২০২৪ হিজবুল্লাহ সদর দপ্তর হামলা

হিজবুল্লাহ সদর দপ্তর হামলা
সেপ্টেম্বর ২০২৪ লেবানন হামলা-এর অংশ-এর অংশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে একটি ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটি থেকে পরিচালিত একটি F-15I, আকাশ আক্রমণের জন্য পরিচালিত নির্দিষ্ট গোলাবারুদ বহন করছে
ধরণ	বিমান হামলা
অবস্থান	হারেত হ্রেইক, দাহিয়া, লেবানন ৩৩°৫১′৫″ উত্তর ৩৫°৩০′১৪″ পূর্ব
লক্ষ্য	হাসান নাসরুল্লাহ
তারিখ	২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিষ্পন্নকারী	ইসরায়েলের বিমানবাহিনী
হতাহত	৩৩+ (নাসরাল্লাহসহ) নিহত ১৯৫+ আহত
দাহিয়া লেবাননের মধ্যে অবস্থান

২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, হাসান নাসরুল্লাহ, যিনি হিজবুল্লাহ-এর সেক্রেটারি-জেনারেল ছিলেন, তাকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বৈরুত-এ হত্যা করা হয়। এই হামলা চালানো হয় যখন হিজবুল্লাহ নেতারা বৈরুতের দক্ষিণে অবস্থিত দাহিয়েহ-র হারেত হ্রেইক এলাকার একটি আবাসিক ভবনের নিচে গোপন সদর দপ্তরে বৈঠক করছিলেন।

এই অভিযানটি ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর এফ-১৫আই যুদ্ধবিমান দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে ৮০টিরও বেশি বোমা নিক্ষেপ করা হয়, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ২,০০০-পাউন্ড (৯১০ কেজি) বাংকার বাস্টার বোমা ছিল, যা গোপন সদর দপ্তর এবং এর আশেপাশের ভবনগুলো ধ্বংস করে দেয়। এই অভিযানের নাম ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) "নিউ অর্ডার" (হিব্রু ভাষায়: סדר חדש‎) রাখে।

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে, আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) নাসরাল্লাহর মৃত্যুর ঘোষণা দেয়; বিমান হামলার দুই দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত এবং ১৯৫ জনেরও বেশি আহত হন, যার মধ্যে বেসামরিক লোকজনও ছিলেন। আলি কারাকি, হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার, এবং আরও কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডারও এই হামলায় নিহত হন। ইরানি প্রতিবেদনে বলা হয়, আব্বাস নিলফোরোশান, ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর (আইআরজিসি) ডেপুটি কমান্ডার এবং লেবাননে কুদস ফোর্সের কমান্ডারও এই হামলায় নিহত হন।

আক্রমণের আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘে (ইউএন) বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, ইসরায়েল শান্তির প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তাদের চলমান অভিযানে অঙ্গীকারবদ্ধ। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এ বক্তব্য এবং ইসরায়েলের পূর্ববর্তী হামলাগুলোকেও নিন্দা জানান। তিনি ইসরায়েলের চলমান আক্রমণকে "নির্মূলের যুদ্ধ" হিসেবে অভিহিত করেন। সেপ্টেম্বরে, হিজবুল্লাহর কিছু বড় পরাজয় ঘটে, এর মধ্যে রয়েছে ১৭ এবং ১৮ সেপ্টেম্বর পেজার বিস্ফোরণ এবং ২০ সেপ্টেম্বর ইব্রাহিম আকিলের হত্যাকাণ্ড, যিনি হিজবুল্লাহর রেদোয়ান বাহিনী কমান্ডার ছিলেন। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে ইসরায়েল লেবাননে বিমান হামলা শুরু করলে, এতে ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়, ৫,০০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়, এবং কয়েক লাখ লেবাননের মানুষ ঘরছাড়া হয়ে পড়ে।

পটভূমি

মূল নিবন্ধ: [[:ইসরাইল-হিজবুল্লাহ সংঘাত (২০২৩-বর্তমান),২০২৪-এ লেবাননে পেজার বিস্ফোরণ এবং সেপ্টেম্বর ২০২৪ লেবাননে হামলা]]

