ইয়েতি অভিযান
ইয়েতি অভিযান | |
---|---|
পরিচালক | সৃজিত মুখোপাধ্যায় |
প্রযোজক | শ্রীকান্ত মহতা মহেন্দ্র সোনি |
উৎস | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-এর পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | এসভিএফ এন্টারটেইনমেন্ট ভারত |
মুক্তি |
|
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ₹ ৪ কোটি (ইউএস$ ৪,৮৮,৯৩২) |
আয় | ₹ ৪.৮৩ কোটি (ইউএস$ ০.৫৯ মিলিয়ন) (১৫ দিন) |
ইয়েতি অভিযান হল সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত একটি ভারতীয় রোমাঞ্চকর থ্রিলার চলচ্চিত্র। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু সিরিজের তৃতীয় উপন্যাস পাহাড়চূড়ায় আতঙ্ক-এর উপর ভিত্তি করে নির্মিত এবং শ্রীকান্ত মহতা, মহেন্দ্র সোনির এসভিএফ এন্টারটেইনমেন্ট ব্যানার প্রযোজিত এ চলচ্চিত্রে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং আরিয়ান ভৌমিক।[১] প্রথমে এটিকে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে বলা হলেও পরবর্তীতে বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া এর প্রযোজনা থেকে সরে আসে এবং ছবিটিতে করা বিনিয়োগ ফিরিয়ে নেয়।[২]
কাহিনি
[সম্পাদনা]কাকাবাবু[৩] এবং সন্তু এই ছবিতে হিমালয়ের কিংবদন্তি ইয়েতি রহস্য উন্মোচন করেন। কাকাবাবুর সংগ্রহে একটি দাঁত আসে। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন যেটি হিমালয়ের বহুল প্রচলিত গল্পকথার চরিত্র ইয়েতি'র দাঁত। হিমালয় অভিযানে কাকাবাবু সন্তুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। শেরপাদের মধ্যে ইয়েতি নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও প্রধান শেরপা মিংমা কাকাবাবুদের সাহায্য করে। মিংমা এবং নরবুর সাহায্যে তারা তুষারাবৃত পর্বতে ইয়েতির সন্ধান করতে থাকেন। কিন্তু পাহাড়ের ভেতরেই দেশবিরোধী ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ যারা চালায় তাদের হাতে বন্দী হন কাকাবাবু ও সন্তু। বরফের নিচে সুড়ঙ্গ বানিয়ে তারা বাস করে। কাকাবাবুর চেষ্টায় উন্মোচিত হয় ইয়েতি রহস্যের।
শ্রেষ্ঠাংশে
[সম্পাদনা]- প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় - কাকাবাবু
- আরিয়ান ভৌমিক - সন্তু
- যীশু সেনগুপ্ত - জং বাহাদুর রানা (অতিথি শিল্পী)
- বিদ্যা সিনহা সাহা মীম - চিত্রাঙ্গদা বর্মা[৪]
- ফেরদৌস আহমেদ - ত্রিভুবন গুপ্ত
নির্মাণ
[সম্পাদনা]২০১৩ সালে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় কাকাবাবু সিরিজের প্রথম চলচ্চিত্র মিশর রহস্য মুক্তি পায়। এরপর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে উপন্যাস পাহাড়চূড়ায় আতঙ্ক'কে বেছে নেওয়া হয়। ২২ মে চলচ্চিত্রটির দৃশ্যায়ণের কাজ শুরু হয়। দুইমাসব্যাপী দৃশ্যায়ণের কাজ শেষ হয় জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে।[৫]
দৃশ্যায়ণ
[সম্পাদনা]ভারত ও সুইজারল্যান্ডে চলচ্চিত্রটির দৃশ্যায়ণ করা হয়। সুইজারল্যান্ডে ছয়দিন ধরে চলচ্চিত্রটির কাজ চলে।[৫] যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ অংশে দৃশ্যধারণের জন্য সেখানে বরফ-পাহাড় তৈরি করে দৃশ্যায়ণের কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা করা হয়নি।[২]
প্রযোজনা বিতর্ক
[সম্পাদনা]শুরু থেকে চলচ্চিত্রটি ইন্দো-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত বলে জানা যায়।[৬] কিন্তু শেষে বাংলাদেশের প্রযোজনা সংস্থা ছবিটি প্রযোজনা থেকে বিরত থাকে। তবে ১৯ আগস্ট, ২০১৭ তারিখে এর ট্রেইলার মুক্তি পেলে[৭] সেখানে বাংলাদেশ থেকে অভিনীত মিম ও ফেরদৌসকে এবং বাংলাদেশি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়াকে একবারের জন্যেও দেখা না গেলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।[৮] তবে জাজ মাল্টিমিডিয়া জানায় যৌথ প্রযোজনা নীতিমালা পালন করতে না পারায় তারা যৌথ প্রযোজনা থেকে সরে এসেছে এবং ছবিটি থেকে তাদের বিনিয়োগ সরিয়ে নিয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রযোজনা সংস্থাটি।[২]
