বনু নাজ্জার
Banu Najjar بنو نجّار | |
---|---|
Tribe | |
অবস্থান | মদিনা, হেজাজ, আরব |
এর বংশ | Azd (Banu Khazraj) |
প্রধান উপজাতি | Azd (Banu Khazraj) |
ধর্ম | Islam |
বনু নাজ্জার (আরবি: بنو نجّار, "কাঠমিস্ত্রির ছেলে") বা বনু আল-নাগার সমগ্র আরব বিশ্বে বেশ কিছু সম্পর্কহীন আধুনিক যুগের স্বতন্ত্র উপজাতি। যা ধর্মীয় গঠনে পরিবর্তিত হয়।[১]
ইসলামের ইতিহাসে
[সম্পাদনা]মদিনার সনদে একটি বনু নাজ্জার গোষ্ঠীর কথা উল্লেখ রয়েছে এবং মদীনার বনু নাজ্জার ছিলো ইসলামের নবী মুহাম্মদের পিতামহ আবদুল-মুত্তালিবের মাতৃকুল।[২] ইবনে হাজার আল-আসকালানি এবং আল-তাবারির মতো ইসলামী ঐতিহাসিকগণ তাদের মদিনার বৃহৎ বনু খাজরাজ গোত্রের একটি গোত্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। আল-আসকালানি বলেছেন যে তাদের পূর্বপুরুষ ছিলেন তাইমাল্লাহ ইবনে থালাবা ইবনে আমর ইবনে আল-খাজরাজ।[৩][৪] বনু নাজ্জারের অন্তত তিনটি উপ-গোষ্ঠী ছিল।[৫]
ইসলামের আগে মদিনার বনু নাজ্জাররা উল্লেখযোগ্যভাবে ঐতিহ্যবাহী আরব বহুশ্বরবাদের চর্চা করত, এবং সামুল, হুসা এবং আত-তামাম নামের মূর্তিগুলির মালিকানা ছিল যেগুলি বংশের ইসলাম গ্রহণের পর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।[৫] মদিনার ইহুদিদের সাথে তাদের গোত্রীয় জোট থাকতে পারে।[৫][৬]
ইসলামের নবী মুহাম্মদ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময়ে প্রথমে তাদের সাথে বসতি স্থাপন করেন। পরবর্তীতে এই গোত্রের বাগানে নবীর মসজিদ নির্মিত হয়।[৭] বনু নাজ্জারদের প্রশংসা করা হয়েছে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সাথে সম্পর্কিত একটি হাদিসে।[৮]
-
আল-নাজ্জার পরিবার জর্ডানের বায়ত জিবরিন থেকে তাদের উৎপত্তি
মানুষ
[সম্পাদনা]- আবু আইয়ুব আল-আনসারী-(গোত্রনেতা ও প্রধান গোত্রপতি বা শায়েখ)
- উম্মে সুলায়ম বিনতে মিলহাম
- যায়েদ ইবনে সাবিত রা
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Banu Najjar"। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ Power, Edmond (১৯১৪)। "The Life, Work, and Character of Mohammed": 142–159।
- ↑ Ibn Hajar al-Asqalani (1986). Fath al-Bari. page 144.
- ↑ al-Tabari, Abu Jafar। The History of al-Tabari Vol. 6: Muhammad at Mecca। পৃষ্ঠা 125। আইএসবিএন 9780887067075।
- ↑ ক খ গ "Idol Worship in Pre-Islamic Medina"। The Arabs and Arabia on the Eve of Islam (Volume 3)। Routledge। ২০১৪। পৃষ্ঠা 130–134, 153। আইএসবিএন 9781351894807।
- ↑ Guillaume, Alfred (১৯৬৩)। "New light on the life of Muhammad": 427–428।
- ↑ "Sahih Bukhari"। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "Sahih Bukhari"। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৮।