হামলার আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘে (ইউএন) ভাষণ দিয়ে বলেছিলেন যে ইসরায়েল শান্তির জন্য নিবেদিত এবং হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তার চলমান অভিযান। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এই এবং এর আগে লেবাননে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছেন, চলমান ইসরায়েলি হামলাকে "নিধনের যুদ্ধ" বলে নিন্দা করেছেন। সেপ্টেম্বরের শুরুতে, হিজবুল্লাহর সবচেয়ে গুরুতর কিছু বিপর্যয় ঘটেছিল, যার মধ্যে রয়েছে ১৭ এবং ১৮ সেপ্টেম্বর এর হ্যান্ডহেল্ড যোগাযোগ ডিভাইসের বিস্ফোরণ এবং ২০ সেপ্টেম্বর অভিজাত রেদওয়ানের কমান্ডার ইব্রাহিম আকিলের হত্যাকাণ্ড। বল ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সাল থেকে, যখন ইসরাইল লেবাননে তার বিমান হামলা শুরু করে, তখন ইসরায়েলি হামলায় ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৫,০০০-এরও বেশি, এবং কয়েক লক্ষ লেবাননের বেসামরিক নাগরিককে বাস্তুচ্যুত করেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে, হিজবুল্লাহ ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে সংঘাতে যোগ দেয়। এটি দ্রুত ইসরায়েলের সাথে নিয়মিত আন্তঃসীমান্ত সামরিক বিনিময়ে বৃদ্ধি পায়, যা উত্তর ইসরায়েল, দক্ষিণ লেবানন এবং গোলান উচ্চতাকে প্রভাবিত করে। হিজবুল্লাহ বলেছে যে এটি ইসরায়েলকে দুটি ফ্রন্টে লড়াই করতে বাধ্য করার মাধ্যমে চাপ দেওয়ার লক্ষ্য ছিল। গাজাতেও যদি যুদ্ধবিরতি হয় তাহলে হিজবুল্লাহ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। ৮ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত, হিজবুল্লাহ ১,৯০০টি সীমান্ত আক্রমণ শুরু করেছে এবং ইসরায়েল আরও ৮,৩০০টি শুরু করেছে। যুদ্ধে লেবাননে ৫৬৪ জন নিহত হয়েছে (১৩৩ জন বেসামরিক নাগরিক সহ), এবং ইসরায়েলে ৫২ জন (২৭ জন বেসামরিক নাগরিক সহ), ইসরায়েল এবং লেবাননের সমগ্র সম্প্রদায়কে বাস্তুচ্যুত করেছে, বেসামরিক অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।

জুলাই মাসে, আরেক সিনিয়র হিজবুল্লাহ সামরিক নেতা ফুয়াদ শুকরও বৈরুতে নিহত হন। ১০ সেপ্টেম্বর, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছিলেন যে ইসরায়েল তাদের মনোযোগ গাজা থেকে উত্তর সীমান্তে সরিয়ে নিচ্ছে।

১৭ এবং ১৮ সেপ্টেম্বর, হাজার হাজার হ্যান্ডহেল্ড পেজার এবং ওয়াকি-টকি আক্রমণের একটি সমন্বিত সিরিজে বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে ৪২ জন নিহত এবং অনেক বেসামরিক নাগরিক সহ কমপক্ষে ৩,৫০০

২৫ সেপ্টেম্বর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া, ২০নাডা, ফ্রান্২০২৪ার্মানি, ইতালি, জাপান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য এবং কাতারও স্বাক্ষর করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন যে নেতানিয়াহু এতে সম্মত হয়েছেন, কিন্তু পরের দিন নেতানিয়াহু এই পরিকল্পনায় কোনো সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন, মার্কিন কর্মকর্তারা "ক্ষোভে ফেটে পড়ে" বলে জানা গেছে। নেতানিয়াহু পরে পিছিয়ে গিয়ে বলেছিলেন যে তিনি মার্কিন প্রস্তাবের লক্ষ্যগুলি ভাগ করেছেন।

