পূর্ণচন্দ্র দাস
পূর্ণচন্দ্র দাস | |
---|---|
জন্ম | ১ জুন, ১৮৯৯ |
মৃত্যু | ৪ মে, ১৯৫৬ |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
পূর্ণচন্দ্র দাস (১ জুন, ১৮৯৯ - ৪ মে, ১৯৫৬) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী। তিনি বঙ্গবাসী কলেজের লেখাপড়া পরিত্যাগ করে মাদারিপুরে ১৯১০ সালে "মাদারিপুর সমিতি" নামে একটি ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী দল গঠন করেন।
বিপ্লবী কর্মকাণ্ড
[সম্পাদনা]১৯১৪-১৫ সনে তিনি বাঘা যতীনের সঙ্গে কাজ করেন। বালেশ্বরের ট্রেঞ্চযুদ্ধে বাঘা যতীনের চারজন পার্শ্বচর তারই দলের (মাদারিপুর সমিতি) কর্মী ছিলেন। বাঘা যতীনের এই চারজন পার্শ্বচর ছিলেন চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী, যতীশ পাল, মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত এবং নীরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত। ১৯১৩ সালে ফরিদপুর ষড়যন্ত্র মামলায় পূর্ণচন্দ্র গ্রেপ্তার হন এবং কিছুদিন পর মুক্তি পান। কিন্তু ১৯১৪ সনে ভারত-রক্ষা আইনে ধৃত হয়ে ১৯২০ সাল পর্যন্ত জেলে আটক থাকেন। পরে তিনি নেতাজী সুভাষচন্দ্রের নবগঠিত ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে যুক্ত হন এবং ১৯৪০ সালে পুনরায় গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৪৬ সালে মুক্তি পান। দেশ বিভাগের পর দলীয় রাজনীতি ত্যাগ করেন এবং কলকাতায় উদ্বাস্তু পুনর্বাসন বোর্ডের সদস্য হয়ে বাস্তুহারাদের কল্যাণে তৎপর হন। ১৯৫৬ সালে বালিগঞ্জে সুবোধ নামে এক প্রাক্তন বিপ্লবীর ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু ঘটে। তিনি জেলে মোট ২৭ বছর আটক ছিলেন। ২ বছর পলাতক অবস্থায় ছিলেন। তিনি ৩৩ দিন অনশন ধর্মঘট করেছিলেন।[১][২]
জন্ম ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]পূর্ণচন্দ্র দাসের জন্ম মাদারিপুর জেলার রাজৈর উপজেলার সমাজ ইশিবপুরে। তার বাবার নাম কাশীনাথ দাস। ১৯১০ সনে তিনি মাদারিপুর হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে লেখাপড়া শুরু করেন।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৩৯৬-৩৯৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৭৩, ২২৩, ২৭৮।