মানব অস্তিত্ব
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (ডিসেম্বর ২০২৩) |
মানব অস্তিত্ব বলতে সব মানুষের জীবনের সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যাবলী ও প্রধান প্রধান ঘটনাগুলির সমাহারকে বোঝায়, যার মধ্যে জন্ম, শিক্ষা, আবেগ, আকাঙ্ক্ষা, নৈতিকতা, সংঘাত ও মৃত্যু অন্তর্ভুক্ত। মানব অস্তিত্ব অত্যন্ত ব্যাপক একটি ধারণা, যাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে ও হয়ে চলেছে। নৃবিজ্ঞান, শিল্পকলা, জীববিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, মনোবিজ্ঞান ও ধর্মে এ ব্যাপারে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
সাহিত্যিক পরিভাষা হিসেবে মানব অস্তিত্ব দিয়ে বেশ কিছু দ্ব্যর্থতাবোধক বিষয়, যেমন জীবনের মর্মার্থ বা নৈতিক প্রশ্নাবলী বোঝানো হতে পারে।[১]
কিছু দৃষ্টিভঙ্গি
[সম্পাদনা]প্রতিটি প্রধান ধর্মে মানব অস্তিত্ব নিয়ে সুনির্দিষ্ট বিশ্বাস রয়েছে। যেমন বৌদ্ধধর্মের চতুরার্য সত্য শেখায় যে মানব অস্তিত্ব হল দুঃখ, মৃত্যু ও পুনর্জন্মের একটি চিরন্তন চক্র, যা থেকে মানুষ অষ্টাঙ্গিক মার্গ ব্যবহার করে নির্বাণ লাভ করতে পারে। অন্যদিকে অনেক খ্রিস্টান বিশ্বাস করে যে মানব অস্তিত্ব পাপময় ও তারা নিশ্চিতভাবেই নরকের পথগামী, যদি না তারা যিশুখ্রিস্টের কাছ থেকে পরিত্রাণ না পায়। ইসলাম ধর্মে মানব অস্তিত্ব বলতে বোঝায় জীবনের উদ্দেশ্য যে মহাবিশ্বের একক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর উপাসনা করা, তা উপলব্ধি করা, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দেখানো পথে নৈতিক দায়িত্ব ও ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ নিয়ে জীবনযাপন করা, দুঃখ-কষ্টকে আধ্যাত্মিক উন্নতির সোপান হিসেবে দেখা, ইত্যাদি।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ C. Welch। "The Human Condition in Literature"। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১।