হাসান নাসরাল্লাহ

নাসরাল্লাহ, ২০১৯ সালের একটি চিত্রে

হাসান নাসরাল্লাহ আমাল আন্দোলনের একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন, কিন্তু ১৯৮২ সালে লেবাননে ইসরায়েলি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর তিনি চলে যান। তিনি হিজবুল্লাহ গঠিত হওয়ার পরপরই যোগ দেন এবং ১৯৯২ সালে হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল নির্বাচিত হন। তিনি অবিলম্বে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হিজবুল্লাহকে ফোকাস করার জন্য যাত্রা শুরু করেন। তিনি ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালের ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হিজবুল্লাহকে নেতৃত্ব দেন এবং কানা গণহত্যার পর লেবাননে তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হয়। তার কমান্ডের সময় হিজবুল্লাহকে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী অস্ত্রধারী নন-স্টেট অ্যাক্টরে রূপান্তরিত করে, এর আধাসামরিক শাখা লেবাননের সেনাবাহিনীকে শক্তিতে ছাড়িয়ে যায়। তার বক্তৃতায় প্রায়শই ইসরায়েল-বিরোধী এবং পাশ্চাত্য-বিরোধী মনোভাব অন্তর্ভুক্ত ছিল। নাসরাল্লাহ ইরানের সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন এবং হিজবুল্লাহকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপায়ে প্রভাবিত করেছিলেন তার মেয়াদ জুড়ে।

১৯৯০-এর দশকে, নাসরাল্লাহ লেবাননের শিয়াদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন-এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে আরব ও মুসলিম বিশ্বে -তিনি ইসরায়েলি ও আমেরিকান সরকারগুলির দ্বারা অনেক অপছন্দের ছিলেন। যাইহোক, ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধের দিকে পরিচালিত একটি ইসরায়েলি সীমান্ত টহল ইউনিটকে অতর্কিত আক্রমণে হিজবুল্লাহর ভূমিকা স্থানীয় এবং আঞ্চলিক সমালোচনার বিষয় ছিল। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময়, হিজবুল্লাহ বাশার আল-আসাদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিল। হিজবুল্লাহ যখন আসাদকে ক্ষমতায় থাকতে সাহায্য করেছিল, তখন হিজবুল্লাহর জনপ্রিয়তা তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছিল কারণ আসাদ আরব বিশ্বে একটি পরকীয়া হয়ে উঠেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ শত্রুতা শুরু হওয়ার পর হিজবুল্লাহর জনপ্রিয়তা আবার বেড়ে যায় তার নেতৃত্বে, হিজবুল্লাহ ২০০৫ সালে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রাফিক হারিরি হত্যাকাণ্ড এবং ২০২০ সালের বৈরুত বন্দর বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে সমালোচনার সম্মুখীন হয়। তিনি ক্রমাগতভাবে " প্রতিরোধের অক্ষ " প্রচার করেছেন, যা ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের একটি নেটওয়ার্ক।

১৯৯২ সালের অক্টোবরে, ইসরাইল নাসরাল্লাহকে হত্যার চেষ্টা করে। ২০০৪ সালের মে মাসে, লেবাননের কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে তারা নাসরাল্লাহকে হত্যা করার একটি ইসরায়েলি চক্রান্ত নস্যাৎ করেছে। ২০০৬ সালের যুদ্ধে, ইসরাইল নাসরাল্লাহকে থাকতে পারে এমন ভবনগুলিতে অনেক বোমা ফেলেছিল।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে বলেছেন যে নাসরাল্লাহ এবং তার কয়েকজন সহযোগী স্ট্রাইকের সময় একটি সংক্ষিপ্ত সফরের জন্য বৈরুতে ছিলেন। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, ইসরায়েলি নেতারা কয়েক মাস ধরে হাসান নাসরাল্লাহর অবস্থান ট্র্যাক করেছিলেন এবং হত্যার এক সপ্তাহ আগে তাকে টার্গেট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, বিশ্বাস করেন যে তিনি অন্যত্র চলে যাওয়ার আগে তাদের একটি সীমিত সময়সীমা ছিল।

