎসা প্রশিক্ষণের অভাব থাকায় শ্বাসরোধ করা প্রায়শই একটি গোপন সমস্যায় রূপ নেয়।[৬৫] ফলস্বরূপ, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলি রাজ্য শ্বাসরোধের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আইন কার্যকর করেছে।[৬৬]
পারিবারিক সহিংসতার ফলে পুরুষ হত্যাকাণ্ডের তুলনায় নারী হত্যাকাণ্ডের আনুপাতিক হার বেশি লক্ষ্যণীয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ ভাগের এর বেশি নারী হত্যাকাণ্ড প্রাক্তন বা বর্তমান ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে।[৬৭] যুক্তরাজ্যে, খুন হওয়া নারীদের ৩৮ শতাংশ নারী ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক নিহত হয়েছে, পুরুষদের ক্ষেত্রে এ হার ৬ শতাংশ। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইস্রায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিহত নারীদের ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ নিহত হয়েছেন তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর দ্বারা।[৬৮] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পৃথিবীর প্রায় ৩৮% নারী হত্যাকাণ্ড ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর দ্বারা সংঘটিত হয়।[৬৯]
গর্ভাবস্থায়, একজন নারীর নির্যাতিত হওয়ার বা দীর্ঘস্থায়ী নির্যাতন তীব্রতর রূপ নেয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে যা মা এবং ভ্রূণের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে[৭০]। গর্ভাবস্থা পারিবারিক সহিংসতার একটি বিরাম ব্যবস্থা বলা যেতে পারে যখন নির্যাতনকারী অনাগত সন্তানের ক্ষতি করতে চায় না। আর প্রসবের পর নারীদের প্রতি পারিবারিক সহিংসতার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।[৭১]
অ্যাসিড আক্রমণ সহিংসতার একটি চরম রূপ, যেখানে সাধারণত ভুক্তভোগীদের মুখের দিকে এসিড নিক্ষেপ করা হয়, ফলে দীর্ঘমেয়াদী অন্ধত্ব এবং স্থায়ী দাগ পড়া সহ ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়।[৭২][৭৩][৭৪][৭৫][৭৬] এগুলো সাধারণত কোনও বিয়ের প্রস্তাব বা যৌন সম্পর্ক স্থাপন প্রত্যাখ্যান করার জন্য কোনও নারীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের একটি ধরন।[৭৭][৭৮]
মধ্য প্রাচ্য এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে, ভুক্তভোগী ব্যক্তি পরিবার বা সম্প্রদায়ের জন্য অসম্মান বয়ে এনেছে বলে অভিযোগকারীদের বিশ্বাসের কারণে পরিকল্পিত পারিবারিক হত্যাকাণ্ড বা সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হয়।[৭৯][৮০] হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, নারীদের বিরুদ্ধে "পারিবারিকভাবে আয়োজিত বিয়েতে অস্বীকৃতি, যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া, বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়া বা ব্যাভিচারের অভিযোগে অভিযুক্ত নারীদের সাধারণত সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকান্ডের বা অনার কিলিং এর শিকার হতে হয়।[৮১] বিশ্বের কিছু কিছু অংশে বিয়ের আগে একজন নারীর কুমারিত্ব থাকাটা সামাজিকভাবে খুবই প্রত্যাশিত এবং সেখানে কোনও বধূ বিয়ের রাতে কুমারিত্ব প্রমাণ করতে না পারলে তাকে অনার কিলিং এর শিকার হতে হয়।[৮২][৮৩]
নববধূকে পুড়িয়ে মারা বা যৌতুকজনিত হত্যা বলতে পারিবারিক সহিংসতার এমন একটি ধারাকে বোঝায় যেখানে সদ্য বিবাহিত নারীকে তার পরিবার কর্তৃক প্রদত্ত যৌতুকের প্রতি অসন্তুষ্টির কারণে স্বামী বা স্বামীর পরিবার বাড়িতে হত্যা করে। এ ঘটনা প্রায়শই বিয়ের পরে বেশি হয় বা দীর্ঘমেয়াদী যৌতুকের দাবির প্রেক্ষিতে হয়ে থাকে।[৮৪] যৌতুক সহিংসতা দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষত ভারতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ২০১১ সালে, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো ভারতে ৮৬১৮টি যৌতুকজনিত মৃত্যুর খবর দিয়েছে, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিসংখ্যানগুলো এই পরিমাণের কমপক্ষে তিনগুণ হবে বলে অনুমান করা হয়।[৮৫]
যৌন
[সম্পাদনা]দেশ | শতাংশ |
---|---|
সুইজারল্যান্ড | ১২% |
জার্মানি | ১৫% |
ইউএস | ১৫% |
কানাডা | ১৫% |
নিকারাগুয়া | ২২% |
ইউকে | ২৩% |
জিম্বাবুয়ে | ২৫% |
ভারত | ২৮১% |
পাচার বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক যেকোন যৌন ক্রিয়া, যৌন ক্রিয়া লাভের প্রচেষ্টা, অযাচিত যৌন মন্তব্য বা আচরণ করা হলে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞায়ন অনুসারে তাকে যৌন নির্যাতন বলা হয়। এর মধ্যে বাধ্যতামূলক কুমারীত্ব প্রদর্শন এবং নারী জননাঙ্গ বিচ্ছেদ করাও অন্তর্ভুক্ত।[৯০] শারীরিক জোর প্রয়োগে যৌন ক্রিয়াকলাপের সূচনা ছাড়াও যদি কোনও ব্যক্তিকে মৌখিকভাবে এ বিষয়ে সম্মতি প্রদানের জন্য চাপ দেয়া হয় সেটিও যৌন নির্যাতন হিসেবে বিবেচিত[৯১] যেখানে ব্যক্তি ক্রিয়ার প্রকৃতি বুঝতে অক্ষম, অংশগ্রহণে 'না' বলতে অক্ষম বা যৌনক্রিয়ায় অনিচ্ছা বা অনাগ্রহ প্রকাশেও অক্ষম। অপ্রাপ্তবয়স্কতা, অপরিপক্কতা, অসুস্থতা, অক্ষমতা বা অ্যালকোহল বা অন্যান্য মাদকের প্রভাব কিংবা ভয় দেখানো বা চাপের কারণে এ ধরনের বিষয়গুলো হতে পারে।[৯২]
অনেক সংস্কৃতিতে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিরা তাদের পরিবারে অসম্মান বা লাঞ্ছনা নিয়ে এসেছে বলে বিবেচনা করা হয় এবং তারা সম্মান রক্ষার্থে হত্যাসহ কঠোর পারিবারিক সহিংসতার মুখোমুখি হন[৯৩]। এ ধরনের ঘটনা সাধারণত ভুক্তভোগী গর্ভবতী হওয়া সাপেক্ষে ঘটে থাকে।[৯৪]
নারী জননাঙ্গ বিচ্ছেদকে ডব্লিউএইচও দ্বারা সংজ্ঞায় বলা হয়েছে "নারীর বাহ্যিক জননাঙ্গের আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ বা চিকিৎসাজনিত কারণ ছাড়া নারী জননাঙ্গের অন্যান্য আঘাতের সাথে জড়িত সমস্ত প্রক্রিয়া"। এই প্রক্রিয়া আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্যের ২৯ টি দেশে বর্তমানে জীবিত ১২৫ মিলিয়নেরও বেশি নারীর উপর সংঘটিত হয়েছে।[৯৫]
পারিবারিক যৌন সহিংসতার অন্যতম রূপ অজাচার, বা একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও একটি শিশুর মধ্যে যৌন যোগাযোগ। কিছু সংস্কৃতিতে, পরিবারের জ্ঞান এবং সম্মতিতে শিশু যৌন নিপীড়নের রীতিনীতিগুলো রয়েছে, যেখানে হয়ত অর্থ বা মালামালের বিনিময়ে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের সাথে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মালাউইতে কিছু বাবা-মা তাদের কন্যাদের যৌন দীক্ষা দেয়ার জন্য একজন বয়স্ক ব্যক্তির সাথে যৌনক্রিয়া করানোর ব্যবস্থা করে থাকেন। বয়স্ক ব্যক্তিটি সাধারণত "হায়না" বলা হয়।[৯৬][৯৭] যৌন শোষণ এবং যৌন নিগ্রহের বিরুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষা সম্পর্কিত কাউন্সিল অফ ইউরোপ কনভেনশনটি[৯৮] বাসা বা পরিবারের মধ্যে ঘটে যাওয়া শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতনের সমাধানের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি ছিল।[৯৯]
জবরদস্তিমূলক প্রজনন বা জোরপূর্বক প্রজনন এক ধরনের হুমকি বা সঙ্গীর প্রজনন অধিকার, স্বাস্থ্য এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিরুদ্ধে সহিংসতা; এবং তাকে গর্ভবতী বা গর্ভাবস্থার অবসান ঘটাতে চাপ বা চাপিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা বিভিন্ন আচরণের সমন্বয়কে বোঝায়।[১০০] জবরদস্তিমূলক প্রজননের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌনক্রিয়া, গর্ভনিরোধক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভয় বা অক্ষমতা, যৌনতা প্রত্যাখ্যান করার পরে সহিংসতার ভয় এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেয়ার ক্ষেত্রে নির্যাতনকারী সঙ্গীর হস্তক্ষেপের বিষয়গুলোও জড়িত।[১০১][১০২]
কিছু সংস্কৃতিতে বিয়ের মাধ্যমে নারীকে প্রজননে বাধ্য করার সামাজিক বাধ্যবাধকতা দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, উত্তরের ঘানাতে নববধূকে যে অর্থ দেয়া হয় তা মূলত সন্তান জন্মদানের জন্য সে নারীর প্রয়োজনীতাকে তাৎপর্যবহ করে তোলে এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করা নারীরা সহিংসতা ও প্রতিশোধের হুমকির মুখোমুখি হন।[১০৩] ডব্লিউএইচও জোরপূর্বক বিবাহ, সহবাস এবং গর্ভাবস্থা, উত্তরাধিকার সূত্রে স্ত্রী গ্রহণকে যৌন সহিংসতার সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করেছে।[১০৪][১০৫] উত্তরাধিকার সূত্রে স্ত্রী গ্রহণ, বা লেভিরেট বিবাহ এমন এক ধরনের বিবাহ যেখানে মৃত ব্যক্তির ভাই তার বিধবার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং বিধবা তার মৃত স্বামীর ভাইকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়।
স্ত্রীর অসম্মতিতে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে অনুপ্রবেশ করাকে বৈবাহিক ধর্ষণ বলা হয়। এ বিষটি বহু দেশে প্রতিবেদনবিহীন, তদন্ত-বিহীন এবং আইনসম্মত, কেননা মনে করা হয়, বিয়ের মাধ্যমে কোনও নারী তার স্বামীকে যখন ইচ্ছে তার সঙ্গে যৌনমিলনের জন্য অবিচ্ছেদ্য সম্মতি দেয়।[১০৬] উদাহরণস্বরূপ, লেবাননে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করার প্রস্তাবিত আইন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সুন্নি ধর্মীয় আদালতের বিচারক শাইখ আহমদ আল-কুরদী বলেন, আইনটি "আসলে এমন একজন ব্যক্তিকে কারাবাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে যেখানে তিনি বাস্তবে তার বৈবাহিক নূন্যতম অধিকারটুকুই ব্যবহার করছেন।"[১০৭] নারীবাদীরা ১৯৬০ এর দশক থেকে আন্তর্জাতিকভাবে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ গণ্য করার জন্য পদ্ধতিগতভাবে কাজ করেছেন।[১০৮] ২০০৬ সালে, জাতিসংঘের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কমপক্ষে ১০৪ টি দেশে বৈবাহিক ধর্ষণ একটি মামলাযোগ্য অপরাধ ছিল।[১০৯] একসময় আইন ও সমাজ কর্তৃক ব্যাপকভাবে অবহেলা ও উপেক্ষার শিকার হয়ে থাকা বৈবাহিক ধর্ষণ এখন আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলো দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। যে দেশগুলি নারী ও গৃহস্থালি সহিংসতা প্রতিরোধ ও লড়াইয়ের বিরুদ্ধে ইউরোপের প্রথম আইনী বাধ্যতা স্থাপনমূলক বিধি[৫২] কাউন্সিল অফ ইউরোপ কনভেনশন অন প্রিভেন্টিং এন্ড কমব্যাটিং ভায়োলেন্স এগেইনস্ট ওম্যান এন্ড ডমেস্টিক ভায়োলেন্স কে অনুমোদন দিয়েছে, তারা সম্মতিহীন যৌনতা স্থাপনের অবৈধতা নিশ্চিত করতে আইনত বাধ্য।[১১০] সম্মেলনটি আগস্ট ২০১৪ থেকে কার্যকর হয়েছিল।[১১১]
মানসিক
[সম্পাদনা]আবেগপ্রসূত নির্যাতন বা মানসিক নির্যাতন আচরণের এমন একটি ধারা যা হুমকী দেয়, ভয় দেখায়, অমানবিক করে দেয় বা ধীরে ধীরে নিজের মূল্য হ্রাস করে।[১১২] ইস্তাম্বুল কনভেনশন অনুযায়ী মানসিক সহিংসতা হল "জবরদস্তি বা হুমকির মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মানসিক স্বাতন্ত্র্যকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ইচ্ছাকৃত আচরণ"।[৫২]
মানসিক নির্যাতনের মধ্যে হ্রাস, হুমকি, বিচ্ছিন্নতা, জনসমক্ষে লাঞ্ছনা, নিরলস সমালোচনা, অনবরত ব্যক্তিগত অবমূল্যায়ন, জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ বা সহযোগীতা করতে অস্বীকার এবং ব্যক্তির নিজের সম্পর্কে সন্দেহ প্রবেশ করানো অন্তর্ভুক্ত।[২৮][৬৩][১১৩][১১৪][১১৪] নজরদারি বা স্টকিং মানসিক ভয় দেখানোর একটি সাধারণ রূপ এবং প্রায়শই প্রাক্তন বা বর্তমান ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর দ্বারা এটি হয়ে থাকে।[১১৫][১১৬] এ সময় ভুক্তভোগী মনে করে, যে তাদের অংশীদাররা তাদের উপরে প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখেছে, এটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি গতিশীলকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে, অপরাধীকে ক্ষমতায়িত করে এবং ক্ষতিগ্রস্তকে অক্ষমতায়িত করে।[১১৭] ভুক্তভোগী প্রায়শই হতাশায় ভোগেন ফলে খাদ্যভ্যাস প্রভাবিত হওয়ায় সে সংক্রান্ত নানা সমস্যা[১১৮], আত্মহত্যা এবং মাদক ও অ্যালকোহল গ্রহণের বাড়ন্ত ঝুঁকির সম্মুখীন হন।[১১৭][১১৯][১২০][১২১]
জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ এক ধরনের নিয়ন্ত্রণশীল আচরণ যা কোনও ব্যক্তির সাথে অসহযোগীতা করে, তার স্বাধীনতার হরণ করে, তার দৈনন্দিন আচরণের ওপর হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে তাকে পরনির্ভরশীল করে তোলে। এতে মৌখিক আক্রমণ, শাস্তি, অপমান, হুমকি বা ভয় দেখানোর বিষয়গুলো জড়িত।[১১৪] তবে, জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ শারীরিকভাবেও প্রয়োগ করা যেতে পারে; শারীরিক নির্যাতন, ক্ষতিসাধন বা ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে।[১২২] পারিবারিক সহিংসতার প্রসঙ্গে বলা যায়, জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণের ফলে ভুক্তভোগীদের মানবাধিকার প্রতিদিনই সীমিত হতে পারে যা তাদের স্বাধীনতা অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং তাদের কর্মের ক্ষমতা হ্রাস করে দেয়। নির্যাতক ব্যক্তি গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে ভুক্তভোগীর দৈনিক সময়সূচী পর্যবেক্ষণ করে, তার সাথে অমানবিক ব্যবহার করে, হুমকি দেয়, মৌলিক চাহিদা এবং ব্যক্তিগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে এবং একা করে দেয়ার চেষ্টা করে।[১২৩] ভুক্তভোগীরা সাধারণত উদ্বেগ এবং আশঙ্কা অনুভব করেন যা তাদের ব্যক্তিগত জীবনকে আর্থিক, শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।
অর্থনৈতিক
[সম্পাদনা]অর্থনৈতিক নির্যাতন এমন এক ধরনের নির্যাতন যখন কোনও ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর তার অন্য সঙ্গীর অর্থনৈতিক সংস্থানগুলোতে প্রবেশের অধিকার নিয়ন্ত্রণ করে।[১২৪] এক্ষেত্রে বৈবাহিক সম্পদগুলি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অর্থনৈতিক নির্যাতনে একজন স্ত্রীকে সম্পদ অধিগ্রহণ থেকে বিরত রাখা, ভুক্তভোগী কী ব্যবহার করতে পারে তা সীমাবদ্ধ করা বা অন্যভাবে ভুক্তভোগীর অর্থনৈতিক সম্পদ শোষণের বিষয়টি জড়িত থাকতে পারে।[১২৪][১২৫] অর্থনৈতিক নির্যাতন ভুক্তভোগীর নিজের অর্থনৈতিক ক্ষমতা হ্রাস করে, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, ক্যারিয়ারের অগ্রগতি এবং সম্পদ অধিগ্রহণের সুযোগ কমিয়ে দিয়ে অপরাধীর উপর নির্ভরতা বাড়িয়ে তোলে।[১২৪][১২৫][১২৬] পরিবারের কোন সদস্যকে নথিপত্র স্বাক্ষর করতে, জিনিস বিক্রি করতে বা উইল পরিবর্তন করতে বাধ্য করা বা চাপ দেওয়াও অর্থনৈতিক নির্যাতনের অন্তর্ভুক্ত।[৬০]
একজন ভুক্তভোগীকে ভাতা দেওয়া হতে পারে, সে অর্থ কতটা কোথায় ব্যয় করা হয় তার নিবিড় পর্যবেক্ষণের সুযোগ নেয়ার মাধ্যমে। অপরাধীর সম্মতি ব্যতীত ব্যয় রোধ করা, ঋণ জমা হওয়া বা ভুক্তভোগীর সঞ্চয় হ্রাস করার দিকে পরিচালিত করে।[১২৪][১২৫][১২৬] অর্থ ব্যয় সম্পর্কে মতবিরোধ অতিরিক্ত শারীরিক, যৌন বা মানসিক নির্যাতনের সাথে প্রতিশোধ গ্রহণের পর্যায়ে উন্নীত হতে পারে।[১২৭] বিশ্বের বিভিন্ন অংশে যেখানে নারীরা বেঁচে থাকার জন্য স্বামীর আয়ের উপর নির্ভরশীল (নারী কর্মসংস্থানের অভাব এবং রাষ্ট্রকল্যাণের অভাবের কারণে) তাদের জন্য অর্থনৈতিক নির্যাতন খুব মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। নির্যাতনকেন্দ্রিক সম্পর্কগুলোতে মা এবং শিশু উভয়েই অপুষ্টিতে ভোগে। যেমন ভারতে, খাদ্য গ্রহণে বাধা প্রদান করা পারিবারিক নির্যাতনের একটি প্রতিষ্ঠিত ধরন।[১২৮]
জনমিতি
[সম্পাদনা]পারিবারিক সহিংসতা বিশ্বজুড়ে, বিভিন্ন সংস্কৃতিতে[১২৯] দেখা যায় এবং সব ধরনের অর্থনৈতিক মর্যাদার[১৩০] মানুষকে প্রভাবিত করে; তবে বেশ কয়েকটি গবেষণায়[১৩১] নিম্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থানের সূচকগুলোকে (যেমন বেকারত্ব এবং স্বল্প আয়ের) পারিবারিক সহিংসতার উচ্চ স্তরের ঝুঁকির কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে। বিশ্বব্যাপী, কেন্দ্রীয় সাব-সাহারান আফ্রিকা, পশ্চিমের সাব-সাহারান আফ্রিকা, অ্যান্ডিয়ান লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব সাব-সাহারান আফ্রিকা, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্যে নারীদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পশ্চিম ইউরোপ, পূর্ব এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকাতে নারীদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার সবচেয়ে কম প্রবণতা দেখা যায়।[১৩২]
লৈঙ্গিক পার্থক্য
[সম্পাদনা]পারিবারিক সহিংসতার সাথে লিঙ্গভেদ এর সম্পর্ক নিয়ে কিছু বিতর্ক এখনও চলছে। পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা যেমন সংঘাতের কৌশল সংক্রান্ত স্কেল, যা আঘাত, হত্যা এবং যৌন সহিংসতার হার ধারন করতে ব্যর্থ হয়,[১৩৩] প্রসঙ্গ (যেমন, অনুপ্রেরণা, ভয়),[১৩৪] বিভিন্ন ধরনের নমুনা পদ্ধতি, স্বেচ্ছায় প্রতিবেদন দাখিলে অনিচ্ছা, এবং পরিচালন ব্যবস্থায় পার্থক্য সমস্ত বিদ্যমান গবেষণার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।[১৩৫][১৩৬][১৩৭][১৩৮] দীর্ঘমেয়াদে যাদের গোপনে নির্যাতিত হওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে বা একাধিক সঙ্গীদের দ্বারা নির্যাতিত হয় তাদের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতাকে স্বীকার করার নেয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়, একে সাধারণীকরণ করতে দেখা যায় ফলে পারিবারিক সহিংসতার প্রতিবেদন করাও আর হয় না।[১৩৯] অনেক সংগঠন নির্যাতনের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে লিঙ্গ-নিরপেক্ষ পদ ব্যবহার করার চেষ্টা করে থাকে। যেমন, নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার চেয়ে পারিবারিক সহিংসতার মতো বিহৎ পরিসরের শব্দ ব্যবহার করা।[১৪০]
বিভিন্ন অনুসন্ধান প্রায়শই নির্দেশ করে যে পুরুষ ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর প্রতি নারীর সহিংসতার (আইপিভি বা ইন্টিমেট পার্টনার ভায়োলেন্স) প্রধান বা প্রাথমিক উদ্দেশ্য আত্মরক্ষা বা আত্ম সুরক্ষা (যেমন মানসিক স্বাস্থ্য)।[৩][১৪১][১৪২][১৪৩] ২০১০ সালের পদ্ধতিগত পর্যালোচনায় আইপিভি তে নারী কর্তৃক অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পেছনে সাধারণ উদ্দেশ্যগুলি ছিল ক্রোধ, মনোযোগের আকাঙ্খা বা তাদের সঙ্গীর সহিংসতার প্রতিক্রিয়া। এতে আরও বলা হয়েছে যে, আত্ম-প্রতিরক্ষা এবং প্রতিশোধ নেওয়া সাধারণ উদ্দেশ্য হলেও, আত্ম-প্রতিরক্ষা এবং প্রতিশোধের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন ছিল।[১৪১] ম্যুরে এ স্ট্রসের পারিবারিক সহিংসতা গবেষণায় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, পুরুষদের বিরুদ্ধে মহিলাদের দ্বারা সংঘটিত বেশিরভাগ আইপিভি আত্মরক্ষার দ্বারা পরিচালিত হয় না।[১৪২][১৪৪] অন্যান্য গবেষণাগুলো নারী অপরাধকেন্দ্রিক আইপিভি সম্পর্কে স্ট্রসের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে তবে এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন, পুরুষদের আঘাত পাওয়ার পর প্রতিশোধ নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।[১৪৫][১৪৬] তবে আত্ম প্রতিরক্ষার সংকীর্ণ সংজ্ঞা ব্যবহার করার জন্য স্ট্রসের গবেষণা সমালোচনা করেছিলেন লোসেকেসহ বেশ কিছু গবেষক।[১৪৭]
শেরি হামবি বলেছেন, যৌন সহিংসতা প্রায়শই আইপিভির মাপদন্ডের বাইরে থেকে যায়। যৌন সহিংসতার ক্ষেত্রে নারীদর অপরাধ ১০ শতাংশেরও কম।[১৪৮] তিনি এও বলেন, নির্যাতনের বিষয়ে পুরুষদের স্ব-প্রতিবেদনগুলি বিশ্বাস উপযোগী নয় কারণ তারা ধারাবাহিকভাবে তাদের নিজেদের সহিংসতার চেষ্টাগুলো প্রতিবেদনে প্রকাশ করেনা[১৪২][১৪৫] এবং এছাড়াও পুরুষ এবং নারী উভয়েরই জোর করে নিয়ন্ত্রণ খাটানোর জন্য আইপিভি ব্যবহার করেন অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হিসেবে জোর খাটানোর চেষ্টা করেন এটিও নির্ভরযোগ্য নয়।[১৪৫] জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ হল যখন একজন ব্যক্তি অন্যকে নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বজায় রাখতে বিভিন্ন আইপিভি কৌশল ব্যবহার করে; ভুক্তভোগীরা প্রায়শই শারীরিক সহিংসতা প্রতিরোধ করে।[১৪৯] এটি সাধারণত পুরুষদের দ্বারা নারীদের বিরুদ্ধেই সংঘটিত হয় এবং আঘাতভিত্তিক বা ট্রমার বন্ধন সৃষ্টি করার পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ[১৫০] এবং এ ধরনের সম্পর্কে চিকিৎসা পরিষেবা প্রয়োজন হয়।[১৫১][১৫২] হংকং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষক চ্যান কো লিংয়ের ২০১১ সালের পর্যালোচনাতে দেখা গেছে যে অপ্রাপ্তবয়স্ক সঙ্গীর সাথে সহিংসতার ঘটনায় পুরুষ ও নারী উভয়ের দায় সমান ছিল তবে পুরুষদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা অনেক বেশি গুরুতর ছিল।[১৩৬] তাঁর বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, পুরুষরা তাদের সঙ্গীদের মারধর, শ্বাসরোধ বা গলা টিপে মারার চেষ্টা করেছে যেখানে নারীর সহিংসতা কোনও বস্তু নিক্ষেপ, লাথি, চপেটাঘাত, কামড়, ঘুষি মারা বা কোনও জিনিস দিয়ে আঘাত করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।[১৩৬]
ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সহিংসতার প্রতিক্রিয়া হিসাবে গবেষকরা পুরুষ ও নারী উভয় ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্যভাবে পৃথক ফলাফল পেয়েছেন। সাইকোলজি অফ ভায়োলেন্স জার্নাল থেকে ২০১২ সালের পর্যালোচনাতে দেখা গেছে যে, ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সহিংসতার ফলে নারীরা বিশেষত আহত, ভয় এবং আঘাত পরবর্তী মানসিক সমস্যায় পড়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।[১৫৩] পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, নারী নির্যাতনকারীরা তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতার প্রতিক্রিয়াতে "খুব ভীতু" ছিলেন, কিন্তু ৮৫% পুরুষ ভুক্তভোগী "কোনও ভয় নেই" বলে প্রতিবেদন করেছেন এবং ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি কর্তৃক সহিংসতা বা আইপিভি নারীর জন্য সম্পর্কের তৃপ্তিবোধ তৈরি করেছে তবে পুরুষের জন্য করে নি।[১৫৩] হামবার্গারের (২০০৫) পর্যালোচনাতে দেখা গেছে যে, পুরুষরা নারী ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতার প্রেক্ষিতে হাসি এবং চিত্তবিনোদনমূলক প্রতিক্রিয়া দেখান।[১৫৪] গবেষকরা প্রতিবেদন দেন, পুরুষের সহিংসতা দুর্দান্ত ভয় সৃষ্টি করে, "ভয় সেই অনুঘটক যা মারধরের শক্তি সরবরাহ করে" এবং "আঘাতগুলো ভয়কে বজায় রাখতে সহায়তা করে।"[১৫৫] একটি দেশের লিঙ্গ সমতা এবং পারিবারিক সহিংসতার হার এ দুয়ের সম্পর্ক খুঁজে বের করতে পাঁচটি মহাদেশের গবেষণা পরীক্ষা করে ২০১৩ সালের একটি পর্যালোচনা হয়েছিল। যেখানে দেখা গেছে যে, সঙ্গী নির্যাতন যখন মানসিক নির্যাতন বা যেকোন ধরনের আঘাতকে অন্তর্ভুক্ত করে বিস্তৃত পরিসরে সংজ্ঞায়ন করা হয় তখন যেই আগে আঘাত করুক না কেন, সঙ্গী নির্যাতন মূলত একই থাকে। তারা আরও বলেন, শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্তরা অনেক বেশি ভয় প্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে মানসিক সমস্যা অনুভব করে। পারিবারিক সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে নারীদের প্রতি সহিংসতাকেই নির্দেশ করে।[৪]
পারিবারিক সহিংসতা সম্পর্কিত আইন দেশ অনুযায়ী পৃথক হয়। যদিও এটি পশ্চিমা বিশ্বে সাধারণত নিষিদ্ধ, অনেক উন্নয়নশীল দেশে এটি হয় নি। উদাহরণস্বরূপ, ২০১০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, কোনও ব্যক্তির তার স্ত্রী এবং সন্তানদের শারীরিকভাবে শাসন করার অধিকার রয়েছে যদি তাতে শারীরিক কোন দাগ তৈরি না হয়।[১৫৬] পারিবারিক সহিংসতার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতাও দেশ অনুযায়ী পৃথক হয়। যদিও বেশিরভাগ উন্নত দেশগুলিতে পারিবারিক সহিংসতা বেশিরভাগ লোকের কাছে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়, তবে বিশ্বের অনেক অঞ্চলে ভিন্ন মতও দেখা যায়। ইউনিসেফের সমীক্ষায় ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারী যারা মনে করেন যে বিশেষ পরিস্থিতিতে একজন স্বামীর আঘাত করা বা মারধর করা ন্যায়সঙ্গত সে ধরনের নারীদের হার নিম্নরূপ-
আফগানিস্তান ও জর্ডানে ৯০%, মালিতে ৮৭%, গিনি এবং তিমুর-লেস্টে ৮৬%, লাওসে ৮১%, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে ৮০%।[১৫৭] উন্নয়নশীল দেশগুলিতে স্বামীর ইচ্ছার প্রতি সম্মতি জানাতে অস্বীকার করা সহিংসতার বৈধতা প্রদানের একটি সাধারণ কারণ:[১৫৮] উদাহরণস্বরূপ, তাজিকিস্তানের ৬২.৪% নারী স্বামীকে না বলে বাইরে গেলে স্ত্রী প্রহারের ন্যায্যতা দেয়; ৬৮% দেয় যদি স্ত্রী স্বামীর সাথে তর্ক করে; যদি সে তার সাথে সহবাস করতে অস্বীকার করে তবে ৪৭.৯% স্ত্রী প্রহার করাকে ন্যয্য বলে মনে করে।[১৫৯]
নারী এবং মেয়ে
[সম্পাদনা]জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বিশ্বব্যাপী নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পেয়েছে। তারা বলছে, "প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজন তার জীবদ্দশায় শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।"[১৬০] নারীর প্রতি সহিংসতা পশ্চিমের উন্নত দেশগুলিতে কম লক্ষ্যণীয় এবং উন্নয়নশীল বিশ্বে এটি খুবই সাধারণ ব্যাপার।[১৬১]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯২০ সালে স্ত্রীকে মারধর করা জাতীয়ভাবে অবৈধভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।[১৬২][১৬৩] যদিও যথাযথ হার নিয়ে বিতর্কিত হয়েছে, তবু প্রচুর আন্তঃ-সাংস্কৃতিক প্রমাণ রয়েছে যেখানে পুরুষদের তুলনায় নারীরা পারিবারিক সহিংসতার বেশি শিকার হন।[২][১৬৪][১৬৫] তদুপরি, এ বিষয়ে বিস্তৃত ঐকমত্য রয়েছে যে নারীরা প্রায়শই মারাত্মক ধরনের নির্যাতনের শিকার হন এবং নির্যাতক সঙ্গীটি দ্বারা তাদের আহত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং এটি অর্থনৈতিক বা সামাজিক নির্ভরতা কারণে আরও বেড়ে যায়।[১][২৩][১৬৪][১৬৫]
নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা দূরীকরণ সম্পর্কিত জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রে (১৯৯৩) বলা হয়েছে যে "নারীর প্রতি সহিংসতা" ঐতিহাসিকভাবে নারী-পুরুষের মধ্যে অসম শক্তির সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ, নারীদের পূর্ণ অগ্রগতিকে রুখে দিতে যা পুরুষদের দ্বারা নারীর প্রতি আধিপত্য ও বৈষম্য সৃষ্টি করেছে এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রক্রিয়া যার দ্বারা নারী পুরুষদের তুলনায় অধীনস্থ অবস্থানে থাকতে বাধ্য হয় "।[৩৩][১৬৬] নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দূরীকরণের ঘোষণাপত্রে নারীর প্রতি সহিংসতাকে তিনটি ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে: পরিবারে ঘটা সহিংসতা (ডিভি), সাধারণ সম্প্রদায়ের মধ্যে তৈরি সহিংসতা এবং রাষ্ট্রের দ্বারা উপেক্ষিত বা সংঘটিত হওয়া সহিংসতা।[৩৩]
নারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, শাস্তি, এবং সহিংসতা নিরসন সম্পর্কিত আন্ত-আমেরিকান কনভেনশন নারীর প্রতি সহিংসতার সংজ্ঞায় বলেছে "লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে যে কোনও কাজ বা আচরণ, যা নারীমৃত্যুর বা তার শারীরিক, যৌন বা মানসিক ক্ষতি করতে পারে, হোক সামাজিক পরিমন্ডলে কিংবা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে "।[১৬৭] একইভাবে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দূরীকরণের ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে, এই কনভেনশন নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে তিনটি ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করেছে; যার মধ্যে একটি হল পরিবারে ভেতরে সংঘটিত সহিংসতা বা ডমেস্টিক ভায়োলেন্স (ডিভি) যা ঘরোয়া ইউনিটে বা অন্য কোনও আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কের মধ্যেও হতে পারে এবং এক্ষেত্রে ভুক্তভোগী অপরাধী ব্যক্তির সঙ্গে একই বাসগৃহে থাকতেও পারে নাও পারে"।[১৬৭]
ম্যাপুটো প্রোটোকল নারীর প্রতি সহিংসতার সংজ্ঞায়ন করতে গিয়ে একটি ব্যাপকতর সংজ্ঞা গ্রহণ করেছে: "নারীর বিরুদ্ধে সংঘটিত যেকোন কাজ যা তাদের শারীরিক, যৌন, মানসিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে বা এ জাতীয় ক্ষতির যাবতীয় হুমকি; বা শান্তিকালীন বা সশস্ত্র সংঘাত কিংবা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নারীর ব্যক্তিগত বা সামাজিক জীবনে মৌলিক স্বাধীনতার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বা তা থেকে বঞ্চিতকরণ "।[১৬৮]
ইস্তাম্বুল কনভেনশনের ৩ অনুচ্ছেদে[৫২] বলা হয়েছে: "নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নারীদের বিরুদ্ধে একধরনের বৈষম্যরূপে "মানবাধিকার লঙ্ঘন" হিসেবে বিবেচিত। ওপাজ বনাম তুর্কির যুগান্তকারী মামলায়, প্রথমবারের মতো মানবাধিকারের ইউরোপীয় আদালত লিঙ্গ-ভিত্তিক পারিবারিক সহিংসতাকে ইউরোপীয় কনভেনশনের আওতায় বৈষম্য হিসেবে বিবেচনা করে।[১৬৯][১৭০]
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এমন নারীদের শতকরা হার দেশ অনুযায়ী ৬৯% থেকে ১০% হয়ে থাকে।[১৭১] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত সহিংসতার মধ্যে ১৫ শতাংশই ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সংঘটিত।[১৭২] সিডিসি (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন)র সর্বশেষ গবেষণা (২০১৭) থেকে দেখা গেছে, সব ধরনের নারী হত্যাকাণ্ডের অর্ধেকেরও বেশি সংঘটিত হয়েছে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা, যাদের মধ্যে ৯৮ শতাংশই পুরুষ।[৬৭]
ফেমিসাইড বা নারী হত্যা সাধারণত পুরুষদের দ্বারা নারী বা মেয়েদের লিঙ্গ-ভিত্তিক হত্যা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, যদিও সঠিক সংজ্ঞাটি ভিন্ন। ফেমিসাইডগুলো প্রায়শই ডিভি বা পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে দেখা যায়, যেমন অনার কিলিং বা যৌতুক হত্যার মতো ঘটনা। পরিসংখ্যানগত উদ্দেশ্যে, ফেমিসাইড দিয়ে প্রায়শই কোনও নারীকে হত্যা করা বোঝায়। ফেমাইসাইডের হার অনুসারে শীর্ষ দেশগুলি হল এল সালভাদর, জামাইকা, গুয়াতেমালা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাশিয়া (২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের তথ্য অনুযায়ী)।[১৭৩] তবে এল সালভাদর এবং কলম্বিয়াতে, যেখানে ফেমিসাইডের হার খুব বেশি, সেখানে সব নারীহত্যার মধ্যে কেবলমাত্র তিন শতাংশই বর্তমান বা প্রাক্তন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সংঘটিত হয়, যেখানে সাইপ্রাস, ফ্রান্স এবং পর্তুগালে প্রাক্তন এবং বর্তমান ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা ফেমিসাইডের ঘটনা ৮০ শতাংশেরও বেশি।[১৭৩]
পুরুষ
[সম্পাদনা]পুরুষ ও পারিবারিক সহিংসতার গবেষণা সহিংসতার জন্য দায়ী এবং শিকার উভয় ক্ষেত্রেই পুরুষের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এবং পাশাপাশি সহিংসতা বিরোধী কাজে পুরুষ ও ছেলেদের কীভাবে যুক্ত করা যায় সে সম্পর্কেও আলোকপাত করে।[১৭৪] পুরুষদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার মধ্যে পারস্পরিক সহিংসতা সহ শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নির্যাতন অন্তর্ভুক্ত।[১৭৫][১৭৬] সহিংসতার শিকার পুরুষ বিভিন্ন কারণে সহায়তা পেতে অনিচ্ছুক হতে পারেন।[১৭৭] একটি গবেষণা তদন্তে এসেছে, যেসব নারী পুরুষদের শারীরিক আক্রমণ করে তারা পুলিশের গ্রেফ্তার এড়ানোর চেষ্টা করে, এমনকি পুরুষরা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করার পরও পুলিশরা ঐ সমস্ত নারীদের সাধারণত গ্রেফতার করে না যারা তাদের পুরুষ সঙ্গীদের অত্যাচার করে। এবং এমনটি করার কারণ হচ্ছে এটা মনে করা যে, যে পুরুষ তার নারী সঙ্গী থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে এবং নিজের পুরুষ সঙ্গী ব্যতীত অন্য কাউকে আক্রমণ না করলে নারীর সহিংসতা তেমন বিপজ্জনক কিছু নয়"।[১৭৮] অন্য একটি সমীক্ষা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে "গুণগত গবেষণার জন্য কিছু সমর্থন রয়েছে যা দেখায় যে, আদালত ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সহিংসতার ক্ষেত্রে লিঙ্গ অসমতার প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল এবং অপরাধী নারী ঘনিষ্ঠ সঙ্গীকে আক্রমণকারী হিসেবে নয় ভুক্তভোগী হিসেবেই বেশি বিবেচনা করে।[১৭৯]
বয়স গোষ্ঠী
[সম্পাদনা]কৈশোর ও তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক
[সম্পাদনা]কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে গবেষকরা মূলত ভিন্ন ভিন্ন লিঙ্গের ককেশীয় জনগোষ্ঠীর দিকে মনোনিবেশ করেছেন।[১৮০] লিখিত সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিপরীত লিঙ্গভিত্তিক সম্পর্কে থাকা ছেলে এবং মেয়ে উভয় দিক থেকেই ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার হার একই দেখা যায় বা এ ধরনের সম্পর্কে থাকা মেয়েদের ছেলেদের তুলনায় সহিংসতার শিকার প্রতিবেদন দাখিলের প্রবণতা বেশি।[১৮০][১৮১][১৮২] এলি সহ আরো কিছু গবেষক বলছেন, সাধারণভাবে কৈশোর অবস্থায় ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা ঘটা সহিংসতাগুলোতে একই হার দেখার বিষয়টি পারিবারিক সহিংসতায় দেখা যায় না, আর এটি সম্ভবত হয়ে থাকে, যেহেতু কৈশোরকাল একটি বিশেষ উন্নয়নশীল অবস্থা এবং এর যৌন বৈশিষ্ট্যগুলো প্রাপ্তবয়স্কদের বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে সম্পূর্ণ পৃথক।"[১৮৩] ওয়েকারলে এবং ওল্ফ তত্ত্ব দেন যে "কৈশোরে কালে পারস্পরিক জবরদস্তি এবং হিংসাত্মক গতিশীলতা তৈরি হতে পারে, এটি এমন একটি সময় যখন পুরুষ এবং নারী শারীরিক স্তরে প্রায় সমান হয় এবং এই "শারীরিক সাম্যতা মেয়েদেরকে শারীরিক সহিংসতার সময় অধিক শক্তি প্রদর্শনের মঞ্জুরি দেয় যা পুরোপুরি শারীরিকভাবে পরিপক্ক একজন ব্যক্তির সঙ্গে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার পক্ষে সম্ভব হয় না"।[১৮৩] শেরি হ্যাম্বি বলেন যে, কিশোর-কিশোরী এবং অল্প বয়স্কদের মধ্যে হৈ চৈ ও মজা করা সাধারণ বিষয় এবং" একটি উঠতি গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে পুরুষদের তুলনায় নারী তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সাথে এ ধরনের হাস্যরস বেশি করে থাকে"।[১৮৪]
যদিও সাধারণ সাহিত্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে কৈশোর বয়সী ছেলে-মেয়েরা প্রায় সমান হারে আইপিভিতে জড়িত, নারীরা শারীরিক সহিংসতায় কম বিপজ্জনক রূপ ব্যবহার করে (যেমন ধাক্কা দেয়া, চিমটি কাটা, চড় মারা, আচড় দেয়া, লাথি মারা), অন্যদিকে পুরুষদের মধ্যে ঘুষি মারা, শ্বাসরোধ, মারধর, পোড়ানো বা অস্ত্র দিয়ে হুমকি প্রদর্শনের প্রবণতা থাকে। পুরুষদের যৌন আগ্রাসনের প্রবণতাও বেশি, যদিও উভয় লিঙ্গই সমানভাবে তাদের সঙ্গীকে যৌন ক্রিয়াকলাপে চাপ দিতে পারে। তদুপরি, নারীদের মধ্যে ধর্ষণের অভিজ্ঞতার শিকার হওয়ার আশঙ্কা চারগুণ বেশি এবং তাদের সঙ্গীর দ্বারা মারাত্মক আঘাতের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, বা নির্যাতনের ফলে মানসিক সাহায্যের প্রয়োজন হয়। পুরুষ সহযোগীদের তুলনায় নারীরা আইপিভিকে মারাত্মক সমস্যা বলে মনে করেন অন্যদিকে পুরুষরা নারী-নির্যাতক আইপিভিকে গণ্যই করেনা।[১৮০][১৮১][১৮৫] ধরনের পাশাপাশি সহিংসতার প্রেরণাও লিঙ্গ অনুসারে পরিবর্তিত হয়: নারী সাধারণত আত্মরক্ষা করতে গিয়ে সহিংসতা ঘটায়, অন্যদিকে পুরুষরা শক্তি বা নিয়ন্ত্রণের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সহিংসতা করে।[১৮০][১৮১] গবেষণায় সমর্থিত যে, পুরুষদের তুলনায় আত্মরক্ষার বিষয়ে নারীদের মধ্যে পূর্বে ভুক্তভোগী হওয়ার বিষয়টি তাদের অপরাধ প্রবণতার পেছনে বেশি কাজ করে।[১৮৬] অন্যান্য গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, যেসব ছেলে পরিবারের সদস্য দ্বারা শৈশবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তাদের দ্বারা আইপিভি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। অন্যদিকে পরিবারের সদস্যদের দ্বারা শৈশবকালে যেসব মেয়ে নির্যাতিত হয়েছে তাদের মধ্যে মানবিকতা ও সক্রিয়তার অভাব লক্ষ্যণীয়। তবে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আইপিভি সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা এবং শিকার হওয়ার সম্ভাবনা আলাদা হয় এবং এটি ভালভাবে বোঝাও যায় না।[১৮১] ২০১৮ সালে হ্যাম্বীর ৩৩টি সমীক্ষার পর্যালোচনায় এমন একটি মানদন্ড ব্যবহার করা হয় যেখানে হৈ চৈ এবং রসিকতার বিষয়টিকে বাতিল করা হয় এবং বলা হয় যে পুরুষরা নারীর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।[১৮৭]
শিশু
[সম্পাদনা]পারিবারিক সহিংসতা এবং শিশু নির্যাতনের মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগসূত্র রয়েছে। যেহেতু পারিবারিক সহিংসতা এমন ধরনের আচরণ, যেখানে ঘটনার তীব্রতা এবং মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে, সেখানে শিশুদের শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও স্বভাবতই বেশি থাকতে পারে। পারিবারিক সহিংসতা এবং শিশু নির্যাতনের মধ্যে পরিসংখ্যান চাপা পড়ে যাওয়ার আনুমানিক হার ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ।[১৮৯]
আজও, বেশিরভাগ দেশে তাদের পিতামাতাদের দ্বারা শিশুদের শারীরিক শাস্তি বৈধ বলে বিবেচিত, তবে পশ্চিমা দেশগুলিতে এখনও এটি অনুমোদিত তবে কতটুকু অনুমোদিত হবে সে বিষয়ে কঠোর সীমারেখা রয়েছে। পিতামাতাদের শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করার প্রথম দেশটি ছিল সুইডেন (১৯৬৬ সালে সন্তানের পশ্চাতদেশে পিতামাতার আঘাত করার অধিকার প্রথম বাতিল করা হয়)[১৯০] এবং এটি জুলাই ১৯৭৯ থেকে আইন দ্বারা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ হয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত পিতামাতার শারীরিক শাস্তি ৫১ টি দেশে নিষিদ্ধ করা হয়।[১৯১]
সমলিঙ্গের সম্পর্ক
[সম্পাদনা]চিরায়তভাবে, পারিবারিক সহিংসতাকে বিপরীত লিঙ্গ ভিত্তিক পারিবারিক সমস্যা হিসাবে দেখা হয়েছে এবং সমলিঙ্গের সম্পর্কের সহিংসতার দিকে খুব কম আগ্রহ দেখানো হয়েছে, তবে সমকামী সম্পর্কের[১৯২] ক্ষেত্রেও পারিবারিক সহিংসতা দেখা দিতে পারে।এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ভিক্টিমোলজি এন্ড ক্রাইম প্রিভেনশন স্টেটস বলছে, "বেশ কয়েকটি পদ্ধতিগত কারণে - যেমন প্রথাগত নমুনাকরণ পদ্ধতি, স্ব-নির্বাচনের অনুঘটক ইত্যাদি কারণে - সমকামী সম্পর্কের সহিংসতার মাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না।[১৯৩]
উনিশটি গবেষণা নিয়ে ১৯৯৯ সালের একটি বিশ্লেষণ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে "গবেষণা অনুযায়ী লেসবিয়ানরা এবং সমকামী পুরুষরা ঠিক তাদের সঙ্গীর প্রতি সেভাবেই নির্যাতনমূলক আচরণ করে থাকে যেভাবে বিপরীত লিঙ্গভিত্তিক সম্পর্কে হয়ে থাকে।[১৯৪] ২০১১ সালে আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলি তাদের ২০১০ সালের জাতীয় ঘনিষ্ঠ সঙ্গী এবং যৌন সহিংসতা বিষয়ক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে যাতে দেখা যায়, ৪৪% লেসবিয়ান মহিলা, ৬১% উভকামী মহিলা, এবং ৩৫% বিপরীতলিঙ্গকামী নারী তাদের জীবদ্দশায় পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন।[১৯৫] একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমকামী পুরুষদের ২৬%, উভকামী পুরুষের ৩৭%, এবং ২৯% বিপরীতলিঙ্গকামী পুরুষরা তাদের জীবদ্দশায় ঘরোয়া সহিংসতার শিকার হয়েছেন।[১৯৫] ২০১৩ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ৪০.৪% স্ব-স্বীকৃত লেসবিয়ান এবং ৫৬.৯% উভকামী নিজের সঙ্গী দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।[১৯৬] ২০১৪ সালে, জাতীয় সমীক্ষা ইঙ্গিত দিয়েছে, সমকামী এবং উভকামী পুরুষদের মধ্যে ২৫ থেকে ৫০% পর্যন্ত কোথাও কোনও সঙ্গীর কাছ থেকে শারীরিক সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছে।[১৯৭] কিছু উৎস বলছে যে সমকামী এবং লেসবিয়ান দম্পতিরা বিপরীতলিঙ্গভিত্তিক দম্পতিদের[১৯৮] মতো একই মাত্রায় পারিবারিক সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছে। অন্যান্য উৎসমতে, সমকামী পুরুষ, সমকামী স্ত্রীলোক এবং উভকামী ব্যক্তির মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার হার বিপরীতলিঙ্গভিত্তিক সম্পর্কের তুলনায় বেশি কিন্তু বিপরীতলিঙ্গভিত্তিক সম্পর্কের তুলনায় তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের দ্বারা সহিংসতায় শিকার হয়ে প্রতিবেদন দাখিলের প্রবণতা কম।[১৯৯] হিস্পানিক পুরুষদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এক সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে সেখানে সমকামী পুরুষদের বিপরীতলিঙ্গকামী পুরুষদের তুলনায় অপরাধ করা বা পারিবারিক সহিংসতার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে তবে উভকামী পুরুষদের ক্ষেত্রে উভয়ই ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।[২০০] বিপরীতভাবে, কিছু গবেষক সাধারণত ধরে নিয়েছেন যে, সমকামী দম্পতিরা বিপরীতলিঙ্গভিত্তিক দম্পতির মতোই সমান হারে পারিবারিক সহিংসতা অনুভব করে এবং সমকামী পুরুষ দম্পতিরা পারিবারিক সহিংসতার রিপোর্ট করার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকে।[১৯৩]
সমকামী পুরুষ এবং সমকামী নারীর সম্পর্কগুলোকে কিছু জনগোষ্ঠীতে নির্যাতনের ঝুঁকি তৈরির কারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।[৫৮] বিশ্বের কিছু অংশের এলজিবিটি ব্যক্তিদের জন্য ডিভি (ডমেস্টিক ভায়লেন্স) বা পারিবারিক সহিংসতা থেকে খুব সামান্যই আইনী সুরক্ষা আছে, কারণ সমকামী আচরণে লিপ্ত হওয়াই "সোডমির আইন" দ্বারা নিষিদ্ধ (২০১৪ পর্যন্ত, সমকামী যৌন ক্রিয়াকলাপ ৭০ টি দেশে কারাদন্ডে দন্ডনীয় এবং আরও ৫ টি দেশে মৃত্যুর মাধ্যমে দন্ডনীয় আপরাধ)[২০১] এবং এই আইনী নিষেধাজ্ঞাগুলো ডিভি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এলজিবিটি ভুক্তভোগীদের কর্তৃপক্ষের কাছে নির্যাতনের প্রতিবেদন করা থেকে বিরত রাখে।[২০২] ২০০৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ টি রাষ্ট্র ২০১৩ সালের সোডমি আইনকে আইনী ব্যবস্থা থেকে অপসারণ করতে অস্বীকার করেছে।[১৯৬]
কিছু গবেষক সমকামী সম্পর্কের ব্যক্তিদের "ডাবল ক্লজেট" হিসেবে চিহ্নিত করায় বিষয়গুলি মোকাবেলায় তারা বিশেষ প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন। মার্ক ডাব্লিউ লেহম্যানের ১৯৯৯ সালের কানাডার গবেষণায় বোঝা যায়, প্রতি চার দম্পতির মধ্যে প্রায় একটি দম্পতির মধ্যে মাত্রাগত সাদৃশ্য লক্ষ্যণীয়); প্রকাশ (সংবেদনশীল, শারীরিক, আর্থিক, ইত্যাদি); সহ-বিদ্যমান পরিস্থিতি (বেকারত্ব, পদার্থের অপব্যবহার, স্ব-সম্মান কম); ভুক্তভোগীদের প্রতিক্রিয়া (ভয়, অসহায়ত্বের অনুভূতি, অতি সতর্কতা); এবং একসাথে থাকার কারণগুলি (প্রেম, সামলে নেয়া, সবকিছু পরিবর্তিত হবে, অস্বীকার)।[২০৩] ২০১৪ সালে ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবভিত্তিক জনমত জরিপের মাধ্যমে ওষুধ এবং অ্যালকোহল থেকে শুরু করে নিরাপদ-যৌনতা বিষয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে সঙ্গী কর্তৃক সহিংসতার ২৪ টি অনুঘটক শনাক্ত করেছে।[১৯৭] শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণকে একটি সাধারণ বিষয় মনে হয় যা বিপরীতলিঙ্গধর্মী এবং সমকামী সম্পর্ক উভয় ক্ষেত্রেই নির্যাতনের ক্ষেত্রে কাজ করে।[১৯৬]
একই সময়ে, উল্লেখযোগ্য পার্থক্য, স্বতন্ত্র বিষয়াদি এবং প্রতারণামূলক মিথগুলি সাধারণত উপস্থিত থাকে।[২০৪] লেহম্যান তার ১৯৯৭ সালের জরিপে সমকামী পুরুষ ও সমকামী নারীদের যে বৈষম্য ও আতঙ্কের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেদিকে ইঙ্গিত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশী সেবা এবং কিছু সামাজিক পরিষেবাদি থেকে বঞ্চিত হওয়া, সমবয়সীদের সহযোগিতার অভাব, সমকামী সম্প্রদায়ের প্রতি কলঙ্ক আকর্ষণ করার ভয়, সঙ্গীদের একসাথে রাখার ক্ষেত্রে এইচআইভি / এইডস স্ট্যাটাসের প্রভাব (স্বাস্থ্যসেবা বীমা / অ্যাক্সেস বা অপরাধবোধের কারণে) ), বের করে দেয়ার হুমকি, এবং বিপরীতলিঙ্গকামী নারীদের প্রয়োজনের জন্য উপযুক্ত বা তৈরি পরিষেবাগুলির মুখোমুখি হওয়া যা সমকামী পুরুষ বা সমকামী নারীদের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। এই পরিষেবা কাঠামোটি এলজিবিটিকিউয়ের ভুক্তভোগীরা আরো বেশি একঘরে এবং ভুল বোঝাবুঝির শিকার হবে যতটা না তারা তাদের সংখ্যালঘু মর্যাদার কারণে হয়।[২০৫] লেহম্যান অবশ্য বলেছিলেন যে "সীমিত সংখ্যক প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া এবং প্রথাগত নমুনাকরণ পদ্ধতির কারণে ৩০ জন প্রাথমিক উত্তরদাতা এবং চূড়ান্ত ১০ জনের গভীর জরিপে পাওয়া নমুনার বাইরে তার এই কাজের সাধারণীকরণ করা সম্ভব নয়। [২০৪] বিশেষত, যৌন-চাপ এবং এইচআইভি / এইডস-এর অবস্থান সম-লিঙ্গের সহিংসতায় উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।[২০৬]
আন্ডারপোর্টিং বা প্রতিবেদন না করার প্রবণতা
[সম্পাদনা]পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য ডিভি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে কম প্রতিবেদনকৃত একটি অপরাধ।[৫][৬] ২০১১ সালে ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতা বিষয়ক গবেষক কো লিং চ্যানের একটি পর্যালোচনা থেকে দেখা গেছে, পুরুষরা পারিবারিক সহিংসতায় তাদের অপরাধ কম দেখানোর চেষ্টা করেন, আর নারীরা তাদের ভুক্তভোগী হওয়ার বিষয়টি কম উপস্থাপন করতে চান এবং সহিংসতায় নিজের অপরাধকে বাড়িয়ে বলেন।[১৩৬] আর্থিক বা পারিবারিক নির্ভরতা, সহিংসতার স্বাভাবিকীকরণ এবং আত্ম-দোষারোপ করার প্রবণতা ভুক্তভোগী নারীদের স্বতপ্রণোদিত হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে আসার সম্ভাবনাকে হ্রাস করে দেয়। বিপরীতে, পুরুষদের মধ্যে আইনি পরিণতির ভয় এবং এড়িয়ে যাবার মানসিকতা, সঙ্গীকে দোষ দেওয়ার প্রবণতা এবং তাদের নিজস্ব চাহিদা ও আবেগের উপর অধিক গুরুত্ব দেখানোর ফলে তাদেরও স্বতপ্রণোদিত হয়ে নিজের অপরাধ স্বীকারের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।[১৩৬]
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮ টি সদস্য দেশ জুড়ে পরিচালিত একটি ২০১৪ সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কেবল ১৪% মহিলা তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা সহিংসতার গুরুতর ঘটনার খবর পুলিশকে জানিয়েছেন।[২০৭] ২০০৯ সালের উত্তর আয়ারল্যান্ডে ডিভি-র এক প্রতিবেদনে দেখা যায় "প্রতিবেদন না করার প্রবণতা একটি উদ্বেগজনক বিষয় এবং সব ধরনের সহিংস অপরাধের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতা সম্পর্কেই সবচেয়ে কম প্রতিবেদন করা হয়।[২০৮]
পুরুষ নির্যাতনের বিষয়ে সামাজিক লজ্জা থাকার কারণে, এবং স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীদের দ্বারা উপেক্ষা করার সম্ভাবনার কারণে পুরুষরা প্রতিবেদনের সময় লিঙ্গ সম্পর্কিত অতিরিক্ত বাধার মুখোমুখি হন।[৭][৮][৯][১০] কোভিড ১৯-এ লকডাউনের সময়, কিছু মহিলা তাদের নির্যাতকদের সাথে তাদের বাড়ির ভিতরে ছিলেন। এসময় তাদের যাবারও কোন সুযোগ ছিল না ফলে প্রতিবেদনও কম হয়েছে।[১৪৮] চীনে লকডাওনের সময় ৯০% পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের পরিস্থিতিও একই রকম।[১৪৮]
সামাজিক প্রভাব
[সম্পাদনা]সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি
[সম্পাদনা]পারিবারিক সহিংসতা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভিন্ন এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রকম, তবে পশ্চিমের বাইরে অনেক জায়গায় ধারণাটি নিয়ে যথেষ্ট ভুল বোঝাবুঝি আছে। কারণ এই দেশগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রীর সম্পর্ককে সমান হিসাবে বিবেচনা করা হয় না, বরং এমন একটি সম্পর্ক হিসেবে বিবেচিত হয় যেখানে স্ত্রীকে স্বামীর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে হবে। এটি কয়েকটি দেশের আইনে অনুমোদিত হয়েছে - উদাহরণস্বরূপ, ইয়েমেনে বিবাহ বিধি অনুসারে একজন স্ত্রীকে অবশ্যই তার স্বামীর আনুগত্য করতে হবে এবং তার অনুমতি ব্যতীত বাড়ি ছেড়ে যেতে পারবে না।[২০৯]
ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন ইন ফ্যামিলিস এন্ড রিলেশনশিপস অনুসারে, "বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে বেশিরভাগ জনগণের মধ্যে স্ত্রীর প্রহারকে ন্যায্য হিসাবে দেখা হয়, সাধারণত স্ত্রীদের যদি প্রকৃত বা সন্দেহভাজন বিশ্বাস ভঙ্গকারী হয়ে থাকে বা স্বামীর প্রতি অবাধ্য হয়ে থাকে।[২১০] স্ত্রীর বিরুদ্ধে এই হিংসাত্মক কাজগুলি প্রায়শই সমাজে (পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের কাছে) নির্যাতন হিসেবে বিবেচিত হয় না বরং স্ত্রীর উস্কানিমূলক আচরণে এমনটি ঘটে বলে মনে করা হয় এবং তাকেই দোষী হিসেবে দেখা হয়। যেখানে স্ত্রীকে মারধর করা প্রায়শই "অনুচিত" আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সমর্থিত, সেখানে অনেক স্থানে সম্মান রক্ষার্থে হত্যার মতো চরম আচরণও সমাজের উচ্চতর শ্রেণী দ্বারা অনুমোদিত হয়। এক সমীক্ষায় জর্দানের রাজধানী আম্মানের ৩৩.৪% কিশোর সম্মান রক্ষার্থে হত্যার অনুমোদন দিয়েছে। এই জরিপটি জর্ডানের রাজধানীতে পরিচালিত হয়েছিল, যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি উদার; গবেষকরা এ প্রসঙ্গে বলেন "আমরা মনে করতেই পারি যে জর্ডানের আরও গ্রামীণ ও রক্ষণশীল অংশগুলিতে সম্মান রক্ষার্থে হত্যার পক্ষে সমর্থন আরও বেশি হবে"।[২১১]
২০১২ সালের একটি সংবাদ প্রতিবেদনে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, "রয়টার্স ট্রাস্ট ল গ্রুপটি ভারতকে এই বছর নারীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম খারাপ দেশ হিসেবে অভিহিত করেছে, অংশত যেহেতু পারিবারিক সহিংসতা সেখানে প্রায়শই লক্ষ্যণীয়। ইউনিসেফের একটি ২০১২ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ১৫ এবং ১৯ বছর বয়সী ৫৭ শতাংশ থেকে ভারতীয় ছেলে এবং ৫৩ শতাংশ মেয়েরা মধ্যে স্ত্রী-মারধরকে ন্যায্য বলে মনে করে"।[২১২]
রক্ষণশীল সংস্কৃতিতে, অপর্যাপ্ত পোশাক পরা একজন স্ত্রী তার স্বামী বা আত্মীয়দের হাতে মারাত্মক সহিংসতার শিকার হতে পারেন, সমাজের বেশিরভাগ মানুষ এই হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়াকে যথাযথ মনে করে: এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আফগানিস্তানের ৬২.৮% মহিলা বলেছেন, একজন স্বামী তার স্ত্রীকে ন্যায়সঙ্গতভাবে প্রহার করতে পারেন যদি সে স্ত্রী অনুপযুক্ত পোশাক পরিধান করে।[২১৩]
অ্যান্টোনিয়া পারভানোভার মতে, ডিভির ইস্যুকে আইনত মোকাবেলা করার অন্যতম অসুবিধা হল বহু পুরুষশাসিত সমাজের পুরুষরা বুঝতে পারে না যে তাদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানো আইন বিরোধী। বুলগেরিয়ায় ঘটে যাওয়া একটি মামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "একজন স্বামী তার স্ত্রীকে মারাত্মকভাবে মারধর করেছিলেন এবং বিচারক যখন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি কি করেছেন তা তিনি বুঝতে পেরেছেন কিনা এবং তিনি দুঃখিত কিনা তখন সেই স্বামী জবাবে বলেছিলেন "কিন্তু সে তো আমার স্ত্রী"। ঐ ব্যক্তি এটুকুও বুঝতেও পারেন নি যে স্ত্রীকে মারধরের কোনও অধিকার তার নেই।"[২১৫] ইউএনএফপিএ বলছে: " যে সমস্ত নিয়ম কিছু উন্নয়নশীল দেশে নারীদের অবদমিত করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত করে - যেমন স্ত্রীকে মারধর, সম্মানের নামে হত্যা করা, নারীর জননাঙ্গ বিয়োগ / কাটা এবং যৌতুকের মৃত্যু - ইত্যাদিকে সেখানে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবেই উপেক্ষা করা হয়।
কিছু সমাজের জনগণের মধ্যে দৃঢ় মত আছে যে পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে শাস্তির চেয়ে পুনর্মিলন আরো বেশি উপযুক্ত এবং আইনী দায়মুক্তিরও মাধ্যম; একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কলম্বিয়ার ৬৪% সরকারী কর্মকর্তা বলেছেন যে, ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি দ্বারা সহিংসতার একটি মামলা সমাধান করা যদি তাদের হাতে থাকত তবে তারা যে পদক্ষেপ নেবে তা হবে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে পুনর্মিলিত হতে উত্সাহিত করা।[২১৬]
