বিষয়বস্তুতে চলুন

জো হার্ডস্টাফ (ক্রিকেটার, জন্ম ১৮৮২)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জো হার্ডস্টাফ (ক্রিকেটার, জন্ম ১৮৮২)
আনুমানিক ১৯০৮ সালে জো হার্ডস্টাফ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
যোসেফ হার্ডস্টাফ
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৭৭
রানের সংখ্যা ৩১১ ১৭,১৪৬
ব্যাটিং গড় ৩১.১০ ৩১.৩৪
১০০/৫০ ০/৩ ২৬/৯৪
সর্বোচ্চ রান ৭২ ২১৩*
বল করেছে ৩,৫৯৪
উইকেট ৫৯
বোলিং গড় - ৩৮.৬৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং - ৫/১৩৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/০ ১৮৭/২
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

যোসেফ হার্ডস্টাফ (ইংরেজি: Joe Hardstaff; জন্ম: ৯ নভেম্বর, ১৮৮২ - মৃত্যু: ২ এপ্রিল, ১৯৪৭) নটিংহ্যামশায়ারের কির্কবি-ইন-অ্যাশফিল্ডে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন।[] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০৭ থেকে ১৯০৮ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারিসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন জো হার্ডস্টাফ

একসময়কার উদীয়মান ক্রিকেটার জো হার্ডস্টাফ জুনিয়রও যোসেফ (জো) নামে পরিচিত ছিলেন। সচরাচর তিনি জো হার্ডস্টাফ সিনিয়র নামে পরিচিতি পান।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯০২ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন চলমান ছিল। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত নটস দলের মধ্যমণি ছিলেন তিনি।

১৯০২ সালে হার্ডস্টাফের অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে একটিমাত্র খেলায় অংশ নিয়ে দুই রান সংগ্রহ করেছিলেন। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হলেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মাঝেমধ্যে মিডিয়াম বোলিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১৯০৭ সালে নটিংহ্যামশায়ারের প্রথম কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা লাভে প্রভূতঃ সহায়তা করেন।

টেস্ট ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান জো হার্ডস্টাফ। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯০৭ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে জো হার্ডস্টাফের।

১৯০৭-০৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য মনোনীত হন। ইংরেজ দলের নেতৃত্বে ছিলেন ক্লাবের অধিনায়ক আর্থার জোন্স। ঐ সফরে হার্ডস্টাফ ব্যাপক সফলতা পান। প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় অন্য যে-কোন খেলোয়াড়ের তুলনায় অধিক রান তুলেন। টেস্ট খেলায় জর্জ গানজ্যাক হবসের পর তৃতীয় স্থানে ছিলেন।

তার ক্রীড়াশৈলী তেমন আহামরি না হলেও সাতবার ইংরেজ ক্রিকেটে সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেছেন। আরও একবার বিদেশ সফরের জন্য মনোনীত হন। ১৯১১ সাল বাদে গড়ের দিক দিয়ে খুব কমই শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পেয়েছেন। বিষ্ময়করভাবে ১৯১০ সালে লর্ডসে প্লেয়ার্সের সদস্যরূপে জেন্টলম্যানের বিপক্ষে খেলেন।[] ওভালে তিনবার প্লেয়ার্সের পক্ষে খেলেছেন।

খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে ও খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর এমসিসি’র কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।[] অবসর নেয়ার পর মাঝেমধ্যেই এমসিসি’র পক্ষে খেলতেন ও প্রথম-শ্রেণীর খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন। ২১ টেস্টে আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনা করেছেন। তবে, স্বীয় পুত্র জো হার্ডস্টাফ জুনিয়রের ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভূক্তির ফলে ১৯৩০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত আন্তর্জাতিক স্তরে তার অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে আসে।

২ এপ্রিল, ১৯৪৭ তারিখে ৬৫ বছর বয়সে জো হার্ডস্টাফের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Joe Hardstaff. ESPNcricinfo. Retrieved on 2018-04-25.
  2. Wisden Cricketers Almanack 1911
  3. Peter Wynne-Thomas (1992). A History of Nottinghamshire County Cricket Club. Helm. আইএসবিএন ০৭১৩৬৮০৮৭৩.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]