আক্রমণ

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী (আইএএফ) বৈরুতের দাহেহ শহরতলিতে হারেত হরিক পাড়ায় অবস্থিত হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় সদর দফতরে একটি বিমান হামলা চালায়। মিডিয়া রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে যে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন। নাসরাল্লাহ এবং অন্যান্য সিনিয়র হিজবুল্লাহ নেতারা ৬০ ফুট (১৮ মি) বাঙ্কারে বৈঠক করছিলেন ভূগর্ভস্থ। লেবানিজ নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে। লেপ্যারিসিয়েনের মতে, হামলার আগে নাসরুল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে আইডিএফকে অবহিত করার জন্য একজন ইরানি মোল দায়ী ছিল।

স্ট্রাইকটি হয় ১১৯তম "ব্যাট" স্কোয়াড্রন দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল F-16I সুফা জেট-ফাইটারগুলির সাথে অথবা F-15I রা'আমস সহ ৬৯তম স্কোয়াড্রন দ্বারা। দুই কর্মকর্তা বলেছেন যে অপারেশন চলাকালীন মিনিটের মধ্যে ৮০টিরও বেশি বোমা ফেলা হয়েছিল, যদিও তারা বোমার ওজন বা ধরন নির্দিষ্ট করেনি। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, আইডিএফ পনেরটিরও বেশি মার্ক ৮৪ বোমা (২,০০০ পাউন্ড (৯১০ কেজি) দিয়ে লাগানো আটটি বিমান ব্যবহার করেছে প্রতিটি) মার্কিন তৈরি BLU-১০৯ সহ একটি JDAM কিট সহ, নাসরাল্লাহকে হত্যা করার জন্য।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পরপরই এই হামলার ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি ছবি শেয়ার করেছে যাতে বলা হয়েছে যে নেতানিয়াহু বিমান হামলার অনুমোদন দিচ্ছেন। জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার আগে এই ছবিতে নেতানিয়াহুকে তার সামরিক সচিব এবং চিফ অফ স্টাফের সাথে তার নিউইয়র্কের হোটেলে দেখানো হয়েছে।

ধর্মঘটে হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, আবাসিক ভবনের নিচে অবস্থিত হিজবুল্লাহর প্রধান সদর দফতর লক্ষ্যবস্তু ছিল। হিজবুল্লাহর আল-মানার টিভি জানিয়েছে যে বিস্ফোরণের ফলে চারটি ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, যা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ৩০ কিলোমিটার (১৯ মা) পর্যন্ত কম্পন অনুভূত হয়েছিল। বৈরুতের উত্তরে। অ্যাম্বুলেন্সগুলিকে দৃশ্যের দিকে যেতে দেখা গেছে, সাথে সাইরেন বাজছে। ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি অনুসারে, অভিযানগুলি আগুনের একটি বেল্ট তৈরি করেছিল যা বুর্জ এল-বারজনেহের উপকণ্ঠ থেকে হারেত হরিক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। বিস্ফোরণের পরপরই তোলা ফুটেজে একটি বড় গর্ত প্রকাশ পায়।

আফটারমেথ

নাসরাল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, আইডিএফ দ্বারা নাসরাল্লাহর মৃত্যুর ঘোষণা করা হয়েছিল। তার অবস্থা নিয়ে অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে তা নিশ্চিত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ, নাসরাল্লাহর দেহ কোন স্পষ্ট ক্ষত ছাড়াই উদ্ধার করা হয়; রয়টার্সের মতে, দুটি সূত্র পরামর্শ দিয়েছে যে আক্রমণের সময় স্থির শক্তির আঘাতে তিনি মারা গেছেন।

অন্যান্য হতাহত

ইসরায়েল দ্বারা আঘাত করা এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ বলে জানা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি ভূগর্ভস্থ হিজবুল্লাহ সুবিধার উপর নির্মিত বেসামরিক অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং নিয়ে গঠিত; বেশ কিছু স্থাপনা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ধর্মঘটের পর ব্যাপক ধ্বংসলীলা দেখা যায়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান অনুসারে প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে সম্ভবত নাসরুল্লাহর মেয়েও রয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রক ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৩৩ জন নিহত এবং ১৯৫ জন আহত হওয়ার খবর দিয়েছে, যদিও বেশিরভাগ ধ্বংসাবশেষ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং কয়েক ডজন নিখোঁজ হওয়ায় সংখ্যা বাড়বে প্রায় নিশ্চিত।