পশ্চিমা দেশগুলো সহ অনেক সমাজে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করা প্রচলিত: ২০১০ সালের ইউরোব্যারোমিটার জরিপে দেখা গেছে যে ৫২% উত্তরদাতা "নারীদের উস্কানিমূলক আচরণ" কে নারীর প্রতি সহিংসতার কারণ হিসাবে দায়ী বলে একমত হয়েছেন; সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়ার উত্তরদাতারাই এই দাবির সাথে বেশি একমত। (এই দেশগুলির প্রত্যেকটিতে ৭০ ভাগ এর বেশি মানুষ এমনটি মনে করে)।[২১৭][২১৮][২১৯]
ধর্ম
[সম্পাদনা]পারিবারিক সহিংসতায় ধর্মের প্রভাব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ইহুদী, খ্রিস্টান ও ইসলাম চিরায়তভাবেই পুরুষ-শাসিত পরিবার সমর্থন করেছে এবং "নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাকে প্রাচীন কাল থেকে সামাজিক অনুমোদন দিয়েছে।" [২২০]
ক্যাথলিক চার্চ বিবাহ বিচ্ছেদের বিরোধিতা করার জন্য সমালোচিত হয়েছিল কেননা তা অবমাননাকর বিবাহে সহিংসতার শিকারদের ব্যক্তিকে আটকে ফেলে।[২২১]
পারিবারিক সহিংসতার উপর ধর্মের প্রভাব সম্পর্কিত মতামতে ভিন্নতা লক্ষ্যণীয়। ফিলিস চেসলারের মতো কিছু লেখক যুক্তি দেখিয়েছেন যে ইসলাম নারীর প্রতি সহিংসতার সাথে যুক্ত, বিশেষত সম্মান রক্ষার্থে হত্যার প্রক্রিয়ায়।[২২২] অন্যান্যরা, যেমন- পাকিস্তানের আগা খান বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তাহিরা শহিদ খান যুক্তি দেন যে, ধর্মের কারণে নয়, বরং মূলত পুরুষের আধিপত্যবাদ এবং সমাজে নারীর হীন অবস্থান এ ধরনের সহিংসতাকে পরিচালিত করে।[২২৩][২২৪] অনেক পশ্চিমা দেশেই এবং ইসলাম, অভিবাসন এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে উন্মুক্ত (যেমন মিডিয়ার মাধ্যমে) এবং রাজনৈতিক বক্তৃতা অত্যন্ত বিতর্কিতভাবে দেখা হয়।[২২৫]
প্রথা ও ঐতিহ্য
[সম্পাদনা]স্থানীয় রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যগুলো প্রায়শই ডিভির বা পরিবারিক সহিংসতার নির্দিষ্ট ধরনগুলো বজায় রাখার জন্য দায়ী। এ জাতীয় রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত - ছেলেকে অগ্রাধিকার দেয়া (এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবারগুলোতে মেয়ে সন্তানের চাইতে ছেলে সন্তানের অগ্রধিকার ব্যাপকভাবে লক্ষ্যণীয়) যা হতাশাগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের দ্বারা মেয়েদের নির্যাতন ও অবহেলার সুযোগ তৈরি করতে পারে; বাল্য ও জোরপূর্বক বিবাহ; যৌতুক; "নিম্ন বর্ণ" এবং "অস্পৃশ্য" কলঙ্কের জন্ম দেয়া সামাজিক শ্রেণীবিভাজনমূলক বর্ণপ্রথা যা নারীর প্রতি বৈষম্য এবং সীমিত সুযোগের দিকে পরিচালিত করে এবং এভাবে তাদের নির্যাতনের ঝুঁকির সম্মুখীন করে তোলা; নারীদের জন্য কঠোর পোশাক বিধি পরিবারের সদস্যরা সহিংসতার মাধ্যমে প্রয়োগ করা; বিবাহের আগে নারী কুমারিত্ব থাকার বাধ্যবাধকতা এবং নারী ও মেয়েদের অবাধ্যতার সাথে সম্পর্কিত সহিংসতা; ঋতুস্রাব সম্পর্কে ট্যাবু থাকার কারণে নারীরা এ সময় বিচ্ছিন্ন এবং একঘরে থাকতে বাধ্য হওয়া; নারী প্রজননতন্ত্র বিকৃতি (এফজিএম); যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৈবাহিক যৌন অধিকারের মতাদর্শ যা বৈবাহিক ধর্ষণকে ন্যায়সঙ্গত করে; এবং 'পারিবারিক সম্মানে'র প্রতি গুরুত্ব দেয়া।[২২৬]
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ২০০৩-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'নবনধূ মূল্য' দিয়ে কেনার মতো রীতিগুলোর (যেমন কোনও পুরুষ পছন্দের নারীকে নিয়ে করার জন্য তার পরিবারকে যে অর্থ প্রদান করে), মাধ্যমে একজন পুরুষ মূলত তার স্ত্রীর যৌন অনুগ্রহ এবং প্রজনন ক্ষমতা ক্রয় করেন যা যৌনতার শর্তাদি আদেশ করার জন্য পুরুষের সামাজিকভাবে অনুমোদিত আধিপত্যকে বলীয়ান করে এবং এটি করার জন্য শক্তি প্রয়োগ করে "।[২২৭]
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বেশ কয়েকটি দেশে আইন প্রণীত হওয়ার সাথে সাথে নারীদের বিপন্ন করার প্রচলিত রীতিগুলি মোকাবিলার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাবিত চিরায়ত অনুশীলন সম্পর্কিত আন্ত-আফ্রিকান কমিটি নামে একটি এনজিও সামাজিক মূল্যবোধ পরিবর্তনে, সচেতনতা বাড়াতে এবং আফ্রিকার নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এমন ক্ষতিকারক প্রথার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের জন্য কাজ করছে। কিছু দেশে আইনও প্রণীত হয়েছিল; উদাহরণস্বরূপ, ২০০৪ সালের ইথিওপিয়ার ফৌজদারী কোডে তৃতীয় অধ্যায়ে ক্ষতিকারক রীতিনীতি অনুশীলনের উল্লেখ রয়েছে ক্রাইমস কমিটেড এগেইনস্ট লাইফ, পার্সন এন্ড হেল্থ থ্রু ট্র্যাডিশনাল প্র্যাকটিসেস - নামে।[২২৮] এছাড়াও, কাউন্সিল অফ ইউরোপ পারিবারিক সহিংসতা ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়টি সম্বোধন করে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং সম্মান ও অগ্রহণযোগ্য আচরণ সংশোধনের নামে সকল সহিংসতার জন্য দায়ী সনাতন সংস্কৃতি, রীতিনীতির বিরুদ্ধে আইন গঠনের এবং তা সম্পূর্ণ প্রয়োগের জন্য রাষ্ট্রগুলোকে এ প্রস্তাব অনুমোদনের আহ্বান জানায়।[২২৯] জাতিসংঘ সহিংসতাকে উপেক্ষা করা সামাজিক রীতিনীতিগুলোকে বিলুপ্ত করার জন্য, অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য এবং সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের সহযোগীতা প্রদানকারী ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব তৈরির জন্য আইন, আইন প্রয়োগকারী নীতি ও চর্চা এবং সম্প্রদায়গত কর্মকাণ্ড তৈরির মাধ্যমে সহিংসতা মোকাবেলা ও দমনের দিকনির্দেশনা সরবরাহ করতে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতি কার্যকর পুলিশ প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটি হ্যান্ডবুক তৈরি করেছে।[২৩০]
যে সংস্কৃতিগুলোতে পুলিশ এবং আইনী কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি এবং অবমাননাকর আচরণ করার দুর্নাম রয়েছে, সেখানে ডিভির ক্ষতিগ্রস্তরা প্রায়শই সাধারণ সাহায্য চাইতে অনাগ্রহী হয়।
জোরপূর্ব ও বাল্যবিবাহের সাথে সম্পর্ক
[সম্পাদনা]জোরপূর্বক বিবাহ এমন একটি বিবাহ যেখানে এক বা উভয় অংশগ্রহীতা তাদের নিজস্ব সম্মতি ছাড়াই বিবাহিত হয়।[৯৩] বিশ্বের অনেক জায়গায়, 'বাধ্য' এবং 'সম্মতিযুক্ত' বিবাহের মধ্যে একটি পাথক্য দাঁড় করানো প্রায়শই কঠিন: অনেক সংস্কৃতিতে (বিশেষত দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য এবং আফ্রিকার কিছু অংশে), বিবাহগুলি পূর্বনির্ধারিত হয়, প্রায়শই কন্য সন্তান জন্মের পরপরই এমনটা ঘটে; কোনও মেয়ে তার পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের ভবিষ্যত স্বামী বেছে নেবে-এ ধারণাটি সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য হয় আর ধরনের বিবাহে বাধ্য করার জন্য হুমকি বা সহিংসতার প্রয়োজন হয় না, হবু বধূ স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু মেনে নেন কারণ তার এছাড়া তার অন্য কোন গত্যন্তর থাকে না । বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রে, যৌতুক এবং কনের মূল্য প্রদানের রীতিনীতিও এ ধরনের ঘটনায় অবদান রাখে।[২৩১] বাল্য বিবাহ এমন একটি বিবাহ যেখানে একটি বা উভয় পক্ষের বয়স ১৮ বছরের কম বছরের কম হয়।[২৩২]
জোরপূর্বক এবং বাল্য বিবাহ উচ্চ হারে পারিবারিক সহিংসতার সাথে জড়িত।[১২][২৩৩] এই ধরনের বিবাহ বিবাহিত অবস্থায় সংঘবদ্ধ দাম্পত্য-সহিংসতা এবং এই বিয়ের রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত সহিংসতা তথা যৌতুক ও কনে মূল্য পরিশোধ সংক্রান্ত সহিংসতা ও পাচার, বিবাহ প্রত্যাখ্যান করার জন্য সম্মান রক্ষার্থে হত্যা ইত্যাদি উভয় ধরনের সহিংসতার সাথে সম্পর্কিত।[২৩৪][২৩৫][২৩৬][২৩৭]
ইউএনএফপিএ জানিয়েছে, "বাল্য বিবাহ বন্ধের প্রতি সর্বজনীন প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে (চীন বাদে) তিনজনের মধ্যে একজনের সম্ভবত ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই তাদের বিয়ে হয়ে যায়। নয়জনের মধ্যে একজন মেয়ে তাদের ১৫ তম জন্মদিনের আগেই বিবাহিত হয়।" [২৩৮] ইউএনএফপিএর অনুমান, "২০১০ সালে ২০-২৪ বছর বয়সী ৬৭ মিলিয়নেরও বেশি মেয়ে বিবাহিত হয়েছিল, যার অর্ধেক ছিল এশিয়ায়, এবং এক-পঞ্চমাংশ আফ্রিকায়।"[২৩৮] ইউএনএফপিএ আরো জানায়, "পরবর্তী দশকে ১৪.২ মিলিয়ন ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের প্রতি বছর বিয়ে হয়েছে; এতে প্রতিদিন ৩৯,০০০ মেয়ে বিবাহিত হয় এবং এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে এটি ২০২১ সাল থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বছরে গড়ে ১৫,১ মিলিয়ন মেয়ের বিয়ে হবে"।[২৩৮]
আইন
[সম্পাদনা]পারিবারিক সহিংসতাকে অপরাধ বিবেচনা করে এমন পর্যাপ্ত আইন অভাব, বা বিকল্প আইন, যা সম্মতিজনক আচরণ নিষিদ্ধ করে, ডিভির ঘটনা হ্রাস করার ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন: "এটি অবিশ্বাস্য যে একবিংশ শতাব্দীতে এসেও কয়েকটি দেশ বাল্য বিবাহ ও বৈবাহিক ধর্ষণকে উপেক্ষা জানাচ্ছে এবং অন্যরা গর্ভপাতকে অবৈধ করেছে, বিবাহের বাইরে যৌনতা এবং সমকামী যৌন ক্রিয়াকলাপকে - এমনকি মৃত্যুদণ্ডনীয় অপরাধ বলে ঘোষণা করছে।"[২৩৯] ডাব্লিউএইচএও-র মতে, "নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অন্যতম সাধারণ ধরনটি স্বামী বা পুরুষ সঙ্গী দ্বারা সম্পাদিত"। ডব্লিওএইচও উল্লেখ করে যে এই ধরনের সহিংসতা প্রায়শই উপেক্ষা করা হয় কারণ প্রায়ই "আইনী ব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক নিয়মে এটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হয় না, বরং একটি 'ব্যক্তিগত' পারিবারিক বিষয় বা জীবনের একটি সাধারণ অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়।"[৪৯] ব্যভিচারের অপরাধকে নারীদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক সহিংসতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ এই নিষেধাজ্ঞাগুলি প্রায়শই আইন হিসেবে বা বাস্তবে, পুরুষদের আচরণ নয় বরং নারীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য করা হয় এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কর্মকাণ্ডকে যুক্তিযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।[২৪০][২৪১] হিউম্যান রাইটস হাই কমিশনার নাভি পিল্রলাইয়ের মতে: "কেউ কেউ যুক্তি দেখিয়েছেন এবং তর্ক করে চলেছেন যে, পারিবারিক সহিংসতাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের ধারণাগত কাঠামোর বাইরে রাখা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আইন ও মানদণ্ডের অধীনে, নারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং বৈষম্য থেকে মুক্তি নিশ্চিত করতে লিঙ্গ নির্বিশেষে এবং পরিবারে কোনও ব্যক্তির অবস্থান নির্বিশেষে প্রতিরোধ, সুরক্ষা এবং প্রতিকার প্রদানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রেরও সুস্পষ্ট দায়িত্ব রয়েছে।[৫০]
পরিত্যাগের সক্ষমতা
[সম্পাদনা]পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের সম্পর্ক ছেড়ে চলে যাওয়ার ক্ষমতা আরো বেশি নির্যাতন রোধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্ষণশীল সম্প্রদায়গুলোতে তালাকপ্রাপ্ত নারী প্রায়শই প্রত্যাখ্যাত এবং একঘরে বোধ করেন। এই কলঙ্ক এড়াতে, অনেক নারী বিবাহবন্ধনে থাকতে এবং নির্যাতন সহ্য করাকে মেনে নেন।[২৪২]
বৈষম্যমূলক বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদের আইনও এ ধরনের অনুশীলনের প্রসারে ভূমিকা নিতে পারে।[২৪৩][২৪৪] জাতিসংঘের বিশেষ দূত রাশিদা মঞ্জুর মতে,
অনেক দেশে সম্পত্তিতে একজন নারীর প্রবেশাধিকার পুরুষের সাথে তার সম্পর্কের উপর জড়িত। যখন সে তার স্বামীর কাছ থেকে পৃথক হয় বা স্বামী মারা যায়, তখন সে তার বাড়ি, জমি, বাড়ির জিনিসপত্র এবং অন্যান্য সম্পত্তি হারাতে পারে। বিচ্ছেদ বা বিবাহবিচ্ছেদের পর সম্পত্তির সমানাধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থতা নারীদের সহিংস বিবাহ ত্যাগে নিরুৎসাহিত করে, যেহেতু নারীর সামনে তখন দুটোই পথ থাকে; হয় ঘরে বসে সহিংসতা সহ্য করা নয়তো রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তি করা।[২৪৫]
বিবাহবিচ্ছেদ পেতে আইনি অক্ষমতাও পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধির একটি কারণ। কিছু সংস্কৃতিতে যেখানে পারিবারিকভাবে বিবাহের ব্যবস্থা করা হয় সেখানে একজন নারী তার স্বামীর বা পরিবার বা আত্মীয়স্বজনের সম্মতি ছাড়াই বিচ্ছিন্নতা বা বিবাহ বিচ্ছেদের চেষ্টা করলে "সম্মান" ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হতে পারে।[২৪৬][২৪৭]
কনে মূল্যের রীতিনীতি বিবাহকে আরও কঠিন করে তোলে: সেখানে যদি স্ত্রী চলে যেতে চায় তাহলে হয়ত স্বামী তার পরিবারকে দেয়া কনে মূল্য ফেরত চাইতে পারে।[২৪৮][২৪৯][২৫০]
যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশগুলিতে পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের বিকল্প আবাসন পেতে অসুবিধা হতে পারে যা তাদের অবমাননাকর সম্পর্কের মধ্যে থাকতে বাধ্য করতে পারে।[২৫১]
অনেক পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তি নির্যাতক ব্যক্তিকে ছেড়ে চলে যেতে বিলম্ব করে কারণ তাদের পোষা প্রাণী রয়েছে এবং চলে গেলে পোষা প্রাণীদের কী হবে তা নিয়ে তারা চিন্তিত থাকেন। সেফ হাউসগুলিতে পোষা প্রাণীকে আরও গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া দরকার কেননা অনেকেই পোষা প্রাণী গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।[২৫২]
ব্যক্তি বনাম পারিবারিক এককের অধিকার
[সম্পাদনা]একক হিসাবে পরিবারের অধিকারের বিপরীতে পরিবারের সদস্যের স্বতন্ত্র অধিকারগুলি বিভিন্ন সমাজে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়। এটি এমন এক মাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে যেখানে সরকারও কোন পারিবারিক ঘটনা তদন্ত করতে ইচ্ছুক হতে পারে।[২৫৩] কিছু সংস্কৃতিতে পরিবারের পৃথক সদস্যরা সামগ্রিকভাবে পরিবারের স্বার্থের পক্ষে প্রায় সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব স্বার্থ ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত স্বায়ত্তশাসন বা স্বাধিকারের অযৌক্তিক দাবি সেখানে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে নিন্দিত হয়। এই সংস্কৃতিগুলোতে পরিবার ব্যক্তির ওপর প্রাধান্য করে এবং এটি সম্মানের সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়, ব্যক্তিক বা স্বতন্ত্র পছন্দ এখানে সম্প্রদায়ের ভেতরে পারিবারিক সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে পারে যা পরিণতিতে চূড়ান্ত শাস্তি যেমন সম্মান রক্ষার্থে হত্যার কারণ হতে পারে।[২৪৭]
অভিবাসন নীতি
[সম্পাদনা]কিছু দেশের অভিবাসন নীতি নাগরিকত্ব পেতে আগ্রহী ব্যক্তি তার স্পনসরের সাথে বিবাহিত কিনা তা নিয়েই জড়িত। এর ফলে ব্যক্তি সহিংস সম্পর্কের মধ্যে আটকে থাকতে পারে - এই ধরনের ব্যক্তিরা বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করলে তাদের নির্বাসিত হওয়ার ঝুঁকির তৈরি হতে পারে (তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিয়ে করার অভিযোগ উঠতে পারে)।[২৫৪][২৫৫][২৫৬][২৫৭] প্রায়শই যেসব সংস্কৃতিতে নারী নিজ বিবাহ পরিত্যাগ করে ঘরে ফিরে গেলে তাদের পরিবার থেকে অসম্মানিত হয়, সেখানে তারা বিবাহিত থাকতেই পছন্দ করে আর তাই নির্যাতনের চক্রের মাঝে বন্দী হয়ে থাকে।[২৫৮]
অভিবাসী সম্প্রদায়
[সম্পাদনা]অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘটিত সহিংসতার ক্ষেত্রে প্রায়শই এই সম্প্রদায়গুলিতে নিয়ন্ত্রক দেশের আইন ও নীতি সম্পর্কে খুব কম সচেতনতা থাকে। যুক্তরাজ্যের প্রথম প্রজন্মের দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ইংরেজ আইনের অধীনে অপরাধমূলক আচরণ বলতে কী বোঝায় তা সম্পর্কে তাদের খুব কম জ্ঞান ছিল। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন, "কোনও বিবাহের মধ্যেই যে ধর্ষণ হতে পারে এমন কোনও রকমের সচেতনতা তাদের ছিল না"।[২৫৯][২৬০] অস্ট্রেলিয়ায় করা একটি গবেষণায় অভিবাসী নারীদের মধ্যে যারা ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিল এবং কোন প্রতিবেদন করেনি এমন কিছু নারীদের নমুনা নেয়া হয়েছিল; সেখানে দেখা গেছে , ১৬.৭% জানেন না ডিভি অবৈধ, এবং ১৮.৮% জানেন না যে তারা সুরক্ষা পেতে পারেন।[২৬১]
কারণসমূহ
[সম্পাদনা]পারিবারিক সহিংসতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলির মধ্যে একটি হল শারীরিক বা মৌখিক নির্যাতনকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিশ্বাস করা। অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে মাদকের অপব্যবহার, বেকারত্ব, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, মোকাবিলার দক্ষতার অভাব, বিচ্ছিন্নতা এবং নির্যাতক উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা অন্তর্ভুক্ত।[২৬২]
একটি সম্পর্কে পারিবারিক এবং আন্তঃব্যক্তিক সহিংসতার ঘটনা ঘটানোর একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য হ'ল ক্ষতিগ্রস্তদের উপর ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপন এবং বজায় রাখা।[২৬৩][২৬৪][২৬৫][২৬৬]
মারধরকারী ব্যক্তির নৈতিকতা আইন এবং সমাজের মানদন্ডের ঊর্ধ্বে থাকে।[২৬৭] গবেষণা দেখায় যে নির্যাতনকারীর জন্য মূল বিষয় হল তাদের আত্ম-সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সচেতন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ।[২৬৮]
যে সকল পুরুষ সহিংসতা চালায় তাদের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে: তারা আত্মপ্রিয়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সহানুভূতিশীল হয় না এবং তারা তাদের প্রয়োজনকে অন্যের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে।[২৬৯] অপরাধী ব্যক্তি তাদের নির্যাতনকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন ও নিয়ন্ত্রণের স্বার্থপর বাসনার পরিবর্তে ভুক্তভোগীকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে নির্যাতন করে এই বলে যে, (স্ত্রী, প্রেমিকা বা একটি মানুষ হিসাবে) তাদের ঘাটতির কারণেই সহিংসতা হচ্ছে।[২৬৪]
সহিংসতার চক্র
[সম্পাদনা]নির্যাতন চক্র
[সম্পাদনা]লেনোর ই. ওয়াকার চার ধাপের সমন্বয়ে একটি নির্যাতন চক্রের মডেল উপস্থাপন করেছিলেন। প্রথমত, কোনও সহিংসতার ঘটনা সংঘটিত না হওয়া অবধি উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে নির্যাতনমূলক পরিস্থিতি তৈরি হতে থাকে। পুনর্মিলনের পর্যায়ে, নির্যাতক দয়াশীল এবং প্রেমময় হতে পারে এবং তারপরে শান্তি বিরাজ করে। পরিস্থিতি যখন শান্ত থাকে তখন নির্যাতিত ব্যক্তি এই ভেবে আশাবাদী হয় যে, পরিস্থিতি বদলে যাবে। তারপর আবারও উত্তেজনা তৈরি হতে থাকে এবং চক্রটি পুনরায় শুরু হয়।[২৭০]
আন্তঃপ্রজন্মভিত্তিক সহিংসতা
[সম্পাদনা]নির্যাতনকারীদের মধ্যে একটি সাধারণ দিক হল শৈশবকালে তারাও নির্যাতন প্রত্যক্ষ করেছিল, অন্য কথায়, তারা পারিবারিক সহিংসতার আন্তঃপ্রজন্ম চক্রের অংশ ছিল।[২৭১] বিপরীতভাবে এর অর্থ এই নয় যে কোনও শিশু সহিংসতা দেখলে বা সহিংসতার শিকার হলে তারাও নির্যাতক হয়ে উঠবে।[২৬২] নির্যাতন থামানোর জন্য আন্তঃপ্রজন্মমূলক নির্যাতনের ধারাগুলো বোঝা এবং অন্যান্য প্রতিকারের তুলনায় এগুলোকে ভাঙার মধ্য দিয়ে কার্যকরীভাবে পারিবারিক সহিংসতা হ্রাস করা সম্ভব।[২৭১]
শিশুদের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা প্রতিবেদনগুলো বলছে, জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা পারিবারিক সহিংসতায় জড়িত হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তির প্রবণতাকে প্রভাবিত করে (হয় শিকার হিসাবে নয়তো অপরাধী হিসেবে)। এই তত্ত্বকে সমর্থনকারী গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, পারিবারিক সহিংসতার তিনটি উৎস সম্পর্কে চিন্তা করা প্রয়োজন: শৈশবের সামাজিকীকরণ, কৈশোরে যুগল সম্পর্ক সংক্রান্ত পূর্ব অভিজ্ঞতা, এবং একজন ব্যক্তির বর্তমান জীবনে চাপের মাত্রা। যে ব্যক্তিরা তাদের পিতা-মাতাকে একে অপরকে নির্যাতন করতে দেখে বা নিজেরা নির্যাতিত হয়, তারা প্রাপ্তবয়স্ককালে তাদের প্রতিষ্ঠিত সম্পর্কের মধ্যে নির্যাতনমূলক আচরণ অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।[২৭২][২৭৩][২৭৪]
গবেষণায় দেখা যায়, যত বেশি শিশু শারীরিক শাস্তির শিকার হয়, ততই তাদের প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গীসহ পরিবারের সদস্যদের প্রতি হিংসাত্মক আচরণ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।[২৭৫] যে সমস্ত ব্যক্তি শিশু হিসেবে শারীরিক আঘাতের শিকার হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় সঙ্গীকে প্রহার করা তাদের কাছে স্বাভাবিক এবং তাদের রাগ বেশি থাকে সেই সাথে বৈবাহিক দ্বন্দ্বের মুখোমুখিও বেশি হয়।[২৭৬] অনেকগুলো গবেষণায় শারীরিক শাস্তিকে "বাবা-মা, ভাইবোন, সহকর্মী এবং স্বামী / স্ত্রীদের বিরুদ্ধে উচ্চ স্তরের আগ্রাসনের সাথে" সংশ্লিষ্ট পাওয়া গেছে।[২৭৭] যদিও এই সংশ্লিষ্টতা একটি কার্যকারণভিত্তিক সম্পর্ক প্রমাণ করে না, বেশ কয়েকটি অনুদৈর্ঘ্য অধ্যয়ন থেকে বোঝা যায় যে শারীরিক শাস্তির অভিজ্ঞতা পরবর্তী আক্রমণাত্মক আচরণের উপর সরাসরি কার্যকারণগত প্রভাব ফেলে। এই জাতীয় গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, শিশুদের শারীরিক শাস্তি (যেমন: সশব্দে আঘাত করা, চড় মারা বা পশ্চাতদেশে আঘাত করা) সহানুভূতি, পরার্থপরতা এবং সংযমের মতো মূল্যবোধগুলির দুর্বল অভ্যন্তরীণকরণের সাথে ডেটিং সহিংসতা সহ আরও অসামাজিক আচরণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।[২৭৮]
বিশ্বব্যাপী কয়েকটি পিতৃতান্ত্রিক সমাজে, একজন নববধূ তার স্বামীর পরিবার নিয়ে থাকেন। বাড়ীতে নতুন মেয়ে হিসাবে, তিনি পরিবারে সবচেয়ে হীন (বা সবচেয়ে নীচে অবস্থিত) অবস্থানে থাকেন, প্রায়শই সহিংসতা এবং নির্যাতনের শিকার হন এবং বিশেষত শ্বশুর-শ্বাশুড়ি দ্বারা দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হন: পরিবারে পুত্রবধূদের আগমনে, শাশুড়ির মর্যাদা উন্নীত হয় এবং এখন তিনি (নিজের জীবনে প্রথমবারের মতো) অন্য কারও উপরে যথেষ্ট ক্ষমতা অর্জন করেন এবং "এই পরিবারব্যবস্থা নিজেই সহিংসতার একটি চক্র তৈরির দিকে ঝুঁকে পড়ে যেখানে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিইত গৃহবধূ তার নতুন পুত্রবধূর নির্যাতক শ্বাশুড়িতে পরিণত হন "।[২৭৯] অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানাচ্ছে, তাজিকিস্তানে "একজন শ্বাশুড়ি তরুণী স্ত্রী হিসেবে যে নির্যাতন সহ্য করেছেন নিজের পুত্রবধূর প্রতি সেই একই রকম নির্যাতন করাটা একটি প্রারম্ভিক রীতি"।[২৮০]
মাদকের অপব্যবহার
[সম্পাদনা]পারিবারিক সহিংসতা সাধারণত মদের অপব্যবহারের সাথে পুনরাবির্ভুত হয়। নির্যাতিতদের দুই-তৃতীয়াংশ মদের ব্যবহারকে সহিংসতার অনুঘটক হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। মাঝারি মদ্যপায়ী ব্যক্তি হালকা মদ্যপায়ী এবং অমদ্যপায়ীদের চেয়ে ঘন ঘন সহিংসতায় জড়িত হয়; তবে, সাধারণত অতিরিক্ত বা অত্যধিক মদ্যপায়ী ব্যক্তি সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী এবং গুরুতর আগ্রাসনের সাথে জড়িত থাকে। শারীরিক আক্রমণগুলোর আকস্মিকতা, মাত্রা এবং তীব্রতা সবই মদ ব্যবহারের সাথে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কিত। ফলে, আচরণগত বৈবাহিক মদ্যাসক্তি চিকিৎসার পরে সহিংসতা হ্রাস পায়।[২৮১]
জৈবিক এবং মনস্তাত্ত্বিক
[সম্পাদনা]এই কারণগুলির মধ্যে জেনেটিক্স এবং মস্তিষ্কের কর্মহীনতা অন্তর্ভুক্ত এবং এদের নিউরোসায়েন্স দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়।[২৮২] মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বগুলি ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য এবং অপরাধীর মানসিক বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করে। ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে হঠাৎ রাগে ফেটে পড়া, আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা এবং নিচু আত্ম-সম্মানবোধ অন্তর্ভুক্ত থাকে। বিভিন্ন তত্ত্বে জানা যায় যে, সাইকোপ্যাথোলজি একটি উপাদান যা শিশু হিসাবে নির্যাতনের শিকার কিছু লোককে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে আরও বেশি সহিংস করে তোলে। কিশোর অপরাধ এবং প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় পারিবারিক সহিংসতার মধ্যে সংযোগ পাওয়া গেছে।[২৮৩]
গবেষণাগুলো পারিবারিক নির্যাতনকারীদের মধ্যে সাইকোপ্যাথোলজির স্পষ্ট উদাহরণ খুঁজে পেয়েছে।[২৮৪][২৮৫][২৮৬] যেমন; কিছু গবেষণা বলছে যে, এই পারিবারিক সহিংসতা অধ্যায়নে অংশ নেয়া প্রায় ৮০% আদালত উল্লেখিত এবং স্ব-উল্লেখিত পুরুষ নিরাময়যোগ্য সাইকোপ্যাথোলজি তথা সাধারণ ব্যক্তিত্বের ব্যাধি প্রদর্শন করেছেন। "সাধারণ জনগণের ব্যক্তিত্বজনিত অসুস্থতার অনুমান ১৫-২০% এর মধ্যেই বেশি হবে[...] সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহিংসতা আরও মারাত্মক ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সাথে সাথে এই পুরুষদের মধ্যে সাইকোপ্যাথোলজির সম্ভাবনা ১০০% এর কাছাকাছি পৌঁছেছে।"[২৮৭]
ডাটন স্ত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহারকারী পুরুষদের একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রোফাইল দিয়েছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন যে, এই সমস্ত পুরুষদের বর্ডারলাইন পারর্সনালিটি রয়েছে যা জীবনের প্রথম দিকে বিকশিত হয়েছে।[২৮৮][২৮৯] যদিও, এই মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বগুলি বিতর্কিত: গেলেস বলছেন যে, মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বগুলি সীমিত, এবং অন্য গবেষকরা প্রমাণ করেছেন যে কেবলমাত্র ১০% (বা তারও কম) এই মনস্তাত্ত্বিক প্রোফাইলের সাথে খাপ খায়। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য, মানসিক অসুস্থতা বা সাইকোপ্যাথির চেয়ে সামাজিক কারণগুলি গুরুত্বপূর্ণ।[২৯০][২৯১][২৯২]
