বিষয়বস্তুতে চলুন

দাভাও নগরী

স্থানাঙ্ক: ৭°০৪′ উত্তর ১২৫°৩৬′ পূর্ব / ৭.০৭° উত্তর ১২৫.৬° পূর্ব / 7.07; 125.6
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দাভাও নগরী
Dakbayan sa Dabaw
Highly Urbanized City
City of Davao, Lungsod ng Dabaw
দাভাও নগরীর অফিসিয়াল সীলমোহর
সীলমোহর
ডাকনাম:
  • "King City of the South"[]
  • "Crown Jewel of Mindanao"[]
  • "Durian Capital of the Philippines"[]
  • "Chocolate Capital of the Philippines"[]
নীতিবাক্য: Life is Here[]
সঙ্গীত: Tayo'y Dabawenyo (We are Davaeño)
দাভাও নগরী আলোকপাতসহ দাভাও অঞ্চলের মানচিত্র
দাভাও নগরী আলোকপাতসহ দাভাও অঞ্চলের মানচিত্র
OpenStreetMap
মানচিত্র
লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 480 নং লাইনে: নির্দিষ্ট অবস্থান মানচিত্রের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়নি। "মডিউল:অবস্থান মানচিত্র/উপাত্ত/Philippines" বা "টেমপ্লেট:অবস্থান মানচিত্র Philippines" দুটির একটিও বিদ্যমান নয়।Location within the ফিলিপাইন
স্থানাঙ্ক: ৭°০৪′ উত্তর ১২৫°৩৬′ পূর্ব / ৭.০৭° উত্তর ১২৫.৬° পূর্ব / 7.07; 125.6
CountryPhilippines
Regionটেমপ্লেট:PH wikidata/regionlink
ProvinceDavao del Sur (geographically only)
District1st to 3rd Districts of Davao City
Founded29 June 1848
Chartered16 October 1936
Cityhood16 March 1937
Highly urbanized city22 December 1979
প্রতিষ্ঠাতাDon José Cruz de Oyanguren of Guipuzcoa, Spain
Barangaysটেমপ্লেট:PH barangay count (see Barangays)
সরকার[] []
 • ধরনSangguniang Panlungsod
 • MayorSara Z. Duterte-Carpio
 • Vice MayorSebastian Z. Duterte
 • Representative
তালিকা
 • Electorate৯,৯২,৫৩৮ voters (২০২২)
আয়তনটেমপ্লেট:PH area
 • Highly Urbanized City২,৪৪৩.৬১ বর্গকিমি (৯৪৩.৪৮ বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা২৯৩.৭৮ বর্গকিমি (১১৩.৪৩ বর্গমাইল)
 • মহানগর৩,৯৬৪.৯৫ বর্গকিমি (১,৫৩০.৮৮ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম1st
উচ্চতাটেমপ্লেট:PH wikidata/deprecated parameter Template:PH wikidata called with unsupported input "elevation_footnotes"১৩ মিটার (৪৩ ফুট)
সর্বোচ্চ উচ্চতা২,৯০৯ মিটার (৯,৫৪৪ ফুট)
সর্বনিন্ম উচ্চতা০ মিটার (০ ফুট)
জনসংখ্যা (২০২০ জনশুমারি)[]
 • Highly Urbanized City১৭,৭৬,৯৪৯
 • ক্রম3rd
 • জনঘনত্ব৭৩০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল)
 • মহানগর২৭,৭০,৬৭১
 • মহানগর জনঘনত্ব৭০০/বর্গকিমি (১,৮০০/বর্গমাইল)
 • Householdsটেমপ্লেট:PH wikidata/deprecated parameter Template:PH wikidata called with unsupported input "household"
Economy
 • আয়ের শ্রেণী1st city income class
 • Poverty incidenceটেমপ্লেট:PH wikidata/deprecated parameter Template:PH wikidata called with unsupported input "poverty_incidence"% (টেমপ্লেট:PH wikidata/deprecated parameter Template:PH wikidata called with unsupported input "poverty_incidence_point_in_time")টেমপ্লেট:PH wikidata/deprecated parameter Template:PH wikidata called with unsupported input "poverty_incidence_footnotes"
 • Revenue11,117,585,998.13 (2020)[]
 • Assets23,664,385,225.91 (2020)[]
Service provider
 • Electricityটেমপ্লেট:PH electricity distribution
সময় অঞ্চলPST (ইউটিসি+8)
ZIP code8000
পিএসজিসি 112402000
আইডিডি:অঞ্চল কোড+৬৩ (০)82
জলবায়ুর ধরনক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি অরণ্য জলবায়ু
Spoken languagesCebuano, English, and Native Davaoeño
ওয়েবসাইটwww.davaocity.gov.ph