হিজবুল্লাহ অন্যান্য সিনিয়র কমান্ডারদের সাথে হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার আলী কারাকির মৃত্যুর বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) এর ডেপুটি কমান্ডার এবং লেবাননের কুদস ফোর্সের কমান্ডার আব্বাস নীলফরৌশানও নিহত হয়েছেন।

নাসরুল্লাহর মৃত্যুর ঘোষণার পরপরই হিজবুল্লাহর অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে নাইম কাসেমকে নামকরণ করা হয়। আল জাজিরা কাসেমকে একজন সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং অন্যান্য রিপোর্টে হিজবুল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড হাশেম সাফিউদ্দীনকে পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে নির্দেশ করা হয়েছে। নাসরাল্লাহর চাচাতো ভাই এবং একজন ধর্মগুরু সাফিদ্দীন হিজবুল্লাহ সদর দফতরে হামলা থেকে বেঁচে গেছেন বলে জানা গেছে।

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ, আল আরাবিয়া অনুসারে, সাফিউদ্দীনকে হিজবুল্লাহর স্থায়ী সেক্রেটারি-জেনারেল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।

প্রতিক্রিয়া

ঘরোয়া

হিজবুল্লাহ ও মিত্ররা

হিজবুল্লাহ এক বার্তায় বলেছে যে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। নাসরাল্লাহর মৃত্যুর ঘোষণার পর, হিজবুল্লাহ-সংশ্লিষ্ট আল-মানার টিভি কুরআনের আয়াত সম্প্রচার করে। হিজবুল্লাহ সমর্থকরা অবিলম্বে তার মৃত্যুর শোক প্রকাশ করে রাস্তায় নেমে আসে এবং গুলির শব্দ শোনা যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর, হিজবুল্লাহর ভারপ্রাপ্ত নেতা, নাইম কাসেম বলেছেন যে এই গোষ্ঠীর সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে এবং যোগ করে যে এটি ইসরায়েলি স্থল হামলার মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল।

লেবাননের আরেকটি শিয়া রাজনৈতিক দল আমাল মুভমেন্ট বলেছে যে নাসরাল্লাহর মৃত্যু প্রতিরোধকে দুর্বল করবে না। এটি নাসরাল্লাহকে " শহীদ " বলে অভিহিত করেছে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে "কাঁধে কাঁধে কাঁধে, হৃদয়ে হৃদয়, এবং অস্ত্রের সাথে হাত" থাকার অঙ্গীকার করেছে। হিজবুল্লাহর খ্রিস্টান মিত্র মিশেল আউনও নাসরাল্লাহর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, "লেবানন একজন ব্যতিক্রমী নেতাকে হারিয়েছে যিনি জাতীয় প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।"

লেবাননের সরকার

লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এই হামলার নিন্দা করেছেন এবং লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের "আগ্রাসনের মুখে ঐক্যবদ্ধ থাকার" আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লেবাননে তিন দিনের সরকারি শোক ঘোষণা করেন, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়, পাবলিক ভবনে পতাকা অর্ধনমিত করে উড়তে থাকে।

বৈরুতে, শিয়া এবং খ্রিস্টান আশেপাশের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে বুর্জ আল গাজল ব্রিজের কাছে লেবাননের সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হয়েছিল। শহরের পূর্ব অংশে, যেখানে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রভাব রয়েছে, কিছু বাসিন্দা নাসরাল্লাহর মৃত্যুতে বিস্ময় ও উদযাপনের মিশ্রণে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

