বিষয়বস্তুতে চলুন

ম্যাথু এলিয়ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ম্যাথু এলিয়ট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ম্যাথু টমাস গ্রে এলিয়ট
জন্ম (1971-09-28) ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ (বয়স ৫৩)
চেলসি, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামহার্ব
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাউদ্বোধনী ব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৬৮)
২২ নভেম্বর ১৯৯৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট১ জুলাই ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা
একমাত্র ওডিআই
(ক্যাপ ১৬৪)
২৫ মে ১৯৯৭ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৩–২০০৫ভিক্টোরিয়া
২০০০, ২০০৪–২০০৭গ্ল্যামারগন
২০০২ইয়র্কশায়ার
২০০৫–২০০৬দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ২১
রানের সংখ্যা ১১৭২
ব্যাটিং গড় ৩৩.৪৮ ১.০০
১০০/৫০ ৩/৪ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৯৯
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ০/৪ -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৪/০ ০/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩ জানুয়ারি ২০১৬

ম্যাথু টমাস গ্রে এলিয়ট (জন্ম: ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১) ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্নে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরূপে মাঠে নামতেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং কাউন্টি ক্রিকেটে গ্ল্যামারগন ও ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ম্যাথু এলিয়ট

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৯২-১৯৯৩ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। বেন্ডিগো ক্রিকেট ক্লাবে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নামেন। এরপর খুব দ্রুতলয়ে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে শীর্ষস্থানীয় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরূপে গড়ে তুলেন নিজেকে।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলার জন্য আমন্ত্রিত হন। নভেম্বর, ১৯৯৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। দূর্ভাগ্যবশতঃ নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে দলীয় সঙ্গী মার্ক ওয়াহ’র সাথে পিচের মাঝখানে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। এরফলে তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। একই বছরে অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই সেঞ্চুরির সন্ধান পান। তন্মধ্যে, নিজস্ব সেরা ১৯৯ তুলেছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে টেক্সাকো কাপের মাধ্যমে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষিক্ত হন এলিয়ট। কিন্তু ঐ খেলায় তিনি মাত্র ১ রান তুলেন যা তার সীমিত ওভারের খেলায় একমাত্র অংশগ্রহণ। ১৯৯৮ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন তিনি। কিন্তু, দলে তিনি নিয়মিতভাবে অংশ নেননি। অ্যাশেজ সিরিজের পর ১৯৯৯ সালে জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েন। স্টিভ ওয়াহ তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন যে, ‘এলিয়ট উপযুক্ত প্রতিনিধি ... কিন্তু ক্রীড়াক্ষেত্রে মনোবিদ।’[]

কাউন্টি ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে চুক্তিবদ্ধ হন। বিদেশী খেলোয়াড় ইউনুস খানের ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের প্রেক্ষিতে তার এ অংশগ্রহণ। কিন্তু, পাকিস্তানের খুব দ্রুত বিদায়ের ফলে ইউনুস পুনরায় দলে ফিরে আসেন। এরফলে চুক্তি বাতিল করে অস্ট্রেলীয় বামহাতি ব্যাটসম্যান জিমি মাহেরের পরিবর্তে চার সপ্তাহের জন্য গ্ল্যামারগনের সদস্য হন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Waugh, Steve (২০০৫)। STEVE WAUGH: Out of my comfort zone - the autobiography। Victoria: Penguin Group (Australia)। পৃষ্ঠা 418–419। আইএসবিএন 0-670-04198-X 
  2. "Glamorgan snap up Aussie Elliott"BBC Sport। BBC। ২৯ মার্চ ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৩ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]