দাভাও নগরী (সেবুয়ানো: Dakbayan sa Dabaw; তাগালগ: Lungsod ng Davao) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বভাগে অবস্থিত একটি বন্দর নগরী। এটির আয়তন প্রায় ২৪৪৩ বর্গকিলোমিটার, ফলে এটি আয়তনের বিচারে শুধু ফিলিপাইনের বৃহত্তম নগরী নয়, এমনকি সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় নগরীগুলির একটি। ২০২০ সালে তথ্য অনুযায়ী এখানে প্রায় ১৭ লক্ষ ৭৬ হাজার লোকের বাস, ফলে এটি সমগ্র ফিলিপাইনের তৃতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল নগরী (ম্যানিলা ও কেসোন শহরের পরে) এবং মিন্দানাও অঞ্চলের সর্বোচ্চ জনবহুল নগরী।

ভৌগোলিকভাবে দাভাও নগরীটি দাভাও দেল সুর প্রদেশে, আপো পর্বতের পাদদেশে, দাভাও নদীর মোহনায়, দাভাও উপসাগরের মাথায় অবস্থিত। কিন্তু এটি প্রদেশ অপেক্ষা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়। নগরীটি তিনটি নির্বাচনী এলাকায় বিভক্ত, যেগুলি আবার মোট ১১টি প্রশাসনিক জেলা ও ১৮২টি বারানগাই নামক বিভাগে বিভক্ত। দাভাও নগরীটি মেট্রো দাভাও নামক একটি মহানগর এলাকার কেন্দ্রে অবস্থিত, যা সমগ্র ফিলিপাইনের তৃতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল মহানগর এলাকা। এটি ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাও ও দ্বীপটির দাভাও প্রদেশের প্রধান ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্পকেন্দ্র। দাভাওতে ফিলিপাইনের সর্বোচ্চ পর্বত আপো পর্বত (উচ্চতা ২৯৫৪ মিটার) অবস্থিত। দাভাওয়ের জলবায়ু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রকৃতির। তবে দাভাও উপসাগরে অবস্থিতি ও কাছেই সমুদ্রমধ্যবর্তী সামাল দ্বীপের উপস্থিতি কারণে এখানে প্রশান্ত মহাসাগরীয় তাইফুন নামক ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ কম।

দাভাওয়ের সাথে ছোট ছোট ৫০টি সমুদ্রবন্দর সম্পর্কিত, যেগুলি একাধারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাহাজযোগ্যে পণ্য প্রেরণের কাজে নিয়োজিত। দাভাও নগরীর কাছেই সাগরে অবস্থিত সামাল দ্বীপটি পাকিপুতান প্রণালী গঠন করেছে, যেখানে সান্তা আনা নামক ছোট জাহার ভেড়ার একটি পৌর বন্দর ও শহর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে সাসা নামক গভীর জলের পোতাশ্রয় রয়েছে। দাভাওয়ের বন্দরগুলি থেকে ফিলিপাইনের অন্যান্য দ্বীপে জাহাজযোগে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি কোপরা, নারিকেল, ফল, মসলা, মুক্তা, ভুট্টা ও চাল জাহাজযোগে প্রেরণ করা হয়। আন্তর্জাতিক বন্দর থেকে বিপুল পরিমাণে "আবাকা" নামক এক ধরনের শণজাতীয় প্রাকৃতিক তন্তু রপ্তানি করা হয়, যা "ম্যানিলা শণ" নামে পরিচিত। নগরীটিকে "ফিলিপাইনের ডুরিয়ান রাজধানী" ও "ফিলিপাইনের চকোলেট রাজধানী" ডাকনামে ডাকা হয়। এছাড়া এখানে কাঠ ও কাঠজাত পণ্য উৎপাদন করা হয়, যদিও দ্বীপের বেশিরভাগ উন্নতমানের কাষ্ঠবৃক্ষ কেটে ফেলা হয়েছে। অঞ্চলটিতে গবাদি পশুর শিল্পখাতটিও ক্রমবর্ধমান।