পারিবারিক সহিংসতার একটি বিবর্তনমূলক মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা হল, এটি নারীর প্রজনন নিয়ন্ত্রণ এবং যৌনসীমা নিশ্চিত করার জন্য পুরুষের উদ্যোগকে উপস্থাপন করে।[২৯৩] বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সাথে সম্পর্কিত সহিংসতা বিশ্বের কয়েকটি অংশে ন্যায়সঙ্গত হিসাবে দেখা হয়। উদাহরণস্বরূপ, তুরস্কের দিয়ারবাকিরের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ব্যভিচার করেছে এমন মহিলার জন্য উপযুক্ত শাস্তি জিজ্ঞাসা করলে, ৩৭% উত্তরদাতা বলেছিল, তাকে হত্যা করা উচিত এবং ২১% বলেছে যে, তার নাক বা কান কেটে ফেলা উচিত।[২৯৪] একজন সঙ্গী আর্থিকভাবে বেশি সফল হলেও এ ধরনের অনুভূতি তৈরি হতে পারে।[২৯৩]
সামাজিক তত্ত্ব
[সম্পাদনা]সাধারণ
[সম্পাদনা]সামাজিক তত্ত্বগুলো অপরাধীর পরিবেশের বাহ্যিক বিষয়গুলি যেমন পারিবারিক কাঠামো, চাপ, সামাজিক শিক্ষার দিকে নজর দেয় এবং যুক্তিযুক্ত পছন্দের তত্ত্বগুলো অন্তর্ভুক্ত করে।[২৯৫]
সামাজিক শিক্ষণ তত্ত্ব বলে যে, মানুষ অন্যের আচরণ পর্যবেক্ষণ এবং অনুকরণ থেকে শিখতে পারে। ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আচরণ অব্যাহত থাকে। যদি কেউ হিংসাত্মক আচরণ পর্যবেক্ষণ করে তবে তাই অনুসৃত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যদি কোনও নেতিবাচক পরিণতি না হয় (উদাঃ ভুক্তভোগীর আত্মসমর্পণ বা সহিংসতা স্বীকার করে নেয়া), তবে ইতিবাচক আচরণটি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা থাকবে।[২৯৬][২৯৭][২৯৮]
রিসোর্স তত্ত্বটি উইলিয়াম গুড (১৯৭১) উপস্থাপন করেছন।[২৯৯] যে নারীরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য স্বামীর উপর সবচেয়ে নির্ভরশীল (যেমন- গৃহিণী, প্রতিবন্ধী মহিলা, বেকার) এবং তাদের বাচ্চাদের যত্ন নেবার দায়িত্বে আছেন, তারা বিবাহ ছেড়ে দিলে বাড়তি আর্থিক বোঝার ভয় পান। নির্ভরতার অর্থ হল, তাদের স্বামীর আচরণকে সামলাতে বা তার সাথে মানিয়ে নিতে তাদের খুব কম বিকল্প বা সংস্থান রয়েছে।[৩০০]
যে দম্পতির মধ্যে শক্তির সমান অংশীদারিত্ব থাকে সেখানে সংঘাতের ঘটনা কম হয় এবং যখন বিরোধ দেখা দেয় তখন সহিংসতার সম্ভাবনাও কম থাকে। দাম্পত্য সম্পর্কে কেন একজন যদি নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতা আরোপ করতে চায় তখন তিনি নির্যাতনমূলক আচরণ করতে পারেন।[৩০১] এর মধ্যে জবরদস্তি ও হুমকি, ভয় দেখানো, মানসিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক নির্যাতন, বিচ্ছিন্নতা, পরিস্থিতি হালকা করা এবং স্বামী / স্ত্রীকে দোষ দেওয়া, বাচ্চাদের ব্যবহার করা (তাদের হরণ করার হুমকি) এবং "অধিকর্তা" হিসাবে আচরণ করা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।[২৬][৩০২]
সামাজিক চাপ
[সম্পাদনা]কোনও ব্যক্তির পারিবারিক পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত চাপ থাকে তখন তাতে মানসিক চাপ বাড়তে পারে। সামাজিক চাপ, অপর্যাপ্ত অর্থায়নের কারণে বা কোনও পরিবারে এই জাতীয় সমস্যার কারণে আরও উত্তেজনা বাড়তে পারে।[২৯০] সহিংসতা সবসময় মানসিক চাপের কারণে হয় না, তবে কিছু লোকের মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এমন হতে পারে।[৩০৩][৩০৪] আর্থিক ও অন্যান্য দিকগুলো সম্পর্কে বাড়তি চাপ এবং দ্বন্দ্বের কারণে দরিদ্র্য পরিবার এবং দম্পতিরা পারিবারিক সহিংসতার মুখোমুখি হতে পারে।[৩০৫] কেউ কেউ অনুমান করেন যে দারিদ্র্য একজন পুরুষের "সফল পুরুষত্ব" সম্পর্কে ধারণা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে ফলে তিনি সম্মান ও মর্যাদা হারাতে ভয় পান। একটি তত্ত্ব বলছে যে, যখন তিনি তার স্ত্রীকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করতে এবং নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে অক্ষম হন, তখন তিনি পৌরুষকে প্রকাশ করার উপায় হিসাবে নারীর প্রতি ঘৃণার প্রকাশ, মাদকের অপব্যবহার এবং অপরাধের দিকে ঝুঁকতে পারেন।[৩০৫]
সমকামী সম্পর্কগুলো একই ধরনের সামাজিক চাপ অনুভব করতে পারে। অধিকন্তু, সমকামী সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহিংসতা অভ্যন্তরীণ হোমোফোবিয়ার (সমকামীতার প্রতি ভয়) সাথে যুক্ত হয়েছে, যা অপরাধী এবং ভুক্তভোগী উভয়েরই হীন আত্মসম্মানবোধ ও ক্রোধ সৃষ্টিতে অবদান রাখে।[৩০৬] অভ্যন্তরীণ হোমোফোবিয়া ভুক্তভোগীদের সহায়তা চাইতে বাধা হিসাবে দেখা দেয়। একইভাবে, এলজিবিটি সম্প্রদায়ের পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে বিপরীতলৈঙ্গিক বিষয় মূল ভূমিকা নিতে পারে। কেননা একটি সামাজিক মতাদর্শ হিসেবে এটি বলছে," বিপরীতলৈঙ্গিকতা আদর্শগত, নৈতিকভাবে উচ্চতর এবং [সমকামিতা] থেকে উত্তম"।[৩০৬] বিপরীতলৈঙ্গিকতা সংখ্যালঘুদের সেবা বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং যৌন সংখ্যালঘুদের মাঝে অস্বাস্থ্যকর প্রতিচিত্র তৈরি করতে পারে। আইনী ও চিকিৎসা সংস্থাগুলিতে বিপরীতলৈঙ্গিকতা বৈষম্য, পক্ষপাতিত্ব এবং যৌন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সংবেদনশীলতার উদাহরণগুলোতে লক্ষ্যণীয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৬ সাল পর্যন্ত, ইউএসের সাতটি রাজ্য এলজিবিটি ব্যক্তিকে সুরক্ষামূলক আদেশের জন্য আবেদন করার ক্ষমতাটিকে স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছিল, যা এলজিবিটি পরাধীনতার ধারণাকে সম্প্রসারিত করে[৩০৬] এবং এটি ক্রোধ ও ক্ষমতাহীনতার অনুভূতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ
[সম্পাদনা]নির্যাতনমূলক সম্পর্কগুলোতে ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণ হল নির্যাতকের জন্য শারীরিক, যৌন এবং অন্যান্য ধরনের নির্যাতন ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে সম্পর্কের ওপর নিয়ন্ত্রণ অর্জনের মাধ্যম।[৩০৭]
পারিবারিক সহিংসতার একটি কার্যকারণগত দৃষ্টিভঙ্গি হ'ল এটি আক্রান্তের উপর ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ অর্জন বা বজায় রাখার একটি কৌশল। এই দৃষ্টিভঙ্গি ব্যানক্রফ্টের "কস্ট-বেনিফিট" তত্ত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যেখানে নির্যাতন অপরাধীকে শুধুমাত্র তার লক্ষ্যের উপর ক্ষমতা প্রয়োগের পাশাপাশি অন্যান্য উপায়েও পুরষ্কৃত করে। তিনি তার এই যুক্তির সমর্থনে প্রমাণ দিয়েছিলেন যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্যাতক নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে যথেষ্ট সক্ষম, কিন্তু বিভিন্ন কারণে তারা সেটি করা থেকে বিরত থাকেন।[৩০৮]
কখনও কখনও, একজন ব্যক্তি তাদের সঙ্গীর উপর সম্পূর্ণ ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং এটি অর্জনের জন্য শারীরিক সহিংসতার আশ্রয় সহ বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করেন। অপরাধী ভুক্তভোগীর জীবনের সমস্ত দিক যেমন তাদের সামাজিক, ব্যক্তিগত, পেশাদার এবং আর্থিক সিদ্ধান্তগুলি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে।[৬০]
শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নগুলি বহুল ব্যবহৃত ডুলুথ পারিবারিক নির্যাতন হস্তক্ষেপ প্রকল্পের সাথে অবিচ্ছেদ্য। এটি চিত্রিত করার জন্য তারা একটি "শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ চক্র" তৈরি করেছে: যার কেন্দ্রে রয়েছে শক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ , এর চারপাশে চাকার অর (ব্যবহৃত কৌশলগুলি) রয়েছে যার শিরোনামগুলোর মধ্যে রয়েছে: জবরদস্তি এবং হুমকি, ভয় দেখানো, মানসিক নির্যাতন, বিচ্ছিন্নতা, হ্রাস করা, অস্বীকার করা এবং দোষারোপ করা, শিশুদের ব্যবহার করা, অর্থনৈতিক নির্যাতন এবং সুযোগ সুবিধা হ্রাস।[৩০৯]
এই মডেলটির সমালোচকদের যুক্তি হচ্ছে যে, এটি পারিবারিক সহিংসতার সাথে মাদকের অপব্যবহার এবং মানসিক সমস্যার সাথে যুক্ত গবেষণাটিকে উপেক্ষা করে।[৩১০] ডিভির ধারাগুলো সম্পর্কে কিছু আধুনিক গবেষণার ফলে দেখা যায়, নারীরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গীর প্রতি শারীরিকভাবে নির্যাতকে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যেখানে কেবলমাত্র একজন সঙ্গী হিংসাত্মক, যা পারিবারিক সহিংসতায় পুরুষের সুবিধাজনক অবস্থানমূলক ধারণার কার্যকারীতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।[৩১১][৩১২] পারিবারিক সহিংসতা থেকে আঘাতের পূর্বাভাসকারীদের সম্পর্কে কিছু আধুনিক গবেষণা সূচিত করে যে, পারিবারিক সহিংসতায় আঘাতপ্রাপ্তির সবচেয়ে শক্তিশালী পূবাভাস হচ্ছে, পারস্পরিকভাবে পারিবারিক সহিংসতায় অংশ নেওয়া।[৩১১]
ননসবার্ডিনেশন বা অঅধীনস্ততা তত্ত্ব
[সম্পাদনা]ননসবার্ডিনেশন তত্ত্ব, যাকে কখনও কখনও আধিপত্য তত্ত্ব বলা হয়, এটি নারীবাদী আইন তত্ত্বের একটি ক্ষেত্র যা নারী ও পুরুষের মধ্যে ক্ষমতার পার্থক্যের ওপর গুরুত্ব দেয়।[৩১৩] ননসবর্ডিনেশন তত্ত্ব এই অবস্থান গ্রহণ করে যে সমাজ এবং বিশেষt পুরুষরা এই শক্তির ভারসাম্যহীনতা ধরে রাখতে পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে যৌন পার্থক্যকে ব্যবহার করে।[৩১৩] ননসবর্ডিনেশন তত্ত্বটি নারীবাদী আইন তত্ত্বের অন্যান্য বিষয়ের মত নয় বরং নির্দিষ্টভাবে যৌন আচরণের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যার মধ্যে রয়েছে নারীর যৌনতা নিয়ন্ত্রণ, যৌন হয়রানি, পর্নোগ্রাফি এবং সাধারণত নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা।[৩১৪] ক্যাথরিন ম্যাককিনন যুক্তি দিয়েছেন যে ননসবর্ডিনেশন তত্ত্ব এই বিশেষ সমস্যাগুলিকে সর্বোত্তমভাবে সম্বোধন করে কারণ এগুলো "প্রায় একচেটিয়াভাবে" নারীদের প্রভাবিত করে।[৩১৫] ম্যাককিনন অন্যান্য তত্ত্বগুলো আনুষ্ঠানিক সাম্যতা, সার্বিক সাম্যতা এবং পার্থক্য তত্ত্বের চাইতে ননসবর্ডিনেশন তত্ত্ব সমর্থন করেন, কারণ যৌন সহিংসতা এবং নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অন্যান্য রূপগুলি "সমতা এবং পার্থক্যের" প্রশ্ন নয়, বরং "নারীদের জন্য আরও কেন্দ্রীয় অসাম্য হিসেবে বিবেচিত হয়"।[৩১৫] যদিও নারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের যৌন সহিংসতার মূল্যায়ন করার জন্য ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্বটি ব্যাপক দৈর্ঘ্যে আলোচনা করা হয়েছে, তবে এটি পারিবারিক সহিংসতা বোঝার এবং এটি কেন ঘটে তা বোঝার একটি ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্ব পারিবারিক সহিংসতাকে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা হিসেবে বিস্তৃত সমস্যার উপসেট হিসাবে মোকাবেলা করেছে কারণ পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা অতিমাত্রায় নারী।[৩১৬]
ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্বের সমর্থকরা পারিবারিক সহিংসতার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এই তত্ত্বই সর্বোত্তম কাজ কীভাবে করে সে সংক্রান্ত একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে। প্রথমত, পারিবারিক সহিংসতার কয়েকটি পুনরাবৃত্তি হওয়া ধারা রয়েছে যা ইঙ্গিত করে যে এটি তীব্র ক্রোধ বা যুক্তিগুলোর ফল নয়, বরং এটি পরাধীনতার একটি রূপ। এর একটি অংশে প্রমাণিত হয় যে পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের সাধারণত বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এবং বিভিন্ন উপায়ে নির্যাতন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভুক্তভোগীরা মাঝে মাঝেই ঘুমানোর পর বা প্রহারকারী থেকে আলাদা হওয়ার পরে মারধরের শিকার হয় এবং প্রায়শই নির্যাতন শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি আর্থিক বা মানসিক রূপ নেয়। ননসবার্ডিনেশন তত্ত্বের সমর্থকরা এই উদাহরণগুলি এই ধারণাটি দূর করতে ব্যবহার করেন যে ক্রোধ বা তীব্র তর্কের সূত্রপাতের পরিণতিতে প্রহারের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও, প্রহারকারীরা প্রায়শই তাদের ভুক্তভোগীদের ক্ষেত্রে আপত্তিজনক এবং ইচ্ছাকৃত কৌশল ব্যবহার করে, যা "তার তার শরীরের এমন কোনও স্থানে ক্ষত করতে বা ধ্বংস করতে পারে যা তার শরীরের এমন জায়গায় আঘাত করতে পারে যা (উদাহরণস্বরূপ তার মাথার ত্বক) সে দেখায় না বা অন্যকে তার আঘাত দেখাতে বিব্রত বোধ করবে। প্রহারকারী এবং ভুক্তভোগী যখন শিশুদের ভাগ করে নেয় তখন এই আচরণগুলি তার পক্ষে আরও বেশি কার্যকর হতে পারে কারণ প্রহারক প্রায়শই পরিবারের আর্থিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করে যা ভুক্তভোগীর চলে যাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে কেননা এটি তার সন্তানদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে ।
ইউনিভার্সিটি অফ মিয়ামি স্কুল অফ ল এর অধ্যাপক মার্থা ম্যাহনি "বিচ্ছেদ অভিযান" - এ এমন একটি ঘটনাকেও ইঙ্গিত করেছেন যেখানে একজন প্রহারক ভুক্তভোগীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন সে নির্যাতনমূলক সম্পর্ক থেকে বেরোনোর চেষ্টা করার কারণে - এটি একটি অতিরিক্ত প্রমাণ যে, পারিবারিক সহিংসতাকে প্রহারক ব্যক্তির কাছে ভুক্তভোগীকে অধীনস্থ করে তুলতে ব্যবহার করা হয়।[৩১৭] একজন প্রহারকের ভুক্তভোগীকে সেই সম্পর্ক ছেড়ে যেতে দেয়ার অনিচ্ছা এই ধারণাটি প্রমাণ করে যে, এখানে সহিংসতার মধ্য দিয়ে প্রহারক ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছে অনুসারে চলা অব্যাহত রাখতে বাধ্য করতে চাচ্ছে।[৩১৭] ননসাবর্ডিনেশন তাত্ত্বিকরা যুক্তি দেখান যে এই সমস্ত ক্রিয়াকলাপগুলো- বিভিন্ন ধরনের অবমাননাকর আচরণ এবং ব্যবস্থা, ভুক্তভোগী শিশুদের শোষণ করা এবং বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কেন্দ্র করে আক্রমণ ইত্যাদি শুধুমাত্র ক্রোধকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণের অক্ষমতাই প্রকাশ করে না বরং আরও বড় সমস্যাকে বোঝায়, যদিও রাগ এই আচরণগুলোর এক প্রকার উপজাত হতে পারে।[৩১৮] ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্ব অনুসারে এই পদক্ষেপগুলোর উদ্দেশ্য হ'ল ক্ষতিগ্রস্তকে এবং কখনও কখনও পুরো পরিবারকে প্রহারক ব্যক্তির কাছে অধীনস্থ করে রাখা।[৩১৭]
নির্যাতকদের দ্বারা বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করে পারিবারিক সহিংসতার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ননসবর্ডিনেশন তত্ত্ব ব্যবহারের দ্বিতীয় যুক্তিটি হল, যে মাত্রায় পারিবারিক সহিংসতা সংঘটিত হয় তা এই ধারণাটিকে বাতিল করে যে, এটি শুধুমাত্র একজন প্রহারকের ক্রোধের ফলাফল। অধ্যাপক মাহুনি ব্যাখ্যা করেছেন যে "বড়" বা বিশেষত ভয়াবহ পারিবারিক সহিংসতা মিডিয়ায় প্রচারের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতার কারণে, সমাজে ঘন ঘন পারিবারিক সহিংসতা কীভাবে ঘটে তা মানুষের ধারণা করা কঠিন।[৩১৭] তবে, পারিবারিক সহিংসতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক মানুষের জন্য নিয়মিত ঘটনা এবং বিস্ময়করভাবে অধিকাংশ ভুক্তভোগীই নারী।[৩১৭]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের সংখ্যা বলছে যে, পারিবারিক সহিংসতা কেবল ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধের পরিণতি নয়। ননসবার্ডিনেশন তত্ত্বটি দাবি করছে, এটি অনিয়ন্ত্রিত রাগ নয় বরং প্রহারক দ্বারা ভুক্তভোগীকে পরাধীন করার ইচ্ছা, যা পারিবারিক সহিংসতার মাত্রা ব্যাখ্যা করে।[৩১৭] ননসাবর্ডিনেশন তাত্ত্বিকরা যুক্তি দেখান যে, নারীবাদী আইন তত্ত্বের অন্যান্য রূপগুলো পারিবারিক সহিংসতার সাধারণ বা যে মাত্রায় এটি সংঘটিত হয় তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেয় না।
ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্বের সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, এ তত্ত্ব যে সমস্যাগুলি দেখিয়েছে তার কোনও সমাধান দেয় নি। উদাহরণস্বরূপ, ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্বের সমর্থকরা আইনী ব্যবস্থায় পারিবারিক সহিংসতা সমাধানের জন্য নেওয়া এমন কিছু পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন যেমন বাধ্যতামূলক গ্রেপ্তার বা মামলা নীতিমালা।[৩১৯] এই নীতিগুলো পুলিশ কর্মকর্তাদের এই মামলাগুলির বিচারের জন্য সন্দেহভাজন পারিবারিক সহিংসতা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য করে এবং বিচারকদের মামলাগুলো বিচারে বাধ্য করে ফলে আইন প্রয়োগের মূূল বিবেচনাটি সেখানে বিচ্যুত হয়।[৩১৯] বাধ্যতামূলক গ্রেপ্তারকে ঘিরে প্রচুর বক্তব্য রয়েছে। বিরোধীরা যুক্তি দেখায় যে এটি একজন ভুক্তভোগীর স্বাধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে, অন্যান্য সংস্থানগুলোকে বাদ দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নকে নিরুৎসাহিত করে এবং ভুক্তভোগীকে পারিবারিক নির্যাতনের আরও ঝুঁকির মুখে ফেলে। বাধ্যতামূলক গ্রেপ্তারের আইন কার্যকর করেছে এমন রাষ্ট্রগুলিতে ৬০% বেশি হত্যাকাণ্ড হয়েছে যা প্রতিবেদন দাখিলের হার হ্রাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে।[৩২০] এই নীতির প্রবক্তারা তর্ক করেন যে, কখনও কখনও অপরাধ বিচার ব্যবস্থা পারিবারিক সহিংসতার শিকারদের কাছে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় এবং যদি কোনও অপরাধী জেনে যায় যে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে, তবে এটি ভবিষ্যতে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ করবে।[৩১৯] যে ব্যক্তিরা ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্বকে সমর্থন করেন তাদের যুক্তি হল, এই নীতিগুলো কেবলমাত্র নারীদের একটি নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে তাদের অধীনস্থ করার কাজ করে, এইভাবে তারা নির্যাতনের সময় যে আঘাত পেয়েছিল তাকে আরও জটিল করে তোলে।[৩১৯] যাইহোক, ননসাবর্ডিনেশন তত্ত্ব নিজে এর চেয়ে ভাল বা আরও উপযুক্ত সমাধানের প্রস্তাব দেয় না, এজন্যই কিছু পণ্ডিতদের ধারণা ছিল যে নারীবাদী আইন তত্ত্বের অন্যান্য রূপগুলো পারিবারিক এবং যৌন সহিংসতার সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য আরও বেশি উপযুক্ত।
প্রভাব
[সম্পাদনা]শিশুদের উপর
[সম্পাদনা]মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৩.৩ মিলিয়ন শিশু পারিবারিক সহিংসতা প্রত্যক্ষ করে। এই বিষয়টি ক্রমশই স্বীকৃত হচ্ছে যে, একটি শিশু বড় হওয়ার সময় পারিবারিক নির্যাতনের মুখোমুখি হলে তার বিকাশ ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতি হয়।[৩২১] ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, ক্ষতিকারক শৈশব অভিজ্ঞতা অধ্যয়ন (এসিই) প্রমাণ করেছে, যেসব শিশুরা পারিবারিক সহিংসতা এবং অন্য ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি ছিল।[৩২২] আবার শিশুদের যে পারিবারিক সহিংসতার মুখোমুখি হতে হয় সে সম্পর্কে সচেতনতার কারণে শিশুর আবেগগত, সামাজিক, আচরণগত এবং বুদ্ধিগত বিকাশও প্রভাবিত হয়।[৩২৩]
পারিবারিক সহিংসতা যেসব আবেগজনিত এবং আচরণগত সমস্যার কারণ হতে পারে তার মধ্যে বর্ধিত আগ্রাসন, উদ্বেগ এবং একটি শিশু কীভাবে বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং কর্তৃপক্ষের সাথে সামাজিক হচ্ছে তার পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত।[৩২১] মানসিক চাপ, মানসিক নিরাপত্তাহীনতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাধিগুলো ট্রমাজনিত অভিজ্ঞতার কারণে দেখা দিতে পারে।[৩২৪] সমস্যা সমাধানের মতো দক্ষতার অভাবের সাথে সাথে স্কুলে আচরণগত এবং বুদ্ধিগত সমস্যা তৈরি হতে পারে।[৩২১] শৈশবকালে অপব্যবহার এবং অবহেলার অভিজ্ঞতার সাথে প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলোর সম্পর্ক পাওয়া গেছে।[৩২৫]
অধিকন্তু, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নির্যাতক মা বা বাবাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিশুর সামনে নির্যাতন বা দুর্ব্যবহার করে[৩২৬] যা এক সাথে দু'জন ভুক্তভোগীকে ধারাবাহিকভাবে আহত করে।[৩২৬] শিশুরা অনেক সময় তার পিতা বা মাতার বিরুদ্ধে তীব্র সহিংসতার দেখতে পেয়ে সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে, যা কোনও শিশুকে আঘাত বা মৃত্যুর মতো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে।[৩২৭] এটা দেখা গিয়েছে যে, যেসব শিশুরা তাদের মাকে নির্যাতিত হতে দেখে তাদের পোস্টট্রোম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) এর লক্ষণগুলোতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই শিশুদের পরিণতি আরও মারাত্মক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যদি তাদের নির্যাতিত মায়ের মধ্যে পোস্টট্রোম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) দেখা দেয় এবং সন্তানের সচক্ষে সহিংসতা দেখার অভিজ্ঞতা পরবর্তী মানসিক অবস্থায় সহযোগীতা করার জটিলতার জন্য তিনি কোন ধরনের চিকিৎসাও গ্রহণ করেন না ।[৩২৮]
শারীরিক
[সম্পাদনা]আঁচড়, ভাঙ্গা হাড়, মাথায় আঘাত, ক্ষত এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হল পারিবারিক সহিংসতাজনিত ঘটনার তীব্র প্রভাব যেগুলোর জন্য চিকিৎসকের যত্ন এবং হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন।[৩২৯] কিছু দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য অবস্থার সাথে পারিবারিকসহিংসতার ভুক্তভোগীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে যেমন- বাত, তীব্র তলপেট বেদনা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, শ্রোণী ব্যথা, আলসার এবং মাইগ্রেন সমস্যা।[৩৩০] পারিবারিক সহিংসতার সম্পর্কের সময় যারা গর্ভবতী থাকে তাদের গর্ভপাত, সময়ের আগে প্রসব বেদনা, ভ্রূণের আঘাত বা মৃত্যু ইত্যাদি ঝুঁকির সম্ভাবনা বেশি থাকে।[৩২৯]
নতুন গবেষণায় বলা হয়, পারিবারিক সহিংসতা ও সব ধরনের নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়ার সাথে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার শক্তিশালী যোগাযোগ রয়েছে।[৩৩১] এ সংক্রান্ত সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া যায় অ্যাডভার্স চাইল্ডহুড এক্সপেরিয়েন্স স্টাডি থেকে যা বলছে, নির্যাতন ও অবহেলার মাঝে থাকার সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উচ্চ হারে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, বেশি ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য আচরণ এবং সংক্ষিপ্ত জীবনকালের পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে।[৩৩২] ১৯৯০ এর দশকের প্রথম থেকেই শারীরিক স্বাস্থ্য এবং নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার মধ্যকার যোগসূত্রের প্রমাণ জমে আসছে।[৩৩৩]
এইচআইভি / এইডস
[সম্পাদনা] No data <0.10 0.10–0.5 0.5–1 | 1–5 5–15 15–50 |
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, অবমাননাকর সম্পর্কে থাকা নারীদের মধ্যে এইচআইভি / এইডস-এর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। ডাব্লিওএইচও বলছে, সহিংস সম্পর্কে থাকা নারীদের জন্য তাদের সঙ্গীর সাথে নিরাপদ যৌন ব্যবস্থা তৈরিতে সমস্যা হয়, প্রায়শই যৌনতা করতে তারা বাধ্য হয় এবং যখন তারা এইচআইভি সংক্রামিত হতে পারে বলে মনে করে তখন উপযুক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা চাইতেও সমস্যা হয়।[৩৩৫] রুয়ান্ডা, তানজানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত থেকে এক দশকের ক্রস-সেকশনাল গবেষণায় ধারাবাহিকভাবে সঙ্গী কর্তৃক সহিংসতার শিকার হওয়া নারীদের এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি পাওয়া গেছে।[২০৭] ডব্লিওএইচও বলছে:[৩৩৫]
ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক সহিংসতা বন্ধ এবং নারী ও মেয়েদের মধ্যে এইচআইভি / এইডসের ঝুঁকি কমানো উভয়েরই বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং এইচআইভি / এইডস-এর মধ্যে সংযোগের প্রমাণগুলো থেকে এটাই সুস্পষ্ট যে এখানে দুটো বিষয়েরই প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে।
পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে এইচআইভি / এইডস দ্বারা সমকামী সম্পর্কগুলি একইভাবে প্রভাবিত হয়। হেইন্টজ এবং মেলান্দেজের গবেষণায় দেখা গেছে যে "লিঙ্গের উপর নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি হ্রাস, সহিংসতার ভয়, এবং অসম শক্তি বিতরণ ..." এই কারণগুলোর জন্য সমকামী ব্যক্তিদের নিরাপদ যৌনতার বিষয়টি লঙ্ঘন করতে অসুবিধা হতে পারে।[৩৩৬] যারা এই গবেষণায় সহিংসতার কথা জানিয়েছেন তাদের প্রায় ৫০% জোরপূর্বক যৌন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন, যার মধ্যে কেবল অর্ধেকই নিরাপদ যৌন ব্যবস্থা ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন। সুরক্ষিত যৌনতার প্রতিবন্ধকতাগুলির মধ্যে নির্যাতনের ভয় এবং নিরাপদ-যৌন অনুশীলনের ক্ষেত্রে প্রতারণা অন্তর্ভুক্ত। হেইন্টজ এবং মেলান্দেজের গবেষণা শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যে, সম-লিঙ্গের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যৌন-নির্যাতন এইচআইভি / এইডস সংক্রমণের জন্য একটি বড় উদ্বেগ কারণ হয়ে দাঁড়ায় কেননা তা নিরাপদ যৌনতার সম্ভাবনা হ্রাস করে। তদুপরি, এই ঘটনাগুলি নিরাপদ-যৌন আলোচনা ঘিরে এবং কারো যৌনবাহিত রোগ আছে বা এসটিডি স্ট্যাটাস জানতে পারলে এ সংক্রান্ত অতিরিক্ত ভয় ও কলঙ্ক সৃষ্টি করে।[৩৩৬]
মানসিক
[সম্পাদনা]ভুক্তভোগীদের মধ্যে যারা এখনও তাদের নির্যাতক ব্যক্তির সাথে আছেন তারা সাধারণত উচ্চ পরিমাণে চাপ, ভয় এবং উদ্বেগের সাথে বেঁচে থাকেন। তাদের হতাশাগুলোও একই রকম, সব ভুক্তভোগীকে 'উস্কানিমূলক' আচরণের জন্য দোষী মনে করা হয় এবং প্রায়শই তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয়। জানা গেছে যে, ভুক্তভোগীদের ৬০ ভাগ সম্পর্কের অবসানের সময় বা পরে চিকিৎসা শনাক্তযোগ্য হতাশায় ভোগেন এবং তাদের মধ্যে আত্মহত্যার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। যারা মানসিকভাবে বা শারীরিকভাবে প্রায় আঘাতপ্রাপ্ত হন তারাও অযোগ্যতার বোধের কারণে হতাশাগ্রস্ত হন। এই অনুভূতিগুলি প্রায়শই দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত থাকে এবং আত্মহত্যা এবং অন্যান্য আঘাতজনিত লক্ষণগুলির উচ্চ ঝুঁকির কারণে অনেকেই থেরাপি গ্রহণ করেন বলে জানা যায়।
