রেনিটিডিন
রোগশয্যাসম্বন্ধীয় তথ্য | |
---|---|
উচ্চারণ | /rəˈnɪtɪdiːn/ |
বাণিজ্যিক নাম | Zantac, others |
অন্যান্য নাম | Dimethyl [(5-{[(2-{[1-(methylamino)- 2-nitroethenyl]amino}ethyl)sulfanyl] methyl}furan-2-yl)methyl]amine |
এএইচএফএস/ ড্রাগস.কম | মনোগ্রাফ |
মেডলাইনপ্লাস | a601106 |
লাইসেন্স উপাত্ত |
|
গর্ভাবস্থার শ্রেণি |
|
প্রয়োগের স্থান | By mouth, IV |
ঔষধ বর্গ | H2 receptor blocker |
এটিসি কোড |
|
আইনি অবস্থা | |
আইনি অবস্থা |
|
ফার্মাকোকাইনেটিক উপাত্ত | |
জৈবপ্রাপ্যতা | 50% (by mouth)[১] |
প্রোটিন বন্ধন | 15% |
বিপাক | Liver: FMOs, including FMO3; other enzymes |
কর্মের সূত্রপাত | 55–65 minutes (150 mg dose)[২] 55–115 minutes (75 mg dose)[২] |
বর্জন অর্ধ-জীবন | 2–3 hours |
রেচন | 30–70% Kidney |
শনাক্তকারী | |
| |
সিএএস নম্বর | |
পাবকেম সিআইডি | |
আইইউপিএইচএআর/ বিপিএস | |
ড্রাগব্যাংক | |
কেমস্পাইডার | |
ইউএনআইআই | |
কেইজিজি | |
সিএইচইবিআই | |
সিএইচইএমবিএল | |
কমপটক্স ড্যাশবোর্ড (আইপিএ) | |
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | 100.060.283 |
রাসায়নিক ও ভৌত তথ্য | |
সংকেত | C13H22N4O3S |
মোলার ভর | 314.4 g/mol |
থ্রিডি মডেল (জেএসমোল) | |
| |
|
রেনিটিডিন (ইংরেজি: Ranitidine) হচ্ছে এমন একটি ওষুধ যা গ্যাস্ট্রিক এসিড উৎপাদন কমাতে ব্যবহার করা হয়।[১] এটা পেপ্টিক আলসার, গ্যাস্ট্রইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স রোগ জলিনজার-এলিসন সিনড্রোম রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।[১] হাইভস বা আরটিকেরিয়ার চিকিৎসায় উপকার পাবার প্রমাণ রয়েছে।[৩] এটা মুখে এবং মাংসপেশিতে বা শিরায় ইনজেকশন এর মাধ্যমে দেয়া হয়। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ২০১৯ সালে রেনিটিডিন আমদানী, বিক্রয় ও সেবন নিষিদ্ধ করে।[১][৪]
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]প্রধান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসমুহ হলো মাথাব্যথা, ইনজেকশনের জায়গায় ব্যথা। গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে লিভারে সমস্যা, হার্টরেট কমে যাওয়া, পাকস্থলীর ক্যান্সারজনিত উপসর্গগুলো বুঝতে না পারা।[১] এটা ক্লস্ট্রিডিয়াম ডেফিসিল কোলাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। [৫] এটা সাধারণত গর্ভাবস্থায় নিরাপদ। রেনিটিডিন হলো H2 হিস্টামিন রিসেপ্টর অ্যান্টাগনিস্ট যা হিস্টামিন কে ব্লক করে ফলে পাকস্থলীর প্যারাইটাল কোষ থেকে বেশি এসিড বের হতে পারেনা। [১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]গ্লাক্সো ফার্মা যা এখন গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন এর অংশ ১৯৭৬ সালে রেনিটিডিন আবিষ্কার করে। [৬][৭] এটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ওষুধের তালিকায় স্থান পেয়েছে এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হিসেবে বিবেচিত হয়। [৮] এটা এখন জেনেরিক মেডিসিন হিসেবে সহজলভ্য। [৯]
১৯৮১ সালে প্রথমবার রেনিটিডিন বাজারে ছাড়া হয় এবং ১৯৮৭ সালের মধ্যে এটি বাজারে বিক্রীত ওষুধের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে। পরবর্তীতে ওমিপ্রাজল (যা একটি প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর) শীর্ষস্থান দখল করে।[১০]
