কাডাপা জেলা
কাডাপা জেলা వైఎస్ఆర్ కడప జిల్లా | |
---|---|
অন্ধ্রপ্রদেশের জেলা | |
অন্ধ্রপ্রদেশে কাডাপার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অন্ধ্রপ্রদেশ |
প্রশাসনিক বিভাগ | কাডাপা জেলা |
সদরদপ্তর | কাডাপা |
তহশিল | ৫০[১] |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | কাডাপা, রাজামপেট |
• বিধানসভা আসন | ১০ |
আয়তন | |
• মোট | ১৫,৩৭৯ বর্গকিমি (৫,৯৩৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৮,৮৪,৫২৪[২] |
• পৌর এলাকা | ৩৪.১% |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৬৭.৮৮% |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৮৪ |
প্রধান মহাসড়ক | ১৮ নং জাতীয় সড়ক |
স্থানাঙ্ক | ১৪°২৮′ উত্তর ৭৮°৪৯′ পূর্ব / ১৪.৪৬৭° উত্তর ৭৮.৮১৭° পূর্ব |
ওয়েবসাইট | [Kadapa district দাপ্তরিক ওয়েবসাইট] |
কাডাপা জেলা; (তেলুগু: వైఎస్ఆర్ కడప జిల్లా, প্রতিবর্ণী. ভ়ৈএস্আর্ কডপ জিল্লা) হল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের ১৩টি জেলার অন্যতম। এই জেলা অন্ধ্রপ্রদেশের রায়ালসীমা অঞ্চলের ৪টি জেলার একটি। কাডাপা শহরটি হল এই জেলার জেলাসদর।[৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]গুহাচিত্র
[সম্পাদনা]কাডাপা জেলার কুড্ডানুরুর কাছে চিন্টাকুন্টা গুহায় প্রাচীন প্রস্তর যুগের গুহাচিত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।[৪] বলা হয়ে থাকে, ভীমবেটকা গুহাচিত্রের পর এটিই ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গুহাচিত্রের শ্রেণী। এছাড়া জেলার জাম্মালামাডুগু তালুকে মালিয়াভরম বাঁধের কাছে ডাপপল্লি গ্রামে অস্পষ্ট অর্থপূর্ণ কয়েকটি মূর্তির গুহাচিত্র পাওয়া গিয়েছে। [৫]
প্রাগৈতিহাসিক সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]সমগ্র কাডাপা জেলা জুড়েই অনেক প্রাচীন প্রস্তরযুগীয় জনবসতির নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। জাম্মালামাডুগু, মালিয়াভরম বাঁধ,[৫] ও গান্ডিকোটার প্রাচীন প্রস্তরযুগীয় নিদর্শনগুলি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
পোরুমামিল্লা, শঙ্খাবরম ও কাডাপা শহরের কাছে ইয়েল্লাটুর গ্রামের কাছে কয়েকটি প্রস্তরযুগীয় সমাধিক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।[৬] বোন্টিমিট্টার আশেপাশের এলাকাগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তরযুগীয় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র।
রায়াচোটি বিভাগে অনেক নথিবদ্ধ ও অজ্ঞাত প্রস্তরযুগীয় ক্ষেত্র ও প্রস্তর চক্র রয়েছে। জেলার সুন্ডুপল্লি তালুকে দেবন্ডলাপল্লি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তরযুগীয় ক্ষেত্র।[৭]
বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম
[সম্পাদনা]খ্রিস্টপূর্ব যুগেই কাডাপা অঞ্চল ঐতিহাসিক গুরুত্ব অর্জন করেছিল। এই যুগে এই অঞ্চল মৌর্য ও সাতবাহন সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই জেলার চেয়য়ুরু ও পেন্না নদীর তীরে বৌদ্ধধর্ম প্রসার লাভ করেছিল।
এই জেলার নন্ডলুর, টাল্লাপাকা, রাজামপেটা, কোন্ডুরু ও খাজিপেটা গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ কেন্দ্র। [৮]