ইরান

২৭ সেপ্টেম্বর ধর্মঘটের পর, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করেছে যে সুপ্রিম লিডার আলী খামেনি তার বাসভবনে সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বর্ধিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অধীনে খামেনিকে ইরানের একটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, নাসরাল্লার হত্যার আইডিএফ-এর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায়, খামেনি একটি বিবৃতি জারি করে মুসলিমদেরকে হিজবুল্লাহ এবং লেবাননের জনগণকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে তাদের "লেবাননের জনগণ এবং গর্বিত হিজবুল্লাহর পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাদের যে কোন উপায়ে" আহ্বান জানিয়েছিলেন। "দুষ্ট শাসনের" মোকাবিলা করুন। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাকে বলেছে: "এই অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ করা হবে প্রতিরোধের শক্তি দ্বারা, যেখানে হিজবুল্লাহ অগ্রভাগে থাকবে।" জন্য দেশজুড়ে পাঁচ দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন যে এই হামলা শুধুমাত্র "প্রতিরোধকে শক্তিশালী করবে" এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় " সন্ত্রাসী হামলা " ভুলে যাবে না। ইরানের কেউ কেউ শিয়া শোক পালনের জন্য কেন্দ্রীয় স্থানে জড়ো হয়েছিল, হিজবুল্লাহ পতাকা নেড়েছিল এবং গান গাইছিল।

২৯শে সেপ্টেম্বর, নিউইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করেছে যে ইরানি কর্মকর্তারা নাসরাল্লাহর মৃত্যুতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন তা নিয়ে বিতর্ক করেছেন। একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে, সাঈদ জালিলি সহ রক্ষণশীল সদস্যরা, প্রতিরোধ প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলের উপর একটি দ্রুত প্রতিশোধমূলক হামলার আহ্বান জানান। প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান অবশ্য বৃহত্তর যুদ্ধের ফাঁদে পড়ার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। অন্যান্য মধ্যপন্থীরা সতর্ক করে দিয়েছিল যে ইসরায়েলে আক্রমণ করা ইরানের অবকাঠামোতে ধ্বংসাত্মক হামলার কারণ হতে পারে, দেশটির সংগ্রামী অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে।

ইজরায়েল

আইডিএফ চিফ অফ স্টাফ হার্জি হালেভি বলেছেন, "এটি আমাদের টুলবক্সের শেষ নয়," যোগ করে যে "যারা ইসরায়েল রাষ্ট্রের নাগরিকদের হুমকি দেয় - আমরা জানব কিভাবে তাদের কাছে পৌঁছাতে হবে - উত্তরে, দক্ষিণে এবং এমনকি আরও দূরবর্তী স্থানে।"

হামলার পর, ইসরায়েল বৈরুত বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার হ্যাক করেছে বলে জানা গেছে, ইরানের একটি কার্গো বিমানকে হামলার হুমকিতে না নামতে সতর্ক করেছে। লেবাননের পরিবহন মন্ত্রী বলেছেন যে তিনি দ্রুত হস্তক্ষেপ করেছিলেন এবং বিমানটিকে অবতরণ করতে বাধা দেন।

