বিষয়বস্তুতে চলুন

পার্সি পেরিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পার্সি পেরিন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
পার্সিভাল আলবার্ট পেরিন
জন্ম(১৮৭৬-০৫-২৬)২৬ মে ১৮৭৬
মৃত্যু২০ নভেম্বর ১৯৪৫(1945-11-20) (বয়স ৬৯)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৫৩৮
রানের সংখ্যা ২৯৭০৯
ব্যাটিং গড় ৩৫.৯২
১০০/৫০ ৬৬/১৫২
সর্বোচ্চ রান ৩৪৩*
বল করেছে ১২৭৯
উইকেট ১৬
বোলিং গড় ৪৭.০৬
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৩/১৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৯৩/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

পার্সিভাল আলবার্ট পেরিন (ইংরেজি: Percy Perrin; জন্ম: ২৬ মে, ১৮৭৬ - মৃত্যু: ২০ নভেম্বর, ১৯৪৫) স্টোক নিউইংটনে জন্মগ্রহণকারী প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেটার ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এসেক্সের পক্ষাবলম্বন করেছেন ‌‌'পার্সি' বা 'পিটার' ডাকনামে পরিচিত পার্সি পেরিন। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারিসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এসেক্সের পক্ষে ১৮৯৬ সাল থেকে ত্রিশ বছরের অধিককাল খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

একসময় আবাসন ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। ১৮৯৬ থেকে ১৯২৬ সময়কালের মধ্যে এসেক্সের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। এরপর ১৯২৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে এসেক্সের পক্ষে সর্বমোট ৪৯৬টি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। এরফলে ইংরেজ ক্রিকেট অঙ্গনে যে-কোন শৌখিন খেলোয়াড়ের সবচেয়ে বেশি খেলায় অংশগ্রহণের রেকর্ড এটি।

দীর্ঘদেহী পেরিন তার সংগৃহীত অধিকাংশ রানই ড্রাইভিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছেন। একই উচ্চতার অধিকারী চার্লস ম্যাকগাহের সাথে একত্রে অনেকগুলো মৌসুম খেলেন। তারা উভয়েই এসেক্সের যমজ নামে পরিচিতি লাভ করেছেন। তুলনামূলকভাবে ব্যাটসম্যান হিসেবে বেশ ভালো খেলেছেন পেরিন। ১৮ মৌসুমে সহস্রাধিক রান সংগ্রহের পাশাপাশি ইনিংসপ্রতি ৩৬-এর অল্প কমে ২৯,৭০৯ রান করেছেন।[] সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৬৬ সেঞ্চুরি করেন। জন ল্যাংগ্রিজকেন ম্যাকইউয়ানের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যায় সেঞ্চুরি করেও টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নেয়ার সৌভাগ্য হয়নি তার।

অর্জনসমূহ

[সম্পাদনা]

১৯০৪ সালে এসেক্সের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন অপরাজিত ৩৪৩*। চেস্টারফিল্ডে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে তার এই অনন্য সাধারণ ইনিংসটি পরাজয়ের মুখ দেখে। এরফলে পরাজিত দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার রেকর্ড গড়েন তিনি।[] এ ইনিংসে ৬৮টি চারের মার ছিল।

মাঠে তিনি বেশ আলসেমিভাবে সময় কাটাতেন ও ভালোভাবে দৌড়ানোর অভ্যাস ছিল না তার। ইনিংসটির গুরুত্বতার কারণে ১৯০৫ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন পার্সি পেরিন।[]

বিনীত প্রকৃতির পেরিন একবার এসেক্স দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নিজ বন্ধু ম্যাকগাহে ও জনি ডগলাসের সাথে একযোগে কাজ করেছেন। তাদের সহকারী হিসেবে প্রয়োজনে দল পরিচালনায় অগ্রসর হয়েছেন তিনি।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর পেরিন তার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ১৯২৬ এবং ১৯৩০ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত ইংরেজ দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হন। তন্মধ্যে শেষের বছরে নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতিত্ব করেছিলেন।

হিকলিং ব্রডে নিজ কান্ট্রি হাউজে ২০ নভেম্বর, ১৯৪৫ তারিখে ৬৯ বছর বয়সে তার দেহাবসান ঘটে।

মূল্যায়ন

[সম্পাদনা]

ডগলাস জারদিনের প্রতি নির্বাচকমণ্ডলীর আস্থার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রত্যুত্তরে জারদিন জানান যে, পার্সি পেরিনকে ড্রেসিংরুম ব্যবহারের কথা বলেন। তবে তিনি বারান্দার শেষপ্রান্তে বসে থাকেন। আমরা অন্য কাউকে ভিতরে প্রবেশ করাতে সক্ষম হইনি।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Frindall, Bill (২০০৯)। Ask Bearders (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি বুকস। পৃষ্ঠা 176আইএসবিএন 978-1-84607-880-4 
  2. Lynch, Steven (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। "Impressive debuts, and scoring 343 and losing" (ইংরেজি ভাষায়)। ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ 
  3. "Full List on Cricinfo" (ইংরেজি ভাষায়)। ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৮ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]