বিষয়বস্তুতে চলুন

গ্রান্ট ফ্লাওয়ার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গ্রান্ট ফ্লাওয়ার
২০০৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে গ্রান্ট ফ্লাওয়ার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
গ্রান্ট উইলিয়াম ফ্লাওয়ার
জন্ম (1970-12-20) ২০ ডিসেম্বর ১৯৭০ (বয়স ৫৩)
সলিসবারি, রোডেশিয়া
ডাকনামফ্লাওয়ার পাওয়ার (বড় ভাই অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের সাথে)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাব্যাটসম্যান, অধিনায়ক
সম্পর্কবিল ফ্লাওয়ার (পিতা), অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ )
১৮ অক্টোবর ১৯৯২ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ বনাম বাংলাদেশ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২৭)
২৫ অক্টোবর ১৯৯২ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই১৭ অক্টোবর ২০১০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই শার্ট নং৬৮
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৬৭ ২২১ ১৮৮ ৩৬৬
রানের সংখ্যা ৩,৪৫৭ ৬৫৭১ ১০,৮৯৮ ১০,৭৫৮
ব্যাটিং গড় ২৯.৫৪ ৩৩.৫২ ৩৭.১৯ ৩৪.৯২
১০০/৫০ ৬/১৫ ৬/৪০ ২৩/৫৮ ১৩/৬৯
সর্বোচ্চ রান ২০১* ১৪২* ২৪৩* ১৪৮*
বল করেছে ৩৩৭৮ ৫,৬২ ১২,৫১১ ৮,৯৬২
উইকেট ২৫ ১০৪ ১৬৬ ১৮৮
বোলিং গড় ৬১.৪৮ ৪০.৬২ ৩৩.৭৬ ৩৫.৭৭
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৪/৪১ ৪/৩২ ৭/৩১ ৪/৩২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪৩/- ৮৬/- ১৭৪/– ১৪০/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

গ্রান্ট উইলিয়াম ফ্লাওয়ার (ইংরেজি: Grant Flower; জন্ম: ২০ ডিসেম্বর, ১৯৭০) রোডেশিয়ার সলিসবারিতে জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় থাকাকালীন তাকে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা ক্রিকেটার হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি তার চমকপ্রদ ব্যাটিং ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনসহ বামহাতে স্পিন বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। শারীরিক সক্ষমতা বজায় রাখতে জিমে কয়েকঘণ্টা ব্যয় করতেন।

খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময়ই সহোদর বড় ভাই অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের সাথে একত্রে ক্রিকেট খেলেছেন। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের সাথে যৌথভাবে ফ্লাওয়ার পাওয়ার ডাকনামে খ্যাত গ্রান্ট ফ্লাওয়ার গালি অঞ্চলে ফিল্ডিং করে প্রতিভাবান ফিল্ডারের মর্যাদা পেয়েছেন। তারা উভয়েই এক দশককাল জিম্বাবুয়ের প্রধান ব্যাটিং মেরুদণ্ডে অবস্থান করেছেন। এছাড়াও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি দলের সফলতার প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করেছেন।

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

বড় ভাই অ্যান্ডি’র সাথে নর্থ পার্ক স্কুল এবং ওরিয়েল বয়েজ হাইস্কুলে অধ্যয়ন করেন। তারা তাদের বয়সী গ্রুপে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য হতেন। অল-রাউন্ডার হবার জন্যে তিনি সিম বোলিং করতেন। ঐ সময়ে তার বোলিং নৈপুণ্য ব্যাটিংয়ের চেয়ে ভালো ছিল। কিন্তু হারারের সেন্ট জর্জেস কলেজে স্পিন বোলিংয়ের দিকে চলে যান গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। ১৯৯০-৯১ মৌসুমের গ্রীষ্মে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউনিয়ন কর্তৃক মনোনীত হবার ফলে পেশাদার ক্রিকেটের দিকে ধাবিত হন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ইংল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে গ্রান্টের অভিষেক ঘটে। দ্বিতীয় খেলায় ইনিংস উদ্বোধন করতে এসে অর্ধ-শতক করেন ও বড় ভাই অ্যান্ডি’র সাথে অনেকগুলো শতরানের জুটির একটি করেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৯০ সালে ঠিক ১৯ বছর বয়সে আইসিসি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলের সদস্য হিসেবে ছিলেন তিনি। এরফলে জিম্বাবুয়ে দল বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলার যোগ্যতা লাভ করে। জিম্বাবুয়ে প্রতিযোগিতায় জয়ের লক্ষ্য নিয়েই অগ্রসর হতে থাকে। শুরুর দিকের খেলাগুলোতে গ্রান্ট ফ্লাওয়ার প্রচুর রান করতে থাকেন। যদি তারা প্রতিযোগিতায় জয়ী না হতো তাহলে তাদের টেস্ট ক্রিকেটের ন্যায় বৃহৎ আসরে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটতো না। প্রতিযোগিতায় ভাল খেলা স্বত্ত্বেও তাকে ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ দেয়া হয়নি। ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডে চলে যান এবং ম্যানচেস্টারের উইডনেস ক্রিকেট ক্লাব ও ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে খেলেন।

শক্তিশালী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের চমকপ্রদ টেস্ট বিজয়ে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাকিস্তান দলের বিপক্ষে বেশ সফলকাম ছিলেন। ৪০-এরও অধিক গড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরিসহ ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন।

২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে অবসরের ঘোষণা দেন গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউনিয়নের সাথে বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের অসহযোগিতায় তাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ফলে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকে সাথে নিয়ে কোলপ্যাক খেলোয়াড় হিসেবে এসেক্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। প্রথম মৌসুম শেষে ২০০৫ সালের লিস্ট এ ক্রিকেটে ব্যাটিং গড়ে তিনি শীর্ষস্থানে এবং উইকেট লাভে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। এসেক্সের পক্ষে পরের মৌসুমও চমৎকার খেলেন যা কাউন্টি ক্রিকেটে তার শেষ মৌসুমে পরিণত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য আকস্মিকভাবে জিম্বাবুয়ে দলে তাকে ডাকা হয়। ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচে একদিনের আন্তর্জাতিকের প্রথমটিতে সর্বশেষ অংশগ্রহণ করেন গ্রান্ট ফ্লাওয়ার।[] ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে সফলভাবে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন।[][]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]