শুভমুক্তি
[সম্পাদনা]ছবিটি ২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দুর্গা পূজায় মুক্তি পায়। ছবিটি পশ্চিমবঙ্গে ১০০ এর বেশি (অনুমানিক ১৪০টি) পেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এই ছবিটি বাংলা ভাষাতে নির্মিত হলেও নেপালি ভাষাতে ডাবিং করা হয় এবং ২২ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি নেপালে ৫০ টি পেক্ষাগৃহে ইয়েতি অভিজান মুক্তি পায়। তবে নেপালি ভাষায় ডাবিং করে ছবিটির নাম দেওয়া হয় ইয়েতি। ইয়েতি অভিযান প্রথম বাংলা ছবি যেটি নেপালি ভাষাতে ডাবিং করে নেপালে মুক্তি পায়।[৯][১০]
এটি বাংলা ভাষাতে প্রথমবারের মতো ৩ডি চলচ্চিত্র হিসাবে নির্মানের কথা থাকলেও, তবুও কিছুটা অবকাঠামোর অবনতির কারণে ইয়েতি অভিযান চলচ্চিত্টি ৩ ডিতে নির্মানের চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গে পর্যাপ্ত ৩ডি পর্দার অভাব থাকার কারণে ছবিটি ৩ ডি ফর্মাটে নির্মান থেকে পিছিয়ে আসে প্রযোজনা সংস্থা। মাল্টিপ্লেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি ফিল্ম একটি ৩ডি সংস্করণ সবসময় তার ২ডি সংস্করণ তুলনায় ভালো পুল আছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Begum Jaan Director Srijit Mukherji Next to be an Indo-Bangladesh joint production"। The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "'ইয়েতি অভিযান' থেকে সরে এল জাজ"। দৈনিক প্রথম আলো। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Next Kakababu Film Yeti Obhijaan based on Pahar Churay Atonko; An Indo Bangladesh joint production"। sholoanabengaliana.in। ১৩ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭।
- ↑ "Mim in "Yeti Obhijaan""। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৭।
- ↑ ক খ "শেষ হলো 'ইয়েতি অভিযান'"। প্রথম আলো। ৮ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "পুজোয় নতুন অভিযানে কাকাবাবু ও সন্তু"। সংবাদ প্রতিদিন। ২৩ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "মুক্তি পেল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের 'ইয়েতি অভিযান'-এর ট্রেলার"। ২৪ ঘণ্টা। ২০ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "'ইয়েতি অভিযান' ট্রেইলারে নেই বাংলাদেশ"। বিডিনিউজ২৪.কম। ২০ আগস্ট ২০১৭। ২২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "মুক্তির আগেই ইতিহাস তৈরি করল 'ইয়েতি অভিযান'"। দেশে বিদেশে। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "নেপালের প্রেক্ষাগৃহে মীম অভিনীত 'ইয়েতি অভিযান'"। bidlive24.com। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ২০১৭-এর চলচ্চিত্র
- বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র
- ভারতীয় চলচ্চিত্র
- বাংলা ভাষার ভারতীয় চলচ্চিত্র
- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র
- ভারতীয় উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র
- সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত চলচ্চিত্র
- ভারতীয় ধারাবাহিক চলচ্চিত্র
- ২০১০-এর দশকের বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র
- ভারতীয় রহস্য চলচ্চিত্র
- সুইজারল্যান্ডে ধারণকৃত বিদেশি চলচ্চিত্র
- ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত সুরারোপিত চলচ্চিত্র
- সুইজারল্যান্ডে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- ভারতীয় রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র
- ভারতীয় গোয়েন্দা চলচ্চিত্র
- ২০১০-এর দশকের রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র