যায়দ ইবনে আলী
যায়দ ইবনে আলী زَيْد ٱبْن عَلِيّ | |||||
---|---|---|---|---|---|
যায়দ আশ-শহীদ হলীফ আল-কোরআন | |||||
০৫ম ইমাম (যায়দি শিয়া ইসলাম) | |||||
ইমামত | ৯৫ – ১২২ হিজরি | ||||
পূর্বসূরি | আলী ইবনে হোসেন | ||||
উত্তরসূরি | ইয়াহিয়া ইবনে যায়েদ | ||||
জন্ম | যায়দ ইবনে আলী আনু. ৬৯৮ খ্রি. (৮০ হিজরি) মদিনা, হিজায, উমাইয়া খিলাফত | ||||
মৃত্যু | আনু. ৭৪০ খ্রি. (বয়স ৪২) (২ সফর ১২২ হিজরি) কুফা, ইরাক, উমাইয়া খিলাফত | ||||
দাম্পত্য সঙ্গী | রাইতা বিনতে আব্দুল্লাহ ইবনে মোহম্মদ ইবনে আল-হানাফিয়া | ||||
সন্তান | হাসান ইয়াহিয়া হোসেন ঈসা মওতামুল ইশবাল মোহাম্মদ | ||||
| |||||
স্থানীয় নাম | زَيْد ٱبْن عَلِي ٱلشَّهِيْد | ||||
বংশ | আহলে আল-বাইত | ||||
বংশ | বনু হাশিম | ||||
রাজবংশ | কুরাইশ | ||||
পিতা | আলী ইবনে হোসেন | ||||
মাতা | যায়দা আল-সিন্ধী | ||||
ধর্ম | ইসলাম | ||||
মৃত্যুর কারণ | হিশাম ইবনে আব্দুল মালিক কর্তৃক শিরশ্ছেদ | ||||
সমাধি | কাফেল, ইরাক কারাক, জর্ডান | ||||
পরিচিতির কারণ | উমাইয়া বিরোধী বিদ্রোহ | ||||
আন্দোলন | যায়দী শিয়া ইসলাম | ||||
শিয়া ইসলাম |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
ইসলাম প্রবেশদ্বার |
যায়দ ইবনে আলী (রহমতুল্লাহ আলাইহি) (আরবি: زَيْد ٱبْن عَلِيّ; ৬৯৫ – ৭৪০) ছিলেন আলী ইবনে হোসেনের পুত্র এবং হোসেন ইবনে আলীর দৌহিত্র। তিনি উমাইয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ পরিচালনা করেন। বিদ্রোহটি ব্যর্থ হয় এবং তাঁকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়।[২] এই ঘটনার ফলে শিয়া ইসলামের যায়দী মাযহাব বা শাখার উত্থান ঘটে যারা যায়দকে (রহঃ) আলী ইবনে হোসেনের পরবর্তী ইমাম হিসেবে গ্রহণ করে। এর বিপরীতে ইসনে আশারিয়া ও ঈসমাইলি শিয়ারা তাঁর বড় ভাই মোহাম্মদ আল-বাকিরকে পরবর্তী ইমাম হিসেবে গণ্য করে। তথাপি শিয়া ও সুন্নিরা তাঁকে একজন শহীদ ও আলেম হিসেবে বিবেচনা করে। উমাইয়া শাসক কর্তৃক তাঁর নির্মম হত্যাকাণ্ড ও তাঁর মরদেহের নিষ্ঠুর প্রদর্শন আব্বাসীয় আন্দোলনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।[৩]
যায়দ (রহঃ) ছিলেন একজন বিজ্ঞ ধর্মীয় পণ্ডিত। তাঁর নামে অসংখ্য গ্রন্থের অস্তিত্ব পাওয়া যায় যার মধ্যে মুসনাদ আল-ইমাম যায়দ (মজমু আল-ফিকহ নামেও পরিচিত) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি শরীয়াহ্ বিষয়ক প্রাচীনতম গ্রন্থগুলোর একটি। তবে এর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে; এটি সম্ভবত প্রারম্ভিক কুফি আইনি ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে।[৪][৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Badruddīn, Amir al-Hussein bin (১৮ ডিসেম্বর ২০০৮)। The Precious Necklace Regarding Gnosis of the Lord of the Worlds। Imam Rassi Society।
- ↑ Esposito, John L., সম্পাদক (২০০৩)। "Zayd ibn Ali"। The Oxford Dictionary of Islam। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-1998-9120-7।
- ↑ ক খ Madelung, Wilferd (২০১২)। "Zayd b. ʿAlī b. al-Ḥusayn"। P. Bearman; Th. Bianquis; C.E. Bosworth; E. van Donzel; W.P. Heinrichs। Encyclopaedia of Islam, Second Edition। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-9-0041-6121-4।
- ↑ Katz, Stanley N., সম্পাদক (২০০৯)। "Islamic Schools of Sacred Law: Shiʿi Schools: The Zaydi School of Law"। The Oxford International Encyclopedia of Legal History। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-1953-3651-1।