হতাশা ছাড়াও, ঘরোয়া সহিংসতার শিকাররা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী উদ্বেগ এবং আতঙ্কেরও সম্মুখীন হন এবং অত্যধিক উদ্বেগজনিত ব্যাধি এবং আতঙ্কজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পারিবারিক সহিংসতার সর্বাধিক উল্লেখিত মানসিক প্রভাবটি হ'ল পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি)। পিটিএসডি (ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা অনুসারে) ফ্ল্যাশব্যাক, অনধিকারের চিত্র, অতিরঞ্জিত আকস্মিক প্রতিক্রিয়া, দুঃস্বপ্ন এবং নির্যাতনের সাথে সম্পর্কিত কারণগুলো এড়ানোর চেষ্টা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। [৩৩৭] গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, শিশু এবং অল্প বয়স্ক শিশুদের মা'দের উপর পারিবারিক সহিংসতার প্রভাব এবং এ সংক্রান্ত মনঃশারীরিক অসুস্থতাকে বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মাতৃকেন্দ্রিক আন্তঃব্যক্তিক সহিংসতা সম্পর্কিত পোস্টট্রোম্যাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি), একজন মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত মায়ের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, পারিবারিক সহিংসতা এবং অন্যান্য ট্রমাজনিত ঘটনাগুলির প্রতি তাদের সন্তানের প্রতিক্রিয়াতে হস্তক্ষেপ করতে পারে। [১৪][৩৩৮]
অর্থনৈতিক
[সম্পাদনা]ভুক্তভোগীরা তাদের নির্যাতক সঙ্গীকে ছেড়ে চলে যাবার পর, তারা নির্যাতনের শিকার হতে হতে কতটা স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে এই বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে হতবাক হয়ে যেতে পারে। অর্থনৈতিক নির্যাতন এবং বিচ্ছিন্নতার কারণে, ভুক্তভোগীর কাছে সাধারণত খুব কম অর্থ থাকে আবার সাহায্যের জন্য নির্ভরযোগ্য মানুষও খুব কম থাকে। এটি ডিভি'র শিকারদের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসাবে দেখা গেছে এবং সবচেয়ে শক্তিশালী কারণ যা তাদের নির্যাতক সঙ্গীকে ছেড়ে যাওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করতে পারে।[৩৩৯]
আর্থিক সংস্থানগুলির অভাব ছাড়াও, ডিভির ক্ষতিগ্রস্তদের প্রায়শই বিশেষ দক্ষতা, শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের অভাব হয় যা লাভজনক চাকুরি খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজনীয় এবং হয়ত প্রতিপালনের জন্য তার একাধিক শিশুও থাকতে পারে। ২০০৩ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬টি বড় বড় শহরে ডিভিকে তাদের অঞ্চলে গৃহহীনতার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।[৩৪০] আরও জানা গেছে যে নির্যাতনকেন্দ্রিক সম্পর্ক ত্যাগের কারণে প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজন গৃহহীন। যদি কোনও ভুক্তভোগী ভাড়া দিয়ে আবাসন সুরক্ষিত করতে সক্ষমও হন তবে সম্ভবত তার অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে অপরাধের জন্য "শূন্য সহনশীলতা" নীতি থাকবে আর এই নীতিগুলো তাদের ভুক্তভোগী (অপরাধী নয়) হওয়া সত্ত্বেও সহিংসতার শিকার হয়ে ওঠার কারণ হতে পারে।[৩৪০] যদিও ডিভি ভুক্তভোগীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র এবং সম্প্রদায়গত ব্যবস্থার সংখ্যা অনেক বেড়েছে কিন্তু এই সংস্থাগুলিতে প্রায়শই গুটি কয়েক কর্মচারী থাকে আর সাহায্যের সন্ধানে ভুক্তভোগী থাকে শত শত ফলে অনেক ক্ষতিগ্রস্তই প্রয়োজনীয় সহায়তা পান না।
পারিবারিক সহিংসতায় ভোগা নারী ও শিশুরা পেশাগত বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়; তারা সাধারণত কাঙ্ক্ষিত পেশায় প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।[৩৪১] নির্যাতক সঙ্গী পেশার সুযোগ সীমাবদ্ধ করে দিতে পারে এবং একটি পেশাগত অকার্যকর পরিবেশ তৈরি করতে পারে যা সন্তোষজনকভাবে প্রতিদিনের কার্য সম্পাদন করার ক্ষেত্রে কম আত্ম-মূল্য এবং দুর্বল আত্মক্ষমতার অনুভূতিগুলিকে শক্তিশালী করে তোলে।[৩৪১] তাছাড়া, কার্যকরী লোকসান, প্রয়োজনীয় কর্ম দক্ষতা বজায় রাখতে অক্ষমতা এবং কাজের জায়গার কাজ করতে অক্ষমতা দ্বারা কাজে প্রভাব পড়ে। প্রায়শই ভুক্তভোগীরা অন্যান্য সম্পর্কগুলি থেকে খুব দূরে বিচ্ছিন্ন থাকে যেমন খুব কম বা একেবারে বন্ধু না থাকা। এটিও নির্যাতক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ আরোপের অন্যতম একটি পদ্ধতি।[৩৪২]
সাড়াপ্রদানকারীদের উপর প্রভাব
[সম্পাদনা]মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ৭৭১ জন অফিসার হত্যার মধ্যে ১০৬ টি হত্যাকান্ড পারিবারিক সহিংসতায় হস্তক্ষেপের সময় ঘটেছিল।[৩৪৩] এর মধ্যে, ৫১% ঘটনা, অপ্ররোচিতভাবে বা হঠাৎ সংঘটিত হয়েছিল অর্থাৎ সন্দেহভাজনদের সাথে অফিসারের যোগাযোগ হওয়ার আগে ঘটেছিল। যোগাযোগের পরে আরও ৪০% ঘটেছিল এবং অন্যান্যগুলো কৌশলগত পরিস্থিতিতে ঘটেছিল (কাউকে জিম্মি করে এবং বাধা পার হওয়ার চেষ্টা করার সময় ঘটেছিল)।[৩৪৪] এফবিআইয়ের লাইওকা সিস্টেম পারিবারিক সহিংসতার প্রতিক্রিয়াজনিত অফিসারদের মৃত্যুকে বিভিন্ন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি অনুসারে শ্রেণীবদ্ধ করেছে যার মধ্যে "সরাইখানায় মারামারি, গ্যাং বা দলগত বিশৃঙ্খলা এবং ব্যক্তির অস্ত্রের আস্ফালন", ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত যা এতে সম্পৃক্ত ঝুঁকি সম্মন্ধে ভুল ধারণা জাগিয়ে তুলতে পারে।[৩৪৩][৩৪৫]
নির্যাতনের শিকারদের গল্প শোনার গুরুতরতা ও তীব্রতার কারণে, পেশাদার ব্যক্তিগণ (সমাজকর্মী, পুলিশ, পরামর্শদাতা, চিকিৎসক, অ্যাডভোকেটস, চিকিৎসক পেশাজীবীগণ) গৌন বা ভিকারিয়াস ট্রমার ঝুঁকির সম্মুখীন হন, যার ফলে সাড়া প্রদানকারী ব্যক্তি নির্যাতিত ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতা শোনার পর একই রকম মানসিক আঘাতজনিত লক্ষণের মুখোমুখি হন। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, পেশাজীবীদের মধ্যে যারা ভিকারিয়াস ট্রমার শিকার হন তারাও অতিরঞ্জিত আকস্মিক প্রতিক্রিয়া, অতিরিক্ত উদ্বিগ্নতা, দুঃস্বপ্ন এবং বিভ্রান্তিকর চিন্তার লক্ষণ দেখান যদিও তারা ব্যক্তিগতভাবে কোনও ট্রমা অনুভব করেনি এবং পিটিএসডি'র চিকিৎসাযোগ্য অবস্থায়ও তারা পৌঁছান না।
ব্যবস্থাপনা
[সম্পাদনা]পারিবারিক সহিংসতা নিরসনের প্রক্রিয়াটি চিকিৎসা পরিষেবা, আইন প্রয়োগ[৩৪৬][৩৪৭], পরামর্শ প্রদান, এবং অন্যান্য প্রতিরোধ ও হস্তক্ষেপের মাধ্যমে হতে পারে। পারিবারিক সহিংসতায় অংশগ্রহণকারীদের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে; যেমন-পারিবারিক চিকিৎসক বা অন্যান্য প্রাথমিক যত্ন প্রদানকারী[৩৪৮] বা জরুরী কক্ষের চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করা।[৩৪৮]
কাউন্সেলিং পারিবারিক সহিংসতার প্রভাব নিরসনের আরেকটি উপায়। নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির জন্য, কাউন্সেলিংয়ে উপস্থিতির মূল্যায়ন,[৩৪৯] নির্যাতনের মাত্রা ও ধরণগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।[৩৪৯] প্রাণঘাতী মূল্যায়ন এমন একটি সরঞ্জাম যা কোনও ক্লায়েন্টের চিকিৎসার সর্বোত্তম কোর্স নির্ধারণে সহায়তা করার পাশাপাশি ক্লায়েন্টকে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক আচরণ এবং আরও সূক্ষ্ম নির্যাতন শনাক্ত করতে সহায়তা করে।[৩৫০] পারিবারিক সহিংসতায় হত্যাচেষ্টা শিকার ভুক্তভোগীদের উপর একটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র দেড় ভাগ তাদের নির্যাতক সঙ্গী তাদের হত্যা করতে সক্ষম বুঝতে পেরেছিল, কারণ পারিবারিক সহিংসতার শিকাররা অনেকেই পরিস্থিতির প্রকৃত গুরুত্বকে হ্রাস করে দেখেন।[৩৫১] আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল সুরক্ষা পরিকল্পনা, যা ক্ষতিগ্রস্তদের আসন্ন বিপজ্জনক পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনা করার সুযোগ দেয় এবং তারা অপরাধীর সাথে থাকুন বা না থাকুন, তা কার্যকরী হয়।
অপরাধী ব্যক্তিও ভবিষ্যতের পারিবারিক সহিংসতার ঝুঁকি হ্রাস করতে,[৩৫২][৩৫৩] অথবা সহিংসতা বন্ধ করতে বা এর ফলে হওয়া ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধার করতে কাউন্সিলিং এর ব্যবহার করতে পারে।[৩৫৪] সাধারণত, দণ্ডিত বা স্ব-উল্লেখকারী অপরাধীরা ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর প্রতি সহিংসতায় নিজেদের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করে। এগুলি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে এক বা দুটি ঘন্টা একটি গ্রুপ বিন্যাসে বিতরণ করা হয়। প্রোগ্রামের প্রচারকরা প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষা-প্রক্রিয়ার মডিউলগুলির একটি পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের গাইড করে, যা বিভিন্ন থেরাপিউটিক পদ্ধতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তবে মূলত জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি এবং মানসিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। এই প্রোগ্রামগুলির কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক আছে। যদিও অপরাধীদের কিছু (প্রাক্তন) অংশীদাররা তাদের অবস্থার উন্নতি দেখতে পেয়েছে আবার, অন্যরা তা পায়নি এবং সেখানেও কিন্তু ক্ষতি করার ঝুঁকি তৈরি হয়।[৩৫৫]
যূথবদ্ধ কর্ম প্রক্রিয়া ব্যবহারের পাশাপাশি, এমন অন্যান্য পন্থাও রয়েছে যা সহিংসতা বন্ধ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা এবং সম্মান ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করার জন্য স্বতন্ত্র এবং সম্মিলিত কথোপকথনকে সমন্বিত করে।[৩৫৫]
পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধের উপায় হিসেবে প্রতিরোধ এবং হস্তক্ষেপের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়, সঙ্কট হস্তক্ষেপ, উকিল এবং শিক্ষা এবং প্রতিরোধ কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে সম্প্রদায়গত স্ক্রিনিং বা আশ্রয়ের ব্যবস্থা পশু নির্যাতন, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, জরুরী বিভাগ, আচরণগত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং আদালত ব্যবস্থার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আরও নিয়মতান্ত্রিক হতে পারে। পারিবারিক সহিংসতার স্ক্রিনিংয়ের সুবিধার্থে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশানের মতো সরঞ্জামের বিকাশ করা হচ্ছে।[৩৫৬][৩৫৭] ডুলুথ মডেল বা পারিবারিক নির্যাতনে হস্তক্ষেপ প্রকল্পটি নারীদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা হ্রাস করার জন্য তৈরি একটি কর্মসূচি,[৩৫৮] যা পারিবারিক সহিংসতার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন সংস্থার ক্রিয়াকলাপকে সমন্বয় করে নকশা করা প্রথম বহুমুখী একটি কর্মসূচি।[৩৫৯]
পারিবারিক সহিংসতার হটলাইনগুলো অবমাননাকর সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরামর্শ, সহায়তা এবং তথ্য পরিষেবা সরবরাহ করে।
প্রতিরোধ
[সম্পাদনা]ডিভি প্রতিরোধ বা হ্রাস করার চেষ্টা করতে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। যে কৌশলটি কার্যকর করা হচ্ছে তার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ।[৩৬০]
পারিবারিক সহিংসতা যাতে আইনের আওতায় আসে তা নিশ্চিত করার জন্য আইনের সংস্কার করা জরুরি। এটি বিদ্যমান আইন যা নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে তাকে বাতিল করে দিতে পারে: ডাব্লিওএইচও-র মতে, "যখন আইন স্বামীদের তাদের স্ত্রীদের শারীরিকভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার অনুমতি দেয়, তখন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক সহিংসতা রোধে একটি কর্মসূচী প্রয়োগ করা খুব কম প্রভাব ফেলতে পারে"।[৩৬০] বিবাহের আইনগুলোও গুরুত্বপূর্ণ, "তাদের [নারীদের] স্বাধীনভাবে একটি বিবাহের ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে বা এটি ত্যাগ করতে, আর্থিকভাবে লাভবান হতে এবং সম্পত্তি মালিকানাধীন ও পরিচালনা করতে সক্ষম হওয়া উচিত"।[৩৬০] যৌতুক ও কনে মূল্যের আদান-প্রদান বাতিলকরণ বা সীমাবদ্ধকরণ এবং ডিভি সম্পর্কিত আইনী সিদ্ধান্তের উপর এই লেনদেনগুলির প্রভাবের তদন্ত করাও গুরুত্বপূর্ণ। ইউএন উইমেন বলেছে, আইনে এটি নিশ্চিত করা উচিত যে "বৈবাহিক ধর্ষণ সহ পারিবারিক সহিংসতার একজন অপরাধী পারিবারিক সহিংসতার পক্ষে নিজের আত্মরক্ষার জন্য কখনো এ কথা বলতে পারবেন না যে তিনি কনে মূল্য দিয়েছিলেন"।[৩৬১]
লৈঙ্গিক আদর্শ যেভাবে নারীকে হীন হিসেবে প্রকাশ করে তাও ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক নির্যাতনের দিকে পরিচালিত করতে পারে। ডাব্লিওএইচও বলছে, " পুরুষতন্ত্র এবং নারীত্বের মধ্যে নির্মিত ভেদরেখাকে বাতিল করা এবং বৈষম্যকে সমর্থন করে এমন কাঠামোগত কারণগুলোকে নির্মূল করা ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক এবং যৌন সহিংসতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।"[৩৬০]
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলির মতে, "পারিবারিক সহিংসতা রোধে একটি মূল কৌশল হল ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং সামাজিক স্তরে পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্মানজনক, অহিংস সম্পর্কের প্রসার ঘটানো।"[৩৬২] স্কুল-ভিত্তিক প্রোগ্রামগুলোর মতো প্রাথমিক হস্তক্ষেপ কর্মসূচি ডেটিং সহিংসতা প্রতিরোধ করার জন্য কার্যকর।[৩৬০] হিংসাত্মক বাড়িতে বেড়ে ওঠা শিশুদের মনে হতে পারে যে, এই ধরনের আচরণ জীবনের একটি সাধারণ অঙ্গ, তাই এই শিশুদের কাছাকাছি থাকার সময় এই ধরনের মনোভাবগুলিকে চ্যালেঞ্জ করা গুরুত্বপূর্ণ।[৩৬৩]
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১৬ বিশ্বব্যাপী প্রচার এবং কার্যকর প্রতিষ্ঠানের দাবির মাধ্যমে পারিবারিক সহিংসতাসহ সকল প্রকার সহিংসতার অবসান ঘটানোর লক্ষ্য গ্রহণ করেছে।[৩৬৪] উন্নয়নশীল দেশ ও অঞ্চলগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বব্যাপী এই এসডিজি লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে ২০১৬ সালে ইউএন-ইইউ স্পটলাইটের যৌথ উদ্যোগ চালু করা হয়েছিল।[৩৬৫] স্পটলাইট উদ্যোগটি বাস্তবায়নকারী এবং লক্ষ্যযুক্ত উভয় সমাজ যেখানে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির পক্ষে বিষয়টি জটিল সে সকল বাস্তবায়নকারি অংশীদারদের দ্বারা গৃহীত হয়েছে - জাতিসংঘ, ইইউ এবং কাজাখস্তান এবং আফগানিস্তান এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পেরেছে।[৩৬৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ McQuigg, Ronagh J.A. (২০১১-০৪-০৬)। International Human Rights Law and Domestic Violence। Routledge। পৃষ্ঠা rom the original on May 15, 2016, This is an issue that affects vast numbers of women throughout all nations of the world. [...] Although there are cases in which men are the victims of domestic violence, nevertheless 'the available research suggests that domestic violence is overwhelmingly directed by men against women [...] In addition, violence used by men against female partners tends to be much more severe than that used by women against men. Mullender and Morley state that 'Domestic violence against women is the most common form of family violence worldwide.'। আইএসবিএন 978-1-136-74208-8।
- ↑ ক খ García-Moreno, Claudia; Stöckl, Heidi (২০০৯-০৬-২৭)। "Protection of sexual and reproductive health rights: Addressing violence against women"। International Journal of Gynecology & Obstetrics। 106 (2): 144–147 from the original on May 6, 2016, Intimate male partners are most often the main perpetrators of violence against women, a form of violence known as intimate partner violence, 'domestic' violence or 'spousal (or wife) abuse.' Intimate partner violence and sexual violence, whether by partners, acquaintances or strangers, are common worldwide and disproportionately affect women, although are not exclusive to them। আইএসএসএন 0020-7292। ডিওআই:10.1016/j.ijgo.2009.03.053।
- ↑ ক খ Swan, Suzanne C.; Gambone, Laura J.; Caldwell, Jennifer E.; Sullivan, Tami P.; Snow, David L. (2008-06)। "A Review of Research on Women's Use of Violence With Male Intimate Partners"। Violence and Victims। 23 (3): 301–314। আইএসএসএন 0886-6708। ডিওআই:10.1891/0886-6708.23.3.301। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ Esquivel-Santoveña, Esteban Eugenio; Lambert, Teri L.; Hamel, John (২০১৩)। "Partner Abuse Worldwide"। Partner Abuse। 4 (1): 6–75। আইএসএসএন 1946-6560। ডিওআই:10.1891/1946-6560.4.1.6।
- ↑ ক খ Strong, Bryan (২০১৪)। The marriage and family experience : intimate relationships in a changing society। Theodore F. Cohen (Twelfth edition, Student edition সংস্করণ)। Belmont, CA, USA। আইএসবিএন 978-1-133-59746-9। ওসিএলসি 854848032।
- ↑ ক খ Kidnapping : an investigator's guide to profiling। Diana M. Concannon। Amsterdam: Elsevier/Academic Press। ২০০৮। আইএসবিএন 978-0-12-374031-1। ওসিএলসি 272389525।
- ↑ ক খ Manual of forensic emergency medicine : a guide for clinicians। Ralph J. Riviello। Sudbury, Mass.: Jones and Bartlett Publishers। ২০১০। আইএসবিএন 978-0-7637-4462-5। ওসিএলসি 245507378।
- ↑ ক খ Encyclopedia of domestic violence and abuse। Laura L. Finley। Santa Barbara, California। ২০১৩। আইএসবিএন 978-1-61069-001-0। ওসিএলসি 816512991।
- ↑ ক খ Hess, Kären M. (২০১০)। Criminal investigation। Christine M. H. Orthmann (9th ed সংস্করণ)। Clifton Park, NY: Delmar, Cengage Learning। আইএসবিএন 978-1-4354-6993-8। ওসিএলসি 319637731।
- ↑ ক খ Lupri, Eugen (২০০৪)। Intimate partner abuse against men.। National Clearinghouse on Family Violence। [Ottawa]: National Clearinghouse on Family Violence। আইএসবিএন 0-662-37975-6। ওসিএলসি 237110800।
- ↑ Halket, Megan McPherson; Gormley, Katelyn; Mello, Nicole; Rosenthal, Lori; Mirkin, Marsha Pravder (2014-01-XX)। "Stay With or Leave the Abuser? The Effects of Domestic Violence Victim's Decision on Attributions Made by Young Adults"। Journal of Family Violence (ইংরেজি ভাষায়)। 29 (1): 35–49। আইএসএসএন 0885-7482। ডিওআই:10.1007/s10896-013-9555-4। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ Yves, Beigbeder (2013-07)। "World Health Organization (WHO)"। Max Planck Encyclopedia of Public International Law। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-923169-0। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Dutton, Donald G.; Painter, Susan (1993-01-XX)। "Emotional Attachments in Abusive Relationships: A Test of Traumatic Bonding Theory"। Violence and Victims। 8 (2): 105–120। আইএসএসএন 0886-6708। ডিওআই:10.1891/0886-6708.8.2.105। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ Schechter, Daniel S.; Zygmunt, Annette; Coates, Susan W.; Davies, Mark; Trabka, Kimberly A.; McCaw, Jaime; Kolodji, Ann; Robinson, Joann L. (2007-09)। "Caregiver traumatization adversely impacts young children's mental representations on the MacArthur Story Stem Battery"। Attachment & Human Development। 9 (3): 187–205। আইএসএসএন 1461-6734। ডিওআই:10.1080/14616730701453762। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Federation., National Women's Aid (১৯৭৮)। Battered women, refugees & women's aid : a report from the National Women's Aid Federation.। [The Federation]। ওসিএলসি 16443919।
- ↑ Campbell, Rosie; Childs, Sarah; Hunt, Elizabeth (২০১৮-০২-০৮)। Exploring Parliament। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-878843-0।
- ↑ "New York Times New York City Poll, September 2003"। ICPSR Data Holdings। ২০০৪-০৪-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১০।
- ↑ Hua Chua, Hui (2005-09)। "The Avalon Project at Yale Law School: Documents in Law, History and Diplomacy2005291The Avalon Project at Yale Law School: Documents in Law, History and Diplomacy. Yale University Law School, 1996‐. Gratis Last visited February 2005 URL: http://www.yale.edu/lawweb/avalon/avalon.htm"। Reference Reviews। 19 (6): 18–19। আইএসএসএন 0950-4125। ডিওআই:10.1108/09504120510613094। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য);|title=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ 1842-1883., McCabe, James D., (১৯৭১)। The history of the great riots : the strikes and riots on the various railroads of the United States and in the mining regions, together with a full history of the Mollie Maguires। A.M. Kelley। পৃষ্ঠা ১৫। ওসিএলসি 8624172।
- ↑ Shipway, Lyn (২০০৪-০৩-০১)। "Domestic Violence"। p. 3। ডিওআই:10.4324/9780203487099।
- ↑ Mayhew, Pat; Maung, Natalie Aye; Mirrlees-Black, Catriona (১৯৯৩)। "The 1992 British Crime Survey: Home Office research study 132"। PsycEXTRA Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১০।
- ↑ ক খ "COUNCIL OF EUROPE CONVENTION ON PREVENTING AND COMBATING VIOLENCE AGAINST WOMEN AND DOMESTIC VIOLENCE"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১০।
- ↑ ক খ "explanatory-working-paper-related-to-the-implementation-of-directive-201229eu-establishing-minimum-standards-on-the-rights-support-and-protection-of-victims-of-crime;hr"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১০।
- ↑ "Criminal attorney San Diego"। SciVee। ২০১১-০৮-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১০।
- ↑ editor., Ellis, Jane (Social scientist), editor. Thiara, Ravi K.,। Preventing violence against women and girls : educational work with children and young people। আইএসবিএন 978-1-4473-0732-7। ওসিএলসি 894792076।
- ↑ ক খ Wallace, Harvey (২০০৫)। Family violence : legal, medical, and social perspectives (4th ed সংস্করণ)। Boston, MA: Pearson/A and B। আইএসবিএন 0-205-41822-8। ওসিএলসি 54029242।
- ↑ World report on violence and health। Etienne G. Krug, World Health Organization। Geneva: World Health Organization। ২০০২। আইএসবিএন 0-585-46807-9। ওসিএলসি 53032850।
- ↑ ক খ গ "Child mental health and psychosocial development."। PsycEXTRA Dataset। ১৯৭৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১০।
- ↑ Violence in gay and lesbian domestic partnerships। Claire M. Renzetti, Charles Harvey Miley। New York। ১৯৯৬। আইএসবিএন 1-56024-753-3। ওসিএলসি 33947252।
- ↑ Johnson, Michael P.; Ferraro, Kathleen J. (2000-11)। "Research on Domestic Violence in the 1990s: Making Distinctions"। Journal of Marriage and Family। 62 (4): 948–963। আইএসএসএন 0022-2445। ডিওআই:10.1111/j.1741-3737.2000.00948.x। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Wallace, Harvey; Roberson, Cliff; Globokar, Julie; Wallace, Paul Harvey; Roberson, Cliff (২০১৫-০৮-২৭)। "Family Violence"। ডিওআই:10.4324/9781315664187।
- ↑ aînés., Québec (Province). Ministère de la famille et des (2011))। Government action plan to counter elder abuse : 2010-2015। Ministère de la Famille et des Aînés। আইএসবিএন 978-2-550-59124-5। ওসিএলসি 1059179028। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ গ International Law & World Order। Martinus Nijhoff Publishers। পৃষ্ঠা 1–4। আইএসবিএন 978-90-04-20870-4।
- ↑ "Husband and Wife. Rights of Wife against Husband and His Property. Wife's Right to Sue Her Husband for Torts. Assault"। Harvard Law Review। 34 (6): 676। 1921-04। আইএসএসএন 0017-811X। ডিওআই:10.2307/1328947। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ Feminists negotiate the state : the politics of domestic violence। Cynthia R. Daniels, Rachelle Brooks। Lanham: University Press of America। ১৯৯৭। আইএসবিএন 0-7618-0883-3। ওসিএলসি 37368711।
- ↑ ক খ গ ঘ Bloch, Ruth H. (২০০৭)। "The American Revolution, Wife Beating, and the Emergent Value of Privacy"। Early American Studies: An Interdisciplinary Journal। 5 (2): 223–251। আইএসএসএন 1559-0895। ডিওআই:10.1353/eam.2007.0008।
- ↑ 1578-1652., Ward, Nathaniel,। The body of liberties : the liberties of the Massachusetts colonie in New England, 1641.। ওসিএলসি 5922118।
- ↑ "Encyclopaedia Britannica"। Lexikon des gesamten Buchwesens Online। from the original on June 27, 2015. Retrieved October 31, 2011. Feminist agitation in the 1800s produced a sea change in public opinion..। সংগ্রহের তারিখ 2021-04-11। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Gordon, Linda (২০০২)। Heroes of their own lives : the politics and history of family violence : Boston, 1880-1960। Urbana: University of Illinois Press। আইএসবিএন 0-252-07079-8। ওসিএলসি 48857609।
- ↑ Kleinberg, S. J. (১৯৯৯)। Women in the United States, 1830–1945। London: Macmillan Education UK। পৃষ্ঠা 128–151। আইএসবিএন 978-0-333-61098-5।
- ↑ Pleck, Elizabeth (1989-01-XX)। "Criminal Approaches to Family Violence, 1640-1980"। Crime and Justice। 11: 19–57। আইএসএসএন 0192-3234। ডিওআই:10.1086/449151। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Domestic Violence: Coercive Control"। ২০১৭। ডিওআই:10.4135/9781473961548।
- ↑ PLECK, ELIZABETH (১৯৯২-১২-৩১)। Household Constitution and Family Relationships। DE GRUYTER SAUR। পৃষ্ঠা 189–203। আইএসবিএন 978-3-598-41456-5।
- ↑ Gender And Crime In Modern Europe। Routledge। ২০০২-০১-০৪। পৃষ্ঠা 134–152। আইএসবিএন 978-0-203-01699-2।