নিষিদ্ধ
[সম্পাদনা]রেনিটিডিন ঔষধটি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নিষিদ্ধ করে। নিষিদ্ধ প্রসঙ্গেঅধিদপ্তরের পরিচালক মো. রুহুল আমিন জানান, ‘বাংলাদেশের অনেক ওষুধ কোম্পানি ভারত থেকে রেনিটিডিন ওষুধের কাঁচামাল আমদানি করে। এসব কাঁচামালে ক্যানসারের উপাদান থাকায় জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া ঔষধ প্রশাসন অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনো রেনিটিডিন ওষুধ তৈরি করতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ [১১][১২][১৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Ranitidine"। The American Society of Health-System Pharmac ists। সংগ্রহের তারিখ ডিসে ১, ২০১৫।
- ↑ ক খ Gardner JD, Ciociola AA, Robinson M, McIsaac RL (জুলাই ২০০২)। "Determination of the time of onset of action of ranitidine and famotidine on intra-gastric acidity"। Aliment. Pharmacol. Ther.। 16 (7): 1317–1326। ডিওআই:10.1046/j.1365-2036.2002.01291.x। পিএমআইডি 12144582।
- ↑ Fedorowicz, Z; van Zuuren, EJ; Hu, N (১৪ মার্চ ২০১২)। "Histamine H2-receptor antagonists for urticaria."। The Cochrane database of systematic reviews। 3: CD008596। ডিওআই:10.1002/14651858.CD008596.pub2। পিএমআইডি 22419335।
- ↑ "গ্যাস্ট্রিকের রেনিটিডিন জাতীয় ট্যাবলেটে ক্যান্সারের উপাদান"। দৈনিক কালের কণ্ঠ।
- ↑ Tleyjeh, IM; Abdulhak, AB; Riaz; Garbati, MA; Al-Tannir, M; Alasmari, FA; Alghamdi, M; Khan, AR; Erwin, PJ; Sutton, AJ; Baddour, LM (২০১৩)। "The association between histamine 2 receptor antagonist use and Clostridium difficile infection: a systematic review and meta-analysis."। PLOS ONE। 8 (3): e56498। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0056498। পিএমআইডি 23469173। পিএমসি 3587620 । অজানা প্যারামিটার
|fir st3=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Fischer, Janos (২০১০)। Analogue-based Drug Discovery II। John Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 4। আইএসবিএন 9783527632121।
- ↑ Hara, Takuji (২০০৩)। Innovation in the pharmaceutical industry the process of drug discovery and development। Cheltenham, U.K.: Edward Elgar। পৃষ্ঠা 94। আইএসবিএন 9781843765660।
- ↑ "WHO Model List of EssentialMedicines" (পিডিএফ)। World Health Organization। অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "Ranitidine"। International Drug Price Indicator Guide। ১০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ Pelot, Daniel, (M.D.). "Digestive System : New Drug for Heartburn". The New Book of Knowledge : Medicine & Health, Grolier : Danbury, Connecticut. 1990. p.262. আইএসবিএন ০-৭১৭২-৮২৪৪-৯. Library of Congress 82-645223
- ↑ "গ্যাসট্রিকের ওষুধ রেনিটিডিন নিষিদ্ধ ঘোষণা"। এনটিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৯।
- ↑ BanglaNews24.com। "নিষিদ্ধ হলো রেনিটিডিন"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৯।
- ↑ "বাংলাদেশে রেনিটিডিন বিক্রি নিষিদ্ধ"। জাগো নিউজ।