কাডাপা জেলায় জৈনধর্মও প্রসার লাভ করেছিল। পেন্নার নদীর তীরে ডানাবুলাপাডু গ্রামে একটি মাটির তলায় চাপা পড়া জৈন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে।[৯]
মধ্যযুগ
[সম্পাদনা]১৬শ শতাব্দীতে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের ‘রায়ালু’ (রাজা) শাসকরা এই অঞ্চল শাসন করতেন। তাঁদের নামানুসারেই এই অঞ্চলের নাম হয় ‘রায়ালসীমা’। পেন্নার নদীর তীরে গান্ডিকোটা দুর্গ ছিল বিজয়নগর সেনাবাহিনীর সেনানায়ক পেম্মাসানি নায়কদের নগরদুর্গ। তাঁরা রাইচুর ও গুলবর্গা অঞ্চলদুটি বিজয়নগর রাজাদের হয়ে জয় করেছিলেন।
প্রাচীন নথিপত্র থেকে জানা যায়, কাডাপার আদি নাম ছিল ‘গাডাপা’। তেলুগু ভাষায় এই শব্দটির অর্থ ‘প্রবেশপথ’। প্রাচীন কাডাপা গ্রামে একটি বৃহৎ জলাধার ও দেবুনি কাডাপায় একটি বেঙ্কটেশ্বরের মন্দির ছিল। তিরুপতির তীর্থযাত্রীরা এখানে বিশ্রাম নিতেন। হিন্দুরা বিশ্বাস করতেন, তিরুপতি যাওয়ার আগে তীর্থযাত্রীরা দেবুনি কাডাপায় সন্ত আন্নামাচার্য ও সন্ত পোটুলুরি বীর ব্রাহ্মণের কাছে প্রার্থনা জানাতেন। উল্লেখ্য, এই দুই সন্ত ভবিষ্যতের এক শ্রেণীহীন সমাজের ভবিষ্যদ্বাণী করে সেই সমাজের হয়ে প্রচার করতেন। এই জেলায় অবস্থিত বোন্টিমিট্টার প্রাচীন মন্দিরটি পোতানাকে অন্ধ্র মহাভাগবতম রচনা করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। সেকালে কাডাপাকে বলা হত ‘হিরণ্যনগরম’।
সাম্প্রতিক ঐতিহাসিক নথিপত্র থেকে জানা গিয়েছে যে সিদৌট মণ্ডলের জ্যোতি গ্রামে পেন্না নদীর তীরে ১০৮টি শিবলিঙ্গ ছিল।
কাডাপা জেলার ভূখণ্ডটি হায়দ্রাবাদের নিজামরা ব্রিটিশদের প্রত্যর্পণ করেছিলেন। ব্রিটিশ শাসনকালে ১৮০৮ সালে প্রত্যর্পিত জেলা ভেঙে কাডাপা জেলা ও বেল্লারি জেলা গঠিত হয়।[১০] ব্রিটিশরা এই জেলাকে ‘কুড্ডাপ্পাহ’ (Cuddapah) বলত।
ভূগোল
[সম্পাদনা]কাডাপা জেলার আয়তন ১৫,৯৩৮ বর্গকিলোমিটার (৬,১৫৪ মা২)।[১১] এই জেলার আয়তন কানাডার প্রিন্স প্যাট্রিক দ্বীপের আয়তনের প্রায় সমান।[১২]
এই জেলার প্রধান নদীগুলি হল পেন্না, চিত্রবতী, কুন্ডু, পাপাগ্নি, সাগিলেরু, বহুদা ও চেয়য়েরু। এই জেলার অরণ্যাঞ্চলের আয়তন ৫,০৫০ বর্গকিলোমিটার, যা জেলার মোট আয়তনের ৩২.৮৭%।
কাডাপা জেলা অন্ধ্রপ্রদেশের একমাত্র জেলা যেটি চারদিক দিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের অন্যান্য জেলাগুলির দ্বারা পরিবেষ্টিত। রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলি হয় বঙ্গোপসাগর নয় ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলির সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]ঐতিহাসিক গুরুত্ব ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশের শিল্প মানচিত্রে কাডাপা জেলার অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলায় প্রচুর পরিমাণে খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়।
এই জেলায় কৃষ্ণ করসন মৃত্তিকার পরিমাণ ২৪%, কৃষ্ণ মৃত্তিকা ১৯%, বেলে মাটি ৪%, লাল মাটি ২৫%। প্রথমোক্ত মাটি অত্যন্ত উর্বর। বেলে মাটি ততটা উর্বর নয়। ‘কোররা’, কমলালেবু, চুন ও পান এই অঞ্চলের বিশেষ পণ্যদ্রব্য। নদী উপত্যকায় এগুলি উৎপাদিত হয়। তুঙ্গভদ্রা নদীতে সুনকেসুলা বাঁধ থেকে কাডাপা-কুর্নুল (কে. সি.) খাল কাডাপা ও কুর্নুল জেলার ৪০ বর্গকিলোমিটার কৃষিযোগ্য জমির সেচজলের উৎস। এই জেলায় পানীয় জলের প্রধান উৎস গালের-নাগরী-সুজালাস্রবন্তি খাল।
