দর্শনা–যশোর–খুলনা লাইন
দর্শনা জংশন–যশোর-খুলনা রেলপথ | |
---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
স্থিতি | সক্রিয় |
মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
অঞ্চল | বাংলাদেশ |
বিরতিস্থল | |
স্টেশন | ২৩ টি |
পরিষেবা | |
ধরন | বাংলাদেশের ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি গেজ রেলপথ |
পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
ইতিহাস | |
চালু |
|
কারিগরি তথ্য | |
ট্র্যাক গেজ | ব্রডগেজ ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) |
চালন গতি | ৮০ কিমি/ঘণ্টা |
দর্শনা-যশোর–খুলনা লাইন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি রেলপথ, যা বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালিত হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি সরাসরি যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করার জন্য বৃটিশ সরকার ১৮৭৮ সালে চিলাহাটি-পার্বতীপুর-সান্তাহার-দর্শনা লাইন ও কলকাতা থেকে যশোর থেকে খুলনা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করে। কিন্তু ১৯৪৭ এ দেশ ভাগ হয়ে যাবার পর দুই দেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাজশাহী রংপুরের সাথে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের খুলনার সরাসরি রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়। তাই খুব দ্রুত সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার দ্রুত দর্শনা জংশন থেকে যশোর জংশন পর্যন্ত নতুন রেলপথ স্থাপন করে[১] ১৯৫১[২] সালের মধ্যে। তখন থেকেই খুলনার সাথে সারা বাংলাদেশের সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু হয়।
শাখা রেলপথ
[সম্পাদনা]যশোর জংশন–বেনাপোল রেলপথ
[সম্পাদনা]যশোর জংশন থেকে বেনাপোল–পেট্রাপোল হয়ে দমদম জংশন পর্যন্ত এই রেলপথ বিস্তৃত। বেনাপোল এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস, বেনাপোল কমিউটার, খুলনা কমিউটার ও মালবাহী ট্রেন এই পথ দিয়ে চলাচল করে।
খুলনা–মংলা রেলপথ
[সম্পাদনা]মংলা বন্দরকে দেশের রেলপথের সাথে সংযুক্ত করতে এই রেলপথ তৈরি করা হচ্ছে।
খুলনা–বাগেরহাট রেলপথ
[সম্পাদনা]বৃটিশ আমলে তৈরি এই রেলপথ ১৯৯৮ সালে সরকার বন্ধ ঘোষণা করে। পরে এই পথের উপর দিয়ে সড়কপথ তৈরি করা হয়।
স্টেশন তালিকা
[সম্পাদনা]দর্শনা জংশন–খুলনা রেলপথ
[সম্পাদনা]- দর্শনা জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- দর্শনা হল্ট রেলওয়ে স্টেশন
- উথলী রেলওয়ে স্টেশন
- আনসারবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন
- সাফদারপুর রেলওয়ে স্টেশন
- কোট চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশন
- সুন্দরপুর রেলওয়ে স্টেশন
- মোবারকগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
- বারোবাজার রেলওয়ে স্টেশন
- মেহেরুল্লানগর রেলওয়ে স্টেশন
- যশোর ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন
- যশোর জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- সিঙ্গিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- চেঙ্গুটিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন
- বেজেরডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন
- ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন
- দৌলতপুর রেলওয়ে স্টেশন
- দৌলতপুর কলেজ রেলওয়ে স্টেশন
- খুলনা জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- খুলনা রেলওয়ে স্টেশন
যশোর–বেনাপোল শাখা রেলপথ
[সম্পাদনা]- যশোর জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- ধোপাখোলা রেলওয়ে স্টেশন
- ঝিকরগাছা রেলওয়ে স্টেশন
- গদখালী রেলওয়ে স্টেশন
- নাভারন রেলওয়ে স্টেশন
- বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন
খুলনা–মংলা শাখা রেলপথ
[সম্পাদনা]- ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন
- আড়ংঘাটা রেলওয়ে স্টেশন
- মোহম্মদনগর রেলওয়ে স্টেশন
- কাটাখালী রেলওয়ে স্টেশন
- চুলকাটী রেলওয়ে স্টেশন
- ভাগা রেলওয়ে স্টেশন
- দিগরাজ রেলওয়ে স্টেশন
- মোংলা রেলওয়ে স্টেশন
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "প্রবল চাহিদার বিপরীতে রেল কেন জনবান্ধব হতে পারল না"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৫।
- ↑ "রেলওয়ে - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৬।