- ↑ "Intoxicating Liquors. "Retailing" Intoxicating Liquors Criminal Law Reports: Being Reports of Cases Determined in the Federal and State Courts of the United States, and in the Courts of England, Ireland, Canada, Etc. with Notes, Volume 2, New York: Hurd and Houghton, 1874–1875, OCLC 22125148, The cases in the American courts are uniform against the right of the husband to use any [physical] chastisement, moderate or otherwise, toward the wife, for any purpose."। The Virginia Law Register। 11 (2): 148। 1905-06। আইএসএসএন 1547-1357। ডিওআই:10.2307/1101323। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Lentz, Susan A. (১৯৯৯-০৩-০৫)। "Revisiting the Rule of Thumb"। Women & Criminal Justice। 10 (2): 9–27। আইএসএসএন 0897-4454। ডিওআই:10.1300/j012v10n02_02।
- ↑ Smith, Bonnie G. (২০১৯-০৩-০৬)। Women’s studies। 2 Edition. | New York : Routledge, 2019. | Revised edition of the author’s Women’s studies, 2013.: Routledge। পৃষ্ঠা 83–100। আইএসবিএন 978-1-351-02298-9।
- ↑ ক খ "Domestic Violence Resource Manual"। Clinical Nurse Specialist। 11 (2): 1। 1997-03-XX। আইএসএসএন 0887-6274। ডিওআই:10.1097/00002800-199703000-00023। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ Mahmood, Shahirah (২০১৮-০৭-১১)। Women of Asia। New York, NY: Routledge, 2018.: Routledge। পৃষ্ঠা 154–169। আইএসবিএন 978-1-315-45845-8।
- ↑ ক খ "Office of the United Nations High Commissioner for Human Rights (OHCHR)"। International Year Book and Statesmen's Who's Who। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ Jones, Jackie (২০১৮-০৩-২২)। The Legal Protection of Women from Violence। Title: The legal protection of women and girls from violence : normative gaps in international law / Jackie Jones and Rashida Manjoo. Description: Abingdon, Oxon [UK] ; New York : Routledge, 2018. |: Routledge। পৃষ্ঠা 139–165। আইএসবিএন 978-1-315-18500-2।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "COUNCIL OF EUROPE CONVENTION ON PREVENTING AND COMBATING VIOLENCE AGAINST WOMEN AND DOMESTIC VIOLENCE"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ VINDHYA, U. (2000-10)। ""Dowry Deaths" in Andhra Pradesh, India"। Violence Against Women। 6 (10): 1085–1108। আইএসএসএন 1077-8012। ডিওআই:10.1177/10778010022183532। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Staff writer (October 28, 2010). "Thousands of women killed for family "honor"". National Geographic News.। National Geographic Society.। Archived from the original on October 19, 2015. Retrieved August 22, 201। Authors list-এ
|প্রথমাংশ1=
এর|শেষাংশ1=
নেই (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Szasz, Thomas (১৯৯৮)। Cruel compassion : psychiatric control of society's unwanted (1st Syracuse University Press ed সংস্করণ)। Syracuse, N.Y.: Syracuse University Press। আইএসবিএন 0-8156-0510-2। ওসিএলসি 38016521।
- ↑ Young-Bruehl, Elisabeth (২০১২)। Childism : Confronting Prejudice Against Children। New Haven: Yale University Press। আইএসবিএন 978-0-300-17850-0। ওসিএলসি 774395316।
- ↑ Shipway, Lyn (২০০৪)। Domestic violence : a handbook for health professionals। London: Routledge। আইএসবিএন 0-203-48709-5। ওসিএলসি 55137277।
- ↑ ক খ Siemieniuk, Reed A.C.; Krentz, Hartmut B.; Gish, Jessica A.; Gill, M. John (2010-12)। "Domestic Violence Screening: Prevalence and Outcomes in a Canadian HIV Population"। AIDS Patient Care and STDs। 24 (12): 763–770। আইএসএসএন 1087-2914। ডিওআই:10.1089/apc.2010.0235। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Else, Sue; Randall, Allison। "National Network to End Domestic Violence"। Encyclopedia of Interpersonal Violence। 2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States: SAGE Publications, Inc.। আইএসবিএন 978-1-4129-1800-8।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Justice Department to spearhead President's Family Justice Center Initiative to better serve domestic violence victims"। PsycEXTRA Dataset। ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ Cattaneo, Lauren Bennett (২০০৮-০১-১৫)। "Evan Stark, Coercive Control—Revitalizing a Movement"। Sex Roles। 58 (7-8): 592–594। আইএসএসএন 0360-0025। ডিওআই:10.1007/s11199-007-9378-y।
- ↑ "Council of Europe (CoE)"। ২০০৭।
- ↑ ক খ "Criminal justice response to domestic violence in later life"। PsycEXTRA Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ Sorenson, Susan B.; Joshi, Manisha; Sivitz, Elizabeth (2014-11)। "A Systematic Review of the Epidemiology of Nonfatal Strangulation, a Human Rights and Health Concern"। American Journal of Public Health। 104 (11): e54–e61। আইএসএসএন 0090-0036। ডিওআই:10.2105/ajph.2014.302191। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Strangulation"। Definitions। Qeios। ২০২০-০২-০৭।
- ↑ "Health hazard evaluation report: HETA-89-069-2036, USA Today/Gannett Co., Inc., Rosslyn, Virginia."। ১৯৯০-০৪-০১।
- ↑ ক খ Petrosky, Emiko; Blair, Janet M.; Betz, Carter J.; Fowler, Katherine A.; Jack, Shane P.D.; Lyons, Bridget H. (২০১৭-০৭-২১)। "Racial and Ethnic Differences in Homicides of Adult Women and the Role of Intimate Partner Violence — United States, 2003–2014"। MMWR. Morbidity and Mortality Weekly Report। 66 (28): 741–746। আইএসএসএন 0149-2195। ডিওআই:10.15585/mmwr.mm6628a1।
- ↑ Van Wormer, Katherine S. (২০০৯)। Death by domestic violence : preventing the murders and murder-suicides। Albert R. Roberts। Westport, Conn.: Praeger। আইএসবিএন 978-0-313-35489-2। ওসিএলসি 233543972।
- ↑ "Lee, Jong-Wook, (12 April 1945–22 May 2006), Director-General, World Health Organization, since 2003"। Who Was Who। Oxford University Press। ২০০৭-১২-০১।
- ↑ Johnson, J.K.; Haider, F.; Ellis, K.; Hay, D.M.; Lindow, S.W. (2003-03)। "The prevalence of domestic violence in pregnant women"। BJOG: An International Journal of Obstetrics and Gynaecology। 110 (3): 272–275। আইএসএসএন 1470-0328। ডিওআই:10.1046/j.1471-0528.2003.02216.x। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Mezey, G. C; Bewley, S. (১৯৯৭-০৫-০৩)। "Domestic violence and pregnancy"। BMJ। 314 (7090): 1295–1295। আইএসএসএন 0959-8138। ডিওআই:10.1136/bmj.314.7090.1295।
- ↑ Herring, Jonathan (২০১৪-০২-২৭)। Family Law। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 2–26। আইএসবিএন 978-0-19-966852-6।
- ↑ "stop-violence-against-women-cambodia-drafts-new-law-to-curb-acid-attacks-apr-30-2010"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ Bennett, Linda Rae; Manderson, Lenore, সম্পাদকগণ (২০১৩-০৯-১৩)। "Violence Against Women in Asian Societies"। ডিওআই:10.4324/9781315029634।
- ↑ Halim Chowdhury, Elora (2007-08)। "Negotiating State and NGO Politics in Bangladesh"। Violence Against Women। 13 (8): 857–873। আইএসএসএন 1077-8012। ডিওআই:10.1177/1077801207302046। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ H., Bahl, Taru. Syed, M. (২০০৩)। Encyclopaedia of Muslim world। Anmol Publications। আইএসবিএন 81-261-1419-3। ওসিএলসি 55492660।
- ↑ Mannan, A.; Ghani, S.; Clarke, A.; White, P.; Salmanta, S.; Butler, P.E.M. (2006-03)। "Psychosocial outcomes derived from an acid burned population in Bangladesh, and comparison with Western norms"। Burns। 32 (2): 235–241। আইএসএসএন 0305-4179। ডিওআই:10.1016/j.burns.2005.08.027। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Kalantry, Sital; Getgen, Jocelyn E. (২০১১)। "Combating Acid Violence in Bangladesh, India and Cambodia"। SSRN Electronic Journal। আইএসএসএন 1556-5068। ডিওআই:10.2139/ssrn.1861218।
- ↑ "PAHO treats violence as a public health hazard"। PsycEXTRA Dataset। ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ Campbell, Thomas L. (১৯৯৭)। "Research reports: Domestic violence in primary care."। Families, Systems, & Health। 15 (3): 345–350। আইএসএসএন 1939-0602। ডিওআই:10.1037/h0090139।
- ↑ "news-from-human-rights-watch-no5-g-september-11-attacks-crimes-against-humanity-the-aftermath-volume-1-october-15-2001-october-2001"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ Pope, Nicole (২০১২)। Honor killings in the twenty-first century (1st ed সংস্করণ)। New York: Palgrave Macmillan। আইএসবিএন 978-1-137-01266-1। ওসিএলসি 778698434।
- ↑ "NHS now"। Nursing Standard। 12 (41): 28–29 Note that it is possible for a woman to not bleed the first time she has sex.[85] Sex outside marriage is illegal in many countries, including Saudi Arabia, Pakistan,[86] Afghanistan,[87][88][89] Iran,[89] Kuwait,[90] Maldives,[91] Morocco,[92] Oman,[93] Mauritania,[94] United Arab Emirates,[95][96] Qatar,[97] Sudan,[98] Yemen.[99]। 1998-07-XX। আইএসএসএন 0029-6570। ডিওআই:10.7748/ns.12.41.28.s35। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Lakhani, Avnita (2014-05)। "Book Review"। Journal of Energy & Natural Resources Law। 32 (2): 203–224। আইএসএসএন 0264-6811। ডিওআই:10.1080/02646811.2014.11435358। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Manuh, Takyiwaa; Bekoe, Adolf Awuku (২০১২-০৪-১৭)। "Confronting violence against women"। UN Chronicle। 47 (1): 12–15। আইএসএসএন 1564-3913। ডিওআই:10.18356/e9cb9eae-en।
- ↑ Seager, Joni (২০০৯)। The Penguin atlas of women in the world (4th সংস্করণ)। New York: Penguin Books। আইএসবিএন 9780143114512।
- ↑ UNICEF (২০১৪-০৭-২২)। "Prevalence of FGM/C"। UNICEF। ১৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ WHO (২০০২), "The forms and contexts of violence", WHO, World report on violence and health: summary, Geneva, Switzerland: World Health Organization, পৃষ্ঠা 17–18, ২০১৫-০৮-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা
- ↑ WHO (২০০৩), "Sexual violence: prevalence, dynamics and consequences", WHO, Guidelines for medico-legal care for victims of sexual violence, Geneva, Switzerland: World Health Organization, পৃষ্ঠা 6–16, আইএসবিএন 9789241546287, ২০১৫-১১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা
- ↑ "WHO Expert Committee on Drug Dependence: Twenty-first report."। PsycEXTRA Dataset। ১৯৭৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ "Sexual Violence Prevention: Beginning the Dialogue"। PsycEXTRA Dataset। ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ Kappler, Karolin Eva (২০১২)। Living with paradoxes : victims of sexual violence and their conduct of everyday life (1. ed সংস্করণ)। Wiesbaden: VS Verlag für Sozialwissenschaften / Springer Fachmedien Wiesbaden GmbH। আইএসবিএন 978-3-531-94003-8। ওসিএলসি 757941537।
- ↑ ক খ "Morgan, Christine Lesley, (born 4 May 1958), Head of Radio, BBC Religion and Ethics, since 2009"। Who's Who। Oxford University Press। ২০০৭-১২-০১।
- ↑ "libya-urged-to-thoroughly-investigate-1996-mass-prison-killings-june-29-2010"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ "Slow progress in ending female genital mutilation"। Bulletin of the World Health Organization। 92 (1): 6–7। ২০১৪-০১-০১। আইএসএসএন 0042-9686। ডিওআই:10.2471/blt.14.020114।
- ↑ The Churchill Documents। C & T Publications Limited। ২০১৫। আইএসবিএন 978-1-350-11844-7।
- ↑ "End child prostitution, child pornography and the trafficking of children for sexual purposes"। Trends in Organized Crime। 3 (4): 47–52। 1998-06-XX। আইএসএসএন 1084-4791। ডিওআই:10.1007/s12117-998-1055-1। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Europe., Council of (২০০৮)। Council of Europe Convention on the protection of children against sexual exploitation and sexual abuse : CETS No. 201 opened for signature in Lanzarote (Spain) on 25 October 2007 and explanatory report.। Council of Europe Publ। আইএসবিএন 978-92-871-6350-9। ওসিএলসি 698919558।
- ↑ Kollmannová, Denisa Kasl; Matušková, Anna (২০১৪-০১-১৬)। "Public affairs in the Czech Republic: an exploratory study of the current situation"। Journal of Public Affairs। 14 (1): 54–66। আইএসএসএন 1472-3891। ডিওআই:10.1002/pa.1505।
- ↑ "1 in 4 Callers to the National Domestic Violence Hotline Report Birth Control Sabotage and Pregnancy Coercion"। PsycEXTRA Dataset। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ "{BLR 2966} Financial Planning–Medscape–WWW"। Biotechnology Law Report। 18 (4): 360–360। 1999-08-XX। আইএসএসএন 0730-031X। ডিওআই:10.1089/blr.1999.18.360c। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Miller, Elizabeth; Jordan, Beth; Levenson, Rebecca; Silverman, Jay G. (2010-06)। "Reproductive coercion: connecting the dots between partner violence and unintended pregnancy"। Contraception। 81 (6): 457–459। আইএসএসএন 0010-7824। ডিওআই:10.1016/j.contraception.2010.02.023। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Bawah, Ayaga Agula; Akweongo, Patricia; Simmons, Ruth; Phillips, James F. (1999-03-XX)। "Women's Fears and Men's Anxieties: The Impact of Family Planning on Gender Relations in Northern Ghana"। Studies in Family Planning। 30 (1): 54–66। আইএসএসএন 0039-3665। ডিওআই:10.1111/j.1728-4465.1999.00054.x। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Guidelines for medico-legal care for victims of sexual violence.। Women and Health World Health Organization. Department of Gender, World Health Organization. Injuries and Violence Prevention Department। Geneva: World Health Organization। ২০০৩। আইএসবিএন 978-92-4-154628-7। ওসিএলসি 57625516।
- ↑ Garcia-Moreno, Claudia (2001-09)। "The World Health Organization Addressing Violence Against Women"। Development। 44 (3): 129–132। আইএসএসএন 1011-6370। ডিওআই:10.1057/palgrave.development.1110280। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Rani, Manju; Bonu, Sekhar; Diop-Sidibe, Nafissatou (2004-12)। "An Empirical Investigation of Attitudes towards Wife-Beating among Men and Women in Seven Sub-Saharan African Countries"। African Journal of Reproductive Health। 8 (3): 116। আইএসএসএন 1118-4841। ডিওআই:10.2307/3583398। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ The Right to Say No : Marital Rape and Law Reform in Canada, Ghana, Kenya and Malawi। Hart Publishing। আইএসবিএন 978-1-78225-860-5।
- ↑ Hasday, Jill Elaine (2000-10)। "Contest and Consent: A Legal History of Marital Rape"। California Law Review। 88 (5): 1373। আইএসএসএন 0008-1221। ডিওআই:10.2307/3481263। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Ending Violence Against Women। UN। ২০০৯-০১-২৯। পৃষ্ঠা 101–130। আইএসবিএন 978-92-1-156245-3।
- ↑ Monaghan, Nicola (২০২০-০২-২০)। Criminal Law Directions। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 192–230। আইএসবিএন 978-0-19-884878-3।
- ↑ "Council of Europe: Chart of Signatures and Ratifications1"। Nationalities Papers। 27 (1): 155–155। 1999-03-XX। আইএসএসএন 0090-5992। ডিওআই:10.1017/s0090599200004931। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ FOLLINGSTAD, DIANE R.; DeHART, DANA D. (2000-09)। "Defining Psychological Abuse of Husbands Toward Wives"। Journal of Interpersonal Violence। 15 (9): 891–920। আইএসএসএন 0886-2605। ডিওআই:10.1177/088626000015009001। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Adkins, Karen C. (২০১৯)। "Gaslighting by Crowd"। Social Philosophy Today। 35: 75–87। আইএসএসএন 1543-4044। ডিওআই:10.5840/socphiltoday201971660।
- ↑ ক খ গ Douglas, Heather (২০২১-০৩-১২)। Women, Intimate Partner Violence, and the Law। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 31–61। আইএসবিএন 978-0-19-007178-3।
- ↑ Hochadel, Amy M. (২০১৭-০৭-০৯)। Local Leadership in a Global Era। Cham: Springer International Publishing। পৃষ্ঠা 125–179। আইএসবিএন 978-3-319-58980-0।
- ↑ Harris, Maxine (2001-07)। "Stalking the Soul: Emotional Abuse and the Erosion of Identity"। Psychiatric Services। 52 (7): 979–a–980। আইএসএসএন 1075-2730। ডিওআই:10.1176/appi.ps.52.7.979-a। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ Jimenez, Sandra P. (২০০৭)। "Domestic Violence and Psychological Effects Among Battered Colombian Women"। PsycEXTRA Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ "Domestic Violence: A Primary Care Issue for Rural Women"। PsycEXTRA Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ "Next time, she'll be dead: battering & how to stop it"। Choice Reviews Online। 31 (09): 31–5166–31–5166। ১৯৯৪-০৫-০১। আইএসএসএন 0009-4978। ডিওআই:10.5860/choice.31-5166।
- ↑ "Overview: the "wife-beater's wife" reconsidered"। American Journal of Psychiatry। 137 (11): 1336–1347। 1980-11-XX। আইএসএসএন 0002-953X। ডিওআই:10.1176/ajp.137.11.1336। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Hilberman, Elaine (১৯৮০)। The Gender Gap in Psychotherapy। Boston, MA: Springer US। পৃষ্ঠা 213–236। আইএসবিএন 978-1-4684-4756-9।
- ↑ "You Never Can Tell"। You Never Can Tell। ২০১৫-০৮-১৫। ডিওআই:10.5040/9781580813761।
- ↑ Brennan, Iain; Myhill, Andy; Tagliaferri, Giulia; Tapley, Jacki (২০২০-০৭-১৪)। "Policing a new domestic abuse crime: Effects of force-wide training on arrests for coercive control"। dx.doi.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১।
- ↑ ক খ গ ঘ Adams, Adrienne E.; Sullivan, Cris M.; Bybee, Deborah; Greeson, Megan R. (2008-05)। "Development of the Scale of Economic Abuse"। Violence Against Women। 14 (5): 563–588। আইএসএসএন 1077-8012। ডিওআই:10.1177/1077801208315529। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ গ Brewster, Mary P. (২০০৩)। Journal of Family Violence। 18 (4): 207–217। আইএসএসএন 0885-7482। ডিওআই:10.1023/a:1024064214054 http://dx.doi.org/10.1023/a:1024064214054।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ ক খ Sanders, Cynthia K.; Schnabel, Meg (2006-06)। "Organizing for Economic Empowerment of Battered Women"। Journal of Community Practice। 14 (3): 47–68। আইএসএসএন 1070-5422। ডিওআই:10.1300/j125v14n03_04। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Smith, Rita। "National Coalition Against Domestic Violence"। Encyclopedia of Interpersonal Violence। 2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States: SAGE Publications, Inc.। আইএসবিএন 978-1-4129-1800-8।
- ↑ Ackerson, L. K.; Subramanian, S. V. (২০০৮-০৩-১৪)। "Domestic Violence and Chronic Malnutrition among Women and Children in India"। American Journal of Epidemiology। 167 (10): 1188–1196। আইএসএসএন 0002-9262। ডিওআই:10.1093/aje/kwn049।
- ↑ Watts, Charlotte; Zimmerman, Cathy (2002-04)। "Violence against women: global scope and magnitude"। The Lancet। 359 (9313): 1232–1237। আইএসএসএন 0140-6736। ডিওআই:10.1016/s0140-6736(02)08221-1। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Rural Woman Battering and the Justice System: An Ethnography। 2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States: SAGE Publications, Inc.। পৃষ্ঠা 66–90। আইএসবিএন 978-0-7619-0851-7।
- ↑ Capaldi, Deborah M.; Knoble, Naomi B.; Shortt, Joann Wu; Kim, Hyoun K. (২০১২)। "A Systematic Review of Risk Factors for Intimate Partner Violence"। Partner Abuse। 3 (2): 231–280। আইএসএসএন 1946-6560। ডিওআই:10.1891/1946-6560.3.2.231।
- ↑ Devries, K. M.; Mak, J. Y. T.; García-Moreno, C.; Petzold, M.; Child, J. C.; Falder, G.; Lim, S.; Bacchus, L. J.; Engell, R. E. (২০১৩-০৬-২০)। "The Global Prevalence of Intimate Partner Violence Against Women"। Science। 340 (6140): 1527–1528। আইএসএসএন 0036-8075। ডিওআই:10.1126/science.1240937।
- ↑ Hamby, Sherry (২০১৬)। "Self-report measures that do not produce gender parity in intimate partner violence: A multi-study investigation."। Psychology of Violence। 6 (2): 323–335। আইএসএসএন 2152-081X। ডিওআই:10.1037/a0038207।
- ↑ Bjørnholt, Margunn; Hjemdal, Ole Kristian (২০১৮-১০-৩১)। "Measuring violence, mainstreaming gender: does adding harm make a difference?"। Journal of Gender-Based Violence। 2 (3): 465–479। আইএসএসএন 2398-6808। ডিওআই:10.1332/239868018x15366982109807।
- ↑ Hamby, Sherry (২০১৭)। "On defining violence, and why it matters."। Psychology of Violence। 7 (2): 167–180। আইএসএসএন 2152-081X। ডিওআই:10.1037/vio0000117।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Chan, Ko Ling (2011-03)। "Gender differences in self-reports of intimate partner violence: A review"। Aggression and Violent Behavior। 16 (2): 167–175। আইএসএসএন 1359-1789। ডিওআই:10.1016/j.avb.2011.02.008। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Chan, Ko Ling (২০১১-০৯-১৩)। "Gender Symmetry in the Self-Reporting of Intimate Partner Violence"। Journal of Interpersonal Violence। 27 (2): 263–286। আইএসএসএন 0886-2605। ডিওআই:10.1177/0886260511416463।
- ↑ Rose, Susan D. (২০১৪)। Challenging Global Gender Violence। New York: Palgrave Macmillan US। পৃষ্ঠা 2–13। আইএসবিএন 978-1-349-48244-3।
- ↑ Boundless Dominion। MQUP। পৃষ্ঠা 261–272। আইএসবিএন 978-0-7735-5240-1।
- ↑ Wasco, Sharon M.; Bond, Meg A. (২০০৯-১২-০৪)। Handbook of Gender Research in Psychology। New York, NY: Springer New York। পৃষ্ঠা 613–641। আইএসবিএন 978-1-4419-1466-8।
- ↑ ক খ Bair-Merritt, Megan H.; Shea Crowne, Sarah; Thompson, Darcy A.; Sibinga, Erica; Trent, Maria; Campbell, Jacquelyn (২০১০-০৯-০৭)। "Why Do Women Use Intimate Partner Violence? A Systematic Review of Women's Motivations"। Trauma, Violence, & Abuse। 11 (4): 178–189। আইএসএসএন 1524-8380। ডিওআই:10.1177/1524838010379003।
- ↑ ক খ গ Loseke, Donileen; Gelles, Richard; Cavanaugh, Mary (২০০৫)। "Current Controversies on Family Violence"। ডিওআই:10.4135/9781483328584।
- ↑ Dasgupta, Shamita Das (2002-11)। "A Framework for Understanding Women's Use of Nonlethal Violence in Intimate Heterosexual Relationships"। Violence Against Women। 8 (11): 1364–1389। আইএসএসএন 1077-8012। ডিওআই:10.1177/107780102237408। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Straus, Murray A. (2011-07)। "Gender symmetry and mutuality in perpetration of clinical-level partner violence: Empirical evidence and implications for prevention and treatment"। Aggression and Violent Behavior। 16 (4): 279–288। আইএসএসএন 1359-1789। ডিওআই:10.1016/j.avb.2011.04.010। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ গ Hamby, Sherry (2009-03)। "The gender debate about intimate partner violence: Solutions and dead ends."। Psychological Trauma: Theory, Research, Practice, and Policy। 1 (1): 24–34। আইএসএসএন 1942-969X। ডিওআই:10.1037/a0015066। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Hamel, John; Russell, Brenda L. (২০১২-১০-৩০)। Perceptions of Female Offenders। New York, NY: Springer New York। পৃষ্ঠা 151–179। আইএসবিএন 978-1-4614-5870-8।
- ↑ M., Loseke, Donileen R., 1947- Gelles, Richard J. Cavanaugh, Mary (২০০৫)। Current controversies on family violence। Sage। আইএসবিএন 0-7619-2106-0। ওসিএলসি 803691898।