জেলায় প্রচুর খনিজ দ্রব্য পাওয়া যায়। ১৯৮৩ সালে ভারতের ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের সমীক্ষা অনুসারে, এই জেলায় ৩ মিলিয়ন টন শিসা, ৭৪,০০০,০০০ টন ব্যারিট এবং ২৭,০০০ টন অ্যাসবেস্টস সঞ্চিত আছে। অনুমিত হয়, এই জেলার মাঙ্গাপেটে ৭০ মিলিয়ন টন ব্যারিট সঞ্চিত আছে। রাজামপেটে সঞ্চিত মাটি প্রস্তর শিল্পে ব্যবহৃত হয়। বেররাগুন্টলায় চুনাপাথর পাওয়া যায়। করমন্ডল ফার্টিলাইজার এখানে যে সিমেন্ট কারখানা স্থাপন করেছে, তা থেকে বছরে ১ মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদিত হয়। ভারত সিমেন্ট কর্পোরেশন তার উৎপাদন ক্ষমতা ১ মিলিয়ন টন বৃদ্ধি করেছে। ন্যাশানাল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ব্রাহ্মান পল্লিতে অ্যাসবেসটোস ও মাঙ্গাপেটে ব্যারিয়েট উত্তোলন করে। কাডাপা ‘কাডাপা প্রস্তর’ নামে এক ধরনে পাথরের জন্য বিখ্যাত। এই পাথর দক্ষিণ ভারতে গৃহনির্মাণ শিল্প ও পাথরের চাঁই তৈরিতে কাজে লাগে। টুম্মালাপল্লিতে ৪৯,০০০ টন ইউরেনিয়াম সঞ্চিত আছে। এগুলি স্থানীয়ভাবেই উত্তোলন ও প্রক্রিয়াকরণ করা হয়।[১৩][১৪] জুয়ারি সিমেন্টস, ইন্ডিয়া সিমেন্টস লিমিটেড, ভারতী সিমেন্টস, ডালমিয়া ভারত সিমেন্টস, গোবিন্দরাজ টেক্সটাইলস, এনএসএল টেক্সটাইলস, সাম্যু গ্লাস, ভারতী পলিমারস, সাজালা উভেন শকস ওকোরাস ইন্ডিয়া লিমিটেড হল এই জেলার অন্যান্য শিল্প সংস্থা।
২০০৬ সালে ভারত সরকার কাডাপা জেলাকে দেশের ২৫০টি সর্বাধিক অনগ্রসর জেলার তালিকাভুক্ত করেছে।[১৫] অন্ধ্রপ্রদেশের যে ১৩টি জেলা অনগ্রসর অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচির অধীনে অনুদান পায়, এই জেলা তার মধ্যে অন্যতম।[১৫]
জনপরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কাডাপা জেলার জনসংখ্যা ২,৮৮৪,৫২৪। এর মধ্যে ৮৩.৭% হিন্দু, ১৪% মুসলমান ও ২.3% খ্রিস্টান।[১৬] এই জেলার জনসংখ্যা জামাইকা রাষ্ট্র[১৭] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[১৮] জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ১৩২তম।[১৬] জেলার জনঘনত্ব ১৮৮ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৪৯০ জন/বর্গমাইল)।[১৬] ২০০১-২০১১ দশকে এই জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১০.৮৭%।[১৬] কাডাপা জেলায় লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৮৪ জন মহিলা[১৬] এবং সাক্ষরতার হার ৬৭.৮৮%।[১৬]
প্রশাসনিক বিভাগ
[সম্পাদনা]কাডাপা জেলা ৩টি রাজস্ব বিভাগে বিভক্ত। এগুলি হল: কাডাপা, রাজামপেট ও জাম্মালামাডুগু।[১৯] এই জেলা ৫০টি মণ্ডলে বিভক্ত। জেলায় ১টি পৌরসংস্থা, ৬টি পুরসভা ও ১টি নগর পঞ্চায়েত রয়েছে। পৌরসংস্থাটি হল কাডাপা; পুরসভাগুলি হল বাদবেল, মাইডুকুর, প্রোড্ডাটুর, পুলিবেন্ডুলা, রায়াচোটি ও জাম্মালামাডুগু এবং নগর পঞ্চায়েতটি হল রাজামপেট।[২০][২১]
মণ্ডল
[সম্পাদনা]কাডাপা জেলায় ৫০টি মণ্ডল রয়েছে।[২২] নিচে সংশ্লিষ্ট রাজস্ব বিভাগ অনুসারে মণ্ডলগুলির তালিকা দেওয়া হল:[১৯][২৩]
# | কাডাপা বিভাগ | রাজামপেট বিভাগ | জাম্মালামাডুগু বিভাগ |
---|---|---|---|
১ | চক্রয়াপেট | আটলুর | চাপাডু |
