বিষয়বস্তুতে চলুন

দ্য ক্রনিকলস অব নার্নিয়া: প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দ্য ক্রনিকলস অফ নার্নিয়া:
প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান
The Chronicles of Narnia:
Prince Caspian
ব্রিটিশ রিলিজ পোস্টার
পরিচালকঅ্যান্ড্রিউ অ্যাডামসন
প্রযোজকঅ্যান্ড্রু অ্যাডামসন
মার্ক জনসন
ফিলিপ স্টেউয়ার
চিত্রনাট্যকারঅ্যান্ড্রু অ্যাডামসন
ক্রিস্টোফার মার্কাস
স্টিফেন ম্যাকফিলি
উৎসসি. এস. লিউইস কর্তৃক 
প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারহ্যারি গ্রেগসন-উইলিয়ামস
চিত্রগ্রাহককার্ল ওয়াল্টার লিন্ডেনলব
সম্পাদকসিম ইভান-জোনস
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওজ
মোশন পিকচার্স
মুক্তি
  • ১৬ মে ২০০৮ (2008-05-16) (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
  • ২৬ জুন ২০০৮ (2008-06-26) (যুক্তরাজ্য)
স্থিতিকাল১৫০ মিনিট
দেশযুক্তরাজ্য
মার্কিন যুক্তরাজ্য
ভাষাইংরেজি
নির্মাণব্যয়২২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
আয়৪১৯.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার[]

দ্য ক্রনিকলস অফ নার্নিয়া: প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান হল ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি আমেরিকান হাই ফ্যান্টাসি চলচ্চিত্র। এই ছবিটি সি. এস. লিউইসের মহাকাব্যিক ফ্যান্টাসি উপন্যাস-ধারাবাহিক দ্য ক্রনিকলস্ অব নার্নিয়া-র দ্বিতীয় প্রকাশিত, চতুর্থ কালানুক্রমিক উপন্যাস প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান অবলম্বনে নির্মিত হয়। এই ছবিটি ওয়াল্ডেন মিডিয়া স্টুডিওর দ্য ক্রনিকলস অফ নার্নিয়া চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের দ্বিতীয় ছবি। এর পূর্ববর্তী ছবিটি ছিল দ্য ক্রনিকলস অফ নার্নিয়া: দ্য লায়ন, দ্য উইচ অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ডরোব (২০০৫)। পেভেনসি পরিবারের চার ভাইবোন (উইলিয়াম মোসলে, আনা পপেলওয়েল, স্যান্ডার কেনেসজর্জি হেনলে) রাজকুমার ক্যাস্পিয়ানকে (বেন বার্নেস) সাহায্য করার জন্য নার্নিয়ায় ফিরে আসে। ক্যাস্পিয়ান সিংহাসন দখলের জন্য তার দুর্নীতিগ্রস্ত কাকা মিরাজের (সার্জিও ক্যাসটেললিটো) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন। পেভেনসি ভাইবোনেরা আসলানের (লিয়াম নিসন) "গোপন" সহায়তায় ক্যাস্পিয়ানের সহযোগিতা করে। ২০০৮ সালের ১৬ মে ছবিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং ২০০৮ সালের ২৬ জুন এটি যুক্তরাজ্যে মুক্তি পায়। সি. এস. লিউইসের উপন্যাস অবলম্বনে স্টিফেন ম্যাকফিলি ও ক্রিস্টোফার মার্কাস এই ছবির চিত্রনাট্য রচনা করেন।

প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান ছবিটিই ওয়াল্ড ডিজনি পিকচার্স প্রযোজিত শেষ নার্নিয়া চলচ্চিত্র। পরবর্তী ছবি দ্য ক্রনিকলস অফ নার্নিয়া: ভয়েজ অফ দ্য ডন ট্রেডার-এর পরিবেশক ছিল টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সদ্য লায়ন, দ্য উইচ অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ডরোব ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগেই এই ছবিটির চিত্রনাট্য রচনার কাজ শুরু হয়েছিল, যাতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বয়স অনেকটা বেড়ে যাওয়ার আগেই এই ছবির চলচ্চিত্রায়নের কাজ শুরু করা যায়। পরিচালক অ্যান্ড্রু অ্যাডামসন এই ছবিটিকে আগের ছবিটির চেয়েও বেশি চিত্তাকর্ষক করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি এই ছবিতে যুদ্ধের এমন কিছু দৃশ্য রাখেন যা মূল উপন্যাসে নেই। এই ছবিতে নিপীড়িত ও আত্মগোপনকারী নার্নিয়াবাসীদের অনেক বেশি বন্য ও আক্রমণাত্মক রূপে প্রদর্শিত হয়েছে। এই ব্যাপারটি ছবির অন্ধকারাচ্ছন্ন চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেছে। টেলমারিন নামে পরিচিত অত্যাচারী জাতিটির চিত্রণে চলচ্চিত্রকারেরা স্প্যানিশ অনুপ্রেরণা গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিউজিল্যান্ডে এই ছবির চলচ্চিত্রায়ন শুরু হয়। কিন্তু এই ছবির অধিকাংশ শ্যুটিং হয়েছে মধ্য ইউরোপে। প্রথম ছবিটির শ্যুটিং সেখানে হয়নি। কারণ সেই সব দেশে বড়ো সেট পাওয়া যায়। চলচ্চিত্র নির্মাণের খরচ কমানোর জন্য যুক্তরাজ্যের ট্যাক্স ক্রেডিটের কথা মাথায় রেখে পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজের কেন্দ্র হিসেবে যুক্তরাজ্যকেই নির্বাচিতকরেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এই ছবিটি পরিমিত সাফল্য অর্জন করে। সেখানে এই ছবিটির মোট আয় ছিল ১৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।[] অবশিষ্ট বিশ্বে এই ছবিটির আয় ছিল ২৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "দ্য ক্রনিকলস অব নার্নিয়া: প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান"। বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৮ 
  2. Brandon Gray (২০১০-০২-১১)। "2010 Preview: The Chronicles of Narnia: The Voyage of the Dawn Treader"Box Office Mojo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-২৭ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]


টেমপ্লেট:Narnia টেমপ্লেট:Andrew Adamson টেমপ্লেট:Christopher Markus & Stephen McFeely টেমপ্লেট:Teen Choice Award Choice Movie Actionর