- ↑ ক খ গ Shree Pant, Shiwanee (২০২০)। "The Surge of Domestic Violence during the COVID-19 Pandemic"। SSRN Electronic Journal। আইএসএসএন 1556-5068। ডিওআই:10.2139/ssrn.3699388।
- ↑ Stark, Evan (২০০৭)। Coercive control : the entrapment of women in personal life। Oxford: Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-534833-0। ওসিএলসি 131022584।
- ↑ Marieke., Leeuwen, Thijs van. Brouwer, (২০১৩)। Psychology of trauma। Nova Science Publisher's। আইএসবিএন 978-1-62257-783-5। ওসিএলসি 855019780।
- ↑ John., Marx, (২০১৩)। Rosen's Emergency Medicine - Concepts and Clinical Practice। Elsevier Health Sciences। আইএসবিএন 978-1-4557-4987-4। ওসিএলসি 1058196939।
- ↑ Emery, Robert (২০১৩)। Cultural Sociology of Divorce: An Encyclopedia। 2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States: SAGE Publications, Inc.। আইএসবিএন 978-1-4129-9958-8।
- ↑ ক খ Caldwell, Jennifer E.; Swan, Suzanne C.; Woodbrown, V. Diane (২০১২)। "Gender differences in intimate partner violence outcomes."। Psychology of Violence। 2 (1): 42–57। আইএসএসএন 2152-081X। ডিওআই:10.1037/a0026296।
- ↑ Hamberger, L. Kevin (২০০৫-০৪-০১)। "Men's and Women's Use of Intimate Partner Violence in Clinical Samples: Toward a Gender-Sensitive Analysis"। Violence and Victims। 20 (2): 131–151। আইএসএসএন 0886-6708। ডিওআই:10.1891/vivi.2005.20.2.131।
- ↑ S., Jacobson, Neil (১৯৯৮)। When men batter women : new insights into ending abusive relationships। Simon & Schuster। আইএসবিএন 0-684-81447-1। ওসিএলসি 925009729।
- ↑ Bahador, Babak (২০০৭)। The CNN Effect in Action। New York: Palgrave Macmillan US। পৃষ্ঠা 3–19। আইএসবিএন 978-1-349-53580-4।
- ↑ "Some women condone men's violence against women"। dx.doi.org। ২০১৯-০৩-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১২।
- ↑ Wang, Wenjuan; Pullum, Tom; Kishor, Sunita (২০১৯)। Encyclopedia of Gerontology and Population Aging। Cham: Springer International Publishing। পৃষ্ঠা 1–5। আইএসবিএন 978-3-319-69892-2।
- ↑ "2005 Utah Higher Education Health Behavior Survey Final Report"। PsycEXTRA Dataset। ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১২।
- ↑ Britton, Hannah E. (২০২০-০৪-০১)। Ending Gender-Based Violence। University of Illinois Press। পৃষ্ঠা 29–46। আইএসবিএন 978-0-252-04309-3।
- ↑ Felson, Richard B. (২০০২)। Violence & gender reexamined। American Psychological Association (First edition সংস্করণ)। Washington, DC। আইএসবিএন 1-55798-895-1। ওসিএলসি 48966633।
- ↑ Robbins, Kalyani (1999-11-XX)। "No-Drop Prosecution of Domestic Violence: Just Good Policy, or Equal Protection Mandate?"। Stanford Law Review। 52 (1): 205। আইএসএসএন 0038-9765। ডিওআই:10.2307/1229461। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Encyclopedia of Crime and Punishment Encyclopedia of crime and punishment। 2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States: SAGE Publications, Inc.। ২০০২। আইএসবিএন 978-0-7619-2258-2।
- ↑ ক খ Rogers, Kenneth; Baumgardner, Barbara; Connors, Kathleen; Martens, Patricia; Kiser, Laurel "Prevention of family violence", in Compton, Michael T. (ed.), Clinical manual of prevention in mental health (1st ed.)। Washington, DC: American: Psychiatric Publishing। ২০১০। পৃষ্ঠা p. 245 Women are more often the victims of domestic violence than men and are more likely to suffer injuries and health consequences.। আইএসবিএন 9781585623471।
- ↑ ক খ Brinkerhoff, David; Weitz, Rose; Ortega, Suzanne T. (, "The study of society", in Brinkerhoff, David; Weitz, Rose; Ortega, Suzanne T. (eds.), Essentials of sociology (9th ed.)। Belmont, California: Wadsworth Cengage Learning। ২০১৩। পৃষ্ঠা p. 11, A conflict analysis of domestic violence, for example, would begin by noting that women are battered far more often and far more severely than are men...। আইএসবিএন 9781285545899।
- ↑ Gender, Human Rights and Culture Branch (২০০৮)। UNFPA strategy and framework for action to addressing gender-based violence 2008-2011.। UNFPA Technical Division। New York: United Nations Population Fund। আইএসবিএন 9780897149518। ওসিএলসি 1050039321।
- ↑ ক খ "Organization of American States: Inter-American Convention on the Prevention, Punishment and Eradication of Violence Against Women ("Convention of Belem Do Para""। International Legal Materials। 33 (6): 1534–1539। 1994-11-XX। আইএসএসএন 0020-7829। ডিওআই:10.1017/s0020782900036524। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ body., African Commission on Human and Peoples' Rights, issuing। Guidelines for state reporting under the protocol to the African Charter on Human and Peoples' Rights on the Rights of Women in Africa। ওসিএলসি 904714339।
- ↑ Choudhary, Saroj Kant (২০১২)। "Legal Recourse to Domestic Violence: European Perspective through ECHR Decision (Opuz V. Turkey)"। SSRN Electronic Journal। আইএসএসএন 1556-5068। ডিওআই:10.2139/ssrn.2177522।
- ↑ Choudhry, Shazia; Herring, Jonathan (২০১৯)। Feminist Judgments in International Law। Hart Publishing। আইএসবিএন 978-1-5099-1445-6।
- ↑ Garcia-Moreno, Claudia; Watts, Charlotte; Jansen, Henriette; Ellsberg, Mary; Heise, Lori (২০০৩)। "Responding to Violence against Women: WHO's Multicountry Study on Women's Health and Domestic Violence"। Health and Human Rights। 6 (2): 112। আইএসএসএন 1079-0969। ডিওআই:10.2307/4065432।
- ↑ "Criminal attorney San Diego"। SciVee। ২০১১-০৮-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১২।
- ↑ ক খ Small Arms Survey, Geneva। Small arms survey 2012। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা vi–vi। আইএসবিএন 978-1-139-01392-5।
- ↑ Men, masculinities and intimate partner violence। Lucas Gottzén, Margunn Bjørnholt, Floretta Boonzaier। Abingdon, Oxon। ২০২১। আইএসবিএন 978-0-429-28005-4। ওসিএলসি 1161996876।
- ↑ Barrier, Patricia A. (1998-03-XX)। "Domestic Violence"। Mayo Clinic Proceedings। 73 (3): 271–274। আইএসএসএন 0025-6196। ডিওআই:10.4065/73.3.271। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Counseling Ethics for the 21st Century: A Case-Based Guide to Virtuous Practice। 2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320: SAGE Publications, Inc.। ২০১৯। পৃষ্ঠা 115–124। আইএসবিএন 978-1-5063-4547-5।
- ↑ Kumar, Anant (২০১২-০৩-২৮)। "Domestic Violence against Men in India: A Perspective"। Journal of Human Behavior in the Social Environment। 22 (3): 290–296। আইএসএসএন 1091-1359। ডিওআই:10.1080/10911359.2012.655988।
- ↑ Felson, Richard B.; Pare, Paul‐Philippe (২০০৭-০৭-১৩)। "Does the Criminal Justice System Treat Domestic Violence and Sexual Assault Offenders Leniently?"। Justice Quarterly। 24 (3): 435–459। আইএসএসএন 0741-8825। ডিওআই:10.1080/07418820701485601।
- ↑ Kingsnorth, Rodney F.; MacIntosh, Randall C. (২০০৭-০৭-১৩)। "Intimate Partner Violence: The Role of Suspect Gender in Prosecutorial Decision‐Making"। Justice Quarterly। 24 (3): 460–495। আইএসএসএন 0741-8825। ডিওআই:10.1080/07418820701485395।
- ↑ ক খ গ ঘ Handbook of adolescent health psychology। William T. O'Donohue, Lorraine T. Benuto, Lauren Woodward Tolle। New York, NY: Springer। ২০১৩। আইএসবিএন 978-1-4614-6633-8। ওসিএলসি 842363080।
- ↑ ক খ গ ঘ Intimate partner violence : a health-based perspective। Connie Mitchell, Deirdre Anglin। Oxford: Oxford University Press। ২০০৯। আইএসবিএন 978-0-19-972072-9। ওসিএলসি 429921023।
- ↑ Williams, Jessica R.; Ghandour, Reem M.; Kub, Joan E. (2008-10)। "Female Perpetration of Violence in Heterosexual Intimate Relationships"। Trauma, Violence, & Abuse। 9 (4): 227–249। আইএসএসএন 1524-8380। ডিওআই:10.1177/1524838008324418। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ Handbook of violence। Lisa A. Rapp-Paglicci, Albert R. Roberts, John S. Wodarski। New York: Wiley। ২০০২। আইএসবিএন 0-471-21444-2। ওসিএলসি 654358245।
- ↑ Hamby, Sherry (2014). [1] "Self-Report Measures That Do Not Produce Gender Parity in Intimate Partner Violence A Multi-Study Investigation", Psychology of Violence6(2), January 2014. Retrieved on 31 July 2018.
- ↑ The psychology of teen violence and victimization. Volume 1, From bullying to cyberstalking to assault and sexual violation। Michele Antoinette Paludi। Santa Barbara, Calif.: Praeger। ২০১১। পৃষ্ঠা ২২১–৪১। আইএসবিএন 978-0-313-39376-1। ওসিএলসি 759972151।
- ↑ The psychology of teen violence and victimization. Volume 1, From bullying to cyberstalking to assault and sexual violation। Michele Antoinette Paludi। Santa Barbara, Calif.: Praeger। ২০১১। পৃষ্ঠা ৭১–৮২। আইএসবিএন 978-0-313-39376-1। ওসিএলসি 759972151।
- ↑ Anne-Stuart Bell; Dinwiddie, Martha; Hamby, Sherry (২০১৮)। "Gender Patterns in Intimate Partner Violence: Results from 33 Campus Climate Surveys Based on the Partner Victimization Scale" (ইংরেজি ভাষায়)। ডিওআই:10.13140/RG.2.2.34326.86086।
- ↑ "Prohibiting All Corporal Punishment of Children in Africa: Progress and Delay"। PsycEXTRA Dataset। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৬।
- ↑ Kidman, Rachel; Palermo, Tia (2016-01)। "The relationship between parental presence and child sexual violence: Evidence from thirteen countries in sub-Saharan Africa"। Child Abuse & Neglect। 51: 172–180। আইএসএসএন 0145-2134। ডিওআই:10.1016/j.chiabu.2015.10.018। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Family violence against children : a challenge for society। Detlev Frehsee, Wiebke Horn, Kai-D. Bussmann, SonderforschungsbereichPrävention und Intervention im Kindes- und Jugendalter। Berlin: Walter de Gruyter। ১৯৯৬। আইএসবিএন 978-3-11-082803-0। ওসিএলসি 841170935।
- ↑ "Prohibiting all Corporal Punishment of Children: Learning from States which have Achieved Law Reform"। PsycEXTRA Dataset। ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১২।
- ↑ Aguinaldo, Jeffrey (২০০০)। Partner abuse in gay male relationships : challenging "we are family."। National Library of Canada. Canadian Theses Service, Wilfrid Laurier University. Faculty of Graduate Studies. Department of Psychology। Waterloo, Ontario: Wilfrid Laurier University। আইএসবিএন 0-612-53261-5। ওসিএলসি 612527807।
- ↑ ক খ Fisher, Bonnie (২০১০)। Encyclopedia of Victimology and Crime Prevention.। Steven P. Lab। Thousand Oaks: SAGE Publications। আইএসবিএন 978-1-4522-6637-4। ওসিএলসি 809772665।
- ↑ Burke, L (1999-08-XX)। "Violence in lesbian and gay relationships Theory, prevalence, and correlational factors"। Clinical Psychology Review। 19 (5): 487–512। আইএসএসএন 0272-7358। ডিওআই:10.1016/s0272-7358(98)00054-3। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ Walters, Mikel L.; Chen, Jieru; Breiding, Matthew J. (২০১৩)। "The National Intimate Partner and Sexual Violence Survey: 2010 Findings on Victimization by Sexual Orientation"। PsycEXTRA Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১২।
- ↑ ক খ গ Miles-Johnson, Toby (২০২০)। Intimate Partner Violence and the LGBT+ Community। Cham: Springer International Publishing। পৃষ্ঠা 281–304। আইএসবিএন 978-3-030-44761-8।
- ↑ ক খ Finneran, Catherine; Stephenson, Rob (২০১৪)। "Antecedents of Intimate Partner Violence Among Gay and Bisexual Men"। Violence and Victims (ইংরেজি ভাষায়)। 29 (3): 422–435। আইএসএসএন 0886-6708। ডিওআই:10.1891/0886-6708.VV-D-12-00140।
- ↑ Karmen, Andrew (২০১০)। Crime victims : an introduction to victimology (7th ed সংস্করণ)। Belmont, CA: Wadsworth/Cengage Learning। আইএসবিএন 978-0-495-59929-6। ওসিএলসি 324995705।
- ↑ Interpersonal violence in the African American community : evidence-based prevention and treatment practices। Robert L. Hampton, Thomas P. Gullotta, Jessica M. Ramos। New York: Springer। ২০০৬। আইএসবিএন 978-0-387-29598-5। ওসিএলসি 609715322।
- ↑ Gonzalez-Guarda, Rosa M.; De Santis, Joseph P.; Vasquez, Elias P. (২০১৩-০১-৩১)। "Sexual Orientation and Demographic, Cultural, and Psychological Factors Associated with the Perpetration and Victimization of Intimate Partner Violence among Hispanic Men"। Issues in Mental Health Nursing। 34 (2): 103–109। আইএসএসএন 0161-2840। ডিওআই:10.3109/01612840.2012.728280।
- ↑ Gutiérrez, Martín। Benezit Dictionary of Artists। Oxford University Press। ২০১১-১০-৩১।
- ↑ Domestic Violence And International Law। Hart Publishing। আইএসবিএন 978-1-4725-6504-4।
- ↑ Gennetian, Lisa A. (2003-10)। "Welfare Policies and Domestic Abuse among Single Mothers"। Violence Against Women। 9 (10): 1171–1190। আইএসএসএন 1077-8012। ডিওআই:10.1177/1077801203255846। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ Martin, Luke (২০১৬)। Domestic Violence। London: Palgrave Macmillan UK। পৃষ্ঠা 181–201। আইএসবিএন 978-1-137-52451-5।
- ↑ Badenes-Ribera, Laura; Bonilla-Campos, Amparo (২০২১-০৩-১৭)। The Routledge International Handbook of Domestic Violence and Abuse। Abingdon, Oxon; New York, NY: Routledge, 2021.: Routledge। পৃষ্ঠা 267–282। আইএসবিএন 978-0-429-33105-3।
- ↑ Finneran, Catherine; Stephenson, Rob (২০১৪)। "Antecedents of Intimate Partner Violence Among Gay and Bisexual Men"। Violence and Victims। 29 (3): 422–435। আইএসএসএন 0886-6708। ডিওআই:10.1891/0886-6708.vv-d-12-00140।
- ↑ ক খ "COVID-19 and Ending Violence Against Women and Girls"। UN Women Ending Violence Against Women (EVAW) COVID-19 Briefs। ২০২০-০৬-২৩। আইএসএসএন 2708-4191। ডিওআই:10.18356/2fd3ecfb-en।
- ↑ "Carragher, Anna, (born 9 July 1948), Controller, BBC Northern Ireland, 2000–06; Commissioner, Equality Commission, Northern Ireland, since 2009; Electoral Commissioner for Northern Ireland, since 2012"। Who's Who। Oxford University Press। ২০০৭-১২-০১।
- ↑ Secretariat., Amnesty International. International (২০০৯)। Yemen's dark side : discrimination and violence against women and girls.। Amnesty International। ওসিএলসি 540108629।
- ↑ Violence against women in families and relationships। Evan Stark, Eva Schlesinger Buzawa। Santa Barbara, Calif.: Praeger/ABC-CLIO। ২০০৯। আইএসবিএন 978-0-275-99846-2। ওসিএলসি 309836050।
- ↑ "Hill, Jane, (born 10 June 1969), presenter, BBC TV News, since 1997"। Who's Who। Oxford University Press। ২০১৩-১২-০১।
- ↑ "Washington Post Washington, DC, Poll, May 2002"। ICPSR Data Holdings। ২০০৩-০৫-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৩।
- ↑ 2000 Afghanistan multiple indicator cluster survey : MICS2 : volume 1 : situation analysis of children and women in the east of Afghanistan / by Afghanistan MICS2 Steering Committee, ICONS (Institution Consultancy Services), SHAIP Islamabad, Deutsche Gesellschaft fanduuml;r Technische Zusammenarbeit (GTZ).। University of Arizona Libraries। ২০০১।
- ↑ UNICEF (জানুয়ারি ২০১৩)। Monitoring the situation of women & children: Afghanistan multiple indicator cluster survey 2010–2011। Central Statistics Organisation, UNICEF। ২ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৪। Pdf. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৪-০১-১১ তারিখে
- ↑ Due Diligence and Its Application to Protect Women from Violence। Brill | Nijhoff। ২০০৯-০১-০১। পৃষ্ঠা 157–171। আইএসবিএন 978-90-04-18088-8।
- ↑ Violencia contra la mujer y maltrato familiar। J.M Bosch। ২০১৯-০৮-০১। পৃষ্ঠা 57–104। আইএসবিএন 978-84-120770-1-8।
- ↑ VOLFA, Julija। "Ministry And Domestic Violence Against Women: Perspectives On Domestic Violence Against Women In Russia And The USA"।
- ↑ Koss, Mary P. (2000-11)। "Blame, shame, and community: Justice responses to violence against women."। American Psychologist। 55 (11): 1332–1343। আইএসএসএন 1935-990X। ডিওআই:10.1037/0003-066x.55.11.1332। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Bullock, Cathy Ferrand (2007-04)। "Framing Domestic Violence Fatalities: Coverage by Utah Newspapers"। Women's Studies in Communication। 30 (1): 34–63। আইএসএসএন 0749-1409। ডিওআই:10.1080/07491409.2007.10162504। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Buzawa, Eva Schlesinger (২০১২)। Responding to domestic violence : the integration of criminal justice and human services। Carl G. Buzawa, Evan Stark, Eva Schlesinger Buzawa (4th ed সংস্করণ)। Thousand Oaks, Calif: Sage Publications। আইএসবিএন 978-1-4129-5639-0। ওসিএলসি 648922072।
- ↑ Jenks, Richard J. (২০১৮-১০-২৪)। Divorce, Annulments, and the Catholic Church। Routledge। পৃষ্ঠা 27–43। আইএসবিএন 978-1-315-86500-3।
- ↑ Sigal, Janet I. (২০১৪)। "Domestic violence and honor killings"। PsycEXTRA Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৭।
- ↑ Brügger, Niels; Laursen, Ditte; Nielsen, Janne (২০১৬-০৬-১৩)। "Methodological reflections about establishing a corpus of the archived web: the case of the Danish web from 2005 to 2015"। Researchers, practitioners and their use of the archived web। School of Advanced Study, University of London। ডিওআই:10.14296/resaw.0009।
- ↑ Bristol, Matt (২০০৩)। "Sanctuary in a Time of Need: Patients, families find comfort and support at VA Fisher Houses"। PsycEXTRA Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৭।
- ↑ Korteweg, Anna C.; Yurdakul, Gökçe (২০১৪-০১-০১)। The Headscarf Debates। Stanford University Press। আইএসবিএন 978-0-8047-9116-8।
- ↑ "Outlook for sustainable development in South Asia"। dx.doi.org। ২০১৭-০৫-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৭।
- ↑ "human-rights-watch-crossfire-continued-human-rights-abuses-by-bangladeshsrapid-action-battalion"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৭।
- ↑ Shelemay, Kay Kaufman; Kimberlin, Cynthia Tse (২০০১)। Ethiopia, Federal Democratic Republic of। Oxford Music Online। Oxford University Press।
- ↑ "COUNCIL OF EUROPE CONVENTION ON PREVENTING AND COMBATING VIOLENCE AGAINST WOMEN AND DOMESTIC VIOLENCE"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৭।
- ↑ Handbook on effective police responses to violence against women। United Nations Office on Drugs and Crime। New York: United Nations। ২০১০। আইএসবিএন 978-92-1-055581-4। ওসিএলসি 794270423।
- ↑ "Oral Statement on Interactive Dialogue with the Special Rapporteur on contemporary forms of slavery, including its causes and consequences"। Human Rights Documents Online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৮।
- ↑ "human-rights-watch-how-come-you-allow-little-girls-to-get-married-child-marriage-in-yemen"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৩।
- ↑ "human-rights-watch-how-come-you-allow-little-girls-to-get-married-child-marriage-in-yemen"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৮।
- ↑ "Wyatt, Caroline Jane, (born 21 April 1967), Religious Affairs Correspondent, BBC, 2014–16"। Who's Who। Oxford University Press। ২০০৮-১২-০১।
- ↑ United Nations Treaty Series। UN। ২০১৬-০৪-২২। পৃষ্ঠা 415–415। আইএসবিএন 978-92-1-057782-3।
- ↑ Hague, Gill; Thiara, Ravi K.; Turner, Atuki (2011-11)। "Bride-price and its links to domestic violence and poverty in Uganda: A participatory action research study"। Women's Studies International Forum। 34 (6): 550–561। আইএসএসএন 0277-5395। ডিওআই:10.1016/j.wsif.2011.06.008। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Hague, Gill; Thiara, Ravi K.; Turner, Atuki (2011-11-XX)। "Bride-price and its links to domestic violence and poverty in Uganda: A participatory action research study"। Women's Studies International Forum (ইংরেজি ভাষায়)। 34 (6): 550–561। ডিওআই:10.1016/j.wsif.2011.06.008। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ গ "marrying-too-young-end-child-marriage"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৩।
- ↑ "Amnesty International responds to launch of National Inquiry into Missing and Murdered Indigenous Women and Girls"। Human Rights Documents Online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৩।
- ↑ "stop-violence-against-women-united-nations-human-rights-council-creates-working-group-to-eliminate-discrimination-against-women-in-law-and-practice-oct-5-2010"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৩।
- ↑ "Online and ICT Facilitated Violence Against Women and Girls during COVID-19"। UN Women Ending Violence Against Women (EVAW) COVID-19 Briefs। ২০২০-০৬-২০। আইএসএসএন 2708-4191। ডিওআই:10.18356/b3f5cc80-en।
- ↑ Fields, Rona M. (২০১৩)। Against Violence against Women। New York: Palgrave Macmillan US। পৃষ্ঠা 43–75। আইএসবিএন 978-1-137-43917-8।
- ↑ "news-from-human-rights-watch-vol16-no8e-egypt-divorced-from-justice-womens-unequal-access-to-divorce-in-egypt-december-2004-68-pp"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৩।
- ↑ "Violence Against Women and Girls Data Collection during COVID-19"। UN Women Ending Violence Against Women (EVAW) COVID-19 Briefs। ২০২০-০৬-২৯। আইএসএসএন 2708-4191। ডিওআই:10.18356/6c50a2a9-en।
- ↑ Manjoo, Rashida; Nadj, Daniela (২০১৭)। Global Responses to Domestic Violence। Cham: Springer International Publishing। পৃষ্ঠা 21–39। আইএসবিএন 978-3-319-56719-8।
- ↑ Blood on Their Hands। Rutgers University Press। ২০১৯-১২-৩১। পৃষ্ঠা 12–21। আইএসবিএন 978-0-8135-7624-4।
- ↑ ক খ Violence Against Women। Routledge। ২০১৫-০৫-০৫। পৃষ্ঠা 72–80। আইএসবিএন 978-1-315-76883-0।
- ↑ Foundation, Thomson Reuters (২০১৪)। Protecting the Girl Child Legal Annex: Using the Law to End Child, Early and Forced Marriage and Related Human Rights Violations। Thomson Reuters Foundation। ওসিএলসি 1050047013।
- ↑ Minimum Standards for Child Protection in Humanitarian Action। Practical Action Publishing। ২০২০-১১-১৫। আইএসবিএন 978-1-78853-151-1।
- ↑ Stange, Mary; Oyster, Carol; Sloan, Jane (২০১৩)। The Multimedia Encyclopedia of Women in Today's World Encyclopedia of Women in Today's World। 2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States: SAGE Publications, Inc.। আইএসবিএন 978-1-4522-7038-8।
- ↑ Duggan, Marian (২০১৮-০৭-০৪)। Revisiting the “Ideal Victim”। Policy Press। পৃষ্ঠা 159–175। আইএসবিএন 978-1-4473-3876-5।
- ↑ Faver, Catherine A.; Strand, Elizabeth B. (২০০৭-০৪-০২)। "Fear, Guilt, and Grief: Harm to Pets and the Emotional Abuse of Women"। Journal of Emotional Abuse। 7 (1): 51–70। আইএসএসএন 1092-6798। ডিওআই:10.1300/j135v07n01_04।
- ↑ "news-from-human-rights-watch-no4-d-sacrificing-women-to-save-the-family-domestic-violence-in-uzbekistan-july-2001-54-pp"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৩।
- ↑ Douglas, Debbie; Go, Avvy; Blackstock, Sarah (December 5, 2012). "Editorial opinion: Canadian immigration changes force women to stay with sponsoring spouse for two years". The Star. Toronto, Canada: Star Media Group, Torstar. Archived from the original on September 4, 2015. Retrieved August 22, 2015.
