দৈনন্দিন জীবন
দৈনন্দিন জীবন বলতে মানুষ প্রতিদিন যেভাবে সাধারণ কর্মকাণ্ড ও চিন্তাভাবনা করে থাকে এবং আবেগ-অনুভূতির প্রকাশ করে থাকে তার সমষ্টিকে বোঝায়। এটিকে পার্থিব জীবন, গতানুগতিক নিয়মাবদ্ধ জীবন, স্বাভাবিক জীবন বা অভ্যাসগত জীবন নামেও ডাকা যায়।
বেশিরভাগ মানুষ দৈবসিক অর্থাৎ তারা দিনে কাজ করে আর রাতে অন্তত কিছুটা সময় ঘুমায়। বেশিরভাগ লোকই দিনে অন্তত দুই বা তিন বার খাবার খায়। বেশির ভাগ মানুষ দিনের বেলাতে সময়সূচী মেনে কাজ করে (পালাক্রমে করা কাজগুলি বাদে) এবং তাদের কর্মদিবস সকালবেলাতেই শুরু হয়ে যায়। এর ফলে লক্ষ লক্ষ লোক সকালবেলাতে অতিব্যস্ত সময় (rush hour) কাটায়, যেসময় তারা গাড়ি বা অন্য যানবাহনে করে কর্মক্ষেত্রে গমন করে। এই গাড়ি বা অন্য যানবাহন চালনার সময় (drive time) অর্থাৎ যে সময়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় রাস্তায় থাকে, সেটিকে বেতার সম্প্রচারকেরা সম্প্রচারের মূল বা আদর্শ সময় হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন (কারণ গাড়িচালনার সময় মানুষ বেতার শুনতে পছন্দ করে)। অন্যদিকে সন্ধ্যা হল বিশ্রাম ও অবসরের সময়। অনেকের ক্ষেত্রে প্রতিদিন গোসল করাটা একটা স্বাভাবিক রীতি।[১]
এইরকম কিছু স্বাভাবিক/মোটামুটি মিল বাদে, বিভিন্ন স্থানের জীবনযাত্রা বিভিন্ন হয় আর মানুষ একেক স্থানে একেকভাবে দিন পার করে থাকে। যাযাবর জীবন স্থিতিশীল জীবন হতে ভিন্ন, আর শহুরে লোকজন গ্রাম্য লোকেদের চেয়ে ভিন্নভাবে জীবনযাপন করে। ধনী বা গরীবের জীবনে পার্থক্য আছে। আবার কলকারখানার শ্রমিক এবং বুদ্ধিজীবীদের মোট কর্মঘণ্টা অনেক ভিন্ন হতে পারে। পুরুষদের চেয়ে মহিলারা অনেক ভিন্ন কাজ করে থাকে, আর সর্বত্রই শিশু-কিশোরেরা বয়ষ্কদের চেয়ে ভিন্ন কাজ করে থাকে। [২][৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Felski, Rita (১৯৯৯)। The Invention of Everyday Life (পিডিএফ)। London: Lawrence & Wishart। পৃষ্ঠা 15–31। আইএসবিএন 9780853159018। ২৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ Lefebvre, Henri (১৯৮৪)। Everyday life in the modern world (New ... সংস্করণ)। New Brunswick, N.J., U.S.A.: Transaction Books। পৃষ্ঠা 38। আইএসবিএন 978-0878559725। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ Coser, [edited by] Lewis A. (২০১২)। The idea of social structure : papers in honor of Robert K. Merton। New Brunswick, N.J.: Transaction Publishers। আইএসবিএন 978-1412847414।