দাভাও এলাকাতে প্রাচীনকালে বাগোবো, বলান, মান্দায়া, মানোও, মানস্কা ও তিবোলি জাতির লোকেরা বিক্ষিপ্তভাবে দাভাও নদীর উপত্যকায় বাস করত। ১৮৪৯ সালে স্পেনীয় কোনকিস্তাদোররা (দেশবিজয়ী সেনারা) স্থানীয় মুসলমানদের ক্ষমতাচ্যুত করে ও বর্তমান দাভাও নগরী যেখানে অবস্থিত, সেখানে একটি ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করে, ফলে এখানে খ্রিস্টান বসতিস্থাপকদের বসবাস করা সহজ হয়। ১৯৩৭ সালে ফিলিপাইনের সরকার দাভাওকে নগরীর মর্যাদা দান করে, যার পর এখানে বহুসংখ্যক ফিলিপিনো খামারমালিক ও জাপানি অভিবাসী শ্রমিকের আগমন ঘটে ও শহরটির জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এখানে জাপানি আঞ্চলিক সেনাবাহিনীর প্রধান কার্যালয় ছিল। মিত্রশক্তির বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণে শহরটিকে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। যুদ্ধের পর পুনর্নিমিত শহরটিতে স্পেনীয়, মার্কিন ও ইসলামী স্থাপত্যশৈলীর মিশ্র প্রভাব পরিলক্ষিত হয়, যা নগরীটির ইতিহাসের প্রতিফলন। ১৯৮০-র দশকে দুইটি ভিন্ন ভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী (সাম্যবাদী নতুন জনতার সেনাবাহিনী ও মোরো জাতীয় মুক্তি ফ্রন্ট নামক একটি মুসলমান বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন) নগরীটিকে একটি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছিল। সরকারী সেনারা শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহীদেরকে শহর থেকে হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়।

দাভাও নগরীরে বহু বিচিত্র জাতির লোকের বাস, যাদের মধ্যে মোরো, বিসায়ান, বাগোবো, বিকোলানো, ইলোকানো, তাগালোগ, চীনা, জাপানি ও অন্যান্য জাতি অন্তর্ভুক্ত। নগরীর আগ্রহজনক বা দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আছে আগিনালদো মুক্তার খামার, দাভাও জাদুঘর ও পুয়েন্তেস্পিনা অর্কিড বাগান। শহরের কাছেই দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আছে আপো পর্বত জাতীয় উদ্যান। আপো পর্বত এলাকাতে বিলুপ্তপ্রায় ফিলিপিনো ঈগল পাখির বাস, যেগুলিকে দাভাওয়ের ঈগল সংরক্ষণ কেন্দ্রতেও পরিদর্শন করা সম্ভব। দাভাও নগরীতে ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত মিন্দানাও বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Embassy of the Philippines – News"Embassy of the Philippines, Washington D.C.। ৭ এপ্রিল ২০১৭। ১৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৯ 
  2. Remo, Amy R. (৬ এপ্রিল ২০১৯)। "At the Peak of Davao City's great adventures"Philippine Daily Inquirer। ৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৯ 
  3. Bautista, Debb (২১ ডিসেম্বর ২০১৮)। "Davao, Durian Capital of the Philippines"SunStar। ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৯ 
  4. "Davao City declared PH 'Chocolate Capital'"। CNN Philippines। মে ২৭, ২০২১। ২৭ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২১ 
  5. Opiana, Jecia Anne। "New logo for Davao Life Is Here unveiled"Edge Davao। ১৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৯ 
  6. "Mayor – Message"। Davaocity.gov.ph। ২০১২-১০-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-০৭ 
  7. টেমপ্লেট:DILG detail
  8. "2020 Census of Population and Housing (2020 CPH) Population and Annual Growth Rates by Province, City, and Municipality - By Region"। Metro Manila, Philippines: Philippine Statistics Authority। ৭ জুলাই ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২১ 
  9. "Annual Audit Reports - Davao del Sur"। Commission on Audit। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২১ 
  10. Moreno Fernández, Francisco। Atlas de la lengua española en el mundo। পৃষ্ঠা 73। 
  11. "Cartas edificantes de la Provincia de Aragón"। Imprenta y Encuadernación de San Jose। ১৯১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