বুড়িমারী–লালমনিরহাট–পার্বতীপুর রেলপথ
পার্বতীপুর-রংপুর-লালমনিরহাট-বুড়িমারী লাইন | |
---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
স্থিতি | সক্রিয় |
মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
অঞ্চল | বাংলাদেশ |
স্টেশন | ২৪ |
পরিষেবা | |
ধরন | বাংলাদেশের রেললাইন |
পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
ইতিহাস | |
চালু | পার্বতীপুর - রংপুর ১৮৭৮
রংপুর - কাউনিয়া ১৮৭৯ কাউনিয়া - লালমনিরহাট - মোগলহাট ১৯০০ লালমনিরহাট - বুড়িমারী ১৯০১ |
কারিগরি তথ্য | |
ট্র্যাক গেজ | মিটারগেজ ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) |
চালন গতি | ৮০ |
বুড়িমারী–লালমনিরহাট– পার্বতীপুর লাইন |
---|
উৎস: বাংলাদেশ রেলওয়ে মানচিত্র |
বুড়িমারী-লালমনিরহাট-রংপুর-পার্বতীপুর লাইনটি পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে রক্ষনাবেক্ষণ ও পরিচালিত হয়।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]স্টেশন তালিকা
[সম্পাদনা]বুড়িমারি-লালমনিরহাট-পার্বতীপুর লাইনে ২৪টি রেলওয়ে স্টেশন আছে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো:
- বুড়িমারি রেলওয়ে স্টেশন
- পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন
- আলাউদ্দিননগর রেলওয়ে স্টেশন
- বাউরা রেলওয়ে স্টেশন
- বড়খাতা রেলওয়ে স্টেশন
- হাতিবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন
- শহীদ বোরহান উদ্দিন রেলওয়ে স্টেশন
- ভোটমারি রেলওয়ে স্টেশন [২]
- তুষভান্ডার রেলওয়ে স্টেশন
- কাকিনা রেলওয়ে স্টেশন
- নামুরিরহাট রেলওয়ে স্টেশন
- আদিতমারি রেলওয়ে স্টেশন
- রইসবাগ রেলওয়ে স্টেশন
- লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন
- মহেন্দ্রনগর রেলওয়ে স্টেশন
- তিস্তা রেলওয়ে স্টেশন
- কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- মীরবাগ রেলওয়ে স্টেশন
- রংপুর রেলওয়ে স্টেশন
- শ্যামপুর রেলওয়ে স্টেশন
- আওলিয়াগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
- বদরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
- খোলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন
- পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন
শাখা লাইন
[সম্পাদনা]মোঘলহাট-গোলকগঞ্জ
[সম্পাদনা]মোঘলহাট - গোলকগঞ্জ(ভারত) রেললাইন ১৯৬৫ সালের পর বন্ধ হয়ে যায়। মোঘলহাট -গোলকগঞ্জ সেকশনটি মিটারগেজ রেললাইন ছিলো। মোঘলহাট থেকে লাইনটি ভারতের গিতলদহ[৩] থেকে বামনহাট[৪] হয়ে বাংলাদেশের (পাটেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারি-সোনাহাট) হয়ে আবার ভারতে ঢুকে গোলকগঞ্জ পর্যন্ত যায়। পরে পাটেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারি-সোনাহাট এর বাংলাদেশি অংশ তুলে ফেলা হয়। এখন সোনাহাট সেতু সড়ক সেতু হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।[৫]
তিস্তা জংশন-চিলমারী লাইন
[সম্পাদনা]১৮৭৯ সালে তৈরি পার্বতীপুর-লালমনিরহাট-বুড়িমারী লাইনের একটি শাখা তিস্তা জংশন থেকে বের হয়ে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত যায়। এটি প্রথমে ন্যারোগেজ লাইন ছিল। তিস্তা জংশন থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত লাইনটিকে ১৯২৮-১৯২৯ সালে মিটারগেজ রুপান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে কুড়িগ্রাম থেকে চিলমারী পর্যন্ত নতুন ২৮.৫৫ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইন তৈরি হয়। কিন্তু ১৯৭০ এর দশকের প্রথম দিকের বন্যায় চিলমারী রেলওয়ে স্টেশন বহ্মপুত্র নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে শুধু রমনা বাজার রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করে। তিস্তা জংশন থেকে রমনা বাজার[৬] রেলপথের দৈর্ঘ্য ৫৬ কিলোমিটার।[৭]
সংযোগ লাইন
[সম্পাদনা]সান্তাহার-কাউনিয়া লাইন
[সম্পাদনা]ব্রহ্মপুত্র-সুলতানপুর রেলওয়ে কোম্পানি ১৮৯৯-১৯০০ সালে ফুলছড়ি (তিস্তামুখ) এর সান্তাহার থেকে ৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ (৫৮ মাইল) মিটারগেজ রেলপথ ট্র্যাক নির্মিত। বর্তমানে লাইন ফুলছড়ি উপজেলার বালাসী ঘাট পর্যন্ত আছে। ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ (২৭ মাইল) বোনারপাড়া-কাউনিয়া লাইন ১৯০৫ সালে নির্মাণ করা হয়।[৮]
সম্পর্কিত নিবন্ধ
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "একটা 'রাজকীয়' অন্যটা 'মফিজ'"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৭।
- ↑ "ভোটমারী-বুড়িমারী পথে দুই সপ্তাহ পর ট্রেন চলাচল শুরু"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৭।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব। "রেলে জুড়ুক ভারত-বাংলাদেশ, দাবি উঠল দিনহাটায়"। anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯।
- ↑ "দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ফের বামনহাট থেকে চালু হতে চলেছে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস"। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "হুমকিতে সোনাহাট সেতু"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯।
- ↑ "তিস্তা-কুড়িগ্রাম রেলপথ এখন বিলুপ্তির পথে"। দৈনিক নয়াদিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯।
- ↑ "তিস্তা-কুড়িগ্রাম-রমনা রেলপথ নাজুক | সারাদেশ"। ইত্তেফাক। ২০২০-০১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯।
- ↑ Hurd, John; Kerr, Ian J. (২০১২-০১-০১)। India's Railway History। BRILL। আইএসবিএন 978-90-04-23115-3।