বিষয়বস্তুতে চলুন

কাতার ও রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট জিহাদবাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কাতারের বিরুদ্ধে জিহাদবাদের অর্থায়নকারীদের তার নিজের সীমানার মধ্যে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, যা ২০১৭ সালে শুরু হওয়া এবং ২০২১ সালে শেষ হওয়া কাতারের কূটনৈতিক সঙ্কটের অন্যতম কারণ বলে বিবেচনা করা হয়। ২০১৪ সালে তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অফ ট্রেজারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডেভিড কোহেন কাতারকে আন্তর্জাতিক কালো তালিকাভুক্ত অর্থদাতাদের দেশে স্বাধীনভাবে বসবাস করার অনুমতি দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে।[]

এই অভিযোগের জবাবে কাতারি আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি মার্কিন টেলিভিশনে সরকারকে জিহাদবাদের অর্থায়নকারীদের আশ্রয় দেয় এমন অভিযোগ থেকে রক্ষা করতে বক্তব্য প্রদান করেন। সিএনএন চ্যানেলে ক্রিশ্চিয়ান আমানপুরের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে আমির বলেন যে, তিনি এই সংস্থাগুলিকে সন্ত্রাসী বলে মনে করেন না।[]

কাতারের সরকারের একটি মনোনীত সন্ত্রাসী তালিকা রয়েছে।[] দ্য টেলিগ্রাফের মতে, তালিকায় ২০১৪ সালে কোনো নামই ছিল।[] ২০২১ সালের জুলাইয়ে তালিকায় ৫৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তি ও ২৪০টি সংস্থার নাম রয়েছে।[][] বেশ কয়েকজন জিহাদবাদী অর্থ দাতাদের বিচারের জন্য কাতারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু মনোনীত জিহাদবাদী এবং জিহাদি অর্থদাতা ২০১৫ সাল পর্যন্ত কাতারে দায়মুক্তির সাথে বসবাস করে।[][]

কাতারের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসকে সমর্থন করার অভিযোগ রয়েছে, যা বেশ কয়েকটি দেশ দ্বারা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে মনোনীত হয়েছে।[] কাতার এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে এই বলে যে, এটি হামাসের রাজনৈতিক অবস্থান সমর্থন করে না এবং তার নীতি হল হামাসফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে গঠনমূলক সম্পৃক্ততার সুবিধার্থে সহায়তা করা।[]

২০০৪, ২০১০, ২০১৪২০১৭ সালে কাতারি সরকার সন্ত্রাসবাদ, জিহাদবাদ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নকারী ও তৎসংশ্লিষ্ট অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নতুন সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রবর্তন করে।[][] ২০১৯ সালে কাতারের সরকার একটি নতুন অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিরোধী আইন চালু করেছে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Dettmer, Jamie (ডিসেম্বর ১০, ২০১৪)। "U.S. Ally Qatar Shelters Jihadi Moneymen"The Daily Beast। ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৯, ২০২০ 
  2. "Qatar's Emir: We don't fund terrorists"। CNN। সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪। মে ১৯, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৮, ২০১৫ 
  3. "Unified Record of Persons and Entities designated on Sanction List"National Counter Terrorism Committee। ২০২৩-০২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৭ 
  4. "Terror financiers are living freely in Qatar, US discloses"The Telegraph। নভেম্বর ১৬, ২০১৪। মে ১৭, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৫, ২০১৮ 
  5. "Country Reports on Terrorism 2015" (পিডিএফ)State.gov। জুন ২০১৬। ২০১৭-০৩-২৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪  Public Domain এই নিবন্ধ এই উৎস থেকে পাঠ্য অন্তর্ভুক্ত করে, যা পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে
  6. U.S. News & World Report। সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৪ https://web.archive.org/web/20190516231227/https://www.usnews.com/news/articles/2014/09/10/congress-goes-after-frenemies-turkey-qatar। মে ১৬, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  7. "Analysts: Qatar supports Gaza not Hamas"। Al Jazeera। ৭ জুন ২০১৭। ৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৭ 
  8. Josua, Maria (২০২১-০৩-০১)। "What Drives Diffusion? Anti-Terrorism Legislation in the Arab Middle East and North Africa" (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 2057-3170ডিওআই:10.1093/jogss/ogaa049। ২০২৩-০২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০৯ 
  9. "Qatar"United States Department of State (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৭