২ | চেন্নুর | বি মাতাম | ডুববুর |
৩ | চিন্নামন্ডেম | বি. কোডুর | জাম্মালামাডুগু |
৪ | চিন্টাকোন্না ডিম্মে | বাডবেল | কোন্ডাপুরম |
৫ | গালিবীডু | চিটবেল | লিঙ্গালা |
৬ | কমলাপুরম | গোপাবরম | মুড্ডানুর |
৭ | খাজিপেট | কলসপাডু | মাইডুকুর |
৮ | লক্কিরেড্ডিপল্লি | কোডুর | মাইলাবরম |
৯ | পেন্ডিমাররি | নন্ডলুর | পেড্ডামুডিয়াম |
১০ | রামপুরম | ওবুলাবারিপল্লি | প্রোড্ডাটুর |
১১ | রায়াচোটি | পেনাগালুর | পুলিবেন্ডুলা |
১২ | সাম্বেপল্লি | পোরুমামিল্লা | রাজুপালেম |
১৩ | টি. সুন্ডুপল্লি | পুল্লামপেটা | সিংহাদ্রিপুরম |
১৪ | ভাল্লুর | রাজামপেট | তোন্ডুর |
১৫ | বীরবল্লি | সিদৌট | বেমপল্লি |
১৬ | বীরপুন্যুনিপল্লি | শ্রীঅবধূত কাশীনয়ন | বেমুলা |
১৭ | ইয়েরাগুন্টলা | বোন্টিমিট্টা |
বিধানসভা কেন্দ্র
[সম্পাদনা]কাডাপা জেলার বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল:
শিক্ষাব্যবস্থা
[সম্পাদনা]কাডাপা জেলায় অনেকগুলি বিদ্যালয়, ডিগ্রি কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এগুলির মধ্যে ইডুপুলাপায়ার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইআইটি), কাডাপার যোগী বেমন বিশ্ববিদ্যালয় ও হায়দ্রাবাদ পাবলিক স্কুল, পুলিবেন্ডুলার কেএসআরএম কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, আরআইএমএস কলেজ অফ ডেন্টালস অ্যান্ড গভর্নমেন্ট হসপিটালস, জেএনটিইউ-এ কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রোড্ডাটুরের শ্রীবেঙ্কটেশ্বর ভেটেরনারি কলেজ ও যোগী বেমন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ উল্লেখযোগ্য।
পর্যটন
[সম্পাদনা]কাডাপা জেলায় অনেকগুলি মন্দির ও দুর্গ রয়েছে। এগুলির নিজস্ব ইতিহাসের সঙ্গে স্বতন্ত্র স্থাপত্যশৈলী অনেক পর্যটককে আকর্ষণ করে।[২৪][২৫]
- বোন্টিমিট্টা – কাডাপা জেলার কোরাজামপেট তালুকের বোন্টিমিট্টা শহরটি কোদণ্ডরাম স্বামী মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। এই মন্দিরটি হিন্দু দেবতা রামের মন্দির। ১৬শ শতাব্দীতে নির্মিত এই মন্দিরটি বিজয়নগর স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন। এটি এই অঞ্চলের বৃহত্তম মন্দির।
- রায়াচোটি – রায়াচোটি শহরটি বীরভদ্র স্বামী মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। ১৪শ শতাব্দীতে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের শাসক কৃষ্ণ দেব রায় এই মন্দিরটি সংস্কার করেছিলেন।
- নন্ডলুর – নন্ডলুর সৌম্যনাথ স্বামী মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। নন্ডলুরের কাছে লঞ্জ কানুমা গুট্টা নামে একটি ছোটো পাহারে এক প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মস্থান রয়েছে।
- টাল্লাপাকা – টাল্লাপাকা বিশিষ্ট তেলুগু কবি তথা বেঙ্কটেশ্বরের ভক্ত টাল্লাপাকা আন্নামাচার্যের জন্মস্থান। তাঁকে ‘তেলুগু পদকবিতা পিতামহ’ বলা হয়।
- গান্ডিকোটা – গান্ডিকোটা শহরে কয়েকটি ঐতিহাসিক স্মারক রয়েছে। এছাড়া মর্যাদা রামান্না, এক বীরা ও সুপার কাউবয় প্রভৃতি কয়েকটি চলচ্চিত্রের শ্যুটিং এখানে হয়েছিল।
- ব্রহ্মম গারি মঠম – এখনে পোতুলুরু বীরব্রহ্মেন্দ্র স্বামীর ভবিষ্যদ্বাণীগুলির পাণ্ডুলিপি রক্ষিত আছে।
