সুরাকার্তার মহান মসজিদ
সুরাকার্তার মহান মসজিদ | |
---|---|
অগান ক্রাতন সুরাকার্তা মসজিদ | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
প্রদেশ | মধ্য জাভা |
অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান | |
অবস্থান | সুরাকার্তা, মধ্য জাভা, ইন্দোনেশিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৭°৩৪′২৮″ দক্ষিণ ১১০°৪৯′৩৬″ পূর্ব / ৭.৫৭৪৪৭৭° দক্ষিণ ১১০.৮২৬৬১১° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | জাভা আঞ্চলিক |
ভূমি খনন | ১৭৬৩ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৭৬৮ |
বিনির্দেশ | |
সম্মুখভাগের দিক | পূর্ব |
মিনার | ১ |
সুরাকার্তার মহান মসজিদ (ইন্দোনেশীয়: Masjid Agung Surakarta, জাভানীয়: Masjid Ageng Karaton Surakarta Hadiningrat) হলো ইন্দোনেশিয়ার মধ্য জাভার সুরাকার্তায় অবস্থিত একটি ১৮ শতকের মসজিদ। এটি সুরাকার্তা সুলতানাত আমলের একটি রাজকীয় মসজিদ।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]তৃতীয় সুনান পাকুবুওনো ১৭৬৩ সালে সুরাকার্তার মহান মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির নির্মাণ কাজ ১৭৬৮ সালে সম্পন্ন হয়। এটি একটি জামে মসজিদ (জুমার নামাজের জন্য মসজিদ) এবং একই সাথে একটি রাজকীয় মসজিদ (রাজকীয় বংশের সাথে সম্পর্কিত অনুষ্ঠান বা আচার অনুষ্ঠানের জন্য নির্মিত মসজিদ) হিসেবে নির্মাণ করা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে, মসজিদটি ধর্মীয় তাৎপর্যের বিষয়ে বিচার বিভাগ হিসেবেও কাজ করত।[১]
অষ্টম সুনান পাকুবুওনো ১৮৫৮ সালে তার শাসনামলে মসজিদ কমপ্লেক্সের জন্য একটি সীমানা চিহ্নিত করার জন্য সংযুক্ত করেন। একাদশ সুনান পাকুবুওনো এর শাসনামলে ১৯২৮ সালে মসজিদটিতে মুঘল স্থাপত্য অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে একটি মিনার নির্মাণ করা হয়।[২]
মসজিদ
[সম্পাদনা]সুরাকার্তা মহান মসজিদের চারপাশ দৃঢ় প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত। মোট ১৯,১৮০ বর্গ মিটার কমপ্লেক্সের মধ্যে মসজিদটি অবস্থান করছে। রক্ষণশীল জাভানিয় স্থাপত্য নীতি অনুসরণ করে সুরাকার্তার মহান মসজিদের নকশা করা হয়েছে। মসজিদটি মূলত দুটি ভবন নিয়ে গঠিত। প্রথম ভবনটি প্রধান প্রার্থনা কক্ষ এবং আরেকটি সেরাম্বি নামে পরিচিত, যা সামনের কক্ষ। প্রধান প্রার্থনা কক্ষে মোট সাতটি দরজা রয়েছে যা এই কক্ষটিকে সেরাম্বির সাথে সংযুক্ত করেছে। চারটি প্রধান স্তম্ভ (জাভানিজ সোকো গুরু) প্রধান প্রার্থনা হলের ছাদকে পুরো স্থাপনাটির ওপর ধরে রেখেছে। মসজিদটির ছাদ একটি পিরামিডাল তাজুগ শৈলীর স্থাপনা। যা জাভানিয় স্থাপত্য নীতিতে পবিত্র ভবনগুলির জন্য ঐতিহ্যগতভাবে সংরক্ষিত এক ধরনের বিশেষ ছাদ। ছাদটি তিন স্তর বিশিষ্ট, শীর্ষে রয়েছে একটি মুস্তাকা (ছাদের অলঙ্কার)।[১] রাজকীয় মসজিদ হিসেবে মিহরাবের বাম দিকে একটি মাকসুরা রয়েছে। মাকসুরা মূলত ক্রাটনের শাসকের প্রার্থনা করার জন্য বিশেষ জায়গা। সুরাকার্তার গ্রেট মসজিদের ক্ষেত্রে, মাকসুরার জন্য একটি ছোট উপ-ছাদ রয়েছে।
প্রধান প্রার্থনা কক্ষের সামনের কক্ষটি মূলত সেরাম্বি নামে পরিচিত। সেরাম্বি মূলত একটি বারান্দার মতো কাঠামো যা প্রধান প্রার্থনা হলের সামনের দিকে আংশিক সংযুক্ত। সেরাম্বিতে দুটি বেডগ (প্রার্থনা করার জন্য জাভানিজ ড্রাম) এবং একটি বড় কাঠের কেন্টনগান রাখা আছে। আরেকটি বারান্দার মতো অর্ধ-সংযুক্ত বিল্ডিং রয়েছে। যা প্রধান প্রার্থনা হলের বাম এবং ডান পাশে অবস্থিত। এদের একেকটিকে বলা হয় প্যাওয়েস্ট্রেন। প্যাওয়েস্ট্রেন মহিলাদের প্রার্থনা কক্ষ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।[২]
মসজিদটির মিনার স্থাপনাটির উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত ছিল। মিনারের নকশাটি মূলত দিল্লির কুতুব মিনারের আদলে তৈরি করা হয়।[২]
অবস্থান
[সম্পাদনা]মসজিদটি সুরাকার্তার কাসুনানের ক্রাটনের উত্তর আলুনের মুখোমুখি অবস্থিত। যা ঐতিহ্যবাহী জাভানিজ নগর পরিকল্পনার স্থাপত্যশৈলী অনুসরণ করে। মসজিদের দক্ষিণে রয়েছে পাসার ক্লেওয়ার ("ক্লেওয়ার মার্কেট")। বাটিক কারুশিল্পের জন্য পরিচিত কৌমানের ঐতিহ্যবাহী কাম্পুং, যা মসজিদটির উত্তরে অবস্থিত।[১]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ Gunawan Tjahjono 1998, পৃ. 90।
- ↑ ক খ গ Muna Zakiah 2013।
উদ্ধৃতি
[সম্পাদনা]- Gunawan Tjahjono (১৯৯৮)। Gunawan Tjahjono, সম্পাদক। Religion and Ritual। Indonesian Heritage। 9। Singapore: Archipelago Press। আইএসবিএন 9813018585।
- Muna Zakiah (আগস্ট ১২, ২০১৩)। "Masjid Agung Surakarta" [Surakarta Great Mosque]। Kebudayaan Indonesia (Indonesian ভাষায়)। Direktorat Jenderal Kebudayaan Republik Indonesia। নভেম্বর ১৩, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৩, ২০১৫।