- ↑ Huang, Grace (২০১৯)। Handbook of Interpersonal Violence Across the Lifespan। Cham: Springer International Publishing। পৃষ্ঠা 1–25। আইএসবিএন 978-3-319-62122-7।
- ↑ AFP in Sydney (August 1, 2014). "Australian migrants trapped in 'slave-like' marriages". The Guardian. Guardian Media Group. Archived from the original on October 11, 2015. Retrieved August 22, 2015.
- ↑ Samantha., Lyneham,। Human trafficking involving marriage and partner migration to Australia। আইএসবিএন 978-1-922009-65-4। ওসিএলসি 880571323।
- ↑ Nusrat., Raza, (২০১১)। Visa for hell : bridal slavery through legitimate trafficking : based on real life stories। Best Books Publications। ওসিএলসি 772450148।
- ↑ Maharaj, Artie; Wasco, Sharon M. (২০০৭)। "South Asian Women and Abuse: Advocate Perspectives on Domestic Violence Within South Asian Communities"। PsycEXTRA Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৩।
- ↑ Cowburn, Malcolm; Gill, Aisha K; Harrison, Karen (2014-07)। "Speaking about sexual abuse in British South Asian communities: offenders, victims and the challenges of shame and reintegration"। Journal of Sexual Aggression। 21 (1): 4–15। আইএসএসএন 1355-2600। ডিওআই:10.1080/13552600.2014.929188। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Satyen, Lata; Piedra, Steve; Ranganathan, Archna; Golluccio, Naomee (২০১৮-০৭-২৪)। "Intimate Partner Violence and Help-Seeking Behavior among Migrant Women in Australia"। Journal of Family Violence। 33 (7): 447–456। আইএসএসএন 0885-7482। ডিওআই:10.1007/s10896-018-9980-5।
- ↑ ক খ Cuadra, MD, Teresa; Newman, Suzanne। "Violencia domestica"। PsycEXTRA Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৩।
- ↑ Bartol, Curt R.। "Forensic Science: Psychology"। Encyclopedia of Murder and Violent Crime। 2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States: SAGE Publications, Inc.। আইএসবিএন 978-0-7619-2437-1।
- ↑ ক খ Pozzulo, Joanna; Bennell, Craig, সম্পাদকগণ (২০১৮-১২-০৭)। "Working with Trauma-Exposed Children and Adolescents"। ডিওআই:10.4324/9780429423017।
- ↑ "Twelve Angry Men"। Twelve Angry Men। ২০০৬-০৬-২০। ডিওআই:10.5040/9781580815444।
- ↑ Ray, Larry (২০১১)। Violence & Society। 1 Oliver's Yard, 55 City Road, London EC1Y 1SP United Kingdom: SAGE Publications Ltd। আইএসবিএন 978-1-84787-035-3।
- ↑ Larry., Ray, (২০১২)। Violence and society। SAGE Publications Ltd। আইএসবিএন 978-1-4462-4670-2। ওসিএলসি 1141064633।
- ↑ Andrew Day and Erica Bowen (2015), Offending Competency and coercive control in intimate partner violence, Aggression and Violent behaviour 20 (2015)62
- ↑ Day, Andrew; Bowen, Erica (2015-01)। "Offending competency and coercive control in intimate partner violence"। Aggression and Violent Behavior। 20: 62–71। আইএসএসএন 1359-1789। ডিওআই:10.1016/j.avb.2014.12.004। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Hutchinson, Phoebe। Are you listening? Life is talking to you!। আইএসবিএন 978-1-4525-1311-9। ওসিএলসি 1175685741।
- ↑ ক খ International handbook of multigenerational legacies of trauma। Yael Danieli। New York: Plenum Press। ১৯৯৮। আইএসবিএন 0-306-45738-5। ওসিএলসি 39384629।
- ↑ KALMUSS, DEBRA; SELTZER, JUDITH A. (1989-09-XX)। "A Framework for Studying Family Socialization Over the Life Cycle"। Journal of Family Issues। 10 (3): 339–358। আইএসএসএন 0192-513X। ডিওআই:10.1177/019251389010003003। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Kalmuss, Debra (1984-02-XX)। "The Intergenerational Transmission of Marital Aggression"। Journal of Marriage and the Family। 46 (1): 11। আইএসএসএন 0022-2445। ডিওআই:10.2307/351858। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Kalmuss, Debra; Seltzer, Judith A. (1986-02-XX)। "Continuity of Marital Behavior in Remarriage: The Case of Spouse Abuse"। Journal of Marriage and the Family। 48 (1): 113। আইএসএসএন 0022-2445। ডিওআই:10.2307/352234। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Routledge Handbook of Physical Education Pedagogies। Routledge। ২০১৬-০৮-০৫। পৃষ্ঠা 465–478। আইএসবিএন 978-1-315-74356-1।
- ↑ "Guidance for Effective Discipline"। Pediatrics। 101 (4): 723–728। ১৯৯৮-০৪-০১। আইএসএসএন 0031-4005। ডিওআই:10.1542/peds.101.4.723।
- ↑ Durrant, J.; Ensom, R. (২০১২-০২-০৬)। "Physical punishment of children: lessons from 20 years of research"। Canadian Medical Association Journal। 184 (12): 1373–1377। আইএসএসএন 0820-3946। ডিওআই:10.1503/cmaj.101314।
- ↑ Durrant, Joan E. (2008-02)। "Physical Punishment, Culture, and Rights: Current Issues for Professionals"। Journal of Developmental & Behavioral Pediatrics। 29 (1): 55–66। আইএসএসএন 0196-206X। ডিওআই:10.1097/dbp.0b013e318135448a। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Ruether, Rosemary Radford (২০০৫)। Integrating ecofeminism, globalization, and world religions। Lanham: Rowman & Littlefield Publishers। আইএসবিএন 0-7425-3529-0। ওসিএলসি 56085573।
- ↑ "women-face-abuse-in-tajikistan-nov-24-2009-3pp"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৩।
- ↑ Sung, Hung-En (২০১৬-০৮-০১)। "Alcohol and Crime"। The Blackwell Encyclopedia of Sociology। Oxford, UK: John Wiley & Sons, Ltd: 1–2। আইএসবিএন 978-1-4051-2433-1।
- ↑ Patrick, Christopher J (২০০৮-০৪-২৩)। "Psychophysiological correlates of aggression and violence: an integrative review"। Philosophical Transactions of the Royal Society B: Biological Sciences। 363 (1503): 2543–2555। আইএসএসএন 0962-8436। ডিওআই:10.1098/rstb.2008.0028।
- ↑ Loeber, Rolf; Farrington, David P., সম্পাদকগণ (২০১২-০৬-০১)। "From Juvenile Delinquency to Adult Crime"। ডিওআই:10.1093/acprof:oso/9780199828166.001.0001।
- ↑ Hamberger, L. Kevin; Hastings, James E. (1986-12-XX)। "Personality correlates of men who abuse their partners: A cross-validation study"। Journal of Family Violence। 1 (4): 323–341। আইএসএসএন 0885-7482। ডিওআই:10.1007/bf00978276। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Hamberger, L. Kevin; Hastings, James E. (1991-06-XX)। "Personality correlates of men who batter and nonviolent men: Some continuities and discontinuities"। Journal of Family Violence। 6 (2): 131–147। আইএসএসএন 0885-7482। ডিওআই:10.1007/bf00978715। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Hart, Stephen D.; Dutton, Donald G.; Newlove, Theresa (1993-12-XX)। "The Prevalence of Personality Disorder Among Wife Assaulters"। Journal of Personality Disorders। 7 (4): 329–341। আইএসএসএন 0885-579X। ডিওআই:10.1521/pedi.1993.7.4.329। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Dutton, Donald G. (1994-01-XX)। "Patriarchy and Wife Assault: The Ecological Fallacy"। Violence and Victims। 9 (2): 167–182। আইএসএসএন 0886-6708। ডিওআই:10.1891/0886-6708.9.2.167। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Dutton, Donald G. (১৯৯৫)। The batterer : a psychological profile। Susan K. Golant। New York: Basic Books। আইএসবিএন 0-465-03387-3। ওসিএলসি 32626430।
- ↑ Dutton, Donald G.; Starzomski, Andrew J. (১৯৯৩-০১-০১)। "Borderline Personality in Perpetrators of Psychological and Physical Abuse"। Violence and Victims। 8 (4): 327–337। আইএসএসএন 0886-6708। ডিওআই:10.1891/0886-6708.8.4.327।
- ↑ ক খ Gelles, Richard J. (১৯৯৭)। Intimate violence in families (3rd ed সংস্করণ)। Thousand Oaks, Calif.: Sage Publications। আইএসবিএন 0-7619-0122-1। ওসিএলসি 35317909।
- ↑ Helfer, Ray E. (১৯৭৪)। The battered child। C. Henry Kempe (2d ed সংস্করণ)। Chicago। আইএসবিএন 0-226-32629-2। ওসিএলসি 989130।
- ↑ Straus, Murray A. (১৯৮০)। Behind closed doors : violence in the American family। Richard J. Gelles, Suzanne K. Steinmetz (1st ed সংস্করণ)। Garden City, N.Y.: Anchor Press/Doubleday। আইএসবিএন 0-385-14259-5। ওসিএলসি 5725780।
- ↑ ক খ Goetz, Aaron T; Shackelford, Todd K.; Starratt, Valerie G.; Mckibbin, William F (২০০৮-১০-১৬)। Evolutionary Forensic Psychology। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 65–78। আইএসবিএন 978-0-19-532518-8।
- ↑ "Raworth, Sophie, (born 15 May 1968), Presenter, BBC News"। Who's Who। Oxford University Press। ২০০৮-১২-০১।
- ↑ Palmstierna, Tom; Haugan, Grethemor; Jarwson, Stig; Rasmussen, Kirsten; Nøttestad, Jim Aage (২০১২-০৩-১৯)। "Cognitive–behaviour group therapy for men voluntary seeking help for intimate partner violence"। Nordic Journal of Psychiatry। 66 (5): 360–365। আইএসএসএন 0803-9488। ডিওআই:10.3109/08039488.2012.665080।
- ↑ Hotaling, Gerald T.; Sugarman, David B. (1986-01-XX)। "An Analysis of Risk Markers in Husband to Wife Violence: The Current State of Knowledge"। Violence and Victims। 1 (2): 101–124। আইএসএসএন 0886-6708। ডিওআই:10.1891/0886-6708.1.2.101। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Murphy, Christopher M.; Meyer, Shannon-Lee; O’Leary, K. Daniel (1993-01-XX)। "Family of Origin Violence and MCMI-II Psychopathology, Among Partner Assaultive Men"। Violence and Victims। 8 (2): 165–176। আইএসএসএন 0886-6708। ডিওআই:10.1891/0886-6708.8.2.165। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Doumas, Diana; Margolin, Gayla; John, Richard S. (1994-06-XX)। "The intergenerational transmission of aggression across three generations"। Journal of Family Violence। 9 (2): 157–175। আইএসএসএন 0885-7482। ডিওআই:10.1007/bf01531961। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Goode, William J. (1971-11-XX)। "Force and Violence in the Family"। Journal of Marriage and the Family। 33 (4): 624। আইএসএসএন 0022-2445। ডিওআই:10.2307/349435। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Straus, Murray A. (১৯৯০)। Physical violence in American families : risk factors and adaptations to violence in 8,145 families। Richard J. Gelles, Christine Smith। New Brunswick [N.J.], U.S.A.: Transaction Publishers। আইএসবিএন 0-88738-263-0। ওসিএলসি 18442656।
- ↑ Domestic violence : the changing criminal justice response। Eva Schlesinger Buzawa, Carl G. Buzawa। Westport, Conn.: Auburn House। ১৯৯২। আইএসবিএন 0-86569-001-4। ওসিএলসি 24377721।
- ↑ "Understanding Domestic Abuse: The Duluth Power and Control Wheel"। ২০১৯। ডিওআই:10.4135/9781529705959।
- ↑ Seltzer, Judith A.; Kalmuss, Debra (1988-12-XX)। "Socialization and Stress Explanations for Spouse Abuse"। Social Forces। 67 (2): 473। আইএসএসএন 0037-7732। ডিওআই:10.2307/2579191। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Aneshensel, Carol S. (1992-08-XX)। "Social Stress: Theory and Research"। Annual Review of Sociology (ইংরেজি ভাষায়)। 18 (1): 15–38। আইএসএসএন 0360-0572। ডিওআই:10.1146/annurev.so.18.080192.000311। ১৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ Jewkes, Rachel (2002-04)। "Intimate partner violence: causes and prevention"। The Lancet। 359 (9315): 1423–1429। আইএসএসএন 0140-6736। ডিওআই:10.1016/s0140-6736(02)08357-5। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ গ Murray, Christine; Mobley, A. Keith; Buford, Anne; Seaman-DeJohn, Megan (২০০৮-০১-২৮)। "Same-Sex Intimate Partner Violence"। Journal of LGBT Issues in Counseling। 1 (4): 7–30। আইএসএসএন 1553-8605। ডিওআই:10.1300/j462v01n04_03।
- ↑ Romano, Graziella (২০১৮-০৩-০৫)। "The Southend Domestic Violence Perpetrator Pilot: A Multiagency Project to Tackle Domestic Abuse Risk"। dx.doi.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৪।
- ↑ Bancroft, Lundy (২০০২)। Why does he do that? : inside the minds of angry and controlling men। New York: Putnam's Sons। আইএসবিএন 0-399-14844-2। ওসিএলসি 48249403।
- ↑ "Original PDF"। dx.doi.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৪।
- ↑ Tatman, Sandra L. (২০১১-০৬-০২)। Chicago Tribune Competition। Oxford Art Online। Oxford University Press।
- ↑ ক খ Whitaker, Daniel J.; Haileyesus, Tadesse; Swahn, Monica; Saltzman, Linda S. (2007-05)। "Differences in Frequency of Violence and Reported Injury Between Relationships With Reciprocal and Nonreciprocal Intimate Partner Violence"। American Journal of Public Health। 97 (5): 941–947। আইএসএসএন 0090-0036। ডিওআই:10.2105/ajph.2005.079020। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Straus, Murray A. (2008-03)। "Dominance and symmetry in partner violence by male and female university students in 32 nations"। Children and Youth Services Review। 30 (3): 252–275। আইএসএসএন 0190-7409। ডিওআই:10.1016/j.childyouth.2007.10.004। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ Bartlett, James H. (১৯৩১-০২-০১)। "Nuclear Spin"। Physical Review। 37 (3): 327–327। আইএসএসএন 0031-899X। ডিওআই:10.1103/physrev.37.327।
- ↑ Anonymous (২০১৮-১২-১০)। "Referee report Malinina et al."। dx.doi.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৪।
- ↑ ক খ MacKinnon, Catharine A. (১৯৮৭)। Feminism unmodified : discourses on life and law। Cambridge, Mass.: Harvard University Press। আইএসবিএন 0-674-29873-X। ওসিএলসি 14359729।
- ↑ Rennison, Callie Marie; Welchans, Sarah (২০০০)। "Intimate Partner Violence"। PsycEXTRA Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Mahoney, Martha R. (1991-10-XX)। "Legal Images of Battered Women: Redefining the Issue of Separation"। Michigan Law Review। 90 (1): 1। আইএসএসএন 0026-2234। ডিওআই:10.2307/1289533। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Erez, Edna (২০১৭-১০-০৫)। Migration, Culture Conflict and Crime। Routledge। পৃষ্ঠা 145–157। আইএসবিএন 978-1-315-20235-8।
- ↑ ক খ গ ঘ Bartlett et al., p. 405
- ↑ Pavlidakis, Alexandra (January 1, 2009). "Mandatory Arrest: Past Its Prime". Santa Clara Law Review. Archived from the original on June 4, 2016.
- ↑ ক খ গ Dodd, Lynda Warren (2009-03)। "Therapeutic groupwork with young children and mothers who have experienced domestic abuse"। Educational Psychology in Practice। 25 (1): 21–36। আইএসএসএন 0266-7363। ডিওআই:10.1080/02667360802697571। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Bell, Carl C.; Richardson, Jerome; Blount, Morris A. (২০০৬)। Preventing violence: Research and evidence-based intervention strategies.। Washington: American Psychological Association। পৃষ্ঠা 217–237। আইএসবিএন 1-59147-342-X।
- ↑ Fantuzzo, John W.; Mohr, Wanda K. (24/1999)। "Prevalence and Effects of Child Exposure to Domestic Violence"। The Future of Children। 9 (3): 21। ডিওআই:10.2307/1602779। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Kshirsagar, Abhijit V.; Freburger, Janet K.; Ellis, Alan R.; Wang, Lily; Winkelmayer, Wolfgang C.; Brookhart, M. Alan (2013-06)। "The Comparative Short-term Effectiveness of Iron Dosing and Formulations in US Hemodialysis Patients"। The American Journal of Medicine। 126 (6): 541.e1–541.e14। আইএসএসএন 0002-9343। ডিওআই:10.1016/j.amjmed.2012.11.030। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Psychology., Wilfrid Laurier University. Faculty of Graduate Studies. Dept. of (১৯৯৪)। Ounce of prevention : the life stories and perceptions of men who sexually offended against children.। ওসিএলসি 612949807।
- ↑ ক খ Damant, Dominique; Lapierre, Simon; Lebossé, Catherine; Thibault, Sylvie; Lessard, Geneviève; Hamelin-Brabant, Louise; Lavergne, Chantal; Fortin, Andrée (২০০৯-০৯-১৬)। "Women's abuse of their children in the context on domestic violence: reflection from women's accounts"। Child & Family Social Work। 15 (1): 12–21। আইএসএসএন 1356-7500। ডিওআই:10.1111/j.1365-2206.2009.00632.x।
- ↑ "Safe Horizon Launches National Child Abuse and Domestic Violence Awareness Initiative"। PsycEXTRA Dataset। ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৯।
- ↑ Schechter, Daniel S.; Willheim, Erica; McCaw, Jaime; Turner, J. Blake; Myers, Michael M.; Zeanah, Charles H. (2011-12)। "The Relationship of Violent Fathers, Posttraumatically Stressed Mothers and Symptomatic Children in a Preschool-Age Inner-City Pediatrics Clinic Sample"। Journal of Interpersonal Violence। 26 (18): 3699–3719। আইএসএসএন 0886-2605। ডিওআই:10.1177/0886260511403747। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ Jones, R.F.; Horan, D.L. (1997-07-XX)। "The American College of Obstetricians and Gynecologists: a decade of responding to violence against women"। International Journal of Gynecology & Obstetrics। 58 (1): 43–50। আইএসএসএন 0020-7292। ডিওআই:10.1016/s0020-7292(97)02863-4। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Edwards, Susan (১৯৯১)। Gender, Power and Sexuality। London: Palgrave Macmillan UK। পৃষ্ঠা 133–156। আইএসবিএন 978-0-333-54278-1।
- ↑ "Intimate Partner Violence"। PsycEXTRA Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৯।
- ↑ Middlebrooks, Jennifer S.; Audage, Natalie C. (২০০৭)। "The Effects of Childhood Stress on Health Across the Lifespan"। PsycEXTRA Dataset। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৯।
- ↑ Koss, M. P. (১৯৯২-০৯-০১)। "Somatic consequences of violence against women"। Archives of Family Medicine। 1 (1): 53–59। আইএসএসএন 1063-3987। ডিওআই:10.1001/archfami.1.1.53।
- ↑ UNAIDS (২০১১)। "Data: AIDSinfo"। unaids.org। UNAIDS। ৫ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৩।
- ↑ ক খ Gracia, Enrique (২০১৪-০২-০৫)। "Intimate partner violence against women and victim-blaming attitudes among Europeans"। Bulletin of the World Health Organization। 92 (5): 380–381। আইএসএসএন 0042-9686। ডিওআই:10.2471/blt.13.131391।
- ↑ ক খ Heintz, Adam Jackson; Melendez, Rita M. (2006-02)। "Intimate Partner Violence and HIV/STD Risk Among Lesbian, Gay, Bisexual, and Transgender Individuals"। Journal of Interpersonal Violence। 21 (2): 193–208। আইএসএসএন 0886-2605। ডিওআই:10.1177/0886260505282104। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Vitanza, Stephanie; Vogel, Laura C. M.; Marshall, Linda L. (1995-01-XX)। "Distress and Symptoms of Posttraumatic Stress Disorder in Abused Women"। Violence and Victims। 10 (1): 23–34। আইএসএসএন 0886-6708। ডিওআই:10.1891/0886-6708.10.1.23। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Schechter, Daniel S.; Coates, Susan W.; Kaminer, Tammy; Coots, Tammy; Zeanah, Charles H.; Davies, Mark; Schonfeld, Irvin S.; Marshall, Randall D.; Liebowitz, Michael R. (২০০৮-০৬-০২)। "Distorted Maternal Mental Representations and Atypical Behavior in a Clinical Sample of Violence-Exposed Mothers and Their Toddlers"। Journal of Trauma & Dissociation। 9 (2): 123–147। আইএসএসএন 1529-9732। ডিওআই:10.1080/15299730802045666।
- ↑ "stop-violence-against-women-effects-of-domestic-violence-on-children-apr-2010"। Human Rights Documents online। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৯।
- ↑ ক খ Cooley, Amanda Harmon। "American Civil Liberties Union (ACLU)"। Encyclopedia of Social Networks। 2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States: SAGE Publications, Inc.। আইএসবিএন 978-1-4129-7911-5।
- ↑ ক খ Cage, Anthea (2007-05)। "Occupational Therapy with Women and Children Survivors of Domestic Violence: Are We Fulfilling Our Activist Heritage? A Review of the Literature"। British Journal of Occupational Therapy। 70 (5): 192–198। আইএসএসএন 0308-0226। ডিওআই:10.1177/030802260707000503। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Helfrich, Christine A.; Rivera, Yesenia (২০০৬-০৪-১৩)। "Employment Skills and Domestic Violence Survivors"। Occupational Therapy in Mental Health। 22 (1): 33–48। আইএসএসএন 0164-212X। ডিওআই:10.1300/j004v22n01_03।
- ↑ ক খ Domestic Violence Treatment for Abusive Women। Routledge। ২০১১-০২-১৪। পৃষ্ঠা 14–24। আইএসবিএন 978-0-203-83696-5।
- ↑ Fulambarker, Anjali (২০২০-০৪-০১)। ""Everybody Loses": Understanding Police Roles and Perceptions of Domestic Violence Calls"। Journal of Qualitative Criminal Justice & Criminology। ডিওআই:10.21428/88de04a1.040c2096।
- ↑ Buzawa, Eva Schlesinger (২০০৩)। Domestic violence : the criminal justice response। Carl G. Buzawa (3rd ed সংস্করণ)। Thousand Oaks, Calif.: Sage Publications। আইএসবিএন 0-7619-2447-7। ওসিএলসি 50243358।
- ↑ Worden, Robert E.; Pollitz, Alissa A. (১৯৮৪)। "Police Arrests in Domestic Disturbances: A Further Look"। Law & Society Review। 18 (1): 105। আইএসএসএন 0023-9216। ডিওআই:10.2307/3053482।
- ↑ "Comings & Goings"। Science। 249 (4966): 244–244। ১৯৯০-০৭-২০। আইএসএসএন 0036-8075। ডিওআই:10.1126/science.249.4966.244-a।
- ↑ ক খ Gerbert, Barbara; Caspers, Nona; Bronstone, Amy; Moe, James; Abercrombie, Priscilla (১৯৯৯-১০-১৯)। "A Qualitative Analysis of How Physicians with Expertise in Domestic Violence Approach the Identification of Victims"। Annals of Internal Medicine। 131 (8): 578। আইএসএসএন 0003-4819। ডিওআই:10.7326/0003-4819-131-8-199910190-00005।
- ↑ ক খ Lawson, David M. (2003-01)। "Incidence, Explanations, and Treatment of Partner Violence"। Journal of Counseling & Development। 81 (1): 19–32। আইএসএসএন 0748-9633। ডিওআই:10.1002/j.1556-6678.2003.tb00221.x। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Campbell, Jacquelyn C. (2005-09)। "Commentary on Websdale"। Violence Against Women। 11 (9): 1206–1213। আইএসএসএন 1077-8012। ডিওআই:10.1177/1077801205278860। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Campbell, Jacquelyn C. (2001-09)। "Safety Planning Based on Lethality Assessment for Partners of Batterers in Intervention Programs"। Journal of Aggression, Maltreatment & Trauma। 5 (2): 129–143। আইএসএসএন 1092-6771। ডিওআই:10.1300/j146v05n02_08। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Andrews, D. A. (১৯৯৪)। The psychology of criminal conduct। James Bonta। Cincinnati, OH: Anderson Pub। আইএসবিএন 0-87084-711-2। ওসিএলসি 29561317।
- ↑ Tharp, Andra Teten; Schumacher, Julie A.; Samper, Rita E.; McLeish, Alison C.; Coffey, Scott F. (2012-10)। "Relative Importance of Emotional Dysregulation, Hostility, and Impulsiveness in Predicting Intimate Partner Violence Perpetrated by Men in Alcohol Treatment"। Psychology of Women Quarterly। 37 (1): 51–60। আইএসএসএন 0361-6843। ডিওআই:10.1177/0361684312461138। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Augusta-Scott, Tod; Scott, Katreena; Tutty, Leslie M., সম্পাদকগণ (২০১৭-০৪-২১)। "Innovations in Interventions to Address Intimate Partner Violence"। ডিওআই:10.4324/9781315532776।
- ↑ ক খ McGinn, Tony; Taylor, Brian; McColgan, Mary; Lagdon, Susan (২০১৫-০৫-১১)। "Survivor Perspectives on IPV Perpetrator Interventions"। Trauma, Violence, & Abuse। 17 (3): 239–255। আইএসএসএন 1524-8380। ডিওআই:10.1177/1524838015584358।
- ↑ Levin, Aaron (২০১৬-১০-০৭)। "Surgeon General Calls on Physicians to Help End Opioid Abuse"। Psychiatric News। 51 (19): 1–1। আইএসএসএন 0033-2704। ডিওআই:10.1176/appi.pn.2016.10a6।
- ↑ Jacobsen, N. (২০১৬-০৯-০১)। Das Apple-Imperium 2.0। Wiesbaden: Springer Fachmedien Wiesbaden। পৃষ্ঠা 21–23। আইএসবিএন 978-3-658-09547-5।
- ↑ "University of Minnesota (UMN) Map Server"। SpringerReference। Berlin/Heidelberg: Springer-Verlag।
- ↑ Shepard, Melanie। Education Groups for Men Who Batter। New York, NY: Springer Publishing Company। আইএসবিএন 978-0-8261-7990-6।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Mikton, C. (২০১০-১০-০১)। "Preventing intimate partner and sexual violence against women: taking action and generating evidence"। Injury Prevention। 16 (5): 359–360। আইএসএসএন 1353-8047। ডিওআই:10.1136/ip.2010.029629।
- ↑ Marsha A, Freeman; Christine, Chinkin; Beate, Rudolf (২০১২-০১-০১)। "Violence Against Women"। The UN Convention on the Elimination of All Forms of Discrimination Against Women। ডিওআই:10.5422/fso/9780199565061.003.0019।
- ↑ Baker, Meghan; Yokoe, Deborah S.; Stelling, John; Kaganov, Rebecca E.; Letourneau, Alyssa R.; O'Brien, Thomas; Kulldorff, Martin; Babalola, Damilola; Barrett, Craig (২০১৫)। "Automated Outbreak Detection of Hospital-Associated Infections"। Open Forum Infectious Diseases। 2 (suppl_1)। আইএসএসএন 2328-8957। ডিওআই:10.1093/ofid/ofv131.60।
- ↑ Hadwin, Peter (২০০৬-০২-০৮)। "Intimate Partner Abuse and Health Professionals - New Approaches to Domestic ViolenceIntimate Partner Abuse and Health Professionals - New Approaches to Domestic Violence"। Nursing Standard। 20 (22): 37–37। আইএসএসএন 0029-6570। ডিওআই:10.7748/ns2006.02.20.22.37.b427।
- ↑ The Marine Environment and United Nations Sustainable Development Goal 14। Brill | Nijhoff। ২০১৮-১০-০৮। পৃষ্ঠা 16–22। আইএসবিএন 978-90-04-36661-9।
- ↑ ক খ "Spirit Possession: Caucasus, Central Asia, Iran, and Afghanistan"। Encyclopedia of Women & Islamic Cultures। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৯।