- আমিন পির দরগা – এটি কাডাপা শহরে অবস্থিত একটি ৩০০ বছরের পুরনো সুফি দরগা।
- শ্রীলঙ্কামল্লেশ্বর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য – এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটির সদর কাডাপা শহরে অবস্থিত। জরডন’স করসার নামে একটি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী শুধুমাত্র এখানেই পাওয়া যায়।
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
[সম্পাদনা]- টাল্লাপাকা আন্নামাচার্য – তেলুগু কবি
- পোতুলুরি বীরব্রহ্মম – বিশিষ্ট সন্ত ও জ্যোতিষী। তাঁকে ‘ভারতের নস্ট্রাডামুস’ বলা হয়।
- ড. ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডি - অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (২০০৪-২০০৯)
- আল্লাসানি পেড্ডানা – শ্রীকৃষ্ণদেবরায়ালুর অস্টডিগগজালুর এক কবি
- মোল্লা – কবি
- চার্লস ফিলিপ ব্রাউন – কালেক্টর ও তেলুগু ভাষা গবেষক
- বি. নাগি রেড্ডি – দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রযোজক
- বি. পদ্মনাভম – বিশিষ্ট কমেডিয়ান ও চলচ্চিত্র প্রযোজক
- বোমিরেড্ডি নরসিংহ রেড্ডি – বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক
- পাসুপুলেটি কান্নাম্বা – প্রথম যুগের তেলুগু চলচ্চিত্র নায়িকা ও প্রযোজক। তিনিই প্রথম নায়িকা যিনি তরবারির খেলা দেখিয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন।
- শান্তা কুমারী – গায়িকা ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- ড. যাগ বেনুগোপাল রেড্ডি – ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর
- বিচারপতি কে. জয়চন্দ্র রেড্ডি – ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি, জাতীয় আইন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, ভারতের প্রেস কাউন্সিলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রসংঘ মনোনীত বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর সদস্য।
- এ. ভি. এস. রেড্ডি – অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার
- ভি. এন. রেড্ডি – ভারতীয় চিত্রগ্রাহক
- যোগী বেমন – বিশিষ্ট তেলুগু দার্শনিক ও কবি। তাঁর কবিতাগুলি সরল ভাষা ও স্থানীয় বাগধারার প্রয়োগের জন্য বিখ্যাত। তিনি কবিতায় যোগ, জ্ঞান ও নৈতিকতার কথা বলতেন। যোগের পথে সাফল্যের জন্য তাঁকে ‘যোগী বেমন’ বলা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "District - Guntur"। Andhra Pradesh Online Portal। ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "District profile"। AP State Portal। ১৭ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Districts"। Government of AP। ১৭ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৫।
- ↑ Subramanyam, M.V. (২৫ জুলাই ২০১২)। "Second largest rock art painting site explored"। The Hindu। Chennai, India।
- ↑ ক খ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৮ মে ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Comprehensive History and Culture of Andhra Pradesh: Pre- and protohistoric ..."। google.co.in।