আন্তর্জাতিক

• China: The Foreign Ministry said that Israel is violating Lebanese sovereignty after the attacks.
• Cuba: President Miguel Díaz-Canel condemned the "cowardly selective murder" of Nasrallah.
• France: The Ministry for Europe and Foreign Affairs stated that they are contacting the Lebanese authority to avoid further instability after the attack.
• Germany: Foreign Minister Annalena Baerbock stated that the attack is "highly dangerous" and "threatens destabilisation for the whole of Lebanon", she further stated that it's "in no way in Israel's security interest".
• Iraq: Prime Minister Mohammed Shia' Al Sudani and cleric Muqtada al-Sadr declared a three-day of mourning across the country. Demonstrations in support of Nasrallah broke out in Basra and Karbala Governorates and in Baghdad where demonstrators blocked roads leading to the Green Zone. The Grand Ayatollah of Iraq Ali al-Sistani condemned the killing, saying that not only was Nasrallah important for Palestinian resistance but also for the fight against ISIS.
• Palestine: Mahmoud Abbas, president of the Palestinian Authority offered his condolences after the attack. The Executive Committee of the Palestine Liberation Organization also released a statement offering condolences for the "martyrdom of Sayyed Hassan Nasrallah and the civilian victims killed by the Israeli occupation's onslaught". Hamas issued a statement morning Nasrallah.
• Russia: The Foreign Ministry condemned Israel's assassination, warning it could escalate violence in Lebanon and the Middle East, and called for an immediate halt to hostilities. Foreign Minister Sergey Lavrov said that the country is concerned about the Israeli airstrike that killed Nasrallah.
• South Africa: The Foreign Ministry condemned the "extrajudicial killings" and shows its solidarity with the Lebanese authorities.
• Syria: The Foreign Ministry condemned the attack. In rebel-controlled Idlib, locals celebrated Nasrallah's death with cheers, applause, horn-honking, and the distribution of sweets, viewing him as a "butcher" responsible for the suffering and deaths of Syrians during the Syrian civil war. The Syrian Social Nationalist Party released a statement mourning Nasrallah.
• Turkey: Foreign Minister Hakan Fidan stated that Nasrallah was an important figure for Lebanon and the Middle East and will be hard to replace.
• United States: President Joe Biden stated that "Nasrallah's death from an Israeli airstrike is a measure of justice for his many victims, including thousands of Americans, Israelis, and Lebanese civilians. The United States fully supports Israel's right to defend itself against Hezbollah, Hamas, Houthis, and any other Iranian-supported terrorist groups." He said he directed the defense secretary to bolster US military forces in the Middle East to deter aggression and reduce the risk of a broader regional war, while aiming to de-escalate conflicts in Gaza and Lebanon through diplomacy.
• Venezuela: President Nicolás Maduro condemned the killing and called on the "Arab people to raise their voice."

জঙ্গি গোষ্ঠী

ইয়েমেনের হুথি আন্দোলন নাসরাল্লার শোক বিবৃতি দিয়েছে। ইয়েমেন থেকে মধ্য ইসরায়েলের দিকে ভূমি থেকে পৃষ্ঠে নিক্ষেপ করা একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

কাতাইব হিজবুল্লাহ নাসরুল্লাহর মৃত্যুর জন্য "জায়নবাদী-আমেরিকান আগ্রাসন"কে দায়ী করেছে যখন আসহাব আল কাহফও সতর্ক করেছে যে আক্রমণের যে কোনো অংশগ্রহণকারী বা সমর্থনকারীরা তার "আসন্ন লক্ষ্য ব্যাঙ্কের" অংশ।

বিশ্লেষণ

দ্য ইকোনমিস্ট উল্লেখ করেছেন যে "নাসরাল্লাহর মৃত্যু লেবানন এবং অঞ্চলটিকে এমনভাবে নতুন আকার দেবে, যা এক বছর আগেও কল্পনা করা যেত না।" সংবাদপত্রের মতে, "যে কেউ লাগাম নেবে সে হিজবুল্লাহর চার দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে অনিশ্চিত মুহুর্তের মুখোমুখি হবে। এটা নয় যে ইসরাইল তার প্রায় পুরো সামরিক নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে, দুই মাসের মধ্যে শতবর্ষের অভিজ্ঞতা মুছে দিয়েছে। এটাও যে দলটি লেবাননের জনসাধারণের সামনে অপমানিত হয়ে দাঁড়িয়েছে যারা ইতিমধ্যে হিজবুল্লাহকে তার রাজনীতিতে প্রবল আধিপত্যের জন্য বিরক্ত করতে এসেছিল।"

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস- এ লেখা, ফারনাজ ফাসিহি বলেছেন, নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ড সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অভ্যন্তরীণ বৃত্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে মুছে দিয়েছে, কারণ ইরান চল্লিশ বছর ধরে হিজবুল্লাহকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফ্রন্টলাইন প্রতিরক্ষা হিসাবে গড়ে তুলেছিল। ফাসিহি বলেছেন যে ইরান সময়ের সাথে সাথে, হিজবুল্লাহ সহ জঙ্গি গোষ্ঠীর একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক সক্রিয় করেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একাধিক ফ্রন্ট খোলার লক্ষ্যে, আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য মার্কিন ও ইসরায়েল উভয়কে চাপ দেওয়ার লক্ষ্যে।