- ↑ "Megalithic burial site found in Kadapa"। The Hindu। Chennai, India। ২৪ জুন ২০১২।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৮ মে ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Archaeological Survey of India"। ap.nic.in। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ The Imperial Gazetteer of India, Volume 7। Oxford: Clarendon Press। ১৯০৮। পৃষ্ঠা 158–176। ২২ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Srivastava, Dayawanti et al. (ed.) (২০১০)। "States and Union Territories: Andhra Pradesh: Government"। India 2010: A Reference Annual (54th সংস্করণ)। New Delhi, India: Additional Director General, Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting (India), Government of India। পৃষ্ঠা 1111–1112। আইএসবিএন 978-81-230-1617-7। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১১।
- ↑ "Island Directory Tables: Islands by Land Area"। United Nations Environment Program। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১১।
Prince Patrick Island 15,848
- ↑ "Tummalapalle uranium mill to start operation by March 2011"। Article from the Times of India। WISE Uranium Project। ২৪ অক্টোবর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১১।
- ↑ "India: 'Massive' uranium find in Andhra Pradesh"। BBC News – South Asia। BBC। ১৯ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১১।
- ↑ ক খ Ministry of Panchayati Raj (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। ৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১১।
Jamaica 2,868,380 July 2011 est
line feed character in|উক্তি=
at position 8 (সাহায্য) - ↑ "2010 Resident Population Data"। U.S. Census Bureau। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১।
Arkansas 2,915,918
line feed character in|উক্তি=
at position 9 (সাহায্য) - ↑ ক খ "Revenue Divisions"। National Informatics Centre। ৬ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৫।
- ↑ "Andhra Pradesh Municipalities Reservation of Chairperson in Municipal Councils and Nagar Panchayats"। Tgnns.com। Government of Andhra Pradesh। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Municipal Websites"। Commissioner and Director of Municipal Administration। Government of Andhra Pradesh। ২১ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Mandals in Kadapa district" (পিডিএফ)। AP State Portal। ৩ জুন ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "District Revenue Divisions and Mandals"। Y.S.R.-District Panchayat। National Informatics Centre। ৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ Welcome to Frontline : Vol. 29 :: No. 10 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে. Hinduonnet.com. Retrieved on 20 May 2012.
- ↑ Welcome to Frontline : Vol. 29 :: No. 10 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে. Hinduonnet.com. Retrieved on 20 May 2012.